নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষামূলক গল্প -৫ঃ এক ধার্মিক স্বর্ণকার

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫


গল্প পড়ে আমরা অনেক আনন্দ ও অনেক কিছু শিখতে পারি। তবে গল্পের মধ্যে যে গল্প গুলো থেকে আমরা নৈতিকতার বিষয়ে শিখে থাকি তাই শিক্ষনীয় গল্প। এ গল্প গুলির মাধ্যমে আমরা আমাদের নৈতিক চরিত্রকে সুন্দর করতে পারি। এসব গল্পের আরেকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে - প্রতিটা গল্পেই শিক্ষনীয় কিছু মেসেজ থাকে। আর গল্পের আকারও বেশ ছোট, যাতে অল্প সময়েই বলে ফেলা যায়। সেই রকম কিছু শিক্ষণীয় গল্প নিয়ে সাজানো আমার শিক্ষামূলক গল্প সিরিজ। শিক্ষামূলক গল্পের আগের পর্বঃ
১। মা-বাবাকে ভালো বাসুনঃ শিক্ষনীয় গল্প-১
২। মিথ্যার কাছে পরাভূত সত্য (শিক্ষণীয় গল্প-২)
৩। পর্দার উপকারিতাঃ শিক্ষামূলক গল্প-৩
৪। ধার্মিক মাছঃ শিক্ষামূলক গল্প সিরিজের ৪র্থ গল্প
আজ এই সিরিজের ৫ম গল্পঃ এক ধার্মিক স্বর্ণকারঃ

এক শহরে বাস করতো এক স্বর্ণকার। লোকটা ছিল বেশ ধার্মিক ও সৎ। প্রতিদিন সূর্য ওঠার আগেই সে তার কাজে চলে যেত। তার দোকান ছিল শাসকের প্রাসাদের সামনে। দোকান খোলার আগে প্রতিদিন ওই স্বর্ণকার আকাশের দিকে দু’হাত তুলে মোনাজাত করে বলতো: ‘হে মহাজ্ঞানী, রিযিকদাতা! হে ক্ষমাকারী! তুমি তো অসীম অধিকারী! সকল কিছুর ওপরে তুমি সর্বশক্তিমান। সমুদ্রের তলায়ও যদি কোনো কিছু পড়ে তুমি তাকে শুষ্ক অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়ার শক্তি রাখো!এই দোয়া করে দোকানের দরোজা খুলতো সে।

বাদশার প্রাসাদ যেহেতু কাছেই ছিল সে কারণে স্বর্ণকারের দোয়ার শব্দে বাদশার মজার ঘুম ভেঙে যেত প্রতিদিন, কেননা প্রাসাদের জানালা খোলাই থাকতো। একদিন বাদশার ঘুম ভাঙতেই বাদশা রেগেমেগে চীৎকার করে বললো: কে এই লোক প্রতিদিন সকালবেলা আমার আরামের ঘুম হারাম করে দেয় আর ভেঙে দেয় চমৎকার স্বপ্ন? বাদশা তার এক চাকরকে ডেকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলো যে এটা এক স্বর্ণকারের কাজ। আর তার দোকান হচ্ছে প্রাসাদের সামনে। এ কারণে ওই স্বর্ণকারকে ‘উচিত’ শিক্ষা দেওয়ার চিন্তা করলো বাদশা। উজিরকে ডেকে একটা হীরার আংটি নিলো এবং প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে দুজনেই স্বর্ণকারের দোকানের দিকে পা বাড়ালো।

স্বর্ণকার বাদশাকে তার দোকানের সামনে দেখে থ’ মেরে গেল। বাদশা মূল্যবান ওই আংটিটা স্বর্ণকারকে দেখিয়ে বললো: ‘এই আংটিতে একটা ইয়াকুত পাথর বা রুবি আছে যার দাম কয়েক হাজার স্বর্ণমুদ্রা। আমি খুব ভয় পাচ্ছি এই মূল্যবান পাথরটি হারিয়ে না যায়। সে কারণেই তোমার কাছে এলাম। তুমি রঙিন একটা কাঁচ দিয়ে হুবহু এই রুবি পাথরের মতো আরেকটি পাথর বানাবে। আমি ওই নকল আংটিটাই সবসময় পরবো। আর বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানাদিতে আসল রুবির আংটিটা পরবো’। এই বলে বাদশা আংটিটা স্বর্ণকারের হাতে দিয়ে বললো: আংটিটা সাবধানে রেখো কিন্তু! স্বর্ণকার আংটিটা নিলো এবং ছোট্ট একটা বাক্সে ঢুকিয়ে সিন্দুকের ভেতরে রাখলো এবং সিন্দুকের দরোজা বন্ধ করে দিলো। বাদশা স্বর্ণকারকে বললো: এক গ্লাস পানি দাও তো!

স্বর্ণকার তাড়াতাড়ি করে চলে গেল বাদশার জন্য পানি আনতে। বাদশা এই ফাঁকে সিন্দুকের দরোজা খুলে আংটিটা পকেটে ঢুকিয়ে নিলো। স্বর্ণকারও এসে পৌঁছলো পানি নিয়ে। বাদশাকে পানি দিলো। বাদশা স্বর্ণকারকে বললো: আমি যাবার আগেই সিন্দুকের দরোজাটা ভালো বন্ধ করো। স্বর্ণকার তাই করলো। শেষ পর্যন্ত বাদশা বললো: ‘তোমাকে তিন দিন সময় দেওয়া হলো। তিনদিনের মধ্যে আমার আংটি চাই। চতুর্থ দিন সকালে নকল আংটি আর আসল আংটি একসাথে তোমার কাছ থেকে বুঝে নেবো। সাবধান। আবারো বলছি সাবধান! আমার আংটি হারালে কিন্তু তোমার গর্দান যাবে।’ এই বলে বাদশা উজিরসহ সেখান থেকে চলে গেল সমুদ্রের দিকে।
সমুদ্রের পাড়ে গিয়ে একটা নৌকায় চড়লো। নৌকা সমুদ্রের তীর থেকে বেশ খানিকটা দূরে যাবার পর বাদশা তার আসল আংটিটা পানিতে ফেলে দিলো। এরপর নৌকা তীরে ভিড়িয়ে বাদশা এবং তার উজির ফিরে গেল প্রাসাদে।

স্বর্ণকার তার দোকান বন্ধ করে বাসায় ফিরে গিয়ে তার স্ত্রীকে পুরো ঘটনা খুলে বললো। স্ত্রী তাকে বললো: ‘তাড়াতাড়ি দোকানে ফিরে যাও! নকল আংটি বানানোর আগে এভাবে বাদশার আংটি সিন্দুকে রেখে আসা ঠিক না। বাদশা না বললো…ওই আংটি হারালে তোমার গর্দান যাবে? তাড়াতাড়ি ফিরে যাও! এক মুহূর্তের জন্যও বাদশার আংটি থেকে আলাদা হবে না’।

স্বর্ণকার বৌয়ের কথা শুনে তাড়াতাড়ি ফিরে গেল দোকানে। সিন্দুকের দরোজা খুলে ছোট্ট বাক্সটা বের করে আনলো। খুলে দেখলো বাক্স খালি, কিছুই নেই ভেতরে। স্বর্ণকার আশ্চর্য হয়ে গেল। কোথায় গেল আংটি! কীভাবে গেল! তক্ষুণি স্বর্ণকারের বৌ স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে এলো দোকানে। এসে দেখে স্বর্ণকার ভীষণ উদ্বিগ্ন। স্বর্ণকার বৌকে বললো আংটি নেই সিন্দুকে। বৌ নিজ গালে চড় মেরে কান্নাকাটি হা হুতাশ করে সারাটা দিন স্বামীর সাথে আংটি খুঁজে বেড়ালো কিন্তু কোনো কাজ হলো না। এভাবে তিন দিন চলে গেল। ওই তিনদিন বাদশা স্বর্ণকারের দোয়াও শোনে নি, বাদশার ঘুমেরও ডিস্টার্ব হয় নি। বাদশা তার উজিরকে ডেকে বললো: আমার প্লানটা কাজে লেগেছে। স্বর্ণকার আর সকাল সকাল আমার ঘুম ভাঙাতে আসে না।

কিন্তু চতুর্থ দিন সকালে আগের মতোই বাদশার ঘুম ভাঙলো স্বর্ণকারের দু’হাত তোলা দোয়ার শব্দে। বাদশা রেগেমেগে স্বর্ণকারের দোকানে গেল। তার সাথে তলোয়ার হাতে তার এক সেপাইও গেল। বাদশা গিয়ে দেখে স্বর্ণকার বেশ হাসিখুশি। বাদশার রাগ চড়ায় উঠে গেল এ অবস্থা দেখে। স্বর্ণকারকে বললো: তিন দিন শেষ হয়ে গেছে। আংটি দুটো দাও নৈলে তোমার গর্দান যাবে।
স্বর্ণকার অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবে সিন্দুকের দরোজা খুলে বাক্সটা বের করে বাদশার হাতে দুটি আংটিই বুঝিয়ে দিলো। বাদশা আশ্চর্য হয়ে বললো: অসম্ভব! অবিশ্বাস্য! কী করে এই আংটি পেলে তুমি? আমি নিজে যে আংটিটা সমুদ্রে ফেলে দিলাম তুই কী করে ঠিক সেরকম আংটি তৈরি করলি?

স্বর্ণকার বললো: আমি এবং আমার বৌ যখন আংটি পাবার ব্যাপারে হতাশ হয়ে পড়লাম, দোকানে যেতে পারলাম না, ঘরেই বসে থাকলাম। খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। আমার বৌ বাজারে গিয়ে একটা বড় মাছ কিনে আনলো। মাছের পেটের ভেতর্ আপনার সেই মহামূল্যবান আংটিটা পাওয়া গেল। আমি দেখেই চিনে ফেললাম এটা বাদশার সেই আংটিটাই। তাড়াতাড়ি আংটিটা নিয়ে দোকানে গিয়ে কাজ শুরু করে দিলাম। ব্যস! তুমি যেরকম চেয়েছিলে সেরকম আংটি বানিয়ে ফেললাম। কাজ শেষ হবার পর আমি আবার সেই দোয়াটি পড়লাম যে দোয়াটি আপনি প্রতিদিন শোনেন।

বাদশার বিশ্বাসই হচ্ছিল না। দু’হাত বাড়িয়ে স্বর্ণকারকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বললো: সুবহান আল্লাহ! তুমি আসলেই এক নেককার বান্দা! আমি তোমাকে বিপদে ফেলার জন্য যা যা করেছি সেসবের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। এরপর বাদশা তাড়াতাড়ি তার সেপাইকে বললো স্বর্ণকারের জন্য বিরাট একটা থলি ভর্তি করে দিনার নিয়ে আসতে। সেপাই তাই করলো। বাদশা সেগুলো স্বর্ণকারকে দিয়ে বললো: আজ থেকে প্রতিদিন সকালে তুমি খালেস দোয়ার মধ্য দিয়ে আমাকে জাগাবে। দোয়া করবে: ‘হে মহাজ্ঞানী, রিযিকদাতা! হে ক্ষমাকারী! তুমি তো অসীম ক্ষমতার অধিকারী! সকল কিছুর ওপরে তুমি সর্বশক্তিমান। সমুদ্রের তলায়ও যদি কোনো কিছু পড়ে তুমি তাকে শুষ্ক অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়ার শক্তি রাখো!

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ্‌ তার উপর ভরসাকারীকে হেফাজত করেন।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব (কখনও) ভয়-ভীতি, (কখনও)
ক্ষুধা দ্বারা এবং (কখনও) জানমাল ও ফলফসলের ক্ষয়-ক্ষতি দ্বারা,
আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। -সূরা বাকারা (২) : ১৫৫
তাই বিপদে ধৈর্যহারা হলে চলবে না; বরং যে কোনো অবস্থায় ধৈর্যের মুকুট
পরিধান করতে হবে। নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনে সচেষ্ট
থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলার আদেশের প্রতি সুদৃঢ় এবং পূর্ণ আস্থাশীল হতে হবে।

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ হাসিনার অফিসের সামনে স্বর্ণের দোকান খুলতে হবে, ডিনার টিনার মিলার সম্ভাবনা আছে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:


আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে বিপদে আক্রান্ত করেন। -
সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৬৪৫

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, "আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে বিপদে আক্রান্ত করেন। -
সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৬৪৫ "

-সহীহ বুখারী, কি স্যার নিউটনের লেখা?

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনি একবার বলেছিলেন আপনি মুসলমান!
আমার কিন্তু সন্ধেহ হচ্ছে !! ইমাম বুখারী,
একজন বিখ্যাত হাদীসবেত্তা ছিলেন। তিনি "বুখারী শরীফ"
নামে একটি হাদীসের সংকলন রচনা করেন, যা মুসলমানদের নিকট
হাদীসের সবোর্ত্তম গ্রন্থ বিবেচিত হয়।

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২৮

আল-ইকরাম বলেছেন: কৃতজ্ঞতা আপনাকে। মহান আল্লাহ্ সুবাহান আল্লা তায়ালা মানুষকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা করে থাকেন। মানুষের কাজ হলো সেই পরীক্ষায় সময়টুকুতে অন্য সময়ের চেয়ে আরও বেশী করে আল্লাহ্ পাক্ এর উপর আস্থা রেখে ধৈর্যের সাথে নিজেকে শক্ত করে ধরে রাখা। অস্থির না হয়ে স্থির থাকা। মনোবল না হারানো। তবেই উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব। শুভ কামনা নিরন্তর।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ আল ইকরাম ভাই
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করো,
নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সহিত আছেন
।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৫৩)। তাই আমরা
বিপদ-আপদে পড়ি, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ (নিশ্চয় আমরা তো আল্লাহরই
এবং নিশ্চিতভাবে আমরা তাঁর নিকটেই প্রত্যাবর্তনকারী)।

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


@আল-ইকরাম,
আপনি বলেছেন, " কৃতজ্ঞতা আপনাকে। মহান আল্লাহ্ সুবাহান আল্লা তায়ালা মানুষকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা করে থাকেন।

-করোনা কি সেমিষ্টার শেষের পরীক্ষা, নাকি ফাইন্যাল পরীক্ষা? অনেকর জন্য মনে হয়, ফাইন্যাল?

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

যথার্থ বলেছেন যদি তা উপহাস ছলে না হয়।
করোনা কারো জন্য প্রিটেস্ট, কারো জন্য টেস্ট
আবার কারো জন্য ফাইনাল পরীক্ষা !!

৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, "যথার্থ বলেছেন যদি তা উপহাস ছলে না হয়। করোনা কারো জন্য প্রিটেস্ট, কারো জন্য টেস্ট, আবার কারো জন্য ফাইনাল পরীক্ষা !! "

-করোনা একটা রোগ, ইহা পরীক্ষা নয়; ব্লগারেরা সামুতে ইহাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনিতো শাহ মোয়াজ্জমের মতো সকালে
এক বিকেলে আর এক কথা বলেন!!
একটু আগে বললেনঃ
করোনা কি সেমিষ্টার শেষের পরীক্ষা, নাকি ফাইন্যাল পরীক্ষা? অনেকর জন্য মনে হয়, ফাইন্যাল?

৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কালিদাসের শকুন্তলা নাটকে গল্পটার উল্লেখ আছে। পরে বিদ্যাসাগর মহাশয় এই নাটকের বাংলা অনুবাদ করেন। সেখানে রাজা ভরত শকুন্তলাকে আংটিটি উপহার দিয়েছিলেন। পরে নদীতে কাজ করার সময় আঙ্গুল থেকে খসে গেলে মাছে খেয়ে নিয়েছিল আংটিটি। শকুন্তলা খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরে মাছটি ধরা পরে এবং শকুন্তলার হাতেও আসে মাছটি।যার পেট থেকে শকুন্তলা হারিয়ে যাওয়া আংটিটি ফিরে পান। তাদের পুত্রের নাম দুষ্মন্ত। রাজা ভরত একদিন শিকার করতে গিয়ে বোনের মধ্যে মানব শিশুর সিংহের কেশর ধরে টানাটানিতে অবাক হন এটা ভেবে যে এটা না দেখে যে বাচ্চাটি নিশ্চয় ক্ষত্রিয়।একটু পরে বাচ্চাটির মা উপস্থিত হয় যার হাতে নিজের দেওয়া আংটিটি দেখে চমকে ওঠেন। তখনই বুঝতে পারেন বাচ্চাটি তারি উরসজাত পুত্র দুষ্মন্ত। গল্পের শিরোনাম ছিল ভরতও দুষ্মন্তের মিলন।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শকুন্তলার কাহিনী জানলাম
আপনাকে ধন্যবাদ পদাতিক ভাই
শরীরের যত্ন নিবেন। ভালো থাকু্ন।

৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শিক্ষণীয় গল্প ঠিক আছে । এবার প্রেম ভালোবাসার গল্পও লিখবেন নুরু ভাই। গল্প লেখার হাত ভালো।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আলি ভাই সব বয়সে সব কিছু মানায় না
এখনতো তাদের প্রেমের গল্প লেখার কথা
যাদের মনে প্রেমের আকিবুকি চলে !!
খানসাব এ বিষেযে সবথেকে উত্তম!!

৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বুখারী নবীর মৃত্যুর কতদিন পর হাদিস লিখেন।তার বাড়ী থেকে মক্কার দূরত্ব কত।সেকালে যাতায়াতের কি ব্যবস্থা ছিল এবং কতো দিন লাগার কথা।বুখারীর হাদিস কোন ভাষায় লেখা।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

নুরুলইসলাম ভাই
এই প্রশ্নগুলিকি প্রাসাঙ্গিক !!
প্রশ্নগুলো প্রাসািঙ্গিক হলে
উত্তর দানে সতস্ফুত ভাব থাকে
চাপিয়ে দেওয়া প্রশ্নের উত্তর দিতে
উৎসাহ হারিয়ে ফেলি !

১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: গল্পে শিক্ষা নাই। তবে মজা আছে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

শিক্ষা নেবার জন্য বিশ্বাস থাকতে হয়
বিশ্বাস না থাকলে অমৃতকেও ছাই মনে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.