নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদআত কি? এবং বিদআত এর পরিণাম

১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৩


বিদআত হলো যে গুনাহের কাজকে মানুষ ইবাদত বলে মনে করে। বিদআত শব্দের আভিধানিক অর্থ= নতুন আবিষ্কার। শরিয়াতের পরিভাষায় বিদআত হচ্ছে ধর্মের নামে নতুন কাজ, নতুন ইবাদাত আবিষ্কার করা। আগের কোনও দৃষ্টান্ত ও নমুনা ছাড়াই কোনও কিছু সৃষ্টি ও উদ্ভাবন করা হলো বিদআত। দ্বীনের মধ্যে এমন বিষয় সৃষ্টি করা, যা রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের যুগে ছিল না, বরং পরে তা উদ্ভাবন হয়েছে। বিদআত আবিষ্কারকারী যত বড় ধর্মীয় পণ্ডিতই হোক না কেন, ইসলামে তা গ্রহণযোগ্য নয়। মোটকথা সে কাজকে বিদআত বলা হয় যা সোয়াব ও পূণ্যের নিয়তে করা হয় কিন্তু শরীয়তে তার কোন ভিত্তি বা প্রমাণ পাওয়া যায়না। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজে করেননি এবং কাউকে তা করার অনুমতি ও প্রদান করেননি। এরূপ আমল আল্লাহর কাছে গ্রহণ যোগ্য হয় না। (বুখারী ও মুসলিম) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি এমন আমল করবে যার ব্যাপারে আমার শরীয়তের নির্দেশনা নেই, উহা প্রত্যাখ্যাত।” (মুসলিম হা/৩২৪৩) তিনি আরো বলেন- " নিঃসন্দেহে সর্বোত্তমকথা হচ্ছে আল্লাহ্র কিতাব, সর্বোত্তম পদ্ধতিহচ্ছে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর পদ্ধতি। আর নিকৃষ্ট কাজহচ্ছে শরীয়াতে নতুন কিছু সৃষ্টি করা, এবংপ্রত্যেক বিদ'আত হচ্ছে ভ্রষ্টতা। (মুসলিমঃ ৭৬৮)"রাসুল (সাঃ) আরো বলেছেন-যে আমার সুন্নাহথেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে সে আমার দলভুক্ত নয়।[বুখারীঃ ৫০৬৩] অর্থাৎ যে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর পদ্ধতি থেকে মুখফিরিয়ে নিয়ে নতুন নতুন ইবাদাত আবিষ্কার করবে অথবা আল্লাহ নৈকট্যের জন্য নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করবে সে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর পদ্ধতিকে তুচ্ছ মনে করল। আর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর দেখিয়ে দেয়া পদ্ধতি এবং ইবাদাত সমূহকে উত্তম মনে না করে, ইসলামী শরিয়তে বিদআতের কোনো প্রকার স্থান নেই যেমনটা আমরা বিভিন্ন বইয়ে পেয়ে থাকি যে বিদআত দুই প্রকার- ১.বিদআতে হাসানাহ ২.বিদআতে সায়্যিয়াহ। এবং এতে হকুম লাগানো হয়ে থাকে যে হাসানাহ করা যাবে, সায়্যিয়াহ করা যাবে না। এই সমস্ত প্রকার সম্পূর্ণই মানুষদের বানানো। বর্তমান যুগের আলেমদের দেখিয়ে দেয়া পদ্ধতি এবং ইবাদাত সমূহকে উত্তম মনে করে তবে উপরের হাদিস অনুযায়ী সেইব্যক্তি আর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর উম্মত-ই থাকবে না। বিদআতের বিরুদ্ধে রাসূল (সাঃ) কঠিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব। আর সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদ (সাঃ) এর আদর্শ। সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হলো- দ্বীনের মধ্যে নব-উদ্ভাবিত বিষয়। দ্বীনের মধ্যে নব-উদ্ভাবিত সব কিছুই বিদআত। প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা, আর প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৫৩৫, নাসায়ি, হাদিস: ১৫৬০)

বিদ‘আতের চারটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যথাঃ
১। বিদ‘আতকে বিদ‘আত হিসেবে চেনার জন্য সুনির্দিষ্ট কোন দলীল পাওয়া যায় না; তবে তা নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে মূলনীতিগত ‘আম ও সাধারণ দলীল পাওয়া যায়।
২। বিদ‘আত সবসময়ই শরীয়তের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও মাকাসিদ এর বিপরীত ও বিরোধী অবস্থানে থাকে। আর এ বিষয়টিই বিদ‘আত নিকৃষ্ট ও বাতিল হওয়ার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। এ জন্যই হাদীসে বিদ‘আতকে ভ্রষ্টতা বলে অভিহিত করা হয়েছে।
৩। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিদ‘আত এমন সব কার্যাবলী সম্পাদনের মাধ্যমে হয়ে থাকে যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম ও সাহাবাদের যুগে প্রচলিত ছিল না। ইমাম ইবনুল জাওযী রহ: বলেন,
‘বিদ‘আত বলতে বুঝায় এমন কাজকে যা ছিল না, অতঃপর তা উদ্ভাবন করা হয়েছে’।
৪। বিদ‘আতের সাথে শরীয়তের কোনো কোনো ইবাদাতের কিছু মিল থাকে। দু’টো ব্যাপারে এ মিলগুলো লক্ষ্য করা যায়:
প্রথমতঃ দলীলের দিক থেকে এভাবে মিল রয়েছে যে, কোনো একটি ‘আম দলীল কিংবা সংশয় অথবা ধারণার ভিত্তিতে বিদ‘আতটি প্রচলিত হয় এবং খাস ও নির্দিষ্ট দলীলকে পাশ কাটিয়ে এ ‘আম দলীল কিংবা সংশয় অথবা ধারণাটিকে বিদ‘আতের সহীহ ও সঠিক দলীল বলে মনে করা হয়।
দ্বিতীয়তঃ শরীয়ত প্রণীত ইবাদাতের রূপরেখা ও পদ্ধতির সাথে বিদ‘আতের মিল তৈরী করা হয় সংখ্যা, আকার-আকৃতি, সময় বা স্থানের দিক থেকে কিংবা হুকুমের দিক থেকে। এ মিলগুলোর কারণে অনেকে একে বিদ‘আত মনে না করে ইবাদাত বলে গণ্য করে থাকেন।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেনঃ
অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করাও। (সূরা নিসা, আয়াত : ৫৯)
এ আয়াত থেকে বিদআত সম্পর্কে শিক্ষাঃ
১। যখন কোন বিষয়ে মত বিরোধ সৃষ্টি হবে তখন তার সমাধান আল্লাহ তাআলার কিতাব কুরআনুল কারীম ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীসে খুঁজতে হবে।
২। আল্লাহর বিধানে সমাধান না খুঁজে নিজেদের পক্ষ থেকে যুক্তি দিয়ে কোন বিষয় সংযোজন ও বিয়োজন করা যাবে না। কুরআন-সুন্নাহর মূল ধারার বাইরে কোন ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যাবে না।বিদআতীদের তওবা বা কোনো আমল আল্লাহর নিকট গৃহীত হবে না, যতোক্ষণ না বিদআতী কর্মকান্ড থেকে সরে আসবে। যেসব ব্যক্তি বিদআত কাজে জড়িত আল্লাহ তাদের হাউজে কাউসারের পানি পান করাবেন না। আল্লাহ তাদের বলবেন, ‘যারা আমার দ্বীনকে পরিবর্তন করেছ, তারা দূর হও, দূর হও।’ (বুখারি, হাদিস: ৬৬৪৩)
বিদআতি আমলের পরিণামের বিষয়ে হজরতে জাবির (রাঃ.), রাসূল (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী হচ্ছে আল্লাহর কিতাব এবং সর্বোত্তম পথ হচ্ছে মুহাম্মাদ (সা.)এর পথ, আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল দ্বীনের মাঝে নতুন কোনো কিছু সৃষ্টি করা অর্থাৎ বিদআত। আর এই ধরনের সকল বিদআতই গুমরাহী, আর প্রত্যেক গুমরাহীই জাহান্নামী’। (সহী মুসলিম- ৮৬৭)
উক্ত হাদীসে কয়েকটি বিষয়ে প্রমাণ বহন করে তার ভেতরে উল্লেখযোগ্য দুটি হল- ১. বিদআতের কোনো প্রকার হতে পারে না সকল প্রকার বিদআতই গুমরাহী এবং ২. প্রত্যেক বিদয়াতির শেষ ফলাফল জাহান্নাম।
বিদআতের সবচেয়ে ক্ষতিকর যে পরিণাম সে বিষয়ে হাসসান ইবনু আত্বিয়্যাহ (রহঃ.) বলেন, ‘কোনো জাতি যখনই দ্বীনের ভেতর কোনো বিদআত সৃষ্টি করে তখনই আল্লাহ তা’আলা তাদের থেকে সে পরিমাণ সুন্নত উঠিয়ে নেন, কিয়ামত পর্যন্ত সে সুন্নত আর ফিরিয়ে দেয়া হয় না’। (সহীহ দারেমী- ৯৮)
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের আমার ও আমার পরবর্তী সঠিক পথপ্রাপ্ত খলিফাদের অনুসরণকে তাগিদ দিচ্ছি। তোমরা একে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে থাকো। দ্বীনের মধ্যে নব-উদ্ভাবিত বিষয় সম্পর্কে সাবধান হও। কেননা প্রতিটি নব-উদ্ভাবিত বিষয়ই বিদআত। আর প্রতিটি বিদআত হচ্ছে পথভ্রষ্টতা।’ (মুসনাদে আহমাদ ও তিরমিজি)

রাসুল (সা.) এর মৃত্যুর পর থেকে এই পর্যন্ত ইসলাম বিধ্বংসী বিদয়াতের কারণে কত সুন্নতের বিলুপ্তি ঘটেছে একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন। তাই বিদআত থেকে আমাদের সকলেরই সতর্ক হতে হবে এবং আমাদের অন্য সকল মুসলিম ভাইদেরও সতর্ক করতে হবে। অল্প আমলেই যথেষ্ট যদি সেটা সঠিক হয়, তাই আমরা অল্প আমল হোক কিন্তু সর্বদা সঠিকটাই করব, আল্লাহ আমাদের সকলকে বিদআত থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২২

নতুন বলেছেন: পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারলে টিকে থাকা যায় না।

বর্তমানের বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে পারছে না হুজুর গোস্ঠিরা।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কিছু কিছু ধর্ম এব্ং ধর্মগ্রন্থ পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে গিয়ে
বাতিল ধর্মে পরিণত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ ইসলাম ধর্ম ও পবিত্র
গ্রন্থ আল কোরআন হেফাজতের জন্য রয়েছেন স্বয়ং আল্লাহতায়ালা।
তাই ইসলাম ধর্ম সব ধর্মের উপরে বিরাজমান রয়েছে, থাকবে
কেয়ামতরে আগ পর্যন্ত। কারণ আল্লাহ ইসলাম ধর্মকে সব ধর্মের
উপরে স্থা্ন দিয়েছেন। গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেওয়া মুমিনের
পরিচয় নয়।

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন। বিদআত যারা করে তারা বিদআতকে এবাদত মনে করে তাই তাদের পক্ষে এই কবিরা গুনার জন্য তওবা করার সুযোগ হয় না। অন্য অনেক গুনাহ করে মানুষ পরে অনুতপ্ত হয় ও তওবা করে। বিদআতের ক্ষেত্রে এই গুনাহকেই মানুষ পুণ্যের কাজ মনে করে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

এদেশের ৯০% মুসলিম জানেনা বিদআত কাকে বলে!
বিদাত হচ্ছে তরকারীতে পরিমিত লবণের মত। একটি তরকারি
উপযুক্ত স্বাদ পাওয়ার জন্য যতটুকু লবণ দরকার ঠিক ততটুকু লবণই
দিতে হবে, এর একটু কম বা বেশি হলে আপনার মুল্যবান খাবারটুকু
অখাদ্য হয়ে যাবে, বেশি হলে তা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া ছাড়া আর
কোন উপায় থাকবেনা। ঠিক তেমনি, আপনার ইবাদত যদি রাসুলের
তরিকার বা নিয়মের বাইরে হয়, তা কোন কাজে আসবেনা।
আল্লাহতালা বার বার তার কোরানে বলেছে, তোমরা শুধুমাত্র আল্লাহর
ইবাদত কর কেবলমাত্র রাসুলের তরিকায়, তোমরা তোমাদের আমল বাতিল
করিও না। তারমানে, আপনার আমল বা ইবাদত রাসুলের তরিকায় না হলে,
হাদিছ কোরানে তার কোন দলিল না থাকলে, অথবা মাযহাবের নামে নতুন
কোন ইবাদতের পদ্ধতি হলে সেটাই বিদাত ( গোমরাহি) যার ফলাফল জাহান্নাম।
দ্বীন বা ইবাদতের ক্ষেত্রে ‘বিদআতে হাসানাহ’ (ভাল বিদআত) বলে কোন
বিদআত নেই। বরং প্রত্যেক বিদআতই ‘সাইয়্যিআহ’ (মন্দ)।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইসলাম কি আগের মতো আছে?

১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

অবশ্যই ইসলাম আগের মতোই আছে এবং
কেয়ামতের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত থাকবে। তবে
মানুষ বদলেছে, মানুষের ভাবনা চিন্তা বদলেছে
গোমরাহী বেড়েছে। তাই তারা তাদের মনগড়া
কিছু ভ্রান্ত ধারণাকে ইবাদত মনে করে যেমনঃ

১.দেশপ্রেম ইমানের অংগ
জাল হাদীস এর উদ্দেশ্য কিন্তু এটা নয় যে দেশপ্রেম করা যাবেনা, দেশপ্রেম ইমানদারের বৈশিষ্ট ঠিক আছে, রাসুল (সঃ) এর কাজে কর্মে দেশপ্রেম ছিল যা মুসলিমের বৈশিষ্ঠ সব ঠিক আছে.. কিন্তু এটি রাসুল (সঃ) এর কথা নয়, তিনি উক্তিটি করেননি |
২. মুর্খের ইবাদতের চেয়ে জ্ঞানীর ঘুম উত্তম
৩. স্বামীর পা এর নিচে স্ত্রীর বেহেশত
৪. খাদ্য খাবার সময় সালাম দেয়া যাবেনা
৫. আমি তিন কারণে আরবদের ভালবাসি , জান্নাতের ভাষা আরবী, আরবদের ভাষা আরবী, আমার ভাষাও আরবী
৬. ওলিগণের কারামত সত্য
৭.. যে নিজকে চিনলো সে তার রবকে চিনলো
৮.. মসজিদে দুনিয়াবী কথা বললে তার চল্লিশ বছরের আমল নষ্ট হয়
৯. মুমিনের হৃদয় আল্লাহর আরশ
১০. প্রয়োজনে চীন দেশে গিয়ে বিদ্যা অর্জন করো
১১. শহিদের রক্তের চেয়ে জ্ঞানীর কলমের কালি উত্তম
১২. খাবারের আগে লবণ খাওয়া

যদি আমরা দ্বীনের ব্যাপারে রদ বদল বা যোগ বিয়োগ করি তাহলে
সেটা হবে নবী(সঃ )এর জন্য অবমাননাকর। সেটা যত ভালই মনে করি
না কেন তা অগ্রহণযোগ্য ও পরিত্যাজ্য

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধর্ম জানে না, এমন বাংগালী নেই; লিখতে জানেন না এমন বাংগালী শতে ৬০ জন।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বাংলাদেশের ১০০% মানুষ ধর্ম জানে তবে ৯০ % মুসলিম ই বিদাত বুঝেনা,
তাহলে বিদাতের ভয়াবহতা বুঝবে কি করে? আর এই জন্যেই মসজিদের ইমাম
নিজেই যখন বিদাত করে তখন মসজিদ কমিটি ও মুসল্লিরা মনে করে ইবাদততো
ইবাদত ই, যেভাবে খুশি আল্লাহকে ডাকলেই হয়। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি
দেশে সাক্ষরতার হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে এ হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
সুতরাং আপনার গবেষণা ভুল !!

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: মিলাদকে কেন আজকাল বিদআত হিসেবে বলা হচ্ছে বোধগম্য নয়।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ঢাবিয়ান আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছিঃ
মিলাদ কেন বিদআত এটা বুঝতে হলে আমাদের সবার আগে জানতে হবে বিদআত কি ?
বিদআত শব্দের আভিধানিক অর্থ নতুন আবিষ্কার। বিদআত হলো এমন নতুন আবিষ্কৃত
ইবাদত যেটাতে অনেক সওয়াব আছে মনে করে পালন করা হয় ।

ঘরে ঘরে মসজিদে সবখানেই তো মিলাদ হয় এখন। আমাদের প্রত্যেকটা কাজেরই মূল ইবাদতটা হয়ে গিয়েছে মিলাদ। এটি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সহিহ হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি। রাসুল (সা.) করেছেন, এর কোনো প্রমাণ নেই। তার পরবর্তী সময়ে সাহাবিরা করেছেন এরও কোনো প্রমাণ নেই। এর পরবতী সময়ে তাবেয়িরা করেছেন, এমন প্রমাণ নেই। আইমাতুল ইসতেহাদ ইমাম আবু হানিফা (র.), ইমাম মালেক (র.), ইমাম হাম্বলি (র.) ও ইমাম শাফেয়িসহ (র.) যাঁরা মাশহুর ও প্রসিদ্ধ ওলামায়ে কেরাম ছিলেন, তাঁরাও এটা করেছেন বলে কোনো প্রমাণ নেই। মূলত এই কাজটি একেবারেই নতুন আবিষ্কৃত একটি বিষয়। দ্বীনের মধ্যে এ ক্ষেত্রে রাসুল (স.)-এর কোনো নির্দেশনা নেই। আবার এটা ইবাদতের উদ্দেশে করা হচ্ছে সওয়াবের জন্য। তাই এটি বিদআত হওয়ার ক্ষেত্রে সামান্যতম কোনো সন্দেহ নেই বা সামান্যতম কোনো আপত্তি নেই।

এখানে যে বিভ্রাট তৈরি হয়েছে, সেটা হলো মিলাদের যে ফরম্যাট তৈরি করা হয়েছে, এই ফরমেটের মধ্যে দরুদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখন দরুদকে অন্তর্ভুক্ত করে এই সন্দেহ তাদের মধ্যে জাগ্রত হয়েছে যে, আমরা তো দরুদ পড়তেছি। এখানে অসুবিধার কী আছে! কিন্তু দরুদ পড়ার পদ্ধতি তো রাসুল (সা.) শিক্ষা দিয়েছেন। দরুদ আমরা কীভাবে পড়ব, সেটা কি রাসুল (সা.) শিক্ষা দেননি? তাহলে আমাদের এ কথা স্বীকার করতে হবে যে রাসুল (স.) আমাদের শিক্ষাই দিয়ে যাননি।

সামনে পরীক্ষা মিলাদ পড়াও ,কেউ অসুস্থ মিলাদ পড়াও ,বিদেশ যাচ্ছ মিলাদ পড়াও ,
নতুন দোকান খুলেছ মিলাদ পড়াও , নতুন ফ্ল্যাট কিনেছ মিলাদ পড়াও ইত্তাদি আরও কত কি ।
আমরা না বুঝেই বিদআত দিয়ে এসব শুভ কাজ শুরু করি ।

অথচ রাসুল (সা.) হাদিসের মধ্যে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার ব্যাপারে অতিরঞ্জন করো না, যেমনিভাবে ঈসা ইবনে মারিয়ামের ব্যপারে খ্রিস্টানরা সীমালঙ্ঘন করেছে।’ অতিরঞ্জন করতে করতে একপর্যায়ে তাঁকে আল্লাহর পুত্র বানিয়ে দিয়েছে।

৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলামে আরবদের সংকৃতি ছিলো, বিভিন্ন দেশে উহা বদলে গিয়ে বিদায়েত মিদায়েতের সৃষ্টি হয়েছে।

ইসলাম বদলেই শিয়া, সুন্নী, ওয়াহাবী, আহমেদিয়া, দ্রুজের মতো শাখাগুলোর সৃষ্টি হয়েছে; ইসলাম সম্পর্কে আপনার ধারণা দুর্বল।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বিশ্বাস ঈমানের অঙ্গ !
ইসলাম ধর্মের মুল গ্রন্থ আল কোরআন
এবং নবীজীর আদর্শ, জীবনাচারণ হাদিসে
অর্ন্তভূক্ত যা সব জামানায় সব গোষ্ঠীর জন্য
প্রযোজ্য। যার কোরআন হাদিসে বিশ্বাস নেই
সে ঈমানদান নয়। তার জন্য কোনটা আদত আর
কোনটা বিআদত তা হিসেব করে লাভ কি?

৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সোজা কথায়, বিদাত ওই ভালো কাজ যা সওয়াবের নিয়তে করা হয়, অথচ কোরান হাদিসে এর কোন উল্যেখ নাই।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কাজ ভালো হলেও যা শরিয়ত সম্মত নয়
তা দিয়ে সওয়াবের আশা করা বেদাত।
যেমন ঘুষ বা সুদের টাকায় মসজিদ করে
যদি সোয়াবের আশা করেন তা কি সঠিক
হবে?

৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নামাজের পর মুনাজাত করেনা অর্ধেক লোক।আগেই বহু ভাগ ছিল,মুনাজাত এখন দুই ভাগ হয়েগেছে।নূরু ভাই কোন দলে,মুনাজাতের পক্ষে না বিপক্ষে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

দোয়া মুমিনের জন্য নিরন্তর সহযোগী ও হাতিয়ার। দোয়ার মাধ্যমে জীবনে সমৃদ্ধি ও সফলতা আসে।
বিপদ-আপদ দূর হয়ে যায়। বস্তুত মুমিন প্রতিটি কাজে দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সহযোগিতা প্রার্থনা করে।
মহান আল্লাহ তাআলাও চান, বান্দা তার কাছে দোয়া করুক—কায়মনো বাক্যে প্রার্থনা করুক।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমার বান্দারা যখন আপনার কাছে আমার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে,
নিশ্চয় আমি নিকটেই আছি। আমি দোয়াকারীর দোয়া কবুল করি, যখন সে আমার কাছে দোয়া করে।
’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৬)
কোরআনের অন্য জায়গায় আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের দোয়া শিখিয়ে বলেন, ‘হে আমাদের পালনকর্তা!
তুমি দুনিয়ায়ও আমাদের কল্যাণ দান করো এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান করো এবং তুমি জাহান্নামের
আজাব থেকে আমাদের রক্ষা করো। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০১)

আল্লাহ তাআলা আরো ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা ভয় এবং আশা নিয়ে আল্লাহকে ডাক। নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত
সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী। ’ (সুরা আরাফ : ৫৬)

হযরত আলী ইবনে আবী তালিব থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু ‘আলাইহী ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
নিশ্চয়ই তোমাদের প্রভূ অত্যন্ত লাজুক, এবং দয়ালু। কোন বান্দা তার হাত দুটি উঠিয়ে মুনাজাত করলে
তার হাত খালি অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে তিনি লজ্জাবোধ করেন। (আবু দাউদ হাঃ নং ১৪৮৮)

রাসূল সাঃ প্রতি নামাযের পর এই শব্দে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতেন, “হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে
কৃপণতা থেকে পানাহ চাই। এবং অভাব থেকে পানাহ চাই এবং অশীতিপর বৃদ্ধাবস্থা থেকে পানাহ চাই এবং
দুনিয়ার ফিতনা ও কবরের আজাব থেকে পানাহ চাই। {সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৫৪৭৯}

সুতরাং ফরজ নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে চাইতে দোষ কোথায় ?

৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সোজা কথায়, বিদাত ওই ভালো কাজ যা সওয়াবের নিয়তে করা হয়, অথচ কোরান হাদিসে এর কোন উল্যেখ নাই।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

মনগড়া ভালো কাজের কোন পুরস্কার নাই
যা আল্লাহ নির্দেশ দেননি এবং নব করীম (সঃ)
করেন নি।

১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৩১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বিদআত করতে করতে আমরা এমন একটা পরিস্থিতিতে পৌছেছি যে বিদআতের ডাক দিলে লোক খুশি হয়, আর সুন্নাহের ডাক দিলে লোক ক্ষেপে যায়।

:(

১৪ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কথা সত্য !! তবে এ কথাও মনে রাখতে হবে যে
আমার আপনার সবার মালিক যিনি তিনিও বিদআত
দেখলে ক্ষেপে যান। আর তার পরিনাম হবে ভয়াবহ।
আল্লাহ আমাদের সকল বিদআত থেকে দূরে রাখুন। আমিন

১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: বিদআত করে করেই জীবনটা পার করে দিলাম।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

এবার ক্ষ্যন্ত দিন !

১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

রানার ব্লগ বলেছেন: তার মানি যতগুলা তোরিকা আছে সব গুলাই বিদআত, কারন আমি বেশ কয়েকটা তরিকার লোকের সাথে মিসে দেখেছি এদের নিজেস্ব দুরুদ আছে এরা মুল দুরুদের সাথে আর এক বা দুই লাইন যোগ করে পরে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:


বিদআত হলো আগের কোনও দৃষ্টান্ত ও নমুনা ছাড়াই কোনও কিছু সৃষ্টি ও উদ্ভাবন করা।
দ্বীনের মধ্যে এমন বিষয় সৃষ্টি করা, যা রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের যুগে ছিল না,
বরং পরে তা উদ্ভাবন হয়েছে।মোটকথা সে কাজকে বিদআত বলা হয় যা সোয়াব ও
পূণ্যের নিয়তে করা হয় কিন্তু শরীয়তে তার কোন ভিত্তি বা প্রমাণ পাওয়া যায়না।
অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা নিজে করেননি এবং কাউকে
তা করার অনুমতি ও প্রদান করেননি। এরূপ আমল আল্লাহর কাছে গ্রহণ যোগ্য হয় না।
(বুখারী ও মুসলিম)
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি এমন আমল করবে যার ব্যাপারে
আমার শরীয়তের নির্দেশনা নেই, উহা প্রত্যাখ্যাত।” (মুসলিম হা/৩২৪৩)
তিনি আরো বলেন- " নিঃসন্দেহে সর্বোত্তমকথা হচ্ছে আল্লাহ্র কিতাব, সর্বোত্তম
পদ্ধতিহচ্ছে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর পদ্ধতি। আর নিকৃষ্ট কাজহচ্ছে শরীয়াতে
নতুন কিছু সৃষ্টি করা, এবং প্রত্যেক বিদ'আত হচ্ছে ভ্রষ্টতা। (মুসলিমঃ ৭৬৮)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.