নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
"সর্বসহা, সর্বহারা, জননী আমার,
তুমি কোনদিন কারো করোনী বিচার।
কারেও দাওনি দোষ, ব্যাথা বারিধির
কুলে বসে কাঁদো, মৌনকন্যা ধরনীর।"
কবির ভাষায়ঃ "মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু জেনো ভাই, ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভূবনে নাই।" মা নামের ছোট্ট এ শব্দটির বিশালতা আকাশ ছোঁয়া। সন্তানের কাছে তার পৃথিবী হচ্ছে মা। মা শাশ্বত, চিরন্তন একটি আশ্রয়ের নাম। মা শব্দটি মনে করিয়ে দেয় অকৃত্রিম স্নেহ, মমতা আর গভীর ভালোবাসার কথা। আজ বিশ্ব মা দিবস। সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হচ্ছে মায়ের প্রতি সন্তানের অকৃত্রিম ভালোবাস আর গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে। তারিখ যাই হোক সারা বিশ্বে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্ব মা দিবস হিসেবে পালিত হয়। সে হিসাবে আজ মা দিবস। সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয়। বাংলাদেশে এর আগে ব্যাপকভাবে দিবসটি পালিত না হলেও গণমাধ্যমে প্রচারের কল্যাণে কয়েক বছর ধরে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মতো মে মাসের দ্বিতীয় রোববার দিবসটি পালনের রেওয়াজ শুরু হয়েছে। কয়েক বছর ধরে আমাদের দেশেও ক্ষুদ্র পরিসরে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। যদিও মাকে ভালোবাসা-শ্রদ্ধা জানানোর কোন দিনক্ষণ ঠিক করে হয় না- তবুও মাকে গভীর মমতায় স্মরণ করার দিন আজ। মা দিবসের মূল উদ্দেশ্য, মাকে যথাযথ সম্মান দেয়া। তবে যে সকল মমতাময়ী মা তাদের চিরন্তন ভালোবাসায় তিলে তিলে গেড়ে তুলেছেন সন্তানের ভবিষ্যৎ, নিরাপদ করেছ্নে তাদের আগামী দূর্ভাগ্য ক্রমে কিছু কৃতঘ্ন সন্তান মায়ের সেই ভালোবাসার প্রতিদানে তাদের পাঠায় বৃদ্ধাশ্রমে। যাদের প্রতিটি মূহুর্তকাটে সন্তানের ফিরে আশার প্রতিক্ষায়। যদি সম্ভব হয় একটি দিনে বৃদ্ধাশ্রমে রাখা মায়ের জন্য কিছু ফুল, ভালো কিছু খাবার নিয়ে তাদের সাথে সারা দিন কাটিয়ে দিন। নিঃসঙ্গ, অসহায় মায়েরা বহুদিন পর সন্তানদের দেখতে পেয়ে যে পরিমাণ খুশি হবেন, তাতে সারা বছর দেখা না করার কষ্টটা কিছুণের জন্য বিলীন হয়ে যাবে। আমরা প্রথম যে বুলি শিখি সেটাও মায়ের মুখ থেকে। পৃথিবীর কেউ আপনার মনের ভাষা বুঝতে না পারলেও মা আপনার মুখ দেখেই বলে দিতে পারবেন আপনি কষ্ট আছেন, না সুখে আছেন। আপনি যত বড়ই হন না কেন, মায়ের কাছে আপনি সেই ছোট শিশুর মতোই। শুধু বিশেষ দিনে নয় ভাগ্যহত সেই সকল মা'য়েদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা প্রতিটি দিনের, প্রতিটি মূহুর্তের।
মা (ইংরেজি: Mother, Mum, Mom) হচ্ছেন একজন পূর্ণাঙ্গ নারী, যিনি গর্ভধারণ, সন্তানের জন্ম তথা সন্তানকে বড় করে তোলেন - তিনিই অভিভাবকের ভূমিকা পালনে সক্ষম ও মা হিসেবে সর্বত্র পরিচিত। প্রকৃতিগতভাবে একজন নারী বা মহিলাই সন্তানকে জন্ম দেয়ার অধিকারীনি। গর্ভধারণের ন্যায় জটিল এবং মায়ের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অবস্থানে থেকে এ সংজ্ঞাটি বিশ্বজনীন গৃহীত হয়েছে। তার বিপরীত লিঙ্গ পুরুষ হচ্ছেন বাবা। মা দিবস বাবা দিবসের অনুপূরক, যা পিতার সম্মান প্রদর্শন জনক অনুষ্ঠান। মা শব্দের সমার্থক শব্দ হচ্ছে - জননী, গর্ভধারিণী, মাতা ইত্যাদি। পৃথিবীর ইতিহাসে সন্তানের জন্মদাত্রী হিসেবে প্রাকৃতিকভাবেই মায়ের অবস্থান। মানব সমাজে যেমন মা-এর অবস্থান রয়েছে, পশুর মধ্যেও মাতৃত্ববোধ প্রবল। সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকেই মা, সকল মমতার আধার ও কেন্দ্রবিন্দু। পৃথিবীর অধিকাংশ ভাষায়ই "মা"-এর সমার্থক শব্দটি 'ম' ধ্বনি দিয়ে শুরু হয়। আর মা দিবস (ইংরেজি: Mother's Day) হল একটি সম্মান প্রদর্শন জনক অনুষ্ঠান যা মায়ের সন্মানে এবং মাতৃত্ব, মাতৃক ঋণপত্র, এবং সমাজে মায়েদের প্রভাবের জন্য উদযাপন করা হয়। এটি বিশ্বের অনেক অঞ্চলে বিভিন্ন দিনে, সাধারণত মার্চ, এপ্রিল বা মে উদযাপন করা হয়। ১৯১২ সালে আনা জার্ভিস মাদারস ডে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিযশেন (আন্তর্জাতিক মা দিবস সমিতি) গঠন করেন। এমনকি তিনিই ‘মে মাসের দ্বিতীয় রোববার’ আর ‘মা দিবস’ এই দু’টি শব্দের বহুল প্রচারণা চালাতে সম হন। ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেসে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে এই দিনে আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হচ্ছে মা দিবস। বিশ্বের প্রায় ৪৬টি দেশে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয় হয়। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সময় সন্তানদের হারানোর পর জুলি ওয়ার্ড নামে এক মহিলা সব মাকে একত্র করেন এ জন্য যে, যাতে কোনো মায়ের সন্তান যেন অন্য মায়ের সন্তানদের হত্যা না করে। তিনি ৪ জুলাই মা দিবস পালনের প্রস্তাব রাখেন। তার প্রস্তাবনা বিবেচনা করে ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দে ২ জুলাই আমেরিকার ১৮টি অঙ্গরাজ্যে মা দিবস পালন করা হয়। কিন্তু কিছু দিন পরেই এই আয়োজন স্তিমিত হয়ে যায়। মে মাসের চতুর্থ রোববারকে মাদারিং সানডে হিসেবে পালন করা হতো ব্রিটেনে। এটা ছিল সতেরো শতকের কথা। মায়ের সাথে সময় দেয়া ও মায়ের জন্য উপহার কেনা ছিল দিনটির কর্মসূচিতে। ব্রিটেনেই প্রথম শুরু হয় মা দিবস পালনের রেওয়াজ। তবে মা দিবস উদযাপনের সূত্রপাত ঘটায় মার্কিন সমাজকর্মী জুলিয়া ওয়ার্টস। কিছু ইতিহাসবিদের মতে, মা নিয়ে এই দিনটি প্রাচীন গ্রিসের মাতৃ আরাধনার প্রথা থেকে সূত্রপাত হয়। গ্রিক দেবতাদের মধ্যে এক বিশিষ্ট দেবী সিবেলের উদ্দেশে পালন করা হতো একটি উৎসব। এরপর আমেরিকার পশ্চিম ভার্জিনিয়াতে প্রথম মা দিবস পালন করা হয় ১৮৫৮ সালে। জুনের ২ তারিখকে তারা বেছে নিয়েছিল মা দিবস হিসেবে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন সর্বপ্রথম মা দিবসকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন।
বিশ্বের সর্বত্র মায়ের এবং মাতৃত্বের অনুষ্ঠান উদযাপন করতে দেখা যায়। এ গুলোর অনেকই প্রাচীন উৎসবের সামান্য প্রামাণিক সাক্ষ্য, যেমন, সিবেল গ্রিক ধর্মানুষ্ঠান, হিলারিয়ার রোমান উত্সব যা গ্রিকের সিবেল থেকে আসে, অথবা সিবেল এবং হিলারিয়া থেকে আসা খ্রিস্টান মাদারিং সানডে অনুষ্ঠান উদযাপন। কিন্তু, আধুনিক ছুটির দিন হল একটি আমেরিকান উদ্ভাবন যা সরাসরি সেই সব অনুষ্ঠান থেকে আসেনি। তা সত্ত্বেও, কিছু দেশসমূহে মা দিবস সেই সব পুরোনো ঐতিহ্যের সমার্থক হয়ে গেছে। মাদারিং সানডের মতো ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে দীর্ঘকাল ধরে বহু আচারানুষ্ঠান ছিল যেখানে মায়েদের এবং মাতৃত্বকে সম্মান জানানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট রবিবারকে আলাদা করে রাখা হত। মাদারিং সানডের অনুষ্ঠান খ্রিস্টানদের অ্যাংগ্লিকানসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পঞ্জিকার অঙ্গ। ক্যাথলিক পঞ্জিকা অনুযায়ী এটিকে বলা হয় লেতারে সানডে যা লেন্টের সময়ে চতুর্থ রবিবারে পালন করা হয় ভার্জিন মেরি বা কুমারী মাতার ও "প্রধান গির্জার" সম্মানে। প্রথানুযায়ী দিনটিকে সূচিত করা হত প্রতিকী উপহার দেওয়া এবং কৃতজ্ঞতাস্বরূপ রান্না আর ধোয়া-পোছার মত মেয়েদের কাজগুলো বাড়ির অন্য কেউ করার মাধ্যমে। একটি গোষ্ঠীর মতে এই দিনটির সূত্রপাত প্রাচীন গ্রীসের মাতৃ আরাধনার প্রথা থেকে যেখানে গ্রিক দেবতাদের মধ্যে এক বিশিষ্ট দেবী সিবেল-এর উদ্দেশ্যে পালন করা হত একটি উৎসব। এশিয়া মাইনরে মহাবিষ্ণুব -এর সময়ে এবং তারপর রোমে আইডিস অফ মার্চ (১৫ই মার্চ) থেকে ১৮ই মার্চের মধ্যে এই উৎসবটি পালিত হত। প্রাচীন রোমানদের ম্যাত্রোনালিয়া নামে দেবী জুনোর প্রতি উৎসর্গিত আরো একটি ছুটির দিন ছিল, যদিও সেদিন মায়েদের উপহার দেওয়া হত। বেশিরভাগ দেশেই মা দিবস হল একটি সাম্প্রতিক রীতি, যা উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে ছুটির দিনটির রীতি অনুসারে চলে এসেছে। যখন অনান্য বহু দেশ ও সংস্কৃতি এটিকে গ্রহণ করে তখন এই দিনটিকে একটি অন্য মাত্রা দেওয়া হয়, বিভিন্ন পর্বের (ধর্মীয়, ঐতিহাসিক বা পৌরানিক) সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়, এবং একটি একদমই অন্য দিন বা বিভিন্ন দিনে এটিকে পালন করা হয়। কিছু কিছু দেশে বহু আগে থেকেই মাতৃত্বের প্রতি উত্সর্গিত কয়েকটি অনুষ্ঠান ছিল এবং সেইসব অনুষ্ঠানে মার্কিন মা দিবসের মত মায়েদের কার্নেশন (গোলাপী ফুল) এবং আরো অন্য উপহার দেওয়া হত। অনুষ্ঠান পালনের রীতিটি অনেক রকম। অনেক দেশে মা দিবস পালন না করলে এটিকে প্রায় একটি অপরাধ গণ্য করা হয়। অনেক দেশে আবার মা দিবস একটি স্বল্প-পরিচিত উত্সব যা মূলত প্রবাসী মানুষেরা পালন করে থাকে বা বিদেশী সংস্কৃতি হিসাবে মিডিয়া সম্প্রচার করে থাকে (U.K বা যুক্তরাজ্যে দীপাবলী পালনের মত)।
পৃথিবী নানা মত ও পথে বিভাজিত হয়ে গেছে। অনেক সম্পর্ক ম্লান হয়ে গেছে। কিন্তু মা শব্দটি এক অন্তহীন ভালোলাগায় মানুষের মধ্যে মিশে আছে আজও। মধুরতম এই শব্দ উচ্চারিত হলেই যেন থেমে যায় মানুষ। শ্রদ্ধায় নত হয়ে আসে শির ও শরীর। মা তো মা-ই। হোক কর্মজীবী কিংবা গৃহিণী মা। সন্তানকে অদৃশ্য এক বাঁধনে বেঁধে তিনি নিজেকে নিরন্তর পুড়িয়ে আনন্দ কুড়াচ্ছেন। কিন্তু মা'য়ের প্রতি একদিনের ভালোবাসা জানানোর কিছু নেই। জন্মদাত্রী মায়ের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা চিরদিনের। সন্তান ও মায়ের বন্ধন আমৃত্যু, শ্বাশত। আল্লাহ তাঁর পবিত্র কুরআনে বলেছেন "আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দু বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে।" (আল কুরআন, সুরা লোকমান, আয়াতঃ১৪।
মা থাকতেও তাকে দূরে সরিয়ে রাখা অনেকটা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা না বোঝার মতো। যার মা পৃথিবীতে নেই, সে যে কতটা অসহায় তার বর্ণনা করে বোঝানো যাবে না। তাই কৃত্রিমতা নয় মা'কে ভালবাসতে হবে হৃদয়ের একান্ত গহীন থেকে। ভালবাসতে হবে একদিনে জন্য নয়: বরং প্রতিদিন ও সার্বক্ষণিক ভাবে। যেভাবে মা ভালোবেসে আমাদের বড় করে তুলেছেন ঠিক সেভাবেই তাকে ভালোবাসতে হবে সারা জীবন। আজ বিশ্ব মা দিবসে পৃথিবীর সকল মায়েদের প্রতি আমাদের অফুরান ভালোবাসা আর অশেষ শ্রদ্ধা । আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
সূত্রঃ পুণঃপ্রকাশ
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম ফেসবুক-১ ফেসবুক-২
[email protected]
০৯ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খাটি কথা তবে উনিশ বিশ !!
কোন সন্তানই মায়ের কাছে
অপ্রিয় নয় তবে কাউকে একটু
বেশী আদর করেন, যেমন আপনি!
অন্য সবার চেয়ে আপনার মা আপনাকে
একটু বেশীই ভালোবাসেন।
২| ০৯ ই মে, ২০২১ রাত ১:৪০
মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: পৃথিবীর সমস্ত মায়ের প্রতি রইলো শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।
০৯ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
সাখাওয়াত হোসেন ভাই
সকল মায়েদের প্রতি
শ্রদ্ধা ও ভালবাসা
জানানোর জন্য।
৩| ০৯ ই মে, ২০২১ রাত ২:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
রাস্তান টোকাই মেয়েটিও মা হবে একদিন, হয়তো স্পীকার শিরিনের মতো, দীপু মনির মতো, বা রওশন এরশাদের মতো হবে না।
০৯ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মা;য়ের কোন জাত হয়না !
মা মা'ই।
৪| ০৯ ই মে, ২০২১ সকাল ৮:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
জগতের সকল মায়ের প্রতি রইল শ্রদ্ধা ও ভালবাসা ।
অনেকেই মা থাকিতে মায়ের মর্ম বুঝেনা । অনেক
মা অভিযোগ করে থাকেন তার সন্তান ও সন্তানবৌ
তাকে সঠিকভাবে সন্মান শ্রদ্ধা ও বৃদ্ধকালে ভরন
পোষন করেনা । গ্রামীন এলাকায় দেখেছি অনেক
অভাবী পরিবার তার বৃদ্ধ মাকে গ্রামে গ্রামে ঘুরে
ভিক্ষা করে চাল ডাল নিয়ে আসার জন্য বাধ্য করে ।
আমার মনে পরে ছোটকালে আমাদের গ্রামের এক
বৃদ্ধা আমার দাদার কাছে এই মর্মে বিচার প্রার্থী হয়েছিল
যে তার একমাত্র রোজগারী ছেলে তাকে ভরন পোষণ
করেনা বরং ভিক্ষা করে আনতে বলে । দাদা ছেলেটাকে
বিচারের জন্য ডাকিয়ে একটি বড় কাঠাল গাছের নীচে
বিচার মঞ্চে নিয়ে আসেন । সে সময়ে গাছে ছিল ২০/৩০
কেজি ওজনের বড় কাঠাল । দাদা ছেলেটিকে গাছে উঠে
একটি বড় কাঠাল পেরে আনতে বলেন । আমরা কেও বুঝতে
পারছিলামনা বিচারটি কি হতে চলেছে । ছেলেটি বেশ বড়
একটি কাঠাল, গাছ হতে পেরে নীচে নিয়ে আসে । এর পর
শুরু হয় বিচার পর্ব । দাদা শক্ত সামর্থ দুই জোয়ানকে
বললেন কাঠালটি ঐ ছেলের উদাম পেটের সাথে মোটা
দড়ি দিয়ে ভাল করে বাধার জন্য যেন তা কোন মতেই
বাধনমুক্ত না হয়ে যায় । ভাল করে বাধার পরে দাদা
ছেলেটিকে বললেন বিচার মঞ্চের চারদিকে দৌঁড়িয়ে
দৌঁড়িয়ে ৪০টি পাক দেয়ার জন্য । ছেলেটি কয়েক
পাক দৌঁড়ানোর পরে মাটিতে পড়ে যায় । আর কাঁদতে
থাকে । দাদা বললেন এখন বুঝ, তোর মা তোকে পেটে
ধরে এমনি করে ১০মাস কষ্ট করেছে । মাকে দেখাশুনা
ও সঠিকভাবে খাবার দাবার দিবে কিনা জানতে চাইলে
ছেলেটি বলে মা যে কি কষ্ট করেছে তা বুঝতে পেরেছি ।
এ জীবন থাকতে আর মাকে কষ্ট দিবনা ।
মাযে কি তা ভুক্তভোগী ছাড়া অন্যরা তা অনেকটা বুঝেনা ।
এ প্রসঙ্গে মনে পরে একটি বিখ্যাত গানের কথা ।
পান্নালাল ভট্টাচার্য ( ১৯৩০-৬৬) ছিলেন একজন বিখ্যাত গায়ক ।
মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তিনি আত্মহত্যা করে মারা যান ।
তার কন্ঠে গাওয়া মা আমার সাধ না মিটিল আশা না পুরিল গানটি
আজো বাঙ্গালী হিন্দু মুসলমানের মনে মায়ের
প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি ভালবাসার গান হিসাবে
সমাদৃত হয়ে আছে । গানটির লিরিক হলো
মা
আমার সাধ না মিটিল
আশা না পুরিল
সকলি ফুরায়ে যায় মা ।
জনমের শোধ ডাকি গো মা তোরে
কোলে তুলে নিতে আয় মা
সকলি ফুরায়ে যায় মা
পৃথিবীর কেউ ভাল তো বাসে না
এ পৃথিবী ভালবাসিতে জানে না
যেথা আছে শুধু ভালবাসাবাসি
সেথা যেতে প্রাণ চায় মা
সকলি ফুরায়ে যায় মা
আমার সাধ না মিটিল
আশা না পুরিল
বড় দাগা পেয়ে বাসনা ত্যাজেছি
বড় জ্বালা সয়ে কামনা ভুলেছি
অনেক কেঁদেছি কাঁদিতে পারিনা
বুক ফেটে ভেঙে যায় মা
সকলি ফুরায়ে যায় মা।।
কথা হলো মাকে ভালবাসতে
না পড়লে সকলি ফুরায়ে যাবে।
মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা রইল
০৯ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আলী ভাই
চমৎকার দীর্ঘ মন্তব্য
মায়ের প্রতি ভালোবাসার
বহিঃপ্রকাশ। অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনাকে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে
সুন্দর একটি গানের লিরিক সংযোজনের জন্য।
৫| ০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পৃথিবীর সকল মা নিরাপদ ও সুস্থ থাকুক
০৯ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ছবি আপু
পৃথিবীর সকল মায়েরদের জন্য আপনার
প্রার্থনার জন্য। আল্লাহ আপনার এই দোয়া
কবুল করুন। আমিন
৬| ০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৯
রানার ব্লগ বলেছেন: মা, ভালো থাকো, বেঁচে থাকো !!!!
০৯ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমিন।
আপনার দোয়াও কবুল হোক
মহান আল্লাহর দরবারে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মে, ২০২১ রাত ১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: মায়ের ভালোবাসা সব সন্তানের জন্য সমান হয় না। এই কথাটা কি ভুল?