নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
বর্তমান যুগে অবসাদ যুব সম্প্রদায়ের মানসিক অসুস্থতার অন্যতম প্রধান কারণ। এই অবসাদের শুধুমাত্র মানসিক অসুস্থতা নয় কারণ হয়ে উঠছে শারীরিক অসুস্থতারও। এই অবসাদ এক ভয়ঙ্কর পরিণতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, আমাদের দেশের প্রায় ২ কোটি মানুষ মানসিক রোগে আক্রান্ত। দেশের মোট জনসংখ্যার ১৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষই ভুগছেন মানসিক ব্যধিতে। এর মধ্যে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ স্নায়ুবিক পীড়ায়, ৪ দশমিক ৬ শতাংশ গভীর বিষণ্ণতায় এবং ১ দশমিক ১ শতাংশ সরাসরি মনোব্যাধিতে আক্রান্ত। এছাড়া ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ শিশু মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত এবং ৭৫ শতাংশ শিশু চিকিৎসা সেবার বাইরে থাকে। দেশে মানসিক স্বাস্থ্যে মাথাপিছু ব্যয় ২.৪ টাকা হলেও স্বাস্থ্যখাত থেকে এই অসুস্থতার জন্য বাজেট মাত্র ০.৫ শতাংশ। দেশে আত্মহত্যার হার প্রতি একলাখ লোকে ৫.৯ শতাংশ। এদিকে মোট জনসংখ্যার বিপরীতে মাত্র ২৫০ জন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও ৬০ জন ক্লিনিক্যাল মনোবিজ্ঞানী রয়েছেন। এছাড়া শিশু মনোবিজ্ঞানী একেবারে নেই বললেই চলে। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক রয়েছেন ১০ হাজার জন এবং নার্স ১২ হাজার জন। এমন চিকিৎসা-সক্ষমতা দিয়েই এ বিরাট সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। সারা দুনিয়ায় ২৬ কোটি ৪০ লাখ মানুষ অবসাদে ভুগছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ১ জন মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। করোনার জেরে অবসাদ আরও বেশি করে গ্রাস করেছে মানুষকে। লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে ইতিমধ্যে্ই এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এটি মারাত্মক ব্যাধিতে রুপান্তরিত হবে। অবসাদ হল একটি সাধারণ মানসিক ভারসাম্যহীনতা, যা মানুষের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি, ব্যবহার, সম্পর্ক, কর্মক্ষমতাকে আক্রান্ত করে। জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা থেকে জন্ম নিচ্ছে মানসিক অবসাদ। যা কখনও কখনও মানুষকে মৃত্যুর দিকেও ঠেলে দেয়। এ প্রবণতা মহিলাদের, বিশেষ করে বিবাহিতা মহিলাদর মধ্যে বেশি। ওই অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে তারা আত্মহত্যা করছেন।বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৫৬% মহিলা ও ৪০% পুরুষই মানসিক অবসাদের কারণে আত্মহত্যা করেন। দুঃখের ঘটনায় সাময়িকভাবে দুঃখী বা অসুখী হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু কোনও ভাবে যদি এই অনুভূতি অনেকদিন (দুই সপ্তাহের বেশি) ধরে চলতে থাকে অথবা এই ঘটনা খুব ঘন ঘন ঘটে এবং তা যদি স্বাভাবিক জীবন স্বাস্থ্যকে ব্যাহত করে, তখন তাঁকে অবসাদের চিহ্ন রূপে ধরে তাঁর চিকিৎসা করা প্রয়োজন হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ হু অবসাদের একটি সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে। হু’র মতে, “সারা ক্ষণ মনের মধ্যে একটা দুঃখের ভাব, সাধারণত যে সমস্ত কাজ করতে আপনি ভালবাসতেন তাতেও উৎসাহ হারিয়ে ফেলা, রোজের রুটিন মেনে চলার অক্ষমতা— এগুলি যদি দু’সপ্তাহ বা তার বেশি স্থায়ী হয়”, তবে আপনি অবসাদগ্রস্ত। মানসিক অবসাদ একদিনে আসেনা, দিনের পর দিন নানান ঘটনায় কষ্ট পেতে পেতে মানুষের মনে অবসাদ আসে। মানসিক অবসাদ এবং মনখারাপ দুটি ভিন্ন জিনিস। মানসিক অবসাদে ব্যক্তির জীবনের ওপর সবরকম উৎসাহ হারিয়ে যেতে থাকে। কোনো খুশির ঘটনা ব্যক্তিকে খুশি দেয় না। ব্যক্তির নিজের কাছেই নিজের গুরুত্ব কমতে থাকে এবং তা থেকেই বাড়ে আত্মহত্যার প্রবণতা। বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানি ডা. আর. নিয়োগী বলেন, ‘‘মানসিক অবসাদ যে একটা অসুখ, তার যে চিকিত্সা দরকার, সেটা মনে রাখেন না শতকরা নব্বই জন৷'' মানসিক অবসাদের কিছু সাধারণ লক্ষণ আছে যেগুলি দেখে বোঝার চেষ্টা করা যায় যে ব্যক্তির মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছেন কিনা। ব্যক্তিগত সমস্যা ছাড়া আরও কিছু কারণে ব্যক্তি অবসাদের শিকার হতে পারে যেমনঃ ১) জেনেটিক কারণঃ পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের মধ্যে মানসিক অবসাদ থাকলে। ২) বায়োকেমিক্যাল কারণঃ মস্তিস্কে অবস্থিত জৈব রাসায়নিক পদার্থগুলির ইমব্যালেন্সের জন্য।
অবসাদের লক্ষণ সমূহঃ
১। বেশির ভাগ সময় মন খারাপ লাগা ও দুঃখি থাকা।
২। কোন কিছুতেই উৎসাহ না পাওয়া আগে যে কাজে উৎসাহ বোধ করতেন, এখন সেগুলি ভালো না লাগা।
৩। রোজকার কাজ করতে অক্ষম হওয়া, সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়া।
৪। মনঃসংযোগ ও চিন্তা-ভাবনা করার বা সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা।
৫। আত্মসম্মান ও আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি।
৬। নিজের জীবন ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব।
৭। বেশী খাওয়া বা একেবারেই খাবার না খাওয়া।
৮। সব কিছুতেই নিজেকে দোষী এবং অতীতের অসফলতার জন্য অন্যকে দায়ী এবং নিজেকে অযোগ্য মনে করা।
৯। প্রায়ই কাজ থেকে ছুটি নেওয়া বা কাজ করতে না পারা।
১০। ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে নিরাশ হয়ে যাওয়া।
১১। অনিয়মিত ঘুম বা ঘুমাতে না পারা।
১২। যৌন-জীবনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলা।
১৩। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা অনুভব করা, যেমন মাথা ব্যথা, ঘাড়ে যন্ত্রণা বা খিঁচ ধরা।
১৪। নিজেকে আঘাত করা বা আত্মহত্যা বা মৃত্যুর চিন্তা করা। ইত্যািদি
যদি আপনি উপরের কোনও উপসর্গ চেনা মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করেন, আপনি তাঁকে মানসিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেবার কথা বলতে পারেন। এটা গুরুত্বপূর্ণ এই কারণেই যে এই উপসর্গগুলি দেখা গেলেই মানসিক স্বাস্থ্যের ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে সঠিক রোগ নির্ণয় ও উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি স্থির করতে সাহায্য করে। কারণ অবসাদ কোন দুর্বলতা বা মানসিক অস্থিরতার চিহ্ন নয়; এটা ডায়াবিটিস বা হার্টের রোগের মতই এক অসুস্থতা, যা যে কোন মানুষকে জীবনের যে কোনও সময় আক্রমণ করতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা দ্বারা অবসাদ সম্পূর্ণ সেরে যায়।
অনেকগুলো উপসর্গের যুগ্ম প্রয়াসই হল অবসাদের কারণ। যার মধ্যে আছে জিনগত সমস্যা, জীবনের কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা দুশ্চিন্তা।
১। মানসিক বিকারঃ অনেক ক্ষেত্রে, নির্ণয় না হওয়া মানসিক ভারসাম্যহীনতা, যেমন অবসেসিভ কমপালসিভ ডিস্অর্ডার, সোশ্যাল ফোবিয়া ও স্কিৎজোফ্রেনিয়া-র রোগের পাশাপাশি অবসাদ বা ডিপ্রেশন প্রকাশ রূপে দেখা দেয়। এই সব ক্ষেত্রে মানসিক চিকিৎসকের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ খুবই জরুরি।
২। জীবনের চাপ বা দুশ্চিন্তাঃ একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সাধারণ দুশ্চিন্তাগুলি কাজ সম্পর্কিত বা পরিবার অথবা বিবাহিত জীবন সম্বন্ধে বা অন্যান্য বিষয়েও হতে পারে।
৩। শারীরিক স্বাস্থ্যের সমস্যাঃ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও থাইরয়েডের সমস্যা থেকেও অনেক সময় অবসাদ হয়ে থাকে। সেই কারণে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসকের সাথে আলোচনার সাথে সাথে অনিয়ন্ত্রিত রোগগুলির কারণ অনুসন্ধান করাও দরকার। হার্টের রোগ, এইচ আই ভি বা ক্যান্সার-এর মত দুরারোগ্য রোগের সাথে লড়াই করতে করতে মানুষ অবসাদের শিকার হন।
৪। পার্সোনালিটি বা ব্যক্তিত্বঃ ব্যক্তিত্বের সমস্যা অথবা বডি ইমেজ, অর্থাৎ অতিরিক্ত মোটা বা রোগা হওয়া, খুব বেঁটে বা লম্বা হওয়া নিয়ে সমস্যা, কম আত্মবিশ্বাস, সব কাজেই অসন্তোষ, স্কুল-কলেজ বা কর্মক্ষেত্রে চাপের সমস্যা – এই সবের মিলিত কারণেও অবসাদ হতে পারে বলে গবেষণায় জানা গেছে। বিশেষ ধরনের ব্যক্তিত্বের মধ্যে (উদ্বেগপ্রবণ, অল্পকিছুকে বড় মনে করা) এই রোগ বেশী হয়।
৫। মদ বা মাদকে আসক্তিঃ বেশীমাত্রায় অ্যালকোহল গ্রহণ অবসাদের কারণ। ড্রাগস বা অন্যান্য ক্ষতিকারক জিনিসের প্রতি আসক্তি মানুষকে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব থেকে আলাদা করে দেয়। অনেকদিন ধরে এই সবের সেবন মানুষকে অবসাদের দিকে ঠেলে দেয়। নানা মানসিক কারণে বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে এই অবসাদ দেখা যায়।
অবসাদ নিয়ে বেশ কয়েকটি উদ্বেগজনক পরিসংখ্যানও দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার কয়েকটি হলোঃ
ক) বিশ্ব জুড়ে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিরা যে অসুখে সবচেয়ে বেশি ভোগে, সেই তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে অবসাদ।
খ) ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সিরা সারা বিশ্ব জুড়ে যে অসুখে সবচেয়ে বেশি ভোগে, সেই তালিকায় ১৫ নম্বরে রয়েছে অবসাদ।
গ) বিশ্বে অর্ধেকেরও বেশি মানসিক অসুখের সূত্রপাত ১৪ বছর বয়সে। অথচ, বেশিরভাগই নির্ণয় করা যায় না বা নির্ণয় করা গেলেও তার চিকিৎসা শুরু হয় না।
ঘ) সারা বিশ্বে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সিদের মৃত্যুর তৃতীয় বড় কারণ হল আত্মহত্যা।
ঙ) ভারতে পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে বেশী মাত্রাতে অবসাদের ঘটনা লক্ষ্য করা যায়।
চ) আশঙ্কার কথা অবসাদ,২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম মানসিক রোগের আকার ধারণ করবে। কারণ ড্রিপেশন বা বিষণ্ণতাকে অনেকেই তেমন কোনো গুরুত্ব দেন না৷ ডিপ্রেশন সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা থাকার কারণেই এমনটা ভাবেন তাঁরা৷
মানসিক অবসাদ দূর করতে কিছু টিপসঃ
১। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। স্ট্রেস কমানোর অব্যর্থ দাওয়াই যোগ ব্যায়াম।
২। সুষম খাবার। জাঙ্ক ফুড বা ভাজাভুজি জাতীয় খাবার ছেড়ে ডায়েটে সুষম খাবার রাখুন।
৩। ঘুম শরীর ও মনকে সতেজ রাখে। অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
৪। পছন্দের কাজগুলো করুন: গতানুগতিক কাজের বাইরে যে কাজ করতে মন চায় সেটা করুন।
৫। নেতিবাচক চিন্তা এড়িয়ে চলুন। মনে খারাপ চিন্তা এলে ভাল কিছু ভাবুন।
৬। নিজের জন্য সময় বার করুন। আধঘণ্টার জন্য হলেও নিজেকে নিয়ে একটু ব্যস্ত থাকুন।
৭। স্ট্রেস এড়িয়ে চলুন। টেনশন থেকে যত সম্ভব দূরে থাকুন।
৮। এক্সপেক্টেশন করা ছেড়ে দিন। কারোর কাছ থেকে কিছু আশা করবেন না।
জীবনে অনেক মুহূর্ত আসে যখন মানুষের সামনে অনেক সমস্যা থাকলেও তার সমাধান পাওয়া যায়না। মনে রাখবেন আপনি নিজেই আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারেন। সময় সব সমস্যাকে কাটিয়ে দেয়। খারাপ সময়ে হেরে গেলে চলবে না। নিজেকে ভালো রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করুন। যার সাথে যে পরিস্থিতিতে আপনি একটু ভালো থাকবেন সেই চেষ্টা করুন। নিজের কাছের মানুষদের সাথে আলোচনা করুন।প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের মতামত নিন। মনে রাখতে হবে জগতটা শুধু নিজেকে নিয়ে নয়৷ নিজের দুঃখ, কষ্ট, কঠিন সমস্যার গণ্ডির বাইরেও আছে এক বৃহত্তর পৃথিবী৷ অন্যরাও সেখানে পুরোপুরি সুখি নয়৷ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ, সম্ভব হলে তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে নিজের মনও শান্ত হতে পারে৷ অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নিজের জগত দেখলে নতুন উপলব্ধি জাগতে পারে৷তাই অবসাদে আত্মহত্যা নয়, বেঁচে থাকাই সঠিক সিদ্ধান্ত।
সূত্রঃ NYC Health
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম ফেসবুক-১ ফেসবুক-২
[email protected]
২৪ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
টাইপিং মিস্টেক!
সংশোধন করা হয়েছে।
আপনাকে ধন্যবাদ!
২| ২৪ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: জনাব এটা কি আপনার পুরোনো লেখা? রিপোষ্ট করেছেন?
২৪ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জ্বি না জনাব,
রিপোস্ট হলে তা
উর্ল্লেখ থাকতো লেখায়।
৩| ২৪ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:২৭
শায়মা বলেছেন: কি যে বলো ভাইয়া!!!!
করোনায় তো কখন মরে যাই কখন মরে যাই চিন্তা থেকে আমি দশগুন আনন্দে থাকার চেষ্টা করতে করতে ২০ গুন অবসাদ বিষন্নতার উল্টা দিকে চলে গেছি।
২৪ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এটা খুবই ভালো সংবাদ যদিও
আপুরা সবসময়ই স্রোতের বিপরীতে থাকে!
৪| ২৪ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গত পঞ্চাশ বা একশো বছরে সারা বিশ্বে মানুষের আয় রোজগার তো বহুগুণ বেড়েছে, বিজ্ঞান ও প্রজুক্তির কল্যাণে দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজ করা সহজ হয়েছে, বিভিন্ন রোগে মৃত্যু ও যন্ত্রণা কমেছে, বিনোদন ও ভোগ বিলাসের নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে তারপরও অবসাদ এতো বৃদ্ধির কি কারণ আছে? কিছু কারণ আপনি উল্লেখ করেছেন কিন্তু এতো উন্নতির পরেও এতো কারণ থাকে কেন?
২৪ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সাড়ে চুয়াত্তর ভা্ই,
বর্তমানে প্রত্যেকের জীবনে ডিপ্রেশন বা মানসিক
অবসাদ খুব সাধারণ বিষয়। কর্ম জীবনে কাজের চাপ
তার সঙ্গে রয়েছে পারিবারিক আরও নানান সমস্যাও।
বাড়ি অফিস ছাড়াও থাকে পারিপার্শ্বিক আরও নানান সমস্যা।
আর ক্রমাগত এই সমস্যা কাটিয়ে উঠার তাগিদে বা বার বার
সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার ফলে ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদে
ভুগে থাকেন অনেকেই।
মানুষ যতই জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত হচ্ছে ততই তার চাহিদা বাড়ছে
আরো নতুন কিছু পাবার। কথায় আছে যত পাই তত চাই।
কিন্তু সব চাওয়া পূরণ করা কি সম্ভব ? আর এই না পাওয়ার
কারনেই অবসাদে ভোগে মানুষ।
৫| ২৪ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি শিবির লালন পালনে অনেক যত্নবান, দেখছি।
২৪ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব, খানসাব,
সায়মা, সাড়েচুয়াত্তর
এরা কি সবই শিবির !!
৬| ২৪ শে মে, ২০২১ রাত ৮:১৬
জটিল ভাই বলেছেন:
পশ্চিমা বিশ্বেতো মনে হয় কবেই লেগে গেছে! এখন সেখান হতে ধেয়ে আসছে মনে হচ্ছে......
২৪ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৪৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সম্ভবত তাই !!
পশ্চিমাদের ভালোটা নিবেন
আর মন্দটা ত্যাগ করবেন তা কি হয়?
গোলাপের ঘ্রাণ নিতে হলে কাটার আঘাতও
খেতে হবে!
৭| ২৪ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৫১
কামাল১৮ বলেছেন: বিষণ্নতা একটি মানসিক রোগ।জীবনের অনিশ্চয়তা এই রোগের একটা প্রধান কারন যেটা আমাদের দেশে প্রবল।
২৫ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৪৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অনিশ্চয়তা বিশ্বের সব দেশেই আছে
আমেরিকানরা কি নিশ্চিত জীবন
যাপন করে?
৮| ২৫ শে মে, ২০২১ রাত ১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: গতকাল মানসিক রোগ নিয়ে তৈরি করা একটা মুভি দেখলাম। ভয়াবহ মুভি। মানসিক রোগ খুবই ডেঞ্জারাস।
শেষমেষ মুভির নায়ক নিজেকে নিজে মেরে ফেলে।
২৫ শে মে, ২০২১ রাত ২:২৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খানসাব খুবই মর্মা্ন্তিক একটা সংবাদ
গতকাল আমার ছেলের এক বন্ধু যে
মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলো সে
মৃত্যুবরণ করেছে। ইন্না লিল্লাহি....
রাজেউন। তার আত্মার মাগফেরাতের
জন্য দোয়া করবেন।
৯| ২৫ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:১৩
তারেক ফাহিম বলেছেন: চুপচাপ থাকা যদি স্বভাব জনীত কারন হয়, তাহলে?
২৬ শে মে, ২০২১ রাত ২:৩৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চুপচাপ থাকা আর এককীত্ব জীবন যাপন
আলাদা ব্যাপার।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৪৬
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: ভালো পোস্ট। শিরোনাম একটু পরিবর্তন করুন; ২০২০ সাল তো চলে গেল।