নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
জীবনভর যাঁতাকলে পিষ্ট হতে থাকা মানুষগুলোকে বলা হয় মধ্যবিত্ত। সংসারের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। করোনার ভয়াল থাবায় আরো জটিল হয়েছে পরিস্থিতি। একদিকে বাড়ছে জীবনযাত্রার খরচ, অন্যদিকে কারো চাকরি যাচ্ছে, কারো কমেছে বেতন। ভো'গবাদী এই সমাজে মধ্যবিত্ত প্রায় সবসময়ই বি'পদে ছিল। তাদের টিকে থাকাই ছিল ক'ঠিন। যদিও শহরের মধ্যবিত্তদের চাহিদা খুব একটা বেশী নয়। গাড়ী বাড়ি চাইনা তাদের। শুধু বাচ্চারা একটু ভালো স্কুলে পড়ুক। চলার মতো রুটি-রুজির ব্যবস্থা হোক। এই নিয়েই তাদের দৈনন্দিন চলা। জীবনের সঙ্গে এ্ই ল'ড়াই তাদের দীর্ঘদিনের। বারবার হোঁ'চ'ট খে'য়েছেন, আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন তবে থেমে থাকেন নি। কিন্তু কালা'ন্তক করোনা তাদের জীবনে যে বি'প'র্যয় নিয়ে এসেছে তা অভা'বনীয়। একদল ফিরে গেছেন বাড়ি। দীর্ঘকালে তিলে তিলে গড়ে তোলা সংসার মধ্যরাতে, সকালে অথবা দুপুরে তারা তু'লে দিচ্ছেন পিকআপে। ফিরে যাচ্ছেন গ্রামে। অনেকদিন আগে যে গ্রাম ছে'ড়ে এসেছিলেন। কথা হচ্ছে, সেখানেও তাদের সামনে অপেক্ষা করছে অনি'শ্চয়'তা। বাকিরা ল'ড়ছেন এখনো এই শহরে। স্রে'ফ টি'কে থাকার সংগ্রাম। জীবনযাত্রার ব্যয় যেভাবে বেড়েছে সেভাবে তাদের মানিব্যাগ বড় হয়নি। পরিবারের সদস্যদের চাওয়া পাওয়ার অনেক কিছুই পূরণ হয়নি। এখন তাদের টিকে থাকাই ক'ঠিন। চিরকালীন মধ্যবিত্তের জীবনটা সবসময়ই ক'ঠিন। আগেও এখনও। তাল গাছের আড়াই হাতের বাস্তবতা তাদের জীবন আটকে দিয়েছে। এই আড়াই হাত তারা কোনদিনই পাড়ি দিতে পারেনাই। বাংলাদেশের ১৬কোটি মানুষের চার কোটি পরিবারের মধ্যে ৬০ ভাগ নিম্ন, মধ্য ও উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবার। যার সংখ্যা আড়াই কোটি পরিবারের মতো। গত বছর ৮ মার্চ দেশে প্রথম নভেল করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। প্রথম দিনই তিনজনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ আক্রান্ত বেড়ে ৩ থেকে দাঁড়ায় ১৪ জনে। ওইদিনই করোনায় প্রথম মৃত্যুসংবাদে কেঁপে উঠেছিল দেশ। ওই বছরের ৫ নভেম্বর মৃত্যুর সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছিলো। একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর আসে ৩০ জুন। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এর সপ্তাহখানের পর ২৬ মার্চ থেকে সরকার সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এবছরও মহামারি করোনা ভাইরাস করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আরও ১০২ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১০ হাজার ৩৮৫ জনে। এ নিয়ে টানা তিন দিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে আরও ৩ হাজার ৬৯৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জন। পরিস্থিতি বিবেচনায় গত ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ৭ দিনের লকডাউনে করোনা পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি না হওয়ায় ১৪-২১ এপ্রিল সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। তৃতীয় ধাপে আরও এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে করছে সরকার।
সর্বাত্মক লকডাউনের কারনে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, সরকারি-বেসরকারি কর্মস্থল বন্ধ। করোনার কারনে সাধারণ ছুটি বা লকডাউন শুরুর পর সবচেয়ে বি'পর্য'য়ে পড়ে নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ। তাদের বেশির ভাগই নিজেদের জীবিকা হা'রিয়ে ফেলেন। অনেকে শহর ছে'ড়ে চলে যান। এসব নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যো'গ দেখা যায়। মধ্যবিত্তের ওপর আ'ঘা'তটা আসে আরেকটু পরে। সঞ্চয় ভে'ঙে খাওয়া শেষে তারা দেখেন হাতে কিছুই নেই। পরিবর্তিত সময়ে তারা সবচেয়ে বেশি সং'ক'টে পড়ছেন বাসা ভাড়া মে'টা'তে গিয়ে। যা বেতন পান দেখা যায় তার অর্ধেক চলে যায় বাসা ভাড়া মেটাতে। বাকি অর্ধেকে টে'নেটু'নে চলেন। কিন্তু এমন মধ্যবিত্তের অনেকেই চাকরি হা'রিয়েছেন। পোশাক খাত বাদ দিলেও অন্তত দেড় কোটি মানুষ চাকরি হা'রাতে বসেছে। এ সেক্টর ধ'রলে সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে। সব কারখানায় কর্মী ছাঁ'টাই শুরু হয়েছে। এভাবে চ'লতে থাকলে দেশে বেকারের সংখ্যা দিন দিন ভ'য়াব'হ আ'কা'রে বেড়ে যাবে এবং তাদের জন্য এই শহরে টে'কা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বেতন আ'টকে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠানে। কেউবা দু’মাসে একবার বেতন পেয়েছেন। বেতন কমে গেছে অনেকের। এমনকি কয়েকটি ব্যাংকও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কমিয়েছে। ক'ঠিন এ সময়ে জীবিকার টা'নে পেশা পরিবর্তন করেছেন কেউ কেউ। মধ্যবিত্তরা শত কষ্টের মধ্যেও সহজে হাত পাততে পারেন না। প্রাণ খুলে বলতে পারেন না অভাব অনটনের কথা। সামাকিজ মর্যাদা ও স্টাটাস রক্ষা কথাও ভাবতে হয় অভাব মেটানোর পাশাপাশি। তাই বাধ্য হেয়ে নানা ক্ষুদ্র ব্যবসায় নিজেদের জ'ড়িয়েছেন তারা। বাস্তবতা হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবী ছা'ড়া কেউই আসলে ভালো নেই।
করোনা পরিস্থি'তি যে এতটা ক'ঠিন হবে তা অবশ্য শুরুর দিকে আঁ'চ করা যায়নি। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, জুলাইয়ের মাঝামাঝির পর কিংবা জুলাইয়ের শেষ দিকে শান্ত হতে পারে ভাইরাসটি তাণ্ডব। কিন্তু নিশ্চিত করে সেটাও বলা যাচ্ছে না। আর গত দুই সপ্তাহে যে হারে দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যু বেড়েছে সেটা অব্যাহত থাকলে জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত সংখ্যাগুলো কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা আন্দাজ করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে ভাঁজ পড়ছে। এ বাস্তবতায় সল্প আয়ের মানুষ নয়, মধ্য আয়ের মানুষসহ দেশের সব মানুষই এখন বি'পদগ্র'স্ত। একদিকে মানুষ চাকরি হা'রিয়ে গ্রামে চলে যাচ্ছে। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিও চা'পের মু'খে পড়েছে। যেখানে গ্রামের মানুষ জীবন মান উন্নয়নের জন্য ঢাকায় আসেন সেখানে তারা ঢাকা ছে'ড়ে চলে যাচ্ছেন। তারা কর্মসং'স্থান চায় সেখানে কর্মসং'স্থান সং'কু'চিত হয়ে আসছে। দেশে বে'কার'ত্বের সংখ্যা এমনিতেই বেশি ছিল। এ অবস্থা'য় নতুন করে হাজার হাজার মানুষ বে'কার হচ্ছেন। ফলে নানামুখি সংকট আর হতাশার আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে মধ্যবিত্ত শ্রেণি। এদিকে লকডাউনের ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধে্র অযুহাতে তদুপরি রমজান মসের চিরাচরিত নিয়মে দিন দিন বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম। প্রতিটি দ্রব্যের দাম কয়েক দফা বেড়ে তা ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে চাল কেজি প্রতি ১৪/১৫ টাকা, মোটা ডাল কেজি প্রতি ৩৫ টাকা, খেসারি প্রতি কেজি ৩০/৩৫ টাকা, সোয়াবিন তেল ১০/১৫ টাকা, পেয়াজ কেজি প্রতি ১৭/২০ টাকা, রসুন কেজি প্রতি ৩৫/৪০ টাকা, আদা কেজি প্রতি ৫০/৬০ টাকা, ছোলা বুট কেজি প্রতি ১০/১২ টাকা, কেজি প্রতি ৮/১০ টাকা চিনিসহ প্রায় প্রতিটি দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আর দাম বৃদ্ধিতে সংসার চালাতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের। এ পরি্স্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের যোগানও দিতে পারছেন না তারা। আবার তা প্রকাশ্যে বলতেও পারছেন না। প্রায় তিন মাস ধরে দেশের এই করোনা পরিস্থিতিতে স্থবির হয়ে পড়েছে জাতীয় অর্থনীতি। আমদানি-রফতানি বন্ধ বললেই চলে। পোশাক কারখানার নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষের দুবেলা ভাতের অনিশ্চয়তা আরও প্রগাঢ় হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়েও রুটি-রুজির খোঁজে অনেকেই রাস্তায় নামছেন। কর্ম হারিয়ে হাজার হাজার মানুষের বেহাল দশা। অনেক প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কর্মচারীদের বেতনের একটা ভাগ কর্তন করা হচ্ছে। ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থের টানাপোড়েন। যেন চারপাশ থেকে নেতিবাচক ও হতাশাব্যঞ্জক অন্ধকার দেশটাকে ঘিরে ধরেছে।
গত ৪১ বছর ধরে এই ঢাকা শহরে আমার পদচারণা থাকলেও এখন মনে হচ্ছে শহরটা আর আমার নেই। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) কবে পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে কেউ বলতে পারবে না। দীর্ঘস্থায়ীভাবে এ ভাইরাস পৃথিবীতে রয়ে যেতে পারে। বছরের পর বছর মানুষ করোনা ভাইরাসে প্রাণ হারাবে। মানব জাতিকে করোনা ভাইরাস দীর্ঘস্থায়ীভাবে ভোগাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেলথ ইমারজেন্সি প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক ডা. মাইক রায়ান। তাই সারাবিশ্বের মানুষের কাছে বর্তমানে একটাই চাওয়া করোনা ভাইরাসমুক্ত পৃথিবী। করোনা ভাইরাসের কারনে উদ্ভূত দেশের এই অর্থনৈতিক এ মন্দা কাটিয়ে দেশ কবে আবার ঘুরে দাঁড়াবে সেটাও অনেকাংশে অজানা। দেশের যে কর্মসং'স্থান ছিল তা ধ'রে রাখার জন্য সরকারের কোনো পদ্ধতি নেই। সরকার এ নিয়ে অনেককিছুই করতে চাইছে। সরকারি সেফটিনেটের বাইরে থাকা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এ বিষয়ে তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার অভাবে তা পুরোপুরি সফল হচ্ছে না। এই জায়গাতে আরও জবাবদিহিতা ও নজরদারি বাড়বে- মানুষ এমনটিই প্রত্যাশা করছে। করোনা মোকাবিলায় নতুন করে নতুন পদ্ধতিতে গোটা দেশকে জোনভিত্তিক যে বিভাজন করা হয়েছে, সেটিরও যথাযথ প্রতিফলন প্রত্যাশা করে জনগণ। করোনা নামক দানবের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের সচেতন অংশগ্রহণও জরুরি। করোনা বিজয়ী হতে হলে সরকার, অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও আপামর জনগণের একযোগে রুখে দাঁড়ানো ছাড়া কোনও বিকল্প নেই।
সূত্রঃ রিপোস্ট
প্রসঙ্গ করোনা ভা্ইরাসঃ আগের পর্বঃ
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম ফেসবুক-১ ফেসবুক-২
[email protected]
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হাসালেন গাজীসাব। এই পড়ন্ত বয়সে এসেও যদি আপনি মধ্যবিত্ত মানুষ না চিনেন তবে আপনার জন্য
করুনার উদ্রেক হওয়া ছাড়া আর কি কোন্ পথ আছে! যা হোক আপনার জ্ঞাতাথে বলছি
করোনায় ঢাকা শহরের মধ্যবিত্ত চেনা যাচ্ছে ভাড়া বাড়ি ছেড়ে গ্রামে যাওয়ার মধ্য দিয়ে৷
কারণ, মধ্যবিত্ত ত্রাণের লাইনে দাঁড়াতে পারেন না৷ অভাবের কথা মুখ ফুটে বলতেও পারেন না৷
মধ্যবিত্তের অবস্থান মাঝখানে৷ তাই না পারে নীচে নামতে , না পারে উপরে উঠতে৷
এই করোনাকালে তাই সে হাঁসফাঁস করছে মধ্যবিত্ত৷ যা বলতে চেয়েছি আমার লেখায়।
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ হাসিনা কোন ধরণের সর্বদলীয় সহযোগীতার ডাক দিয়েছেন?
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলমান করোনাভাইরাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে
ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দেশের ৩৬ লাখ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা
প্রদান করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
করোনার কারণে কর্মহীন এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জনপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা
হারে আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনার সুপারিশ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ আমাকে না খাইয়ে মারবেন না।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যদি আল্লাহর উপর বিশ্বাস থাকে তবে
যার জীবনে যতটুক রিজিক বরাদ্দ আছে
ততটুকু শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন মানুষ
না খেয়ে মরেনা।
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৪৩
সোহানী বলেছেন: মধ্যবিত্তরা সবসময়ই যাঁতাকলে পিষে। এখন এ করোনায় ভয়াবহ সমস্যায় তারা দিন পার করছে। কেউই নেই ওদের দেখার।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সোহানী আপু আমাদের ব্লগের বট বৃক্ষ জানেন না মধ্যবিত্ত কারা !!
মধ্যবিত্ত নিয়ে তাকে আমার প্রথম সবকঃ
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের মতে এক ব্যক্তির ক্রয় ক্ষমতা (পিপিপি)
যদি প্রতিদিন দুই মার্কিন ডলার থেকে ২০ মার্কিন ডলারের মধ্যে
হয় তাহলে তাকে মধ্যবিত্ত বলা যায়৷ এই হিসেবে তারা বলছে,
বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত হলো তিন কোটি ৭ লাখ৷ বিশ্বব্যাংকের
মধ্যবিত্তের আয়ের হিসেবটি একটু বেশি৷ যাদের প্রতিদিন আয়
১০ থেকে ৫০ ডলার, তারা মধ্যবিত্ত৷তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
দুই থেকে চার ডলার প্রতিদিনের আয় হলেই মধ্যবিত্ত৷ সেই হিসেবে
যার মাসিক আয় ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা সেই মধ্যবিত্ত৷
এটা বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৩০ ভাগ৷ ১৬ কোটি মানুষের
হিসেবে সংখ্যাটি দাঁড়ায় চার কোটি ৮০ লাখ৷এরাই সব চেয়ে বিপদে
আছে করোনা কালে
৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৪৬
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: একটা বড় রকমের দোয়ার আয়োজন করলে কেম হয়।কতো কিছুর জন্য আপনি কত রকমের দোয়ার কথা বলেন।আপনার দোয়া মোয়ার কেরামতি কি শেষ।
সবাই বলছে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে আর আপনি বলছেন একত্র হতে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কোন কথার কোন মানে তা যদি আপনি নাই বোঝেন
তা হলে তর্ক করা ছেড়ে দেন। করোনা থেকে বাঁচতে
সামাজিক দুরত্ত আর করোনা পরবতী সমস্যা সমাধেনে
এক হয়ে কাজ করার মানে কি আপনার মন্তব্যে প্রতিয়মান
হয়েছে। ডিভেটেড আর এডিক্টেট এর কি এক অর্থ হয়?
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে কোন ধরণের লোকজনকে/পরিবারকে মধ্যবিত্ত বলা হয়?