নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের অপরূপ সৌন্দর্য আর বৈচিত্রে ভরা অদ্ভুত আকৃতির কিছু ফুল

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪৮


আমাদের পৃথিবীর এই সুন্দর প্রকৃতি রহস্য, বিস্ময়, সৌন্দর্য আর বৈচিত্রে ভরা। প্রাকৃতির গাছপালা পশুপাখি জীবজন্তুর সবার সহাবস্থানের কারণেই আমরা প্রকৃতিকে এতো ভালোবাসি। পৃথিবীর সব মানুষই কম বেশি ফুল ভালোবাসেন। আশেপাশের কোনো ফুলেরবাগানে গোলাপ, শাপলা, লিলি, বেলী ছাড়াও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর ফুল আছে। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অদ্ভুত কিছু ফুল আছে। ফুসলকে আমরা সৌন্দর্যের প্রতীক বলে জানলেও পৃথিবীতে এমন কিছু ফুল আছে, যাদের দেখে মুগ্ধ হওয়ার পাশাপাশি রীতিমতো বিস্মিত হতে হয়! সেই ফুলগুলো দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি অদ্ভুতও। সেরকমই কিছু অবাক করা ফুলের সন্ধান দিতে আজকের এই লেখা। জেনে নিন এই অপরিচত বিচিত্র আকৃতির ফুল সম্পর্কে। দেখে নিন অদ্ভুত দর্শনের এই ফুলগুলো।

হুকার্স লিপসঃ

চক্ষুষ্মান কেউ মানুষের ঠোঁট দেখে নি তা হতেই পারেনা। আচ্ছা হুট করে যদি দেখেন বাগানের গাছে মানুষের ঠোঁটের মতো ফুল ফুটে আছে, কেমন লাগবে? এরকমই মানুষের ঠোঁটের মতো ফুল দেখতে পাওয়া যায় কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, পানামা ইত্যাদি দেশে। ফুলটির নাম ‘হুকার্স লিপস’। আর এর বৈজ্ঞানিক নাম Psychotria elata। পুরো মানুষের ঠোঁটের মতো দেখতে এই ফুলটির রঙ টকটকে লাল। এই ফুলের এমন অদ্ভুত রঙ হওয়ার পিছনে অবশ্য একটা উদ্দেশ্যও আছে। ফুলের পরাগায়ন ঘটাতে অন্য পাখি বা পতঙ্গের সাহায্য প্রয়োজন হয়। এই পতঙ্গদের বিশেষ করে হামিং বার্ড নামের পাখিটিকে এবং প্রজাপতিকে আকৃষ্ট করতেই ফুলের এই বিচিত্র সাজ। তবে খুব অল্প সময়ের জন্যই এটি ঠোঁটের আকৃতিতে থাকে। ফুলটি যখন পুরোপুরি পাপড়ি মেলে তখন আর দেখতে ওরকম লাগে না।

দি হ্যাপি এলিয়েন ফ্লাওয়ারঃ

দক্ষিণ আমেরিকার গরমকালে এই ফুলগুলো দেখতে পাওয়া যায়। এর উচ্চতা ২ ইঞ্চি হয়ে থাকে। সাধারণত কমলা এবং হলুদের সম্বনয়ে হয়ে থাকে। চার্লস ডারউইন তাঁর দক্ষিণ আমেরিকায় সমুদ্রযাত্রার সময় আবিষ্কার করেন অদ্ভুত সুন্দর এই ফুলটি। তাঁর নামানুসারে ফুলটির নাম দেওয়া হয় ডারউইন’স স্লিপার ফ্লাওয়ার। ফুলটির বৈজ্ঞানিক নাম Calceolaria uniflora. ইংরেজিতে একে হ্যাপি এলিয়েন বা হাস্যমুখী এলিয়েন নামেও অভিহিত করা হয়। শিলার উপর সারি সারি জন্ম নেওয়া এই ফুলগুলো দেখলে মনে হবে যেনো কমলা রঙের পেঙ্গুইন দল মার্চ করছে। কিন্তু ফুলটির কাছে গিয়ে একটু ভালোভাবে তাকালে চোখে পড়বে ফুলটির অন্য এক সৌন্দর্য!
ফুলটির গঠন দেখে মনে হবে একটি এলিয়েন হাসিখুশি চেহারা নিয়ে আপনার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। চিরহরিৎ ও বহুবর্ষজীবী হাস্যমুখী এলিয়েনের জন্য প্রয়োজন শীতল জলবায়ু। নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুতে এরা ভালোভাবে টিকে থাকতে পারে না।

তোতা ফুলঃ

এই ফুল গাছটির নাম দ্য ইমপেসেন্টস সিটাসিনা। এ ফুলটি দেখতে উড়ন্তÍ তোতা পাখির মতো। এটি তাইল্যান্ড, মায়ানমার এবং ভারতের কিছু অংশে পাওয়া যায়।

ব্লিডিং হার্ট ফ্লাওয়ারঃ

আমরা সবাই ‘হার্ট’ বা ‘হৃদয়’ এর আকৃতির সঙ্গে পরিচিত। এক অদ্ভুত রকমের ফুল আছে যার আকৃতি পুরোপুরি হার্ট এর মতো। সেই ফুলটির নাম ‘ব্লিডিং হার্ট ফ্লাওয়ার’। এর বৈজ্ঞানিক নাম Lamprocapnos spectabilis। এই ফুলগুলো সাধারণতঃ লাল রংয়ের হয়ে থাকে আর আকৃতিটাও হয় এমন, যেন হৃদয় থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এই ব্যাপারটাই ফুলের নামে ফুটে উঠেছে। আসল ঘটনাটা কিন্তু এমন না। এই ফুলের বাইরের পাপড়িগুলো গোলক আকৃতির এবং লাল রংয়ের হয়। ভিতরের পাপড়িগুলো চিকন লম্বা ও সাদা হয়। বাইরের পাপড়ি এবং ভিতরের পাপড়িগুলো একসঙ্গে দেখলে মনে হয়, যেন হৃদয় ফুড়ে রক্ত বের হয়ে আসছে। এই গাছকে ‘ফুল’ গাছ হিসেবে প্রথম দেখানো হয় ইংল্যান্ডে। ১৮৪০ সালে জাপান থেকে আনা চারার মাধ্যমে ইংল্যান্ডে এর গাছ লাগানো হয় আর ফুল ফোটার পর সবাই এর নাম জানতে পারে। বসন্তে বা গ্রীষ্মের শুরুর দিকে এই ফুল ফোটে। অনন্য এ আকৃতির জন্য অনেকেই তাদের বাগান এই ফুল দিয়ে সাজায়।

হোয়াইট এগরেট ফ্লাওয়ারঃ

জাপানের সবচেয়ে বিখ্যাত যে অর্কিড প্রজাতির ফুল, তার নাম ‘হোয়াইট এগরেট ফ্লাওয়ার’। এর বৈজ্ঞানিক নাম Pecteilis radiata। এই ফুলের পাপড়িগুলো প্রজাপতির পাখার মতো ছড়ানো, যা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। ধবধবে সাদা এই পাপড়িগুলোর মাথার দিকে নকশার মতো খাঁজ কাঁটা। এর পাতাগুলো ঘাসের মতো, প্রায় ৭ টা হয়ে থাকে। ছোট এই ফুলের প্রস্থ মাত্র ৪ সে.মি। অনন্য সুন্দর এই ফুলটি দেখতে পাওয়া যায় জাপান, কোরিয়ার পেনিসুলা আর চীনের উত্তরে।

ব্ল্যাক ব্যাট ফ্লাওয়ারঃ

উড়ন্ত বাদুড়ের মতো দেখায় বলে একে ব্যাট ফ্লাওয়ার বা বাদুড় ফুল বলে। এটি টাক্কা গাছ নামেও পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো Tacca chantrieri, এটি Dioscoreaceae পরিবারের উদ্ভিদ। ভালো করে দেখলে কালো রঙের রসালো মঞ্জরীপত্র দ্বারা ঢাকা এই ফুলগুলোকে মনে হবে বাদুড় যেন তার মুখটা হা করে রেখেছে। কিছু কিছু ফুলকে দেখলেই হিংস্র ও ভয়ংকর বলে মনে হয়, তাই হয়তো এর আরেক নাম ডেভিলস ফ্লাওয়ার। এই বাদুড়মুখো ফুলটি চীনের ইউনান প্রদেশে দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া থাইল্যান্ড এবং বার্মায়ও এই ফুল দেখতে পাওয়া যায়। ব্যাট ফ্লাওয়ার যদিও অস্বাভাবিক দেখতে, কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এর জনপ্রিয়তা ক্রমশ বেড়েই চলেছে এবং বিভিন্ন বাগানে একে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। যদিও এই ফুল বাগানের পরিবেশের চেয়ে বনেই ভালোভাবে জন্মায়। অদ্ভুত এই ফুলটির প্রথম পরিচয় পাওয়া যায় ইউরোপ এবং আমেরিকায় গত শতাব্দীতে। আজ এটি একটি উদ্ভট ফুল হিসেবে পরিচিত-যা গাঢ় বেগুনি (প্রায় কালো) রঙের মতো দেখায়। এলাকার বাইরের কিছু লোক এই ফুলগুলোর গঠন দেখে তাদের অশুভ মনে করে। এই ফুলগুলোকে যদিও ক্ষতিকারক মনে হতে পারে, কিন্তু সত্যিকার অর্থে এরা কোনো ক্ষতি করে না। এই গাছগুলো সাধারণত তিন অথবা চারটি পূর্ণ আকারের পাতা উৎপন্ন করে। প্রতিটি গাছ আবার ছয় থেকে বারোটির মতো ফুল উৎপন্ন করতে পারে। যখন বীজ ক্যাপসুল দৃষ্টিগোচর হয় সেই সময় দেখতে অনেকটা এলিয়েনের মতো দেখায়।

নেকেড ম্যান অর্কিডঃ

অর্কিডের আরেকটি আজব প্রজাতি হল ‘নেকেড ম্যান অর্কিড’ । এর আরেক নাম ‘ইটালিয়ান অর্কিড’। বৈজ্ঞানিক নামটিও ঠিক তাই, Orchis italica। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এর অদ্ভুত আকৃতি। হুট করে দেখলে মনে হবে ছোট আকারের কোনো মানুষ। আর পুরো ফুলের গুচ্ছ দেখে মনে হবে, ‘হারে রে রে রে …’ ডাক দিয়ে কতগুলো অদ্ভুত দর্শন ডাকাত তেড়ে আসছে! মাথায় তাদের এলোমেলো চুল, আর গুপীগাইন বাঘাবাইনের ভূত রাজার মতো বিশাল বিশাল কান। আসল ব্যাপারটা হল, একটা মঞ্জুরিতে অনেকগুলো ফুল গুচ্ছাকারে থাকে। সবগুলোকে এক সঙ্গে দেখলেই ডাকাতের দল বলে মনে হবে। গোলাপি কিংবা বেগুনি রংয়ের এই বিচিত্র ফুলগুলো জন্মে মেডিটেরিয়ান এলাকায়। তবে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ ও তাপমাত্রায় রাখলে তুমিও চাষ করতে পারবে এই কিম্ভূত ডাকাতের দলকে।

মাঙ্কি অর্কিডঃ

ফুলের নামটা প্রথম শুনে থাকলে যে কেউ চমকে যেতে বাধ্য। বানরের স্থান হল বনে-জঙ্গলে, গাছের মগডালে। কিন্তু সেই বানর যদি অবস্থান নেয় অর্কিড জাতীয় ফুলে, তাহলে তো চমকে যাবারই কথা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি ইকুয়েডর ও পেরুর পাহাড়ি জঙ্গলে এমন এক অর্কিড জাতীয় ফুল পাওয়া গেছে যার মুখ দেখতে হুবহু বানরের মতো। ফুলটির নামও রাখা রয়েছে তার গঠন অনুসারে- ‘মানকি অর্কিড’ বা ‘বানরমুখো অর্কিড’। উদ্ভিদ বিজ্ঞানী লুইয়ার ১৯৭৮ সালে বানরমুখো অর্কিড আবিষ্কার করেন। এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘Dracula simia’। পাকা কমলার ঘ্রাণযুক্ত এই অর্কিড সারা বছরই জন্মাতে পারে। এখন পর্যন্ত এর প্রায় ১২০ টি প্রাজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। ফুলটি দেখতে যে শুধুমাত্র বানরের মত, তা কিন্তু নয়। বানর যেমন গাছের মগডালে থাকতে পছন্দ করে, তেমনি বানরমুখো অর্কিডও মাটি থেকে ১০০০-২০০০ মিটার উঁচুতে অবস্থান করে।

ফ্ল্যাইনিং ডাক অর্কিডঃ

অস্ট্রেলিয়ার আকর্ষণীয় ফুলগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। ৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এই অর্কিডটি দেখে যে কেউ দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান যে এটি আসলে ফুল না কোন উড়ন্ত হাঁস। হাঁসের মত ঠোঁট ও ডানা রয়েছে ফ্ল্যাইং ডাক অর্কিডের। এই ফুলের আকৃতি কিছুটা উড়তে যাওয়া হাঁসের মত তাই একে ফ্লাইয়িং ডাক বলা হয়। এটি গাছে এমনভাবে অবস্থান করে যে দেখে মনে হয় কোন হাঁস উড়ে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। উড়ন্ত হাঁসের মত দেখতে এই অর্কিডটি পুরোপুরি বন্য। এদের দেখা মেলে কুইন্সল্যান্ড, দক্ষিন অস্ট্রেলিয়া ও তাসমানিয়ায়। এদের বৈজ্ঞানিক নাম Caleana major.

দি সোয়াডাল বেবিস অর্কিডঃ

দক্ষিণ আমেরিকায় এই ফুল দেখতে পাওয়া যায়। দারুন সুগন্ধযুক্ত এই ফুল ১০ সে.মি পর্যন্ত বড় হয়ে থাকে। এর উপরের পাপড়িগুলো খুললে মনে হবে ফুলের ভিতরে ছোট একটা শিশু ঘুমিয়ে আছে।

ব্যালেরিনা অর্কিডঃ

এই ফুলটি দেখতে ব্যালে নৃত্যরত পুতুলের মত। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন দ্বীপে এদের দেখতে পাওয়া যায়।

ড্যান্সিং লেডি অর্কিডঃ

ফুলটির আকৃতির কারণে এই ধরনের নামকরণ করা হয়। ফুলের উপরে ছোট অংশ এবং নিচে বড় অংশ নাচের আকৃতি প্রকাশ করে। এই ফুলগুলো দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা ও মেক্সিকো এর গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে বেড়ে ওঠে।

নাচুনি অর্কিডঃ

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ও স্নিগ্ধ বস্তু হল ফুল। সেই ফুল যদি আবার নাচিয়ে বালিকার ভঙ্গিতে অবস্থান করে, তখন তা যে কারো নজর কেড়ে নিতে সক্ষম। অত্যন্ত দুষ্প্রাপ্য এই ফুলটির দেখা মেলে আফ্রিকার গহিন অরণ্যে। ফুলটির স্থানীয় নাম ড্যান্সিং গার্ল অর্কিড এবং বৈজ্ঞানিক নাম ‘Impatiens bequaertii’. ফুলসহ নাচুনি অর্কিড গাছের দৈর্ঘ্য মাত্র দেড় ফুট। সাদা বা হালকা গোলাপি রঙের এই ফুলটির পাপড়িগুলো দুই পাশে ছড়ানো অবস্থায় থাকে। তাই একে দেখলে মনে হয় যেনো কোন তরুণী নাচের ভঙ্গিতে দাঁড়িতে আছে। বিরল প্রাজাতির এই ফুলটি সারাবছরই ফুটে থাকে।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ব্লিডিং হার্ট কেবল দেখেছি । আমারও ছিলো গ্রামের বাড়ী

অসাধারণ পোস্ট +

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
রক্তাক্ত হৃদয় সব নারীদেরই দেখার কথা
বাজার থেকে মাছ এনে দিবে তা কেটে না দিলেও
তাদেরকে রক্ষাক্ত করা হয় !! কি সাংঘাতিক !!
প্রত্যেক নারীদের বাসার সামনে এক একটা
রক্তাক্ত হৃদয় ফুলের গাছ নিজ হাতে লাগিয়ে দেওয়া
সব পুরুষের দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য হওয়া উচিৎ। :P কি বলেন !!

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ন্যাকেড ম্যান অর্কিডকে 'মান্কি অর্কিড' বলাই ভালো। পুরুষদের তো পুচ্ছ থাকে না, কিন্তু ওগুলোর দেখা যাচ্ছে। শুধু শুধু 'ম্যান' দেরকে পচানোর দরকার কি? =p~


আমার ব্যাকইয়ার্ডে এইবারই প্রথম এই ফুল দেখেছি। নাম জানতাম না, ভেবেছিলাম জংলী ফুল। পরে ব্লগের সুবিখ্যাত দার্শনিক মাহা জানিয়েছেন, এটা প্যাশন ফুল। আপনার মাধ্যমে উনাকে ধন্যবাদ জানাই। :)

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভূয়া মফিজ ভাই
ন্যাকেড ম্যান অর্কিড আর মাঙ্কি অর্কিড দুটো আলাদা
জাতের অর্কিড। এদের দেখতেও ভিন্ন রকম। একটার
মাঝে বাদরের মুখ অন্যটাতে ল্যাংটোপুটো !! =p~
ভদ্রতা করেই বিপরীত লিংগের ন্যাকেড অর্কিডটাকে
চিপায় রাখা হয়েছে। কিন্তু আপনিতো দিলেন গোমর
ফাস করে !! :((

ব্লগার দার্শনিক মাহাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দিলাম।

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুশোভিত ও সৌন্দর্যময় ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই
সত্য্ই স্রষ্টার অপার মহিমা বোঝা
ভার।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: #ভুয়া ভাই হাহাহাহাহ ন্যাকেট ম্যান অর্কিড, আপনি ফুল দেখতে পাচ্ছি হাহাহা

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপু ভূ্ইয়া ভাইয়ের জাসুসি চোখ !!
তার চোখে কিছুই আড়াল থাকেনা।
তিনি্ জোড়া ন্যাকেড অর্কিড
দেখতে পেয়েছেন যার একটা
পুরুষ অন্যটি ,,,,,,,,,,,,,,,,,
অবশ্য গঠন দেখে সেটাই
প্রতিয়মান হচ্ছে !! সুতরাং দিগম্বর
থাকার দোষ একা কেন পুরুষের হবে !! :-

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অনেকগুলো সুন্দর আর আনকমন ফুল দেখলাম।

সত্যি প্রকৃতি কত বিচিত্র।+++++++++++++

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ সরকার ভাই
সত্যিই বড় অদ্ভুত খেয়াল প্রকৃতির।

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহর কি অদ্ভুত স্রস্টি!!!!

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খানসাব
আল্লাহর অপরূপ সৃষ্টি সম্পর্কে ভাবনা
করার জন্য।

৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সত্যিই অনেক অদ্ভুদ ধরণের ফুল এগুলি।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সাচু ভাই
অদ্ভুত ও অসাধারণ এই ফুলের দর্শনে
আমি মুগ্ধ ! প্রকৃতির কাছে তাইতো
বারে বারে ফিরে আসতে ইচ্ছে করে।

৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপনা। খুব ভালো হয়েছে।
প্রায় সবগুলি ফুলই আগে দেখেছি নেটে। বাস্তবে দেখার সুযোগ জয়েছে স্রেফ দুটি ফুলে। ব্লিডিং হার্ট ফ্লাওয়ার এবং ব্ল্যাক ব্যাট ফ্লাওয়ার এই দুটি ফুলই দেখেছি এবং ছবি তুলেছি।
পোস্টের ব্লিডিং হার্ট ফুলের ছবিটি আমার তোলা

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জগাই দাদা
আপনার সৌজন্যে আমার লেখায় আপনার
তোলা ব্লিডিং হার্ট ছবিটি সংযোজন করতে
পারায় আমি ধন্য।

৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ফুল গুলোর এমন বিচিত্র হবার কারন কি।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
স্রষ্টার বিচিত্র খেয়াল যদিও তার পরেও
হয়তো কোন রহস্য্ আছে যা আমার জানা
নেই। সৃষ্টির রহস্য ভেদ করা আমার কম্ম নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.