নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
করোনার ভয়াবহতার মধ্যেই বাংলার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবথেকে বড় ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এখনও বিদায় নেয়নি করোনা, আম্ফানের পর ১৫ দিন যেতে না যেতেই আরব সাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ। আসন্ন পুজোর মরশুম আবার সাগর উত্তাল করে বয়ে আসছে আর এক ঘূর্ণিঝড়। এবার পালা ঘূর্ণিঝড় 'গতি'র। এবার ধেয়ে আসছে আরও একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এই ঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে গতি। এই ঝড়ের নামকরণ করেছে ভারত। নিসর্গ ছিল বাংলাদেশের দেওয়া নাম। বাংলাদেশের পরই ভারতের পালা। নতুন তালিকায় ভারতের দেওয়া প্রথম নামাঙ্কিত ‘গতি' ধেয়ে আসবে এবার। সাগরে গতি বাড়াতে শুরু করে দিয়েছে সাইক্লোন 'গতি'! গতি'র রুদ্রমূর্তি কতটা হবে, তা ভবিষ্যৎই বলবে। আজ এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে। আজ (সোমবার) সকালে শক্তিশালী রূপ নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল দিয়ে ওই রাজ্যের ভেতরে প্রবেশ করবে এই ঝড়। ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় গতি। ক্রমেই তা শক্তি বাড়াচ্ছে সমুদ্রবক্ষে। পুজোর আগেই ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে। মাটি ছোঁয়ার পর, এই গতির প্রাথমিক গতিবেগ থাকার সম্ভাবনা ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত। মনে করা হচ্ছে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপই এই ঘূর্ণিঝড়কে ডেকে আনছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপোসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল। সেটিই শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে। উম্পুনের তাণ্ডবের রেশ কাটতে না-কাটতেই নয়া ঘূর্ণিঝড়ে ঘুম উড়েছে মানুষের। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাংলায় সে ভাবে এই ঝড় তাণ্ডব দেখাবে না। ঝড়ের ফলে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওডিশার উপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। ঝড়ের আগে অন্ধ্রপ্রদেশে লাল সতর্কতা জারি হতে পারে। নিম্নচাপটি অক্ষরেখার জেরেই সৃষ্টি এই গতি। তবে সস্তির কথা কথা কলকাতা ও তার পাশ্ববর্তি এলাকায় থাকবেনা এর প্রভাব। তবে বাতাসের তাপমাত্র থাকমে স্বস্তিদায়ক, ওমাঝে মধ্যে কয়েকপশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা। আবহবিদরা জানাচ্ছেন আজ সোমবার অর্থাৎ ১২ অক্টোবর অন্ধ্রের উপকূলে এই ঝড় প্রবেশ করবে। এর প্রভাবে প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গনা, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের দিকে ঘুরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘গতি’র বিষয়ে কোনো প্রকার তথ্য বা সতর্কবার্তা জানানো হয়নি।
আম্ফানের পর ভারতের মহারাষ্ট্রে আছড়ে পড়েছিল নিসর্গ। সেই ঘূর্ণিঝড়ের রেশ এখনও কাটেনি। বিশেষত আম্ফান যে দুর্বিষহ স্মৃতি তৈরি করেছে, তা আজও দগদগে ঘায়ের মতো মনে রয়ে গেছে। এবার দুর্গাপূজার মধ্যে ‘গতি’ নামের আরেক ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগেই ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর পূর্বাভাস দিয়েছিল, এবার পুজোর আগেই পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘গতি’। আজ সোমবার সকালে আরও শক্তিশালী রূপ নিয়ে অন্ধপ্রদেশ উপকূল দিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘গতি’ প্রবেশ করবে রাজ্যে। এর ফলে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করবে। সঙ্গে প্রবল ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আন্দামান সাগর থেকে এই নিম্নচাপ এখন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। শক্তি সঞ্চয় করে এটি উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এর সরাসরি প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে না পড়লেও কিছুটা আঁচ এ রাজ্যে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এমনকি বঙ্গোপসাগরের একাংশ প্রচণ্ড উত্তাল হতে পারে বলেও জানা গেছে। যার ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতায় আজ আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। উত্তর ভারত মহাসাগরীয় সাইক্লোনের নতুন তালিকার ১৩টি দেশ এবার ১৩টি করে ঝড়ের নাম দিয়েছে। তার মধ্যে প্রত্যেকে প্রথম যে একটি করে ঝড়ের নামকরণ করেছে তা হল পর্যায়ক্রমে- নিসর্গ, গতি, নিভার, বুরেভি, তকলি, যাস, গুলাব, শাহীন, জওয়াদ, অশনি, সিতরং, ম্যানডৌস এবং মোচা। এর মধ্যে পূর্ব তালিকার শেষ ঝড় ‘আম্ফানে'র পর ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ' আছড়ে পড়ে মুম্বইয়ে। পরবর্তী ঝড় ‘গতি' এখন চলমান। তবে গতিপথ পরিবর্তন করলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলেও আঘাত হানতে পারে গতি। সঙ্গে হবে ভারী বৃষ্টিপাত।কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাতে থাকবে না এর প্রভাব, তবে বাতাসের তাপমাত্র থাকমে স্বস্তিদায়ক ওমাঝেমধ্যে কয়েকপশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা। ইতিমধ্যে গতির প্রভাবে বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
১২ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপু প্রাকৃতির রুদ্রতা থেকে
নিরাপদে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
এমন ঝড় আরো পাবেন যেমনঃ
নিভার, বুরেভি, তকলি, যাস, গুলাব,
শাহীন, জওয়াদ, অশনি, সিতরং, ম্যানডৌস, মোচা।
কিন্তু জীবন না!! ছবি তুলতে গিয়ে আমর ছবির মতো
আপুর কোন বিপদ ঘটুক তা চাইনা।
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ ভরসা ভাইয়া
১২ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সবাইকে আল্লার উপর ভরসায় অবিচল থাকতে হবে।
তিনিই বালা মুছিবত দেন, তিনি্ই তা দূর করেন।
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: অফিসে বুঝতেই পারিনি বৃষ্টি হচ্ছে যাক করোনা মুছে যাক
১২ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দাগ থেকে যদি নতুন কিছু হয়
তবে দাগই ভালো।
ঝড়ে যদি করোনা মরে
তবে আসুক ঝড় যত পারে !!
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১৩
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঝড় কি শেষ নাকি আবারো হবার সম্ভাবনা আছে?
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ঘূর্ণিঝড় আল্লাহর ইশারাতেই আসছে। আমি উহাকে স্বাগতম জানাই। আল্লাহ যা করবেন ভালোর জন্যই করবেন।
৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সব আল্লাহর ইচ্ছা তবে উনি দয়ালু ।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ব্যাংকের বারান্দা থাইকা গেছিলাম বৃষ্টির ছবি বা ভিডিও করতে, ঠাটায় দৌড়ান দিছে ভাইয়া