নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
যোগ হল প্রাচীন ভারতে উদ্ভূত এক বিশেষ ধরনের শারীরিক ও মানসিক ব্যায়াম এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলন প্রথা। এর উদ্দেশ্য মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাবিধান। এই প্রথা ভারতে আজও প্রচলিত আছে। সমসাময়িক যুগে যোগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে, আন্তর্জাতিক যোগা দিবস হিসেবে প্রতি বছর ২১ শে জুন বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। তবে প্রথম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসটি ১৫ ই জুন, ২০১৫ বিশ্বব্যাপী পালিত হয়েছিল। যোগ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত থেকে । যার অর্থ হল যোগ দেওয়া বা একত্রিত হওয়া। যোগ-ব্যায়াম হল দেহ এবং চেতনার মিলন। প্রতিদিনের জীবনে ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন বজায় রাখতে সাহায্য করে। যোগের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শরীর-মন, চিন্তা-কর্মের এক আত্মিক যোগ। শুধু ব্যায়ামই নয়, নিজসত্ত্বা ও প্রকৃতির অনভূতি এক অনন্য আবিষ্কারের দীর্ঘপথ তৈরির করার যোগও বটে। জাতিসংঘ ২০১১ সালে ৬৯ তম সাধারণ সভায় ২১ জুন বিশ্ব যোগ দিবস পালন করার জন্য একটি প্রস্তাব পাশ করে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ভাষণ দেওয়ার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২১ জুন তারিখটিকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস বলে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন। সেই বছরই ১১ ডিসেম্বর জাতি সংঘে র সাধারণ পরিষদ ২১ জুন তারিখটিকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস বলে ঘোষণা করেন। এছাড়া ২১ শে জুন এই দিনটি পালন করার একটি বিশেষ কারণ হ’ল এই তারিখটিতে উত্তর গোলার্ধের দীর্ঘতম দিন হিসেবেও পালন করা হয়। তাই এই বিশেষ দিনের তাত্পর্য রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করে আসছে। ২০১৮ সালে প্রায় ৮ হাজার লোক বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অংশ নেন। ২০১৯ সালেও ব্যাপক আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে দিবসটি ভার্চ্যুয়ালি পালন করছে ভারতীয় হাইকমিশন। আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এছাড়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন। করোনা ভাইরাসের কারণে যোগ দিবস উপলক্ষে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছে। ফিটনেস আইকন নুসরাত ফারিয়া ও জাহানারা আলম হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে একটি সমন্বিত যোগ অধিবেশনে অংশ নিয়েছেন। যোগ দিবসে সোমবার ভারতীয় হাইকমিশন একটি অনলাইন সেশন পরিচালনা করবে।
আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থতার জন্য যোগ’। আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য সাড়া বিশ্বের মানুষের সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতার প্রতি উদ্বেগকেই প্রতিফলিত করে। এটি এমন একটি উদ্যোগ যা মানুষের শারীরিক সক্ষমতার পাশাপাশি সুস্থতার প্রতিও গুরুত্ব দেয়। বিশ্ব যোগ দিবসে এবারের তিম হল ‘বাড়িতে যোগ এবং পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে যোগাসন করা’। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। পুরো বিশ্ব এখন করোনা মহামারীর সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যস্ত। সেই অসম লড়াইয়ে বিশ্ববাসীকে শরীরচর্চা ও সুস্থ রাখতে এই একটি আশার আলো দেখাতে পারে। এই বছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের মূল লক্ষ্য হল ‘সুস্থতার জন্য যোগ’। করোনা মহামারীর সময় যোগব্যায়ামে মানসিক-সামাজিক যত্নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তা ছাড়া টানা লকডাউনের জেরে কোভিড রোগীদের হতাশা এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যা দেখা গেছে। প্রতিটি ব্যক্তির সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ ব্যায়াম অত্যন্ত কার্যকরী। তা ছাড়া যোগ ব্যায়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার মানসিকতা তৈরি করতে বিভিন্ন যোগাসনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সকল ধরনের সাবধানতা সত্ত্বেও একজন মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু একটি শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একে মোকাবিলার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। যোগব্যায়াম আমাদের সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সাহায্য করে, যেমনঃ- শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের ফলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। একই সময়ে, সাড়া বিশ্বেই কোটি কোটি মানুষ মাসের পর মাস ঘরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। এর ফলে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও বেশ প্রভাব পড়েছে। নিয়মিত যোগাভ্যাস তাদের এই প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
সূত্রঃ উইকিমিডিয়া/বাংলা নিউজ২৪ডটকম
সম্পাদনাঃ নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]
২১ শে জুন, ২০২১ রাত ১:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি বিশ্বাস না করলেও
অনেকেই বিশ্বাস করে এবং
খুব একাগ্রতার সাথে এই
যোগ ব্যায়াম করে থাকেন।
২| ২১ শে জুন, ২০২১ রাত ১:২৭
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: যোগ ব্যায়াম অনেক কার্যকরী।
লেগে থাকতে হয়।লেগে থাকলে এর সুফল নিশ্চিত।
২১ শে জুন, ২০২১ রাত ১:৪৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
একাগ্র্তা নিয়ে যে কোন কাজ করলে
তার সফলতা আসবেই। আপনাকে
ধন্যবাদ।
৩| ২১ শে জুন, ২০২১ রাত ৩:২২
জগতারন বলেছেন:
গরুর চোনা খাওয়া, চা বেচা, মূর্খ মাউরা, মোদী আজকে এই দিবসকে অনুমোদন দিল দেখালাম।
তাই এই দিবস সমন্ধে জানতে অনাগ্রহী।
২১ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:৪৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জগতারন দাদা
যতই গোস্যা করেন, যতই তাকে মূর্খ বলেন
সে যদি গরুর চোনা পান করেও তার পরেও
সে আর চা বেচবে না। আর আপনি এই দিবস
সম্পর্কে না জানতে চাইলেও তার কিছু আসবে
যাবেনা।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:২৬
হাবিব বলেছেন: যোগ ব্যায়াম করতে কোন লাভ হয় বলে আমার বিশ্বাস হয় না