নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
আজ ২৬ জুন, আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস। সারা বিশ্বে মানুষ যাতে নির্যাতনের শিকার না হয় তার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবসে আলাপ আলোচনা হয় এ দিবসে। জাতিসংঘ ঘোষিত দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবসটি উৎসর্গ করেছে বিশ্বব্যাপী যারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তাদের উদ্দেশে। নির্যাতিতদের পুনর্বাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক পরিষদের সদর দফতরটি ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহাগেন এ অবস্থিত৷ এখানে ২৭ জন এবং ব্রাসেলস শহরে দুইজন কর্মী কাজ করেন নির্যাতিতদের জন্য৷ এরা শলাপরামর্শ দিয়ে, দান এবং অর্থ সংগ্রহ করে গোটা বিশ্বে নির্যাতিতদের পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে তুলতে সাহায্য করে থাকেন৷ বেশির ভাগ শিল্পোন্নত দেশই নির্যাতিতদের জন্য গঠিত পুনর্বাসন কেন্দ্রে সরাসরি সাহায্য দিয়ে থাকে ৷ কিন্তু তবুও এটা যথেষ্ট নয়৷ বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও নির্যাতিতদের অনুকুল নয়৷ তাই হাসপাতালের ডাক্তাররা তাদের স্বাভাবিক কাজের বাইরে ঐচ্ছিকভাবে এবং কোন ফি না নিয়ে নির্যাতিতদের চিকিত্ সা করে থাকেন৷ কিন্তু এ কাজে তাদের প্রয়োজন অর্থ আর এই অর্থের বিরাট যোগানদাতা হল ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং নির্যাতিতদের জন্য গঠিত জাতিসংঘের সেচ্ছা তহবিল৷ যেসব দেশে নির্যাতন চালানো হয় সেসব দেশে সাহায্য যোগাতে এই দুটি সংস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের পুনর্বাসেনের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক পরিষদ বলছে, যারা নির্যাতনের শিকার তাদের সাহায্য করা গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে শুধু তারা নয় তাদের পরিবার এবং সমাজের অনেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। দিবসটি উপলক্ষে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। তবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এসব কর্মসূচি এবারও ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দিনটি উপলক্ষে এক বিবৃতিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা তথ্য তুলে ধরেছে। তাদের দাবি দেশে গত বছরের (২০১৯) জানুয়ারি মাস থেকে এ বছরের ২৫ জুন পর্যন্ত বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ৫৩৫ জন। বিবৃতিতে বলা হয়, সংঘটিত বিচার বর্হিভূত হত্যার মধ্যে কথিত বন্দুক যুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে ৪৮১ জনের, শারীরিক নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের এবং অন্যান্য (গুলি, অসুস্থ ও গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার) ৩১ জনের। এর মধ্যে গত সাড়ে পাঁচ মাসেই ১১ জন নির্যাতনের ফলে নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে। এইচআরএফবির সমন্বয়ক তামান্না হকের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী সনদ অনুমোদন করে । আর এর ১৫ বছর পর ২০১৩ সালে এ সনদের আলোকে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিবারণ আইন গ্রহণ করে। হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু বন্ধ করা এবং ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য এ আইন প্রণয়ন করা হলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাত বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত এ আইনের অধীনে কোনো মামলার সুরাহা হয়নি। হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতনের অসংখ্য অভিযোগের বিপরীতে মামলা হয়েছে গুটি কয়েক (১৭টি)। অধিকাংশ সময় ভুক্তভোগী বা তার পরিবার নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে মামলা করার সাহস পান না। যারা সাহস করে মামলা করেছেন তারা নানা পর্যায়ে হয়রানি ও হুমকি শিকার হচ্ছেন। ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথে নানা প্রতিকূলতার শিকার হচ্ছেন।
নির্যাতিতদের পুনর্বাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক পরিষদের সদর দপ্তর ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অবস্থিত। নির্যাতিতদের পুনর্বাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক পরিষদ তার কোপেনহাগেন দফতরে সারা বিশ্ব থেকে সংগ্রহ করা হয় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও তথ্য৷ এগুলোর মূল্যায়ন করা হয় সেখানে। পরেএসব বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা নেওয়া হয়৷এদিকে, গত ২২শে জুন জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী কনভেনশনের একটি অতিরিক্ত প্রোটোকল কার্যে পরিণত হল৷ এটি দুই হাজার দুই সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে পাশ হয়েছিল৷ এতে আগে থেকে না জানিয়েই কারাগার ও পুলিশী পাহারা কেন্দ্র পরিদর্শনের কথা বলা হয়েছে৷ এগুলো পরিদর্শন করবে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কমিটি। এইচআরএফবি মনে করে, বিদ্যমান দায়হীনতা ও বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি রোধে সরকারের পক্ষ থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সংবিধান ও মানবাধিকারের মানদণ্ড এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশ দেওয়াটা জরুরি। নয়তো কিছু সদস্যের অপরাধ প্রবণতা ও স্বেচ্ছাচারিতা রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ক্রমান্বয়ে জনগণ থেকে দূরে সরিয়ে নেবে। আর এটি রাষ্ট্রের জন্য মোটেও মঙ্গলজনক হবে না। । সূত্রঃ উইকিপিডিয়া
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]
২৮ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:১১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইসলাম মানবতার ধর্ম।
ইসলাম কোন মানবাধিকার
লঙ্ঘনকে সমর্থন করেনা।
যারা নিজেদের স্বার্থে
ইসলামকে ঢাল হিসেবে
ব্যবহার করে তারা মূর্খ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:২৫
কামাল১৮ বলেছেন: সবথেকে বেশি মানবাধিকার লংঙ্ঘিত হয় সৌদি আরবে ।আমদের হাজার হাজার নারীকে তারা নির্যাতন করে,যেটাকে তারা মানবাধিকার লংঙ্ঘনই মনে করে না।হারা ইসলামের দোহাই দিয়ে বলে এটা তাদের ধর্মীয় অধিকার।