নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষষ্যৎ" প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ পালিত হচ্ছে ৪০তম বিশ্ব খাদ্য দিবস

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৮


আজ ১৬ অক্টোবর, ৪০তম বিশ্ব খাদ্য দিবস। একটি দেশের নাগরিকগণের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে খাদ্য অন্যতম। সারা বিশ্বের মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্যের নিরাপত্তা, দরিদ্রতা ও পুষ্টিহীনতা দূর করে ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ার অঙ্গিকার নিয়ে ১৯৪৫ সনের ১৬ অক্টোবর জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৯ সালে বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) ২০তম সাধারণ সভায় হাঙ্গেরির তৎকালীন খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রী ড. প্যাল রোমানী বিশ্বব্যাপী এই দিনটি উদযাপনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এরপর ১৯৮১ সনে প্রথম আনুষ্ঠানিকতা আর প্রতিপাদ্যভিত্তিক বিশ্ব খাদ্য দিবসের উদযাপন শুরু হয়। বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে ১৯৮১ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ৫০ পয়সা মূল্যমানের একটি ডাকটিকেট অবমুক্ত করে। টিকিটটির নকশাকার ছিলেন আহমেদ এফ করিম। ১৯৮১ সাল থেকে বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিষ্ঠার দিনটিতে (১৬ অক্টোবর, ১৯৪৫) বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে এই দিনটি গুরুত্ত্বের সাথে পালিত হয়ে আসছে। বিশ্ব খাদ্য দিবসে এ বছরের প্রতিপাদ্য হলঃ ‘সবাইকে নিয়ে একসাথে বিকশিত হোন, শরীরের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন, আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষষ্যৎ। বিশ্বের চলমান অভিবাসন সমস্যা, এক বিরাট জনগোষ্ঠীর খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা এবং গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নে বিনিয়োগের স্বল্পতা প্রভৃতি বিবেচনায় নিলে স্পষ্ট হয় এবারের বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ যথার্থ হয়েছে যুক্তিসঙ্গতভাবে। কোভিড পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও এফএও এর উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথ গুরুত্বসহকারে পালিত হবে বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২০। এ উপলক্ষে আর্ন্তজাতিক সেমিনার , কারিগরি সেশন ,জসসচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রমসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কৃষি মন্ত্রনালয়। এ বিষয়ে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল, ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক কো দোংইয়ু অনলাইনে বক্তব্য রাখবেন।

মানুষ এ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে খাদ্যের অধিকার নিয়ে। আর এ অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্বের প্রতিটি দেশ নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা সামনে রেখে তা বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে। তবে খাদ্যের সঙ্গে কৃষির সম্পর্কটি অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত, যদি কৃষিকে বাদ রেখে আমরা খাদ্যের কথা বলি তবে বিষয়টি হবে অযৌক্তিক। বিশ্ব খাদ্য সম্মেলন (১৯৯৬) অনুযায়ী খাদ্য নিরাপত্তা তখনই আছে বলে মনে করা হয় যখন সকল নাগরিকের সব সময়ের জন্যে যথেষ্ট পরিমাণে, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রাপ্তির প্রত্যক্ষ ও অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা থাকে যা তাঁদের সক্রিয় ও সুস্থ জীবন নিশ্চিতকরণের জন্যে সঠিক পরিমাণ খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, সব মানুষের কর্মক্ষম ও সুস্থ জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য চাহিদার বিপরীতে পছন্দমতো পর্যাপ্ত নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাদ্য প্রাপ্তির বাস্তব ও আর্থিক ক্রয় ক্ষমতা থাকাই হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা৷ খাদ্য নিরাপত্তা অর্জিত হয়েছে কিনা বোঝার উপায় হচ্ছে- জাতীয় পর্যায়ে পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ থাকবে, সময় ও অঞ্চলভেদে সরবরাহ স্থিতিশীল থাকবে ৷ অর্থাৎ খাদ্য নিরাপত্তার মূল বিষয় তিনটি যথাঃ (১) খাদ্যের সহজ প্রাপ্যতা (২) খাদ্যের সহজলভ্যতা (৩) স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাদ্য। অথচ বিশ্বে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নেই। তারা দিন কাটায় অর্ধাহার-অনাহারে। এক জরিপে দেখা যায়, ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে খাদ্য নিয়ে দাঙ্গা হয়েছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ পৃথিবীর ৬ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে এখন ৮৫০ মিলিয়ন মানুষ খাদ্যের অভাবে দরিদ্রতার কষাঘাতে ধুঁকে মরছে।

বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, বর্তমানে পৃথিবীর ২২টি দেশ খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সাম্প্রতিককালে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট খরা ও বন্যায় অনেক দেশের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে। বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। খাদ্যনিরাপত্তায় বাংলাদেশের অবস্থান বেশ দুর্বল। এমনকি পিছিয়ে রয়েছে নেপাল ও মিয়ানমারের চেয়ে। খাদ্যনিরাপত্তায় বাংলাদেশের এ অবস্থান উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) সম্প্রতি প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ফুড সিকিউরিটি ইনডেক্স ২০১৪;তে। প্রতিবেদনের তথ্যমতে, খাদ্যনিরাপত্তায় ১০৯ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮তম। ১০০-এর মধ্যে স্কোর ৩৬ দশমিক ৩। গত বছর ১০৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮১ আর স্কোর ৩৭ দশমিক ৩। অর্থাৎ সূচকে অবস্থান পেছানোর পাশাপাশি স্কোরও কমেছে। এছাড়া এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২১তম। এমনকি নিম্ন আয়ের দেশগুলোর তুলনায়ও খাদ্যনিরাপত্তায় পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। গত বছর নিম্ন আয়ের ২৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছিল চতুর্থ। কিন্তু এবার সপ্তম স্থানে নেমে গেছে। খাদ্যনিরাপত্তায় উগান্ডা, কেনিয়া, তাজিকিস্তান, বেনিন, নেপাল ও মিয়ানমারেরও পরে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে চালের ঘাটতি নেই। তবে অন্য সব খাদ্যশস্যই কমবেশি আমদানি করতে হয়। এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তার অন্যান্য বিষয় যেমন সার্বজনীন খাদ্যসরবরাহ, পুষ্টিগুণ, ভেজালসহ সব সূচকেই অবস্থান বেশ খারাপ। এজন্য খাদ্যনিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে। খাদ্যশস্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিও ক্রমে কমছে। এটাও এর অন্যতম কারণ।বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৫,৫৭০ ব.কি. (৫৬,৯৭৭ ব.মা.) এবং বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৫.৮৫ কোটিরও বেশি। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১০৭৪.৫৪ জন! মাথাপিছু আয় মাত্র ৬৩৮ ডলার। মানব উন্নয়ন সূচক ০.৪৬৯ (HDI )। দেশের ৪০% মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে অবস্থান করছে এবং ৪৬% শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে । অর্থাৎ পরিমিত এবং পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহে আমরা চরমভাবে ব্যার্থ। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির ২০০৯ সালে পরিচালিত ;বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি; শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন মানুষকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে ২ হাজার ২২২ ক্যালরি গ্রহণ করতে হয়। এর চেয়ে কম গ্রহণ করে জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দেশে ৬ কোটি ১ লাখ। ১ হাজার ৮০০ ক্যালরির কম গ্রহণ করে এমন হতদরিদ্র'র (আলট্রাপুওর) সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ। এমনকি ১ হাজার ৬০০ ক্যালরির কম গ্রহণ করে এমন চরম দরিদ্রর (হার্ডকোর পুওর) সংখ্যা ৩ কোটি ১০ লাখ। এর বিপরীতে আছে আরেক চিত্র। কোন কোন ক্ষেত্রে দারিদ্র্য সামান্য কমলেও বাড়ছে শ্রেণী ও অঞ্চল বৈষম্য। সেখানে লাখ লাখ টন খাদ্য অপচয় করা হয়। সাগরে ফেলে দেয়া হয় উদ্বৃত্ত খাদ্য। কুকুর বিড়াল বানর শূকরের জন্য সরবরাহ করা হয় উন্নতমানের খাবার।

দারিদ্র্য হ্রাসের কথাটি খুব জোরেসোরে বলা হলেও আসল সত্যি হলো, দিন দিন দারিদ্র্যে হার বাড়ছে বৈ কমছে না। এই প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে FAO প্রাণান্তর চেষ্টা চালাচ্ছে ২০২৫ সালের মধ্যে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা। এই নীতিগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো- যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টিকর খাদ্যের স্থায়ী সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, সর্বসাধারণের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি ও খাদ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণ, সবার জন্যে, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ। ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ১৫% দারিদ্র্য হ্রাস করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হলে কৃষি সেক্টর উন্নয়নে বিশেষভাবে নজর দিয়ে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এবং কৃষি বিষয়ে কৃষকদেরকে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে; এক ফসলি জমিকে দুই-তিন ফসলি জমিতে পরিণত করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে; দেশীয় উদ্যোগে খরা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু জাতের ধানের প্রসার ঘটিয়ে খরাপ্রবণ এবং উপকূলীয় এলাকায় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে; কৃষি ভূর্তকি বৃদ্ধি করে কৃষকদেরকে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে; কৃষকদের লাভজনক মূল্য নিশ্চিত করার জন্য উৎপাদিত পণ্যের সর্বনিম্ম বাজারমূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে; সরকারি উদ্যোগে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্যভাণ্ডার গড়ে তুলতে হবে; কৃষি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন- সার, কীটনাশক, তৈল, উন্নত বীজ ও কৃষি যন্ত্রাংশ সহজলভ্য করতে হবে। সেই সাথে জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে গ্রামীণ নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। একটি কথা অনস্বীকার্য, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন হলে দারিদ্র্যবিমোচন হবে। বিশ্বের প্রতিটি দেশ খাদ্য নিয়ে বেশ সচেষ্ট। খাদ্যাভাবের কারণে সরকার পতনের নজির আমেরিকা মহাদেশের হাইতিতে দেখা গেছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২০ সালে ধান গম ছাড়াও অতিরিক্ত ১ কোটি ৪০ লাখ টন মাছ, মাংস, ডিম, ফল-মূল, শাকসবজি জাতীয় খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। এ ভয়াবহ পরিসংখ্যান থেকে বুঝা যাচ্ছে প্রচলিত কৃষি বাদেও আমাদের আরও কিছু করতে হবে। এজন্য শুধু মাঠ ফসলের দিকে তাকিয়ে না থেকে পারিবারিক কৃষির দিকেও নজর দিতে হবে। মনে রাখতে হবে আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষষ্যৎ

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা ছিলো। তা তো আর দিলো না।
এখন তাকে বলেন অন্ততপক্ষে কাঁধে করে আলু ও পেয়াজের বস্তা নাগরিকদের ঘরে পৌঁছে দিতে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

পাইবেন, অপেক্ষা করুন
সময়মতো সব পাইবেন।
কারণ সব সম্ভবের দেশ
বাংলাদেশ!

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


খাদ্য মানে শুধু চাউল নয়।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

তাই নাকি !!!
আমিতো ভাবছিলাম
চাউল হলো বাঙালীদের
প্রধান খাদ্য !

আপনি আসলে কত জানেন !!

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: আজ নাকি বিশ্ব মেরুদণ্ড দিবস?

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হ্যাঁ ১৬ অক্টোবর বিশ্ব মেরুদণ্ড দিবস।
তবে আমরা তা পালন করিনা কারণ,
আমাদের মেরুদণ্ড নেই!

এবার একটি জোক শুনুনঃ
একবার একজন বামন মানুষ গেল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের অফিসে।
গিয়ে বলল, আমার মেরুদণ্ড সবচেয়ে ছোট। আমার নাম আপনাদের রেকর্ড
বইয়ে প্রকাশ করুন।
তারপর কী হলো?
লোকটা বেরিয়ে এসে বলল, না, হলো না।
অল্পের জন্য ট্রাম্পের কাছে হেরে গেছি! =p~

আপনাদের যাঁদের পিঠব্যথা, কোমরব্যথা নেই,
মেরুদণ্ড আছে কি নেই, তাঁরা পরীক্ষা করাতে পারেন।
আমার আছে। ও আমি প্রতি পলে পলে বুঝি। বড় বেদনার
মধ্য দিয়ে আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.