নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
প্রতিবছর সংযম ও আত্মশুদ্ধির মহান বারতা নিয়ে আমাদের মাঝে আসে পবিত্র মাহে রমজান। পৃথিবীর সব দেশেই আসে। লোভ, হতাশা, সংকীর্ণতা, কাম, ক্রোধ, দুর্নীতি অসততা ইত্যাদি অসৎগুণাবলি সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। এগারো মাস চলে আসা এ পঙ্কিল জীবন থেকে মুক্তির পথ বাতলে দেয় সিয়াম। সিয়াম কুপ্রবৃত্তিগুলোকে দমন করে নির্লোভ, নিরহঙ্কার, সমাজ হিতৈষী, হতাশামুক্ত জীবন গঠনে সহায়তা করে। সালাতের পরই সার্বজনীন গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত রমজান মাসের সিয়াম। এর মধ্যে আত্মিক বা আধ্যাত্মিক এবং স্বাস্থ্যগত দ্বিবিধ উপকারিতা রয়েছে। সিয়ামে অসৎগুণাবলি থেকে যেমন আত্মাকে রক্ষা করা যায় তেমনি খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রিত হয়ে স্বাস্থ্যেরও উপকার হয়। সারাবছরের পাপ ও আত্মশুদ্ধির জন্য মহান আল্লাহর কাছে মাগফেরত কামনা করে ধর্মপ্রাণ মুসলমান। বিগত দিনের ভুলত্রুটি ও অন্যায়ের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। কিন্তু আমাদের মাঝে আসা এই পবিত্র রমজান যেন হাজির হয় একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। রমজান আসলেই যেন এদেশের বাজারে আগুন লাগে। তার উপর গত দুই বছর করানার অযুহাতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য পন্যের দাম। চাল,ডাল, তেলসহ কোন পণ্যই আর সঠিক দামে বিক্রি হয়না। দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়াকে বাগে আনা যাচ্ছেনা কিছুতেই। তরমুজ বিক্রি হয় কেজি দরে। রমজানের আগে তরমুজের কেজি ছিলো ২৫ টাকা রমজানে তা বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জেল জরিমানা করেও কোন সুরহা করতে পারছেনা কর্তৃপক্ষ। অথচ প্রান্তিক চাষিরা দাম না পেয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন।
প্রতিবছর রমজানে পিটিয়ে দ্রব্যমূল্যের আগুন আয়ত্ত্বে রাখার চেষ্টা করলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কাছে পরাজিত হয় সব চেষ্টা ও কলা কৌশল। "মজুদদার-মুনাফাখোর-তোলাবাজদেও গ্রেফতার কর, দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া রুখো" এই সকল শ্লোগান ধ্বনিত হয় সর্বত্র। প্রতিবছর রমজানের আগে এই মহড়ার পূনরাবৃত্তি ঘটলেও মজুদার,মুনাফাখোর-তোলাবাজরা অঘোষিত আর পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক নিজ নিজ দায়ত্ব পালনে থাকেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ফলে সাধারণ জনগন প্রতি রমজানেই পুড়তে থাকে এক অদৃশ্য অনলে। মহান আল্লাহর দরবারে তার এবাদত বন্দেগী দ্বারা তার পাপ মোচন করতে পারলেও বাজারের আগুনে সে ঝলসাতে থাকে প্রতিনিয়ত। এর থেকে তার কোন পরিত্রান নাই। পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে মূল্যবৃদ্ধির জুয়া খেলা কেবলমাত্র আমাদের দেশেই সম্ভব। বিশ্বের আর সব মুসলিম দেশেই শুনেছি পবিত্র রমজান এলে জিনিষপত্রের মূল্য কমে, সকল জনগণের মাঝেই সংযম বাড়ে। আর আমাদের দেশে মানুষের মাঝে অসংযমতা বৃদ্ধি পায় আর সেই সুযোগে জিনিস পত্রের মূল্য বৃদ্ধিপায়। জনগণ যেন এই মাসে বেহিসেবীর মত খরচ করতে পিছপা হন না। তারা ভুলে যান রমজান সংযমের মাস। এ থেকে মনে হয় মানুষ মানুষকেই বেশি ভয় করে, আল্লাহকে নয়। সারাদিন অভুক্ত থেকে ইফতারী ও সেহরীতে বাহুল্য অতিআয়োজন ও অপচয় করার নাম সংযম বা রোজা নয়। প্রতিক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন করাই রমজানের আদর্শ।
রমজান মাসে শয়তানকে শৃঙ্খলিত রাখা হয়। ফলে অন্যান্য মাসের তুলনায় এ মাসে অপরাধের সংখ্যা থাকে কম। কিন্তু পবিত্র এ মাস বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে সমাজে আবারও অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। কারণ সমাজব্যবস্থায় এমন সব অপরাধের ক্ষেত্র প্রতিষ্ঠিত, ব্যক্তি যা থেকে কখনও নিষ্কৃতি পায় না। এ জন্য কোরআনে বলা হয়েছে- ‘হে মুমিনগণ! তোমরা সর্বাত্মকভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পথ অনুসরণ করো না।’ (২: ২০৭) সিয়ামের আধ্যাত্মিক শিক্ষা নিয়ে আসুন আমরা সর্বাত্মকভাবে ইসলামে প্রবেশ করি। তবেই শয়তান অন্য মাসে আমাদের ধোঁকা দিতে পারবে না। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা কি তাদেরকে (কাফের মুশরেক) ভয় কর? প্রকৃতপক্ষে আল্লাহকে ভয় করাই তোমাদের পক্ষে বেশি প্রয়োজন যদি তোমরা মুমিন হও।’ (সূরা তাওবা : ১৩), প্রকৃতপক্ষে প্রবৃত্তির অনুসরণ, সামাজিক ঐতিহ্য রক্ষার নামে কুসংস্কৃতির প্রসার ও মনগড়া নেতৃত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করার ফলে নিজের আত্মা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে। ফলে বাকি এগারোটি মাস আত্মাকে সংযমে রাখা যাচ্ছে না। তাই আত্মশুদ্ধির প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বৃথাই হয়ে যাচ্ছে। কেবল আহার থেকে বিরত থাকলেই সিয়ামের উদ্দেশ্য হসিল হয় না। বরং জীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্তে প্রত্যেকটি খারাপ কাজ থেকে বিরত থেকে আত্মাকে পবিত্র রাখাই সিয়ামের মূল উদ্দেশ্য। সুদ, ঘুষ, জিনা, ব্যভিচার, মিথ্যা, প্রতারণা, গিবত, জালিয়াতি, ভেজাল, দুর্নীতি ইত্যাদি থেকে পরিত্রাণের জন্যই সিয়াম পালনের নির্দেশ। আসুন আমরা যার যার অবস্থান থেকে প্রকৃত সংযম প্রদর্শন করে প্রকৃত আত্মশুদ্ধি লাভে ব্রত হই।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম ফেসবুক-১ ফেসবুক-২
[email protected]
০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এটাকি সভ্যতা ?
২| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২৪
কামাল১৮ বলেছেন: রমজানে একটু বেশি বেশি খাওয়া দরকার ।সারাদিন না খেয়ে থাকার জন্য শরীরে ইমিউনিটি কমেযায়,একটু বেশি এবং পুষ্টিকর খাদ্য না খেলে শরীর দুর্বল হয়ে নানান সমস্যা হতে পারে।বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিকস আছে।
০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খেতে বারণ নাই তাই বলে
হারাম উপার্জন খেতে হবে?
৩| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা জিনিস এর দাম বেড়েছে। আমি বাজারে যাই আর অবাক হই। সরকার চুপ করে আছে কেন?
০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৫৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সরকার চুপ করে নাই তবে
মুনফা লোভেীদের কারসাজির
কাছে পরাস্ত। অবাক হয়ে দেখা
ছাড়া কোন বিকল্প নাই
৪| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১:১৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ব্যবসায়ীরা যেহেতু মানছেনা, সরকার যেহেতু পারছে না, সেহেতু ভোক্তাদের উচিত সংযমী হওয়া।
রোজার এক মাস তরমুজ, খেজুর, ছোলা, ডাল, মাংস ইত্যাদি কিনা বন্ধ করে দিলেই সব.....
০৮ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার সামর্থ নাই, আমি না হয় নাই খেলাম
কিন্তু এই লকডাউনে, ঢাকা টাউনে অনেকের
বেশুমার রোজগার তাই তারা খাচ্ছে বেশুমার।
কৃচ্ছতা সাধন করে গরীবকে দেবার বেলায়
খাবার বেলাতে নয়।
৫| ০৬ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু,
অপ্রিয় সত্য হলেও বলতে দ্বিধা নেই যে, সংযমের মাসেই আমরা সবচেয়ে বেশী অসংযমী হয়ে পড়ি। রোজা রেখে, না খেয়ে লোক দেখানো সংযম করে মিছে আত্মতৃপ্তি খুঁজি। কিন্তু আমাকে কেউ বুকে হাত দিয়ে বলুক - রোজার মাসে সংযমের কারনে তার সংসার খরচ কমে অর্ধেক হয়েছে। কেই কি অস্বীকার করতে পারবেন যে , রোজার মাসে তার সংসার খরচ অন্যান্য মাসের তুলনায় তিন থেকে চারগুন বাড়েনি ? কোনও ব্যবসায়ী কি বলতে পারবেন , কারনবিহীন জিনিষের মূল্য বাড়িয়ে তিনি সারা বছরের সমান বিক্রি এক মাসেই করে ফেলেন নি ?
আসলেই সবকিছুতেই প্রকৃত সংযম প্রাকটিস করা উচিৎ, শুধু না খেয়ে দিনটা পার করা নয়।
০৮ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জী এস ভাই এটাতো সহজ হিসাব।
একটা ১০০ টাকার তরমুজ যদি
৪০০/৫০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়!
২০ টাকার শশা যদি ৬০/৭০ টাকা
বিকায়! ১০০ টাকার সয়াবিন যদি
১৬০ টাকা হয় তা হলে সংসার খরচ
তিন/চার গুন বাড়বেই। যাদের নাই
তারা সংযমেন প্রাকটিস না চাইলেও
করতে বাধ্য। তবে এ মাসে কারো
কারো আয় বাড়ে অন্যান্য মাসের
তুলনায় ৩/৪ গুন তারা কেন সংযমী
হতে যাবে। এটাই বাস্তবতা।
৬| ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ২:২৪
নতুন বলেছেন: দেশে ভন্ডের সংখ্যা বেশি নাকি ধামিকের সংখ্যা বেশি?
০৮ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অবশ্যই ভণ্ডদের চেয়ে ধার্মিকের সংখ্যা বেশী
এ বিশ্বাস আমাদের অন্তরে থাকতে হবে।
তা না হলে দেশ এতদিন টিকে থাকতে পারতোনা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৪৯
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সংযমের মাসে সকল কিছুই সংযত হওয়া উচিৎ। কিন্তু যা কিছু ঘটছে চারপাশে যে হতবুদ্ধি হতে হয়।