নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
২০১৮ সালের আজকের দিনে (২৬ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধি দেয় পশ্চিমবঙ্গের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে এবং গণতন্ত্র, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকা রাখায় তার স্বীকৃতি হিসেবে শেখ হাসিনাকে এ উপাধি দেয়া হয়। ভারতের আসানসোলে অবস্থিত বিশ্বব্যিালয়টির তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে সম্মানসূচক এই উপাধি তুলে দেন রাজটির শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য অধ্যাপকরা। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন নি রাজ্যটির রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। আয়োজনটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় সমাবর্তন উৎসব। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণপদক পাওয়া ২০ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ডিলিট উপাধিতে ভূষিত হয়ে শেখ হাসিনা বলেন ‘বাংলাদেশের জাতীয় কবি ১১৯ তম জন্মবার্ষীকির দিনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, আমি অত্যন্ত গর্বিত। আমাকে যখন দাওয়াত দেওয়া হল আমি তখন রাজি হলাম-একটি মাত্র নামের জন্য সেটি হল কাজী নজরুল ইসলাম। তার নামে একটি সম্মানসূচন ডিগ্রি পাওয়া আমার কাছে বড় পাওয়া। এটা বাংলাদেশর জনগণের কাছেও বিরাট সম্মানের। তিনি শুধুই বাংলাদেশের জাতীয় কবিই নন, দুই বাংলার মানুষের হৃদয়ে, চেতনায় তিনি আছেন। কাজেই এই সম্মান শুধু আমার নয়, সকল বাঙালির। এই সম্মান বাংলাদেশের ও সমস্ত বাঙালিকে আমি উৎসর্গ করলাম’।
ওই দিন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি বলেন ‘আজকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধে দিয়ে কাজী নজরুল জয়ন্তী পালন করা হচ্ছে। আর সেই দিনেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এই সম্মানসূচক উপাধি দেওয়া হল-এটা এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য রবীন্দ্র-নজরুলের অবদানের কথা উল্লেখ করে পার্থ চ্যাটার্জি বলেন ‘আমরা মনে করি আজকের দিনে সমাজ যখন নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করতে চাইছে, উস্কানিমূলক আচরণের মধ্যে দিয়ে তাদের রক্তকে বিভেদ করার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, সেখানে এই দুইজন মানুষ শক্ত হযে দাঁড়িয়ে সেই সমাজকে তার লেখা ও কাজের মধ্যে দিয়ে জাগিয়ে তুলেছেন’। শেখ হাসিনা ২১ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির আমলে নজরুল জন্মশতবর্ষ উৎসবে যোগ দিতে বর্ধমানের আসানসোলের চুরুলিয়ায় গিয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালের ২৮ জানুয়ারি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শেখ হাসিনাকে তাদের সর্বোচ্চ সম্মান ‘দেশিকোত্তম’ প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডি-লিট প্রদান অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা, বাংলাদেশের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, গওহর রিজভী, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীসহ বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক অঙ্গনের কয়েকজনসহ প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ৮০ জনের প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধি পাওয়া বাংলাদেশর জনগণের কাছেও বিরাট সম্মানের। তাই দিনটি বাংলাদেশর জনগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম ফেসবুক-১ ফেসবুক-২
[email protected]
২৬ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জনগণের জন্যই রাজা, বাদশা,
মন্ত্রি মিনিস্টার। সুতরাং
তাদের পাওয়াই জনগণের পাওয়া
রাজা খেলে ভুলে যাবে তাদর নাওয়া খাওয়া!
২| ২৬ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনাকে দুনিয়ার সব ডিগ্রি দিয়ে দিলেও উনার আর পরিবর্তন হবে না, নতুন কিছু করতে পারবেন না।
২৬ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি হতাশাগ্রস্থ্ নেতিবাচক মানুষ!
কোন ইতিবাচক চিন্তা
আপনার মাথায় আসবেনা!
৩| ২৬ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩০
ইনদোজ বলেছেন: ডি লিট মানে কি? ইহার সাথে সাহিত্যের কোন সম্পর্ক কি আছে? রবীন্দ্রনাথ 'গীতাঞ্জলী' কাব্যের জন্য নোবেল পেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মহোদয়া কি রচনার জন্য ডি লিট অর্জন করেছেন, জানতে পারি?
২৬ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৫০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ডি লিট। মানে ডক্টর অব লেটার্স হল একটি একাডেমিক ডিগ্রি।
এটি একটি উচ্চতর ডিগ্রি, যা বিভিন দেশে ডক্টর অব ফিলোসোফির
চেয়েও সম্মানজনক ও ডক্টর অব সাইয়েন্স এর সমতুল্য হিসেবে ধরা হয়।
মানবিক কার্যে ও সৃজনশীল শিল্পকলা বা মেধায় মৌলিক অবদানের স্বীকৃতি
হিসেবে বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও পণ্ডিত সমাজ এই ডিগ্রি প্রদান করে থাকে।
আশা করি প্রধাণমন্ত্রীর উপর থেকে আপনার ভুল ধারণার লাঘব হবে।
৪| ২৬ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫৩
অপু তানভীর বলেছেন:
খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য । এই দিনটিকে একটা জাতীয় দিবস হিসাবে ঘোষণার দাবী জানাচ্ছি ।
এছাড়া এই তথ্যটি বিসিএসে আসতে পারে !
২৬ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হ্য্যা তানভীর ভাই আপনার দাবী অযৌক্তিক নয়।ভ
যদি একবার এই দাবী উত্থাপন করতে পারেন তখন
আপনার নামও ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হবে!
৫| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: এই ডিগ্রী পেয়ে দেশের জনগনের কি উপকার হয়েছে?
বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমেছে?
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:৫০
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: বাংলাদেশের জনগণ এখন আছে, খাবার আর কর্মের খোজে এসব উপাধি দিয়ে তাদের কিছু যায় আসে না ।