নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
রসুন একটি বহুল প্রচলিত মসলা। এটি মূলত এক ধরণের সবজি। রসুনের নানাবিধ উপকার রয়েছে। তাই এটি ভেষজ ঔষধ তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। ১৫০০ শতকে চীন ও ভারতে রক্ত পাতলা রাখার জন্য এর প্রচলন ছিল। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস একে ব্যবহার করেছিলেন সারভাইকাল ক্যানসারের চিকিৎসায়। আর আধুনিক বিজ্ঞানীরা জানালেন, হৃদরোগ প্রতিরোধে এর ভূমিকার কথা। বলছি, নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ রসুনের কথা। ইউনিভার্সিটি অব কানেক্টিকাট স্কুল অব মেডিসিনের কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ টিমের মতে, কাঁচা রসুন খেলে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, রান্না করা রসুনের থেকেও কাঁচা রসুনের উপকারিতা অনেক বেশি। তাই রসুনের সম্পূর্ণ উপকারিতা পেতে হলে প্রতিদিন এক কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তা হলেই পাওয়া যাবে এর পুষ্টিগুণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা রসুন খেলে আরও কি কি উপকার মিলবেঃ
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ
রসুনের মধ্যে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ সালফার, রক্তচাপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শরীরের সালফারের ঘাটতি দেখা দিলে তবেই রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়েঃ
রসুনে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যা দেহের আনাচকানাচে জমতে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।
হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটেঃ
রসুনে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ রয়েছে। এই উপাদানটি একদিকে যেমন শরীরে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, তেমনি উচ্চ রক্তচাপকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর এ কথা তো সবারই জানা আছে যে এই দুটি জিনিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে তো হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটার আশঙ্কা একেবারেই থাকে না।
জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমেঃ
ওয়েদার চেঞ্জের সময় যারা সর্দি-কাশিতে খুব ভুগে থাকেন। তারা আজ থেকেই দুই কোয়া রসুন অথবা গার্লিক টি খাওয়া শুরু করুন। তাহলেই দেখবেন আর কোনও দিন এমন ধরনের শারীরিক সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে না। কারণ রসুন শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে খুব শক্তিশালী বানিয়ে দেয়। ফলে ভাইরাসদের আক্রমণে শরীরের কাহিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে।
সংক্রমণ সব দূরে থাকেঃ
রসুনে থাকা একাধিক কার্যকর উপাদান ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাসসহ একাধিক জীবাণুর সংক্রমণ আটকাতে যে কোনও আধুনিক মেডিসিনের থেকে তাড়াতাড়ি কাজে আসে। প্রতিদিন ১-২ কোয়া রসুন খেলে এমন ধরনের সব রোগের খপ্পরে পরার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না।
ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে : শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান বা টক্সিনের কারণে ত্বকের যাতে কোনও ধরনের ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে রসুন। সে সঙ্গে কোলাজিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখার মধ্যে দিয়ে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
রক্ত বিষমুক্ত হয়ঃ
প্রতিদিন এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে দুটি রসুনের কোয়া খেলে রক্তে থাকা নানা বিষাক্ত উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে ত্বক এবং শরীর উভয়ই চাঙা হয়ে ওঠে।
হাড়ের গঠন শক্ত হয়ঃ
নিয়মিত রসুন খাওয়া শুরু করলে দেহের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি প্রপাটিজের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে একদিকে যেমন নানাবিধ যন্ত্রণা কমে, তেমনি হাড়ের ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
রসুনের উপকারিতার পাশাপাশি রসুনের কিছু অপকারিতাও আছে। তাই শুধু উপকারিতা নয়, রসুনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও সকলের অবশ্যই জানা উচিত।
যকৃতে বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারেঃ রক্ত পরিশোধন, চর্বি ও প্রোটিন বিপাক, শরীর থেকে অ্যামোনিয়া অপসারণ ইত্যাদি হল যকৃতের অন্যতম কাজ। গবেষণা বলে, রসুনে থাকা ‘অ্যালিসিন’ উপাদান যকৃতে বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে যদি মাত্রাতিরিক্ত রসুন খাওয়া হয়।
ডায়রিয়াঃ খালি পেটে রসুন খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। কারণ রসুনে আছে সালফার যা পেটে গ্যাস তৈরি করে এবং ডায়রিয়া হওয়ার পেছনে এর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকে।
বমি ও বুক জ্বালাপোড়াঃ যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, খালি পেটে তাজা রসুন সেবন করলে বুক জ্বালাপোড়া, বমিভাব ও বমি হতে পারে। হার্ভার্ড মেডিকাল স্কুলের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, রসুনের এমন কিছু উপাদান আছে যা জিইআরডি বা গ্যাস্ট্রোয়েসোফাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ হওয়ার কারণ।
দুর্গন্ধঃ রসুন বেশি খেলে মুখে দুর্গন্ধ হয়। এর প্রধান কারণ রসুনে থাকা সালফার।
রক্তপাত বাড়ায়ঃ রক্তের ঘনত্ব কমানোর প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে খ্যাতি আছে রসুনের। তাই যারা ‘ওয়ারফারিন’ ‘অ্যাসপিরিন’ ইত্যাদি ‘ব্লাড থিনার’ ধরনের ওষুধ সেবন করেন তাদের অতিরিক্ত রসুন খাওয়া উচিত হবে না। কারণ এতে রক্ত অতিরিক্ত পাতলা হয়ে আভ্যন্তরীন রক্তপাত শুরু হতে পারে।
গর্ভবতী নারীর জন্য রসুন নয়ঃ গর্ভবতী নারীদের রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এতে ‘লেইবার পেইন’ বা প্রসব বেদনা বেড়ে যেতে পারে। শিশুকে মাতৃ দুগ্ধ খাওয়াচ্ছেন এমন মায়েদেরও রসুন থেকে দূরে থাকতে হবে কারণ তা দুধের স্বাদ পাল্টে দেয়।
মাথা ঘোরাঃ রসুন বেশি খাওয়ার কারণে রক্তচাপ কমে যেতে পারে, ফলে দেখা দিতে পারে নিম্ন রক্তচাপের বিভিন্ন উপসর্গ।
ঘাম বাড়ায়ঃ একাধিক ক্লিনিক্যাল স্টাডিতে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রসুন সেবন করলে ঘাম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নারী যৌনাঙ্গের প্রদাহঃ নারী যৌনাঙ্গে ‘ইস্ট’জনীত প্রদাহের চিকিৎসা চলাকালে রসুন থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ রসুন নারী যৌনাঙ্গের সংবেদনশীল টিস্যুতে অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
দৃষ্টিশক্তির সমস্যাঃ অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার কারণে ‘হাইফিমা’ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ ‘আইরিস’ ও ‘কর্নিয়া’র মাঝে রক্তক্ষরণ ঘটাতে পারে। ফলাফল হারাতে পারে দৃষ্টিশক্তি।
সূত্রঃ উইকিপিডিয়া
সম্পাদনাঃ নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]
২৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:১৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাধা যে পানি ঘোলা করে খায়
তা প্রমানের জন্যও কি
কোরআন হাদিসের
দারস্থ হতে
হবে?
২| ২৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৪২
সাসুম বলেছেন: The Messenger of Allaah (sallAllaahu alayhi wa sallam) said: He who eats garlic or onion should remain away from us or from our mosque and stay in his house
রসুন এর মত খারাপ খাবার আমাদের সবার ত্যাগ করা উচিত। সহীহ মোসলমান হতে হলে- আমাদের কে সহীহ পথে চলতে হবে।
রসুন সংক্রান্ত হাদিস
২৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পেয়াজ রসুন খেয়েই কেন মসজিদে ঢুকতে হবে?
নামাজের সময় পেয়াজ রসুন আপনাকে কে খেতে বেলে?
বিড়ি-সিগারেট, গুল-জর্দা, তামাক ও মাদকজাতদ্রব্য খেয়ে
মসজিদে প্রবেশ করা মাকরুহ। তার কি কোন প্রতিকার আছে?
৩| ২৯ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২০
সাসুম বলেছেন: একদম ফকফকা ইংরাজিতে ক্লিয়ারলি লিখা আছে-
যারা পিয়াজ, রসুন খায় - তারা আমাদের থেকে বা মসজিদ থেকে দূরে থাকে এবং বাসায় অবস্থান করে।
এর পরেও কি রসুন কে আমরা হালাল হিসেবে ধরে নিতে পারি? তাইলে তো মদ ও হালাল, সিগারেট ও হালাল, গুল-জর্দা ও হালাল।
মানলে পুরাপুরি মানেন নাইলে নিজের মত করে ধর্ম কে ইউজ করা বাদ দিন।
২৯ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৪০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধবধবে কোরআনের বাংলা তরজমায় বলা হয়েছে
"হে মুমিনগণ, তোমরা নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা
যখন তোমরা নেশাগ্রস্থ থাকো।" সূরাঃ (৪) আন-নিসা
তার অর্খ তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাজের ধারে-কাছেও যেও না,
নেশা কেটে যাবার পরেও কি নামায আদায় করা যাবেনা? যদিও মদ্যপান হারাম।
তাই নেশা না করাই উত্তম। তবে তওবা করলে নামায পড়া যাবেনা কেন?
কোন কথার কি মানে তা বোঝার চেষ্টা করুন।
প্রবাদ আছে গাধা পিটিয়ে মানুষ করতেন এক শিক্ষক !! কথাটাকি আপনি
সত্যি ধরে নিয়ে গাধা পিটাতে শুরু করবেন?
নিজের মতো কোরআনের ব্যাখ্যা করে মানুষকে গোমরাহ করবেন না।
৪| ৩০ শে জুন, ২০২১ ভোর ৬:০৮
সাসুম বলেছেন: রসুন খেয়ে মসজিদে যেতে না করেছে, খেয়ে উনার কাছে আসতে না করেছে, এবং যারা রসুন খায় তাদের কে বাসায় থাকতে বলেছেন এর পরেও যদি রসুন খাওয়ার পক্ষে যুক্তি দেন তাহলে সেটা আপনার গাধা আর পিটিয়ে মানুষ করার মতই।
এখন, কোরানে বলা আছে- তোমরা মদ খেয়ে নামাজের ধারে কাছেও যেও না যখন নেশাগ্রস্থ থাকো। এখন আপনি বলছেন- মদ খাওয়া যাবে, তবে নামাজ পড়তে হলে মদ খেয়ে নেশা কাটীয়ে তারপর যেতে হবে মসজিদে? বা মদ খেয়ে তওবা করে তারপর নামাজ পড়তে হবে?
তার মানে মদ খাওয়া জায়েজ??? রসুন এর মতই? যে জিনিষ খেয়ে মসজিদে যেতে বারন সেটা খাওয়া ও তো বারন হবার কথা!
এত অল্প বুদ্ধি নিয়ে ধর্ম বিশ্লেষণ করা যাবে?
৩০ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রসুন খাওয়া কি তা হলে হারাম ?
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:৫৮
কামাল১৮ বলেছেন: রসুনের উপকারিতার কথা কোরান হাদিসেও আছে।আপনি কিছু অপকারিতার কথাও লিখেছেন।এই কথাগুলো কি কোরান হাদিসেও আছে?