নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
কত অদ্ভুত কারণ আর বিচিত্রভাবে বিশেষ বিশেষ দিন আনন্দ উদযাপন করে বিশ্বের মানুষ তার ইয়াত্তা নাই। কোনো কোনোদিন শ্রদ্ধাও জানানো হয় অন্যরকমভাবে। সবগুলো দিনই পেয়েছে ‘আন্তর্জাতিক দিবস’-এর মর্যাদা। যেমন ভ্যালেন্টাইন উইকের শুরুতে থাকে রোজ ডে, এরপর যথাক্রমে প্রপোজ ডে, চকলেট ডে, টেডি ডে, প্রমিজ ডে, হাগ ডে, কিস ডে এবং সবশেষ ভ্যালেন্টাইন ডে (১৪ ফেব্রুয়ারী)। ভালোবাসার এসব দিন ব্যতিতও রয়েছে আরো কিছু বিচিত্র বিশ্ব দিবস। চলুন আজ জেনে নিই সেরকম কিছু দিবসের কথাঃ
৭ ফেব্রুয়ারিঃ রোজ ডেঃ
১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে উপেক্ষা করে ৭ ফেব্রুয়ারি 'রোজ ডে' পালিত হয়। এই দিনে পছন্দের মানুষকে ভালোবেসে গোলাপ দেয়। প্রতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি 'রোজ-ডে' পালন করে ভ্যালেন্টাইন-উইকের শুরু। ভালবাসার ভাষা বুঝতে ও বোঝাতে পারে গোলাপ। তাই উপহার হিসেবে গোলাপেরই চাহিদা এখন সবার উপরে। লাল, হলুদ, সাদা, গোলাপি বিভিন্ন রঙের সঙ্গেই বদলে যায় গোলাপের ভাষা, আবেদন। প্রেমিক-প্রেমিকা হোক বা যে কোনও প্রিয়জন, হাতে ধরে গোলাপ উপহার দেওয়ার দিন। ভালোবাসার ফুল গোলাপ।
৮ ফেব্রুয়ারি: প্রপোজ ডেঃ
৮ ফেব্রুয়ারি, ভালোবাসা দিবস সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন। প্রেমপিয়াসীদের কাছে ফেব্রুয়ারি ৮ তারিখ পালন হয় ‘প্রপোজ ডে’ হিসেবে। এই দিনে চাইলে ভালবাসার মানুষটিকে প্রেমের প্রস্তাব কিংবা বিয়ের প্রস্তাবও দিয়ে ফেলতে পারেন।
৯ ফেব্রুয়ারি চকলেট ডেঃ
রোজ ডে, প্রপোজ ডে’র পর এবার আসলো চকলেট ডে। আজ ৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব চকলেট দিবস। এ দিনটি ভ্যালেন্টাইন’স সপ্তাহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। চকলেট যেমন অভিমান ভাঙতে পারে, তেমনই পারে দেয়া-নেয়ার সম্পর্কও আরও মধুর করতে। পশ্চিমা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইদানীং বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরাও দিনটি উদযাপন করছেন। যদিও ঐতিহাসিক ভাবে এ দিনটি পালনের কোনও প্রথার নির্ভরযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি, তবে ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহে 'চকলেট ডে' পালন একটু দুষ্টু-মিষ্টি ভালোবাসার খুনসুটির মতোই।
১০ ফেব্রুয়ারি: টেডি ডেঃ
১০ ফেব্রুয়ারি, টেডি ডে। ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের মধ্যে ১০ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে বেছে নেয়া হয়েছে ‘টেডি ডে’ হিসেবে। এই দিনে প্রিয় জনকে আদুরে উপহার দেওয়ার দিন। মিষ্টি খেলনা দেওয়ার মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়ার দিন, সে আপনার কাছে কতটা প্রিয়। ভালবাসার উপহার হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় টেডি বেয়ার। প্রেমিক-প্রেমিকাকে উপহার দিলে যেমন উষ্ণতা বাড়ে সম্পর্কে, তেমনই উপহার হিসেবে শিশুদেরও দারুণ পছন্দ টেডি বেয়ার।
১১ ফেব্রুয়ারি: প্রমিজ ডেঃ
ভালোবাসায় কোনও শর্ত হয় না। ঠিক....। তবে যে কোনও সম্পর্কে ছোট ছোট প্রতিশ্রুতি এবং বিশ্বাই বদলে দেয় সঙ্গীর সঙ্গে সমীকরণ। তাই ভ্যালেন্টাইন উইকের পঞ্চম দিন অর্থাৎ প্রতি বছর ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় প্রমিস ডে। আজকের দিনে একে অপরকে কথা দেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। ২ জনের বিশ্বাসে, পরস্পর বোঝাপড়াতেই তো গড়ে ওঠে একটা সম্পর্ক। তৈরি হয় ভালোবাসা। আজকের দিনে নিজের প্রিয়জনকে আশ্বাস দিন, ভরসা দিন, কথা দিন পাশে থাকার।
১২ ফেব্রুয়ারি: হাগ ডে বা আলিঙ্গন দিবসঃ
রোজ ডে, প্রপোজ ডে, চকলেট ডে ও প্রমিজ ডে পার করার পরে আসে হাগ ডে (আলিঙ্গন দিবস)। এদিনপ্রিয়জনকে একটি কোমল আলিঙ্গন দেবার দিন, তাকে চিরকালের জন্য যে ভালবাসেন তা জানান তাকে। এই আলিঙ্গন থেকেই ধীরে ধীরে ভালোবাসা স্পর্শ করতে থাকে শরীর। প্রিয় মানুষকে জড়িয়ে ধরার বা আলিঙ্গনের এই ব্যাপারটা কিন্তু খুব সোজা নয়। নিবিড়ে দুজনার আলিঙ্গনের মধ্যে হাজারও না বলা কথা লুকিয়ে থাকে। সাংস্কৃতিক কারণে আমাদের দেশে এই দিবসটি তেমন জনপ্রিয় না হলেও পাশ্চাত্যে এর ভিন্ন তাৎপর্য রয়েছে। চিকিৎসক থেকে মনোবিদ সকলেই বলে থাকেন, যে কোনও অসুখ সারিয়ে তুলতে আলিঙ্গনের প্রয়োজনীয়তা অনেকটা। অবসাদ থেকে একাকিত্ব, মানসিক চাপ থেকে শারীরিক- যে কোনও অসুখে ম্যাজিকের মতো কাজ করে আলিঙ্গন। প্রেমিক বা প্রেমিকারা আলিঙ্গনের পর তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পায়। তবে অবশ্যই তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে নয়।
১৩ ফেব্রুয়ারি: কিস ডে বা চুম্বন দিবসঃ
ভালোবাসার সপ্তাহে ১৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন ডে-এর ঠিক আগের দিনটি কিস ডে (Kiss Day ) বা চুম্বন দিবস।অর্থাৎ চুমু খাওয়ার দিন। মনের যে অনুভূতি মুখের ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, তা খুব সহজেই প্রকাশ করা যায় চুমুর মাধ্যমে। চুমু কি শুধু ভালোবাসার প্রতীক? একেবারেই নয়। স্নেহের প্রতীকও চুমু। পদ্যের লাইনে আমরা যেমন বলি, সূর্য আমাদের কপালে স্নেহচুম্বন এঁকে দেয়। ছোট্ট শিশুর কান্না যেমন আলতো চুম্বনে একবারে চুপ হয়ে যায়। আসলে চুম্বনে মধ্যে থাকে গভীরতা। প্রাচীনকাল থেকে ভালোবাসার গভীরতা চুম্বনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। চুমু হলো ভালোবাসা প্রকাশের সবচেয়ে শক্তিশালী ভাষা। এই দিনে প্রেমিক যুগল চুম্বনের মাধ্যমে একে অপরের প্রতি ভালবাসা ও বিশ্বাসের প্রকাশ ঘটায়।' কিস ডে' সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডে পালন করা হয়। ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে কিস ডের একটি জনপ্রিয় আয়োজন হলো ‘চুম্বন প্রতিযোগিতা’, যেখানে প্রতিযোগীদের দীর্ঘ সময় ধরে চুম্বনে আবদ্ধ থাকতে হয়। সেই জুটিই বিজয়ী হবে, যারা সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চুম্বনে আবদ্ধ ছিল। গত বছর থাইল্যান্ডের এক জুটি টানা ৫৯ ঘণ্টা পেরিয়ে চুম্বনে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়। চুম্বন কাল আলিঙ্গনের দিন। আর তারপর থেকে এই দিনটি কিস ডে বা চুম্বন দিবস হিয়েবে পালন করা হয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি: ভালবাসা দিবসঃ
অবশেষে প্রতীক্ষার পালা শেষ করে চলে আসে এই বিশেষ ভালবাসা দিন ভ্যালেনটাইন ডে! দিনটি প্রতিবছর ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে পালিত হয়ে। রোমান সাধু সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের স্মরণে মুলত দিনটির উৎযাপন শুরু হয়েছে। এটি একটি আনন্দের দিন, ভালবাসা, প্রতিশ্রুতি ও বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার দিন।
এতো গেল ভালোবাসা সপ্তাহের বিভিন্ন দিবসের কথা। এবার আসুন জানি অন্যান্য কিছু মজার দিবসের কথাঃ
‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডেঃ
‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্বামী সমাদরের দিন। স্বামীর শ্রম, সময় এবং কাজকে মূল্যায়ন করার ভাবনা থেকেই উৎপত্তি হয় এই দিনের। স্বামীর কাজের মূল্যায়নের এই দিবস ঠিক কবে কোথায় পালন শুরু হয়েছিল, তা বলা কঠিন। সাধারণত প্রতিবছরের এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার এটি পালিত হয়।
ওয়াইফ অ্যাপ্রিসিয়েশন ডেঃ
‘ওয়াইফ অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ অর্থাৎ স্ত্রী সমাদর দিবস। স্ত্রীর শ্রম, সময় এবং কাজকে মূল্যায়ন করার ভাবনা থেকেই উৎপত্তি হয় এই দিনের। স্ত্রীর কাজের মূল্যায়নের এই দিবস ঠিক কবে কোথায় পালন শুরু হয়েছিল, তা বলা কঠিন। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় শনিবারে পালিত হয় এই দিবস।
বিশ্ব চিন্তা দিবসঃ
বিশ্ব গার্ল গাইডস ও গার্ল স্কাউটস সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা লর্ড বেডেন পাওয়েল ও বিশ্ব চীফ গাইড লেডী ওলেভ বেডেন পাওয়েলের যুগ্ম জন্ম দিবস ২২ ফেব্রুয়ারি। বিশ্বব্যাপী গাইড সদস্যবৃন্দ তাদের জন্ম দিবসকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রতি বছর একটি থিম নিয়ে ‘বিশ্ব চিন্তা দিবস’ উদযাপন করেন।
বিশ্ব ঘুম দিবসঃ
চিন্তা করতে হলে ঘুম আবশ্যক। কারণ নিয়মিত ঘুমে হয় স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। বিশ্ব ঘুম দিবস মূলত ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব স্লিপ মেডিসিনের অর্থায়নে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ইভেন্ট। প্রতিবছর ১৯ মার্চ পালিত হয় ওয়ার্ল্ড স্লিপ ডে বা বিশ্ব ঘুম দিবস। ২০০৮ সালে প্রথমবার এই দিনটি পালন করে ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব স্লিপ মেডিসিন’ এর ওয়ার্ল্ড স্লিপ ডে কমিটি। এই কমিটির মূল উদ্দেশ্য, ঘুমের অভাবে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির বিষয়ে মানুষকে জানানো। চিকিৎসকরা বলেন, ভালো ঘুমের সঙ্গে স্মৃতিশক্তির বেশ নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে। সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিশক্তি লোপ পায়, মানসিক দুর্বলতাও তৈরি হয়। তাই শেষ বয়সে অনেকেরই অনিদ্রা সমস্যা দেখা দেয়। মধ্যবয়সে একজন মানুষ নিয়ম মেনে ঘুমালে তার সুফল বৃদ্ধ বয়সেও পেতে পারেন।
নাথিং ডে মানে ‘কিছু না’ দিবসঃ
১৬ জানুয়ারি পালিত হয় নাথিং ডে, কিছু না দিবস। বছরে অন্তত একটা দিন তো কাটতেই পারে নিতান্ত কর্মহীন, গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বিপুল আলস্যে। আজ আমি কোথাও যাব না, আজ আমার কিচ্ছু করার নেই, এমন করে যাক না একটা দিন। আক্ষরিক অর্থেই সারা দিন কিছু না করার এই অদ্ভুত দিনটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭৩ সালে। দিবসটির প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন আমেরিকান কলাম লেখক হ্যারল্ড কফিন। ভদ্রলোকের ‘নাথিং অর্গানাইজেশন’ নামে রীতিমতো একটি সংগঠন আছে। কিছু না করার এ ধারণা বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এটি। স্বাভাবিকভাবেই সংগঠনটি কিছু করবে তো দূরের কথা, এখন পর্যন্ত একটি মিটিং পর্যন্ত করে উঠতে পারেনি।
বিশ্ব পুরুষ দিবসঃ
নারী দিবসের কথা সকলেই জানে। অনেকে ভাবতে পারে,পুরুষের আবার দিবস কী ? আছে, পুরুষ দিবসও আছে । ১৯ নভেম্বর বিশ্ব পুরুষ দিবস। বিশ্বব্যাপী লিঙ্গভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রধান উপলক্ষ হিসেবে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়।তবে নারী দিবসের মতো সরবে নয়। নিরবেই আসে দিনটি । পুরুষ দিবস পালনের প্রস্তাব প্রথম করা হয় ১৯৯৪ সালে। তবে ইতিহাস বেশ পুরোনো। প্রথমে ঠিক হয়েছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘পুরুষ দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে৷ ৮ মার্চ নারী দিবসের ঠিক আগেই হবে পুরুষ দিবস৷ কিন্তু আগে থেকে এ দিনটি ‘রেড আর্মি ও নেভি ডে’র জন্য নির্ধারণ করা ফেলেছিল রাশিয়া। তাই পরে ১৯ নভেম্বর পুরুষ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এটা বলা যায় যে, প্রতিপক্ষ হিসেবে নয়- নারী দিবসের অনুরূপভাবেই দিবসটি পালিত হয়।
বংশতালিকা দিবসঃ
ব্যবহারে বংশের পরিচয়’ গণপরিবহনে কিংবা হোটেলের দেয়ালে অনেক সময় লেখা থাকতে দেখা যায় এমন কথা। কথাটি পুরোপুরি যথার্থ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। তবে মানুষ যে জীবনাচরণে তার পূর্বপুরুষের বৈশিষ্ট্য বহন করে, তা কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত। এ কারণেই হয়তো মানুষ নেড়ে-ঘেঁটে খুঁজে পেতে চায় তার বংশের আদি উৎস। তাই নিজের পরিবারের একটি নির্ভরযোগ্য বংশতালিকা খুজতে ২০১৩ সালে আয়ারল্যান্ডে দিবসটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পরিবারের বয়সী যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন পূর্বপুরুষদের নিয়ে।
পাখি দিবসঃ
পাখির অনেক প্রজাতির সংখ্যাই বিলুপ্তির পথে। বৈশ্বিক উষ্ণতা ও পরিবেশ বিপর্যয় এর অন্যতম কারণ। গবেষণা থেকে জানা যায়, ১২ শতাংশের বেশি প্রজাতির পাখিই হয়তো আগামী দশকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাই এ ব্যাপারে জনসচেতনতা জোরালো করতেই ৫ জানুয়ারি পালিত হয় পাখি দিবস।
খুদে রুটি দিবসঃ
দিবসটির ইংরেজি নাম হলো শর্টব্রেড ডে। শর্ট ব্রেড মানে কিন্তু শর্ট কেক নয়। এটা অনেকটা কুকির মতো। এক ভাগ চিনি, দুই ভাগ মাখন আর তিন ভাগে আটা দিয়ে তৈরি করা হয় এই বিশেষ খুদে রুটি। প্রতিবছর ৬ জুানুয়ারি পালিত হয় খুদে রুটি দিবস।
সহ্য করব না দিবসঃ
আমাদের নিজেদের ওপর প্রতিদিনই তো কত-না অত্যাচার চলে! টিভি দেখতে না দেওয়া, গেমস খেলতে নিষেধ, কিংবা বড়দের ওপরেও কতশত অত্যাচার! এসব অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাতেই প্রতিবছর ৭ জানুয়ারি পালিত হয় এটা আমি আর এক দিনও সহ্য করব না দিবস।
তোমার পা মাপো দিবসঃ
পা নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামায়, এমন মানুষ খুব বেশি পাওয়ার কথা না। কিন্তু তোমার পায়ের দৈর্ঘ্য কত, জুতাগুলা ঠিকমতো পায়ে হচ্ছে তো?—এসব নিয়ে কি একটুখানি ভাববে? পা নিয়ে ভাবার জন্য একটা পুরো দিন ছুটিও পর্যন্ত দেওয়া হয় অনেক দেশে! ২৩ জানুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব পা মাপো দিবস।
উল্টো দিবসঃ
৩১ জানুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব উল্টো দিবস। এই দিনে সবকিছুই উল্টো করে করা হয়। হাঁটা হয় উল্টো দিকে, কথা বলা হয় উল্টো শব্দে, লেখা হয় উল্টো বর্ণে। মানে পুরোপুরি ‘ল্টোউ’ আরকি!
সংকল্প পরিত্যাগ দিবসঃ
জানুয়ারির ১৭ তারিখ পালিত হয় সংকল্প পরিত্যাগ দিবস। নতুন বছরে অনেকেই অনেক প্রতিজ্ঞা করে। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায়, জানুয়ারির ১৭ তারিখ আসতে না আসতেই সেসব প্রতিজ্ঞা বা সংকল্পের কথা ভুলে যায় অনেকেই। সেটা মনে করিয়ে দিতেই এই দিবস। এই দিবসে আসলে জীবনের ভালো প্রতিজ্ঞায় অবিচল থাকতেই উৎসাহী করা হয়।
বিড়ালের প্রশ্নের উত্তর দাও দিবসঃ
বিড়ালটা যদি কথা বলতে পারত, কেমন হতো? নিশ্চয়ই অনেক অজানা কথাই জানা যেতো! আবার বিড়ালও নিশ্চয়ই অনেক প্রশ্ন করত। আমরা নিশ্চয়ই অনেক জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করতাম বিড়ালকে। বাস্তবে সেটা চেষ্টা করতে তো দোষ নেই। সেটা করার জন্যই ঘটা করে পালন করা হয় বিড়ালের প্রশ্নের উত্তর দাও দিবস।
সাবানের বুদবুদ দিবসঃ
সাবান দিয়ে ফেনার বুদবুদ বানানো খুবই মজার ব্যাপার। আমরা সবাই সাবান দিয়ে বুদবুদ বানাই, আর সেটাকে উড়তে দেখে খুব মজা পাই। শুধু তাই নয়, বুদবুদ ফাটাতেও খুব মজা হয়! তবে এই বুদবুদের জন্য পৃথিবীতে একটি বিশেষ দিন আছে! প্রতিবছর ৫ অক্টোবর ইউরোপের বেশকিছু দেশে ‘সাবানের বুদবুদ দিবস’ পালন করা হয়। স্রেফ মজা করার জন্যই সাবানের ফেনার বুদবুদ ছড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছিল ফেসবুকে। যথারীতি সাড়া দেন অনেকে। শুরু হলো প্রতি ৫ অক্টোবরে ঘটা করে সাবানের ফেনার বুদবুদে আকাশ ঢেকে দেওয়া। ইউরোপের বেশকিছু দেশে পালিত হয় দিবসটি। তবে এই বুদবুদ নিয়ে মজার তথ্য হলো, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বুদবুদটি বানানো হয়েছিল ২০১৪ সালে। গ্যারি পার্লমান নামে একজন মানুষ বিশাল একটি বুদবুদ বানিয়েছিলেন। সেটার আকৃতি ছিল ৮৩৪ কিউবিক ফুট। অর্থাত্ আমাদের বুদবুদের ৮শ’ গুণ বড়! গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে তার নাম লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক জগিং প্যান্ট দিবসঃ
প্যান্টের জন্য আবার বিশেষ দিন হয়? অস্ট্রিয়ার চার তরুণ নাকি একবার সারাদিন জগিং প্যান্ট পরে ছিলেন৷ বেশ ভালো লেগেছে তাঁদের৷ দিনটা খুব আরামে কেটেছে৷ তারপর ফেসবুকে জগিং প্যান্ট পরার জন্যও বিশেষ একটা দিন বেছে নেয়ার আহ্বান জানান তাঁরা৷ সেই ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন ৪৭ হাজার মানুষ! ফলে একটা দিনও ধার্য করা হয়৷ এখন প্রতি বছরের ২০ জানুয়ারিকে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক জগিং প্যান্ট দিবস হিসেবে৷
গাড়িহীন দিবসঃ
এমন কোনো জায়গা আছে কি যেখানে রাস্তাঘাটে নিশ্চিন্তে একটু জিরিয়ে নিতে পারবেন? যেখানে লাগামছাড়া দূষণ আর গাড়ির হর্ণে প্রাণ হাসফাঁস করবে না? ভাবছেন তো যে গাড়ি নেই এমন বসতি কোথায় আছে? আসলেই খুঁজে পাওয়াটা বেশ কষ্টকর হবে। তবে হ্যাঁ, গাড়ি ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ার জন্য একটি বিশেষ দিন রয়েছে। সত্তরের দশকে তেল সঙ্কট দেখা দেওয়ায় সাবেক পশ্চিম জার্মানিতে বেশকিছু দিন রবিবার রাস্তায় কোনো গাড়ি চলতো না। গাড়িহীন দিনের এ ধারণা সাবেক পূর্ব জার্মানিও লুফে নিয়েছিল কয়েকবছর পর। ১৯৮১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সবাইকে গাড়ি ব্যবহার না করে পরিবেশ বান্ধব উপায়ে ঘোরাফেরা করার অনুরোধ জানায় পূর্ব জার্মান সরকার। জনগণ বেশ সাড়া দিয়েছিল সেই আহ্বানে। এখন আন্তর্জাতিক গাড়িহীন দিবসের মর্যাদা পেয়েছে ২২ সেপ্টেম্বর। তবে লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার এক ছোট্ট জনপদ লা কুম্ব্রেটিকা। গাড়ি নিষিদ্ধ এই গ্রামে। পায়ে হেঁটে চাক্ষুস করতে হয় সুন্দর এই গ্রামকে।
বিশ্ব টয়লেট দিবসঃ
স্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহারের নতুন নতুন উপকারিতা এই দিনে তুলে ধরা হয়। এ বছরের প্রধান আলোচনার বিষয় হিসেবে রাখা হয় স্যানিটেশন এবং নিউট্রেশন, অর্থাত্ সুস্থ-সবল থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহারের গুরুত্ব। এছাড়াও পরিষ্কার খাবার পানি, স্বাস্থ্যকর টয়লেট ও পরিষ্কার-পরিছন্ন থাকার প্রয়োজনীয়তাও ছিল অন্যতম বিষয়। বিশ্ব টয়লেট দিবসের প্রধান লক্ষ্য সবাইকে স্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহারের জন্য অনুপ্রেরণা দেওয়া। বিশ্বের প্রায় আড়াই বিলিয়ন মানুষের টয়লেট, অর্থাত্ শৌচাগার ব্যবহার করার সামর্থ নেই। অনেকে আবার সচেতনতার অভাবেও শৌচাগার ব্যবহার করেন না। তাদের কথা ভেবেই ২০০১ সাল থেকে প্রতিবছরের ১৯ নভেম্বর পালন করা হয় বিশ্ব টয়লেট দিবস। উদ্দেশ্য, সবাইকে শৌচাগার ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করে তোলা। সারাবিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আগামীকাল গত ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশেও উদযাপন করা হয় ‘বিশ্ব টয়লেট দিবস’।
আন্তর্জাতিক ট্যুরিস্ট গাইড দিবসঃ
বর্তমান বিশ্বে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার কারণে ট্যুরিস্টদের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ট্যুরিস্টদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। তাই আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত আসছে অসংখ্য ট্যুরিস্ট। এসব ট্যুরিস্টদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য প্রয়োজন হয় একজন গাইডের। যিনি ট্যুরিস্টদের ভ্রমণ সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। তারা না থাকলে কি হতো একবার চিন্তা করে দেখেছেন? বিশ্ব ট্যুরিস্ট গাইড অ্যাসোসিয়েশন (ডাব্লিউটিজিএ) ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক ট্যুরিস্ট গাইড দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেদিন সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশিদের এই গর্বের দিনটিতেই কোথাও কোথাও আন্তর্জাতিক ট্যুরিস্ট দিবস উপলক্ষে বিনা খরচে বেড়ানোর সুযোগও করে দেয় ডাব্লিউটিজিএ।
নো ডায়েট ডেঃ
১৯৯২ সালের ৬ মে ব্রিটেনে প্রথম এই দিবস পালিত হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল ও ভারতের মতো দেশগুলোতেও এর চল শুরু হয়। ডায়েট, বডি টাইপ, সাইজ বা ফ্যাট ফোবিয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা গড়ে তোলাই দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য। বাজারে ডায়েট সম্পর্কে যে সব কথা প্রচলিত আছে তার বেশিরভাগের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। কিন্তু মানুষ স্লিম থাকার জন্য হণ্যে হয়ে ডায়েট ফুড খুঁজে বেড়ায়। নো ডায়েট দিবসের লক্ষ্য হলো প্রতিটি মানুষ যেন তার নিজের আকৃতি মেনে নিয়েই এর অবস্থা উন্নয়নের চেষ্টা করে। ডায়েট ফুডের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। মূলত ব্রিটেনে একদল নারীবাদী অধিকারকর্মী এই দিবস পালনের সূচনা করে। ডায়েট ফুডের নামে বিভিন্ন কোম্পানি ভোক্তা সাধারণের সঙ্গে যে প্রতারণা করছে সেটি তুলে ধরাও এর আরেকটি লক্ষ্য। তবে ডায়েট নিয়ে একটা কথা বলতেই হয়—প্রতিটি ব্যক্তির দেহ, স্বাস্থ্য ইতিহাস এবং বিপাকীয় রেট ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। সুতরাং কোনো একজনের জন্য কার্যকর বিশেষ খাদ্যাভ্যাস অন্যজনের জন্য কাজে নাও লাগতে পারে। আর তাই কোনো পেশাদার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে বা নিজের স্বাস্থ্যের চাহিদা অনুযায়ী আপনার ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস নির্ধারণ করুন।
যত খুশি খাওয়ার দিবসঃ
স্লিম ফিগার নিয়ে বড় বেশি আদিখ্যেতা দেখা যায় সমাজে৷ মেরি ইভান্স ইয়ং অন্তত তা-ই মনে করেন৷ এই আদিখ্যেতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতেই ‘ডায়েট ব্রেকার’ কর্মসূচি নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি৷ তাঁর ডাকে প্রতি বছর ৫ মে কিছু মানুষ পেট পুরে খাচ্ছেন৷ আন্তর্জাতিক ‘নো ডায়েট’ দিবসে শুধু অতিরিক্ত ডায়েটিংয়েরই বিরোধীতা করা হয় না, খুব মুটিয়ে যাওয়া মানুষদের প্রতি সমাজের বাঁকা চোখটাকেও সোজা করার চেষ্টা করে৷
নো সকস ডেঃ
৮ মে, পালিত হয় ‘নো সকস ডে’ বা মোজা না পরার দিন। এক জোড়া মোজার একটি প্রায়ই খুঁজে পাওয়া যায় না। কেন পাওয়া যায় না, ভেবে দেখেছেন কখনো? হ্যাঁ, জার্মানির মুনস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের গবেষণাকর্মে রীতিমতো গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছিল মজার এই বিষয়। পায়ের সুরক্ষায় এবং আরামে জুতার সঙ্গে মোজার মতো মজার পরিধেয় আর হয় না। জুতার সঙ্গে মোজা অপরিহার্য। শীতকালে মোজার প্রয়োজনীয়তা তো বলাই বাহুল্য। তবে যত অসুবিধাই হোক, মোজা না পরে অন্তত একটা দিন কাটানোর ভাবনা থেকেই দিবসটির উৎপত্তি। আমেরিকান অভিনেতা থমাস রয় এবং তাঁর স্ত্রীর উদ্যোগে দিনটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৯ সালে।
বিয়ার দিবসঃ
আগস্ট মাসের প্রথম শুক্রবার আন্তর্জাতিক বিয়ার দিবস। বুডভাইজার, কোরোনা, বেকস বিখ্যাত বিয়ারের তালিকা করলে তালিকাটা খুব ছোট হবে না। বিশ্বে প্রায় ১২ হাজার রকমের বিয়ার আছে। এরমধ্যে ৫ হাজারই জার্মানিতে তৈরি। প্রতিবছর আগস্ট মাসের প্রথম শুক্রবারকে আলাদা রাখা হয়েছে বিয়ার পানের জন্য। হ্যাঁ, সেদিনটিই পেয়েছে আন্তর্জাতিক বিয়ার দিবসের স্বীকৃতি!
বিশ্ব ব্রা ডেঃ
২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ব্রা দিবস! ১৯১৩ সালের এই দিনে Mary Phelps দুটি রুমাল ও ফিতা জোড়া লাগিয়ে ব্রা বানিয়ে ছিলেন। ১৯১৪ সালে তিনি ব্রার বর্তমান ডিজাইনটি নিয়ে আসেন এবং পেটেন্ট করে নেন। তার আবিষ্কৃত ব্রা, বক্ষকে সমান করে দিত। পরবর্ততে রুমালের পরিবর্তে কাপ সংযোজত হয়। কোনোরকম বিজ্ঞাপন ছাড়াই তার নিজেস্ব দোকান "Warner Brothers Corset Company" ১৫০০ ডলারের ব্রা বিক্রি করে! এর পুর্বে ২৫০০ খৃষ্টপূর্বের সময়ে অবশ্য গ্রিক মহিলারা রেশমি কাপড় দিয়ে ব্রা পরতো।
নো ব্রা ডেঃ
দিবসটির শুরু খুব বেশি দিনের নয়। ২০১১ সাল থেকে মহিলাদের প্রচারে হ্যাশট্যাগে ‘নো ব্রা ডে’ ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, অতিরিক্ত বক্ষবন্ধনীর ব্যবহার ডেকে আনে স্তন ক্যানসার। এর লক্ষ্য সচেতনতা বাড়াতে এবং স্ব-পরীক্ষা, স্ক্রিনিং করা এবং তাদের স্তন ক্যান্সারের লক্ষণগুলো নিশ্চিত করার জন্য নারীদেরকে উৎসাহিত করা। স্তন ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস এর অংশ হিসেবে ১৩ অক্টোবর বিশ্বের প্রায় অর্ধশত দেশে পালিত হচ্ছে ‘নো ব্রা ডে’। স্তন ক্যানসার আক্রান্ত রোগী, সারভাইভারসহ সকল নারীকে এই দিনে আহ্বান করা হয় সারাদিন অন্তর্বাস না পরেই স্বাভাবিক কাজকর্মে অংশ নিতে।
বিশ্ব সুখী দিবসঃ
২০ মার্চ আন্তর্জাতিক সুখ দিবস বা বিশ্ব সুখী দিবস। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের সুখ-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ। ২০১২ সালের ২৮ জুন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক অধিবেশনে এ দিনটিতে “আন্তর্জাতিক সুখ দিবস” বা “বিশ্ব সুখী দিবস” পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বিশ্বের একাধিক দেশ দিবসটি নানা আয়োজনে পালন করে। জাতিসংঘ তাদের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর ওপর পূর্ণ এক বছর জরিপ পরিচালনা করে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করে এ দিনে। দিবসটির প্রতিষ্ঠাতা অর্থনীতিবিদ জেম এলিয়েন। তিনি জাতিসংঘের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও জাতিসংঘের পরামর্শদাতা এবং শান্তি ও নিরাপত্তা অর্থনীতিবিদদের প্রতিনিধি এবং জাতিসংঘ অনুমোদিত এনজিও ইসিওএসসি বিশেষ পরামর্শদাতার দায়িত্ব পালন করেন।
বিশ্ব মুরগি দিবসঃ
এক সময় সকালে মুরগির ডাকে ঘুম থেকে উঠার চিত্র দেখা যেত বাংলার কৃষকদের ঘরে ঘরে। কালের বিবর্তনে এ রূপ অনেকটা হারিয়ে গেলেও মুরগিকে নিয়ে পালন করার দিনটি আজো রয়ে গেছে। প্রতিবছরের অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার ‘ওয়ার্ল্ড চিকেন ডে’ বা ‘বিশ্ব মুরগি দিবস’ পালন করা হয়ে থাকে। তবে কবে থেকে মুরগি দিবস উদযাপিত হচ্ছে সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই দিবসটিকে কেন্দ্র করে মুরগির মাংসের বিভিন্ন ধরনের রেসিপি শেয়ার এবং রান্না করে খাওয়া হয়।
বিশ্ব ডিম দিবসঃ
৯ অক্টোবর বিশ্ব ডিম দিবস! বিশ্বের ৪০টিরও অধিক দেশের সাথে বাংলাদেশেও একযোগে উদযাপিত হয় বিশ্ব ডিম দিবস। ডিমকে বিশ্বে একটি উন্নতমানের ও সহজলভ্য আমিষ জাতীয় খাদ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন (আইইসি) স্থাপিত হয় ১৯৬৪ সালে। বর্তমানে এই সংস্থার সদস্য সংখ্যা ৮০। সংস্থাটি প্রাণিজ আমিষের চাহদাি পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠন এবং সর্বোপরি ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় প্রথম ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ পালনের আয়োজন করা হয়, যা পরবর্তী সময়ে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার পালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারতসহ সারাবিশ্বের ৪০টি দেশে পালিত হয় ‘বিশ্ব ডিম দিবস’, যার পরিধি ও ব্যাপ্তি দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশ্ব ব্যাঙ রক্ষাদিবসঃ
প্রতিবছর এপ্রিল মাসের শেষ শনিবার পালিত হয় ‘বিশ্ব ব্যাঙ রক্ষা দিবস’ হিসেবে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (বিশ্বআইইউসিএন) ২০১৫ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৪৯ প্রজাতির ব্যাঙ রয়েছে। সমীক্ষাটির রেড লিস্ট বা লাল তালিকা অনুসারে, এর মধ্যে ১০ প্রজাতির ব্যাঙ বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। পরিবেশবন্ধু ব্যাঙের বিলোপ নয় বরং ব্যাঙ রক্ষায় অবদান রাখার প্রত্যয়ে পালিত হয় বিশ্ব ব্যাঙ দিবসে। আজ এ পর্যন্ত!
সূত্রঃ Days Of The Year
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম ফেসবুক-১ ফেসবুক-২
[email protected]
২১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:২৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব "বেকারত্ব হঠাও দিবসের খোঁজ পাইনি তবে
30 ডিসেম্বর ,"বেকার দিবস "30 December,
Unemployment Day". আর
ভারতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্মদিনে 'জাতীয় বেকারত্ব দিবস' পালন.
National Unemployment Day পালনের ডাক দিয়েছিলেন
শাসক বিরোধী নেটিজেনরা।
২| ২১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:১৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আরো কিছু বাদ আছে নি!!!!
২১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৩৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চাইলেই পাইবেন !!
বলেন কোন দিবসের প্রয়োজন?
প্রয়োজন হলে আমদানীা করবো
আপনার জন্য!!
৩| ২১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: ব্রা দিবসও আছে সম্ভবত।
২১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:০৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খানসাব ২৩ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব ব্রা দিবস!
১৯১৩ সালের এই দিনে Mary Phelps দুটি রুমাল ও ফিতা
জোড়া লাগিয়ে ব্রা বানিয়ে ছিলেন। ১৯১৪ সালে তিনি ব্রার বর্তমান
ডিজাইনটি নিয়ে আসেন এবং পেটেন্ট করে নেন। তার আবিষ্কৃত ব্রা,
বক্ষকে সমান করে দিত। পরবর্ততে রুমালের পরিবর্তে কাপ সংযোজত হয়।
কোনোরকম বিজ্ঞাপন ছাড়াই তার নিজেস্ব দোকান "Warner Brothers
Corset Company" ১৫০০ ডলারের ব্রা বিক্রি করে! এর পুর্বে ২৫০০
খৃষ্টপূর্বের সময়ে অবশ্য গ্রিক মহিলারা রেশমি কাপড় দিয়ে ব্রা পরতো।
বিশ্ব ব্রা দিবসের পাশাপাশি বিশ্ব নো ব্রা দিবসও আছে খানসাব!
স্তন ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস এর অংশ হিসেবে ১৩ অক্টোবর
বিশ্বের প্রায় অর্ধশত দেশে পালিত হচ্ছে ‘নো ব্রা ডে’। স্তন ক্যানসার
আক্রান্ত রোগী, সারভাইভারসহ সকল নারীকে এই দিনে আহ্বান করা হয়
সারাদিন অন্তর্বাস না পরেই স্বাভাবিক কাজকর্মে অংশ নিতে।
উপরে দেখুন।
৪| ২১ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: আজ কিন্তু চা দিবস।
বিশ্ব চা দিবসে সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। বেশি বেশি করে চা খান এবং মন মেজাজ ভালো রাখুন।
২১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৩৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার কেনযে এত ব্রা দিবসের বায়না বুঝিনা !!
যা হোক চা হলে মন্দ হয়না ! কড়া লিকারের
এক কাপ লাল চা!!
৫| ২১ শে মে, ২০২১ রাত ৮:১১
বিজন রয় বলেছেন: ভাল ইনফরমেশনমূলক পোস্ট নূরু ভাই।
আর একটা পোস্ট যোগ করতে পারেন নূরু ভাই।
পারিবারিক ভর্তা দিবস। প্রতিবছর জুলাই মাসের প্রথম শুক্রবার আমার বাসায় ভর্তা দিবস পালন করা হয়। এদিন আমরা কমপক্ষে ১২ রকমের ভর্তা তৈরী করি খাওয়ার জন্য।
হা হা হা .......
২১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৩১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ বিজন দাদা
তবে ভর্তা দিবস পালন করতে হলে
আগে ভর্তার টেস্ট নিতে হবে। কোন
একদিন আপনার বাসায় নিমন্ত্রণ করেন
মুখরোচক ভর্তা খেয়ে বিবেচনায় নিবো
ভর্তা দিবস।
৬| ২১ শে মে, ২০২১ রাত ৮:১১
শায়মা বলেছেন: বাপরে এত সব দিবস দেখতে দেখতে দেখতে দেখতে আমি শেষ!!!!!!!!!!
২১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৩৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এখনই শেষ করবেন না আপু
সামনে আরো আছে !!
৭| ২১ শে মে, ২০২১ রাত ৮:১৯
নজসু বলেছেন:
প্রিয় বড় ভাই, বিশ্ব ক্যাচাল দিবস থাকা দরকার ছিলো।
২১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৩৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সুজন ভাই ক্যাচাল লাগাতে এখন আর দিন ক্ষনের
প্রয়োজন না্ই। যে কোন দিন যে কোন সময়ই লাগতে
পারে ক্যাচাল। সুতারাং প্রতিদিনই ক্যাচাল ডে !!
৮| ২১ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৪৮
জটিল ভাই বলেছেন:
আপনার জন্মদিনটাকে "আন্তর্জাতিক পাগল হঠাও দিবস" আর পাগলার জন্মদিনটাকে "পাগল দিবস" হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য ইউনেস্কোর নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি.........
২১ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জটিল ভাই
পাগলদের নিয়ে কিন্তু একটা দিবস আছে।
১১ই নভেম্বর পাগলদের জন্য আছে বিশ্ব পাগলামী দিবস।
এই দিনে পাগলরা যত খুশি পাগলামি করতে পারে।
যেখানে খুশি সেখানে পাগলামী করতে পারো। যার সাথে কথা
বলতে ভয় পাও তার সাথেও পাগলমী করতে পারে। কারণ ওই দিন
পাগলামী করারই দিন। কথায় আছে"থানার কাছে পাগলামী চলে না'
ওই দিন এ কথার কোন ভিত্তি নাই। দিন থানার কাছে, থানার ভিতরে এ
মনকি থানার ছাদের উপরেরপাগলামী করতে পারো।
'আমরা উন্মাদ, আমরা পাগল কিন্তু আমরা ছাগল নই' -
এই শ্লোগানের বেরিয়ে পড়ে রাস্তায় রাস্তায়।
৯| ২১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:২৯
জটিল ভাই বলেছেন: ঘটনাতো ভীষণ জটিল! আচ্ছা, পাগলাদের কাছে সবদিনই ১১ই নভেম্বর নাকি!!!!
২১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৪১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জটিল তথ্য জটিলই হবার কথা !!
পাগলরা মনে করে প্রতিদিনই
১১ নভেম্বর তাই তারা বিরতীহীন
ভাবে পাগলামী করেই যায়!!
১০| ২২ শে মে, ২০২১ রাত ১:৪৩
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: গতকাল নাকি চা দিবস গেল!
২২ শে মে, ২০২১ রাত ২:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
উদরাজী ভাই আপনি চা পান নাই!!
খানসাব কালকে উদার হস্তে চা পান
করিয়েছেন সবাইকে !! আপনি একটু
দেরী করে ফেললেন সম্ভবত !
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের দরকার "বেকারত্ব হঠাও দিবস"।