নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
কুসংস্কার বা ভ্রান্ত ধারনা এমন কাজ, কথা ও প্রথা মানা যার কোনো বাস্তব ও ধর্মীয় ভিত্তি নেই। মানুষের তৈরি যুক্তিহীন এসব ভ্রান্ত বিশ্বাস, কথা, কাজ ও প্রথাকে সহজ বাংলায় কুসংস্কার বলা হয়। এসব কুসংস্কারে কারণে অনেকের জীবন হুমকির সম্মুখীন হয়। আবার কোথাও কুসংস্কারের কবলে জীবনহানীর ঘটনাও ঘটে। কিছু কিছু কুসংস্কার তো শিরকের পর্যায়ভূক্ত। আবার কিছু বিষয় সাধারণ বিবেক বিরোধী এবং রীতিমত হাস্যকর। মূলতঃ বাজারে ‘কি করলে কি হয়’ জাতীয় বই এসবের সরবরাহকারী। কিছু মানুষ চরম অন্ধবিশ্বাসে এগুলোকে লালন করে। যেমন কোথাও বেরনোর সময় পিছন ডাকলে বিপদের আশঙ্কা থাকে, বা কালো বেড়াল আপনার সামনে দিয়ে রাস্তা পার হলে একটু দাঁড়িয়ে যেতে হয়। বাড়ির মুরব্বিদের মুখ থেকে এই ধরনের কুসংস্কারের অনেক কথাই তো আমরা শুনেছি। যার কোনো কোনোটির পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। শুধু আমাদের দেশ নয়, এমন হাজার কুসংস্কার ছড়িয়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। উন্নত দেশ হোক বা অশিক্ষার অন্ধকারে ডুবে থাকা গরীব জনপ্রান্তর - কুসংস্কারের খোঁজ একটুও মিলবে না, এমন জায়গা খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। সমাজজীবনের রন্ধ্রে প্রতি পরম নির্ভরতা বা তাওয়াক্কুল বহুলাংশে লোপ পায়। একজন মুসলিমের জীবনের সব ধরনের সমস্যার সমাধান ও দিক-নির্দেশনা রন্ধ্রে কুসংস্কার সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। অথচ এসব কুসংস্কারে বিশ্বাস ঈমানের জন্য মারাত্মক হুমকি। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা।ইসলামে কুসংস্কারের কোনো স্থান নেই। এই কুসংস্কারের জন্যই আল্লাহর ওপর আস্থা ও ধর্মবিশ্বাস এবং আল্লাহর ইসলাম প্রদান করেছে। অধিকাংশ মুসলিমরা সাধারণত ইসলামরে দিক-নির্দেশনাই মেনে চলেন বা চলার চেষ্ঠা করেন। কিন্তু ইসলামের বিধান মান্য করার পাশাপাশি মুসলিম সমাজে বেশ কিছু কুসংস্কারও প্রচলিত রয়েছে। অনেক মুসলিম কুসংস্কারগুলোকে ভালো মনে করেই পালন করেন। এর মাঝে কিছু কুংস্কার এমন রয়েছে যার মাধ্যমে প্রভুর সাথে শিরকও হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। হজরত রাসূলুল্লাহর (সাঃ) এর আগমনপূর্ব সময়কে কোরআনে কারিমে ‘আইয়্যামে জাহিলিয়াত’ বা অজ্ঞতা, ববর্রতা ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন যুগ বলা হয়েছে। কারণ, তৎকালীন আরব সমাজ ছিল নানা কুসংস্কারের ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত। এ ধরনের কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজকে পরিশুদ্ধ করতে আল্লাহতায়ালা হজরত রাসূলুল্লাহকে (সাঃ) পাঠিয়ে ঘোষণা দেন যে, ‘তিনি সেই সত্তা, যিনি স্বীয় রাসূলকে সঠিক পথ ও সঠিক তথা সত্য ধর্মসহ পাঠিয়েছেন, যাতে আর সব মতবাদের ওপর এ ধর্ম তথা মতবাদ বিজয়ী হতে পারে।’ -সূরা আত তাওবা : ৩৩ বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জের মানুষগুলো অনেক বেশি সহজ-সলর। তারা নিজের অজানতেই অনেক কিছু-কেই ইসলামের বিধান হিসেবে মনে করে। সমাজের বিভিন্ন কিছুকে তারা কুলক্ষণ-সুলক্ষণ বলে ধারণা করে। আসলে কুলক্ষণ-সুলক্ষণ বলতে ইসলামে কিছু নেই! মুসলিম সমাজে প্রচলিত তেমনই কিছু কুসংস্কার যা ঈমানের জন্য মারাত্মক হুমকিঃ
আমাদের সমাজের মানুষের মাঝে বিভিন্ন প্রকার কুসংস্কার ছড়িয়ে আছে। এই সকল বিষয়কে বিশ্বাস করা হচ্ছে শিরক। সমাজে ছড়িয়ে থাকা ১৩ টি কুসংস্কারের কথা তুলে ধারা হলোঃ
১। গর্ভবতী নারীর সাথে ‘দিয়াশলাই, রসুন, লোহার টুকরা ইত্যাদি’ রাখা: এক জঘন্য কুসংস্কার!
২। “গোলাপে এতো সুগন্ধ হওয়ার কারণ হল, তাতে নবীজির এক ফোটা ঘাম মোবারক পড়েছিল।” এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
৩। ২১ বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়ে ঘুমালে নাকি প্রতি নিশ্বাসে নেকি লিখা হয়। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কুসংস্কার।
৪। মাকড়সা মারা ও তার জাল ভাঙ্গার বিধান এবং এ সংক্রান্ত একটি কুসংস্কার।
৫। যে বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা নারী আছে সে বাড়িতে কুরবানি দেয়া যাবে না। একটি কুসংস্কার।
৬। “ঘরে মাকড়সার জাল থাকলে অভাব অনটন দেখা দেয়।”একটি কুসংস্কার।
৭। ওজু ছাড়া আজান দেয়ার বিধান এবং ওজু ছাড়া আজান দিলে সংসারে দুর্ভিক্ষ নেমে আসে। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কুসংস্কার।
৮। ভাঙ্গা পাত্রে খাবার খেলে আয়ু কমে যায়। সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কুসংস্কার
৯। গর্ভবতী মহিলার ঘরে সুন্দর সুন্দর বাচ্চাদের ছবি রাখলে বাচ্চা ছবির মত সুন্দর হবে’ বলে ধারণা করা হয়। এটিও কুসংস্কার।
১০। ওযু শেষে আসমানের দিকে তাকিয়ে তর্জনী অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করে কালিমা শাহাদাত পড়া হাদিস সম্মত নয় বরং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
১১। ‘ওজু ছাড়া আজান দিলে সংসারে দুর্ভিক্ষ নেমে আসে’ এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কুসংস্কার।
১২। মুহররম মাসে বিয়ে-শাদী নিষিদ্ধ এ মর্মে যে সব কথা প্রচলিত রয়েছে সবই ভিত্তিহীন ও কুসংস্কার।
১৩। ফাতেমা রা. কে মা বলে সম্মোধন করা। কুরআনে আল্লাহ তাআলা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রীদেরকে মুমিনদের ‘মা’ হিসেবে সম্বোধন করেছেন-যাদেরকে বলা হয় ‘উম্মাহাতুল মুমিনীন’। আল্লাহ তাআলা বলেন, “আর তাঁর স্ত্রীগণ তাদের (মুমিনদের) মা।” (সূরা আহযাব: ৬) সুতরাং যারা আমাদের মা তাদের কন্যাদেরকেও মা বলা হলে তা হারামের পর্যায়ে যাবে।
ঠিক এভাবে আমাদের সমাজে গ্রাম গঞ্জে অনেক কুসংস্কারে প্রভাব বিস্তার করেছে বেশি করে আমাদের গ্রামের মা-বোনদের মাঝে । আর আমাদের সমাজের মানুষ অনেকটা এইসব বিশ্বাস করে ধর্মের দিক দিয়ে, যেটা ধর্মকে কলুষিত করা ছাড়া আর কিছই নয়। কারন ধর্ম আমরা বিশ্বাস করি মঙ্গল এর কারনে কিন্তু যে বিশ্বাসে শুদু অমঙ্গল নিহিত সেটা ধর্মের অংশ হতে পারে না। আমাদের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন কিংবা দয়াল নবীজির কোন বাণী দ্বারা এসব সত্য সাবস্থ্য নয়। মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সমাজে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য কুসংস্কার থেকে এখানে কয়েকটি মাত্র উল্লেখ করা হলো। এসব কুসংস্কারে বিশ্বাস ভীষণপাপ ও ভ্রষ্টতার কারণ। কোরআনে কারিমে এ সম্পর্কে উল্লেখ আছে, ‘পথভ্রষ্ট লোক আল্লাহর রহমত থেকে অনেক দূরে অবস্থান করবে।’ সুন্দর ও মার্জিত বিষয়াদীই ইসলামে অনুমোদিত। অন্যদিকে অসত্য, অসুন্দর ও যাবতীয় কদর্যতা ইসলামে নিষিদ্ধ। মানুষের জীবনকে সুন্দর ও শৃঙ্খলাময় করার জন্য যত রকমের সহজ-সরল দিকনির্দেশনা ও পথ রয়েছে- তার সব ইসলামে বিদ্যমান। এ কারণেই ইসলামকে মধ্যপন্থীদের ধর্ম বলা হয়। মানবতার বিরুদ্ধে যাবতীয় নিষ্ঠুরতা, অসহিষ্ণুতা ও ববর্রতার বিরুদ্ধে ইসলামই একমাত্র রক্ষাকবচ। তাই আমাদের সব ধরপ্রনের কুসংস্কারের ঊর্ধ্বে উঠে জীবন পরিচালনা করতে হবে। আমাদের সমাজ থেকে যাবতীয় কুসংস্কার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন ও সজাগ করতে আলেম-উলামা, মসজিদের ইমাম-খতিব, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সমাজ উন্নয়ন কর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষকে ধর্ম সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিতে হবে। দেশ ও জাতির বৃহৎ স্বার্থে এমন অলিক ও ধরাণাপ্রসূত কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনোভাবের পরিবর্তন অতীব জরুরি।
সূত্রঃ ইসলামী প্রশ্নোত্তর-ক্যাটাগরিঃ প্রচলিত ভুল ও কুসংস্কার
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম ফেসবুক-১ ফেসবুক-২
[email protected]
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কোরআন হাদিস যা থেকে
বিরত থাকতে বলেছে তা
উপেক্ষা করাই কুসংস্কার
২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
নবী(স: ) চাঁদকে ২ ভাগ করেছিলেন, ইহা কি কুসংস্কার, নাকি আসলেই করেছিলেন?
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জ্বিনা ইহা কুসংস্কার নয়। হজরত মোহাম্মদ (সঃ) সত্যি্ই চাঁদকে দ্বিখন্ডিত করে ছিলেন।
১৪৪২ চন্দ্রবছরেরও আগে ১৪ই জিলহজ বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)’র মোজেযার
প্রকাশ হিসেবে তাঁর আঙ্গুলের ইশারায় পূর্ণ চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল।
আবু জাহলের নেতৃত্বে একদল মূর্তিপূজারী ও ইহুদি জানায় যে, মুহাম্মাদ (সঃ)
যে আল্লাহর রাসূল তা তারা মেনে নেবে যদি তিনি চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করে দেখাতে
পারেন। তখন রাসূল (সা.) আল্লাহর কাছে দোয়া করে আঙ্গুলের ইশারা করলে ওই
অলৌকিক ঘটনাটি ঘটে।
পবিত্র কুরআনের সুরা আল-কামারের প্রথম দুই আয়াতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ
"কিয়ামত আসন্ন এবং চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছে। তারা কোনো নিদর্শন সরাসরি
দেখলেও মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, ‘এতো চিরাচরিত জাদু’। "
৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধর্মে অনেক কুসংস্কার আছে
অসুখ বিসুখ হচ্ছে আল্লাহর নেয়ামত।সহীহ মুসলিম,হাদিস নং৬৩৩৬
রোগ হলে নিরাময়ের চেষ্টা না করে ধৈর্য্য ধরা উচিত।সহীহ বুখারী ৫৬৫৩
রোগের মধ্যে কোন সংক্রামক নেই। সহীহ বুখারী ৫৩৬০
খেজুর খেলে বিষক্রিয়া হয় না। সহীহ বুখারী, ৫৪৪৫
এমন শয়ে শয়ে কুসংস্কার দেখাতে পারবো।ধর্মে আছে বলেই এগুলো সঠিক হয়ে যায় না।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মান্যবর আপনি আল্লাহর নিয়ামত ও কুসংস্কারকে গুলিয়ে
ফেলছেন আপনার মনগড়া ব্যখ্যা দিয়ে। এজন্যই হয়তো
বলে অল্প বিদ্যা ভয়ংকর।
আপনার বিশ্বাস করতে হবে অসুস্থতা দ্বারা মুমিন বান্দার স্তর উন্নত হয়।
অসুস্থতাকে অশুভ নিদর্শন হিসেবে গ্রহণ করা উচিত নয়।
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন,
‘মহান আল্লাহ যার মঙ্গল চান তাকে দুঃখ-কষ্টে ফেলেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৬৪৫)
রোগের নিজস্ব কোনো শক্তি নেই। রোগ দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ।
সুস্থতা দানের মালিক তিনিই। কোনো ব্যক্তি বা বস্তু কাউকে রোগাক্রান্ত করতে
পারে না। সুস্থও করতে পারে না। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন যে রাসুল (সাঃ)
ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই বললে জনৈক বেদুইন আরব জিজ্ঞেস করল,
হে আল্লাহর রাসুল! তাহলে সেই উটপালের অবস্থা কী, যা কোনো বালুকাময়
প্রান্তরে অবস্থান করে এবং সুস্থ-সবল থাকে? অতঃপর সেখানে কোনো
খুজলি-পাঁচড়ায় আক্রান্ত উট এসে পড়ে এবং সবগুলোকে ওই রোগে
আক্রান্ত করে ছাড়ে? (উত্তরে) তিনি বলেন, তাহলে প্রথম উটটিকে কে
রোগাক্রান্ত করেছিল? যে মহান আল্লাহ প্রথম উটটিকে রোগাক্রান্ত করেছিলেন,
তিনিই তো অন্যান্য উটকে আক্রান্ত করেছেন। (মুসলিম, হাদিস : ৫৭৪২)
তবে আল্লাহ কোনো রোগে সংক্রমিত হওয়ার গুণ দিয়ে থাকলে তা সংক্রমিত হবে।
তা থেকে নিরাপদে থাকতে হবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, অসুস্থ উটগুলোকে সুস্থ
পশুর দলে পাঠিয়ে দেবে না। (মুসলিম, হাদিস : ২৮৭৩)
তব এ শিক্ষা অবিশ্বাসীদের জন্য নয়। তারা তর্ক করেই যাবে। মহান
আল্লাহ তাদের হেদাযেত নসীব করুন। আমিন
্
৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: এবার গ্রাম থেকে ফেরার পর আপনার পোষ্ট গুলো ভালো হচ্ছে।
ভাবছি আমিও দীর্ঘ বিরতিতে যাবো। ফিরে এসে হয়তো আমার লেখার মান ভালো হবে।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিরতী অত্যাবশ্যকীয়। বিরতিতে বুদ্ধি পাকা হয়।
ভুল ত্রুটি শুদ্ধ হয়। আপনি দেখবেন সব কাজেই
একটা বিরতী থাকে। নামাজে বিরতী. খাবারে
বিরতী, কাজে বিরতী ইত্যাদি !! বিরতী দেন
পরিপূর্ণ জ্ঞানী হোন।
৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সুধী পাঠক’ প্রকৃত পক্ষে সেদিনকার ঘটনাটা ছিলো ‘রাসুল সা: কিয়ামতের নির্দশন বা কিয়ামত কিভাবে ঘটবে তার একটি উদাহরন হিসেবে মক্কাবাসীকে দেখতে বলেছিলো চাদেঁর দিকে তাকিয়ে। তাহলে সেদিন চাঁদের বুকে কি ঘটেছিলো? কেনো চাঁদে এই বিকট বিস্ফোরন ঘটেছিলো? আর সেই বিস্ফোরনের সাথে কিয়ামতের কি সম্পর্ক থাকতে পারে? আমাদের জানা মতে রাসুল সা: সেদিন মক্কাবাসীদের ডেকে জড়ো করেছিলেন কিয়ামতের নিদর্শন দেখানোর জন্যে। যার অর্থ দাড়ায় কিয়ামত কিভাবে হবে? সেদিন কি হয়েছিলো চাদেঁর বুকে? এই প্রশ্ন আজ আমাদের মাঝে প্রশ্ন সৃষ্টি করে কিয়ামত কিভাবে হবে? আসলে পাঠক’ সেদিন চাঁদের বুকে বিশাল এক প্রস্তরখন্ড আঘাত করেছিলো। যার আঘাতের কারনে চাদ দ্বিখন্ডিত হয়েছিলো। “বিজ্ঞান অবহিত করেছেন যখন কোন পাথরখন্ড বা গ্রহানূ মহাশূন্য থেকে চাঁদেও মধ্যাকর্ষনের কারনে তার পৃষ্ঠের দিকে সবেগে ছুটে আসতে থাকে তখন চাঁদেও কোন বায়ুমন্ডল না থাকায় এরা বিনা বাঁধায় এতো প্রচন্ড গতিতে চন্দ্রপৃষ্ঠে আঘাত হানে যে পতিত স্থানে কল্পনাতীত ধাক্কায় Fusion পদ্ধতিতে পারমানবিক বোমার মত ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ঘটে । ফলে ব্যাপক তাপের সৃষ্টি হওয়ায় পতিত স্থানে মুহুর্তেই বিরাট অগ্নি গোলকের সৃষ্টি হয়। অগ্নিগোলকের প্রচন্ড তাপে চাঁদেও শক্ত কঠিন মাঠি, পাথর সব গলে গিয়ে উত্তপ্ত লাভায় পরিনত তয়। পরবর্তীতে ঐ লাভা সৃষ্ট গর্তেও কিয়দংশ পূর্ন করে থাকে। এই অবস্থায় পাথরখন্ড বা গ্রহানু অথবা ধুমকেতু চন্দ্রপৃষ্ঠে পতিত হওয়ার কারনে যদি প্রচন্ড ধাক্কায় প্রতিক্রিয়ায় পতিত স্থান থেকে কোন বড় শক্ত পাথরখন্ড বা একটা পাহাড়খন্ড দলাবদ্ধ অবস্থায় মহাকাশের দিকে উৎক্ষিপ্ত হয়, তাহলে ঐ উৎক্ষিপ্ত মাটির দলাটিও Fusion পদ্ধতি লাভ করে পারমানবিক বোমার মতো প্রচন্ড অগ্নিগোলক সৃষ্টি করে মহাশুন্যে জ্বলতে থাকবে এবং ধাক্কায় Trust প্রাপ্ত উধ্বগতি শেষ হওয়া মাত্রই চাঁদের মধ্যার্কষন বলের আর্কষনে আবার চাঁদের দিকে ফিরে আসবে। *(কুরআন কিয়ামত পরকাল-মুহাম্মদ আনোয়ার হুসাইন) উল্লেখিত র্বণনায় প্রমানস্বরুপ বহু চিহ্ন ইতোমধ্যেই বিজ্ঞানীরা সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। এ ধরনের একটি গর্তকে বলা হয় Tsioik Ovskh যার ব্যাস হচ্ছে প্রায় ১৫০ মাইল। গভীরতা ও হাজাার হাজার ফুট। আমরা পূর্ণচন্দ্র রাতে এর বুকে ওপর কালো গর্তেও মত যে দাগটি দেখতে পাই যা ‘মৃত সাগর’ নামে পরিচিত, এর ব্যাস প্রায় ১০০০ মাইল। ভাবতে পারেন কত বড় আঘাতের চিহ্ন বুকে ধারন করে অসহায় চাঁদটি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে? অতএব আমরা তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে এক প্রকার নিশ্চিত হতে পারি যে মক্কায় চন্দ্র সম্পর্কে যে দৃশ্যের অবতারণা করা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট হয়ে উঠে যে একটি বড় ধরনের পথরখন্ডই চন্দ্রপৃষ্ঠে পতিত হয়েছিলো এবং আল্লাহ তায়ালা তার নবীর মাধ্যমে মক্কাবাসীকে এ দৃশ্য অবলোকন করায়ে বুঝাতে চেয়েছেন যে পৃথিবীর ধ্বংশ অনুরুপ কোন এক ব্যবস্থায় ঘটানো হবে। একটি পাথর খন্ডের আঘাতে।
১৯৬৯ সালে এ্যাপোলো -১১ নামের একটি মার্কিন মহাকাশযানে মানুষ সর্বপ্রথম চাঁদে অবতরন করে। এর আগেও চাঁদ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণার জন্য এ্যাপোলো-১০ নামের রকেট চাঁদে পাঠানো হয় চাঁদের সর্বাধিক ছবি তুলে আনার জন্য। ঐ সময়ে চাঁদের যেই ছবি এলো, এতে দেখা যায় চাঁদের বুকচিরে একটি ফাঁটল বিদ্যমান। ফাঁটলটি লম্বায় ২০০ [কিঃমিঃ] এর ও বেশি এবং চওড়ায় ৩ [কিঃমিঃ]
বিজ্ঞানীগণ এর নাম দিয়েছেন "হাইজিনাস রিলী"। এই "হাইজিনাস রিলী"র মাটি ও পাঁথর গবেষণা করে বিজ্ঞানীগণ আবিষ্কার করলেন যে, এই ভাঙ্গা ও জোড়া লাগার ঘটনাটি ১৪০০ বছরেরও পুরোনো। এই ঘটনায় অভিভূত হয়ে একাধিক বিজ্ঞানী ইসলান ধর্ম গ্রহন করেন। তাহলে প্রমান হচ্ছে আল কোরআনের কথাই সত্য। চাদঁ বির্দীন। যার অর্থ চাঁদে ফাটল আছে। চাঁদের সেই ফাটলটির ছবি এবং শুধু তাই নয় ফাটলটির পাশে রয়েছে বিশাল বিশাল গর্ত যা দেখে বোঝা যায় চাঁদের বুকে কিছু আছড়ে পড়ার নিদর্শন। উল্কাপিন্ড, ধূমকেতু, গ্রহানুর মতো মহাজাগতিক আঘাত। চাঁদ সত্যিই বির্দীন ? এ ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পটভূমী ও নাসার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ বিষয়টির মিমাংসা করতে পারে। “চাঁদে প্রায় ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার প্রশ্বস্থ একটি আয়তাকার ফাটল উপত্যকার চিহ্ণ পাওয়া গেছে। এটির অবস্থান সেখানকার পৃষ্টতলের ঠিক নিচে।” আবার এ ব্যাপারে ললেন্স ফিৎরেজ তার চাদের বুকে মানুষ বইতে উল্লেখ করেছেন “চাঁদের ওই স্থানটি কয়েক’শত কোটি বছর আগের কোন ফাটল উপত্যাকার ধ্বংশাবশেষ। এটি পরর্বর্তী সময়ে লাভার পরিপূর্ণ হয়ে যায়। চাঁদে আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তার ইঙ্গিত দেয়।” চাঁদে যে ফাটল আছে সেটা বিভিন্ন তথ্য উপাত্তে জানা যায় । এবং সে ফাটল কে নিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানিদের বিভিন্ন রকম মন্তব্য রয়েছে । তার মধ্যে দুটি অনুমান বিজ্ঞানী সমাজে গ্রহনযোগ্য। বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন, “চাঁদের বুকে কোনো গ্রহানু আছড়ে পড়ার কারণ সেখানে পাথুরে র্দীঘ ভাজ সৃষ্টি হয়েছিলো”। আল-কোরআনের ভাষ্যমতে “কেয়ামত আসন্ন চন্দ্র বির্দীন হয়েছে। যাতে স্পষ্ট বোঝা যায়। বির্দীণ হয়েছে মাত্র। অথাৎ কিছুদিন পূর্বে বা কিছু সময়ের ব্যবধানে এঘটনা ঘটোছে। যদি চাঁদের জন্মের শুরু থেকেই অথবা ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি বছর আগেই এঘটনা ঘটে থাকতো তাহলে উপল্লোখিত আয়াতে অবশ্যই ‘বির্দীন হয়েছে’ শব্দটির প্রয়োগ থাকতো না। নাসার প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত এবং চিত্রে পাওয়া যায় এই ফাটলের চিহ্ন। যা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে নাসার বিভিন্ন বিজ্ঞানী আলোচনা করেছেন। পাওয়া যায় চাঁদের কলংক নামে অভিহিত বিশাল বিশাল গর্ত। নিুের ছবিটির দিকে তাকালেই বোঝা যায় চাঁদের সেই ফাটলটির ছবি এবং শুধু তাই নয় ফাটলটির পাশে রয়েছে বিশাল বিশাল গর্ত যা দেখে বোঝা যায় চাঁদের বুকে কিছু আছড়ে পড়ার নিদর্শন। এটা সহজে অনুমেয় চাঁদ দীর্ঘদিন ধরে বুকে অমানসিক যন্ত্রনা কিষ্টতা দিয়ে ঘন ঘন আঘাত হেনেছে উল্কাপিন্ড, ধুমকেতু সহ গ্রহানু জাতীয় বিভিন্ন পাথর। চাঁদের ছবিগুলোর দিকে বোঝা যায় ক্ষতকিক্ষত চেহারা নিয়ে আজও চাঁদ অসহায়ের মতো তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। তার মধ্যাকর্ষণ আজো আমাদের সমুদ্রে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি করছে। চাঁদে যদি কেয়ামতের নিদর্শন দেখাতে ফাটল ঘটে তবে সেই ফাটল জোড়া লাগলো কিভাবে? জোড়া লেগেছে চাঁদের জ্বালামুখের লাভার নির্গত পদার্থ দ্বারা। চাঁেদ অসংখ্য জ্বালামুখের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেই সকল জ্বালামুখের উদগীরিত লাভা বের হয়ে ফাটল জোড়া লেগেছে। ফাটলের অভ্যন্তর থেকেও গলিত লাভা বের হয়ে ফাটল জোড়া লাগিয়েছে।
চন্দ্রপৃষ্ঠে বড় ধরনের পাথর খন্ডের আঘাতে বিরাট এলাকা বা কয়েকটি পাহাড় প্রচন্ড আঘাতে মহাশুন্যে উৎক্ষিপ্ত হয়ে যে বিশাল গর্তের সৃষ্টি করেছে, তার মধ্যে ‘ক্লেভিয়াস’ গর্তটি একটি। যার ব্যাস প্রায় ১৪৬ মাইল এবং গভীরতা ১০০০০ ফুট এরুপ অসংখ্য গর্ত চন্দ্রপৃষ্ঠে আবিস্কৃত হয়েছে।
রাসুল সাঃ চাঁদ দ্বিখন্ডিত করে নাই। সেটা ছিলো আল্লাহর তরফ থেকে দেখানো একটি নিদর্শন। কেয়ামত পৃথিবীতে প্রস্তরখন্ডের দ্বারাই সংঘটিত হবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সেইদিন মক্কাবাসীকে অবহিত করেছিলেন কিভাবে কেয়ামত হবে। কিন্তু সেভানে রাসুল (সাঃ) এর হাতের ইশারায় চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয় নাই। ছিলো একটি নিদর্শন মাত্র।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রাসুল (সাঃ) এর হাতের ইশারায় চাঁদ দ্বিখন্ডিত হবার বাস্তবতার কথা মুসলমান নামধারী
একটি দল কাফের-মুশরিকদেরও ছাড়িয়ে যায় এবং চন্দ্র বিদীর্ণ হওয়ার মোজেযাকে
কেবল অস্বীকারই করে না, তারা তাদের ভ্রান্ত নীতি দর্শন অনুযায়ী বলতে থাকে,
আকাশ ও গ্রহ-উপগ্রহের পক্ষে বিদীর্ণ হওয়া ও সংযুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। তারা
আরও প্রশ্ন উত্থাপন করে যে, চন্দ্র বিদীর্ণ হওয়ার মতো মোজেযা সংঘটিত হয়ে
থাকলে তা বিশ্ব ইতিহাসে স্থান পেত অথচ ইতিহাসে এই ঘটনার কথা উল্লেখ নেই।
সুতরাং এই ঘটনার কোন বাস্তবতা নেই।
পবিত্র কোরআনে এ ঘটনা সম্পর্কে বলা হয়েছে
কিয়ামত আসন্ন এবং চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হয়েছে,তারা কোন নিদর্শন প্রত্যক্ষ করলেও
বিমুখ হয়ে থাকে এবং বলে,‘এতো চিরাচরিত জাদু।’তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে
এবং নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করেছে।
[সূরা আল ক্বামর,আয়াত নং ১-৩]
৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা বিরতী দিবো। দুই আড়াই ঘন্টার সিনেমাতেও বিরতি দেয়।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমিও একটা দীর্ঘ বিরতিতে যাচ্ছি
আপনি ভালো থাকবেন। আপনার
কন্যাদের জন্য আমার শুভকামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৬
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যার কোন বৈজ্ঞানিক সত্যতা নেই বা বাথাযত যুক্তি পূর্ণ না সেগুলো সবই কুসংস্কার।