নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
সত্য সুন্দর, সত্য কল্যাণকর। 'সত্য মানুষকে মুক্তি প্রদান করে আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে'। চিরন্তন এই বাণীটি জানেন না এমন মানুষ হয়তো খুঁজেই পাওয়া যাবে না। কিন্তু এই বাণীটিকে জীবন যাপনের ক্ষেত্রে অনুসরণ করেন এমন মানুষের সংখ্যা খবুই কম। সত্য কথা বলা, সত্যের সঙ্গে থাকা এবং মিথ্যার পরিবর্তে সত্যকে গ্রহণ করাই সত্যবাদিতা। সত্য মানুষকে মুক্তি প্রদান করে, পক্ষান্তরে মিথ্যা বিভ্রান্তিসহ নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে। সত্যবাদিতা কেবল একজন মানুষের ধর্মীয় জীবনের ক্ষেত্রে নয়, ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক পরিমণ্ডল, সামাজিক পরিণ্ডল; এমনকি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিতি অর্জন করার ক্ষেত্রে সহায়তা করে।সত্যবাদিতা কেবল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, জাগতিক যেকোনো মানদণ্ডের বিচারে এটি একটি ভালো গুণ। সত্যবাদী মানুষকে সবাই ভালোবাসে, চাই তিনি মুসলমান হোন কিংবা অন্য ধর্মাবলম্বী। কালো হোন কিংবা সাদা। হোন তিনি উঁচু বংশীয় কিংবা সাধারণ কোনো বংশের সদস্য। আলোকিত একজন মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সত্যবাদিতা প্রথম ও প্রধান গুণ হিসেবে বিবেচিত। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে সত্য কথা বলা, সত্যের পক্ষে অবস্থান করা এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হওয়ার ব্যাপারে অসংখ্য নির্দেশ এসেছে। আল্লাহ মহান পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে ও নবীজি (সা.) বাণীর মাধ্যমে যেসব ভালো গুণাবলিকে আয়ত্ত করতে জোর নির্দেশ প্রদান করেছেন, তার মধ্যে প্রথম সারির গুণ হলো 'সত্যবাদিতা'।
সত্যবাদিতাকে তুচ্ছ করে ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন- এমন ইতিহাস পৃথিবীতে আগে ছিল না, বর্তমানে নেই এবং ভবিষ্যতেও সৃষ্টি হবে না; হতে পারে না। কারণ সত্য সব ভালো স্বভাব বা সব শুভ্রতার 'মা'। মদিনার কাফিররা মুহাম্মাদ (সা.) আনীত ধর্মকে মানতো না ঠিকই; কিন্তু সত্যবাদী একজন মানুষ হিসেবে তাঁর স্থান ছিল তাদের সবার হৃদয়ের গভীরে। সত্যবাদী মানুষ হিসেবে সবাই ভালোবাসত তাঁকে। নবীজির (সা.) সত্যবাদিতা এবং ন্যায়পরায়ণতায় মুগ্ধ হয়ে তৎকালীন আরবের মুসলিম-কাফির নির্বিশেষে 'আল-আমিন' উপাধিতে ভূষিত করেছিল তাঁকে। তিনি ছিলেন সত্যবাদী একজন আদর্শ মানুষ। নবীজির (সা.) সত্যবাদিতাকে তৎকালীন কাফির-মুশরিকরাও স্বীকৃতি প্রদান করেছিল। নবীজির (সা.) জীবনাদর্শ গ্রহণ করে আমাদের সত্যবাদী হওয়া উচিত। সত্যবাদী মানুষকে সঙ্গী বানানো প্রয়োজন। সত্য একজন মানুষকে কেবল ধর্মীয় 'অর্জনে'র ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখে, ব্যাপারটা কখনোই এমন একপক্ষীয় নয়। সত্যবাদিতা প্রতিটি মানুষকে তার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ এবং ঝামেলামুক্তভাবে বসবাস করতে সহযোগিতা করে।
একজন সত্যবাদী মানুষের সংস্পর্শ ধীরে ধীরে সত্যের পথে ধাবিত করবে, পক্ষান্তরে মিথ্যাবাদী একজন মানুষের সংস্পর্শ মিথ্যার দিকেই পরিচালিত করে। এই মর্মে আল্লাহ মহান ইরশাদ করেন, 'হে ইমানদাররা. আল্লাহকে ভয় করো এবং তোমরা সত্যবাদীদের সাথী হও। [সুরা আত্-তাওবা, আয়াত : ১১৯]
সত্যকে গ্রহণ করা এবং সত্য কথার বিজয়ী অবস্থানের কথা উল্লেখ করে আল্লাহ মহান ইরশাদ করেন, '(হে নবী) বলো, সত্য এসেছে আর মিথ্যা অন্তর্ধান করেছে। মিথ্যাকে অন্তর্ধান করতেই হবে। [সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত : ৮১]
রাসুল (সা.) বলেছেন, 'সত্যবাদিতাকে গ্রহণ করো তোমরা, কেননা সত্যবাদিতা পুণ্যের পথ দেখায় আর পুণ্য জান্নাতের পথে পরিচালিত করে, একজন লোক সর্বদা সত্য বলতে থাকে এবং সত্যবাদিতার প্রতি অনুরাগী হয়, ফলে আল্লাহর কাছে সে সত্যবাদী হিসেবে নিবন্ধিত হয়ে যায়'। [মুসলিম]
একই বাণীটি হাদিসের অন্য গ্রন্থে একটু আলাদাভাবে বর্ণিত হয়েছে। সেখানে মহানবী (সা.) বলেছেন, 'তোমাদের সত্য কথা বলা উচিত, কেননা সত্যবাদিতা অবশ্যই পুণ্যের দিকে পরিচালিত করে, আর নিশ্চয়ই পুণ্য জান্নাতের দিকে পরিচালিত করে।' এ ব্যাপারে তিনি আরো বলেছেন, 'সত্য হলো প্রশান্তির মাধ্যম এবং মিথ্যা হলো দুশ্চিন্তা বা ভয়ের উৎস।
সত্যবাদিতা বিদায় নিচ্ছে আমাদের জীবন থেকে। সত্যবাদী মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে দিন দিন। সামান্য থেকে সামান্য কারণেও সত্য কথাকে ত্যাগ করছি আমরা। গ্রহণ করছি মিথ্যাকে এবং নিজের অজান্তেই জাহান্নামী মানুষের তালিকাভুক্ত করছি নিজেকে। শেষ নবী হজরত মুহাম্মাদের (সা.) উম্মত হিসেবে যা কখনোই কাম্য নয়। মিথ্যা কেবল দুশ্চিন্তার সৃষ্টিই করে না, মিথ্যাবাদীরা দুর্বল চিত্তের অধিকারী হয়। তাই আমাদের সবাইকে মিথ্যা বলা ত্যাগ করে সত্যবাদী হতে হবে।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম ফেসবুক-১ ফেসবুক-২
[email protected]
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জনাব পাচ মিশালী
মিথ্যা বলা কোনো ক্ষেত্রেই অনুমোদিত নয়। শরিয়তে সত্যকে সর্বত্রই উৎসাহিত করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, সত্য মুক্তি দেয়, মিথ্যা ধ্বংস আনে। সামাজিক আচরণবিধি সম্পর্কিত মাসয়ালা
পাওয়া যায় যে, বিবদমান দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং নির্দোষ ব্যক্তির প্রাণ
রক্ষার লক্ষ্যে কখনো অপ্রিয় সত্যটি গোপন করা বা অসত্যকে তুলে ধরার অনুমতি রয়েছে।
কোনো বৈধ বিষয়কে প্রতিষ্ঠিত করতে বা অধিকার সুরক্ষার জন্য দ্ব্যর্থবোধক বা অস্পষ্ট কথা
বলার অনুমতি শরিয়তে রয়েছে। তবে যে কোনো পরিস্থিতিতে সত্য বলাই শরিয়তের
মৌল দর্শনের দাবি।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৭
নতুন বলেছেন: স্ত্রীকে সীমিত আকারে সত্য গোপন করা যাবে কিনা?
২ বছর আগে ২য় বিয়ে করে সেটা স্ত্রীর কাছে গোপন করা যাবে কি না?
এই বিষয়ে ইসলামী শরিয়া কি বলে?
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নতুন ভাই আমরা সবাই জানি ও মানি যে
সত্য বলার গুরুত্ব অপরিসীম। সত্য মুক্তি দেয় এবং মিথ্যা ধ্বংস ডেকে আনে।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা মুসলমানদের কর্তব্য। তবে মানুষের
দুর্বলতা-অক্ষমতা বিবেচনায়, সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় এবং শত্রুকে পরাভূত
করতে ক্ষেত্র বিশেষে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে ইসলাম।
তিন স্থানে মিথ্যা বলার অনুমতি থাকার কথা হাদিসে এসেছে।
আসমা বিনতে ইয়াজিদ (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তিন অবস্থা ছাড়া
কোনো অবস্থাতেই মিথ্যা বলা বৈধ নয়। তা হলোঃ
১। স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য তার সঙ্গে স্বামীর মিথ্যা বলা,
২। যুদ্ধক্ষেত্রে মিথ্যা বলা এবং
৩। মানুষের মধ্যে বিবাদ নিরসনে মিথ্যা বলা।’
(তিরমিজি, হাদিস ১৯৩৯; আবু দাউদ, হাদিস ৪৯২১)
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমি মিথ্যা বলি না। এই জোরেই আমি আপনাকে বলতে পারি- আল্লাহপাক আমাকে বেহেশত দিবেন। যদিও আমি আগে বেহেশতে যাবো না। দোজকে একটা ট্যুর দিবো আগে।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মিথ্যা বলা মহা পাপ। তাই মিথ্যা না বলাই শ্রেয়।
আপনি বেহেশতের ফয়সালা করে রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ।
প্রত্যেক মুসলমানই বেহেশতের আশা করে। আমিও করি তবে
আল্লাহই ভালো জানেন আমার স্থান্ কোথায় হবে। কারণ প্রতিনিয়ত্ই
জানা অজানা্ ভাবে হাজার গুনাহর কাজে লিপ্ত থাকি । আমার জন্য
দোয়াকরবেন।
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভুলকে সত্য বলে ঢোল পিটায়ে 'সেই সত্যের' পক্ষে থাকুন; "শয়তান আছে", এই সত্যের পক্ষে বিশ্বের ৩৮০ কোটী মানুষ আছেন।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার কি ধারণা !!
শয়তান্ নাই ? পবিত্র কোরআনে বলা হযেছে
শয়তান তোমাদেরকে অভাবের ভয় দেখায়, আর তোমাদেরকে অশ্লীল কাজ করতে তাগাদা দেয়।
কিন্তু আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর পক্ষ থেকে ক্ষমা এবং প্রাচুর্যের নিশ্চয়তা দেন। আল্লাহ তো সবকিছু
ঘিরে আছেন, তিনি সব জানেন। [সুরাঃ আল-বাক্বারাহ ২৬৮]
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫৬
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: সত্য সর্বদাই সুন্দর। মিথ্যাবাদীরা দূর্বল চরিত্রের হয় এটাও ঠিক।
প্রত্যেক মানুষের অন্তরে আল্লাহ শয়তানকে সৃষ্টি করেছেন, মানুষ তার শিক্ষা দ্বারা অর্জিত ভালো গুণাবলীগুলো চর্চার মধ্য দিয়ে শয়তানকে দাবায় রাখবে। আর আল্লাহ চাহেন তো লালন সাইয়ের "সাধুরও গুণ যায়না বলা, শুদ্ধ চিত্ত তাঁর অন্তর খোলা" হয়েও যেতে পারে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ
আল্লাহ যখন শয়তানকে তার সান্নিধ্য থেকে বের করে দিচ্ছিলেন, তখন শয়তান
একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ শপথ করেছিল, যা থেকে তার মানুষকে ধ্বংস করার অন্যতম একটি
প্রধান পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যায়—
(শয়তান বলল) “আমি মানুষের কাছে আসব ওদের সামনে থেকে, ওদের পেছন থেকে,
ওদের ডান দিক থেকে এবং ওদের বাম দিক থেকে। আপনি দেখবেন ওরা বেশিরভাগই কৃতজ্ঞ না।
[আল-আ’রাফ ৭:১৭]
তবে এখানে আল্লাহ আমাদেরকে কথা দিয়েছেন যে, যদি আমরা কৃতজ্ঞ হই, তাহলে আল্লাহ আমাদেরকে
দিতেই থাকবেন। তিনি আরবিতে তিনবার জোর দিয়ে একথা বলেছেন, “যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও,
তাহলে আমি তোমাদেরকে আরও দিতেই থাকবো, দিতেই থাকবো, দিতেই থাকবো।”
সতরাং আমরা শয়তানের কাছে নতজানু না হয়ে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ হই। আমিন
৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু ,
সত্য মরেনা কখনও.....
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সত্যের মৃত্যু নাই
গুনিজনে বলে তাই।
৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২১
স্প্যানকড বলেছেন:
আল্লাহ সত্য
রাসুল সত্য
আরও সত্য কিতাব
যে জন মানে
সেজন হাসে
মিথ্যে কাঁদে
মিলায় বসে অলীক হিসাব !
ভালো থাকবেন ভাইজান ।
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৫০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু
তর্কে বহুদূর।
মানুষের মাঝেই
বেহেশত দোজখ
মানুষেতে সুরাসুর!
৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অন্ধ বিশ্বাসে কোন সত্য নাই।
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৫১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি অন্ধ বিশ্বাস থেকেই
আমার বাবা মাকে বিশ্বাস করি।
আর আপনি ?
৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আমি অন্ধ বিশ্বাস থেকেই
আমার বাবা মাকে বিশ্বাস করি।
আর আপনি ?
একটা সময় বিশ্বাসই একমাত্র পথ ছিলো।
এখন যদি কারুর সন্দেহ আসে তবে ডিএনএ টেস্ট করতে পারে।
কিন্তু ধর্মের জিনিসের শুধুই বিশ্বাসই ভরসা।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫৩
পাঁচ-মিশালি বলেছেন: দ্বীনের স্বার্থে মিথ্যা বলার যে অনুমতি আছে সেটাকে “তাকিয়া” বলে। ইসলামের অগ্রগতির স্বার্থে মিথ্যা বলা জায়েজ।ইহা সুন্নত ও বটে। এ বিষয়ে কুরআন ও হাদিসে প্রচুর দলিল রয়েছে।
তোমাদের নিরর্থক শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে ধরবেন না, কিন্তু সেসব কসমের ব্যাপারে ধরবেন, তোমাদের মন যার প্রতিজ্ঞা করেছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী ধৈর্য্যশীল।সূরা বাক্কারা, ২:২২৫
এই আয়াতে পরিস্কার বলা হয়েছে যে সব শপথ মন থেকে নয়, ভান করা হয়েছে মাত্র সেসব শপথ ভঙ্গ করার জন্য কাউকে সাজা দেয়া হবে না। যেমন মুসলিমরা কৌশলগত কারণে কাফের-অমুসলিমদের সঙ্গে কোন চুক্তি করল সেসব শপথ তো মন থেকে করা হয়নি, তাই সেই শপথ ভঙ্গ করে ফেললে কোন পাপ হবে না।
বিষয়ে সহিহ হাদিসও রয়েছে-
“আল্লাহর ইচ্ছায়, যদি আমি কোন ব্যপারে শপথ করি আর পরে দেখি এর চেয়ে ভাল কিছু আছে তখন আমি যেটা ভাল মনে করি সেটাই করি আর তখন পূর্বেকার শপথ রক্ষার কোন দরকার মনে করি না। সহি বুখারী, বই – ৬৭, হাদিস-৪২৭”।
দুনিয়ার সমস্ত বিশ্বাসী মুসলমান ইসলামের অগগ্রগতির স্বার্থে বিধর্মী-কাফের দের সাথে মিথ্যা বলে তাকিয়া করার তাওফিক প্ৰাপ্ত হউন।