নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র ইসলামে নিষিদ্ধ

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৪


যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সঃ) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র ইসলামে নিষিদ্ধ। সম্প্রতি ফ্রান্সে বিশ্বনবী ও শ্রেষ্ঠনবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ)-কে কটাক্ষ করে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। এর পূর্বে মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা স্যাম বাসিল ও তার কলাকুশলীরা ‘ইনোসেন্স অব মুসলিম’ নামক চলচ্চিত্রে মহানবী হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সঃ)-কে অত্যন্ত অশালীন ও বিকৃতভাবে বিদ্রুপ করেছিল। ফ্রান্স সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে পুলিশ পাহারায় মুহাম্মদ (সঃ)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে বিশ্ব মুসলিমের কলিজায় আঘাত হেনেছে। কারণ মুসলমানরা তাদের নবী মুহাম্মদ (সঃ) কে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। নবীজির অবমাননা মুসলমানগণ কিছুতেই বরদাশত করবে না। যারা সমগ্র বিশ্বের সার্বজনীন শ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বনবীর “ব্যঙ্গচিত্রকে” রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় প্রদর্শন করে ইতিহাসে; ইসলাম ও অন্যধর্মের নবী বিদ্বেষের নতুন ‘কুদৃষ্টান্ত’ উপস্থাপন করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আল্লাহ সুবহান ওয়া তা'আলা আল-কুর'আনে উল্লেখ করেছেন,

"বিদ্রুপকারীদের জন্যে আমিই আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট।" [সুরা আল হিজরঃ ৯৫]
"যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ।" [সুরা আল কাউসারঃ ৩]

কোরআনের আলোকে নবী (সা.) ও ধর্ম অবমাননাকারীর শাস্তি

(১) যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের ওপর লানত করেছেন এবং তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন এমন শাস্তি, যা লাঞ্ছিত করে ছাড়বে। (আহজাব-৫৭)

(২) তুমি যদি তাদের জিজ্ঞেস করো, তবে তারা অবশ্যই বলবে, আমরা তো হাসি-তামাশা ও ফুর্তি করছিলাম। বলো, তোমরা কি আল্লাহ, আল্লাহর আয়াত ও তাঁর রাসুলকে নিয়ে ফুর্তি করছিলে? (সুরা তাওবা-৬৫)

(৩) অজুহাত দেখিও না। তোমরা ইমান জাহির করার পর কুফরিতে লিপ্ত হয়েছ। আমি তোমাদের মধ্যে এক দলকে ক্ষমা করলেও অন্য দলকে অবশ্যই শাস্তি দেব। কেননা তারা অপরাধী। (সুরা তাওবা-৬৬)

অর্থাৎ মোনাফিকদের মধ্যে যারা তাওবা করবে, তাদের ক্ষমা করা হবে। আর যারা তাওবা করবে না, তারা অবশ্যই শাস্তিপ্রাপ্ত হবে।

(৪) তারা কি জানে না, কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরোধিতা করলে সিদ্ধান্ত স্থির রয়েছে যে তার জন্য জাহান্নামের আগুন, যাতে সে সর্বদা থাকবে, এটা তো চরম লাঞ্ছনা! (তাওবা-৬৩)

(৫) আর যে ব্যক্তি তার সামনে হেদায়েত স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করবে ও মুমিনের পথ ছাড়া অন্য কোনো পথ অনুসরণ করবে, আমি তাকে সে পথেই ছেড়ে দেব, যা সে অবলম্বন করেছে। আর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব, যা অতি মন্দ ঠিকানা। (নিসা-১১৫)

হাদিসের আলোকে নবী (সা.) ও ধর্ম অবমাননার শাস্তি

(১) আবু রাফে নামের এক ইহুদিকে রাসুল (সা.) এ জন্যই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন, সে রাসুল (সা.)-এর বিরুদ্ধে সব সময় কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করত। আল্লামা ইবনে কাছির (রহ.) আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থে ইমাম বোখারি (রহ.)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন- রাসুল (সা.) আবু রাফেকে হত্যা করার জন্য বেশ কজন আনসারি সাহাবিকে নির্বাচিত করলেন এবং হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আতিককে তাঁদের দলপতি নিয়োগ করলেন। আবু রাফে রাসুল (সা.)-কে কষ্ট দিত এবং এ কাজে অন্যদের সাহায্য করত।

(২) হজরত ইকরামা (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত আলী (রা.)-এর খিদমতে কয়েকজন জিনদিককে (ধর্মদ্রোহী) উপস্থিত করা হলে তিনি তাদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেন। এ খবর হজরত ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে পৌঁছলে তিনি বলেন, আমি হলে তাদের আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিতাম না। রাসুল (সা.)-এর নিষেধ থাকার কারণে। তিনি বলেন, তোমরা আল্লাহর শাস্তি দ্বারা কাউকে শাস্তি দিও না। তবে অবশ্যই আমি তাদের হত্যা করতাম। কারণ রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি স্বীয় ধর্ম ইসলাম ত্যাগ করবে তাকে হত্যা করো। (বোখারি, জামউল ফাওয়ায়েদ ১/৪৮৪)

জিনদিক ওই সব মোনাফেককে বলা হয়, যারা রাসুল (সা.)-এর জামানার পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত ওপরে ওপরে নিজেকে মুসলমান প্রকাশ করবে; কিন্তু তার অন্তরে থাকবে না ইমানের লেশমাত্র।

(৩) যে ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করবে তোমরা তাকে হত্যা করো। (কানজুল উম্মাল-১/২৩)

(৪) মুজাহিদ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হজরত ওমর (রা.)-এর দরবারে এমন এক ব্যক্তিকে আনা হলো, যে রাসুল (সা.)-কে গালি দিয়েছে। হজরত ওমর (রা.) তাকে হত্যা করেন। অতঃপর বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা বা কোনো নবীকে গালি দেবে তোমরা তাকে হত্যা করো। (আসসারিমুল মাসলুল-৪/৪১৯)

(৫) আল্লাহ তায়ালার কাছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব ওই ব্যক্তি, যে ইমান আনার পর কুফরি করে। (কানজুল উম্মাল-১/২৩)

(৬) ওই জাতির ওপর আল্লাহর গজব অবতীর্ণ হোক, যারা রাসুল (সা.)-এর চেহারা মোবারককে আহত করে। (কানজুল উম্মাল ৫/২৬২)

নবী (সা.) ও ধর্ম অবমাননাকারীর শাস্তির ব্যাপারে ফকিহগণের মতামত

নবী করিম (সা.)-এর অবমাননাকারীর শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদণ্ড। এ ব্যাপারে উম্মতের ইজমা (ঐকমত্য) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

খুলাসাতুল ফতাওয়া গ্রন্থে আল্লামা তাহের বোখারি (রহ.) লিখেন, মুহিত নামক কিতাবে উল্লেখ রয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-কে গালি দেয় বা নবী করিম (সা.)-এর ধর্মীয় কর্মকাণ্ড নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বা তাঁর ব্যক্তিত্ব নিয়ে সমালোচনা করে, তাঁর কোনো বৈশিষ্ট্য নিয়ে দোষত্রুটি চর্চা করে, সে ব্যক্তি নবীর উম্মত হোক বা অন্য কোনো নবীর উম্মত, মুসলিম রাষ্ট্রে আশ্রিত কাফের হোক বা শত্রু কাফের, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ, গালি, অবমাননাকর মন্তব্য, বক্তব্য ইচ্ছাকৃতভাবে হোক বা অনিচ্ছায়, বুঝে-শুনে হোক বা অসাবধানতাবশত- সর্বাবস্থায় সে চিরস্থায়ী কাফির বলে সাব্যস্ত হবে। তার এই অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য বলে ধার্য হবে- এপার-ওপার উভয় আদালতে।

নবী করিম (সা.)-এর সমালোচনাকারী, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপকারী, ইসলাম ধর্ম ত্যাগকারী সাধারণ মুরতাদের মতো নয়, যে ধর্ম ত্যাগ করল সে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হলো। অন্য কারো জন্য ক্ষতিকারক নয়। এ কারণে সে তাওবা করলে তা গ্রহণযোগ্য ও সাজা মাফ হওয়ার অবকাশ রয়েছে। তবে যে ব্যক্তি নবী (সা.)-এর শানে বেয়াদবি করবে, সমালোচনা করবে, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করবে, সে সাধারণ অপরাধী নয়, সে তো বিশ্বমানবতার শান্তির দূত রাহমাতুললিল আলামিনের সঙ্গে বেয়াদবি করেছে, যা গোটা মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধের শামিল। তাই তার অপরাধ ক্ষমাযোগ্য নয়।

আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহ.) উল্লেখ করেন, সব মাজহাবের ঐকমত্যে সিদ্ধান্ত- নবী করিম (সা.)-এর অবমাননাকারী কাফির ও তার শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদণ্ডই।

আল্লামা ইবনে মুনজির (রহ.) বলেন, সর্বস্তরের উলামায়ে কেরামের ঐকমত্য হলো, নবী করিম (সা.)-এর অবমাননাকারীর শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদণ্ড।

ইমাম আবু বকর আল ফারেস (রহ.) বলেন, সব মুসলমানের ঐকমত্য হলো- নবীর অবমাননাকারীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই।

কাজি আয়াজ (রহ.) বলেন, গোটা উম্মতের ঐকমত্যে সিদ্ধান্ত হলো, কোনো ব্যক্তি যদি নবীর শানে বেয়াদবি করে, ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে, গালি দেয় তাকে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।

আল্লামা খাত্তাবি (রহ.) বলেন, নবী (সা.)-এর অবমাননাকারীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই, এ ব্যাপারে কেউ দ্বিমত করেছেন বলে আমার জানা নেই।

ওপরে উল্লিখিত কোরআন ও হাদিস, ফুকাহাগণের মতামত থেকে এ কথা স্পষ্ট যে-

১। রাসুল (সা.)-এর শানে বেয়াদবিমূলক মন্তব্য, বক্তব্য বা তাঁর প্রতি ঠাট্টা-বিদ্রূপকারী এবং ধর্মীয় কোনো বিধান নিয়ে ব্যঙ্গকারী উম্মতের সর্বোচ্চ ঐকমত্যে মুরতাদ বলে সাব্যস্ত হবে।

২। তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই।

৩। মৃত্যুদণ্ড প্রদানের দায়িত্ব শাসকদেরই।

৪। শাসকদের জন্য আবশ্যক এ ধরনের লোকদের চিহ্নিত করে আইনের মাধ্যমে তাদের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা। উল্লেখ্য, সাধারণ মুসলমানদের জন্য এ ক্ষেত্রে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

গুগলে ‘who is the best man in the world- হু ইজ দ্য বেস্ট ম্যান ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ লিখে সার্চ করলেই যে তালিকা চলে আসে তার মধ্যে প্রথমেই দেখায় হজরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাম।

এটাই বাস্তব। যে কেউ চাইলে গুগলে ‘who is the best man in the world- হু ইজ দ্য বেস্ট ম্যান ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ লিখে চেক করে দেখতে পারেন। ন্যয়, ইনসাফ ও শান্তির বার্তাবাহক হজরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচন করে শান্তির এ বার্তাই পৌছে দিচ্ছে গুগল।

গুগলের এ তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এভাবে ভাইরাল যে- Best Man In The World ’Prophet Muhammad’. অর্থাৎ নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, বিশ্বের সেরা মহামানব।

সবচেয়ে আনন্দর ও আশ্চর্যের বিষয় হলো- ইউরোপের দেশগুলোতে হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামে শিশুর নামকরণ ‘মুহাম্মাদ’ নামে সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত ও জনপ্রিয়।

১৯৭৮ সালে মাইকেল এইচ হার্ট লিখিত ‘দ্য 100’ বইয়ের সর্ব প্রথম ও সেরা ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। পরবর্তীতে এ গবেষক ১৯৯২ সালের বইটির পুনঃমুদ্রণ করেন, সেখানেও হজরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাম ও মর্যাদা অব্যাহত থাকে। মানব ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়।

মহান আল্লাহ তাআলা অশেষ শুকরিয়া ও অনুগ্রহ যে, তিনি তাঁর প্রিয় সৃষ্টি হজরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মর্যাদা সবচেয়ে বেশি দান করেছেন এবং অব্যাহত রেখেছেন। অনাদি-অনন্তকাল তা বজায় থাকবে।

যারা আজ বিশ্বনবীকে (স) নিয়ে কটাক্ষ করে আল্লাহতায়ালা এ ধরণের জঘন্য ব্যক্তিদেরও হেদায়াত দান করুন এবং তারা যেন তাদের অন্যায় উপলব্ধি করতে পারে। একই সাথে মুসলিম উম্মাহ হিসেবে আমরাও যেন প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা এবং শ্রেষ্ঠনবীর আদর্শ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করতে পারি, সেই তৌফিক আল্লাহ আমাদেরকে দান করুন, আমিন।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ফ্রাসের সংবিধান ইসলাম, কিংবা কোন ধর্মের ভিত্তিতে নয়, উহাতে রেনেসাঁ ও ফরাসী বিপ্লবের অনুপ্রেরনা আছে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তারা হাদিস, কোরান নবী মানুক বা না মানুক
তাতে হাদিস কোরান বা নবীর কিছু আসে যায়না।
তবে তাদের অসম্মান করার অধিকার নাই।
তবে কেউ যদি তাদের অবমাননা করে তখন
মুসলমান তার প্রতিবাদ করবেই। এটা তাদের
ঈমানি দায়িত্ব।

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

অধীতি বলেছেন: যে যেখান থেকে পারে ফতোয়া দেয়।আপনিও কি সেরকম নাকি এই ফতোয়া, বোর্ড কতৃক স্বীকৃত।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমার লেখাটি হাদিস কোরান এর আলোকে
লেখা। জানতে হলে পড়ুন হাদিস কোরান।

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমাদের দেশ কি এখন হাদিস কোরান অনুসারে চলে,নাকি সংবিধান অনুসারে চলে।ধর্ম ব্যক্তিগত চর্চার বিষয়।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দেশ কি দিয়ে চলে তা দিব্য চোখে দেখা যায়।
তবে দেশটা ক্ষনিকের। পরকালের আদি অন্ত নাই।
যদি আপনাকে বলা হয় আপনাকে একটা প্রসাদসম অট্টালিকা
দেওয়া হবে যেখানে আপনি রাজার হালে থাকবেন, সকল সুযোগ
সুবিধা পাবেন রাজা বাদশার মতো। তবে তার মেয়াদ হবে ৩০ দিন বা
এক মাস। অপর পক্ষে একটা কুড়ে ঘর আপনাকে দেওয়া হবে যেখানে
দরিদ্রতা আর অভাবে কাটবে আপনার জীবন তবে থাকতে পারবেন অনন্তকাল।
তা হলে আপনি কোনটি পছন্দ করবেন?

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি মন্তব্যের উত্তরে বলেছেন, "তবে তাদের অসম্মান করার অধিকার নাই। তবে কেউ যদি তাদের অবমাননা করে তখন
মুসলমান তার প্রতিবাদ করবেই। এটা তাদের ঈমানি দায়িত্ব। "

-পশ্চিমা সভ্যতা এমন যায়গায় গেছে, উহা পাকিস্তান, চেসনিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরান, বা সিরিয়ার বলয়ে নেই; ওখানে যারা এমিগ্রেশন নিয়েছেন, তারা সেই দেশের সংস্কৃতি ও ট্রেডিশন মেনে চলার শর্তে ইমিগ্রেশন পেয়েছেন; সেখানে কোরান, হাদিস, বাইবেলের কোন নিয়ম সমাজে অংশ নয়।

ইমিগ্রেশন নেয়া জংগীরা সেখানে প্রতিবাদের নামে মানুষ মেরেছে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

যারা নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধার ও জাগতিক সুযোগ সুবিধা
ভোগ করার জন্য সব অন্যায়কে না দেখার ভান করে মাথা গোজে
উট পাখির মতো তাদের কথা ভিন্ন। তবে যারা অন্যায়ের প্রতিবাদ
করে আর চলে আল্লাহর পথে তারা প্রতিবাদ করবেই।

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মহানবী (সঃ )-এর অবমাননাকারীদের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করছি।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসন্নিবিষ্ট পোস্ট।

হাদিসের রেফারেন্স হিসাবে বোখারি শরীফ ও মুসলিম শরীফই আমাদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য। এ ব্যাপারে বোখারি ও মুসলিম শরীফ থেকে আরো রেফারেন্সের দরকার।

তবে, কারো মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ব্যাপারে বেশ কিছু আইনি পদক্ষেপ জরুরি। প্রথমতঃ, আমাদের দেশের আইনে এ সংক্রান্ত কোনো ধারা থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, কোনো ব্যক্তি মহানবীকে (সঃ ) অবমাননা করলে তার নামে আগে কাউকে একটা মামলা করতে হবে। আদালতে বিচার হতে হবে। সাক্ষ্যপ্রমাণে অবমাননা প্রমাণিত হলে সেটা কার্যকর করা যাবে। আমার জানা মতে আমাদের দেশে মহানবীকে (সঃ ) অবমাননার জন্য শাস্তির কোনো ধারা নেই। এ ব্যাপারে সমাধান বা পরামর্শ কী?

লালমনিরহাটের ঘটনাটা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত। এই কিছুদিন আগেও গণপিটুনিতে মানুষ মেরে ফেলা নিয়ে কতকিছু হয়ে গেলে। অল্পসময়ের ব্যবধানে আরেকটা গণপিটুনির ঘটনা মেনে নেয়া যায় না।

আইন সম্পর্কে মানুষের ধারণা যেমন স্বচ্ছ নয়, তেমনি আমরা হুজুগেও মাতাল হয়ে যাই মুহূর্তেই। নিহত ব্যক্তি ও তার সাথিকে তারা প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদে সোপর্দ করা পর্যন্ত সঠিকই ছিল। কিন্তু এরপরই আইন নিজের হাতে তুলে নেয়াটা অনেক বেশি ভয়ানক ও চরম অপরাধমূলক হয়ে গেছে। একজন জীবন্ত মানুষকে একদল উন্মত্ত মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলছে, দৃশ্যটা কল্পনা করুন, মানুষ কতখানি নির্দয় হলে এ কাজ করতে পারে। আপনি কি একটা কুকুর, নিদেনপক্ষে একটা বিড়ালকে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি দিয়ে মারতে পারবেন? এই মৃত্যুর দায় যে এখন কার উপর বর্তাবে এবং দোষীদেরকে আদৌ ধরা যাবে কিনা তা নিয়ে বিস্তর সংশয় রয়ে গেছে।

তবে, এ কথাটাও বলতে চাই, ইসলামের বিরুদ্ধে বা মহানবী (সঃ )-এর বিরুদ্ধে কথা বলা, কথায় কথায় অবমাননাকর, অপমানসূচক মন্তব্য করা, কুৎসা রটনা করা আমাদের এক শ্রেণির মুসলমানদের (হয়ত তারা নাস্তিক) একটা কমন ট্রেন্ড হয়ে গেছে। তারা ইসলাম না মানুন, নাস্তিক হোন, এটা তাদের মৌলিক অধিকার, কিন্তু ইসলাম ও তার রাসূলকে নিয়ে কটূক্তি করা, ব্যঙ্গ করা অন্যায়। দেখুন, এই দুই ব্যক্তি মসজিদে ঢুকলেন, এতগুলো মুসল্লির সামনে মাত্র দুজন ব্যক্তির কীভাবে সাহস হলো তাক থেকে কোরান ফেলে দেয়া, কোরান অবমাননা করা? আমরা ইসলামপন্থীদের কথায় কথায় 'জঙ্গী' বলে থাকি, এরা তো তাদের চাইতে কম জঙ্গী নন। এরাও তো সমানভাবে অপরাধী এবং সন্ত্রাসী।

ঠিক অনুরূপ আচরণ লক্ষ করা যায় ব্লগেও। ইসলামের বিপক্ষে কথা বলা, মহানবীকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা, ব্যঙ্গ করা, হাদিস নিয়ে ফাতরামি করা, মশকরা করা, একটা নিয়মিত অভ্যাস হয়ে গেছে। ঠিক আছে, ইসলাম আপনাদের ভালো লাগে না, ইসলাম ছেড়ে দিন, কিন্তু ইসলাম নিয়ে মশকরা কেন? আমি তো মনে করি, এরাও একধরণের জঙ্গী এবং সন্ত্রাসী। একদল করে ধর্মের পক্ষে সন্ত্রাস, এরা করে ধর্মের বিপক্ষে। দিনের পর দিন তারা এ কাজগুলো করে যাচ্ছনে, যেটা করা তাদের অন্যায় হচ্ছে।

আমাদের সংযত আচরণ করতে হবে সবাইকে। অতীতে আমাদের অনলাইনের ঘটনা অফলাইনে গেছে। তারজন্য আমরা ব্লগাররা সারাদেশে একটা নেগেটিভ ইম্প্রেশন বয়ে বেড়াচ্ছি। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের পরমত-সহিষ্ণু আচরণ করে শান্তি বজায় রাখতে হবে। আমাকে আঘাত দিয়ে নয়, আমাকে ভালোবেসেই আমাকে জয় করতে পারেন।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সোনাবীজ ভাই আপনাকে ধন্যবাদ দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য।
হাদিসের রেফারেন্স নিশ্চয়ই কোরআন থেকে গুরুত্ব পাবার কথা নয়।
পবিত্র কুর’আনে এ মহানবী (সঃ) কে তুচ্ছ বা ব্যাঙ্গ করা সম্পর্কে বলা হয়েছে-
“মুনাফিকরা আশংকা প্রকাশ করে, তোমাদের উপর এমন কোন সূরা নাযিল হয়ে পড়ে কিনা, যা তাদের মনের সবকিছু ফাঁস করে দিবে; তুমি বলো, তোমরা বিদ্রূপ করে নাও! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু প্রকাশ করে দিবেন, যার আশংকা তোমরা করছো।
তুমি যদি তাদের প্রশ্ন করো, তারা বলবে, আমরা তো একটু অযথা কথাবার্তা ও হাসিঠাট্টা করছিলাম মাত্র। তুমি বলো, তোমরা কি তবে আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলকে বিদ্রূপ করছিলে?
তোমরা দোষ ছাড়ানোর চেষ্টা করো না, ঈমান আনার পর তোমরা পূনরায় কাফির হয়ে গেছো; ..." [সূরা তওবা, ৬৪-৬৬]

এই আয়াতে পরিষ্কার বলা হয়েছে আল্লাহ, তাঁর আয়াত এবং তাঁর রাসূলকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করা কুফর, সুতরাং এই বিষয়গুলো নিয়ে অপমানসূচক কথা বলা তো আরো বড় অপরাধ। এই আয়াত থেকে আরো প্রমাণ পাওয়া যায় যে, যদি কেউ রাসূল(সাঃ) কে খাটো করে, তবে সেও কাফির; চাই তা সত্যিকার অর্থেই হোক কিংবা মজা করার জন্য।

৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: হানাহানি মারামারি কোপাকুপি, আগুন দিয়ে পুরিয়ে মারা এসব আমি ভয় পাই।
এসব কারা করছে? তাদের ধর্ম কি? তারা চায় কি?

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ইসলামে মারামারি, কোপাকুপিকে নিরুৎসাহিত করে তবে
হযরত মোহাম্মদ (সঃ) নিয়ে কেউ ব্যাঙ্গ করলে তাকে হত্যা করা বৈধ।
একজন ইহুদি নারীর ঘটনা বর্ণনা করেছেন, যে নারী রাসূল(সাঃ) কে অপমান করতো এবং তাঁর নামে কটূক্তি করতো। এই কারণে এক ব্যক্তি তার শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে এবং রাসূল(সাঃ) এক্ষেত্রে কোন রক্তমূল্য ধার্য করেননি।' আবু দাউদ [৪৩৬২]
এই হাদিস থেকে পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত হয় যে, রাসূল(সাঃ) কে অপমান করার কারণে ঐ নারীকে হত্যা করা বৈধ ছিল।

৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
আমি ঠিক এই বিষয়েই লিখেছিলাম। দেখুন কিছু মানুষের কিভাবে গাত্র দাহ শুরু হয়ে গিয়েছিল।
ইসলামের বিরুদ্ধে মুনাফিকী আর কত দিন করে যাবেন?
মুসলিম নামধারী এইসব কুলাঙ্গাররাই ইসলামের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে।
@খলিল ভাইয়ের মন্তব্য নিয়ে কালকে মন্তব্য করবো।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই
এই সকল মুনাফেকদের চক্ষু ও কর্ণ সিলগালা করে
দেওয়া হয়েছে। ধর্মের কথা শুনলেই তাদের গ্রাত্রদাহ
শুরু হয়। মুসলিম নামধারী এইসব কুলাঙ্গাররাই ইসলামের
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। এদের থেকে দূরে থাকুন। নিজের
ঈমান রক্ষা করুন।

৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১১

এভো বলেছেন: আমি who is the best man in the world লিখে সার্চ করলাম কিন্তু পেলাম
The 100: A Ranking of the Most Influential Persons in History
The 100: A Ranking of the Most Influential Persons in History

ভাই ইনফ্লোয়েনশিয়াল শব্দের অর্থ কি বেস্ট ?

৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমিতো তাই বললাম। মাইকেল এইচ হার্ট লিখত "দ্যা ১০০"
বইয়ে হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে সেরা মানব হিসাবে উল্লেখ
করেছেন।
ইনফ্লোয়েনশিয়াল শব্দের অর্থ প্রভাবশালী,
বেস্ট তো ইংরজীই রয়ে গেল!

১০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৮

এভো বলেছেন: In 1978, when Michael Hart’s controversial book The 100 was first published, critics objected that Hart had the nerve not only to select who he thought were the most influential people in history but also rank them according to their importance.

A RANKING OF THE MOST INFLUENTIAL PERSONS IN HISTORY

তার বইয়ের পিডিএফ কপিতে ইনফ্লোয়েনশিয়াল শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে , ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.