নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
সমগ্র বিশ্বে চলছে করোনার দ্বিতীয় ওয়েব। বাংলাদেশও এর থেকে মুক্ত নয়। তবে সচেতন হলে এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনার দ্বিতীয় ওয়েব রোধে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’কে জোরদার করতে নির্দেশ করেছেন। মাস্ক ব্যবহার, সাবান পানিতে হাত ধোয়া এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাই মোক্ষম অস্ত্র করোনাকে প্রতিহত করার জন্য।
আমেরিকার মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ ক্লিনিকের প্রধান ডাঃ ফাহিম ইউনুস ২০ বছর ধরে ভাইরাস নিয়ে কাজ করছেন। কোভিড ১৯ নিয়ে তিনি ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি তার টুইট বার্তায় লিখেছেন, আমরা কত মাস বা কত বছর কোভিড ১৯ এর সাথে থাকবো তা কেউ জানিনা। এই অজানা সময়কে অস্বীকার করার যেমন দরকার নেই তেমনি আতঙ্কিত হবারও প্রয়োজন নেই। কোভিড ভাইরাস পর্যবেক্ষণ করে আমরা বিজ্ঞানীরা এপর্যন্ত যা বুঝেছি তাতে বলতে পারি, আমাদের জীবনকে অহেতুক কঠিন করার কোন প্রয়োজন নেই। আমাদের সুখে থাকা দরকার তার জন্যে দরকার করোনা নিয়ে সত্য কথাগুলো জানা। সেই সত্য কথাগুলি কি?
১) কোভিড থেকে বাঁচার শুধুমাত্র তিনটি উপায় আছে-- মাস্ক পড়া, হাত ধোয়া এবং ১.৮ মিটার দূরত্ব বজায় রাখা। এই তিনটি কাজ ভাইরাস থেকে রক্ষা পাবার সেরা পদ্ধতি।
২) গ্রীষ্মে ভাইরাসটি তার প্রভাব হ্রাস করে না। ভারত, ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনায় গ্রীষ্মকালেই ভাইরাসটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
৩) লিটার কে লিটার গরম জল পান করে করে কোন লাভ নেই। কারণ সেল ওয়ালে ঢুকে যাওয়া ভাইরাসকে পান করা গরম পানির উষ্ণতা কোনো ক্ষতি করতে পারেনা। খামাখা শুধু বারবার টয়লেট যেতে হয় পেশাব করতে।
৪) যদি আপনার বাড়িতে কোভিড ১৯ রোগী না থাকে তবে বাড়ির মেঝে, দেয়াল, উপরিভাগের সব কিছুকে জীবাণুমুক্ত করার কোন দরকার নেই, কোনো লাভ নেই।
৫) কার্গো প্যাকেজ, শপিং ব্যাগ, পেট্রোল পাম্প, শপিং কার্ট বা ব্যাংকের এটিএম মেশিন সংক্রমণ সৃষ্টি করে না। আপনার হাত ধুয়ে নেবেন বারবার এবং যথারীতি আপনার জীবন যাপন করুন।
৬) কোভিড ১৯ কোন খাদ্য সংক্রমণ এর মাধ্যমে ছড়ানো রোগ নয়। এটি ফ্লুর সংক্রমণের মতো হাঁচি কাশির ফোটাগুলির সাথে সম্পর্কিত। অর্ডার করা খাবার থেকে কোভিড ১৯ সংক্রমণ হওয়ার কোনও প্রমাণিত ঝুঁকি পাওয়া যায়নি। আপনার অর্ডারকৃত খাবারগুলিকে আপনি চাইলে মাইক্রোওয়েভে কিছুটা গরম করে নিতে পারেন।
৭) অনেকে মনে করেন সুয়ানা নিলে গরম বাষ্প শরীরে প্রবেশ করে কোভিড ভাইরাসগুলিকে হত্যা করবে,-- কখনোই না। যা কোষে প্রবেশ করেছে তাকে কোন প্রকার উষ্ণতা ধ্বংস করতে পারবেনা, তা পানি বা বাষ্প যাই হোক।
৮) অনেক অ্যালার্জি এবং অন্য ভাইরাল সংক্রমণ হলেও আপনার গন্ধ অনুভূতি হারাতে পারেন। গন্ধ না পাওয়া কোভিড ১৯-এর একটি অ-নির্দিষ্ট লক্ষণ, সু-নিদৃষ্ট লক্ষণ নয়।
৯) বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে আসার পর তাৎক্ষণিক জামাকাপড় পরিবর্তন করার এবং স্নান করার কোনো দরকার নেই। স্নানে-শুদ্ধতা একটি পুণ্যের কাজ হলেও কোভিড ঠেকাতে এটির প্রয়োজন নেই।
১০) কোভিড ১৯ ভাইরাসটি বাতাসে ভেসে থাকে না। এটি একটি ড্রিপ সংক্রমণ যার জন্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ প্রয়োজন। তাই আপনি খোলা পার্কের নির্মল বাতাসে অন্য মানুষের সাথে দূরত্ব বজায় রেখে ঘুরে আসতে পারেন।
১১) কোভিড ১৯ মানুষের জাতি বা ধর্ম বুঝে আক্রমন করেনা, যেকোন ধরণের যেকোন জাতির মানুষ এতে আক্রান্ত হতে পারে।
১২) অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বিশেষ সাবান ব্যবহার না করে কোভিড ১৯ এর বিপরীতে যেকোন সাধারণ সাবান ব্যবহার করাই যথেষ্ট। ভাইরাস কোনভাবেই ব্যাকটিরিয়া নয়।
১৩) আপনার জুতোর মাধ্যমে কোভিড ১৯ বাড়িতে এনে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা দিনে মাথায় দু'বার বজ্রপাত হবার মতো। আমি ২০ বছর ধরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছি, বুঝেছি ড্রপ সংক্রমণ কখনো জুতার নাধ্যমে ছড়িয়ে যায় না।
১৪) ভিনেগার, সোডা, আদার রস, বিভিন্ন হারবের রস জাতীয় জিনিষ পান ভাইরাস থেকে রক্ষা করেনা। বৈজ্ঞানিক কোন প্রমাণ নেই।
১৫) সারাক্ষন গ্লাভস পরে থাকা একটি ভুল ধারণা, ভাইরাসটি গ্লাভসে জমে থাকতে পারে, এবং তারপর নিজের অজান্তে আপনার মুখটি স্পর্শ করলে সহজেই সংক্রমণ হতে পারে।
১৬) রেস্টুরেন্ট কর্মীরা একটি গ্লাভস পরেই সব খাদ্য স্পর্শ করতে থাকে, এটি প্রায়শঃই বদলানো দরকার। সাধারণ মানুষদের জন্য গ্লাভসের বদলে বারবার হাত ধোওয়াই ভাল।
উপসংহারঃ
আগামী আরো কয়েক মাস COVID-19 এর সাথে আমাদের বসবাস করতে হবে। আসুন এটিকে অস্বীকার না করে বা আতঙ্কিত না হয়ে জীবনকে অহেতুক কঠিন করে না তুলি। আমরা সুখী হতে চাই, চলুন সেই সত্যের সাথে বাঁচতে শিখি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে নো মাস্ক নো সার্ভিস জোরদার করা হোক। সবাই নিরাপদে থাকুক করোনার হিংস্র থাবা থেকে।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ খানসাব।
মানুষ ভুল করলেও সময় ভুল করে না,
সময় একদিন ঠিকই চিনিয়ে দেয়
কোনটা সঠিক।
আলোকিত মানুষের গুণ তারা
ভুল-ত্রুটি উপেক্ষা করতে পারে।
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাল গুরুত্বপুর্ন তথ্য তুলে ধরেছেন।
নৈরাজ্যবাদিরা দীর্ঘদিন অকারন আতঙ্ক শৃষ্টি করে জীবনযাত্রা অর্থনীতি থামিয়ে আবার ভিকিরি বাংলাদেশ বানাতে চাচ্ছিল।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ কালবৈশাখী ভাই।
সঠিক বলেছেন। তবে আমার প্রশ্ন
করোনায় ভুল কার বেশি, মানুষের না
সরকারের?
করোনার তাড়া খেয়ে বা অন্য প্রয়োজনে বিদেশ
থেকে যখন লাখো প্রবাসী ভাইবোন দেশে ফিরছিলেন,
তখনই বোঝা দরকার ছিল, এই উল্টো-এক্সোডাস দেশের ভেতরেও ঘটবে।
আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগে কাবু হই না, কাবু হই সামাজিক ও রাজনৈতিক দুর্যোগে।
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো, এখনো দরকারী
০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কে বলে গাজীসাব সবসময়
ক্যাচাল করে জেনারেল হয় !!
'আপনার উল্টা পাল্টা প্রশ্ন বিহীন
পজেটিভ মন্তব্যে প্রীত হলাম।
৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:০০
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ছোট হলেও স্টিকি হবার মত পোস্ট। সকলের জানা উচিৎ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ কবিতা পড়ার প্রহর।
করোনা নিয়ে সকল ভুলের অবসান হোক।
৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
সময়োপযোগী দরকারী পোস্ট।++
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা
শুভেচ্ছা নিলাম ও দিলাম অনেক
প্রতিদানে। ++ এর জন্য কৃতজ্ঞতা।
৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৯
নতুন বলেছেন: এই ভাইরাসটা যতটা ভয়ংকর তার চেয়ে বেশি ভয়ংকর সোসাল মিডিয়াতে প্রচারনা।
এখন সংক্রামন কমেনি কিন্তু মানুষ আর সোসাল মিডিয়াতে প্রচার করছেনা তাই মানুসের মনে ভয়ও কমে যাচ্ছে। দুনিয়া সাভাবিক হয়ে আসছে।
সবাই উপরের নিয়ম গুলি মেনে চললেই অনেকেই সংক্রামনের হাত থেকে বেচে যাবে।
এই সোসাল মিডিয়ার প্রচারে ফেসবুকের মতন কম্পানী বিলিওন ডলার সম্পদ বেড়েছে আর কোটি মানুষ নিস্ব হয়েছে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সোসাল মিডিয়া হিরোকে জিরো
আবার জিরোকে হিরো করার ক্ষমতা রাখে।
তবে গুজবে কান না দিয়ে সবাই উপরের নিয়ম
গুলি মেনে চললেই অনেকেই সংক্রামনের
হাত থেকে বেচে যাবে ইনসাআল্লাহ।
ধন্যবাদ আপনাকে নতুন চমৎকার
মন্তব্যের জন্য
৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: এরকম পোষ্ট মনে ভয়ের সৃষ্টি করে না। ভরসা দেয়।
০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ খানসা্ব
আশা জাগানিয়া মন্তব্য প্রদানের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: মুরুব্বী একটা ভালো পোষ্ট দিয়েছেন।
অনেক ভুল ধারনা ভাঙ্গল আমার।