নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাস্থ্য সচিবের দফতরে নারী সাংবাদিককে আটকে হেনস্তা করার নিন্দা জানাই

১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১:২৭


প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সচিবের দফতরে ৫ ঘণ্টা রেখে হেনস্তা করা হয়েছে। তথ্য চুরির মতো অভিযোগ এনে তাকে গতকাল সোমবার বেলা আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার রুমে আটকে রাখা হয়। সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় গুরুতর অসুস্থ রোজিনা ইসলামকে পুলিশ ভ্যানে করে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। এর আগে গতকাল দুপুরে রোজিনা ইসলাম করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। জানা গেছে, গতকাল দুপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে রোজিনা ইসলাম সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সচিবের দফতরে যান। এ সময় সচিরের দফতরের কর্মচারীরা তার বিরুদ্ধে তথ্য চুরির অভিযোগ এনে তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এর প্রতিবাদ করলে তাকে প্রথমে হেনস্তা করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তাকে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদের নামে হেনস্তা করে এবং তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।’ দীর্ঘ সময় আটকে রাখায় গরমে ও অস্বস্তিতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় সচিবালয় বিটে কর্র্মরত অন্য সাংবাদিকরা স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু সচিব কারও সঙ্গে কথা বলেননি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেও এর কোনো সমাধান করতে পারেননি। এ প্রসঙ্গে তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন- প্রথম আলোর রিপোর্টার রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার একান্ত সচিব (পিএস) মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার (সিনিয়র সহকারী সচিব) কক্ষে থাকা ‘রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি থেকে কাগজ সরিয়েছেন’—এমন অভিযোগ তুলে বিকেল ৩টা থেকে আটকে রাখা হয় রোজিনাকে। কেড়ে নেয়া হয় তার মোবাইল ফোনও। সচিবালয়ের ৩ নম্বর ভবনের চতুর্থ তলার ৩৩৯ নম্বর কক্ষে সচিবের দফতরের কর্মকর্তারা প্রথমে আটকে রাখা হয়। রাতে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। অনুমতি ছাড়া রাষ্ট্রীয় নথির ছবি তোলার অভিযোগে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটক রাখার পর রোজিনার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় এজাহার দায়ের করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব ডা. শিব্বির আহমেদ ওসমানী। মামলা নম্বর ১৬। সচিবের দফতরের মিজান নামের এক কনস্টেবল তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলেও কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন রোজিনা।

(সচিবালয়ে সাংবাদিক রোজিনাকে চেপে ধরেন একজন কর্মকর্তা)
রোজিনা ইসলাম দাবি করেন, সচিবের সঙ্গে দেখা করতে পিএসের রুমে গিয়েছিলেন তিনি, ফাইল থেকে কোনো কাগজ সরাননি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।

পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে সরকারের যে কোনো তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা একজন সাংবাদিকের অধিকার। এতে বাধা দেওয়াই বরং স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার অন্তরায়। তথ্য চুরির মতো হাস্যকর অভিযোগ এনে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী বলেন, "পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সঙ্গে স্বাস্থ্য সচিবের অফিস স্টাফদের অসদাচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এটা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী। যা দেশের গণমাধ্যমের জন্য হুমকিস্বরূপ"। আমরাও এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার তিব্র নিন্দা জানাই। সাথে সাথে রোজিনা ইসলামকে মুক্তি, তার বিরুদ্ধে করা জিডি প্রত্যাহার ও তাকে আটকে রাখার সঙ্গে জড়িতদের বিচার এবং সাংবাদিক দলন-নিপীড়ন বন্ধ করে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও সঠিক তথ্য পাবার অধিকারে সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধের জোর দাবি জানাই।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম :-& ফেসবুক-১ :-& ফেসবুক-২
[email protected]

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১:৩২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: চোর ডাকাতের আখড়ায় যাওয়ার মতো দুঃসাহস কারোই করা উচিত নয়।

১৮ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

একাজ সবাই পারেনা!
তবে কাউকে না কাউকেতো
এগিয়ে আসতেই হবে।

২| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:




সচিব, সচিবদের কর্মচারীরা মাফিয়ায় পরিণত হয়েছে।

১৮ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:১৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

এর থেকে উত্তরণের জন্য প্রতিবাদের
এখনই সময়। তা না হলে আগামী প্রজন্ম
একটা করাপটেড জাতিতে পরিনত হবে।

৩| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের সচিবালয় আসলেই ডাকাতদের আড্ডাখানা

১৮ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ডাকাত বললে কম বলা হয়
এরা জল্লাদ !!

৪| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওখানকার সব অফিসার ও কর্মচারী ডাকাতী করে বেড়ায়।

১৮ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সবাই হয়তো নয় তবে
বেশীর ভাগই দূর্ণীতিপারায়ন!

৫| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই সাংবাদিকের অপরাধ কি?
কাগজপত্র চুরী করেছে? মোবাইলে দিয়ে ছবি তুলেছে?

১৮ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সেটাই তাদের মামলার অভিযোগ
পত্রে উল্লেখ করেছে !

৬| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ৩:১৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: সাংবাদিক অপরাধ করলে অবশ্যই গ্রেফতার হবে এবং তার শাস্তি হবে। কিন্ত সরকারী কর্মচারীরা ফৌজদারি অপরাধ করলেও সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা যাবে না- এটা কেমন আইন? এক দেশে তো দুই অঅইন চলতে পারেনা।
তার মানে তো এই দাড়ালো যে যে জনগণের করের টাকায় বেতন পাওয়া চাকররা (public servent) জনগণের প্রভু !!!!!!
অনুমতি ছাড়া সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতার করা যাবে না

১৮ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অন্যায়কাজটাকে জায়েজ করে দিয়েছে
সরকারী এই প্রজ্ঞাপন !!

৭| ১৮ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:২৭

আমি সাজিদ বলেছেন: অনল ভাইয়ের মন্তব্যের সাথে একমত। সাহস করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, ধন্যবাদ। ব্লগারদের মধ্যপ্রাচ্যের বিষয়গুলো থেকে সরে এখন নিজের দেশে মনোনিবেশ করতে হবে। সমাজের দর্পন সাংবাদিকতা, আবার ব্লগিং এক ধরনের সিটিজেন জার্নালিজম। এই জায়গাটা থেকে প্রতিবাদ করতে হবে। ভদ্রমহিলার মতোন অনুসন্ধানী সাংবাদিক এখন পরিস্থিতির কারনে কমে গেছে, এরপরে যে দুই একজন আছেন তাদের যদি সরকারী অফিসে আটকে রেখে নাজেহাল করা হয় তাহলে তা পরবর্তীতে দেশের জন্য বিপদ হবে।

১৮ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

অনল ভাইয়ের সাথে সহমত প্রকাশ করার জন্য
আপনাকে ধন্যবাদ। আর এ কারনেই সাংবাদিকতার
পেশা ছাড়তে চান মেধাবীরা

৮| ১৮ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: ৭নং মন্তব্যকারীর সাথে একমত।

১৮ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ খানসাব
৭নং মন্তব্যকারীর সাথে একমত
পোষণ করার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.