নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
সৃষ্টির সময় মহান আল্লাহতালা মানুষকে জ্ঞানের স্বল্পতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এ কথা সবার জানা। তিনি ঘোষণাও করে দিয়েছেন মানুষ ঐ সামান্য জ্ঞান নিয়েই লাফালাফি করে। পৃথিবীর কোনো মানুষই ভুলের ঊর্ধে নয়। মানুষ মনভোলা বলে সহজে সবাই বলে, ভুলতো মানুষেরই হয়। ভুল করেনি এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। মানুষ তার জ্ঞানের স্বল্পতার কারণেই ভুল করবে এটাও স্পষ্ট। তাই যেখানে মানুষ আছে সেখানে ভুলও থাকবে। ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া জরুরি, ভুলই মানুষকে উন্নত করে। ভুলের কারণে মানুষ শেখে, ভুলে সংশোধন হয়। তাইতো কথায় বলে “ঠেকছি যেখানে শিখছি সেখানে”। যখন পত্রিকায় কাজ করতাম তখন সংবাদ সংগ্রহের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে হানা দিতাম বিজ্ঞাপন সংগ্রহের জন্য। এ ব্যাংক থেকে ও ব্যাং,ক এ অফিস থেকে সে অফিস। মোটামুটি মতিঝিল পাড়াকে পদানত করে রাখতাম প্রায় প্রতিদিন। মনে উদ্যম ছিলে শরীরে শক্তি ছিলো। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশ ছিলো তাই বড় কোন অসুখ ধারে কাছে ঘেষতোনা কেবল মাত্র জ্বর সর্দি ছাড়া। এসব ছোট খাট সমস্যাকে উড়িয়ে দিতাম তুড়ি মেরে। ব্যাঙের আবার সর্দি জ্বর !! তবে দিন সবসময় এক ট্রাকে চলেনা। প্রতিনিয়তই সে গতি পরিবর্তন করে। বয়স বাড়ার সাথে যেমন শরীরের পরিবর্তন হয় তেমনি চাকুরীর বাজারেও কাজের ধরণ পাল্টায়। প্রিন্ট মিডিয়ার বিজ্ঞাপন আর সংবাদ সংগ্রহের ধরণ পাল্টে ইলেক্টনিকস মিডিয়ার একটি স্বনামধন্য টেলিভিশন চ্যানেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় ঠাই হলো। এখানে কাজে গতি থাকলেও হাটা চলার গতি কমে গেলো। ৬ তলা থেকে ১০ তলার মধ্যে বিচরণ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়লো। কয়েক বছর আরাম আয়েশে কাটায়ে বুঝলাম শরীরে রোগ ব্যাধিও বাসা বাধতে শুরু করছে। রক্তের গরমে প্রথম প্রথম পাত্তা দিতাম না। ফলে আরাম আয়েসে রোগ ব্যধিও তার ডাল পালা বিস্তার করেছে। বিভিন্ন উপসর্গের অস্তিত্ব অনুভব করতে লাগলাম। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, মাত্রাছাড়া খাওয়াদাওয়ার ফলে বারে বারে প্রস্রাবের বেগ, পিপাসা পাওয়া থেকে বুঝলাম ডায়াবেটিসের কারনে দেখা দিচ্ছে এই সমস্যা। ডায়াবেটিস একটি নীরব ঘাতক। এতে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। এটি এমনই এক রোগ যাকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে সচেতন থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভ্ব। কিন্তু এখনও অনেকে মাঝে সেভাবে সচেতনতা বাড়েনি। চিকিৎসকদের মতে, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, মাত্রাছাড়া খাওয়াদাওয়ার ফলে বাড়ছে ডায়াবেটিসের সমস্যা। এছাড়া মানসিক চাপ ও অনিয়ম থেকেও অনেকের শরীরে বাসা বাঁধে এই রোগটি। আমি বুঝতেই পারিনি কখন ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। যখন বুঝলাম তখন মেঘে মেঘে বেলা অনেক হয়ে গেছে। তাই এখন বুঝতে পারছি ডায়াবেটিসের লক্ষণ কি, আর কোন কারনে শরীরে সুগারের মাত্রা বাড়ছে। কারণ আমি ঠেকেছি তাই শিখেছি। আমি এখন মোটামুটি ১১টি লক্ষণ টের পাচ্ছি। সেই ১১টি লক্ষণ সম্পর্কে আপনিও জানুন, চিনে রাখুন নীরব ঘাতক ডায়াবেটসকে। আপনি আক্রান্ত তখনই বুঝবেন যখন আপনি
১। বেশি বার বাথরুমে যাচ্ছেন।
বার বার প্রস্রাব হওয়া কিন্তু ডায়াবেটিসের লক্ষণ। সুস্থ স্বাভাবিক যে কোনও মানুষ দিনে চার থেকে সাতবার বাথরুমে যান। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে তা অনেক বেশি হয়। এর কারণ হল শরীর অতিরিক্ত গ্লুকোজ তৈরি করে, তা প্রস্রাবের মধ্যে দিয়েই বাইরে আসে। যে কারণে অল্প পানি খেলেও বারে বারে বাথরুমে যেতে হয়।
২। ইউরিন ইনফেকশন হওয়াঃ
কোন কারণ ছাড়াই ইউরিন ইনফেকশন, জ্বর হচ্ছে? তাহলে ইউরিন ইনফেকশনের ওষুধের পাশাপাশি ডায়াবেটিস চেক করয়ে নিন। আপনার অজান্তেই হয়তো শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। যে কারণে বার বার ইনফেকশন হচ্ছে, বাথরুমে সমস্যা হচ্ছে।
৩। সবসময় তৃষ্ণা পাওয়াঃ
১০ মিনিট আগেও পানি খেলে যেন মনে হচ্ছে আবারও গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। মুখ আর গলার চারপাশ সবসময় শুকনো থাকছে। প্রয়োজনের থেকে বেশি পানি খেয়েও তৃষ্ণা মিটছে না। এরকম সমস্যা হলে একবার সুগার টেস্ট করিয়ে নিন।
৪। খিদে বেড়ে গেলেঃ
শরীর যখন খাবার হজম করায় তখন শক্তি উৎপন্ন করে। গ্লুকোজ ভেঙে সেই শক্তি আসে। কিন্তু ইনসুলিন যখন ঠিক মতো কাজ করে না তখন এই প্রক্রিয়া থাকে পুরোপুরি বন্ধ। ফলে রক্তে বাড়তে থাকে গ্লুকোজের মাত্রা। আর প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবার খেলেও তখন মনে হয় পেট ভরেনি।
৫। খুব দ্রুত ওজন কমে যাওয়াঃ
ওজন বেড়ে যাওয়া যেমন ভালো নয়, তেমনই দ্রুত ওজন কমে যাওয়াও খুব খারাপ। যারা টাইপ-১ ডায়াবেটিসের শিকার তাদের খুব দ্রুত ওজন কমে যায়। ওটাও ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণ।
৬। শরীর ক্লান্ত লাগলেঃ
ডায়াবেটিস বাড়লে শরীর অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগে। থেকে থেকে ঘুম পায়। এছাড়াও কমে যায় পরিশ্রম ক্ষমতা। এমনকী পর্যাপ্ত ঘুমালেও মেটে না ঘুমের চাহিদা। ফলে তারা যেখানে-সেখানে ঘুমিয়ে পড়েন। তবে এই বিষয়টি অবহেলা করবেন না। পরিশ্রম করলে সবারই ক্লান্তি আসে, ঘুম পায়। কিন্তু শরীরে সুগারের মাত্রা বাড়লে এই ঘুম পাওয়া হল অন্যতম লক্ষণ। সব সময় মনে হবে ঘুম কম হচ্ছে।
৭। ত্বক খসখসে হয়ে গেলেঃ
মুখ আর ত্বক আগের থেকে খসখসে হয়ে যাচ্ছে। চামড়া সবসময় শুকনো থাকছে। এছাড়াও কোন কারণ ছাড়াই সবসময় গা চুলকাচ্ছে। মুখের ভেতর চুলকোনো, পায়ের পাতা জ্বালা করা এসবও কিন্তু ডায়াবেটিস বাড়ার লক্ষণ।
৮। দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে গেলেঃ
চশমা ছাড়াই সব দেখতে পেতেন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে সমস্যা হচ্ছে। সব আবছা লাগছে। দৃষ্টিশক্তি পরিস্কার হচ্ছে না, এসবই কিন্তু সুগারের লক্ষণ। কারণ সুগার বাড়লে তার প্রথম প্রভাব পড়ে চোখে আর কিডনিতে। যে কারণে কোমর ব্যথা, পায়ে ব্যথা ইউরিনের সমস্যা আসে। সেই সঙ্গে চশমা ছাড়া দেখতেও অসুবিধা হয়। চোখ সবসময় জ্বালা করে।
৯। পায়ে ব্যথা হলেঃ
পেশির টান, পায়ের তলায় ব্যথা ও জ্বালা সুগার বাড়লে এই সমস্যাও আসে। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারা যায় না। চামড়া ফেটে যায়। সুগার খুব বেশি বাড়লে এই সমস্যা কিন্তু আসতে বাধ্য। এছাড়াও পায়ের চামড়া মোটা হয়ে যাওয়া (কড়া পড়ে যাওয়া) সুগারের লক্ষণ।
১০। ঘা শুকাতে সময় লাগলেঃ
সামান্য কোনও ঘা যদি শুকাতে সময় লাগে তাহলে মনে রাখবেন আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি। সুগার থাকলেই যে কোনও কাটা থেকে রস গড়ায়। ওষুধ লাগালেও ক্ষত সহজে সারতে চায় না। কাটার জায়গা লাল হয়ে ফুলেও যায়। যদি দেখেন ১০ দিনেও কোনও কাটা শুকাচ্ছে না। তখন একদম অবহেলা করবেন না। অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
১১। সর্বপরি কিডনির সমস্যাঃ
ডায়াবেটিস বাড়লে কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। কিডনিতে সমস্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অনেকগুলি অংশও ক্ষতিগ্রস্থ হতে শুরু করে। প্রস্রাবে, রক্ত, পা ও চোখ ফোলা, ক্লান্ত বোধ, শ্বাসকষ্ট হওয়া, উচ্চ রক্তচাপ অনুভব করা, প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস হওয়া এবং শরীরে ফোলাভাব কিডনিতে সমস্যার প্রধান লক্ষণ।
এসব হলে একদম অবহেলা করবেন না। অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আমি উপরের সমস্যাগুলো ফেস করছি এবং এখন নিয়মিত ইনস্যুলিন নিচ্ছি দু'বেলা। খাবার খাচ্ছি চিকিৎসকের পরামর্শ মতে। সব তরকারীর বিচি এমনকি মরিচের বিচিও অপসারণ করে খেতে হচ্ছে। কারণ ঠেকেছি তাই শিখেছি। আপনিও সময় থাকতে সতর্ক হোন,নিয়ম মেনে চলুন, সুস্থ্য থাকুন।
একটি ড্রাফট করা রম্যঃ
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম ফেসবুক-১ ফেসবুক-২
[email protected]
২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এটা হলো খাদক শ্রেণির ডায়াবেটিসের লক্ষণ!
পরিনতি মুটকির উপাধি!!
২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৪
শায়মা বলেছেন: আমার রোগের লক্ষনের নাম পেয়েছি।
মনে হয় ডায়াবেটিসের ভাই মোটাবেটিস!
২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
একটু ডেন্ডার প্রবেলম !!
এটা হবে মুটকিবেটিস !!
৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২৬
শায়মা বলেছেন: আমি তো তবুও ভালো বলেছিলাম মোটাবেটিস আর তুমি তো এক্কেবারে মুটকিবেটিস বানায় দিলে!!!!!
২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যে যবর যা আর
যে জাতের যা
হাহাহা
৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৪
কামাল১৮ বলেছেন: বাঁচার একমাত্র উপায় আল্লাহ ভরসা।আল্লাহ আগে থেকে প্লান করে রেখেছেন কাকে কিভাবে মারবেন।মানুষের করার কিছুই নাই।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কথা সত্য তবে
অসুখ বিসুখে আল্লাহর সাহায্য
কামনার সাথে দাওয়াই পথ্যেরও
ব্যবস্থ্যা করতে হবে। চিকিৎসকের
পরামর্শ মতো চলতে হবে।
৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মূলমন্ত্র হলো মুখ নিয়ন্ত্রণ করা। ডায়াবেটিস কী কারণে কীভাবে হয়, সেটা জানতে পারলেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজ হয়। আমাদের অগ্ন্যাশয় বা প্যানক্রিয়াটিসে তৈরি হয় ইনস্যুলিন। আমরা খাবারের সাথে যেই কার্বোহাইড্রেট শর্করা খাই, তা ভেঙ্গে হ্য় গ্লুকোজ, ফল থেকে হয় ফ্রুটরোজ। মিষ্টি জাতীয় খাবারে থাকে শুগার। ইনস্যুলিনের কাজ হলো এই শুগার, গ্লুকোজ বা ফ্রুক্টোজকে ভেঙে শক্তিতে রূপান্তর করা। কিন্তু, কোনো কারণে যদি প্যানক্রিয়াটিসে সমস্যা দেখা দেয়, ফলে ইনস্যুলিনের পরিমাণ কমে যায়। ফলে শরীরে জমা হওয়া শুগার ভাঙবার মতো পর্যাপ্ত ইনস্যুলিন না থাকায় অতিরিক্ত শুগারের কিছু প্রস্রাবের সাথে বেরিয়ে যায়, কিছু চর্বি হিসাবে জমতে থাকে, ফলে মানুষ মোটা হতে থাকে। আর, মনে রাখতে হবে, আমাদের শরীরের শক্তির প্রধান উৎস হলো শুগার। কিন্তু, ইনস্যুলিনের অভাবে যখন শুগার না ভেঙে প্রস্রাবের সাথে বেরিয়ে যাচ্ছে, কিংবা চর্বি হিসাবে জমা হচ্ছে, তখন শরীর প্রয়োজনীয় শক্তি পাচ্ছে না, আর শক্তির অভাবে মানুষ দুর্বল হয়ে যেতে থাকে।
এই পরিপাক ক্রিয়া জানা হলো। এখানে বোঝা যাচ্ছে, কার্বোহাইড্রেট বা শুগার পরিহার করতে হবে বা কম খেতে হবে। অনুশীলনের সময় শরীরের শুগার ভেঙে যায়, যার ফলে একদিকে শক্তি উৎপন্ন হয়, অন্যদিকে ইনস্যুলিনের কাজটাও কিছু সমাধা হইয়া গেল।
মুখ কন্ট্রোল করা গেলে ডায়াবেটিস কোনো রোগ না।
আমি হাই ডোজের মেডিসিন খাই ৪ বছর ধরে। এই মেডিসিন আমার শরীরে ডায়াবেটিস সৃষ্টি করেছে। সকালে ১টা, রাতে ১টা পরোটা খাই। দুপুরে অল্প ভাত। ১১টা, ৫টার সময় চা-বিস্কুট খাই। ডেইলি মিনিমাম ৫কিলোমিটার হাঁটার চেষ্টা করি। ইনস্যুলিন নিই, মেডিসিন খাই। আমি আল্লাহর রহমতে পুরা ফিট আছি।
আরেকটা ব্যাপার হলো, ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানা এবং এর ওষুধপত্র সম্পর্কে নিজেকে আপডেটেড রাখাও জরুরি।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সোনাাবীজ ভাই
ছোট বেলায় একটা গল্প শুনেছিলাম।
এক রোগী তার পেটের পীড়া নিয়ে ডাক্তারের
কাছে আসলেন।
ডাক্তার তার পরীক্ষা নিরিক্ষার
পরে বুঝলেন এটা ফুট পয়জনিং।
তিনি রোগীকে
বললেন কি খেয়েছেন গতকাল।
রোগী বললো
মিয়া বাড়িতে বিরাট ভোজ ছিলো। সবার খাবার
পরেও অনেক খাবার অতিরিক্ত ছিলো কিন্তু গরমে
নষ্ট হয়ে যাবার পরে তা পাড়া প্রতিবেশীদের বিলিয়ে
দিয়ে ছিলেন। সেই বাসী খাবার খেয়েই তার এমন অবস্থা।
ডাক্তার সাহেব রোগীকে একটি চোখের ড্রপ দিলেন চোখে
ব্যবহার করার জন্য।
রোগী বললো আমার পেটের অসুখে চোখেরে ড্রপ কেন?
ডাক্তারের জবাব আপনারও জানার কথা !
আপনি ফিট আছেন যেনে খুশী হলাম। কিন্তুু আমি আনফিট!
করোনা কালে প্রতিদিন ৫ কিঃমিঃ হাটা সম্ভব হচ্ছে না।
রোজায় একটু বেশী খাওয়া দাওয়া হচ্ছে। মুখ নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না।
৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৮
মা.হাসান বলেছেন: সব তরকারীর বিচি এমনকি মরিচের বিচিও অপসারণ করে খেতে হচ্ছে।
এই পথ্য/চিকিৎসা প্রথম শুনলাম।
শুরুতে ধরা পড়লে ডায়েট আর এক্সারসাইজে কন্ট্রোলে থাকে। কিন্তু দেরি হয়ে গেলে মুশকিল।
দিনে ১৮ ঘন্টা ল্যাপটপে বসে দেশোদ্ধার যারা করে, পরিনাম কি জানে না।
সতর্ক হলে পরিবারের কান্না রোধ করা যায়।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মা.হাসান ভাই ঠিক ধরেছেন।
দেশ উদ্ধার করতে গিয়ে নিজের খেয়ে
বনের মোষ তাড়াচ্ছি। সে যা হোক
শুধু তরকারীর আর মরিচের বিচিই নয়
সকল প্রকার ডাল, ছোলা, ব্যাসন, টমেটোর
বিচি, সিমের বিচি,শশার বিচি, পেয়ারার বিচিও
বাদ দিতে হচ্ছে। কিডনি সমস্যাতে যে কোন ধরনের
বিচি সমস্যার কারন হয়ে দাড়ায়।
৭| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ২:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: ১১ টি লক্ষন থেকে আমার মধ্যে ৭ টি লক্ষন আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৪
শায়মা বলেছেন: আমার শুধু একটা লক্ষনই বেড়েছে বেশি খিধা লাগা আর ওজন কমার পরিবর্তে ১০ কেজি বাড়া!
আমারফ রোগের লক্ষন কি ভাবছি!