নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
ভারতের চেন্নাই থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে তামিলনাডূর ভিল্লুপুরম জেলায় অবস্থিত একটি পরীক্ষামূলক শহর অরোভিল। তামিলনাড়ুর ভিলাপুরম জেলা ও পুদুচেরির কিছু এলাকা নিয়ে এই শহর। 'Auroville’ নামটির অর্থ ফরাসী 'Aurore' যার অর্থ ভোর কিংবা সকাল এবং 'Ville' যার অর্থ শহর। পুরো অর্থ দাড় করালে হয় 'ভোরের শহর'। এই শহরে বিশিষ্ট দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী অরবিন্দু ঘোষের নাম জড়িয়ে আছে। শ্রী অরবিন্দু ভারতের প্রখ্যাত একজন বাঙালী রাজনৈতিক নেতা, সাধক এবং দার্শনিক। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অরবিন্দু ছিলেন আলিপুর ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আসামি। একসময় রাজনৈতিক কারণে জেলে বন্দী থাকা কালীন আধ্যাত্মিক চর্চা শুরু করেন। তিনি ব্রিটিশ ইন্ডিয়া থেকে পালিয়ে ফরাসিদের অধীনে থাকা পন্ডিচেরী চলে আসেন। বাকি জীবন পন্ডিচেরীতে কাটান। ১৯২৬ সালের ২৪ নভেম্বর তিনি শ্রী অরবিন্দ আশ্রম গড়ে তোলেন। সে সময় তাঁর সহকারী ছিলেন মীরা আলফাসা (যিনি পন্ডিচেরী অরবিন্দ আশ্রমে শ্রীমা নামে পরিচিত)। মাস খানেক পরেই শ্রী অরবিন্দ সহকর্মী মীরা আলফানসার হাতে আশ্রমের দায়িত্ব তুলে দিয়ে অন্তরালে চলে যান। ব্যতিক্রমী এই শহরের পত্তনের পেছনে মূল আদর্শ ছিলো দেশ শহর, জাতীয়তা, রাজনীতি, বর্ণের বেদাবেধ ভুলে নারী পুরুষের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার এক শান্তির ও প্রগতির চর্চা এবং উদ্ভাবন। মূলত শ্রী অরবিন্দুই ছিলেন এই দার্শনিক চিন্তার স্বপ্নদ্রষ্টা, যার উপর ভিত্ত করে এই শহর গড়ে উঠে। অধিকন্তু অরোভিল শহরের নামকরণ করা হয় ঋষি অরবিন্দুর নাম অনুসারে। এই শহর যে আদর্শ এবং ভাবধারার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে তাঁর পেছনে রয়েছে শ্রী অরবিন্দু এর নাম।
১৯৬৫ সালে মীরা আলফাসা এই শহরের বিষয়ে বিবৃতি প্রদান করেন। এর ২ বছর পর ১৯৬৮ সালে ইউনেস্কোর সহযোগিতায় শ্রী অরবিন্দ সোসাইটির 'মা' মীরা আলফানসা ইউনেস্কোর সহযোগিতায় ১২৪ টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি এবং ভারতের ২৩ টি রাজ্যের যুবক যুবতিদের উপস্থিতিতে শহরের কেন্দ্রে একটি বটগাছের নিচে শহরটির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তিরা প্রত্যেকে তাঁদের নিজ জন্মভূমির এক মুঠো মাটি এনে একটি পদ্ম আকৃতির পাত্রে রাখে। পাত্রটি শ্বেত পাথরের তৈরি। এই পাত্রটি এখানকার অ্যাম্ফিথিয়েটারে এখনও সংরক্ষিত আছে। রজার অ্যাঙ্গার নামের এক ব্রিটিশ আর্কিটেক্ট এই শহরের পরিকল্পনা করেছিলেন। সুযোগ-সুবিধার বিচারে পৃথিবীর বহু বড়ো শহরকেই টেক্কা দিতে পারে অরোভিল। ব্রহ্মাণ্ডের গঠনকে মাথায় রেখে সেই ধাঁচে এই শহরকে গড়ে তোলেন অ্যাঙ্গার, এবং শহরের মাঝখানে স্থাপন করেন একটি মাতৃমন্দির। বর্তমানে এই মাতৃমন্দিরে শহরের মানুষজন সমবেত হন ধ্যান করার জন্য। এখানে তামিল বাঙালি এবং ফরাসি ভাষা ভাষী লোক দেখতে পাবেন। ইংরেজিও বহুল প্রচলিত। এখানে নেই কোন যান্ত্রিক কোলাহল, অর্থের পেছনে রোজ ছুটে চলা চার চাকার বাস, চুরি, ছিনতাই কিংবা টাকা পয়সার ঝংকার! নোটবাতিল ঘোষণার পর ভারত সরকার যখন জোর দিচ্ছে ক্যাশলেস ইকনমির উপর তখন সে দেশের অরোভিলে কার্যত নগদ টাকার কোন মূল্যই নেই। কারণ ব্যাপকতর অর্থে, এই শহরে টাকাপয়সা ব্যবহারই হয় না। অরোভিলের সবচেয়ে ভিন্নধর্মী বৈশিষ্ট্য হয়েছে এখানে কাগুজে কিংবা ধাতব মুদ্রার অর্থের প্রচলন একেবারেই নেই। এই শহরের রয়েছে নিজস্ব ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস সেন্টার(এফএফএস)। কেন্দ্রীয় তহবিলে নাগরিকেরা নিজেদের অর্থ, সেবা কিংবা পরিশ্রমের বিনিময়ে অর্থের যোগান করে। এবং প্রত্যেক নাগরিককে প্রদান কৃত নির্দিষ্ট অরো কার্ডের মাধ্যমে তারা কেনাকাটা করে থাকে। যেকোনো ধরণের লেনদেনই এখানে কার্ডের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এবং পর্যটকদেরও এখানে অস্থায়ী অরো কার্ড সংগ্রহ করতে হয়। দেশের মধ্যেই এক অভিনব ও বিকল্প অর্থব্যবস্থা চালিয়ে দিব্যি রয়েছে অরোভিল।
অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি বাহিরের, সরকার কর্তৃক, পর্যটক এবং নাগরির নির্দিষ্ট মাসিক অনুদান। এছাড়াও এখানে পর্যটন শিল্প, নির্মাণ শিল্প, তথ্য প্রযুক্তি সহ ক্ষুদ্র মাঝারি কুটির শিল্পের ব্যবসা ও রয়েছে। সোলার প্যানেলের মাধ্যমে নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হয়েছে এখানে। বর্তমানে প্রায় ৩০০০ সদস্যের এই শহরে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা, হাসপাতাল, স্কুল , বিশ্ববিদ্যালয় সব কিছুই রয়েছে। মোট নাগরিকদের সিংহ ভাগই ভারতের নাগরিক, তারপর যথাক্রমে ফরাসি, জার্মানি ইটালিয়ান অধিবাসীদের আধিক্য রয়েছে এখানে। মোট ৫৪ টি দেশের অধিবাসী রয়েছে এখানে। এঁদের মধ্যে ৩০ শতাংশ ভারতীয়। সম্পূর্ণ নিজস্ব নিয়মনীতিতে চলা অরোভিলের প্রশাসনিক কাঠামো তিন স্তর বিশিষ্ট। সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ এখানে না থাকলেও ভারত সরকারের অনুমোদিত গভর্নিং বডি এর সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কাঠামোর কেন্দ্রে রয়েছে। ভারতের বিশিষ্ট নাগরিকদের দ্বারাই এই গভর্নিং বডি গঠিত হয়। এছাড়াও স্থানীয় নাগরিক এবং অরোভিল ফাউন্ডেশন রয়েছে এর দেখাশুনার জন্য। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি অপরাধ প্রবণতা কমাতে এখানে এমনকি এলকোহল পর্যন্ত নিষিদ্ধ। প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটে এখানে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অরোভিলে ঘুরতে আসা পর্যটকরা নামমাত্র মূল্যে এখানে থাকা-খাওয়ার সুযোগ পান। এখানে আগত অতিথি ও স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি বিশেষ 'অরো কার্ড', অরোভিলের চৌহদ্দিতে যে কার্ড আদপে ডেবিট কার্ডের সমতুল। এই কার্ডের মাধ্যমেই অরোভিলে যাবতীয় কেনাকাটা করতে পারেন মানুষজন। আধুনিক জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় পরিষেবা মজুত রয়েছে অরোভিলে। রাতের মাতৃ মন্দির এবং দিনের প্রাকৃতিক মোহময়তা, আধুনিক জীবনের রঙিন মোড়কের বাহিরে গিয়েও আধুনিক জীবন যাপন এখানে পর্যটক আকর্ষণের অন্যতম কারণ। আগামী দিনে ক্যাশলেস ইকনমির লক্ষ্যে এই শহরই হয়তো হয়ে উঠবে সারা দেশের আদর্শ।
সূত্রঃ Auroville
সম্পাদনাঃ নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম ফেসবুক-১ ফেসবুক-২
[email protected]
১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ গুরু!
অরোভিল সম্পর্কে বেশ কিছু নতুন
তথ্য ও আপনার ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ
লেখাটিকে বেশ সমৃদ্ধ করেছে।
ভালো থাকব্নে।
২| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৩৬
মেহবুবা বলেছেন: তামিলনাড়ুর কোথাও অরোভিল এমন কোমল সহজ নাম দেখে পড়তে এসে বাঙালী অরবিন্দ ঘোষের সন্ধান পেলাম। ওনার পূর্বপুরুষ কোথায় থাকতেন? জানতে পারলে জানাবেন।
১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ৎমেহবুবা আপুু আপনাকে ধন্যবাদ ঋষি অরবিন্দ ঘোষের কুষ্ঠি জানতে
চাইবার জন্য। ঊণকৌটীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি কারণ তিনি আপনার
মনোবাসনা পরিপূর্ণ্ করেছেন। আমি আরও কিছু তথ্য যুক্ত করলম আপনার জন্য।
আধ্যাত্মিক অরবিন্দের আগে তিনি ছিলেন রাজনীতিক অরবিন্দ।
বাংলার কিংবদন্তি অরবিন্দ ঘোষ ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। পাশাপাশি কবি, পণ্ডিত এবং দার্শনিক।
স্বাধীনতার জন্য তিনি তার পুরো জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮৭২ সালে কলকাতায়।
তিনি এক বিখ্যাত রাজবংশে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা কৃষ্ণ ধন ঘোষ ছিলেন একজন সার্জেন। তিনি লন্ডনের
সেইন্ট পলস থেকে পড়াশুনো করেন এবং কেমব্রিজে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় জন্য ভর্তি হন। তবে
তিনি ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাস করলে অশ্বারোহীদের প্রয়োজনীয পরীক্ষায় ব্যর্থ হন এবং তিনি
সিভিল সার্ভিসে প্রবেশ করতে পারেননি। ১৯০৮ সাল থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠেন।
রাজনীতির গাইড বলা হত এই কিংবদন্তিকে। তিনি দেশবাসীকে ব্রিটিশ পণ্য- দ্রব্য ত্যাগ করতে সমর্থন
করেছিলেন এবং মানুষকে সত্যাগ্রহের সত্যাগ্রহের জন্য তৈরি করেন। তিনি ‘বন্দে মাতরম’ পত্রিকা
প্রকাশ করেন।
আলিপুর বোমা মামলাটি জন্য অরবিন্দ ঘোষ এক বছর আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ছিলেন। বন্দি অবস্থায়
তার যোগ ও ধ্যানের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায় এবং শুনানির পরে ধ্যান এবং প্রাণায়াম অনুশীলন করেন।
পন্ডিচেরিতে ১৯২৬ সালে শ্রী অরবিন্দ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও শ্রী অরবিন্দ আর্য নামে একটি
দার্শনিক মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন
তিনি গ্রিক এবং ল্যাটিন ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। ভারতে ফিরে এসে বরোদার একটি সরকারী বিদ্যালয়ের উপ-অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হয়। পাশাপাশি বাংলা সাহিত্য, দর্শন এবং সংস্কৃত নিয়ে গবেষণা করেন। বঙ্গভঙ্গের পর (১৯০৬ সাল) তিনি চাকরি থেকে পদত্যাগ নেয়।
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০২
ঊণকৌটী বলেছেন: অরবিন্দের জন্ম ১৮৭২ সালের ১৫ অগস্ট। কলকাতার বাঙালি কায়স্থ পরিবারে। ইংল্যান্ডের কিংস কলেজে ছাত্রাবস্থায়ই দেশপ্রেমের ব্রতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। ইতালি এবং আয়ারল্যান্ডের জাতীয়তাবাদীদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, ‘Cambridge Majlis’ নামের একটি ভারতীয় ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্তও হয়েছিলেন। তবে স্বাধীনতা আন্দোলনে অরবিন্দের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেশে ফেরার পরই। সহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী তরুণদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া, তাঁদের প্রেরণা জোগানো এবং দেশমাতৃকার জন্য ত্যাগ এবং যন্ত্রণা স্বীকারে উদ্বুদ্ধ করা।
১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ঊণকৌটী
একজন মুক্তিযোদ্ধা, কবি, পণ্ডিত, যোগী এবং
মহান দার্শনিক ছিলেন সাধু অরবিন্দ ঘোষ।
তার Biography
নাম শ্রী অরবিন্দ ঘোষ
জন্মতারিখঃ ১৫ ই আগস্ট, ১৮৭২
জন্মস্থানঃ কলকাতা
জাতীয়তাঃ indian
রাশিচক্রঃ সিংহরাশি
তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজন
পিতাঃ কৃষ্ণ ধন ঘোষ
মাঃ স্বর্ণলতা দেবী
স্ত্রীঃ মৃণালিনী দেবী
মৃত্যুর তারিখঃ ৫ ডিসেম্বর, ১৯৫০
মৃত্যুর স্থানঃ পন্ডিচেরি
৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৩৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। অরোভিল ভ্রমণের লোভ হচ্ছে। সুযোগ পেলে ঘুরে আসবো। আগে চাই করোনাুক্ত বিশ্ব। পোষ্টে++++
১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আনোয়ার ভাই
আপনার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হোক সেই কামনা রইলো।
অরোভিল ভ্রমণ শেষে আপনার অভিজ্ঞতা জানাবেন।
৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৯
অর্ক বলেছেন: ভালো লাগলো ভাই। ওখানে ভ্রমণ দারুণ উপভোগ্য হবে নিঃসন্দেহে। এরপর গেলে যাবার আকাঙ্খা রইলো। এরকম অনন্ত শান্তির শহর কি বাংলাদেশে হতে পারে না?
শুভেচ্ছা। বেশ কিছু বানান ভুল খানিক সমস্যা করেছিল পড়তে। বড়ো লেখা হতেই পারে। আরও চাই এমন।
১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ অর্ক
আমারও দৃঢ় বিশ্বাস অরোভিল ভ্রমণ দারুণ উপভোগ্য হবে।
আজিজ ভাই ওখানে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বর্ণনা কেরেরছন। তার
উপর আমার আস্থা আছে পুরোপুরি। সুযোগ করে একবার বেড়িয়ে
আসুন অরোভিল !!
৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৮
মেহবুবা বলেছেন: আদি ব্রাক্ষ্ম পরিবারে জন্ম, ওনার বাবার নামে ( ডা: কৃষ্ণ ধুন ঘোষ)ঘোষ ক্যানাল ছিল রংপুরে যেটা ওনার রংপুরে সিভিল সার্জন হিসেবে কর্মরত থাকবার সময় ওনার উদ্যোগ এ কাটা হয়েছিল।
১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে পুনরায় ধন্যবাদ
শ্রী অরবিন্দ ঘোষের পরিবার সম্পর্কে
কিছু নতুন তথ্য দেবার জন্য।
৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৪
শাহ আজিজ বলেছেন: ঢাকা-চেন্নাই ফ্লাইট , চেন্নাই থেকে বাস ৪ ঘণ্টা । সমুদ্রের পাড়ে ট্রাস্টের গেস্ট হাউস , সারারাত উচু ঢেউ আছড়ে পড়বে আপনার একদম কাছে । গেস্ট হাউস আপনাকে গাইড করবে কিভাবে প্লান করবেন অর ভিল যাওয়া আর ঘোরা ফেরার বিষয় । পণ্ডিচেরি বারের শহর । অভ্যাস থাকলে বসে যাবেন গ্লাস নিয়ে । শহরের ৫০% মানুষ বাঙালি । হাওড়া থেকে ট্রেন ছাড়ে , চেন্নাই যায় । তামিলনাড়ুর শুরুতেই কোটি তাল গাছের সারি মুগ্ধ করবে আপনাকে । একদিন ভুবনেশ্বরে সূর্য মন্দির দেখে নিতে পারেন , অপূর্ব ।
১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাহ গুরু ! আপনিতো একজন দক্ষ টুরিস্ট গাইডের মতো
অরোভিল ভ্রমনের বিস্তারিত খুটিনাটি জানিয়ে দিলেন যা
ভ্রমণকারীদের জন্য দারুনভাবে কাজে দিবে।
এককালে সবই অভ্যাস ছিলো তবে এখন
পানি ছাড়া আর কিছু পান করিনা !!
৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৯
কামাল১৮ বলেছেন: আপনি কেন গিয়েছিলেন?
১৮ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যে কারনে মানুষ যায় !!
৯| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:৩২
আমিই সাইফুল বলেছেন: আমার যেদিন অনেক টাকা হবে আমি এখানে চলে যাবো। অনেকদিন আগ থেকেই জানি এর ব্যাপারে।
১৮ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ সাইফুল
আপনার মনোবাসনা পূর্ণ হোক!
১০| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:১৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: যুগে যুগে এইসব মহান মানষ জন্মেছে বলেই পৃথিবীটা এতো সুন্দর।
১৮ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
একদম খাটি কথা বলেছেন্ !
যুগে যুগে এমন মহামানবেরা
আসুক শুদ্ধ করতে ধরণী।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:১১
শাহ আজিজ বলেছেন: অরোভিল মানে অরবিন্দ ভিলেজ । ৯৫ সালে গেছি মাতৃমন্দির অসমাপ্ত অবস্থায় । পৃথিবীর মত গোলাকার আকৃতির বিশাল মন্দিরের ছাদের সাথে লাগোয়া ধ্যান করার কক্ষ আছে । সাপোর্ট বিহীন চিকন সিঁড়ি উঠে গেছে সেখানে । অন্ধকারাচ্ছন্ন রুমে বিশাল আকারের ক্রিস্টাল বল । ছাদের ফুটো থেকে সোলার প্যানেলের আলো ক্রিস্টাল বলকে আলোকিত করেছে । আলোর দিকে তাকিয়ে থাকলে আধ্যাত্মিক ভাব চলে আসে । এখানে অরবিন্দ ট্রাস্টের বর্ষীয়ান সদস্যরা ধ্যান করেন । মীরার স্মৃতি উজ্জ্বল রাখতেই মাতৃ মন্দির নাম রাখা হয় । মীরার বাবা ফরাসি কলোনি পণ্ডিচেরির গভর্নর ছিলেন । তিনি মেয়ের নামে পণ্ডিচেরি ট্রাষ্ট করে যান । শহরের অর্ধেক অরবিন্দ ট্রাস্টের নামে চলে । ২০ টির বেশি বৃহৎ শিল্প আছে ট্রাস্টের নামে । রডের ব্যাবহার ছাড়া বাড়িঘর দেখেছি অনেকটা গ্রিকদের আর্চ স্টাইল স্থাপনা । বাইরের কোন সাহায্য ছাড়া এখানে মানুষ বসবাস করছে । গরুর গোবরকে শুকিয়ে জ্বালানি হিসাবে ব্যাবহার হচ্ছে । এক বা দুমাস কাটানোর জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে তরুন তরুণীরা সেখানে এসেছে । মন্দিরের মাটির সাথে যোগ হয়েছে এক কেজি করে প্রায় ৮৫ টি দেশের মাটি যা ইউনেস্কোর তত্ত্বাবধানে শিশুরা এনেছিল সাথে করে। ২৬ বছর পড়ে কেমন হয়েছে সেই তারকা মণ্ডলীর মত শেপের শহর জানিনা তবে দেখতে যেতে মন চায় আরেকবার । মীরা স্বামী সন্তানদের ছেড়ে পুদুচেরিতে চলে এসেছিলেন অরবিন্দের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য ।