নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
,
সীমান্ত বন্ধসহ নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরও অবশেষে বাংলাদেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে। এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি নমুনায় এই ধরন পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (৮ মে) দুপুরে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সম্ভবত ভারতে ভ্রমণ করে আসা কারও শরীরে এই ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি নমুনা পরীক্ষায় ভারতীয় স্টেইন ধরা পড়েছে। যা জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটাতে (জিএসআইডি) প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কয়জনের মধ্যে পাওয়া গেছে সেই সংখ্যাটা আমাদের কাছে আসেনি, তাই বলতে পারছি না। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। যশোরে কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতফেরত ৪ রোগীর দেহে ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে। এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীরা ভারত থেকে ফিরেছেন। তারা চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন এবং বর্তমানে যশোরে অবস্থান করছেন। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ভারত থেকে দেশে ফেরার পর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকাদের মধ্যে ৬০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে ফিরেছেন। তবে তারা করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কি না সেটি জানতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন (ভ্যারিয়েন্ট) বি.১.৬১৭ শনাক্ত হওয়ার খবর দিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। আজ শনিবার আইইডিসিআর জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত চারজন রোগীর শরীরে করোনার ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে। এ প্রসঙ্গে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে একটি নমুনা পাওয়া গিয়েছে। সেটি আমি দেখেছি। আর ধরা পড়ছে বলেই এ ধরনের তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।প্রতিষ্ঠানটির গবেষক সৈয়দ মুক্তাদির আল সিয়াম আজ শনিবার জিআইএসএআইডির উপাত্ত ধরে বলেন, বাংলাদেশে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট (ধরন) বি.১.৬১৭.২ পাওয়া গেছে। আইইডিসিআর এটি সাবমিট করেছে। ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভের নমুনা সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান হলো ‘আইদেশি’(Ideshi)। সৈয়দ মুক্তাদির বলেন, জিএসআইডির উপাত্ত বলছে, এটি গত ২৮ ও ২৯ এপ্রিল সংগৃহীত নমুনা থেকে পাওয়া গেছে।যেহেতু ভাইরাসের একই ধরন বাংলাদেশেও ঢুকে পড়েছে তাই ভারতের মতো বাংলাদেশেও ব্যাপক প্রাণহানি ও আক্রান্তের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ডব্লিউএইচও জানায়, করোনার বি.১.৬১৭ ধরনটি প্রথমে ভারতে শনাক্ত হয়। তবে এ ধরন ভারত ছাড়াও যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুর থেকেও ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকান ধরনের অস্তিত্ব মেলে বাংলাদেশে। ঢাকার বনানীর ৫৮ বছর বয়সী এক নারীর শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় এই স্ট্রেইন পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষক দল। এছাড়া গত ৫ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসা ছয়জনের দেহে করোনাভাইরাসের আরেক নতুন ধরন পাওয়া যায় বলে আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়। রুন্তরিত এই নতুন ধরন গত ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হয়।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত বিধ্বস্ত ভারত। দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুতে দেশটি একের পর এক রেকর্ড গড়ে যাচ্ছে। এতে দৃশ্যত দেশটির চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অক্সিজেনের অভাবে বহু করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ডব্লিউএইচও বলছে, ভারতে করোনার অন্যান্য যে ধরন রয়েছে তার চেয়ে এটি অনেক বেশি সংক্রামক। ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য তিনটি কারণ উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার মধ্যে একটি হলো করোনার অতি সংক্রামক ধরনের বিস্তার। ফলে দেশটিতে প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ খুব দ্রুত ঘটছে। দেশে করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং হয় অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহার নেতৃত্বে। তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) বিজ্ঞানী। উপাত্ত তুলে ধরে সেঁজুতি সাহা বলেন, ‘যে ভেরিয়েন্ট (বি.১.৬১৭.২) বাংলাদেশে পাওয়া গেছে, সেখানে ই৪৮৪কিউ মিউটেশনটি নেই। এটা থাকলে খুব ক্ষতিকর হতো। এখানে আমাদের টিকা কাজ করবে বলে মনে হয়।’ তিনিআরও বলেন, ‘ভারতে ভ্রমণ করে আসা কারও শরীরে এই ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে। গতকালই পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড এটিকে ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাই ইমিডিয়েটলি এর সঠিক কোয়ারেন্টিন, কন্টাক্ট ট্রেসিং এবং সিকোয়েন্সিং করে আমাদের নজরদারি বাড়াতে হবে। সাবধানে থাকতে হবে।’ সুতরাং এখনই গুরুত্বের সাথে এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সূত্রঃ IEDCR
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম ফেসবুক-১ ফেসবুক-২
[email protected]
০৮ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৫৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নিজেরা সাবধান না হলে
বিপদ আসবেই!
আল্লাহ অবশ্যই কোনো জাতির অবস্থা
পরিবর্তন করেন না,যতক্ষণ না তারা নিজের
অবস্থা নিজে পরিবর্তন করে।
সুরা রাদ,আয়াত,১১।
২| ০৮ ই মে, ২০২১ রাত ৮:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
এই সংবাদ আসার কথা ছিলো।
০৯ ই মে, ২০২১ রাত ১২:০০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব আমরা সবই বুঝি
তবে একটু দেরীতে !!'
দূর্ভাগা দেশ! কি জানি
আছে সামনে।
৩| ০৮ ই মে, ২০২১ রাত ১১:২২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমরা প্রস্তুত, তবে আগে ঈদ শপিং আর গ্রাম যাত্রা শেষ করে আসি!!
০৯ ই মে, ২০২১ রাত ১২:০২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমরা সবসময়ই প্রস্তত
কারন আমাদের আল্লাহ আছেন।
তাই তার উপর ভরসা করে
ঈদ শপিং আর বেড়ানোটা
সেরে নেই।
৪| ০৯ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: একজনের ভুলের জন্য এক হাজার জনের ভূগতে হবে।
০৯ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এটা্ই দুনিয়ার নিয়ম
শুকনা বনে আগুল লাগলে
ভিজা বন ও পুড়ে ছারখার
হয়ে যায়। আল্লাহ আমাদের
সহায় হোন। আমিন
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮
স্প্যানকড বলেছেন: খাইছে কাম সারছে ! আল্লাহ রক্ষা কইর সকল কে ।