নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
বিখ্যাত হাদীসবেত্তা ইমাম বোখারি (রঃ)। তার ডাক নাম ছিল আবু আবদুল্লাহ এবং তাঁর আসল বা পূর্ণ নাম হলোঃ আবু আবদুল্লাহ মোহামমদ ইবনে ইসমাঈল ইবনে ইব্রাহীম ইবনে মুগীরা। তার জন্ম জন্মস্থান বর্তমান উজবেকিস্তানের বুখারা নগরীতে। তাই তিনি ইমাম বোখারি নামেই সর্বাধিক প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন। বোখারার অধিবাসী হিসেবে বোখারী বলা হয়। যারা হাদিসশাস্ত্রে অগাধ পাণ্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন, হাদিস সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যারা শত শত মাইল দুর্গম পথ পদব্রজে গমন করেছিলেন, নির্ভুল হাদিসসমূহকে কষ্টিপাথরে যাচাই-বাছাই করে গ্রন্থাকারে একত্র করার মতো অসাধ্য কাজ সাধন করেছিলেন, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সাধনার বিনিময়ে মুসলিম জাতি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নির্ভুল হাদিসসমূহ গ্রন্থাকারে পেয়ে সত্যের সন্ধান লাভ করতে পেরেছে ইমাম বোখারি (র.) তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। হাদিসশাস্ত্রে তাঁর পাণ্ডিত্য ও সাধনার কারণে তিনি হাদিসশাস্ত্রে ‘বিশ্ব সম্রাট’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। তিনি পবিত্র রমজান মাসে পুরো তারাবিতে প্রতিদিন দিনে কোরআন শরীফ এক খতম এবং রাতে এক খতম করতেন। একবার নফল নামাজ আদায়কালে এক বিচ্ছু তাকে সতেরো বার দংশন করেছিল কিন্তু তিনি যে সূরা পাঠ করছিলেন তা সমাপ্ত না করে নামাজ শেষ করেননি। তাঁর পিতার নাম ছিল ইসমাঈল। তিনিও হাদিসশাস্ত্রে পণ্ডিত ছিলেন। ইমাম বোখারির পূর্বপুরুষগণ ছিলেন অগ্নিপূজক এবং পারস্যের অধিবাসী। পূর্বপুরুষদের মধ্যে মুগীরাই প্রথম ইসলাম কবুল করেন এবং পারস্য হতে বর্তমান উজবেকিস্তানের বোখারা নামক শহরে এসে বসবাস শুরু করেন। এখানেই ইমাম বোখারি (র.) জন্ম লাভ করেন। বাল্যকালেই তাঁর পিতা মারা যান এবং মাতার নিকট লালিত-পালিত হন। উল্লেখ্য যে, বাল্যাবস্থায়ই তিনি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন; সে জন্য মাতা নিজের এবং সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব চিন্তিত থাকতেন এবং রাত-দিন আল্লাহর দরবারে সন্তানের মঙ্গলের জন্য দোয়া করতেন। একদিন তার মাতা আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করে যখন ঘুমিয়ে পড়লেন; তখন তিনি হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কে স্বপ্নে দেখলেন যে, তিনি যেন বলছেন, ‘হে পুণ্যবতী মহিলা, তোমার কান্নাকাটির দরুন আল্লাহ তোমার সন্তানের চক্ষু ভালো করে দিয়েছেন।’ নিদ্রা ভঙ্গের পর তিনি দেখলেন ইমাম বোখারি (রঃ) এর চোখের অন্ধত্ব দূর হয়ে গেছে। বিস্ময় ও আনন্দে তিনি মহান আল্লাহর দরবারে দু'রাকাত শোকরানা নামায আদায় করেন। ‘ হমাম বোখারি (রঃ) এর সর্ব শ্রেষ্ঠ কীর্তি বোখারী শরীফ। বোখারী শরীফের পূর্ণ নাম আলজামিউল মুসনাদুস সহিহুল মুখতা সারু মিন উমুরি রাসুলুল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম ওয়া সুনানিহী ওয়া আইয়্যা মিহী। হাদিসের প্রধান প্রধান বিষয় সমূহ সন্বলিত বলে একে জামি বা পূর্নাঙ্গ বলা হয়। সহীহ বোখারী শরীফ মক্কা মোকাররামার মসজিদে হারামে থেকে প্রণয়ন শুরু করেন এবং দীর্ঘ ষোল বছরে এ বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থটি লিখা সমাপ্ত করেন। বুখারি শরিেফের আসল নাম ‘আল জামেউছ ছহীহুল মুসনাদু’। সংক্ষিপ্ত নাম ছহীহে বোখারি অর্থাৎ ইমাম বোখারির ছহীহ। বোখারি শরিফ’ এর আসল নামে প্রসিদ্ধ না হয়ে রচনাকারীর নামে প্রসিদ্ধ হয়েছে। সাধারণত সবাই একে ‘ছহীহ বোখারি’ বা ‘বোখারি শরিফ’ বলে। ইমাম বোখারি (রঃ) মক্কা, মদিনা, বোখারা ও বসরায় বসে বোখারি শরিফ লিপিবদ্ধ করেন। এ বিষয়ে প্রায় সবাই একমত যে তিনি মক্কায় হেরেম শরিফে বসে এ কিতাবের ভূমিকা লিপিবদ্ধ করেন। এছাড়া মদিনায় বিশ্বনবী (সঃ)-এর রওজা পাকের নিকটবর্তী স্থানে বসে অধিকাংশ হাদিস লিপিবদ্ধ করেছেন এবং কিতাবের পরিচ্ছেদসমূহ এখানে বসেই সাজিয়েছেন। অতঃপর মদিনার মসজিদে নববীতে বসে এর চূড়ান্ত রূপ দান করেন। ইমাম বোখারী (রঃ) এর এক লক্ষ সহীহ দু'লক্ষ গায়েব সহীহ হাদিস মুখস্থ ছিল। তার এ অস্বাভাবিক স্মৃতি শক্তির কথা সারা মুসলিম জাহানে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং সকলেই স্বীকার করেছিল যে, হাদিস শাস্ত্রে তার সমকক্ষ আর কেউ নেই। এক লক্ষ সহীহ ও দু'লক্ষ গায়েব সহীহ মোট তিন লক্ষ হাদিস ইমাম বুখারী (রঃ) এর মুখস্থ ছিল। এছাড়া তার কাছে সংগৃহিত আরো তিন লক্ষ সহ মোট ছয় লক্ষ হাদিস থেকে তিনি যাচাই বাচাই করে তিনি দীর্ঘ ষোল বছর এ গ্রন্থখানি সংকলন করেন। বোখারী শরীফে সর্বমোট সাত হাজার দুশ পঁচাত্তরটি হাদিস সংকলিত আছে। মু' আল্লাম ও মুতাবা' আত যোগ করলে এর সংখ্যা দাড়ায় নয় হাজার বিরাশিতে। বোখারী শরীফের সর্বপ্রধান বর্ণনাকারী ফারাবায়ী (রহঃ) ও বিখ্যাত ভাষ্যকার হাফিজ ইবন হাজার (রহঃ) কর্তৃক গণনায় সংখ্যা এখানে প্রদত্ত হয়েছে। তবে বিভিন্ন বর্ণনা এবং গণনাকারীর গণনায় এর সংখ্যার তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। উপরে বর্ণিত সুক্ষ্ম যাচাই বাছাই ছাড়াও প্রতিটি হাদিস সংকলনের আগে ইমাম বুখারী গোসল করে দু'রাকাত নামাজ আদায় করে ইসতিখারা করার পর এক একটি হাদিস লিপি বদ্ধ করেছেন। এরূপ কঠোর সতর্কতা অবলম্বলন করার পর পবিত্র বুখারী শরীফ ও মুসলিম জাহানে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ইমাম বোখারি (র.)-এর জনৈক ছাত্র বর্ণনা করেছেন, ‘আমি একদা রাসূলুল্লাহ (সা.) কে স্বপ্নে দেখলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কোথায় যাচ্ছ? উত্তরে বললাম, ইমাম বোখারির নিকট যাচ্ছি। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেন, তাঁকে আমার সালাম দিও।’ প্রিয় পাঠক, বিশ্বনবী (সঃ) যার নিকট সালাম পৌঁছান তাঁর মর্যাদা যে কত ঊর্ধ্বে হতে পারে তা সহজেই বোধগম্য।
ইমাম বুখারীর ১৯৪ হিজরির ১৩ ই শাওয়াল, জুমার দিন জন্মগ্রহণ করেন। ইমাম বুখারী (রঃ) এর পিতা ইসমাঈল। শৈশবেই ইমাম বোখারী (রঃ) পিতৃহারা হন। মাতৃক্রোড়ে তিনি লালিত পালিত হন। বাল্যকাল থেকেই প্রখর স্মৃতিশক্তি ও মেধার অধিকারী ছিলেন। পাঁচ বছর বয়সে আবু আবদুল্লাহকে (ইমাম বোখারী) বোখারায় এক প্রথমিক মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। আবু আবদুল্লাহ (ইমাম বোখারী) মাত্র ছয় বছর বয়সে তিনি পবিত্র কোরআন শরীফ হিজফ করেন এবং দশ বছর বয়সে তিনি প্রথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। দশ বৎসর বয়সেই তিনি হাদিস হেফজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন । মাত্র ১৬ বৎসর বয়সেই তিনি হযরত ওয়াকী বিন জাররাহ্ (রঃ) ও ইবনে মোবারক (রহঃ) এর হাদিস সঙ্কলন মুখস্ত করেন । তিনি মাতার সঙ্গে হজ্জে গমন করেন । হিজাজে তিনি জ্ঞানার্জন করেন । সেখানে (হেজাজে) ছয় বৎসর অতিবাহিত করে দেশে ফিরেন । অতঃপর তিনি হাদিস শিক্ষা গ্রহন করার জন্য কুফা, বস্রা, বাগদাদ, মিশর ও সিরিয়া প্রভৃতিদেশ ভ্রমন করেন । তার স্বনামধন্য ওস্তাদ বা শায়খগনের মধ্যে মক্কী বিন ইব্রাহীম, আব্দুল্লাহ বিন মুছা, ইসা আবু আসেম, আলী ইবনুল মদিনী, ইশাক বিন রাহওয়াইহ, আহ্মদ বিন হাম্বল, ইয়াহিয়া বিন মুঈন, আবু বকর বিন আবি শায়বা, ওসমান বিন আবি শায়বা ও ইমাম হুমায়দী প্রমুখগনের নাম সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য । এক লক্ষ লোক ইমাম বুখারীর নিকট হাদিসের শিক্ষা গ্রহন করেন । তার শিষ্যগনের মধ্যে ইমাম মুসলিম, ইবনে খোযায়মা, ইমাম তিরমিযী ও ফরবরী প্রমুখের বশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । মাত্র ১৮ বছর বয়সেই তিনি বিবিধ গ্রন্থ রচনায় ব্যাপৃত হন এবং হাদিসের জগদ্বিখ্যাত কিতাব ‘বোখারি শরিফ’সহ বহু গ্রন্থ রচনা করেন। ছিহাহ ছিত্তার অন্যান্য কিতাবও অনুরূপভাবে রচনাকারীর নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। ইমাম বোখারি (রঃ) তাঁর অন্য সহপাঠীদের সাথে একদিন ওস্তাদ ইমাম ইসহাক ইবনে রাওয়াই (রঃ) এর নিকট হাদিস শুনছিলেন। ওস্তাদ বললেন, ‘হায়! কেউ যদি কেবল ছহীহ হাদিসগুলোকে একত্রে সাজিয়ে লিপিবদ্ধ করে দিত।’ ইমাম বোখারি (রঃ) বর্ণনা করেন, এরপর একদিন আমি স্বপ্নে দেখলাম, আমার সামনে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) উপবিষ্ট। আমি হাতে পাখা নিয়ে তাঁর পবিত্র শরীর মোবারকে বাতাস করে মশা মাছি তাড়াচ্ছি। এরপর একজন স্বপ্নেও তা’বীর বর্ণনাকারীর নিকট স্বপ্নটি ব্যক্ত করলে তিনি আমাকে বললেন, ‘আপনি রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর হাদিসসমূহ হতে মিথ্যার জঞ্জালকে অপসারিত করবেন।’
ইমাম বোখারি (রঃ) পিতার নিকট থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রচুর ধন-সম্পদ পেয়েছেন; কিন্তু তিনি তা নিজে ভোগ করেননি। তিনি তাঁর প্রায় সমস্ত ধন সম্পদই শিক্ষার্থী, দরিদ্র ও অসহায় লোকদের মধ্যে বিতরণ করে দিয়েছিলেন। তিনি ভোগ বিলাস পছন্দ করতেন না। সাধারণ পোশাক ও সামান্য আহারেই তিনি সন্তুষ্ট থাকতেন। তিনি দৃঢ়ভাবে মনে করতেন যে, অতিরিক্ত ভোগ বিলাস মানুষের হৃদয়ে আল্লাহর প্রতি তাকওয়া (ভয়) কমিয়ে দেয়। তিনি যদি ভোগ বিলাস ও আরাম আয়েশে কাটাতেন তাহলে হাদিসশাস্ত্রে অসাধ্য সাধন করতে পারতেন কি না সন্দেহ। ইমাম বোখারি (রঃ)-এর অক্লান্ত পরিশ্রম, সাধনা ও অবদানের কারণেই মুসলিম জাতি আজ বোখারি শরিফের মতো একটি বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ পেয়ে সত্যের সন্ধান লাভ করেছে। কথিত আছে, তিনি একাধারে ৪০ বছর পর্যন্ত রুটির সাথে কোনো তরকারি ব্যবহার করেননি। কোনো কোনো দিন তিনি মাত্র ৩/৪টি বাদাম বা খেজুর খেয়ে দিন কাটিয়েছেন। এমন কি হাদিসচর্চায় ও গবেষণায় তিনি এতই নিমগ্ন থাকতেন যে, কোনো কোনো দিন খাওয়ার কথাই ভুলে যেতেন। হাদিসশাস্ত্রে অগাধ পাণ্ডিত্যের কারণেই তিনি হাদিসশাস্ত্রে ‘বিশ্ব সম্রাট’ উপাধিতে ভূষিত হন। ২৫৭ হিজরি মোতাবেক ৮৭০ খ্রিষ্টাব্দের ঈদুল ফিতরের রজনীতে হাদিসশাস্ত্রের এ মহান পণ্ডিত পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে চলে যান।তাঁর মৃত্যুর সংবাদ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে মানুষ শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে। ঈদের দিন জোহর নামাজের পর তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং হাজার হাজার লোক তাঁর জানাজায় শরিক হয়। সমরখন্দের অন্তর্গত ‘খরতঙ্গ’ নামক গ্রামে তাঁর সমাধি রয়েছে। ‘খরতঙ্গ’ গ্রামের অধিবাসী গালেব ইবনে জিব্রিল বর্ণনা করেছেন, ‘ইমাম বোখারি (র.) কে কবরের মধ্যে রাখা মাত্রই কবরের চতুষ্পার্শে এত সুঘ্রাণ ছড়াতে লাগল যে, বিভিন্ন দেশের লোকজন কবর জিয়ারতের জন্যে এসে তথাকার মাটি নিতে আরম্ভ করল। অবশেষে আমরা ওই কবরকে বেষ্টনী দ্বারা রক্ষা করতে বাধ্য হলাম। ওই সুঘ্রাণ দীর্ঘদিন স্থায়ী ছিল।’ ইমাম বোখারি (র.) আজ নেই; কিন্তু হাদিসশাস্ত্রে তিনি যে সুবিশাল গ্রন্থ ‘ছহীহ বোখারি শরিফ’ লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন তাতে মুসলিম বিশ্বে তিনি চির অমর হয়ে আছেন।
বিঃদ্রঃ জনৈক সহব্লগারের ইমাম বোখারী সম্পর্কে জানতে চাওয়ার প্রেক্ষিতে আমার আজকের লেখাঃ ইমাম বোখারী (রঃ)
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তাঁকে চিনতে হবেনা
তিনি যাকে স্বপ্নে দেখা দেনৎ
তখন তিনিই তার পরিচয় প্রদান
করে তার সাথে দেখা দিবেন।
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: আজকাল ব্লগে আপনাকে কম দেখি!!
২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ খা্নসাব
এভাবেই একদিন সব
বন্ধন ছিন্ন করে পাড়ি জমাতে
হবে পরপারে !!
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩৯
জগতারন বলেছেন:
তিনি ভোগ বিলাস পছন্দ করতেন না। সাধারণ পোশাক ও সামান্য আহারেই তিনি সন্তুষ্ট থাকতেন। তিনি দৃঢ়ভাবে মনে করতেন যে, অতিরিক্ত ভোগ বিলাস মানুষের হৃদয়ে আল্লাহর প্রতি তাকওয়া (ভয়) কমিয়ে দেয়। তিনি যদি ভোগ বিলাস ও আরাম আয়েশে কাটাতেন তাহলে হাদিসশাস্ত্রে অসাধ্য সাধন করতে পারতেন কি না সন্দেহ। ইমাম বোখারি (রঃ)-এর অক্লান্ত পরিশ্রম, সাধনা ও অবদানের কারণেই মুসলিম জাতি আজ বোখারি শরিফের মতো একটি বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ পেয়ে সত্যের সন্ধান লাভ করেছে। কথিত আছে, তিনি একাধারে ৪০ বছর পর্যন্ত রুটির সাথে কোনো তরকারি ব্যবহার করেননি। কোনো কোনো দিন তিনি মাত্র ৩/৪টি বাদাম বা খেজুর খেয়ে দিন কাটিয়েছেন। এমন কি হাদিসচর্চায় ও গবেষণায় তিনি এতই নিমগ্ন থাকতেন যে, কোনো কোনো দিন খাওয়ার কথাই ভুলে যেতেন।
উপরের কথা গুলো আমার খুউব ভালো লেগেছে।
এমন একটি পোষ্ট কেবল নূরু ভাইয়ের কাছ থেকেই আশা করা যায়।
ধন্যবাদ নূরু ভাই এই পোষ্টটি আমাদের এখানে হাজির করার জন্য।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
জাগতারন ভাই। মানুষ এখন
আর সহজে সব কিছু মানতে
চায়না। সব কিছুতেই ক্যাচাল
করে। তাই কস্ট লাগে।
ভালো থাকবেন।
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনার কাছে যা জানতে চেয়ে ছিলাম তার ধারে কাছেও যান নাই।উনি লিখেছিলেন দুইশ বছর পর,আর আপনি লিখলেন উনার সম্পর্কে ১৪ শ বছর পর।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তাতে কি কোন তথ্য বিভ্রাট
ঘটেছে? ১৪০০ ভছর কেন
১৪,০০০ বছর পরেও এর কোনো
হেরফের হবেনা!
৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৫
জাফরুল মবীন বলেছেন: উনার জীবন কাহিনি জানতাম।তারপরও এসব জীবনকাহিনি বার বার পড়তে ইচ্ছে করে।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ মবীন ভাই।
৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইমাম মুসলিম ও ইমাম তিরমিজি ওনার ছাত্র ছিলেন এটা জানতাম না। সাহি সিত্তার ছয়টি বইয়ের মধ্যে ইমাম বোখারির লেখা হাদিস গ্রন্থটি সবচেয়ে বেশী সমাদৃত। ধন্যবাদ ওনার সম্পর্কে মূল্যবান তথ্যের জন্য।
৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২
নতুন বলেছেন: উনি রাসুল সা: মৃত্যুর কত বছর পরে জন্ম নিয়ে ছিলেন এটা লিখলে সবার বুঝতে সুবিধা হতো।
উনি কি কোন হাদিস রাসুল সা: এর কাছ থেকে সরাসরি শুনে ছিলেন?
উনি কি কোন হাদিস রাসুল সা: এর সাহাবার কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিলেন?
যেই সময়টা পরে উনি হাদিস সংগ্রহ করা শুরু করেছিলেন সেই সময়টা কেমন ছিলো?
সেই সময়টাতে ৩ জন খলিফাকে হত্যা করা হয়েছিলো। রাসুলের নাতীদের হত্যা করা হয়েছিলো। সেই সময় রাসুল সা: এর স্ত্রীর সাথে জামাতার যুদ্ধ হয়েছিলো।
সেই সময়ের মানুষেরা রাসুল সা: এর রেখে যাওয়া বিষয়টা কত যত্নে লালন করেছিলো তা উপরের ঘটনাতেই আচ করা যায়।
আর বোখারী সরীফে অনেক হাদিস আছে সেটা আপনিও প্রকাশ করতে চাইবেন না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি স্বপ্নে দেখলে হযরত ইব্রাহিম (আ: )'কে চিনবেন?