নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
বিশ্বজুড়ে এখন সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। বর্তমানে কয়েক মাস যাবত সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। প্রায় দুইশত রাষ্ট্র এতে আক্রান্ত। এ পর্যন্ত বিশ্বে ১৩৮,৮২৭,১২৬ মানুষ ভাইরাসকবলিত এবং মৃতের সংখ্যা ২,৯৮৫,৪৪৪জন। অপরদিকে বাংলদেশে ৭,০৭,৩৬২ জন আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১০,০৮১ জন। কথা উঠছে করোনা ভাইরাস গজব না রহমত? অনেকে বলছেন, চিনের উহান শহরে যে-করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে সেটা নাকি উইগুরে ঘটমান অত্যাচারের জবাবে আল্লাহর গজব। গজবের বিষয়ে আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ যখন সৃষ্টিজগত তৈরী সম্পন্ন করলেন, তখন একটি কিতাবে লিখে রাখলেন, যা তাঁরই কাছে তাঁর আরশের উপর রয়েছে, অবশ্যই আমার রহমত আমার গজব অপেক্ষা অগ্রগামী।’’ [বুখারি ৩১৯৪,৭৪০৪, ৭৪২২, ৭৪৫৩, ৭৫৫৩, ৭৫৫৪, মুসলিম ২৭৫১, তিরমিযি ৩৫৪৩, ইবন মাজাহ ১৮৯, ৪২৯৫, আহমদ ৭২৫৭, ৭৪৪৮, ৭৪৭৬, ২৭৩৪৩, ৮৪৮৫, ৮৭৩৫, ৯৩১৪] সুতরাং মহামারি যত না গজব, মানুষের বিশ্বাস ও আচরণের ফলে তা এর চেয়ে বেশি রহমত হিসেবেই প্রতিপন্ন হয়ে থাকে। প্লেগ সম্বন্ধে আমাদের মা আয়িশার এক কৌতূহলের জবাবে প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) বলেছিলেন, «আল্লাহ যাকে ইচ্ছে তাকে এই শাস্তি দেন৷ তবে এটাকে তিনি বিশ্বাসীদের জন্য রহমতও করেছেন৷ কেউ যদি নিজের শহরে প্লেগে আক্রান্ত হয়, সেখানেই থাকে, সবুর করে, আশা করে আল্লাহ তাকে পুরস্কার দেবেন, যদি বোঝেন, আল্লাহ যা ইচ্ছে করবেন, তা ছাড়া আর কিছু হবে না, সে তা হলে শহিদের সমান পুরস্কার পাবে৷» [বুখারি] আমরা জানি, দুঃখ-কষ্টের মধ্যেও ঈমানদাররা ঈমানের আলোকেই ইতিবাচক চিন্তা করে। মন্দের ভেতরেও তারা ভালো কিছু খুঁজে পায়। আমরা করোনাভাইরাস থেকে গোটা মানব জাতির জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। পাশাপাশি এর মাধ্যমে পাওয়া কিছু ভালো দিক নিয়েও আলোচনা করতে চাই। তকদিরে যা আছে, তাতো হবেই, তবে, ঈমানদারের জন্য আল্লাহর কোনো ফায়সালাই ক্ষতিকর হতে পারে না। এটি আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। এখানে ভীতি কাম্য নয়। কাম্য সতর্কতা ও ঈমান।সুতরাং মহামারীকে গজব না ভেবে আল্লহর রহমত ভাবুন। আল্লাহ সকল মুসকিল আসানের মালিক। এই বিপদের সময়টিতে মানুষের মনোভাব বিশ্লেষণ করে সঠিক দায়িত্ব পালন করার বিকল্প নেই। মানুষকে একথাটি বোঝাতে হবে, মহামারি যত না গজব, মানুষের বিশ্বাস ও আচরণের ফলে তা এর চেয়ে বেশি রহমত হিসেবেই প্রতিপন্ন হয়ে থাকে।
বিপদ-আপদ, রোগ-মহামারি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদির দুটি রূপ রয়েছে। হযরত ইমাম গাযযালী বলেন, ‘যে বিপদ মানুষকে আল্লাহমুখী করে, সেটি তার জন্য রহমত। আর যে বিপদে মানুষ আল্লাহ থেকে দূরে সরে যায় কিংবা আল্লাহ থেকে উদাস ও বেভুল অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে, এটি তার জন্য গজব।’ দুনিয়ার সবচেয়ে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ প্রজন্ম সাহাবায়ে কেরামের জীবনেও এমন বিপদ, রোগ-মহামারি এসেছে। হযরত ওমর (রা.)-এর যুগে ৬৩৯ খ্রিষ্টাব্দে সিরিয়ার মহামারিতে গভর্নর আবু ওবায়দা ইবনুল জাররাহ শাহাদতবরণ করেন। সাহাবী মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)-ও প্লেগ মহামারিতে শহীদ হন। অনেক সাহাবী ও পরবর্তীতে বহু ওলী-আউলিয়া এসবে শাহাদতবরণ করেছেন। তাহলে বিপদকে এককথায় গজব বলা উচিত হবে না। এখানে একই সমস্যা ঈমান ও জীবনবোধের আলোকে দুটি রূপ নিয়ে ধরা দেয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে মহামারিতে মৃত্যুবরণকারীরা শহীদ।’ এ বিপদমুহূর্তে পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত গোটা দুনিয়া বেশ অসহায় হয়ে পড়েছে। সবার মুখেই শোনা যাচ্ছে, প্রার্থনার কথা। আল্লাহর নাম নেওয়ার কথা। সৃষ্টিকর্তার সাহায্য কামনার কথা। মানুষ আল্লাহমুখী হচ্ছে। এটি বিপদের একটি বড় ইতিবাচক অর্জন। নাস্তিকতার বিষবাষ্প কিছুটা হলেও স্থিমিত হয়ে যাচ্ছে। উন্নত বিশ্বে নাস্তিকতা ছিল একটি ফ্যাশন। ধর্মহীনতা ছিল এক ধরনের স্মার্টনেস। ভাইরাসের বিপদ নামার পর দুনিয়াজুড়ে লোকজন ধর্মমুখী হচ্ছে। নাস্তিকতার তুফান দুর্বল হয়ে আসছে। পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন যা প্রায় বিরল হয়ে গিয়েছিল, ইদানীং তা বিপদের কারণে অনেকটা আগের জায়গায় ফিরে এসেছে। পড়া বন্ধ থাকায় ছেলেমেয়েরা যেমন ঘরে, ঠিক তেমনি বাইরে অল্প সময় দিয়ে মা-বাবাও দ্রুত ঘরে ফেরায় তাদের পরস্পরে দেখা-সাক্ষাৎ, কথাবার্তা, একসাথে খাওয়া-দাওয়া বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ মা-বাবা, ভাইবোন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর খবর নিতে পারতো না। এখন জরুরি অবস্থায় সবাই একে-অপরকে যেভাবে পারে যোগাযোগের মধ্যে রাখছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের জীবনাচার শেয়ার করতো, এখন তারা বাস্তব জগতে বসবাস করছে।নবী করিম (সা.) আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মহামারির সময় ধৈর্য্য সহকারে, সওয়াবের আশায় নিজেকে ঘরে রুদ্ধ রাখে, এ ধারণা নিয়ে যে, আল্লাহ তার ভাগ্যে যা লিখে রেখেছেন এর বাইরে কোনো কিছুই ঘটবে না। সে ব্যক্তিও শহীদের সাওয়াব পাবে।’ মহামারিতে তার মৃত্যু হোক বা নাই হোক। ফতহুল বারী, শরহে বুখারী ১৯৪/১০।
গুনাহ বেশি হলে সবকিছু থেকে বরকত উঠে যায়। ফ্যাসাদ শুরু হয়ে যায়। বিপদ ও বালা-মুসিবত একের পর এক আসতেই থাকে। যুগে যুগে মানুষকে আল্লাহু তাআলা বিভিন্ন আজাব-গজব দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন, সতর্ক করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান, মাল ও ফল-ফলারির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যারা নিজেদের বিপদ-মুসিবতের সময় বলে “নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা আল্লাহরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী”, তাদের ওপরই রয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও রহমত এবং তারাই হেদায়াতপ্রাপ্ত।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৫৫-১৫৭)।সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের প্রতি কিছু দেশ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা যে বৈরিতা ও বিদ্বেষ উস্কে দিয়েছিল তা মানবিক কারণে বিপদের সময় মানুষ ভুলে গেছে। পরস্পরের শত্রুরা মহাদুর্যোগের সময় একসাথে শান্তিতে বসবাস করতে শিখে। আমেরিকায় একটি জুমার জামাতের পেছনে নারী মুসল্লিদের সাথে অমুসলিম নারী ও শিশুদের এমনিতেই রুকু-সিজদা করতে দেখা গেছে। ইউরোপের রাজপথে মানুষ আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিচ্ছে। স্পেনে সন্ধ্যায় মাগরিবের সময় মহল্লায় মহল্লায় বিপদমুক্তির জন্য আজানের ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছে। করোনার গোটা সময়টি ধরে রাশিয়ার প্রধান মসজিদে ২৪ ঘণ্টা একটানা কোরআন খতম চলছে। চীনে জুমার নামাজে অমুসলিমরাও বিপুল সংখ্যায় এসে যোগ দিয়ে মুনাজাতে শরিক হয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার কোনো কোনো রাষ্ট্রে লাউড স্পিকারে আজানের অনুমতি দেয়া হয়েছে। ভারতে ৩০ কোটি মানুষ সুনামির মতোই করোনার হুমকির মুখে। সেখানেও হয়তো কৃত্রিম উপায়ে প্রজ্জ্বলিত সাম্প্রদায়িকতার আগুন নিভে যাবে। ইতালীর প্রধানমন্ত্রী কন্টি নিজেদের এই মহামারীতে অসহায় হয়ে আকাশে (সৃষ্টিকর্তার) কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। বিপদ মানুষকে মানবিক হতে শেখায়। আল্লাহর কাছে টানে। প্রকৃত সৃষ্টিকর্তার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। যদি আসলেই এমন হয়, তাহলে বিপদ গজব নয়, তা রহমতই ভাবতে হবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ করোনা ভাইরাস বর্তমান সময়ের অন্যতম প্রধান সমস্যা। ঘূর্ণিঝড়, শিলাবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি বা খরা, ভূমিকম্প, দুর্ভিক্ষ, মহামারি, অগ্নিকাণ্ড, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, বরকত-শূন্যতা প্রভৃতি মানুষেরই কর্মের ফল। ধর্মীয় ও নৈতিক অবক্ষয়ে পৃথিবী ভারাক্রান্ত। ঝড়, ভারী বর্ষণ, সাইক্লোন, খরা, শৈত্যপ্রবাহ এরই পরিণাম। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমাদের ওপর যেসব বিপদ-আপদ নিপতিত হয়, তা তোমাদেরই কর্মফল। তিনি অনেক গুনাহ মাফ করে দেন।’ (সুরা আশ্-শূরা: ৩০)। ‘আর যখন তোমাদের ওপর মুসিবত এল, যার দ্বিগুণ তোমরা ঘটিয়েছ, তখন তোমরা বললে, এটা কোত্থেকে এল! (হে নবী) আপনি বলে দিন, এ তো তোমাদের পাপ থেকেই; নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয়েই সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আল ইমরান: ১৬৫; মারেফুল কোরআন: ৬৭৫৩)। এই মহামারীর সময় সবাইকে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার জন্যই হয়তো আল্লাহ এই বিপদটি আমাদের পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। যাদের হাতে দেশের সব টাকা জমা হয়েছে, তারা জনগণের সেবা করার এই সুযোগটি হেলায় হারাবেন না। জানা নেই, মৃত্যু কখন কাকে স্পর্শ করে। হালাল টাকা-পয়সা কুক্ষিগত করে না রেখে বিপন্ন মানুষের জন্য ব্যয় করতে হবে। নিজে একা খেলে হবে না। চারপাশের মানুষকে প্রয়োজন অনুযায়ী সাহায্য করতে হবে। গুনাহ একজন মানুষকে আল্লাহ তা'আলার আনুগত্যের দিকে অগ্রসর হওয়া ও তাঁর গোলামীর দিকে অগ্রগামী হওয়া থেকে বাধা দেয়। এ ছাড়া যার গুনাহের বোঝা ... বরং এসব থেকে তাওবার জন্য অবশ্যই অনুতপ্ত হতে হবে, সব ধরনের পাপ থেকে মুক্ত হতে হবে এবং অতীত কর্মকান্ডের জন্য লজ্জিত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।মানবতার পরীক্ষার দেয়ার এটাই সুযোগ। সামনে রমজান। প্রস্তুতি নিতে হবে, আল্লাহর রহমত, নাজাত এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের। যদি করোনাভাইরাস বাংলাদেশে তার ভয়াল রূপ নিয়ে আল্লাহ না করুন, প্রকাশিত হয়, তাহলে লাখো মানুষের জীবনহানী, কোটি মানুষের ভয়াবহ কষ্টের আশঙ্কা আছে। এই ক্ষেত্রে দোয়া, কান্নাকাটি, নামাজ-বন্দেগি, তওবা এবং অধিক নেক আমলের বিকল্প নেই। তওবা ও ইস্তিগফার আজাব ও গজব প্রতিরোধের শ্রেষ্ঠ উপায়। বিপদের সময় অনুতপ্ত হওয়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা সুন্নত। যতক্ষণ বান্দা তওবা ও ইস্তিগফার করতে থাকে, ততক্ষণ আল্লাহর আজাব আসে না; তাই আমাদের তওবা ও ইস্তিগফার বেশি বেশি করতে হবে। নিশ্চয়ই যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য। আমরা তারই প্রশংসা করি, তার কাছে সাহায্য চাই, তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আল্লাহর নিকট আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্ট ও আমাদের কর্মসমূহের খারাবী থেকে আশ্রয় কামনা করি। আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দেন। আমিন
সূত্রঃ পুণঃপ্রকাশ
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম ফেসবুক-১ ফেসবুক-২
[email protected]
১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খানসাব সবার কাছে সব কিছু সুন্দর হবে
তা আশা করা যায়না। বালা মুসিবত সব
আল্লাহর তরফ থেকে গজব যা মানুষকে
সতর্ক করার জন্য নাজিল হয়। তবে
আল্লাহর কাছে এই গজব থেকে মুক্তি
পেতে তার কাছে মাফ চাইতে হবে তা
হলে তিনি দয়া করে গজব উঠিয়ে নেবেন
কেননা আল্লাহর রহমত অবশ্যই কার গজব
অপেক্ষা অবশ্যই বেশী। তা আপনি বিশ্বাস
করেন আর নাই করেন।
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫৭
লাতিনো বলেছেন: পোস্ট ভালো হয়েছে।
শিরোনামটাও সুন্দর হয়েছে।
করোনার সাথে আল্লাহ্র রহমত বা গজবের সম্পর্ক সুন্দর করে বুঝানোর জন্য ধন্যবাদ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ লাতিনো,
সময় করে লেখাটি পড়ে অনুপ্রাণিত
করা মন্তব্য প্রদানের জন্য।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সহি বুঝ
প্রদানের মাধ্যমে তার রহমত কামনার
তৌফিক দান করুন। আমিন
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগে লাখ লাখ বার আবু হুরাইরাহ (রা: )'এর নাম এসেছে; উনি ততকালীন সময়ে কোন প্রয়োজনে অনেক প্রচারণা করেছেন; ততকালীন সময়ে সেগুলোর কিছু লোকের জন্য এগুলোর দরকার ছিলো, হয়তো; আজকে এগুলোর কোন মুল্য নেই, এগুলো ভ্রান্ত ধারণা।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব আবু হুরাইরাহ (রঃ) সম্পর্কে আপনর কোন ধারণাই নাই।
হযরত আবু হুরাইরা (রঃ) প্রিয় নবীর বিখ্যাত সাহাবি। তার প্রকৃত নাম
আবদুর রহমান ইবনে সাখর অথবা উমায়র ইবনে আমির।সাহাবায়ে কেরামের
মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশি হাদিস বর্ণনা করেছেন। হযরত আবু হুরাইরা (রঃ)
থেকে প্রায় ৫৩৭৫টি হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
হযরত আবু হুরায়রা (রঃ) ৭ম হিজরীতে মুসলমান হয়েছেন। ইসলাম গ্রহণের পর
তিনি দিন-রাত দরবারে নববীতে পড়ে থাকতেন। ক্ষুধা-অনাহারে কাতর হয়ে রাস্তায়
পড়ে থাকতেন, তবুও এই ভেবে কোথাও যেতেন না- এ সময়ে যদি রাসূলের ওপর
কোনো ওহি নাযিল হয় আর আমি তা শুনতে না পাই।
হযরত আবু হুরায়রা (রঃ) নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সোহবত ও সান্নিধ্য
পেয়েছিলেন মাত্র আড়াই বছর বা তার কিছু কম-বেশি। এ অল্প সময়েই তিনি বহু হাদিস
মুখস্থ করেছেন। অল্প সময়ের মেহনতে অনেক বেশি ফল পেয়েছেন।
তাকে আপনি মূল্যহীন বা তার লিখিত হাদিসকে ভ্রান্ত বলে অন্যায় করেছেন।
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
হযরত আবু হুরাইরা (রঃ)'কে আপনি দেখেননি, আমিও দেখিনি; তবে, তিনি ঐতিহাসিক চরিত্র; ব্লগে উনার কোটেশন এসেছে লাখ বার; কোটেশনগুলোর বেশীরভাগই ভ্রান্ত ধারণা বলে আার কাছে মনে হয়েছে, এটাই আমার বক্তব্য।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হযরত আবু হুরাইরা (রঃ) এর সম্পর্কে ভুল ধারনা আপনার।
ইসলামী শরিয়তে তার ব্যুৎপত্তি, বিদ্যা-বুদ্ধি ও প্রজ্ঞায় ওমরের (রা) গভীর আস্থা ছিল।
তিনি তাঁকে বাহরায়ন প্রদেশের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেছিলেন। কিন্তু অর্থ সঞ্চয়ের
অপবাদে তাকে বরখাস্ত করেন। যথাবিহিত অনুসন্ধানের মাধ্যমে সন্দেহ দূর হলে
পরে তাকে পুনরায় উক্ত পদ গ্রহণের অনুরোধ জানান। কিন্তু আবু হুরায়রা (রা)-এর
আহত আত্ম সম্ভ্রমবোধ উক্ত পদ পুনঃ গ্রহণে তাঁকে নিরুৎসাহ করে তোলে। আবু
হোরায়রা থেকে বর্ণিত হাদিছের সংখ্যাধিক্যের জন্য তার হাদিছ সাধারণত
অগ্রাহ্য মনে করেন। কিন্তু এর পশ্চাতে কোনো গ্রহণযোগ্য যুক্তি নেই।”
৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: পীর, ফকিরের দরবারে আজকের দিনও অনেক মুরিদ খেয়ে না খেয়ে পড়ে থাকে।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পীর ফকির রিিজিকের মালিক নন।
আল্লাহর তরফ থেকে রিজিক বরাদ্দ
হলেই বান্দা খাবার সৌভাগ্য লাভ করে।
৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৬
মাহিরাহি বলেছেন: হাদিসটি প্রতিদিন পড়ি।
On the authority of Abu Hurayrah (may Allah be pleased with him), who said that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
When Allah decreed the Creation He pledged Himself by writing in His book which is laid down with Him: My mercy prevails over my wrath. It was related by Muslim (also by al-Bukhari, an-Nasa'i and Ibn Majah).
নেট থেকে নেওয়া। ভুল হলে আল্লাহ মাফ করে দিন।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লাহ সর্বজ্ঞ।
তিনিই সব জানেন
কোনটি সঠিক আর
কোনটি ভ্রান্ত।
৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১৯
সিমন্ত বলেছেন: করোনা মোটেও আল্লাহর গজব নয়।
কিছু দুষ্কৃতিকারী, করোনা ছড়িয়ে, এই ব্যাপারে প্রচার করে, ভয় দিয়ে মানুষকে দুর্ভিক্ষ ও গৃহযুদ্ধ এসবের দিকে ঠেলে দিতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য হল - সারা বিশ্বের অর্থনীতি দখল করা। এটা মোটেও প্রাকৃতিক নয়। করোনা সঙ্কট একটি পরিকল্পিত অপরাধ। এর পেছনে একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র আছে।
আপনারা আল্লাহর গজব কথাটি বলে, সেসব দুষ্কৃতিকারীকে আড়ালে থাকার সুযোগ করে দিচ্ছেন।
https://smelite.wordpress.com/2020/12/09/future-of-corona-2021
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
করোনা শুরু হলে প্রথমে এমন একটি গুজব ডাল পালা বিস্তার করেছিলো
পরবর্তীতে তা ধোপে টেকেনি ! সে যাই হোক কোনটি সত্য আর কোনটি
গুজব তা একদিন প্রকাশিত হবেই।
৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: গজব বলেন আর যেটা বলেন মরণ কিন্তু বাড়তেছে। আল্লাহ ক্ষমা করো
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে
বাড়ছে উদ্বিগ্নতা !
একমাত্র আল্লাহই পারেন
আমাদে এই বিপদ থেকে
মুক্তিি দিতে। আমরা তার
কাছে পানাহ চাই।
৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: করোনা আল্লাহর রহমত যা মুমিনদের দরকার,সাধারন মানুষের কোন প্রয়োজন নাই।সাধারন মানুষ শহীদ হতে চায় না।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অন্য মানুষের কথা ছাড়ুন.
আপনি কি চান তাই পরিস্কার
করে বলুন !
১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:২৪
লাতিনো বলেছেন: লাল ছাগল শহীদ হতে চায়না, চায় কাচ্চির প্লেটের সৌন্দর্য ও সুগন্ধ বৃদ্ধি করতে। কিন্তু এর লেদিতে যা দুর্গন্ধ, বিচি না ফেলে কেউ জবাই করতে চাইবে কিনা সন্দেহ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৩৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ল্যাদানো যাদের মজ্জগত
তারা স্থান কাল পাত্র বিবেচনা
না করেই ল্যাদায় !! সুতরাং
নিজেকে পাক সাফ রাখতে
তাদের ল্যদানে উপেক্ষা
বরেই চলুন্।
১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: শিরোনামটা ঠিক করার জন্য দন্যবাদ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শিরোনাম আগে যা ছিলো তাই আছে
পরিবর্তন দেখলেন কোথায়?
আপনার মন্তব্যের পরেই লাতিনো বলেছেন:
পোস্ট ভালো হয়েছে।
শিরোনামটাও সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট ভালো হয় নি।
শিরোনামটা সুন্দর হয়নি।
করোনার সাথে আল্লাহর কোনো সম্পর্ক নাই।