নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
আজ ১১ অক্টোবর, ‘আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস। পৃথিবীজুড়ে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর প্রথম এ দিবসটি পালন করা হয়। মেয়েদের শিক্ষার অধিকার, পরিপুষ্টি, আইনি সহায়তা ও ন্যায় অধিকার, চিকিৎসা সুবিধা ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা, নারীর বিরুদ্ধে হিংসা ও বলপূর্বক বাল্যবিবাহ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে এ দিবসের সূচনা করা হয়। প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল- ‘বাল্যবিবাহ বন্ধ করা’। বাংলাদেশে দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে— ‘আমরা সবাই সোচ্চার, বিশ্ব হবে সমতার’ আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের “কারণ আমি একজন মেয়ে” নামক আন্দোলনের ফসল। সংস্থাটির কানাডার কর্মচারীরা এ আন্দোলনকে বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কানাডা সরকারের সহায়তা নেয়। কানাডাই প্রথম জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালনের প্রস্তাব দেয়। পরে ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। ফলে ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর তারিখে প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালন করা হয়। এ আন্দোলনের মূল কর্মসূচি হল- গোটা বিশ্বজুড়ে কন্যার পরিপুষ্টি সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীর পথকে আরো সুগম করতে হলে সমাজে কন্যা শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অতীতের নানা কুসংস্কার ও বাধা পেরিয়ে কন্যা শিশুর গুরুত্ব বাড়ছে। শিক্ষা, খেলা-ধুলাসহ নানা ক্ষেত্রেই এখন এগিয়ে যাচ্ছে নারীরাও। তবে যুগের সাথে কন্যা শিশুদের গুরুত্ব বাড়লেও সামজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়নি এখনও আর তাই এখনও প্রতিপদে সহিংসতার শিকার হতে হয় কন্যা শিশুদের।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। এর মাঝেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে বাংলাদেশেও পালন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কমিউনিকেশন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ “গার্লস টেক ওভার” কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে একজন কিশোরী বা যুব নারীকে নেতৃত্ব প্রদানকারীর ভূমিকা পালন করতে সহায়তা করা হয়। এতে তাদের মধ্যে বড় হওয়ার,ভালো কিছু করার স্বপ্ন তৈরি হয়, আত্মবিশ্বাস বাড়ে। কন্যা শিশু দিবসর প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন কার্যসূচী পালন করা হয়। তার কিছু রাষ্ট্রসংঘ প্রযোজনা করে। যেমন, ভারতএর মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত সাংগীতিক অনুষ্ঠান। কিছু বেসরকারী সংস্থা যেমন অষ্ট্রেলিয়ার গার্ল গাইড অস্ট্রেলিয়ায় উন্নত মানের কার্যসূচী পালন করে। স্থানীয় সংঘ নিজ নিজ অঞ্চলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত করে। যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে টি-শার্ট মেয়েদের মাঝে বিতরণ করা হয়। কন্যা শিশুদের সার্বিক সুরক্ষা ও উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি সমাজ ও পরিবারকে এগিয়ে আসতে হবে। এবারের বিশ্ব কন্যা শিশু দিবস হোক সমতার। বিশ্বের সকল কণ্যা শিশুদের জন্য আমাদের শুভেচ্ছা।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
আমার লেখার প্রথম মন্তব্য করে
বিশ্বের সকল কন্যা শিশুদের
ভালোবাসা জানানোর জন্য।
আপনার উপরথেকে ভূতের আছর
দূর করতে মোন্তাজের তাবিজ খুব
কাজ দিয়েছে।!!! আমি সন্ধিহান
ছিলাম আপনার মালিট নিকের
ব্যাপারে। আমা বিশ্বাস ই হতোনা।
আর এক শায়মা বিশ্বাস না কি যেন
জন্মের আগেই অক্কা পেয়েছে !!
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: শিশু কন্যা জন্ম নেওয়া নিয়ে নবিজির খুব সুন্দর সুন্দর হাদীস আছে।
১১ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযিআল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা সন্তান বা তিনজন বোন আছে। আর সে তাদের সাথে উত্তম আচরণ করেছে তাদেরকে
নিজের জন্য অসম্মানের কারণ মনে করেনি সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯১২
অপর হাদিসে হযরত আবদুল্লাহ উমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘ওই নারী বরকতময়ী ও
সৌভাগ্যবান, যার প্রথম সন্তান মেয়ে হয়। কেননা, (সন্তানদানের নেয়ামত বর্ণনা করার ক্ষেত্রে) আল্লাহ তায়ালা
মেয়েকে আগে উল্লেখ করে বলেন, তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন, আর যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। ’
(কানযুল উম্মাল ১৬:৬১১)
সুরভী ভাগ্যবাতী কারণ তার প্রথম সন্তান পরী !
৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পৃথীবির সকল কন্যা শিশুরা নিরাপদে থাকুক।
১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ নুরুল ইসলাম ভাই
পৃথীবির সকল কন্যা শিশুরা নিরাপদে থাকার
প্রার্থনার জন্য
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২১
শায়মা বলেছেন: সকল কন্যা শিশুদের প্রতি ভালোবাসা।