নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
আজ ১২ মার্চ বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস। এ ছাড়াও গ্লুকোমার অন্ধত্বকে প্রতিরোধ করতে বিশ্বব্যাপী মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ‘বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ’ পালিত হয়। এ বছর সপ্তাহটি পালিত হচ্ছে ৭ থেকে ১৩ মার্চ পযৃন্ত। জনসাধারণকে গ্লুকোমা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য এই সপ্তাহ পালিত হবে। গ্লুকোমা সপ্তাহের এবারের স্লোগানঃ " THE WORLD IS BRIGHT, SAVE YOUR SIGHT"
গ্লুকোমা চোখের একটি জটিল রোগ। ডায়াবেটিসের মতো এই রোগকেও নিরব ঘাতক বলা হয়।মানুষের চোখের অন্ধত্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ হচ্ছে গ্লুকোমা। চোখের অভ্যন্তরীণ উচ্চ চাপই এই রোগের প্রধান কারণ, যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে চোখের স্বাভাবিক চাপেও এই রোগ হয়ে থাকে। চোখের এই অভ্যন্তরীণ চাপ চোখের অতি সংবেদনশীল অপটিক নার্ভ, যার মাধ্যমে চোখ মস্তিষ্কের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে তাকে চিরতরে নষ্ট করে দেয়, ফলে মানুষ অন্ধত্ব বরণ করে। গ্লুকোমা রোগ যেকোনো মানুষের যেকোনো বয়সে হতে পারে, তবে ৪০ বছর বয়সের পরে এই রোগের সম্ভাবনা বেশি। গ্লুকোমা নিয়ে চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘রক্তের চাপের মতো চোখেরও একটি নির্দষ্টি চাপ থাকে। চোখের স্বাভাবিক চাপ ১০-২০ মিমি মারকারি। কোনো কারণে এই চাপ বৃদ্ধি পেলে চোখের অপটিক নার্ভের মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং আস্তে আস্তে নার্ভটি শুকিয়ে যায়। ফলে দৃষ্টির পরিসীমা কমতে থাকে। একপর্যায়ে চোখ দৃষ্টিহীন হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থাই গ্লুকোমা।’ দেশে দিনে দিনে বেড়েই চলছে গ্লুকোমায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। জানা যায়, সারা বিশ্বে ৪৫ লাখ মানুষ গ্লুকোমার স্থায়ী অন্ধত্বের শিকার হয়েছেন। আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮ কোটি, যাঁদের অধিকাংশই এশিয়ার স্বল্পোন্নত দেশের বাসিন্দা। ধারণা করা হয়, ২০৪০ সাল নাগাদ গ্লুকোমায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। তবে সবচেয়ে ভয়ের কথা, ৯০ শতাংশ আক্রান্ত মানুষ রোগটি সম্পর্কে জানেন না। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ১.৮ থেকে ২.২ শতাংশ লোক গ্লুকোমা রোগে আক্রান্ত। এ ছাড়া চল্লিশোর্ধ্ব বয়সের মানুষের মধ্যে ২.৮ শতাংশেরই গু্লকোমা রোগ রয়েছে।গ্লুকোমা হলে চোখের প্রেসার বেড়ে গিয়ে চোখের ভিতরের অপটিক নার্ভসহ অন্যান্য জিনিসগুলোকে ক্ষতি করে। সাধারণত পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বেশি হয়। গ্লুকোমা সপ্তাহ পালনের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ গ্লুকোমা রোগ সম্পর্কে যেন সচেতন হয়। গ্লুকোমা রোগের তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না। একবার দৃষ্টিসীমা কিছুটা নষ্ট হলে সেটুকু আর ফিরেও পাওয়া যায় না। এটি নীরবে চোখকে অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যায় বলে গ্লুকোমাকে নীরব ঘাতক বা ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলা হয়। এটি সাধারণত চোখের প্রেসারজনিত রোগ। এ রোগে আক্রান্ত হলে দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। এ রোগের সঠিক কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জানা যায়নি, তবে চোখের অন্তর্গত উচ্চচাপ প্রধানতম ঝুঁকি। এ রোগের পেছনে অন্য যেসব ঝুঁকি আছে, তা হলো বংশগত ইতিহাস (মা, বাবা, ভাই, বোন এ রোগে আক্রান্ত হলে তাঁদের ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ আশঙ্কা), ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মাইনাস বা প্লাস পাওয়ার, মাইগ্রেন, চোখের আঘাত, চোখের অন্যান্য রোগ এবং চিকিৎসকের উপদেশ ব্যতীত অনিয়ন্ত্রিতভাবে স্টেরয়েড–জাতীয় চোখের ড্রপ ব্যবহার ইত্যাদি।
গ্লুকোমা হলে অনেক সময় নানা উপসর্গ প্রকাশ পায়। যেমন- চোখে তীব্র ব্যথা, স্বল্প আলোতে দেখতে সমস্যা হওয়া, চোখ লাল হওয়া, বমি বমি ভাব ও প্রচণ্ড মাথা ব্যথা ইত্যাদি। তবে বেশীর ভাগ গ্লুকোমাই উপসর্গবিহীন। কখনো কখনো জন্মগতভাবে বা বাড়ন্ত বয়সেও এ রোগ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জন্মের পর শিশুর চোখ থেকে পানি পড়া, আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা, অস্বচ্ছ মণি এবং অক্ষিগোলক বড় হতে থাকা—এসব লক্ষণ দেখা দিলে অতিসত্বর শিশুর চোখ গ্লুকোমায় আক্রান্ত কি না, পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষাই গ্লুকোমা প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকরী উপায়।চোখের চাপ, স্নায়ু রজ্জুর (অপটিক নার্ভ) অবস্থা এবং দৃষ্টির পরিসীমা পরীক্ষা করে সহজেই গ্লুকোমা নির্ণয় করা যায়। সে জন্য নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করতে হবে। তিন ধরনের উপায়ে সাধারণত গ্লুকোমা চিকিৎসা করা হয়। ১।চোখের বিভিন্ন ড্রপ, ২। লেজার ও ৩। গ্লুকোমা সার্জারি। প্রাথমিক পর্যায়ে গ্লুকোমা রোগ নির্ণয় করা গেলে খুব সহজেই গ্লুকোমাজনিত অন্ধত্ব রোধ করা সম্ভব। গ্লুকোমা প্রতিরোধে যা করণীয়ঃ
১। নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করাতে হবে। যাদের বয়স ৪০ বছরের ওপরে এবং যাদের পরিবারে গ্লুকোমার ইতিহাস আছে তারা প্রতি বছর অন্তত একবার করে চোখের পরীক্ষা করাবেন। যত তাড়াতাড়ি এ সমস্যা ধরা পড়বে তত তাড়াতাড়ি এর চিকিৎসা সম্ভব হবে।
২। পরিবারের কারো গ্লুকোমা ছিল বা আছে কিনা তা জেনে নিন।
৩। চোখের প্রেসার বেশি থাকলে চিকিৎসক যেভাবে ব্যবস্থাপত্র দেবেন সেটা মেনে চলুন।
৪।নিয়মিত পরিমিত আকারে ব্যায়াম করলে চোখের প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫। ঘরের কাজ বা খেলাধূলার সময় চোখে প্রতিরোধী ব্যবস্থা নিন। সবচেয়ে বড় কথা দৃষ্টিশক্তি হারাতে না চাইলে গ্লুকোমা হলে বা হয়েছে বলে সন্দেহ হলে দ্রুত ডাক্তার দেখান এবং তার পরামর্শ মেনে চলুন। আর গ্লুকোমা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। গ্লুকোমা রোগের সব ধরনের প্রচলিত চিকিৎসা দেশেই সম্ভব। চিকিৎসাও সুলভ। তবে এ রোগ প্রতিরোধে সচেতনার বিকল্প নেই। আশার কথা হচ্ছে, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা হলেও ঠিকমতো ওষুধ ব্যবহার করে ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে একজন গ্লুকোমা রোগী তার স্বাভাবিক দৃষ্টি নিয়ে বাকি জীবন সুন্দরভাবে অতিবাহিত করতে পারে।
সূত্রঃ স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবা সাইড
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম ফেসবুক-১ ফেসবুক-২
[email protected]
১৪ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ স্বপ্নের শঙ্খচিল
পজেটিভ মন্তব্য করার জন্য।
২| ১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ২:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
হযরত ওমর (রা: )'এর সময়ে গ্লুকোমার চিকিৎসা কিভাবে করা হতো?
১৪ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সেই যুগে সম্ভবত সব রোগের জন্য
আল্লাহর কাছে রোগমুক্তির প্রার্থনা করা
হতো। আপনি কি অন্য কিছু জানেন?
৩| ১২ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:১৩
ইসিয়াক বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
শুভ কামনা রইলো।
১৪ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাই
ভালো থাকবেন।
৪| ১২ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: সচেতনামূলক একটি পোষ্ট দিয়েছেন। ধন্যবাদ।
১৪ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি সচেতন তো
নাকি আপনার গুরুর মতো
উতুরি করেন !!
৫| ১২ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বঙ্গবন্ধুরও গ্লুকোমা হয়েছিল। উনি এর জন্য ৪ বছর স্কুলের পড়াশুনা বন্ধ রাখেন। পরে অপারেশন করার পর ঠিক হয়।
১৪ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই
আমিও কোথায় যেন পড়েছিলাম
এই তথ্যটি
৬| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি তো বলেন আমি ৩/৪ টা পোষ্ট দেই। দেখেন গতকাল ৩ টা পোষ্ট দিয়েছে। এখন প্রায় ৩ বাজে। ১২ ঘন্টা পার হয়ে গেছে এখনও কনো পোষ্ট দেই নাই। কারন প্রথম পাতায় অলরেডি আমার দুটা পোষ্ট আছে। অবশ্য প্রায় ২৫ টা পোষ্ট রেডি আছে। কিন্তু দিতে পারছি না। প্রথম পাতা থেকে পোষ্ট সরে গেলেই দিয়ে দিব।
১৫ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সমস্যা নাই দিতে থাকেন !!
আপনি আর আপনার গুরু
এখন মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ! ১ দিনে এক হালি
১। পীড়া
লিখেছেন রাজীব নুর, ১৪ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:০৩
২। বসে খেলে রাজার ভান্ডারও শূন্য হয়
লিখেছেন রাজীব নুর, ১৪ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:২৮
৩। ব্লগে যাদের লেখা ভালো লাগে
লিখেছেন রাজীব নুর, ১৪ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৩৩
৪। বুদ্ধি থাকলে সংসারে অশান্তি হয় না
লিখেছেন রাজীব নুর, ১৪ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:১২
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:৪৩
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে একজন গ্লুকোমা রোগী তার স্বাভাবিক দৃষ্টি নিয়ে বাকি জীবন
সুন্দরভাবে অতিবাহিত করতে পারে।
................................................................................................................................
খুব ভালো একটি টপিক লেখার জন্য ধন্যবাদ ।