নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণের ভয়াবহ পরিসংখ্যানঃ বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৪টি ধর্ষণ; ভারতের অবস্থা আরো ভয়াবহ

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪২


একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে বাংলাদেশে। নৃশংসতাও বাড়ছ। বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৪টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ পায় না বা প্রকৃতপক্ষে প্রকাশ করা হয় না এবং তার কারণও সামাজিক। ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ পেলে পুরুষের যতটা মর্যাদাহানি হয়, তার চেয়ে ঢের বেশি মর্যাদাহানি হয় ক্ষতিগ্রস্ত নারীর। এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কর্মীর। তাদের মতে, ‘‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন থাকলেও তার প্রয়োগ নেই,'' সর্বোচ্চ শতকরা ৪-৫ ভাগ শাস্তি হয়। দেশে ধর্ষণের মহোৎসব চলছে উল্লেখ করে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বলছেন, আইন ও বিচার দিয়ে এ রাষ্ট্রে ধর্ষণ ঠেকানো যাচ্ছে না। নারী ধর্ষণ বা নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগীর দোষ খোঁজা (ভিকটিম ব্লেমিং) হয়, যা নারীর বিচার পাওয়ায় বাধা দেয়। ধর্ষণ মামলায় এখানে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে৷ ফলে ধর্ষণ বাড়ছ। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই বছরজুড়ে আলোচনায় এসেছে ধর্ষণ-নিপীড়নের নানা ঘটনা। ২০২০ সালের শুরুটা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনায়, ব্যাপক প্রতিবাদ হলেও তাতে থামেনি নারীর প্রতি নিষ্ঠুরতা। জানুয়ারির পর ২০২০ সালে নিপীড়নের ঘটনা সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। অক্টোবর ও নভেম্বরে দেশে নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের ৩৭০টি ঘটনা সংবাদপত্রে আসার তথা বলা হয়েছে তাদের প্রতিবেদনে, এর আগের নয় মাসে যা ছিল ৮৭৭টি। ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া এক নববধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৫৪৬ জন নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৫১ জনকে, আত্মহত্যা করেছেন ১৪ জন। এছাড়া ৯৭৪ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তবে সব ঘটনা সামনে না আসায় ধর্ষণের প্রকৃত সংখ্যা এসব পরিসংখ্যানের চেয়ে ‘আরও অনেক বেশি’ বলে মনে করেন নারী অধিকার কর্মীরা। ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি ঢাকায় দিনদুপুরে ধর্ষণের শিকার হয় কিশোরী আনুশকাহ নূর আমিন (১৮)। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে কলাবাগানের ডলফিন গলিতে দিহানের বাসায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার বন্ধু আনুশকাহকে ধানমন্ডির মডার্ণ আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে বিকালে হাসপাতালে আনুশকাহ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। সে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মাস্টার মাইন্ডের ‘ও লেভেল’-এর ছাত্রী। এছাড়াও ৩০ জানুয়ারি শনিবার দিবাগত রাত তিনটায় আসামি আবুল খায়ের কথা আছে বলে রাত আড়াইটার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনে তেলশাহর মাজারের কাছে নিয়ে যান। পরে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেন এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন। ৩০ জানুূয়ারি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় প্রেমিকের ছদ্মবেশে এক কিশোরীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি দিবাগত রাত তিনটায় কিশোরীকে এক লিচুবাগানে দেখা করতে বলেন লাবু। সেই কথা অনুযায়ী কিশোরী বাগানের কাছে গিয়ে কয়েকজনকে দেখতে পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় লাবুর দুই সহযোগী ওমর ফারুক ও আশরাফুল মেয়েটির মুখ চেপে ধরেন। পরে লিচুবাগানের ভেতরে নিয়ে তাঁরা পর্যায়ক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যান। গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ পুলিশ ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন' সেবার উদ্বোধন করে। এই সেবায় কাজ করা সব পুলিশ নারী। এর ফলে নারীরা তাদের অভিযোগ সহজেই জানাতে পারছেন তাদের কাছে। অনলাইনে যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রতিদিন নারীদের হাজারো কল পাচ্ছেন তারা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এবং টিকটক থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে জানিয়েছে, তারা নারীদের হয়রানি বন্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। করোনাকালে অফিস মিটিং-এর জন্য জুম ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এসব ব্যবহারকারীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, আমন্ত্রণ ছাড়া অপরিচিত অনেকেই এসব মিটিং এ ঢুকে পড়ছেন। টুইটার ব্যবহারকারী দুই তৃতীয়াংশ নারী জানিয়েছেন তারা অপরিচিত ব্যক্তিদের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছেন। জার্মান ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের ফেলো কারোলিনে সিনডার্স বলেন, ‘‘যা ঘটছে তা আসলেই ভয়াবহ। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে এ ধরনের ঘটনাগুলোর প্রতি আরও গুরুত্ব ও মনোযোগ দেয়া উচিত। '' তবে এজন্য তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারকারীদের আরো সচেতন হতে বলেছেন। বলেছেন, যাতে ঘটনার সাথে সাথে তারা পুলিশের কাছে এবং ওই মাধ্যমে রিপোর্ট করে। তবে করোনাকাল দীর্ঘায়িত হওয়ায় এই সংকট মোকাবেলা সব দেশের জন্যই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভারতে ধর্ষেণের চিত্র আরো ভয়াবহঃ
শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের সর্বত্রই ঝুকির মধ্যে রয়েছে নারীরা। প্রতিবেশী দেশ ভারত যেখানে যেখানে দেশটির সরকারী তথ্য অনুযায়ী প্রতি ১৫ মিনিটে একজন নারী ধর্ষণের শিকার হন। তবে যৌন সহিংসতাকে ঘিরে ভয় ও সামাজিক বিভিন্ন কারণে প্রকাশ পায়না এ ধরনের আরো অপরাধের খবর। ২০১৯ সালের হিসাবে ভারতে প্রতি ১৬ মিনিটে একটা প্রতিদিন গড়ে ৮৭টা ধর্ষণ হয়। এনসিআরবি রিপোর্ট অনুসারে ২০১৯ বছরভর মোট ধর্ষণের সংখ্যার নিরিখে ভারতে এক নম্বর রাজ্য হলো রাজস্থান। সেখানে ২০১৯-এ পাঁচ হাজার ৯৯৭ জনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশে ধর্ষিতা হয়েছেন তিন হাজার ৬৫ জন। তিন নম্বরে মধ্যপ্রদেশ। সেখানে দুই হাজার ৪৮৫ জন নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে মেয়েদের শ্লীলতাহানির চেষ্টায় এক নম্বরে উত্তর প্রদেশ।৩২ হাজার ৩৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এছাড়া দেশজুড়ে মোট চার লাখ পাঁচ হাজার ৮৬১ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতিতা হয়েছে। ধর্ষণের সংখ্যার নিরিখে ভারতে এক নম্বর রাজ্য হলো রাজস্থান। সেখানে ২০১৯-এ পাঁচ হাজার ৯৯৭ জনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশে ধর্ষিতা হয়েছেন তিন হাজার ৬৫ জন। তিন নম্বরে মধ্যপ্রদেশ। সেখানে দুই হাজার ৪৮৫ জন নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে মেয়েদের শ্লীলতাহানির চেষ্টায় এক নম্বরে উত্তর প্রদেশ। রাজধানী দিল্লির অবস্থাও শোচনীয়। এখানে প্রতিদিন তিনজন মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়। ২০১৯-এ দুই হাজার ৩৫৫ জন নারীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। যৌন নিগ্রহের শিকার ৪৫৬ জন নারী। পরিবারের সদস্যদের হাতে ধর্ষিতা হয়েছেন ১২৫ জন নারী। ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে আটজনকে। আর বিয়েতে পন সংক্রান্ত বিবাদের জেরে মারা হয়েছে ১১৬ জন নারীকে। সব মিলিয়ে দিল্লিতে ২০১৮-র তুলনায় অপরাধ বেড়েছে ২০ শতাংশ। ভারতে মোট ২৭৮ জন মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে ২০১৯-এ। মহারাষ্ট্রে সব চেয়ে বেশি এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। মোট ৪৭ জন নারীকে হত্যার পর খুন করা হয়েছে মহারাষ্ট্রে। তার পরে আছে মধ্যপ্রদেশ, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ৩৭টি এবং উত্তর প্রদেশে ৩৪টি। দলিত নারীদের ধর্ষণ, যৌন নিগ্রহ, শ্লীলতাহানি, অত্যাচারের ঘটনায় এক নম্বরে যোগী আদিত্যনাথের উত্তর প্রদেশ। সেখানে ২০১৯-এ ১১ হাজার ৮২৯ জন দলিত নারী নিগৃহীত ও অত্যাচারিত হয়েছেন। আদিবাসী মেয়েদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের ক্ষেত্রে অবশ্য এক নম্বরে মধ্য প্রদেশ। ২০১৮-র তুলনায় দলিত নারীদের উপর অত্যাচার বেড়েছে সাত শতাংশ ও আদিবাসীদের ক্ষেত্রে ২৬ শতাংশ। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে ও অক্টোবরের গোড়ায় তিনজন দলিত মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে উত্তর প্রদেশে। হাথরাসে পরিবারের সঙ্গে মাঠে ঘাষ কাটতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার দলিত তরুণীর মৃত্যু হয় প্রায় দুই সপ্তাহ পর। বলরামপুরে কলেজে ভর্তি হতে গিয়েছিলেন দলিত ছাত্রী। তাঁকে অপহরণ ও ধর্ষণ করে অত্যাচার চালানো হয়। মেয়েটির মৃত্যু হয়। ভাদোইতে ১১ বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে মাথায় পাথর দিয়ে মারা হয়।

ভারতের এনসিআরবি তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে ৯৪ শতাংশ নারীকে চেনাজানা লোকের হাতে ধর্ষিতা হতে হয়েছিল। তারা কেউ পরিবারের সদস্য, বন্ধু, প্রতিবেশী, চাকরিক্ষেত্রে বস, মালিক, সহকর্মী বা সামাজিক মাধ্যম সূত্রে চেনা। হাথরাসের ধর্ষণের প্রতিক্রিয়া সারা দেশে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, উত্তর প্রদেশে প্রতিবাদ করতে দেয়া হচ্ছে না। হাথরাসে কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না। সমাজবাদী পার্টির কর্মীদের আটকে দেয়া হয়েছিল হাথরাসে। রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে যেতে দেয়া হয়নি। দিল্লি-ঘেঁষা নয়ডাতে তাঁদের আটকে দেয়া হয়। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো তৈরি হয় ১৯৮৬ সালে। তবে ১৯৯৫ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত জেলাস্তরে ক্রাইম অ্যান্ড ক্রিমিনাল ইনফরমেশন ব্যবস্থা তৈরি হয়। তারা বছরে তিনটি রিপোর্ট তৈরি করে। অপরাধ চিত্র, আত্মহত্যা ও দুর্ঘটনায় মৃত্যু এবং কারাগার নিয়ে। সব রাজ্য সরকরের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই রিপোর্ট বানানো হয়। করোনাকালে অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগেমাধ্যমে নারীদের হয়রানি ও যৌন হয়রানির ঘটনা বেড়েছে। জাতিসংঘের রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য। থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনে সম্প্রতি এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে অনলাইনে হয়রানির যেসব ঘটনা উঠে এসেছে তা ভয়াবহ৷নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের মুম্বইয়ের এক তরুণী জানিয়েছেন, তার প্রেমিক তার নগ্ন একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। তরুণী এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রেমিক জানায়, এই ছবি দেখে সব পুরুষরা মেয়েটিকে কামনা করবে কিন্তু পাবে না। কারণ তরুণী কেবল প্রেমিকের। এই কথায় মেয়েটি আশ্বস্ত হলেও পরে তার উপলব্ধি হয় তাকে ছেলেটি যৌনকর্মীর পর্যায়ে নামিয়েছে।

করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করলে অনেক দেশেই লকডাউন আর কড়াকড়ি বাড়ানো হয়। বেশিরভাগ মানুষ ঘরে বসে কাজ করা শুরু করেন বা সময় কাটাতে শুরু করেন। আর সময় কাটানোর প্রধান মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় মোবাইল আর ল্যাপটপ। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ গবেষক আজমিনা ধ্রোডিয়া জানিয়েছেন, নারীদের প্রতি ডিজিটাল হয়রানির ঘটনা অনেক বেড়েছে এ সময়। করোনার আগের তুলনায় অনলাইনে নারীদের হয়রানির ঘটনা করোনাকালে দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানান তিনি। কোন নারীর অনুমতি ছাড়া ছবি, ভিডিও এবং ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ারের ঘটনা অনেক বেড়েছে লকডাউনে। একটি নারী অধিকার সংস্থা জানায়, সব বয়সি নারীরাই এ ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন, বাদ যায়নি ৮ বছরের মেয়েও। প্রতি পাঁচজন নারীর একজন সামাজিক গাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন বা ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন। সংস্থাটির চালানো এক জরিপে এক চতুর্থাংশ নারী জানিয়েছেন, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ইউএন উইমেন জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের পর নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা এত বেড়েছে যে আগের তুলনায় সাহায্য চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি ফোন এসেছে তাদের কাছে। শুধু তাই না, সাবেক প্রেমিক এবং হ্যাকাররা নারীদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ব্যক্তিগত ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছে অনলাইনে।

(Akhila Kolisetty, a writer, lawyer, advocate and researcher in New York)
নিউ ইয়র্কের আইনজীবী অখিলা কোলিশেঠি জানিয়েছেন, হোম অফিস করার ফলে এ ধরনের হয়রানির ঘটনা অনেক বেড়েছে৷ এমনকি কয়েকজন নারী জানিয়েছেন, তারা তাদের প্রেমিক বা স্বামীকে যদি পাসওয়ার্ড না জানান তবে তারা ধরে নেয় নারীটির সঙ্গে অন্য কারো সম্পর্ক আছে। নারী যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে যারা প্রচার চালান, তারা জানাচ্ছেন, এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লাভ হয় না। আর এ কারণেই এসব ঘটনা বেড়ে চলেছে৷ ভারত, ক্যানাডা, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান আর জার্মানিতে কেউ ব্যক্তিগত ছবি অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়। কিন্তু প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে এই আইন এখন আর যথেষ্ট নয়।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

বিঃদ্রঃ স্বঘোষিত বিরতির পর আমার প্রথম লেখা

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এ থেকে উত্তোরণের পথ কী :(

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এর থেকে উত্তরণের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন ধর্ষণ-সংস্কৃতিকে উসকে দেয়, প্রশ্রয় দেয় তেমন সমাজকে ধর্ষণবিরোধী, ধর্ষণ প্রতিরোধী সমাজে রূপান্তর করা। এর জন্য গল্প, উপন্যাস, নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপনে নারীকে ‘যৌন পণ্য’ হিসেবে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে। নারীকে ‘মানুষ’ হিসেবে ভাবার সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে।

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৩

এম ডি মুসা বলেছেন: সভ্যতা ফিরে আসুক

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমাদের সবার প্রত্যশা তাই।
মানুষ আবার সত্যিকারের মানুষ হে্াক

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সমাধানের পথ বাতলে দিন।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দেশ প্রেমিক বাঙালী ভাই আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর প্রশ্ন উত্থাপন করার জন্য।
আমাদের এ সমাজে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন সমাধান করা কঠিন কিছু নয়। তবে সরকারের
একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এ বিষবাষ্প থেকে মুক্তি পেতে পারি আমরা। ছেলেমেয়েরা যেন নৈতিকতা,
মূল্যবোধসম্পন্ন হয় এবং নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এ রকম পরিবেশের নিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে হবে,
পারিবারিক বন্ধন জোরদার করতে হবে। ইন্টারনেটসহ অন্যান্য প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করতে হবে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আইনের কঠোর বাস্তবায়ন পাশাপাশি সরকারকে আরও অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
ধর্ষণকারী ও যৌন নিপীড়নকারী যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, তাদের যদি আইনের আওতায় এনে দ্রুত
বিচার করার মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যায় তাহলে জীবনের মায়ায় শাস্তির হাত থেকে বাঁচার জন্য
নিজেদের কুপ্রবৃত্তিকে দমন করবে। তবে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন সমূলে উৎপাটনের জন্য মানুষের মধ্যে
নারী-পুরুষের সম্পর্কে ইতিবাচক মনোবৃত্তির বিস্তার ঘটাতে হবে এবং তা সম্ভব হবে তখনই যখন আমাদের
সবার মাঝে সুশিক্ষা নিশ্চিত হবে।

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২০

রাজীব নুর বলেছেন: সরকার ধর্ষন বন্ধে কি কি কাজ হাতে নিয়েছে?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সরকার অপরাধীদের আইনের মুখোমুখি করার জন্য ত্বরিত পদক্ষেপ নিয়েছে।
সম্প্রতি ধর্ষণ ও নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার দৃশ্যত বেড়ে যাওয়ায় ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃ
ত্যুদণ্ডের বিধান করা হয়েছে। দেশে আগে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আজকে পোস্ট দিয়ে দেখি আমি জেনারেল পর্যায়ে আছি। এর কারণ কী বুঝলাম না।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপা আমি নিজেই জানিনা কে কখন জেনারেল হবে বা
সেইফ থাকবে। কখন্ কার লেখা প্রথম পতা থেকে সরিয়ে
দেবে বা ড্রাফট করে রাখবে !! এ বিষয়ে সম্পূর্ণ ক্ষমতা ব্লগ
কর্তৃপক্ষের হাতে !

৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫২

সড়কযোদ্ধা বলেছেন: দেশে ধর্ষণের মহামারী শুরু হয়েছে গেলো দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে। এই পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, কেবল বিচারহীনতা, রাজনৈতিক ছত্রছায়া, ক্ষমতার প্রভাব, আর সমাজে নারীর অধস্তন অবস্থার কারণে। একটি স্বাধীন, গণতান্ত্রিক দেশে ধর্ষণের মত একটি জঘন্য, ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী অপরাধকে কীভাবে প্রশাসনিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে লালন পালন করে বিশাল মহীরূহে পরিণত করা যায় আজকের বাংলাদেশ তার জ্বলন্ত উদাহরণ। প্রিয় পাঠক, ধৈর্য্যের সাথে অপেক্ষা করুন, কিছু প্রকাশিত গবেষণা তথ্যের ভিত্তিতেই এই কথার সহজতর প্রমাণ মিলবে। শুধু পুলিশ পরিসংখ্যান অনুযায়ী (রিপোর্টেড কেস) ২০১৯ সালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৫৪০০টি, এতে ধর্ষণের হার ৩.৮০ অর্থাৎ প্রতি ১ লাখ নারীর মধ্যে প্রায় ৪ জন নারী-শিশুকেই ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে। ২০১৮ সালে প্রতি লাখে ধর্ষণের হার ছিল ২.৪৫ জন। শুধু পরিসংখ্যান বিবেচনায় আনলে ২০১৮ এর তুলনায় ২০১৯ সালে ধর্ষণের হার বেড়েছে প্রতি লাখে ১.৩৫ জন বা এক-তৃতীয়াংশ (বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ওয়েবসাইট, ২০১৯)। পাঠক নিশ্চয়ই অবগত আছেন আমাদের সমাজে ধর্ষণের প্রকৃত ঘটনার শতকরা মাত্র ১৪ ভাগ রিপোর্ট হয়। বাকী ৮৬ ভাগ ভয়ে, লজ্জায়, গোপনে থাকে, কিংবা গ্রাম্য শালিশি, দেনদরবার করে মিটমাট করা হয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার ১ হাজার ৪১৩ নারী ও শিশু। ২০১৮ সালে সংখ্যাটি ছিল ৭৩২। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম এর বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে প্রতি মাসে গড়ে ৮৪টি শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ২০১৮ সালের চেয়ে গত বছর শিশু ধর্ষণ ৭৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বেড়েছে। ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের গত ১৫ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় রিপোর্টেড ধর্ষণের শিকার নারীদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান যারা সেই সংখ্যাকে বেইস ধরলে ২০০১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রিপোর্টেড ২২,৩৮৬ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন, শেষমেশ সাজা হয়েছে ১০১ জন ধর্ষকের। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ২২১টি ধর্ষণের পর ১ জনের সাজা নিশ্চিত হয়। সংখ্যাটা ০.৪৫%। ধর্ষণের এই জ্যামিতিক প্রবৃদ্ধি দেখে, বিচারহীনতার সংস্কৃতিই আজকের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য দায়ী একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। তবু টনক নড়েনি রাষ্ট্রের, গলেনি প্রশাসনের মন। বদলেনি আইন, দ্রুততম সময়ে দৃষ্টান্তমূলক সাজা যখন অতি জরুরী হয়ে উঠেছে তখন রাষ্ট্র রয়েছে এই বিষয়ে চির নিশ্চুপ এবং নির্বিকার। যে সমাজে আইনের শাসন নেই, ধর্ষণের মতো অপরাধ করে দিনের আলোয় বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়ায় ধর্ষক, যে সমাজে নারীকেই আজীবন বয়ে বেড়াতে হয় ধর্ষিতা হবার দায়, সেই সমাজ তো ধর্ষক পয়দা করবেই সানন্দে। সেই সমাজ শুধু যোনীখোর! কেউ প্রকাশ্যে, দিবালোকে, কেউ মশারীর তলায়, অফিস ঘরের বন্ধ দরোজায়, কিংবা মাদ্রাসার নিভৃত কক্ষে সব চোখ শুধু ওই ত্রিকোণ শরীরে। সুতরাং, নির্যাতিতার পরিবার ছাড়া ধর্ষণের বিচার চাইবার মতোও যথেষ্ট জোরালো বক্তব্য আজও সামাজিক দায় হিসেবে এই জনপদে প্রতিষ্ঠা পায়নি। না কোনো মিডিয়া, না সামাজিক কোনো প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে জোরালো বক্তব্য নিয়ে। প্রতিদিন ধর্ষণের শিকার হচ্ছে শিশু থেকে অশীতিপর বৃদ্ধাও। গৃহের অভ্যন্তরে, অফিসে, স্কুল-কলেজে, বাসে-ট্রামে, রাস্তায়-দোকানে, ভীড়ের মাঝে-একলা, দিনে কিংবা রাতে, আজ এদেশের কন্যারা, বোনেরা, মায়েরা ভয়াবহরকম অনিরাপদ। চারিদিকে শ্বাপদের হিংস্র থাবা ওৎ পেতে আছে। কান পাতলেই ধর্ষিতার গোঙানি শুনি, চোখ মুদলেই ধর্ষিতার রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত বীভৎস চেহারা দেখি। অথচ, যাদের শোনার কথা, যাদের দেখার কথা তাঁদের কানে তালা, তাঁদের চোখে ঠুলি। তাই বলছি, মেয়েরা আর কান্নাকাটির দিন নয়, গা ঝাড়া দিয়ে ওঠো, মুছে ফেল চোখের জল। এবার থেকে, নাগিনী হও, বিষ ঢেলে দাও। করো প্রতিবাদ। একটা কথা আজ জোরেশোরে বলতে চাই, কেউ জোর করে কারো শরীরের উপর হিংস্র কুকুরের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে খুবলে খেলে তার দায় কোনো নারীর নয়! এতে নারীর সম্ভ্রমহানী হয় না, নারীর নিজেকেই লজ্জা পাওয়ার এই সংস্কৃতি ভুলতে হবে। লজ্জা পাবে সেই নপুংশক, সেই পিচাশ। নারী মাথা উঁচু করে বাঁচবে তুমি। তুমি নির্দোষ। বিচার না পেলেও তুমি সজোরে চিৎকার করবে, জানান দিতেই থাকবে- চিৎকার কর মেয়ে তোর যতদূর গলা যায়, আমাদের শুধু গলাবাজী করে নীরব থাকার দায়, প্রশাসন শুধু দূর থেকে দেখে হাততালি দিয়ে যায় শ্বাপদে ঘেরা এই জনপদে জন্মেছি কেনো হায় ধর্ষিতা হয়ে আমরা কেনো মেটাবো জন্মের দায়? কানে তুলো দিয়ে রাষ্ট্র কেবলই পিঠ চাপড়িয়ে যায়। ফেসবুকে বসে আমাদের বুঝি লিখিয়ে হবার দায়। পুড়ে ছারখার জান জেরবার তবু কেনো আজ নিতে হবে শুধু ধর্ষিতা হবার দায়? চিৎকার কর মেয়ে দেখি কতদুর গলা যায়, গণভবনে বসেও যদি তোর গলাটা শোনা যায়। দিন শেষে তাই ভরসা রাখতে চাই, বিচার যদি কিছু হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জ্বী, আপনাকেই বলছি- শুনেছি, এই দেশে সব কাজেই আপনাকেই হুকুম দিতে হয়। সকলের দায়িত্ব আপনাকেই পালন করতে হয় বলেই আপনি হয়তো সবকিছু দেখতে পারেন না একথা সত্য। তাই আপনার কানে ধর্ষিতার চীৎকার পৌঁছায় না! আমরা বড় দুর্ভাগা মা জননী! আপনিও তো নারী! আপনি কি কখনো নারীর জীবনে হেটেছেন? ধর্ষিতা নারীর ট্রমা অনুভব করতে পারেন? শুধু একবার প্রধানমন্ত্রীত্ব ভুলে মা হতে পারেন? একবার নারী হতে পারেন? যদি পারেন, সেদিনই আপনার হাতে ত্রিশূল উঠবে! সেই দিনের অপেক্ষায় রইলাম

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সড়ক যোদ্ধা আপনার
চমৎকার মন্তব্যের জন্য। তবে সরকারের একার পক্ষে
ধর্ষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি, পরিবার,
সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।

৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের চিন্তিত করে আপনি কোথায় লুকিয়ে থাকেন?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ গাজীসাব।
বিবধ কারনে ব্লগে থাকতে আগের মতো আর
উৎসাহ পাইনা। এই উৎসাহীনতার কারনে
একদিন হয়তো বিলীন হয়ে যাবো সামুর
পাতা খেকে! তখন কি আমাকে মনে রাখবেন?

৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৭

এম ডি মুসা বলেছেন: ধর্ষণে বর্ষণ যেন যাক যাক যাক থেকে
খারাপ দৃষ্টির লোক আছে হয়ে যাক ভালো
আগামী সুন্দর দিন নিরাপদ হয়ে যাক
কালো চোখের বিষাদ আছে নিভে যাক কালো।

সকল পুরূষ জাতি দেখে খারাপের চোখে ‌
পুরুষ হয়ে আমরা পেয়েছি কি অপবাদ
পুরুষ জাতিকে কারা এই কালোতে ডুবালো
আমাদের মূলখানি করে গেছে বরবাদ।
সকলে নেও শপথ আগামী দিন শুভেচ্ছা
আমাদের পুরূষেরা টানি কলুর বলদ
তবু কেনো ঘেন্না করে নারী অপবাদের কেচ্ছা।
-মোঃ মুসা,,

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চমৎকার কাব্যে ধর্ষণের
নাজুক পরিস্থিতি উপস্থাপন
করার জন্য আপনাবে ধন্যবাদ
মুসা ভাই।

৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনার এই হিসাব যেটা পেপার পত্রিকায় এসেছে তার হিসাব । গ্রাম অঞ্চলের সব খবর সবার নজরে আসে না । ইজ্জতের ভয়ে অনেকে প্রকাশও করে না

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার অদ্যকার লেখার দ্বিতীয় লাইনেই
সে কথাটি উল্লেখ করেছি নেওয়াজ ভাই।
সামাজিক কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্ষণের
ঘটনা প্রকাশপায় না বা প্রকৃতপক্ষে প্রকাশ করা হয় না ।

১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩১

প্রশান্ত মন্ডল হেমন্ত বলেছেন: সঠিক হিসাবটা হয়তো জনসম্মুখে আসে না। সঠিক সত্যটা যে কত বয়াবহ হবে তা তা ভাবলে আঁতকে উঠি।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হেমন্ত দা,
ধর্ষণের সঠিক পরিসংখ্যানের আড়ালে লুকিয়ে আছে আরেকটি চিত্র,
সেটি হচ্ছে পরিসংখ্যানে ধর্ষণের যে তথ্য-উপাত্ত দেয়া হয় সেটি কেবল
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগ অথবা গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের
উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই সংখ্যার বাইরেও আছে বিশাল আরেকটি সংখ্যা,
যেখানে নারীরা লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের কথা প্রকাশ করে না।
শুধু অনুন্নত বিশ্বে নয় উন্নত বিশ্বেও লোকলজ্জার ভয়ে যৌন নির্যাতনের কথা গোপন
করার পরিসংখ্যানটি ভয়াবহ। কানাডায় ১০০০ টি যৌন নির্যাতনের ঘটনার মাত্র ৩৩ টি
পুলিশকে জানানো হয়, আমেরিকায় ৬৮% যৌন নির্যাতনের ঘটনায় নির্যাতিতরা পুলিশকে
কিছুই জানায় না। উন্নত বিশ্বের অবস্থা এই হলে, বাংলাদেশের মত রক্ষণশীল দেশগুলোতে
এই প্রেক্ষাপট কতখানি ভয়াবহ হতে পারে সেটি সহজেই অনুমেয়।

১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অবশেষে ধর্ষণ নিয়ে এলেন।ইতিমধ্যে ধর্ষণ কিন্তু ব্লগে কমে গিয়েছিল।মানে ধর্ষণ সম্পর্কিত লেখালেখি।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তা হলে কি এ লেখার কারণে ধর্ষণ বেড়ে যাবে
বলে আপনার ধারণা !!

১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



উৎসাহ কেন কম, পাঠক কম; নাকি আপনি তাল মিলাতে পারছেন না?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
,মহাজ্ঞানীদের মাঝে অজ্ঞ আমিই
তাল মিলাতে পারছিনা ।
এবার খুশি তো !!

১৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভয়ঙ্কর অবস্থা। আমরা কি কোন সভ্য সমাজে আছি,? ভাবা যায় না।

অফটপিক:- প্রিয় নুরু ভাই অনেকদিন আপনাকে দেখেছি না।ব্যস্ততা থাকলে আলাদা কথা। শরীর কেমন আছে?

শুভেচ্ছা জানবেন।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ পদাতিক দাদা
আমার কুশল জানতে চাইবার জন্য।
আমি সুস্থ্য আছি আল্লাহর অশেষ কৃপায়।
আপনার প্রশ্নের উত্তর গাজীসাবের প্রতি
মন্তব্যে পরিস্কার করেছি। তবুও বলছি
ব্লগে আগের মত আর টানে না।
ভালো থাকবেন দাদা।

১৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২২

জগতারন বলেছেন:
আমিও আগের মতো ব্লগ পড়ার আকর্ষন পাই না।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দাদা আপনাকে ধন্যবাদ
যদিও আগের মতো উৎসাহ পা্ইনা
তবুও চলে যাবো বলেও যাওয়া হয়না।

১৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: তবু আমি চাই আপনি ব্লগে থাকুন।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ খানসাব
আপনার উদাত্ত আহ্বানের জন্য।
আমি ছিলাম, আছি, থাকবো তবে
আগের মতো স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে নয়।

১৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: ব্লগ সম্পর্কে আপনি আমার চেয়ে ভালো জানেন। তাই কোনো বিষয় নিয়ে আপনার রাগ করা ঠিক হবে না।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি কখনোই রাগ করিনা খানসাব
তবে অভিমান করার অধিকারও কি নাই!!
যা হোক আপনার আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ
আমি আছি আপনাদের সবার সাথে।

১৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: নৈতিকতা, মূল্যবোধ এবং ধর্মিয় অনুশাসনের অভাবে এমনটা হচ্ছে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

একদম খাটি কথা বলেছেন ফাহিম ভাই।
আইনেন যথাযথ বাস্তবায়ন করা গেলে হয়তো
কমবে ধর্ষণের মহামারী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.