নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোগমুক্ত ও সুস্থ্য শরীরের জন্য সুষম খাদ্যের বিকল্প নাই

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:২৮


জীবের দেহে শক্তি সরবারহ করতে, দেহ গঠনে, জীবনকে বজায় রাখতে যেসব জৈব উপাদান গ্রহণ করে তাকে খাদ্য বলে। দৈনন্দিন কাজকর্ম এবং চলাফেরা করার জন্য সবল, রোগমুক্ত ও সুস্থ শরীর প্রয়োজন। এই সুস্থ শরীর বজায় রাখতে খাবার প্রয়োজন।খাদ্য ছাড়া আমাদের জীবন ধারণ সম্ভব নয়। জীবন ধারণের জন্য আমরা যা কিছু খেয়ে থাকি তা-ই খাদ্য। অর্থাৎ খাদ্য হলো পুষ্টিগুণযুক্ত কোনও পদার্থ যা প্রাণীর দেহে শক্তি সরবরাহ এবং টিস্যু তৈরি ও প্রতিস্থাপন এবং জীবন বজায় রাখতে সহায়তা করে। তবে সব খাদ্যই খাদ্য নয়। মানুষ খাওয়ার জন্য বাঁচে না, বাঁচার জন্য খায়। তা না হলে ডাক্তাররা রোগীদের যখন কিছু কিছু খাদ্যবস্তু সাময়িক খেতে বারণ করেন তখন রোগী ডাক্তারদের উপদেশ লঙ্ঘন করতেন। তাই স্বাস্থ্যের বিধিসম্মত সতর্কীকরণ, পুষ্টিকর খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করে জীবনটাকে সুস্থ, রোগমুক্ত করে রাখতে কে না চায়। কিন্তু আজকাল আমরা যে সমস্ত খাবার খাচ্ছি তার অধিকাংশই ভেজাল। নিত্যদিনের চাল, ডাল, তেল লবণসহ পানীয়দ্রব্য, ফলমূল এবং মিষ্টান্নদ্রব্যে ভেজালের ছড়াছড়ি। যেমন কোকাকোলা, মিরান্ডা, পেপসি, ইত্যাদিতে ক্ষতিকারক রং এবং রাসায়নিক তরল পদার্থ ব্যবহার করে বাজারজাত করা হচ্ছে। মিষ্টান্ন দ্রব্য যেমন- জিলাপি, বুন্দিয়া, রসগোল্লা প্রভৃতি বানানোর জন্য ময়দা, আটা, সুজি ইত্যাদি ভালভাবে মেখে দু’-তিন দিন নিরাপদে রেখে পচানো হয় এবং তারপর নানা ধরনের পাউডার, রঙ মিশিয়ে হোটেল রেস্টুরেন্টে সাজিয়ে রাখা হয়। মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুড়ো ঝকঝকে রঙিন করার জন্য ইটের গুড়োও মেশানো হয় বলে প্রায়ই শোনা যায়। বছর খানেক আগে ঢাকার এক মশলা ব্যবসায়ীকে পচা চালের গুড়ো মশলায় মেশানোর দায়ে পুলিশ হাতেনাতে ধরেছিল যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আমরা দেখেছি। বিভিন্ন ধরনের ফলমূল যেমন আম, কলা, পেঁপে, নাসপাতি এবং শাকসবজি যেমন টমেটো, পটল, আলু ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদি তাজা রাখতে এবং কৃত্রিম উপায়ে পাকাতে ইথোফেন, ক্যালসিয়াম, কার্বাইড নামক রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে। বিদেশ থেকে যে সমস্ত মাছ আমাদের দেশে আমদানি হচ্ছে সেগুলোতেও নাকি ফরমেলাইডিহাইড (Formaladehyde) নামক এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে Formaladehyde বা ফরমালিন প্লাস্টিক, পেপার, রং, কনস্ট্রাকশন বা মৃতদেহ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। মানবদেহে ক্যান্সার সংক্রমণের বেলায় এই Formaladehyde যথেষ্ট সাহায্য করে। লন্ডনে ১৮৯০ সালে এক ল্যাবরেটরি পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী ‘Expose to Formaladehyde could cause nasal cancer in rats,- ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ENVIRONENTAL PROTECTION AGANCY (EPA)- র রিপোর্টে বলা হয়েছে, Formaladehyde exposure is associated with certain types of cancer. তাছাড়া ২০১৮ সালের ১০ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যশনাল টক্সিকোলজি প্রোগ্রাম’ ফরমালিনকে মানুষের ক্যান্সার রোগ সৃষ্টিতে সরাসরি সম্পৃক্ত বলে জানায়। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন’ খাদ্যদ্রব্যে Formaladehyde বা ফরমালিনের ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বাংলাদেশেও ফরমালিন ব্যবহার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ফরমালিন মিশানোর অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ নানা প্রকার শাস্তির ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে মিষ্টি খাদ্যদ্রব্যে কোনও ভেজাল বস্তুর অস্তিত্ব ধরা পড়লে জরিমানা অথবা হাজতবাস এর বিধান চালু করেছে। খাবারের রয়েছে অনেক শ্রেণিভাগ। আর দেহকে সুস্থ রাখতে কোন খাবার কতটুকু প্রয়োজন শরীরের জন্য সেটিও জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য ও পুষ্টিবিদদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির পুষ্টির চাহিদা তার দৈনিক পরিশ্রম, দেহের ওজন ও স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে। পুষ্টি গবেষকদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির জন্য খাবার তালিকায় থাকা উচিত চাল ৩০০-৪০০ গ্রাম, আটা ১৫০ গ্রাম, ডাল ৫০-৬০ গ্রাম (কাঁচা), মাছ/মাংস/ডিম ৭০-১০০ গ্রাম, শাক ১০০ গ্রাম, অন্যান্য সবজি ১০০ গ্রাম, আলু ৮০-১০০ গ্রাম, ফল ১৫০-২০০ গ্রাম, তেল ৪০ গ্রাম, চিনি/গুড়/মিষ্টি ৩০ গ্রাম। পুষ্টিবিদরা সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন সুষম খাবার গ্রহণের কথা বলেন। সুষম খাদ্যের অর্থই হলো দেহের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতি বেলায় খাদ্যের প্রত্যেকটি উপাদান খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা। এই তালিকায় দেখা যাচ্ছে শাকসবজির পরিমাণ কিন্তু সবার জন্য নির্ধারিত। এবার জেনে নেয়া যাক খাদ্যের কাজ কি?

খাদ্যের কাজঃ
শরীর গঠন ও বৃদ্ধিসাধন এবং ক্ষয়পূরণ করা। ২। শরীরে তাপশক্তি ও কর্মক্ষমতা যোগানো, ৩। শরীর রোগমুক্ত রাখা ও ৪। অসুস্থ্য শরীকে আরোগ্য লাভে সহায়তা করা।
খাদ্যের শ্রেণীবিভাগঃ
কাজভেদে খাদ্যকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ

১। শক্তিদায়ক খাদ্যঃ
এ সব খাদ্যের প্রধান ভূমিকা হলো, শক্তি ও তাপ উৎপাদন করে শরীরকে সতেজ ও কর্মক্ষম রাখা। শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকর্ম যেমনঃ শ্বাসপ্রশ্বাস ক্রিয়া, হৃৎপিন্ড ও অন্যান্য দেহ যন্ত্রের ক্রিয়া, পরিপাক ক্রিয়া, মলমূত্র নিষ্কাষণ ক্রিয়া এবং দৈনন্দিন জীবনে সকল কাজকর্ম সম্পাদনে শক্তি প্রয়োজন। যে সকল খাদ্য সামগ্রী হতে শক্তি পাওয়া যায় তা হলোঃ
শস্য জাতীয় খাদ্য (যেমন চাল, গম, ভূট্টা, জোয়ার ইত্যাদি)
মূল জাতীয় খাদ্য (যেমন গোল আলু, মিষ্টি আলু, মেটে আলু, কাসাবা ইত্যাদি)
তেল বা চর্বি জাতীয় খাদ্য (যেমন সব রকমের তেল, ঘি, মাংসের চর্বি ইত্যাদি)
চিনি, গুড় ও মিষ্টি জাতীয় খাদ্য।

২। শরীর গঠন, বৃদ্ধিসাধন এবং ক্ষয়পূরণকারী খাদ্যঃ
এ সকল খাদ্য মানবদেহে মূলত: শরীরের কাঠামো তৈরী বা শরীর গঠন, শরীরের বৃদ্ধি সাধন ও শরীরের ক্ষয় পূরণে কাজ করে থাকে। এসব খাদ্যের মধ্যে প্রাণীজ উৎস থেকে প্রাপ্তঃ যেমনঃ
ডিম, দুধ, মাছ, মাংস এবং উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে প্রাপ্ত সব রকমের ডাল, মটর শুঁটি, সীমের বীচি, কাঁঠালের বীচি, বাদাম ইত্যাদি।

৩। রোগ প্রতিরোধক খাদ্যঃ
এ সব খাদ্যের প্রধান ভূমিকা হলো, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, নানা প্রকার রোগ-ব্যাধি কিংবা অসুস্থতা হতে শরীরকে রক্ষা করা। রোগ প্রতিরোধক সস্তা খাদ্যের মধ্যে রয়েছে, রঙ্গিন শাকসব্জি, ফলমূল। খাদ্য উপাদানের শ্রেণী বিভাগ ।
খাদ্য উপাদানকে নিম্নের ৬টি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে যথাঃ
১। খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন (উৎস – রঙ্গিন শাক-সব্জি ও ফল, ডিম, দুধ, কলিজা ইত্যাদি)
২। শ্বেতসার বা শর্করা ( উৎস- চাল, গম, ভুট্টা, চিড়া, মুড়ি, চিনি, গুড়, আলু ও মূল জাতীয় অন্যান্য খাদ্য)
৩। আমিষ ( উৎস – মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, মটর শুঁটি, সীমের বীচি, কাঁঠালের বীচি, বাদাম ইত্যাদি)
৪। স্নেহ জাতীয় খাদ্য (উৎস -তেল, ঘি, মাখন, চর্বি ইত্যাদি)
৫। খনিজ লবণ (উৎস – রঙ্গিন শাক-সব্জি ও ফল, ডিম, দুধ, কলিজা, মাংস, ছোট মাছ ইত্যাদি) এবং
৬। নিরাপদ পানি। এই ৬টি উপাদান খাবারের তালিকায় সঠিক অনুপাতে উপস্থিত থাকলে তাকে সুষম খাদ্য বলা হয়।

১। খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিনঃ
ভিটামিন শরীরের অনেক রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন রোগ থেকে বাঁচতে এবং সুস্থ থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাছাড়া ভিটামিন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, খাদ্য হজমে সাহায্য করে। ১৩ টি প্রয়োজনীয় ভিটামিন রয়েছে যা শরীরকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে।

২। শ্বেতসার বা শর্করাঃ
শর্করা আমাদের দেহে শক্তি প্রদান করে। স্বাস্থ্যকর দেহের জন্য শর্করা জরুরী। কিছু শর্করা জাতীয় খাবার হলো: গম, ভুট্টা, যব, আলু ইত্যাদি।

৩। আমিষঃ
শরীরের জন্য আমিষ, যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমিষ জাতীয় খাবার আপনার দেহের বৃদ্ধি সাধন, ক্ষয়পূরণ, রক্ত কণিকা গঠনে সহায়তা করে। তাছাড়া আপনার পেশী এবং অন্যান্য শরীরের টিস্যু বৃদ্ধি এবং মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয়। শরীরের প্রতিটা অংশ এবং কোষে প্রোটিন য়েছে। শরীর গঠন ও বৃদ্ধির জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। প্রোটিন সাধারণত অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে তৈরি। বিভিন্ন প্রাণিজ উৎস যেমন: মাছ, মাংস বিশেষ করে ডিমের ভেতর প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। এ ছাড়া উদ্ভিজ্জ উৎস থেকেও প্রোটিন পাওয়া যায়। উদ্ভিজ্জ উৎস যেমন: শিম, বিভিন্ন ধরনের শস্যদানা ইত্যাদি।

৪। স্নেহ জাতীয় খাদ্যঃ
তেল, ঘি, মাখন, চর্বি ইত্যাদি। চর্বি শরীরকে শক্তি সরবরাহ করে এবং এটি বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ পরিচালনা করতে সহায়তা করে। আপনার সঠিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে নির্দিষ্ট পরিমাণে চর্বি যু্ক্ত খাবার প্রয়োজন। আপনার ডায়েটে স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করা আপনার রক্তে চিনির ভারসাম্য রক্ষা করতে, হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিস এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা করে।

৫। খনিজ লবনঃ
খনিজ লবন আপনার শরীরে শক্তিশালী হাড় ও দাঁত তৈরি করে, আপনার বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে এবং সঠিকভাবে হাইড্রেটেড থাকতে সহায়তা করে। হাড়কে শক্তিশালী করার পাশাপাশি ক্যালসিয়াম নার্ভ সিগন্যাল সংক্রমণ, স্বাস্থ্যকর রক্তচাপ বজায় রাখতে এবং পেশীর সংকোচন এবং শিথিলকরণে সহায়তা করে।

৬। নিরাপদ পানিঃ
আমরা সবাই জানি যে, পানির অপর নাম জীবন, তবে পানি বিশুদ্ধ হতে হবে। আমাদের দেহ বেশিরভাগ পানি দিয়ে গঠিত এবং দেহের প্রতিটি কোষ ও অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত পানি প্রয়োজন। পানি খাদ্য হজমে ও শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। একজন মানুষখাবার গ্রহণ ছাড়া বাঁচতে পারে ৩ সপ্তাহ আর পানি পান করা ছাড়া বাঁচতে পারেনমাত্র ৩ দিন। এ থেকেই বোঝা যায় নিরাপদ পানির গুরুত্ব ।

বর্তমানে বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, সুস্থ হয়ে উঠছেন অনেকে। আবার যাদের রোগ–‌প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের অনেকের প্রাণও চলে যাচ্ছে। এ রোগ প্রতিরোধে ‌প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউনিটি বাড়াতে সুষম খাদ্যের বিকল্প নাই। শক্তিশালী রোগ–‌প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউনিটি সিস্টেমই করোনার মতো অতিমারীর সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে সাহায্য করবে। অযথা উদ্বেগ, ভয় ও উত্তেজনা রোগ–‌প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই নেতিবাচক মনোভাব ছেড়ে মনকে শক্ত রাখতে হবে।

সূত্রঃ সঠিক খাদ্যাভ্যাস

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম :-& ফেসবুক-১ :-& ফেসবুক-২
[email protected]

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৫০

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: সুষম খাস্যের ব্যাপারে আপনার পোস্টে যে তালিকাটি দিয়েছেন তা নিয়মিত যোগাড় করা বাংলাদেশের নিম্নবিত্ত ও অধিকাংশ নিম্ন মধ্যবিত্ত লোকের জন্য কঠিন এবং কিছু ক্ষেত্রে অসম্ভব। একে তো ভেজাল,এর সাথে অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি মানুষের জীবনধারণকে কঠিন করে তুলেছে।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৫৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে তমাল ভাই সুন্দর মন্তব্য প্র্দানের জন্য।
সুষম খাদ্যের দাম অধিক হওয়ায় ব্যাপক জনগোষ্ঠী নিয়মিত মাছ, মাংস, ডিম, দুধ বা
ডাল জাতীয় দানা শস্য তাদের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে না। ফলে খাদ্যে
আমিষ ঘাটতি হওয়া অতি স্বাভাবিক ঘটনা। ভাত, আটা এসব শর্করা প্রধান খাদ্য থেকে
আমাদের শতকরা ৬০ ভাগেরও অধিক আমিষ গ্রহণ করতে হয়। এদের প্রতিটির আমিষে
এক বা একাধিক এমিনো এসিডের ঘাটতি থাকায় এরা শতভাগ পরিপূর্ণ গুণমান সম্পন্ন আমিষ নয়।
ফলে একদিকে আমাদের খাদ্যে যেমন আমিষের ঘাটতি রয়েছে অন্যদিকে আমাদের খাদ্যের মাধ্যমে
গৃহীত আমিষে অত্যাবশ্যক এমিনো এসিডের ঘাটতি থাকায় সুষম আমিষ গ্রহণ থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩২

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: খুবই উপকারী একটি লেখা।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খান ভাই।
মূল্যবান হীরাও মূল্যহীণ যদিনা তার
কদর করা হয়। উপকারী তখনই হবে
যদি আমরা এর গুরুত্ব বুঝতে পারবো।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:১৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ভেজালের রাজ্যে সুষম খাদ্যের সন্ধান করা বৃথা!

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাঁচতে হলে খুঁজতে হবে যোগার করে আনতে হবে।
তা না হলে যে বিপদ রবে বাকে বাকে!!

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো পোষ্ট দিয়েছেন।
এখন আমি ভালো এবং পুষ্টীকর খাবারের দিকে মনোযোগ দিয়েছি।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ খানসাব
বয়স বাড়ার সাথে সাথে পুষ্টিকর ও
সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে নিরোগ
ও সুস্বাস্থ্যের জন্য।

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বয়স বাড়লে সুষম খাদ্যকে ডাক্তারের দ্বারা কাসটোমাইজ করতে হবে। নতুবা একই খাদ্য কারও জন্য পুষ্টি আবার কারও জন্য বিষ হতে পারে।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সুষম খাদ্য তখনই বলা যাবে যখন তা
বয়সের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। যাকে
ইংরেজীতে ব্যালেন্সড ডায়েট বলে।
এর তারতম্য হলে পুষ্টি হবে বিষ !!

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫২

মা.হাসান বলেছেন: খাবো আর কি, জিনিস পত্রের যা দাম তাতে মনে হয় আরব দেশ থেকে পেটে বাধার পাথর আমদানি করলে ভালো ব্যবসা হইতো।
যাক, আম জনতার খাবারের কথা কইলেন।
এর বাইরেও লোক আছে। বার্গার-পিজ্জা-কোকাকোলা যাদের স্টেপল ফুড তারা বাদ গেলো। :-B
আবার কেউ কেউ আছেন এদের দেখে মনে হয় এরা মানুষ না, পান্ডা B-))

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ঠিক বলেছেন মা হাসান ভাই
তবে পাথরও আজকাল সিন্ডিকেটের দখলে!!
মানুষ পান্ডাদের কথা না হয় বাদই দিলাম। সত্যিকারের
পান্ডার খাবারের ৯৯ শতাংশই হলো বাঁশ। তবে সমস্যা হলো,
বাঁশের দীর্ঘ কাণ্ডের তুলনায় পুষ্টিগুণ থাকে কম। আর পান্ডার
বিশাল বপুর প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান পূরণ করতে চাইলে
স্বাভাবিক কারণেই পরিমাণে প্রচুর বাঁশ খেতে হয় এটির।
এটাই পান্ডার ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বাঁশ খাওয়ার কারণ।

৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


শতকরা ৫০ জন বাংগালী কৃষিতে আছেন, খাবার ব্যবসায়ে আরো শতকরা ২/৩ জন আছেন; তারপরও বাংগালীর খাদয় বিষাক্ত ও সমস্যাযুক্ত

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:


অতি মুনফা লোভী ও নৈতিকতা বিবর্জিত মানুষের
কারনে বাঙ্গালীরা আজ চরম স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে আছে।
পৃথিবীর কোন সভ্য দেশে খাদ্যে ভেজাল দিতে পারে কিনা
আমার জানা নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.