নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
আর্থ্রাইটিস বা বাতব্যাথা মানুষের শরীরে হাড়ের দুই জয়েন্টের প্রদাহজনিত একটি রোগ। আর্থ্রাইটিস সাধারণত গিরার প্রদাহ বোঝানো হয় যা সন্ধিবাত নামেও পরিচিত। জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধির ব্যথার মূল কারণ এর প্রদাহ। বিশ্বব্যাপী আর্থ্রাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক।আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন ‘আটল্যান্টা -এর তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে মানুষের কর্মক্ষমতাহীন হয়ে পড়ার অন্যতম প্রধান কারন বিভিন্ন ধরনের আর্থ্রাইটিস বা বাতরোগ। আর্থ্রাইটিস রোগের অন্যতম উপসর্গ হলো তরুণাস্থি ক্ষয় হয়ে যাওয়ায় প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয়। শরীরের যেকোনো হাড়ের জয়েন্টে এ রোগ হতে পারে, তবে বেশি ভার বহনকারী জয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এ রোগের প্রধান উপসর্গ হলো- ঘাড়, কাঁধ, পিঠ, কোমর বা মাজায় অসহ্য ব্যথা হওয়া। এছাড়া হালকা জ্বর, ক্ষুধামন্দা এবং ওজন কমে যাওয়ার সমস্যা হয়। বাতের ব্যাথায় ১৯ শতাংশ মানুষ স্বাভাবিক কাজ করতে ব্যর্থ হয়। ২০১০ সালের এক গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে তাদের গড়ে প্রায় ১৮ দিনেরও বেশি কাজে অনুপস্থিত থাকতে হয়।এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস’। প্রতি বছর এই দিনটি বাত ব্যাথা বা আর্থ্রাইটিস বিষয়ে সচেতনতার জন্য পালিত হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বাত ব্যাথা নিয়ন্ত্রণের এখনই সময়’।
পৃথিবীতে বাত ব্যাথা বা আর্থ্রাইটিস মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যার একটি অন্যতম কারণ। এই রোগে মানুষ শারীরিক অক্ষমতার জন্য কাজ করতে পারে না। আয়-রোজগার হতে বঞ্চিত হওয়ায় মানুষ ক্রমান্বয়ে গরীব হয়ে যায়। তারা জানান, বাংলাদেশে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগে এই বিষয়ে চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এই বিভাগ ২০০১ ও ২০১০ সালে বাংলাদেশে বাত ব্যাথা রোগের প্রকোপ নির্ণয়ের জন্য দুইটি গবেষণা করে। ২০০১ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের শতকরা ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ জীবনের কোন না কোন সময় বাত ব্যাথায় ভুগে থাকেন। ২০০৫ সালে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশে। পুরুষের তুলনায় নারীরা এ রোগে বেশি ভোগেন। এক্ষেত্রে পুরুষের হার ২১ দশমিক ১ ভাগ এবং নারীদের হার ৩১ দশমিক ৩ ভাগ। আশঙ্কার বিষয় ১০ বছরের ব্যবধানে নারীদের হার প্রায় ৩ শতাংশ বেড়ে ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পুরুষদের হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই এলাকায় পরিচালিত গবেষণা দুটোতে দেখা গেছে, বাত ব্যাথার কষ্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রকোপ কোমর ব্যাথায়। ২০১০ সালের হিসাবে ২১ দশমিক ২ শতাংশ; হাটু ব্যাথা ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। কাঁধের জোড়ার ব্যাথা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, কুঁচকি বা হিপ এর বাত ৭ দশমিক ১ শতাংশ, গোড়ালীর বাত ৬ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, আর্থ্রাইটিসে আক্রান্তের জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা থাকে এবং এ ব্যথা ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে। হাত-পায়ের ছোট ছোট জোড়া বেশি আক্রান্ত হয়। প্রায়ই সমানভাবে দুই পাশের অর্থাৎ ডান ও বাম দিকের জোড়াগুলোতে ব্যথা হয়। অনেক সময় ঘাড়েও ব্যথা হতে পারে। এ রোগের ব্যথা কাজ করলে কমে, বিশ্রাম নিলে বেড়ে যায়।সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় ব্যথা বেশি অনুভূত হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা আস্তে আস্তে কমে আসে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মো. নজরুল ইসলাম ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবু শাহীন জানান, এ পর্যন্ত ৫০ এর অধিক চিকিৎসক এই বিভাগ থেকে রিউমাটোলজিতে এমডি ডিগ্রি লাভ করেছে। কিন্তু সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে কোন পদ না থাকায় এই বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসা সেবার বিস্তার করানো যাচ্ছে না। এদেশের অনেক মানুষ বাতব্যাথা রোগের জন্য পাশ্ববর্তী দেশে গিয়ে অনেক টাকা ব্যয় করেন। কিন্তু অপচিকিৎসা ও অন্যান্য কারণে তারা আরও দরিদ্র হয়ে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত সাধারণ চিকিৎসা চালানোর সক্ষমতা হারিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েন। বিশেষজ্ঞরা সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে রিউমটোলজি বিভাগ চালু ও পদ সৃষ্টি করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
১২ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ স্বপ্নের শঙ্খচিল
আমি কোন চিকিৎসক না। এ রোগ
থেকে পরিত্রাণের জন্য ভালো কোন
চিকিৎসকরে পরামর্শ নিন। আর
নূরল ইসলাম ভাইকে দেওযা পরামর্শ
ফলো করতে পারেন।
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:২১
রামিসা রোজা বলেছেন:
আমার মা এই সমস্যার ভুক্তভোগী এবং সহজে নিস্তার
মেরে না । অনেক কষ্ট পোহাতে হয় ।
১২ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন রামিসা আপু
তবে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে
এই বাত ব্যাথা থেকে কিছুটা উপশম
লাভ করা যায়। যেমনঃ
১। ব্যাথা নাশক কোন মালিশ ব্যবহার করা যাবেনা।
২। হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। ব্যাথা, যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে রোজকার খাবারে হলুদের ব্যবহার করুন।
৩। বাতের ব্যাথায় কষ্ট পেলেও অস্থির না হয়ে মনকে শান্ত রাখতে হবে। উত্তেজিত হলে কষ্ট বাড়ে। তাই মন এবং মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে যোগাসন অভ্যাস করুন।
৪। বাতের ব্যাথা কমাতে প্রচুর পরিমাণে তাজা শাক-সব্জি, ফল খাওয়া খুব জরুরি। মিহি চিনি, শস্যদানা, রিফাইন্ড অয়েল এবং ট্রান্স ফ্যাট খাওয়া বন্ধ করতে হবে। এবং অতিরিক্ত নুন খাওয়া ত্যাগ করতে হবে।
৫। ব্যাথা, যন্ত্রণা কমানোর জন্য দারুণ উপকারী হল ব্যায়াম। বাতের সমস্যা অতিরিক্ত হলে একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তিনিই বিভিন্ন ব্যায়ামের মাধ্যমে
৬। বাত সাধারণত আমাদের দুটো হাড়ের সংযোস্থলে হয়ে থাকে। তাই ছোটবেলা থেকেই হাড়ের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। আমাদের এমন সমস্ত খাবার খেতে হবে, যা হাড়কে মজবুত রাখে। বাতের সমস্যা তৈরি করে যে সমস্ত খাবার যেমন, মিষ্টি, ডিম, সোয়াবিন এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়া কম করতে হবে।
আশা করি উপকার পাবেন।
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমার পা খুব চাবায়। খুব। মনে হয় বাতের সমস্যা আছে।
দাদাকে দেখতাম সারাক্ষণ কেউ না কেউ পা টিপে দিচ্ছে।
১২ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খানসাব এখনই কোন ভালো চিকিৎসাকের পরামর্শ নিন।
নিযমিত হাল্কা ব্যায়াম করুন।
হেলা ফেলা করবেন না।
কাউকে দিয়ে পা টিপানো এখন ব্যায় বহুল প্রক্রিয়া।
আগের মতো (আপনার দাদার সমেয়ের মতো) এথন
ব্উও ফ্রিতে পা টিপবে না !!
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:৪২
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এমন পোষ্ট দিতে গেলেন কেন, এখন ডাক্তার হয়ে সবাইকে পরামর্শ দিন।
১২ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নূরুল ইসলাম ভাই আপনার অনুরোধে আর্থ্রাইটিস নিয়ে সুস্থ থাকার কেয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হলোঃ
১। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২। আপনার রোগের ধরন এবং নিরাময় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন।
৩। ব্যথার ওষুধ বেশি ব্যবহার না করে জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করুন।
৪। মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকুন।
৫। অতিরিক্ত বিশ্রামের পরিবর্তে কাজে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করুন।
৬। ব্যায়াম করাকে একটি নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করুন।
৭। অবসর সময় প্রিয়জনের সঙ্গে অতিবাহিত করুন।
আর্থ্রাইটিস হলে যে কয়েকটি ব্যাপারে সতর্ক থাকবেনঃ
১। টেবিলে বসে ঝুঁকে পড়াশোনা করবেন না।
২। নরম গদি-তোশক এবং উঁচু বালিশ বেশি ব্যবহার করবেন না।
৩। দেহের মেদ কমান-পুষ্টিকর খাবার খান।
৪। টেনশন করবেন না।
৫। প্রতিদিনই হালকা কিছু ব্যায়াম করুন।
৬। নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম করুন।
৭। শীতকালে ঠাণ্ডায় এবং বর্ষায় স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বয়স্করা সাবধানে থাকবেন।
৮। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো দৈনন্দিন জীবনযাপন এবং ওষুধ সেবন করবেন।
৯। স্বাস্থ্যবান সুখী মানুষ কখনও অতীত বা ভবিষ্যতে বসবাস করে না। সে সব সময়ই বাস করে বর্তমানে।
১০। প্রার্থনা রোগের উপসর্গ কমায় এবং সুস্থতার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
১১। রাগ-ক্ষোভ, ঈর্ষা, সন্দেহ দুরারোগ্য ব্যাধি সৃষ্টি করে। এগুলো ঝেড়ে ফেলুন, আপনার সুস্থ থাকার সামর্থ্য বেড়ে যাবে।
১২। উপদেশ-সম্পূর্ণ বিশ্রাম-৩-৭ দিন।
১৩। মালিশ নিষেধ, এক বালিশ ব্যবহার করবেন, শক্ত ও সমান বিছানায় ঘুমাবেন, ফোম, জাজিম ব্যবহার, সামনে ঝোঁকা, ভারি কাজ, গরম সেঁক নিষেধ, নামাজ চেয়ার টেবিলে পড়বেন। উঁচু কমড ব্যবহার করবেন। নিচে বসা নিষেধ, সোজা হয়ে বসবেন। মগে গোসল করবেন না, শাওয়ার ব্যবহার করবেন, কোমরে বেল্ট (করসেট) পরবেন, যার ঘাড়ে সমস্যা তারা কলার ব্যবহার করবেন।
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:১৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এর থেকে কিভাবে মুক্তি মিলবে।
১২ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সরকার ভাই দয়া করে নুরুল ইসলাম ভাইকে
দেওয়া পরামর্শগুলো ফলো করলে আশা করি
সুস্থ্য থাকা যাবে। আর্থ্রাইটিস থেকে পরিত্রাণ মিলবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১০
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমি এই ব্যাথার একজন রোগী,
সিঁড়ি ভেঙ্গে উপরে উঠা নিষেদ তাও
করতে হয় !!!
.........................................................
তাহলে ভালো থাকব কি করে ???