নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিপফেক ভিডিওঃ মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করা এক অভিশপ্ত প্রযুক্তি

১৩ ই মে, ২০২১ রাত ১২:১৬


প্রতিটি প্রযুক্তিরই ভাল এবং খারাপ দিক আছে, এখন আপনি ব্যবহার করবেন কিভাবে সেটাই মুলত আসল। গত কয়েকমাস যাবত অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে ভুয়া ভিডিও তৈরি সংক্রান্ত কিছু সংবাদ। ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’ মুভির জন্যে বিখ্যাত গ্যাল গাদতের একটি এডাল্ট ভিডিও। অনেকেই আশংকা করছেন, খারাপভাবে ব্যবহারের উদ্দেশ্য থাকলে এই প্রযুক্তির সাহায্যে রাজনৈতিক অঙ্গনেও করা সম্ভব অনেক কিছু। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার যেমন চিকিৎসা বিজ্ঞান সহ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে অভুতপূর্ব উন্নয়ন এনে দিয়েছে ঠিক তার উল্টো চরিত্রে রয়েছে ডিপফেক ভিডিও প্রযুক্তি। প্রযুক্তির সহায়তায় আজকাল এমন সব ভুয়া ভিডিও তৈরি সম্ভব হচ্ছে, যেগুলো আসল, না নকল, বোঝা সত্যিই কঠিন। বর্তমান বিশ্বে বড় দুশ্চিন্তার নাম ডিপফেক। এতে কম্পিউটারে কারসাজি করা ছবিতে এক ব্যক্তির সাদৃশ্য অন্যের ক্ষেত্রে প্রতিস্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয়। বিষয়টি প্রযুক্তিজগতে ডিপফেক নামে ব্যাপক পরিচিত হয়ে উঠেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় এমনভাবে ‘ডিপফেক' ভিডিও ও অডিও রেকর্ডিং তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে যে, সেগুলো আসল, না নকল, বোঝা সত্যিই কঠিন। ডিপফেক ভিডিও তৈরি করতে একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম অনেক ছবি ব্যবহার করে মুখের অভিব্যক্তি ও পেশীর নড়াচড়া বিশ্লেষণ করে৷ এরপর তা থেকে নতুন ছবি, যেমন মুখের নড়াচড়া, তৈরি করে৷ ডিপফেক ভিডিওর চরিত্র হতে কারও বেঁচে থাকারও দরকার নেই৷ যেমন চিত্রশিল্পী সালভাদর ডালি ১৯৮৯ সালে মারা গেছেন৷ তবে ফ্লোরিডার ডালি মিউজিয়াম ‘সুরিয়ালিজমের এই মাস্টারকে বাস্তবে ফিরিয়ে এনেছে'। এটা নকল করার মজার দিক। আশঙ্কার কথা, ছবি বা ভিডিওকে বিকৃত ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে নিখুঁতভাবে তৈরি করে হুবহু আসলের মতো বলে প্রচার করা হচ্ছে। ২০১৮ সালের পর ডিপফেক প্রযুক্তি অনেকটাই প্রকাশ্যে চলে আসে। একজন ডেভেলপার আধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে একটি সফটওয়্যার তৈরি করেন, যা একজনের চেহারা অন্যজনের ওপর বসাতে পারে। এ প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যক্তির অনেক স্থিরচিত্র কাজে লাগিয়ে অন্যের ভিডিওচিত্রে বসানো যায়। ডিপফেক ছড়িয়ে পড়লে এমন অবস্থা হবে, যখন মানুষ নিজের চোখে দেখা বিষয়গুলো বিশ্বাস করবে না। মানুষের মধ্যে বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাবে। দুর্বৃত্তরা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভুয়া ভিডিও বা কনটেন্ট তৈরি করে ব্যক্তি, বিশেষ গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের ওপর মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা চালাবে। এত দিন ডিপফেক ঠিকভাবে শনাক্ত করার প্রযুক্তি সহজলভ্য ছিল না। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছে বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। ডিপফেক শনাক্ত করতে বিশেষ টুল বা প্রোগ্রাম তৈরি করেছে মাইক্রোসফট। মাইক্রোসফটের তৈরি সফটওয়্যারটি ছবি বা ভিডিও বিশ্লেষণ করে এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়েছে কি না এবং ছবি বিকৃত করা হয়েছে কি না, তা জানাতে সক্ষম হবে। মাইক্রোসফট যে টুলসটির কথা বলছে, তা ব্যবহারকারীকে বিশেষ চিহ্ন দেখাতে পারে বা জানিয়ে দিতে পারে ছবির বিকৃত রূপ সম্পর্কে। যেসব পরিবর্তন খালি চোখে দেখা যায়, তা ধরতে পারবে এ টুল। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিপফেক ভিডিও ধরার জন্য স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
এখানে দেখুন দশটি ডিপফেক ভিডিও

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি করা ডিপফেক ভিডিও সেলিব্রিটি ও রাজনীতিবিদের জীবনে অভিশাপ হিসাবে আবির্ভুত হয়েছে ইতোমধ্যে। সাম্প্রতিক সময়ে কম বয়সী নারী যারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন বা অনলইন যে কোন মাধ্যমে বিচরণ করেন তাদের জন্য একটু বেশিই শঙ্কার বিষয় হয়ে দাড়াতে যাচ্ছে এই প্রযুক্তি। মেয়েরা যারা সোশ্যাল মিডিয়াতে নিয়মিত সেলফি আপলোড করেন তাদের জন্য বিষয়টি একটু বেশিই উদ্বেগের কারন হতে যাচ্ছে সামনের দিনগুলোতে। ধরুন কোন এক সকালে আপনার বন্ধুর পাঠানো লিংক ওপেন করে আপনি আকাশ থেকে পড়েলেন! কারন লিংকে আপনার বনধু যে ভিডিও ক্লিপসটি পাঠিয়েছে তা একটি পর্ণগ্রাফী এবং তাতে অন্তরঙ্গ মুহুর্তে যাকে দেখা যাচেছ তিনি অন্য কেউ নন, সয়ং আপনি। অথচ এখানে আপনার উপস্থিতির কোন প্রশ্নই আসেনা! এখন আপনি জানেন যে ওটা আপনি নন, কিন্তু বিষয় হলো যে, অন্যদের বোঝাবেন কিভাবে? আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই, মেশিন লার্নিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এধরনের নকল বা ডিপফেক ভিডিও তৈরি করা এখন অসম্ভব কিছু না। প্রথম দিকে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে সেলিব্রিটিদের মুখমন্ডল অশ্লীল ভিডিওর সাথে পরিবর্তন এবং রাজনীতিবিদদের মুখের কথা পরিবর্তনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে এটার ব্যবহার আর এখানেই সীমাবদ্ধ নেই। বাস্তব চিত্রটি আরো খারাপের দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত -ই দিচ্ছে ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি সেনসিটির রিপোর্ট। ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি সেনসিটি জানাচ্ছে, অনলাইন থেকে অল্পবয়সী মেয়েদের ছবি কালেকশন করে বানানো হচ্ছে ডিপফেক পর্ণ ভিডিও এবং ছবি এবং ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে টেলিগ্রাম সহ বিভিন্ন অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমে যার সংখ্যা এখন পর্যন্ত লক্ষাধিক। আর এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘ডিপফেক বট’ নামের একটি এপ্লিকেশন। সেনসিটির প্রধান নির্বাহী জর্জিও পাত্রিনির মতে, সেলেব্রিটি এবং রাজনীতিবিদদের ছেড়ে এখন সাধারণ মানুষের ছবি ব্যবহার করে ডিপফেক ভিডিও কিংবা ছবি তৈরির প্রবণতা অনেক বাড়ছে। তিনি আরো যোগ করেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টে কারো একটি মাত্র ছবি থাকলেই তা দিয়ে এ ধরনের ছবি বা ভিডিও তৈরি করা সম্ভব”। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে গলার আওয়াজ নকল করা খুব একটি কঠিন কাজ নয় এখন। এর পরে বিভন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কন্ঠস্বরের সাথে মুখের এক্সপ্রেশন সেট করে ভিডিও তৈরি করা হয়। যা দেখে সহজেই বিশ্বাস করে বিভ্রান্ত হওয়াটাই স্বাভাবকি।

সব প্রযুক্তিরই ভালো এবং খারাপ ব্যবহার আছে। তবে ডিপফেক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত যেই পরিমান অপব্যবহার হয়েছে তা আসলেই আশংকার বিষয়, আর এর মধ্যে প্রধান অপব্যবহর হচ্ছে ফেসসোয়াপিং এবং রিভেন্জ পর্নো নির্মাণে। বর্তমানে অনলাইনে থাকা ৯৬ শতাংশ ডিপফেক ভিডিও পর্নোগ্রাফির অংশ। এর প্রায় সবগুলোতেই নারীদের দেখা যায়৷ এর মধ্যে স্কারলেট ইওহানসেনের মতো তারকা যেমন আছেন, তেমনি আছেন সাধারণ নাগরিকও৷অস্ট্রেলিয়ার নোয়েল মার্টিন হঠাৎ একদিন খেয়াল করেন, ফেসবুকে আপলোড করা তার কিছু সেলফি ফটোশপ করে পর্নো ভিডিওতে ব্যবহার করা হয়েছে৷ একে বলে ‘ফেস-সোয়াপ প্রযুক্তি'৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা জীবন ধ্বংস করে দেয়ার মতো একটা ব্যাপার৷ চাকরি, মানসিক স্বাস্থ্য, আপনার ভাল থাকা, ব্যক্তিগত সম্পর্ক, সুনাম, সম্মান সবকিছুর উপর এর বিশাল প্রভাব পড়ে৷'' ২০১৯ সালে ‘ডিপফেক ডিটেকশন চ্যালেঞ্জ' নামে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ফেসবুক৷ প্রাইজমানি ছিল কয়েক লাখ ডলার৷ উদ্দেশ্য ছিল, ভুয়া ভিডিও ধরার জন্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অনুপ্রেরণা দেয়া৷তবে গত বছরের জুলাইয়ে ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ডিপফেক ভুয়া ভিডিও একেবারে আসলের মতো দেখায় বলে ইতিমধ্যে বিনোদন দুনিয়ায় এর ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। ডিপফেক কনটেন্ট ভারতসহ বহুজাতিক জনসংখ্যার দেশে ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। দুষ্কৃতকারীরা বিকৃত কনটেন্ট ব্যবহার করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাদ তৈরি করতে পারে। ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় বিকৃত করা এসব ভিডিও কনটেন্ট প্রচলিত টেক্সট ও বিকৃত করা ছবির চেয়েও বেশি মারাত্মক। এসব ভুয়া তথ্য মানুষকে বেশি টানতে পারে বা মানুষ এতে হুবহু আসলের মতো দেখতে বলে বিশ্বাস করে বসে। গত বছরে মার্ক জাকারবার্গের একটি ডিপফেক ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা থেকেই এ ধরনের ভিডিওর ভয়াবহতা উপলব্ধি করা যায়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্ক জাকারবার্গসদৃশ কম্পিউটার প্রোগ্রামে তৈরি জাকারবার্গের একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে জাকারবার্গের মতো কথা বলার বা মাথা নাড়ার দৃশ্য রয়েছে। ভিডিওটিতে জাকারবার্গের সফলতার পেছনে একটি গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে দাবি করা হয়।

এখন পর্যন্ত অনলাইনে পনেরো হাজারের উপরে ডিপফেক ভিডিও আছে অনুমান করা হয়। যা কেবল শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য করা হয়েছে বলা হয়ে থাকে। তবে এখন নতুন ডিপফেক তৈরি করতে সময় লাগে মাত্র এক বা দু’দিন, তাই এই সংখ্যাটি খুব দ্রুত বাড়বে এ বিষয়ে সন্দেহ হবার কোন অবকাশ নেই। গ্লোবাল পাবলিক পলিসি ইন্সটিটিউটের গবেষক সারাহ ব্রেসান বলছেন, ‘‘বর্তমানে আমরা দেখছি কোনো রাজনৈতিক দল তার বিরোধীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে৷ এই অবস্থায় যদি প্রযুক্তির সহায়তায় ভুয়া অডিওভিজ্যুয়াল তথ্য যোগ করা যায়, আবেগের কথা বলা যায়, তাহলে কি আমরা সত্যিই বুঝতে সক্ষম হব যে, রাজনৈতিক বিরোধীরা সহিংসতার ডাক দিচ্ছে বা কিছু বলছে? মানুষ সবসময় শান্ত ও বিবেচনাবোধ নিয়ে গণমাধ্যম ব্যবহার করে না৷ তাই সত্যমিথ্যা বুঝতে পারেনা৷ এর প্রভাব সর্বনাশা হতে পারে৷''ব্রেসান বলছেন, এমন সময় হয়ত আসতে পারে যখন মানুষ ধরেই নিবে যে মিডিয়ায় যা দেখানো হয় তার সবই ভুয়া, কারণ কোনটা সত্য তা নির্ধারণ করা ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে৷এমন অবস্থা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার জন্য ক্ষতির হতে পারে। এখন পর্যন্ত ডিপফেকসের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বেশ কিছু ওয়েবসাইট। রেডিট ডিপফেকস নামক ব্যবহারকারীকে ব্যান করে দেবার পর বিভিন্ন পর্ন সাইটও শক্ত অবস্থান নিয়েছে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা ভিডিওগুলির বিরুদ্ধে। তবে, হাতেগোণা কয়েকটি ওয়েবসাইট বাদে বেশিরভাগই এ ব্যাপারে হুশিয়ার হয়নি এখনো। আর নিয়ন্ত্রণহীন ডার্ক ওয়েবের কথা বিবেচনা করলে ডিপফেকস অদূর ভবিষ্যতে সত্য-অসত্য বোঝায় আমাদের আরো মুশকিলে ফেলে দিতে পারে। ডিপফেক ভিডিও ধরতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি কর্মসূচি আছে৷ তারা একে বলছে ‘জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু'৷তবে প্রযুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া সম্ভব নয়৷ কারণ ভিডিও গেম ইন্ডাস্ট্রি ও চলচ্চিত্র নির্মাতারা এর উপর নির্ভরশীল। ডিপফেক ভিডিওর বিরুদ্ধে প্রযুক্তিই একমাত্র সুরক্ষার উপায় নয়। ডিপফেক মোকাবেলায় আপনাকে ভালভাবে অনলাইন বেসিক সুরক্ষা পদ্ধতিগুলি জানতে হবে। পাশাপাশি আপনার পরিবারের সদস্য এবং কর্মক্ষেত্রে সকলকে ডিপফেক চিহ্নিতকরন এবং প্রতিরোধের উপায়গুলির বিষয়ে সচেতন করতে হবে।
সূত্রঃ What are deepfakes

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম :-& ফেসবুক-১ :-& ফেসবুক-২
[email protected]

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২২

সোহানী বলেছেন: একবার যদি বাঙ্গালরি হাতে এ সফ্টওয়ার পড়ে তাইলেতো ভাই খবরই আছে...........

১৩ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ আপু,
মাঝরাতে লেখাটি পড়ে মন্তব্য
প্রদানের জন্য। আমরা একেবারে
সিওর হই কি ভাবে যে এই প্রযুক্তি
বাঙ্গালীর হাতে পরে নাই !! শুনছি
কারো কারো কথা নাকি ভাইরাল
হয়ে গেছে যা এই প্রযুক্তিতে করা!

২| ১৩ ই মে, ২০২১ রাত ১:০৯

স্প্যানকড বলেছেন: হুম, সামনে আরও খবর আছে। প্রযুক্তির উপকারিতা অপকারীতা দুইটাই আছে। ভবিষ্যৎ খুব কঠিন হয়ে পড়বে। ভালো থাকবেন।

১৩ ই মে, ২০২১ রাত ১:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
স্প্যানকড দাদা
প্রযুক্তি এখন অনেকের কাছেই ভীতির কারণ।
তবে প্রযুক্তি ভালো না মন্দ - সেই সিদ্ধান্ত আমাদের।
প্রযুক্তি নিজে নিরপেক্ষ। না ভালো, না মন্দ।
এটি শুধু পারে মানবক্ষমতাকে শত গুণ বাড়িয়ে দিতে
কিংবা মানুষের নৈতিক অবক্ষয়ের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে।
কিন্তু দিন শেষে কোনটি ঘটবে, সে সিদ্ধান্ত আমাদের।

৩| ১৩ ই মে, ২০২১ রাত ১:১৮

কামাল১৮ বলেছেন: আপনি কি মামুনুলের প্রতি ঈঙ্গিত করছেন।মামুনুল ফোনের কথা নিজেই শিকার করেছে।

১৩ ই মে, ২০২১ রাত ১:৩১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আরে তিনিতো চুনোপুটি!
রাঘব বোয়ালদের কথা
মুখে আনবারও সাহস
পাবেন না।

৪| ১৩ ই মে, ২০২১ রাত ১:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সমাধানও বের হবে।

১৩ ই মে, ২০২১ রাত ১:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সমাধানের চেষ্টা চলছে
তবে প্রতিরোধ রোগের
চিকিৎসার চেয়ে বেশী ভাল

৫| ১৩ ই মে, ২০২১ রাত ২:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ডিপফেক লাগে না, সিজিআই (কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজারি) করেই এসব করা যায়। বর্তমানে সায়েন্স ফিকশন ছবিগুলোর বিরাট অংশই থাকে সিজিআই। ওখানে বিভিন্ন মানুষের পার্টস জোড়া দিয়ে আপনাকে বানানোর দরকার নাই, ওসব ছাড়াই হুবহু আপনাকে বানানো যাবে, আর অডিও এডিটিং তো কোনো ব্যাপারই না।

১৩ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সোনাবীজ ভাই আপনার পক্ষে হয়তো
অনেক কিছুই সম্ভব কিন্তু আমাদের মতো
ধুলা বালি ছাই দিয়ে কিছুই সম্ভব্ নয় বিধায়
আতঙ্কে থাকি। আগামীতে সিজিআই সম্পর্কে
লেখার ইচ্ছা রইলো। শুভকামনা রইলো।

৬| ১৩ ই মে, ২০২১ রাত ২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: প্রযুক্তির কিছু সমস্যাও আছে।
তবে আসল চেহারা আর নকল চেহারা, অবশ্যই কিছু প্রার্থক্য থাকবে।

১৩ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:২৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
প্রযুক্তির কোন সমস্যা নাই
সমস্যা মানুষের ! মানুষ ইতিবাচক
না নেতিবাচক ভূমিকায় প্রযুক্তিকে
ব্যবহার করবে তা সেই ঠিক করে।
খুব সুক্ষ্ণ ভাবে না দেখলে আসল
নকলের পার্থক্য ধরা যাবেনা। তবে
কথা হচ্ছে মানুষ সত্যকে নয় মিথ্যাকেই
বেশী বিশ্বাস করে। এটাই মানুষের চরিত্র।

৭| ১৩ ই মে, ২০২১ রাত ২:৪২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তবে, আপনার পোস্ট থেকে ভালো আইডিয়া পাইলাম। এটার টিউটোরিয়াল শিখতে হবে, ফান ভিডিও বা মিউজিক ভিডিও বানানোর জন্য :)

১৩ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সোনাবীজ ভাই আপনার জন্য
ডিপফেক ভিডিও বানানোর একটা
টিউটরিয়াল পাঠালাম। দেখুন কিছু
করতে পারেন কিনা!

৮| ১৩ ই মে, ২০২১ রাত ২:৫৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অতি তাড়াতাড়ি সমাধান বের হওয়া দরকার

১৩ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এর সমাধান বের করার
জন্য নিরলশ কাজ করে যাচ্ছেন। তবে সবার
আগে সচেতন হতে হবে মানুষকে। পাশাপাশি
ডিপফেক মোকাবেলায় ভালভাবে অনলাইন
বেসিক সুরক্ষা পদ্ধতিগুলি জানতে হবে।

৯| ১৩ ই মে, ২০২১ রাত ৩:১৪

জটিল ভাই বলেছেন: জটিলতা বৃদ্ধি ছাড়া হ্রাস পাবে বলে মনে হয় না........

১৩ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

জটিল কথা বলেছেন জটিল ভাই
তবে জটিলতার মাঝেও সহজ সরল
সমাধান আছে। বিষে হয় বিষ ক্ষয়।
যা কি না নিজের অভিজ্ঞতা থেকে
অর্জিত হয়ে থাকে।

১০| ১৩ ই মে, ২০২১ ভোর ৬:৫১

অগ্নিবেশ বলেছেন: আপনি কি বিশ্বাসীদের বিশ্বাস কে সন্দেহ করছেন? অদৃশ্য আল্লাহকে যদি বিশ্বাস করেন, গাল গ্যাদোড এর নগ্ন ভিডিও অবিশ্বাসের কি আছে?? চোখ বুজেই ফিল করতে থাকেন, অসুবিধা কি? তবে যারা সংশয়বাদী তারা যেমন বিনা প্রশ্নে যেমন আল্লাহকে মানে না তেমন ইন্টারনেটের যাই দেখানো হোক না কেনো বিশ্বাস করে না, তারা ঠিক যাচাই বাছাই করেই বিশ্বাস করে। আপনারা তো কোরান হাদিসে আছে বললেই ফালায়ে পড়বেন, একটু পড়েও দেখবেন না, ঠিক কি লেখা আছে। বিপদ আপনাদের জন্যই। এই সব ফেইক টেইক আপনাদের জন্যই তৈরি হয়।

১৩ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অগ্নিবেশ আপনি পবিত্র কোরআনকে কিসের সাথে তুলনা করলেন!
আপনার সাথে তর্ক করার কোন ইচ্ছা আমার নাই। কারন
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছেঃ
যারা অবিশ্বাস করেছে তুমি তাদেরকে সতর্ক কর বা না কর, তাদের পক্ষে উভয়ই সমান;
তারা বিশ্বাস করবে না। (সূরা ২বাকারা: ৬)। অর্থাৎ যাদের ভাগ্যে হেদায়েত নেই,
তাদের জন্য দাওয়াত কোনো কাজে আসবে না। রাসূলুল্লাহ (সঃ)এর বড়ই আশা
ছিল যে, সবাই মুসলিম হয়ে যাক এবং সেই অনুপাতে তিনি প্রয়াসও চালিয়ে
যাচ্ছিলেন। কিন্তু মহান আল্লাহ বললেন, ঈমান তাদের ভাগ্যেই নেই।(তাবারী/১: ২৫২)
এরা এমন কিছু বিশেষ লোক ছিল যাদের অন্তরে মোহর মেরে দেওয়া হয়েছিল।
(যেমন আবূ জাহল এবং আবূ লাহাব প্রভৃতি।) নচেৎ তাঁর দাওয়াত ও তাবলীগের
মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ মুসলমান হয়েছিল। যেমন সূরা ইউনুসে আল্লাহ বলেন:-
যাদের ব্যাপারে তোমার পরওয়ারদেগারের সিদ্ধান্ত নির্ধারিত হয়ে গেছে তারা
ঈমান আনবে না।
(সূরা ১০ ইউনুস: ৯৬)

১১| ১৩ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৪৮

কালো যাদুকর বলেছেন: এগুলো থেকে দুরে থাকার চেস্টা করি। সোসাল মিডিয়াতে কিছু নাই।

১৩ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সচেতন হলে মানুষ বিপদে কম পড়ে।
সচেতন থাকুন, নিরাপদ থাকুন।

১২| ১৩ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪০

ইসিয়াক বলেছেন: কত অজানা রে!

১৪ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দাদা বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন বলেছিলেনঃ
পৃথিবীর এই বিপুল জ্ঞানভাণ্ডারকে জানার ক্ষেত্রে আমি সাগরের তীরে দাঁড়িয়ে থাকা
এক শিশুর মতো, যে শুধু সারাজীবন নুড়িই কুড়িয়ে গেল। সমুদ্রের জলরাশির মতো
বিশাল এই জ্ঞান আমার অজানাই থেকে গেল।
আপনি আমিতো কোন ছার !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.