নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
আজ ৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। ইউনেস্কোর ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমকর্মীরা এ দিবসটি পালন করে আসছেন। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় এই দিবসটিতে। এবারে দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘তথ্য জনগণের পণ্য’। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের সাংবাদিকরাও তাদের পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় এই দিবসটি পালন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে এবছর প্রেস রিলিজ ও বিবৃতির মাধ্যমে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করবে সাংবাদিক সংগঠনগুলো। নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার ও সরকারের গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতার অপরিহার্য নিয়ামক গণমাধ্যমের অবাধ ও মুক্ত ভূমিকা পালনে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতে সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গত ১১ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। ২০০৯ সালে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে।
২০০৯ সালে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল ৪৪৫টি, ২০২০ সালে এখন দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ১২৯৪টি। ২০০৯ সালে সাপ্তাহিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল ২০৮টি, এখন সেটি ১২০৮টি।’এবারের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। কোভিড-১৯ উদ্ভূত জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় নাগরিকদের তথ্যপ্রাপ্তি ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিতে সংকটকালীন গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত ও স্বাস্থ্যসুরক্ষার পাশাপাশি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো সচল রাখা নিশ্চিতকরণে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ জানিয়েছে টিআইবি।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় এবছর আরও এক ধাপ পিছিয়েছে। গত ২০ এপ্রিল রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) ২০২১ সালের এই সূচক প্রকাশ করে। ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর সেই সূচকে এক ধাপ করে পেছাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘‘রিপোটার্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স’’ বা আরএসএফ এর এপ্রিলের শেষার্ধে প্রকাশিত ২০২০-এর রিপোর্টে দেখা গেছে, বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে ১৫১তম স্থানে- যা এর আগের বছর ছিল ১৫০তম স্থানে। ২০১৮ সালে ছিল ১৪৬তম স্থানে। এবারের সূচকে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে। বাংলাদেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান (১৪৫), ভারত (১৪২), মিয়ানমার (১৪০), শ্রীলঙ্কা (১২৭), আফগানিস্তান (১২২), নেপাল (১০৬), মালদ্বীপ (৭৯), ভুটান (৬৫)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যম কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে, তার ভিত্তিতে ২০০২ সাল থেকে আরএসএফ এই সূচক প্রকাশ করে আসছে। এ সম্পর্কে ভয়েস অব আমেরিকার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে- দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা টিআইবি, বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রসহ অনেক সংস্থাই বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিম্নধারার পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে যারা গণমাধ্যমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা বলছেন, এরপরও মুক্ত গণমাধ্যম সম্ভব। আমরা সাংবাদিকতার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছি। এটাকে চাকরি হিসেবে নেইনি। দায় আমাদের, সমাধানের দায়িত্বও আমাদের। অন্য কেউ সমাধান এনে দেবে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছাড়া সুন্দর দেশ বা সমাজ গঠন করা সম্ভব নয়।’ তাই ‘গণমাধ্যমের বিকাশ ও মুক্তগণমাধ্যম অপরিহার্য।’ ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপপ্রয়োগ হচ্ছে যা কারও কাম্য নয়। বাংলাদেশে সাংবাদিকরা এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন তারা, এই বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনো পরিস্থিতির মধ্যে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। ‘কোভিড-১৯ মহামারিকে দুর্নীতির মহোৎসবে পরিণত করার পাঁয়তারায় যারা লিপ্ত তাদের অশুভ তৎপরতা নিয়ন্ত্রণের অন্যতম শক্তি হতে পারে মুক্ত গণমাধ্যম। মুক্ত, স্বাধীন ও একইসঙ্গে দায়িত্বশীল গণমাধ্যম রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়া ও একটি বহুমাত্রিক সমাজ বিনির্মাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মুক্ত, স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়। তাই ব্যবসা ও রাজনীতির অশুভ আঁতাতের জাল ছিন্ন করে মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে; গণমাধ্যম ও তথ্যপ্রকাশ সংক্রান্ত জ্ঞান বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে ‘জনগণের পণ্য’ হিসেবে তথ্য প্রাপ্তির গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুরক্ষিত হয়।” বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন ও ত্যাগী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানানোর লক্ষ্যে এই দিবসটি হোক সাংবাদিক সমাজের অঙ্গিকার।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম ফেসবুক-১ ফেসবুক-২
[email protected]
০৩ রা মে, ২০২১ সকাল ১১:২৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জটিল ভাই বড়ই জটিল প্রশ্ন !!
তবে আমার মনে হয় বাক স্বাধীনতা
দিবসকে একটি দিনে বন্দি রাখা হয়না
অন্তত আমাদের দেশে ! বড় বড় মালপানি
আলা মানুষের (দানভির) যে ভাষা ব্যবহার
করেন তাতে সারমেয়রাও লজ্জা পায়। সুতরাং
বাক স্বাধীনতা নাই এমন ভাবার কারন আছে কি?
ভাই আমি কিন্তু একটাকাও এখনো পাইনি ! যদি
পাই তখন বলতে পারবো কবে এসেছিলো !!
অপেক্ষায় থাকুন।
২| ০৩ রা মে, ২০২১ রাত ২:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি ব্যতিত, বাংলাদেশে আর ভালো সাংবাদিক টাদিক আছে নাকি?
০৩ রা মে, ২০২১ সকাল ১১:৩৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি্ই সেরা আমিই ভালো
আর সব আছে যারা সবাই কালো!
তারা থাকে অন্ধকারে খুঁজে নাহি পাই
তবে ব্যতিক্রম আছে মোদের রাজিব ভাই।
৩| ০৩ রা মে, ২০২১ সকাল ১১:০৯
কালো যাদুকর বলেছেন: বাংলাদেশে কি এ দিনের কোন গুরুত্ব আছে?
০৩ রা মে, ২০২১ সকাল ১১:৫৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কালো যাদুকর ভাই
সব দিনেরই গুরুত্ব আছে
আর কারো কাছে না হোক
গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে
এ দিনের গুরুত্ব অনেক।
৪| ০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে নিরপেক্ষ কোনো ব্যানেল বা পত্রিকা নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১:১১
জটিল ভাই বলেছেন: বিশ্ব বাক স্বাধীনতা দিবস কবে?
আর সাংবাদিকদের ১০ কোটি আসছে কবে?