নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
আপডেটঃ ২২ মে ২০২১ ইং
=======================
বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। লঘুচাপটি আজ শনিবারই সৃষ্টি হতে পারে। পরে যা সুস্পষ্ট লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ, এরপর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে 'যশ'। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় আগামী বুধবার বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
২০০৯ সালের ২৬ মে বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়েছিল সাইক্লোন আয়লা। তার বারো বছর পর মে মাসের সেই ২৬ তারিখেই আরও এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর। তবে এর ঘণ্টায় গতিবেগ কত হবে, আয়লা বা আমফানের মতো এই ঘূর্ণিঝড়ও শক্তিশালী হবে কিনা তা বিশদে জানা যায়নি। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় তাওকতে পর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হবে সুপার সা্ইক্লোন। আবহাওয়া দফতরের নিয়ম অনুযায়ী ।সুপার সাইক্লোনের নামকরণ করা হয়েছে ইয়াস (Yaas) ‘যশ’। এবারের এই ঝড়ের নামকরণ করেছে ওমান যা আম্ফানের থেকেও ভয়ঙ্কর ক্ষতি করতে পারে জানানো হয়েছে। যশ কতখানি তাণ্ডবলীলা চালাবে তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বোঝা না গেলেও ঝড়টিকে গতবছরের আমফানের সাথে তুলনা করা হচ্ছে। আবহাওয়াবিদদের মতে আমফানের এর মতনই শক্তিশালী হতে চলেছে ।ইয়াস (Yaas)‘যশ’ চলতি সপ্তাহেই সুন্দরবনে আছড়ে পড়তে পারে পূর্ণ শক্তি নিয়ে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার সম্ভাবনা আছে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশেও আঘাত করতে পারে। আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেছেন, ‘বঙ্গোপসাগরে ২৩ বা ২৪ মে লঘুচাপটি তৈরি হতে পারে। লঘুচাপের পরে নিম্নচাপ হতে হবে, তারপরে এটা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে হবে। এটির সম্ভাবনা আছে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে লঘুচাপটি তৈরি হয় এবং এই সময় যে ঘূর্ণিঝড়গুলো হয়, তা ভারতীয় উপকূল দিয়ে অতিক্রম করে, না হয় বাংলাদেশের উপকূল দিয়ে অতিক্রম করে। বাংলাদেশ কিংবা ভারত- ঘূর্ণিঝড়টি দুই দেশের ওপর দিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এখনই আসলে বলা ঠিক হবে না, এটা কোন অঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করবে। আবার অনেক সময় ঘূর্ণিঝড় তার দিক পরিবর্তন করে।’ ধারণা করা হচ্ছে ইয়াস (Yaas)‘যশ’আগামী ২৩ থেকে ২৫ শে মে-র মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী এলাকায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই জানিয়েছে, এই মুহূর্তে বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। দেশটির আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, শক্তি বাড়িয়ে এই ঘূর্ণিঝড় গত বছরের আম্ফানের মতো সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে। আছড়ে পড়তে পারে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে। আপাতত ঘূর্ণিঝড়টির গতিবিধির দিকে খেয়াল রাখছেন আবহাওয়াবিদরা। মৌসুমের ষষ্ঠ তাপপ্রবাহ চলছে। এর ফলে বঙ্গোপসাগরের পৃষ্ঠদেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ফলে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস রয়েছে। আরিফ হোসেন বলেন, ‘২৩ বা ২৪ মে লঘুচাপ তৈরি হওয়ার পরে সেটার গতি কেমন হবে, তার ওপর নির্ভর করবে উপকূলে কবে নাগাদ আসবে। আগে লঘুচাপ তৈরি হোক, তারপর বলবো, কবে নাগাদ এটা উপকূলে আঘাত করতে পারে।’ ভারতের আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এক সঙ্গে দু’টি নিম্নচাপ ঘনীভূত হচ্ছে, একটি বঙ্গোপসাগরে, আরেকটি আরব সাগরে । অন্যদিকে ২৬ মে আরব সাগরের কর্ণাটক উপকূলে একটি ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আরব সাগরে তাওকতের পর একই মাসে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে। যদিও এখনও এই সম্ভাবনা খুবই সামান্য।
ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ কতটা তান্ডব লীলা চালাবে তা আরও কয়েকদিন পর বিস্তারিত জানা যাবে। তবে এই দুই সিস্টেম এর প্রভাবে ভারতবর্ষে বর্ষা যথাসময়ে চলে আসবে। ভারতবর্ষের মূল ভূখণ্ড কেরলে প্রথম বর্ষা আসে পয়লা জুন। প্রথমে আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড় টাউটে ও পরে কর্ণাটক উপকূলে আরও একটি সিস্টেম তৈরি হওয়ায় আবহাওয়াবিদদের অনুমান কেরলে দু-এক দিন আগেই বর্ষা ঢুকে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ৩১ মে-র মধ্যে কেরলে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মত বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ আগামী ২৩ থেকে ২৫ মে-র মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী এলাকায়। এর জেরে ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে দুই বাংলার সুন্দরবন। এর পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের গতিমুখ বাংলাদেশের দিকে থাকবে বলেই জানা গিয়েছে। প্রাথমিক অনুমান করা গিয়েছে ইয়াস (Yaas)‘যশ’ প্রভাব থাকবে ভারতের ওড়িষা রাজ্য থেকে বাংলাদেশের সুন্দরবন ও চট্টগ্রাম এলাকা পর্যন্ত। কানাডার সাসকাচুয়ান ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়নরত আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএচডি গবেষক মোস্তফা কামাল জানান, ঘূর্ণিঝড়টি ২৬ মে সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের সুন্দরবন এলাকার ওপর দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ মে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে সৃষ্টি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা নির্দেশ করছে মডেলগুলোতে। বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও কলকাতার ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। এখনো পাঁচ-ছয়দিন সময় আছে, ফলে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রভাবে ভারতের আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড় যশের অনুমান সঠিক হলে ক্ষয়ক্ষতির রেকর্ড আম্ফানকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আবর সাগরে ইতোমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়ে গুজরাট উপকূল অতিক্রম করার পর্যায়ে রয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান জানান, আগামী পাঁচদিনের শেষের দিকে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস, তাপপ্রবাহ চলতি সপ্তাহ ধরেই থাকবে। এ তাপপ্রবাহ ২৫ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বিভিন্ন অঞ্চলে। এ সময় কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। মাসের শেষে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৬ মে নাগাদ উড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছাতে পারে। আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগরে আজ শনিবার কাছাকাছি সময় থেকে লঘুচাপ হতে পারে। তবে যদি লঘুচাপ হয়ে সেটা স্টেজ পরিবর্তন করে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়, তবে সেটা 'যশ' নাম ধারণ করবে। উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৬ মে নাগাদ উড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছাতে পারে 'যশ।' সাধারণত যে কোনো ঘূর্ণিঝড় প্রচুর বৃষ্টিপাত নিয়ে আসে। সেই হিসেবে 'যশ' আসায় তাপপ্রবাহ কিছুটা কমতে পারে। সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করলে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। সে কারণে বিদ্যমান তাপপ্রবাহের সঙ্গে লঘুচাপ-নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ের সম্পর্ক আছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, পূর্বাভাস বলছে, আজ শনিবার রাত থেকে রবিবার সকালের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে। ফলে দেশের খুলনা, বাগেরহাট এবং ভারতের উড়িশ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় ৪৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার গতিতে বয়ে যাবে ঝড়ো হাওয়া।
সূত্রঃ খাসখবর
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম ফেসবুক-১ ফেসবুক-২
[email protected]
২০ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৩৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রাকু হাসান ভাই অনেক দিন পরে আপনাকে পেলাম।
আসলে জানার কোন শেষ নাই। আমিও প্রতিদিন জানছি
আর শিখছি। চোখ কান খোলা রাখুন আরো জানতে ও
শিখতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ২০ শে মে, ২০২১ রাত ৩:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: তাওকত ঝড় কি হয়ে গেছে ।
২০ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খানসাব আপনিকি ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলেন তাওকতের
দিনগুলো !! ঘুমিয়ে থাকলে না জানারই কথা।
তাওকতের বিস্তারিত জানুন এখানে
৩| ২০ শে মে, ২০২১ সকাল ৮:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
থামানোর জন্য দোয়া টোয়া আছে নাকি?
২০ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৪২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব প্রশ্নটি কি উপহাস ছলে করেলেন?
যদি উপহাস না হয় তবে অবশ্যই ঝড় থামানোর
দোয়া আছে। ঝড় তুফানের সময়ে এই দোয়া
পড়বেনঃ `আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের থেকে ফিরিয়ে নাও, আমাদের
ওপর দিয়ো না। (বুখারি)
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৪৪
রাকু হাসান বলেছেন:
আপনার মাধ্যমে এই ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে প্রথম জানলাম।অনেক ধন্যবাদ।