নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাহিত্যরত্ন মোহাম্মদ নজিবর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০


মোহাম্মদ নজিবর রহমান সাহিত্যরত্ন বাংলা সাহিত্যের একজন খ্যাতনামা লেখক। নজিবর রহমান যখন সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন তার পাঁচ-ছয় দশক পূর্বেই আধুনিক বাংলা সাহিত্য পূর্ণ জ্যোতি নিয়ে উদ্ভাসিত হয়েছে। বাংলা কাব্য, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, প্রহসন, জীবনী, প্রবন্ধ ইত্যাদি সাহিত্যের সকল শাখায় প্রচুর এবং পরিণত সাহিত্যকর্ম লক্ষ করা গেছে। তবে শিক্ষা-সাহিত্য-সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বাঙালি মুসলিমগণ হিন্দুদের তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে ছিলেন। প্রায় অর্ধশতাধিক পরে তাঁরা সাহিত্যচর্চায় ব্রতী হন। নজিবর রহমানের পূর্ববর্তী মুসলিম কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হলেন উনিশ শতকের শ্রেষ্ঠ মুসলিম গদ্য লেখক মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৮-১৯১২) এবং মহাকবি মোহাম্মদ কাজেম আল কোরেশী, কায়কোবাদ (১৮৫৮-১৯৫১) নামেই যিনি সমধিক পরিচিত। এরপর নজিবর রহমানের সমসাময়িক উল্লেখযোগ্য মুসলিম কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হলেন কবি মোজাম্মেল হক (১৮৬০-১৯৩৩), মুনশী মোহাম্মদ মেহেরউল্লাহ (১৮৬১-১৯১৪), মুনশী মোহাম্মদ রেয়াজউদ্দিন আহমদ (১৮৬২-১৯৩৩), আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ (১৮৬৯-১৯৫৩), মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী (১৮৭৫-১৯৫০), মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ (১৮৭৭-১৯৬৬), বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন (১৮৮০-১৯৩২), সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী (১৮৮০-১৯৩১), কাজী ইমদাদুল হক (১৮৮২-১৯২৬), একরামউদ্দিন (১৮৮২-১৯৩৫), ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯) প্রমুখ। নজিবর রহমান এঁদের সমকালে সাহিত্যচর্চায় ব্রতী হন। সাহিত্যরত্ন মোহাম্মদ নজিবর রহমান বিশটি গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর রচিত জনপ্রিয় ‘আনোয়ারা’ উপন্যাস (১৯১৪ সালে প্রকাশিত) অবিভক্ত বাংলার শিক্ষিত মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। এ গ্রন্থের জনপ্রিয়তা কিংবদন্তীতুল্য। ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত এ গ্রন্থটির প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ কপি মুদ্রিত হয়েছে। এ থেকে এর জনপ্রিয়তার প্রমাণ পাওয়া যায়। জনপ্রিয়তার দিক থেকে বাংলা সাহিত্যে মীর মশাররফ হোসেন রচিত ‘বিষাদসিন্ধু’র পরেই ‘আনোয়ারা’র স্থান। দুর্ভাগ্যবশত একসময়ে বিপুল জনপ্রিয়তার অধিকারী অমর কথাশিল্পী নজিবর রহমান সাহিত্যরত্ন বর্তমানে অবহেলিত ও বিস্মৃতপ্রায়। দেশের কৃতি সন্তানদের অবদানে জাতি উপকৃত ও ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ হয়। তাঁদের স্মরণ ও যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ নির্মাণে অনুপ্রেরণা লাভ করে। কিন্তু বর্তমানে সর্বক্ষেত্রে যেন আমরা আমাদের গৌরবময় ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি বিস্মৃত হয়ে পরানুকরণে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এটা এক ধরনের আত্মগ্লানি ও আত্মবিস্মৃতির নামান্তর। আজ সাহিত্যরত্ন মোহাম্মদ নজিবর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯২৩ সালের আজকের দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সাহিত্যরত্ন মোহাম্মদ নজিবর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

মোহাম্মদ নজিবর রহমান আনুমানিক ১৮৬০ খ্রীস্টাব্দের ২০ জানুয়ারি (জন্ম ও মৃত্যুর সন-তারিখ নিয়ে মতান্তর আছে) অবিভক্ত ভারতের বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার চরবেলতৈল গ্রামে। তার পিতা জয়েনউদ্দীন ও মাতা সোনা বানু। পরিবারের আর্থিক অবস্খা তেমন সচ্ছল ছিল না। শাহজাদপুর ছাত্র বৃত্তি বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে ঢাকা নর্মাল স্কুলে ভর্তি হন। এ সময় তার পিতৃবিয়োগ হয়। তবে ছাত্র পড়িয়ে নিজ লেখাপড়ার খরচ যোগাতে থাকেন। এভাবে তিনি নর্মাল (বর্তমান এসএসসি) পাস করেন। এরপর তার প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। তবে স্বঅধ্যয়নের মাধ্যমে বাংলা ভাষায় গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। কর্মজীবন শুরু হয় জলপাইগুড়ির একটি নীলকুঠিতে চাকরি গ্রহণের মাধ্যমে। কিছু দিন পর শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। প্রথমে সিরাজগঞ্জের ভাঙ্গাবাড়ি মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি স্খানীয় ডাকঘরের পোস্টমাস্টার পদেও কিছু দিন দায়িত্ব পালন করেন। অকঃপর একই জেলার রায়গঞ্জের সলঙ্গা মাইনর স্কুলের হেড পণ্ডিত হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯১০ খ্রীস্টাব্দে বদলি হয়ে রাজশাহী জুনিয়র মাদ্রাসার বাংলার শিক্ষক পদে যোগ দেন। আমৃত্যু তিনি শিক্ষকতা পেশায়ই ছিলেন।

মুসলিম কবি-সাহিত্যিক-সাংবাদিকদের মধ্যে সকলেই স্ব-স্ব স্বাতন্ত্র্য ও বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল। নজিবর রহমান এঁদের মধ্যে একটি বিশেষ কারণে বৈশিষ্ট্য অর্জন করেন, তা হলো গল্প-উপন্যাস রচনায় তিনি এঁদের মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয়তার অধিকারী। নজিবর রহমানের প্রখ্যাত ‘আনোয়ারা’ উপন্যাস একসময় অবিভক্ত বাংলার সাহিত্যমোদীদের নিকট বিশেষত মুসলিম শিক্ষিত সমাজে সবিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ছোটগল্প, উপন্যাস ও নাটক লেখার ক্ষেত্রে হিন্দু লেখকগণ অনেক আগে থেকেই অবদান রেখে চলেছেন। তাই নজিবর রহমান যখন গল্প-উপন্যাস রচনায় প্রবৃত্ত হন, তখন তাঁর সামনে বাংলা ভাষায় উৎকৃষ্টমানের গল্প-উপন্যাস যথারীতি রচিত হয়েছে। নজিবর রহমানের লেখার ভাব-বিষয় ইসলাম ও মুসলিম জীবন থেকে নেয়া। তাঁর উপন্যাসের প্রধান চরিত্র মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী নারী ও পুরুষ। তিনি মুসলিম সমাজের ধর্মীয় বিধি-বিধান, আচার-আচরণ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবনধারার চিত্র তুলে ধরলেন তাঁর লেখায়। ইসলামের মাহাত্ম্য বর্ণনা এবং অধঃপতিত মুসলিম সমাজের দৈন্যদশা দূর করে তাদেরকে সমাজের মূলধারায় নিয়ে আসার প্রয়াসই তাঁর সাহিত্য-চর্চার মূল লক্ষ্য। শুধু তাই নয়, তিনি প্রসাদগুণসম্পন্ন অলংকারবহুল লালিত্যময় উৎকৃষ্ট সাধু বাংলা ব্যবহার করলেও মুসলিম সমাজে ব্যাপকভাবে প্রচলিত আরবি-ফারসি-উর্দু শব্দ সংযোগে তাঁর ভাষাকে সমৃদ্ধ ও ভিন্নতর রূপ দান করেন। বিশেষত বাঙালি মুসলিম সমাজে যেসব ইসলামী পরিভাষা ব্যবহৃত হয়, মুসলিম চরিত্রের বর্ণনায় তিনি সফলভাবে সেগুলো ব্যবহার করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। যদিও একশ্রেণির গোঁড়া হিন্দু তাঁর এ ভাষা-রীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন, কিন্তু উদারপন্থী কতিপয় হিন্দু প-িত ও লেখক এক্ষেত্রে তাঁকে জোরালো সমর্থন দেয়ায় তিনি উৎসাহবোধ করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত তিনি এ ভাষা-রীতি যথাযথরূপে অনুসরণ করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এক নতুন ধারার প্রবর্তন করেন। মোহাম্মদ নজিবর রহমান ২০টির মতো উপন্যাস রচনা করেছেন। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
১। আনোয়ারা; ২। চাঁদতারা বা হাসান গঙ্গা বাহমনি; ৩। পরিণাম; ৪। গরীবের মেয়ে, ৫। দুনিয়া আর চাই না; ৬। মেহেরউন্নিসা, ৭। প্রেমের সমাধি ইত্যাদি। এ ছাড়া বিলাতী বর্জন রহস্য ও সাহিত্য প্রসঙ্গ’ নামে তাঁর দু’টি গদ্য পুস্তিকাও রয়েছে।
‘চাঁদতারা বা হাসন-গঙ্গা বাহমণি’ ঐতিহাসিক উপন্যাস। ‘প্রেমের সমাধি’ সামাজিক উপন্যাস। ‘পরিণাম’ পারিবারিক ও সামাজিক উপন্যাস। ‘গরীবের মেয়ে’ একটি আত্মজীবনীমূলক সামাজিক উপন্যাস। ‘মেহের-উন্নিসা’ সামাজিক উপন্যাস। ‘নামাজের ফল’ সামাজিক-ধর্মীয় উপন্যাস। ‘দুনিয়া আর চাই না’ গল্প-সংকলন। ‘বেহেস্তের ফুল’ উপন্যাস। ‘দুনিয়া কেন চাই না’ উপন্যাস। ‘রমণীর বেহেস্ত’ পারিবারিক উপন্যাস। তার প্রথম রচিত উপন্যাস আনোয়ারা উপন্যাসটি একশত বৎসর পরও জনপ্রিয় ও আলোচিত। গ্রামীণ জীবনের পটভূমিকায় রচিত এ উপন্যাসে সমসাময়িক বাঙালি মুসলমান সমাজের পারিবারিক ও সামাজিক চিত্র উজ্জ্বলভাবে পরিস্ফুটিত হয়েছে। ধর্ম ও সত্যের জয়, অধর্মের পরাজয় এ উপন্যাসের মূল প্রতিপাদ্য। এটি আদর্শভিত্তিক একটি অসাধারণ গ্রন্থ হিসাবে পরিগণিত। তার রচনাবলী বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম একটি ভিত্তিপ্রস্তর। সাহিত্য-সৃষ্টি, সাহিত্যের প্রতি সাধারণ মানুষের প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি এবং অন্যদের মধ্যে সাহিত্যসৃষ্টির অনুপ্রেরণা সৃষ্টির ক্ষেত্রে তাঁর অসাধারণ ভূমিকা ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে।

ব্যক্তিগত জীবনে সমাজ-হিতৈষী, ধর্মপ্রাণ, মহৎ ব্যক্তি হিসাবে অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কার, কুপ্রথা ও সামাজিক সমস্যা নিরসনে তিনি সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। সমাজে সজ্জন, হিতকামী উদার ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তিনি মোট চার অথবা পাঁচটি বিয়ে করেন। এক স্ত্রীর মৃত্যুর পর জীবন অন্য স্ত্রী গ্রহণ করেন। প্রথম স্ত্রী তহুরা খাতুন। দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাম্মৎ রোকেয়া খাতুন (শাহেরা বানু বা সাবান বিবি)। তৃতীয় স্ত্রী সৈয়দা আলিমুন নেসা। চতুর্থ স্ত্রী জয়নব বেগম। পঞ্চম স্ত্রী রহিমা খাতুন।তিনি মোট পাঁচটি বিয়ে করেন। এক স্ত্রীর মৃত্যুর পর অন্য স্ত্রী গ্রহণ করেন। তার প্রথম স্ত্রী তহুরা খাতুন। দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাম্মৎ রোকেয়া খাতুন (শাহেরা বানু বা সাবান বিবি)। তৃতীয় স্ত্রী সৈয়দা আলিমুন নেসা। চতুর্থ স্ত্রী জয়নব বেগম। পঞ্চম স্ত্রী রহিমা খাতুন। সাহিত্যক্ষেত্রে তাঁর আর একটি উল্লেখযোগ্য অবদানের বিষয় বিশেষভাবে স্মরণীয়। আধুনিক বাংলা সাহিত্যে তিনিই প্রথম প্রচলিত স্টান্ডার্ড বেঙ্গলি ল্যাংগুইজ-এ অর্থাৎ বইয়ের ভাষায় বাঙালি মুসলিম সমাজে বহুল প্রচলিত আরবি-ফারসি শব্দরাজি ব্যবহার করেন। এজন্য প্রতিবেশী হিন্দু সমাজের পক্ষ থেকে তাঁর কঠোর সমালোচনা হলেও এক্ষেত্রে তিনি তাঁর অনুসৃত পথ থেকে সরে আসেননি। বরং শেষ পর্যন্ত অনেক নিরপেক্ষ হিন্দু পণ্ডিত ও সাহিত্যিক এজন্য তাঁর অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন এবং তাঁকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। এভাবে নজিবর রহমান সর্বপ্রথম বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বলিষ্ঠ আত্মপ্রত্যয়ের সাথে বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয়কে সমুন্নত করেছেন। অমর কথাশিল্পী মোহাম্মদ নজিবর রহমান সাহিত্য-রত্ন বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক মুসলিম ঔপন্যাসিক হওয়া সত্ত্বেও নজিবর রহমানের যথার্থ মূল্যায়নে ইতিহাসবিদেরা নিদারুণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ জীবনী এখনো লেখা হয়নি। আজ সাহিত্যরত্ন মোহাম্মদ নজিবর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯২৩ সালের ১৮ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সাহিত্যরত্ন মোহাম্মদ নজিবর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: শ্রদ্ধা জানাই।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ খা্নসাব
অন্তত আপনি তাকে শ্রদ্ধা
জানাতে কৃপনতা করেন
নাই।

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫৭

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সাহিত্যরত্ন মোহাম্মদ নজিবর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে
..........................................................................
থাকল আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকেও ধন্যবাদ স্বপ্নের শঙ্খচিল
সাহিত্যরত্ন মোহাম্মদ নজিবর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.