নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব নারী খৎনার (নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ) শূন্য সহনশীলতা দিবস আজ

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৮


নারীদেরও খৎনা হয়! এ বিষয়ে অনেকেই অবগত নন! সত্যিই এমন প্রথা রয়েছে বিশ্বের কয়েকটি দেশে। আফ্রিকা মহাদেশের ২৭টি দেশসহ ইন্দোনেশিয়া, ইরাকের কুর্দিস্তান, ইয়েমেন-এ দেশগুলোতে নারীদের মুসলমানি একটি ধর্মীয় রীতি হিসেবেই প্রচলিত। আজ থেকে নয়, আধুনিক বিশ্ব সৃষ্টি হওয়ার প্রায় শতবর্ষ আগে থেকেই এ রীতি মেনে আসছেন বহু মানুষ। আর সংখ্যাটাও একেবারেই নগণ্য নয়! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতিসংঘের মত অনুসারে ‘চিকিৎসা বহির্ভূত কোনো কারণে মহিলাদের যৌনাঙ্গের বাহ্যিক অংশের আংশিক বা পূর্ণ অপসারণ করানো হল নারীর যৌন বিকৃতিকরণ যাকে ইংরেজিতে বলা হয় এফিএম বা ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন (এফ জি এম)’অনেক সময় বয়ঃসন্ধির সময় এটি করা হয়। ফলে নারীদের শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার তৈরি হয়, যা পরবর্তীতে তাদের সারাজীবন ধরে বয়ে বেড়াতে হয়। বর্তমান বিশ্বে এ রকম বিশ কোটি নারী রয়েছেন, যাদের আংশিক অথবা পুরো খৎনা অর্থাৎ যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। অনেক নারী ও মেয়ের শিশু অবস্থাতেই এ রকম খৎনা করা হয়, এমনকি শিশুদেরও।এই বর্বরতার শিকার অর্ধেক নারীর অবস্থান মিশর, ইথিওপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায়৷ গতবছরের তুলনায় এই হিসেব প্রায় সাত কোটি বেশি। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এার এক প্রতিবেদনে বলা হয় চলতি ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী পনের বছরে যৌনাঙ্গচ্ছেদের শিকার মেয়ে ও নারীর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের ২৯টি দেশে ব্যাপকভাবে এ রীতি চালু রয়েছে, যদিও এদের মধ্যে ২৪টি দেশেই এটি নিষিদ্ধ। অনেকে দেশে বেআইনি হওয়া সত্ত্বেও পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের সাজা হতে পারে, এ রকম আশঙ্কা থেকে ভুক্তভোগীরা আর অভিযোগ সামনে আনেন না। তবে মেয়ে শিশুদের ওপর এ রকম খৎনা করার প্রবণতা বাড়ছে। নারী খৎনা চূড়ান্তভাবে নারী-অধিকার লঙ্ঘন। তাই নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদ রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতিসঙ্ঘ বিশ্ব জনসংখ্যা তহবিল প্রতি বছর ৬ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব জুড়ে আন্তর্জাতিক নারী খৎনা বা নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতিকরণের ‘জিরো টলারেন্স’শূন্য সহনশীলতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। আজ আন্তর্জাতিক নারী খৎনার (নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ) শূন্য সহনশীলতা দিবস। অমানকিবক এই চর্চা বন্ধে সরকার, স্বাস্থ্য সেবাদাতা, কমিউনিটি নেতা, পিতামাতা এবং পরিবারসহ সবার সহযোগিতা কাম্য।

নারীদের খৎনা আসলে কী? নারীদের খৎনার মানে হলো ইচ্ছাকৃতভাবে মেয়েদের যৌনাঙ্গের বাইরের অংশটি কেটে ফেলা। অনেক সময় ভগাঙ্কুর এর পাশের চামড়া কেটে ফেলা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছে, '' চিকিৎসার প্রয়োজন ব্যতীত এমন যেকোনো প্রক্রিয়া, যা নারীদের যৌনাঙ্গের ক্ষতি করে থাকে।'' নারী খৎনা সাধারণত ১৫ বছরের কম বয়সী তরুণীদের মধ্যে ঘটানো হয়। বিশ্ব জুড়ে প্রায় ২০০ লক্ষ তরুণীও মহিলা বিভিন্নভাবে নারী খৎনার শিকার, এবং ৩ লক্ষ তরুণী এখনো এই মর্মান্তিক নারী খৎনার অধীনে আসার ঝুঁকিতে রয়েছে। সাধারণত মেয়ের বয়স পাঁচ বছর পার হওয়ার আগেই যৌনাঙ্গচ্ছেদ করা হয়৷ অনেকে ধর্মের দোহাই দিয়ে এটা করলেও কোরান এবং বাইবেলে এ রকম কিছু লেখা নেই বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ বরং যৌনাঙ্গচ্ছেদের কারণে রক্তক্ষরণ বা সংক্রমণে মেয়েদের মৃত্যুও ঘটে। নারী খৎনা শধুমাত্র ক্ষতিই করে; এর কোনো শারীরিক উপকার নেই। বহু বছর ধরে সুদানে চলে আসছে বিভৎসা প্রথা নারী খৎনা। যেটার মাধ্যমে নারীদের উপরের অথবা ভেতরের লেবিয়া এবং ক্লিট কেটে ফেলা হয়। সেটা যে অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে করা হয়, এমন নয়। এমন কাজে পারদর্শী গ্রামের কোনো নারীকে দিয়ে করানো হয়। যেটা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির। এটা করার কারণে মূত্রনালীতে সংক্রমণ, জরায়ুর সংক্রমণ, কিডনির সংক্রমণ, সিস্ট, গর্ভধারণে অক্ষমতা ও ব্যথাযুক্ত শারীরিক সম্পর্কের মতো নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। জাতিসংঘের মতে সুদানের ১৪ থেকে ৪৯ বছর বয়সী যেকোনো নারীকে এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাদের উপরের অথবা ভেতরের লেবিয়া আংশিক কিংবা পুরোপুরিভাবে কেটে ফেলা হয়। কেটে ফেলা হয় ক্লিটও। মেয়েদের খৎনা দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। জুমানা নাগাওয়াল নামে যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট শহরের এক নারী চিকিৎসক বিরুদ্ধে মেয়েদের খৎনা দেয়ার অভিযোগে মামলা হয়। প্রসিকিউটর কার্যালয় সূত্র জানায়, ওই চিকিৎসক ১২ বছর ধরে ছয় থেকে আট বছর বয়সী মেয়েদের খৎনা দিয়ে আসছিলেন।১৯৯৬ সাল থেকে মেয়েদের খৎনা দেয়াকে অবৈধ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্রে।
অভিযোগ ওঠার পর ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। এ ধরনের মামলা দেশটিতে এই প্রথম। যদিও ডা. নাগারওয়ালা তার বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠন ও দেশ সুদানের এই বর্বরোচিত প্রথার বিলুপ্তি ঘটানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছিলো বহু বছর ধরে। অবশেষে গতবছর মে মাসে সুদানে নারীর খৎনাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই অপরাধে ৩ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে। শুধু কি সুদান? মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, এশিয়া, উত্তর আমেরিকার অনেক দেশে রয়েছে এই প্রথা। সম্প্রতি রাশিয়ায় একটি বিল আনা হয়েছে, যেখানে নারীদের মুসলমানিকে (FGM- Female Genital Mutilation) একটি আইনি অপরাধ হিসেবেই দেখা হবে। অপরাধী যেই হোক না কেন, শাস্তি হতে পারে ১০ বছরের কারাবাস। রাশিয়ার পার্লামেন্টে এ বিলের সপেক্ষে বলা হয়, সভ্য সমাজে নারী যৌনাঙ্গের অঙ্গহানি বা নারীদের মুসলমানির মতো বর্বর প্রথার কোনো স্থান নেই।

নারী খৎনার ঝুঁকির মধ্যে কারা রয়েছে?
আফ্রিকার ২৮টি দেশে এবং এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে এই ‘নারীর যৌন বিকৃতিকরণ (এফ জি এম)’হল পরম্পরাগত এক চর্চা | এই মুহুর্তে প্রায় ৩০ টি দেশ জুড়ে ২০০ লাখেরও বেশী বালিকা ও মহিলা এই নারীর যৌন বিকৃতিকরণ চর্চার শিকার, এবং প্রতি বছর ৩ লাখেরও বেশী বালিকা নারীর যৌন বিকৃতিকরণ ঝুঁকিতে থাকে | নারীর যৌন বিকৃতিকরণের কারণগুলোর মধ্যে পড়ে মিশ্র সংস্কৃতি, পরিবার ও সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় ও সামাজিক চর্চা | এফ.জি.এম (ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন)অর্থাৎ ‘নারীর যৌন বিকৃতিকরণ’ কঠোরভাবে নারীর স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং শারীরিক-সঙ্গতি বিরোধী | যে চর্চার চরম ফল মৃত্যু সেখানে একজন বালিকা বা তরুণী অথবা মহিলার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে এ ধরণের পৈশাচিক অত্যাচার ও নিষ্ঠুরতা থেকে মুক্ত হওয়ার |
নারী খৎনা শরীরের কোনো উপকারই নয়, শুধুই ক্ষতিঃ
নারী খৎনা স্বাভাবিক যৌন কলাগুলোকে সরিয়ে ফেলে ও ক্ষতি করে এবং এর ফলে তরুণী ও মহিলাদের শরীরের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতার বিঘ্ন ঘটে| এই নারী খৎনা চর্চার কোনো মেডিক্যাল উপকার নেই, এবং এটি তরুণী ও মহিলাদের শরীরে নানাবিধ স্বাস্থ্য-সমস্যা তৈরি করে |

নারী খৎনার জটিলতাঃ
নারী খৎনার শুরুতেই গুরুতর ব্যথা, শক, রক্তক্ষরণ (রক্তপাত), টিটেনাস বা সেপিসিস (ব্যাক্টেরিয়াল সংক্রমণ), প্রস্রাব ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়া, যৌন-অঞ্চলে ক্ষত ও জখম, এবং মৃত্যু |
দীর্ঘমেয়াদী ফলাফলঃ
• মূত্রসংক্রান্ত সমস্যা (প্রস্রাবে বেদনা, মূত্রনালীর সংক্রমণ);
• যোনি সমস্যা (স্রাব, চুলকুনি, ব্যাকটেরিয়াল ভেজিনসিস ও অন্যান্য সংক্রমণ)
• মাসিক সমস্যা (বেদনাদায়ক স্রাব, স্রাবজনিত রক্ত নি:সরণে অসুবিধে)
• খুঁতযুক্ত কলা এবং কেলাসাকার গঠন
• বন্ধ্যাত্ব
• যৌন সমস্যা (যৌন মিলনের সময় ব্যথা, সঙ্গমে অসন্তোষ)
• প্রসবকালীন জটিলতা (যেমন প্রসবে সংকটজনক অবস্থা, অতিরিক্ত রক্তপাত, সিজারিয়ান সেকশন) এবং নবজাতকের মৃত্যু
• পুনরায় সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে
• মানসিক সমস্যা (যেমন বিষণ্নতা, উদ্বেগ, পোস্ট-ট্রমাটিক মানসিক চাপ, আত্মসম্মান হানি)।

যদিও নারী খৎনা কোনভাবেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়, তবুও অনেক দেশে স্বাস্থ্যসেবা-কর্মী দিয়ে এই নারী খৎনা সম্পন্ন করা হয় | বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেশবিধি অনুযায়ী এক্ষেত্রে একজন স্বাস্থ্যসেবা-কর্মীর যা যা জানা উচিতঃ
ক) নারী খৎনা হল কঠোরভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন
খ) নারী খৎনা কখনো কোনভাবেই যেন সম্পাদিত ও সংঘটিত না হয় (এমনকি স্বাস্থ্যসেবা-কর্মী দিয়েও নয়)
গ) যদি এই চর্চাটি আজও চলতে থাকে তবে ২০৩০ সালের মধ্যে আরো ৮৬ লক্ষ কন্যাসন্তান এই অত্যাচার ও বিকৃতিকরণের শিকার হবে |

আজকাল ‘নারী খৎনা’ নিয়ে বিধর্মীরা খুব লাফালাফি করে, আবার অনেকে আইএস’র উদাহরণ নিয়ে আসে। আসলে নারী খৎনা নিয়ে ইসলামে কি হুকুম তা জানার দরকার আছে। নারী খতনা হানাফি মাহযাব মতে জায়িজ নেই (বিশ্বের অধিকাংশ মুসলমান হানাফি মাহযাব অনুসারী)। ফতোয়ায়ে শামী কিতাবে বলা হয়েছে, কোরআন-হাদীসে খতনাহ সম্পর্কিত যত কথা আছে তাহা কেবল পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য । তবে শাফেয়ী মাহযাব মতে নারী খৎনা করা যায়, তবে সেটা সবার জন্য নয়, মাজুর বা অসুস্থ নারীদের জন্য। এখানে মনে রাখতে হবে, অনেক মহিলা সন্তান হওয়ার সময় সিজার অপরেশন করে, এতে ঐ মহিলার অনেক কষ্ট হয়, কিন্তু মাজুরতা বা অসুস্থতার জন্য তাকে ঐ কাজটি বাধ্যই হয়ে করতে হয়। তেমনি ঐ সময়, ঐ এলাকার অনেক মহিলারা বিশেষ রোগে ভুগতো, যার কারণে ঐ সময় নারী খৎনার বিশেষ প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এবং প্রয়োজন অনুসারে মাজুর মহিলাদের জন্য এ কাজটি অনুমোদন করা হয়। অবশ্য, শাফেয়ী মাহযাবের নারী খৎনার অনুমোদন এটাই প্রমাণ করে ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনবিধান। কারণ নারীদের ঐ বিশেষ শারীরিক সমস্যা সমাধান একমাত্র ইসলাম-ই দিতে পেরেছিলো, যা অন্য ধর্ম দিতে পারেনি। সুতরাং, এই অমানবিক ও নৃশংস চর্চা পরিহারের প্রয়োজন অনেক আগে জরুরি ছিল। জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এবং জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) নারী খৎনার উপর একটি যুগ্ম কর্মসূচি গড়ে তুলেছে| সারা বিশ্ব জুড়ে নারী খৎনার ফলাফলগুলোর উপর যত্ন নেওয়া ও নারী খৎনা অপসারণ এই তহবিলগুলোর লক্ষ্য | ‘‘যৌনাঙ্গচ্ছেদ প্রত্যেক ক্ষেত্রেই মেয়ে ও নারীর অধিকারের লঙ্ঘন। এই চর্চা বন্ধে তাই সরকার, স্বাস্থ্য সেবাদাতা, কমিউনিটি নেতা, পিতামাতা এবং পরিবারসহ সবার কাজ করতে হবে৷''

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম :-& ফেসবুক-১ :-& ফেসবুক-২
[email protected]

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩

জুল ভার্ন বলেছেন: কী ভয়াবহ!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সত্যিই ভয়াবহ !!
তাই জাতিসঙ্ঘ বিশ্ব জনসংখ্যা তহবিলের উদ্যোগের সাথে
একাত্ম হয়ে হয়ে এর বিরুদ্ধে সবার সোচ্চার হওয়া দরকার।

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৮

মাসুদুর রহমান (শাওন) বলেছেন: অমানবিক!!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সত্যিই চরম অমানবিক!
জাতিসঙ্ঘ বিশ্ব জনসংখ্যা তহবিলের উদ্যোগের সাথে
একাত্ম হয়ে হয়ে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে এই বিশ্বকে
নারী খৎনা ণিমূল করতে সহায়তা করুন।

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৬

সড়কযোদ্ধা বলেছেন: অ মা ন বি ক তা

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সড়কযেদ্ধা।
চরম অমানবিকতার জালে জড়িয়ে
আছে বিশ্ব। এর থেকে উত্তরণের পথ
খুঁজতে হবে আমাদের।

৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



বেদুইনরা বিশ্বকে পংগু করার মতো অপরাধ চালু করে গেছে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার ধারণা ভুল। ইসলামের অনুসারী
বেদু্ইনরা এমন কোন অন্যায় করেনি যাতে
বিশ্ব পঙ্গু হয়ে যাবে। এরা বাড়িতে বসবাস না
করে সর্বত্র ঘুরে বেড়ায় এবং তাঁবুর নিচে বাস করে।
তাছাড়া এরা উটে চড়ে বেড়ায় এবং ভেড়া, ছাগল,
গবাদি পশু লালন-পালন ও বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করে।

৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০০

নতুন বলেছেন: সহি হাদিসে আছে । রাসুল সা: নিষেধ করেন নাই।

গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ৩৮/ সালাম (كتاب الأدب) | হাদিস নাম্বারঃ ৫১৮১
৩৮. খাতনা করা সম্পর্কে।
৫১৮১. সুলায়মান ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) .... উম্মু আতীয়া নামক জনৈকা আনসারী থেকে বর্ণিত যে, মদীনাতে একজন মহিলা মেয়েদের খাতনা করতো। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেনঃ তুমি মেয়েদের লিংগাংগ্র বেশী গভীর করে কাটবে না। কেননা, এটা মেয়েদের শরীরের এমন একটা অংশ, যা পুরুষদের কাছে খুবই প্রিয়।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নতুন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে আপনি যে হাদিসের কথা বলেছেন তা সঠিক
তবে আমরা এমন কোনো হাদিস জানি না যেখানে নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
তাঁর স্ত্রী এবং কন্যাদেরকে খৎনা করার জন্য আদেশ করেছেন। তবে এই মর্মে বর্ণিত আছে যে,
মদিনার এক নারী নারীদের খৎনা করাতো। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
তাকে বলেছিলেন যাতে সে সঠিকভাবে খৎনা করায়। আবু দাঊদ (৫২৭১),

৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইহা বাংলাদেশে চালু করার জন্য ব্লগের অতি-ধর্মীয়দের নিয়ে ১টা কমিটি করার দরকার আছে?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধর্মীয়দের নিয়ে কেন?
ধর্মীয়রা এটার বিলোপ চান।
বিধর্মীরা একটা কমিটি করুন
যার প্রধান হতে পারেন আপনি।

৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোস্টে মাইনাস।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনার মাইনাস এর মানে
আপনি নারী খৎনা পক্ষে !!
অবশ্য আপনার মাইনাস প্লাসে
কিছু আসে যায়না। কারণ আপনি
একই সাথে দুই নৌকার যাত্রী !!
জানি আপনি রাগ করবেন না তাই বললাম।

৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পুরুষের খৎনাইতো অমানবিক তার উপর আবার মেয়েদের খৎনা।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পুরুষের খৎনা যে কারণে অমানবিক নয়
আমাদের মুসলিম সমাজে এ সংস্কৃতি শত শত বছর ধরে চলে আসছে।
এটি একটি মহান সুন্নত। যুগে যুগে বড় বড় নবী-রাসুলও এ সুন্নত পালন
করেছেন। সর্বপ্রথম এ সুন্নত পালন করেছেন হজরত ইবরাহিম (আঃ)।
হজরত সাইদ ইবনে মুসাইয়াব (রহ.) থেকে বর্ণিত, হজরত ইবরাহিম (আঃ)
হলেন খতনার সুন্নত পালনকারী সর্বপ্রথম ব্যক্তি।
(মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ২৬৪৬৭)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, ফিতরাত, অর্থাৎ
মানুষের জন্মগত স্বভাব পাঁচটি—খতনা করা, নাভির নিম্নদেশে ক্ষুর ব্যবহার করা,
বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নখ কাটা ও গোঁফ খাটো করা। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৮৮৯)

পুরুষের খতনাকে আধুনিক স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত বলে মনে করেন।
খতনার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকজাতীয় (ব্যাকটেরিয়া) রোগ থেকে রক্ষা
পাওয়া যায়। খতনার প্রধান সুবিধা হলো, এর ফলে লিঙ্গের অগ্র ত্বকে যে তরল
জমে নোংরা অবস্থার সৃষ্টি করে, তা থেকে রেহাই পেতে পারে। দেড় হাজার বছর
আগে মহানবী (সা.) খতনার কথা বলেছেন, ব্যাপক গবেষণা শেষে আজকের
আধুনিক বিজ্ঞান স্বীকার করেছে, খতনার ব্যাপক উপকারিতা আছে।

ওয়াশিংটনের সৈনিক মেডিক্যাল কলেজের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান প্রফেসর
ডা. বিজবেল বলেন, ‘আমি প্রথমে খতনার বিরোধী ছিলাম, পরে দীর্ঘ
গবেষণার ফলে প্রমাণিত হলো যে মূত্রথলি ও মূত্রনালিবিষয়ক অনেক
জটিল রোগের সমাধান হলো খতনা।

ইবন কুদামাহ (রাহমাতুল্লাহ আলাইহি) আল মুঘনিতে বলেন,
“খৎনা করা পুরুষদের জন্য ফরয, আর মেয়েদের জন্য একটি
সম্মান কিন্তু তাদের জন্য ফরয নয়।” এটাই অনেক আলেমের মত।
ইমাম আহমাদ বলেন, “এটা পুরুষদের জন্য অধিক জরুরি তবে
মহিলাদের জন্য এত জরুরি নয়।” (আল মুঘনি-১/৭০)।

৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কি ভয়ঙ্কর অবস্থা! ভাবতে পারছিনা।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

এর চেয়েও ভয়ংকর কিছু প্রথা/কুসংস্কার চালু আছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যা শুনে
আমরা চমকে উঠি!! কোনটা সংস্কার কোনটা কুসংস্কার বা কোনটা বিশ্বাস আর
কোনটা অন্ধবিশ্বাস – এটা চিহ্নিত করা খড়ের গাদায় সুঁচ খোঁজার মতো। নরবলির
মতো কুসংস্কার আজও রয়েছে ভারতে। শুভ শক্তি থাকুক আর না থাকুক, শুভ বোধ,
আদর্শ মানবজীবনকে অবশ্যই সত্য ও সুন্দরের পথ দেখায়৷ আর তাই, এর বিপরীতের
প্রতি মানুষের আকর্ষণ সৃষ্টির সেই আদি কাল থেকে৷ ভূত-প্রেত, আত্মা বা জিন নিয়ে
তাই রয়েছে অসংখ্য গল্প, কল্প-কাহিনি আর তার সঙ্গে সঙ্গে অজস্র আচার-অনুষ্ঠান, অন্ধ বিশ্বাস৷
ভারতের সমাজ জীবনে কুসংস্কার গভীরভাবে প্রোথিত। এর বিরুদ্ধে লড়াই করা যে খুব
কঠিন, সেটা জীবন দিয়ে বুঝিয়ে গেলেন কুসংস্কার-বিরোধী আন্দোলনকারী ৬৫ বছর বয়সি
ডা. নরেন্দ্র দাভোলকর। মহারাষ্ট্রের পুনেতে তিনি আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।

১০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৮

শাহ আজিজ বলেছেন: বাংলাদেশে কোন এক জেলায় এক বৃদ্ধের সন্ধান পেলাম যিনি ইহুদি ধরমালম্বি এবং মেয়েদের খৎনা করেন । তিনি খত্নার উপকার বয়ান করলেন । প্রথমে স্বীকার না করলেও পরে বললেন তিনি শনিবার জুম্মা করেন এবং সপ্তাহে একদিন রোজা পালন করেন । আমি খৎনা ব্যাতিরেকে অন্য বিষয় নিয়ে তেমন আলাপ করিনি ।

এটি বীভৎস একটি আরব - আফ্রিকান পন্থা ।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আজিজ ভাই আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য।
গাজীসাব বাংলাদেশে নারীর খৎনা প্রচলন করার আগ্রহ
প্রকাশ করেছেন। তার কাজটি সহজ হবে বোধ হয়!!

১১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইহার পক্ষে সুরাহ আছে?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

অবশ্যই আছে কারন আমরা আশাবাদী। নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদ রোধে জনসচেতনতা
সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতিসঙ্ঘ বিশ্ব জনসংখ্যা তহবিল প্রতি বছর ৬ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব জুড়ে
আন্তর্জাতিক নারী খৎনা বা নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতিকরণের ‘জিরো টলারেন্স’ বা
শূন্য সহনশীলতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। অমানকিবক এই চর্চা বন্ধে
সরকার, স্বাস্থ্য সেবাদাতা, কমিউনিটি নেতা, পিতামাতা এবং পরিবারসহ
আপনার সহযোগিতা কাম্য।

১২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনি যে রোগের কথা বললেন হিন্দুরা কি ঐ রোগে মারা যাচ্ছে।শরীরের যেকোন স্থানই অপরিস্কার থাকলে রোগ বালাই হতে পারে।
আল্লাহ আদমকে নিখুঁত ভাবে শৃষ্টি করেছেন।এখানে দেখা যায় একটা খুঁত রয়ে গেছে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সহিহ বুখারি,হাদিস : ৫৮৮৯)
নাভির নিম্নদেশে ক্ষুর ব্যবহার করা,
বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নখ কাটা ও
গোঁফ খাঁটো করার বিধান আছে ইসলাম ধর্মে।
আপনি কি এটাকেও আল্লাহর খুঁত ধরবেন।

ডা. রুবসন নামে এক গবেষক তাঁর গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেন,
১৯৩০ থেকে এ পর্যন্ত ৬০ হাজার মানুষ আমেরিকায় মূত্রনালির
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে, এর মধ্যে কেবল ১০ জন খতনাকৃত রয়েছে,
বাকি সব খতনাবিহীন ব্যক্তি। এ থেকে কি প্রমাণ হয়না খৎনা করাটা জরুরী।

১৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৫

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: পড়লাম তবে আমি এর পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু বলতে পারছি না।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কিছু না বললেও জেনে রাখা ভালো।
ক্যাচালকরা মন্তব্য থেকে নীরব থাকা উত্তম।

১৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: মাইনাস দিয়েছি কারন- এই আধুনিক পৃথিবীতে এসব আমি সহ্য করতে পারি না।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
স্বাভাবিক ভাবে আমরা অনেক কিছুই সহ্য
করতে পারিনা। তবে বাধ্য ও নিরুপায় হয়ে
অনেক কিছুই সহ্য করতে হয়।

১৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভয়ানক ও অমানবিক । অবশ্যই এখন নাই বলা যায় যমন মিশর ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আলি ভাই আপনাকে ধন্যবাদ।
ধীরে ধীরে পৃথিবীর সব প্রন্ত থেকে
এই অমানবিক প্রথার বিলোপ হোক
সেই প্রতাশা আমাদের সবার।

১৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:২৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: অমানবিক এই প্রথার বিলুপ্ত হোক। আমি এই প্রথার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ এবং নিন্দা জানাই।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৩৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ কাছের মানুষ,
অমানবিক এই প্রথার বিরুদ্ধে
তীব্র ক্ষোভ এবং নিন্দা জানানোর জন্য।

১৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইসলামের নবী (স: ) ইহা বন্ধের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন?

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৪১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
প্রায়শই আপনি ধর্মীয় বিষয়ক লেখায়
অযাচিত ভাবে ইসলাম ও নবী (সঃ) এর
উপর কটাক্ষ করে মন্তব্য করে থাকেন।
ইহা আপনার হীনমন্যতার পরিচায়ক।

১৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পুরুষের খৎনা অনেক ইসলামিক আলেম জরুরী মনে করেন আবার অনেকে এটাকে ঐচ্ছিক বলেছেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে এটা নিতান্তই ঐচ্ছিক। ধর্মে এই ব্যাপারে কোনও জোরাজুরি নাই। তবে পুরুষদের খৎনা শুধু মুসলমানরা না খ্রিষ্টান, ইহুদী এরাও করে থাকে। পুরুষদের খৎনার ক্ষেত্রে কোন ক্ষতিকর কিছু শোনা যায় না।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই
পুরুষ খৎনা ইসলামে ব্যপক প্রচলিত এবং আইনত
ইসলামের সকল মাযহাব কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত অনুশাসন
হিসাবে গৃহীত হয়েছে।
খতনা করাটা শুধু ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেই উত্তম নয়।
বরং এর দ্বারা শারিরীকও অনেক উপকার নিহিত রয়েছে।
এর দ্বারা অনেক রোগ বালাই থেকেও মুক্ত থাকা যায়।
ইবরাহীম আঃ আশি বছর বয়সেও খতনা করেছিলেন।
{বুখারী, হাদীস নং-৩৩৫৬, মুসলিম, হাদীস নং-২৩৭০}

১৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪

রক্ত দান বলেছেন: এটা বন্ধ হওয়া জরুরী।

২০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৫

রানার ব্লগ বলেছেন: ইহা একটি অসভ্য বেদুইন রীতি!!

২১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: কি অমানবিক!

বন্ধ হওয়া জরুরী।

২২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসলামের প্রাথমিক পর্বে হজরত মোহম্মদ (স) জীবিত কালিন। পুরুষ মহিলা কোন খত্নাই প্রচলিত ছিল না।
হজরত মোহম্মদ (স) নিজে খত্না করেন নি। উনি কুরাইশ বংশের ছিলেন,
মক্কাবাসিদের ও বেদুয়িন আরবদের ভেতর খত্নার প্রচলন ছিল না, মদিনা বাসি কিছু ইহুদিদের ভেতর ছিল।
হজরত মোহম্মদ (স) ৪০ বছরে পৌছে ধর্ম প্রচার শুরু করেন, এবং এত বয়ষ্ক অবস্থায় উনি কখনো হাজামের কাছে গেছেন এমন কোন হাদিস নেই।

২৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে প্রতিটা ছবি বড় মর্মান্তিক।

২৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পুরুষদের খৎনা আরবরা হজরত ইব্রাহীম (আঃ) এর সময় থেকে অনুসরণ করে আসছে। এই জন্য ইসলামে এটাকে ইব্রাহীম আ এর সুন্নাহ বলা হয়। আরবদের থেকে পারস্যের লোকেরা এই প্রথা গ্রহণ করেছে।

২৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১৪

নতুন বলেছেন: গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ৩৮/ সালাম (كتاب الأدب) | হাদিস নাম্বারঃ ৫১৮১
৩৮. খাতনা করা সম্পর্কে।
৫১৮১. সুলায়মান ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) .... উম্মু আতীয়া নামক জনৈকা আনসারী থেকে বর্ণিত যে, মদীনাতে একজন মহিলা মেয়েদের খাতনা করতো। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেনঃ তুমি মেয়েদের লিংগাংগ্র বেশী গভীর করে কাটবে না। কেননা, এটা মেয়েদের শরীরের এমন একটা অংশ, যা পুরুষদের কাছে খুবই প্রিয়।


রাসুল সা: যেই কাজ নিষেধ করেন নাই সেই জিনিস আপনি নিষেধ করতে চাইছেন কেন?

মাজহাবী ইমামদের কেউ কেউ এটা সমর্থন করে। আপনি কেন নিষেধ করতে চাইছেন?


‘‘যৌনাঙ্গচ্ছেদ প্রত্যেক ক্ষেত্রেই মেয়ে ও নারীর অধিকারের লঙ্ঘন। এই চর্চা বন্ধে তাই সরকার, স্বাস্থ্য সেবাদাতা, কমিউনিটি নেতা, পিতামাতা এবং পরিবারসহ সবার কাজ করতে হবে৷''

নূর মোহাম্মদ নূরু

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.