নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
ব্যভিচার সুস্পষ্ট হারাম এবং শিরক ও হত্যার পর বৃহত্তম অপরাধ। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ। ’ –সূরা আল ইসরা: ৩২ ইসলাম ধর্ষণকে ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেনি। কারণ বিবাহবহির্ভূত যেকোনো যৌন সঙ্গমই ইসলামে অপরাধ। তাই ধর্ষণও এক প্রকারের ব্যভিচার। ইসলামি আইন শাস্ত্রে ধর্ষকের শাস্তি ব্যভিচারকারীর শাস্তির অনুরূপ। তবে অনেক ইসলামি স্কলার ধর্ষণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কিছু শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন। ধর্ষণের ক্ষেত্রে একপক্ষে ব্যভিচার সংগঠিত হয়। আর অন্যপক্ষ হয় নির্যাতিত। তাই নির্যাতিতের কোনো শাস্তি নেই। কেবল অত্যাচারি ধর্ষকের শাস্তি হবে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে দু’টো বিষয় সংঘঠিত হয়। ১. ব্যভিচার, ২. বলপ্রয়োগ বা ভীতি প্রদর্শন। প্রথমটির জন্য পূর্বোক্ত ব্যভিচারের শাস্তি পাবে। পরেরটির জন্য ইসলামি আইনজ্ঞদের এক অংশ বলেন, মুহারাবার শাস্তি হবে। মুহারাবা হলো, পথে কিংবা অন্যত্র অস্ত্র দেখিয়ে বা অস্ত্র ছাড়া ভীতি প্রদর্শন করে ডাকাতি করা। এতে কেবল সম্পদ ছিনিয়ে নেওয়া হতে পারে, আবার কেবল হত্যা করা হতে পারে। আবার দু’টোই হতে পারে। সম্প্রতিককালে ধর্ষণ অনেকটা যেন মহামারি আকার ধারণ করছে। সারা বিশ্বে ধর্ষণের সংখ্যা বাড়ছে দ্রুতগতিতে। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণও যেন বাংলাদেশে মহামারী হয়ে দেখা দিয়েছে। এমন কোনোদিন নেই যেদিন সংবাদপত্রে ৪-৫টি ধর্ষণের ঘটনার খবর প্রকাশিত হচ্ছে না। ধর্ষণ ঘৃণ্য অপরাধ। এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। অথচ আমাদের দেশে এ ঘৃণ্য অপরাধটাই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষমতার দাপট, বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও বিচার প্রক্রিয়া নারীবান্ধব করতে না পারাসহ সামাজিক-রাজনৈতিক উদাসীনতার সুযোগে ধর্ষকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এর প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও এর প্রতিবাদে সরব। প্রতিবাদী স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেকেই। কেউবা আবার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বিখ্যাত কোন ব্যক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে। তবে পুরুষ মানেই ধর্ষণকারী নয়। একজন পুরুষের বুকেই একজন নারীর সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। যদি সেই পুরুষটি হয় চরিত্রবান আর চরিত্রই হলো মানুষের অমূল্য সম্পদ। সেই নীতি আর নৈতিকতা হারিয়ে গেছে যেন এই পৃথিবী নামক গ্রহ থেকে। এই নৈতিকতার অবক্ষয় রুখতে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। বিভিন্ন দেশের আইন অনুসন্ধান করে দেখা যায়, ভারত, ইরান, চীন, গ্রিস, রাশিয়াসহ এশিয়া-ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তবে যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়েসহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ৩০ বছর কারাদণ্ড। আর লাদেশে বিদ্যমান আইনে শুধুই ধর্ষণের ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবে ধর্ষণের ফলে ধর্ষিতার মৃত্যু হলে সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ইসলামের সঙ্গে এই সংজ্ঞার তেমন কোনো বিরোধ নেই। তবে এতে কিছু অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। ইসলাম সম্মতি-অসম্মতি উভয় ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বিবাহ বহির্ভূত দৈহিক মিলনকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু এই আইনে কেবল অসম্মতির ক্ষেত্রে তাকে অপরাধ বলা হয়েছে। সম্মতি ছাড়া বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ইসলাম ও দেশীয় আইন উভয়ের চোখে অপরাধ। ইসলামে বিবাহিত কেউ ধর্ষণ বা ব্যভিচার করলে তার শাস্তি পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ডের কথা বলেছে। কারণ মৃত্যুদণ্ডের মত ভালো ঔষধ আর হতে পারে না। এর দুটি ভালো দিক আছে। এক) বর্তমান অপরাধী নির্মূল করে। দুই) একই অপরাধের জন্য নতুন অপরাধী খুবই কম তৈরি হয়। এবার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধর্ষণের শাস্তির বিধান কি তা প্রকাশ করা হলোঃ
১। বাংলাদেশঃ
বাংলাদেশে ধর্ষণের শাস্তি কি তা বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৩৭৬ ধারায় বলা হয়েছে। এই ধারায় ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এই ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ধর্ষণের অপরাধ করে, তবে সে ব্যক্তি যাবজীবন কারাদণ্ডে, অথবা দশ বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হবে, যদি না ধর্ষিত স্ত্রীলোকটি তার নিজ স্ত্রী হয় ও বারো বৎসরের কম বয়স্কা না হয়; যদি তদ্রুপ হয়, তবে সে ব্যক্তি দুই বৎসর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা অর্থ দণ্ডে, অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।’
এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯ নম্বর ধারায়ও ধর্ষণের ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের কথা বলা আছে। তবে এ আইনে ধর্ষণের ফলে মৃত্যু হলে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডে কথা বলা আছে। ৯ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তা হলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডণীয় হবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডণীয় হবেন। (২) যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তা হলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডণীয় হবেন এবং তার অতিরিক্ত অনুন্য এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডণীয় হবেন। (৩) যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন, তা হলে ওই দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডণীয় হবেন এবং তার অতিরিক্ত অনুন্য এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডণীয় হবে।’ (৪) যদি কোন ব্যক্তি কোন নারী বা শিশুকে (ক) ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডণীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডণীয় হবেন।’ তবে বিশ্বের অনেক দেশে যৌন অপরাধ আর ধর্ষণকে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে। তা্ই দেশের বিদ্যমান আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করার দাবি বারবারই উঠছে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান করার দাবি এখন বেশ জোরালো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষকদের এবং বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতকদের ‘ক্রসফায়ারে’ দেওয়ারও দাবি তুলেছেন। তবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে সংবিধান পরিপন্থি এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে মনে করেন বেশির ভাগ মানুষ। দেশি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও বরাবরই বিচারবহির্ভূত যে কোনো হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করতে চলমান দাবির প্রেক্ষিতে ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। জনগণ দ্রুত এ আইনের বাস্তবায়ন চায়।
২। ভারতঃ
প্রতিবেশি দেশ ভারতে ২০১৩ সালে ধর্ষণের শাস্তি আগের চেয়ে কঠোর করা হয়েছে। দেশটিতে বিশেষ ক্ষেত্রে ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। তবে সচরাচর ৭ বছর থেকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৩। চীনঃ
এশিয়ার বড় দেশ চীনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় ধর্ষকের যৌনাঙ্গ কেটে দেওয়া হয়।
৪। ইরানঃ
এশিয়ার আরেক দেশ ইরানে সাধারণত ধর্ষককে জনসম্মুখে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধর্ষিতার অনুমতি নিয়ে ধর্ষককে জনসম্মুখে একশ’ দোররা মারা অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৫। গ্রিসঃ
গ্রিসে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। আর এই শাস্তি কার্যকর করা হয় আগুনে পুড়িয়ে।
৬। মিশরঃ
মিশরে জনাকীর্ণ এলাকায় জনসম্মুখে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
৭। উত্তর কোরিয়াঃ
উত্তর কোরিয়ায় ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ধর্ষককে ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে মাথায় গুলি করে এই শাস্তি কার্যকর করা হয়।
৮। আফগানিস্তানঃ
আফগানিস্তানে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। আদালতের রায়ের চার দিনের মধ্যে ধর্ষকের মাথায় গুলি করে এই রায় কার্যকর করা হয়।
৯। সৌদি আরবঃ
সৌদি আরবে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। জনসম্মুখে ধর্ষকের শিরশ্ছেদ করে এই সাজা কার্যকর করা হয়।
১০। সংযুক্ত আরব আমিরাতঃ
সংযুক্ত আরব আমিরাতে যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড। রায়ের সাতদিনের মধ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সাজা কার্যকর করা হয়।
১১। ফ্রান্সঃ
ফ্রান্সে ধর্ষণের শাস্তি কি তা ভিকটিমের ক্ষতি কতটা গুরুতর, তার ওপর নির্ভর করে। সেখানে ধর্ষকের সাজা ৩০ বছরের কারাদণ্ড থেকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়ার নজির রয়েছে। তবে ১৫ বছরের কারাদণ্ডেরও বিধান আছে।
১২। নেদারল্যান্ডঃ
নেদারল্যান্ডসে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে ৪ বছর থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই দেশে যেকোনো ধরনের যৌন নিপীড়ন, অনুমতি ছাড়া জোর করে চুম্বনও এ ধরনের অপরাধ হিসেবে গণ্য করে শাস্তি দেওয়া হয়ে থাকে।
১৩। রাশিয়াঃ
বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র রাশিয়ায় ধর্ষণের শাস্তি ৩ বছর থেকে ৩০ বছর কারাদণ্ড।
১৪। যুক্তরাষ্ট্রঃ
বিশ্বের আরেক শক্তিধর রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুই ধরনের আইন প্রচলিত রয়েছে। এগুলো হলো-অঙ্গরাজ্য আইন এবং ফেডারেল আইন। ফেডারেল আইনে মামলা হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে অঙ্গরাজ্য আইনে একেক অঙ্গরাজ্যে একেক রকম শাস্তি।
১৫। নরওয়েঃ
নরওয়েতে সম্মতি ছাড়া যে কোনো যৌনতা ধর্ষণের মধ্যে পড়ে। নৃশংসতা অনুযায়ী দোষীর তিন থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হয়।
১৬। ইসরায়েলঃ
ইসরায়েলে ধর্ষণের শাস্তি ৪ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১৬ বছরের কারাদণ্ড।
১৭। মঙ্গোলিয়াঃ
ধর্ষিতার পরিবারের হাত দিয়ে ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
উপসংহারঃ উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বিভিন্ন দেশে ধর্ষণের সাজা সম্পর্কে আমরা যা জানত পারি তা হ'ল প্রতিটি দেশে ধর্ষণের কঠোর আইনী নীতি রয়েছে এবং অপরাধীর জন্য শাস্তি স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে শাস্তি তাত্ক্ষণিক মৃত্যু হলেও অন্য দেশগুলিতে মামলার চূড়ান্ততার উপর নির্ভর করে শাস্তি কয়েক বছরের জেল থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড পর্যন্ত প্রসারিত হয়। এটা খুব ভাল যে ভারতও ধর্ষণবিরোধী নতুন আইন নিয়ে এসেছে। এটি কতটা সফল হবে তা কেবল সময়ই বলে দেবে।আমাদের ভেতর লুকিয়ে থাকা কিংবা বসবাস করা অসভ্য, বর্বর মানুষগুলোকে দ্রুত বিচারের আওতায় না আনলে, আরও নতুন অসভ্য শ্রেণি তৈরি হবে। দেশকে এই পচনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ধর্ষকের দ্রুত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া উচিত। কারণ অনেক অপরাধীর কাছে জেলখানা অনেক নিরাপদ একটা জায়গা।
সূত্রঃ soolegal.com
লিংকঃ Rape Case: What is the punishment for Rape in India and other countries
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ নীল আকাশ ভাই
সুন্দর মন্তব্য প্রদানের জন্য।
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সৌদিআরবে ধর্ষন শাস্তি ব্যাপারটি অসম্পুর্ন বলেছেন।
বাস্তবতা হচ্ছে সৌদি শরিয়া আইনে ধর্ষনের কোন সংঙ্গা নেই। আছে জেনা।
শাস্তি অবস্য মৃত্যুদন্ড (শীরচ্ছেদ) ঠিক আছে।
ধর্ষণ/জেনা প্রমান করাটা অনেকটাই কঠিন।
কিন্তু জেনা বা ধর্ষণ প্রমান করতে ৪ জন প্রত্যক্ষদর্শি শাক্ষী (পুরুষ শাক্ষী) দরকার হয়। তবে সব প্রমানিত হলেও জেনার দায়ে ধর্ষনের শিকার মহিলাকেও কমবেশী শাস্তি পেতে হয়। জেনার দায়ে, বেত্রাঘাত বা শীরচ্ছেদ।
ইভেন ধর্ষণ/জেনা প্রমানিত না হলে ধর্ষক খালাস পাবে। কিন্তু অভিযোগকারিনির শাস্তি (বেত্রাঘাত) হবে জেনা এডমিট এর দায়ে, পাকিস্তানেও কিছু প্রদেশেও এরকম আইন।
অসভ্য সৌদি সমাজে দাসী নির্যাতন ধর্ষণ অনেকটাই বৈধ।
চুক্তি মাফিক নির্ধারিত বেতন কম দেয়া, বেতন আটকে রাখা, অনৈতিক ভাবে পাসপোর্ট আটকে রাখা, পদে পদে হারামিপনা।
বাপে পুতে পালাক্রমে মহিলা গৃহ শ্রমিকদের প্রতি অমানবিকতা, চুড়ান্ত পর্যায়ের পাশবিকতা এমনকি হত্যা করলেও হত্যা মামলা, ধর্ষণ মামলা কিছুই করা সম্ভব হয় না।
মামলা একবার দায়ের চেষ্টা হয়েছিল। আদালতের বিচারকও হারামির বাচ্চা।
বলে - উক্ত মহিলা কর্মি বাসার ভেতরে কাজ করে, তাই উনি কর্মচারি নন, পরিবারের একজন মহিলা সদস্য,
একা মামলা করতে পারবে না। একমাত্র পরিবারের কর্তার মাধ্যমে কর্তা নিজে বা কর্তার মাধ্যমে প্রপার চ্যানেলে মামলাটি দাখিল করলেই শুধু মামলা গ্রহন করা যাবে।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কাল বৈশাখী ভাই আমি সবসময় ধর্ম বিষয়ক পোস্ট নিয়ে আপনার
ও নতুন ভাইয়ের কাছে ভয়ে ভয়ে থাকি। আপনারা যথেষ্ঠ জ্ঞানী মানুষ
ধর্মীয় বিষয়ে তাই যথা সম্ভ্ব নিরাপদে থাকার চেষ্টা করি। যা হোক আমার
সামান্য জ্ঞানে প্রথমেই আমি পবিত্র কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়েছিঃ
ব্যভিচার সুস্পষ্ট হারাম এবং শিরক ও হত্যার পর বৃহত্তম অপরাধ। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে,
‘আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ। ’ –সূরা আল ইসরা: ৩২
ইসলাম ধর্ষণকে ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেনি। কারণ বিবাহবহির্ভূত যেকোনো যৌন সঙ্গমই ইসলামে অপরাধ।
তাই ধর্ষণও এক প্রকারের ব্যভিচার। ইসলামি আইন শাস্ত্রে ধর্ষকের শাস্তি ব্যভিচারকারীর শাস্তির অনুরূপ।
তবে অনেক ইসলামি স্কলার ধর্ষণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কিছু শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন। ধর্ষণের ক্ষেত্রে একপক্ষে
ব্যভিচার সংগঠিত হয়। আর অন্যপক্ষ হয় নির্যাতিত। তাই নির্যাতিতের কোনো শাস্তি নেই। কেবল অত্যাচারি
ধর্ষকের শাস্তি হবে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে দু’টো বিষয় সংঘঠিত হয়। ১. ব্যভিচার, ২. বলপ্রয়োগ বা ভীতি প্রদর্শন।
প্রথমটির জন্য পূর্বোক্ত ব্যভিচারের শাস্তি পাবে।
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সব অন্যায়ের দ্রুত এবং কার্যকর বিচার চাই
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভা্র্ই
আমরা্ও চাই ধর্ষকদের মৃত্যুদন্ড
যা সরকারের বিবেচনায় আছে।
৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী - ইসলামে ধর্ষণ আর জেনা এক জিনিস না। ধর্ষণের জন্য ৪ জন সাক্ষী লাগে না। আরবের খারাপ পুলিশ ও বিচারক অনেক সময় মামলা ঘুরিয়ে দেয়। ধর্ষণের ক্ষেত্রে বলে দেয় যে মেয়ের চরিত্র খারাপ এবং সে নিজের ইচ্ছায় জেনায় লিপ্ত হয়েছে। ফলে তখন তাকে অন্যায়ভাবে জেনার শাস্তি দেয়া হয়। কারণ তখন ধর্ষকরাই সাক্ষী বনে যায়। এটা ইসলামের দোষ না দোষ কিছু খারাপ লোকের।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ সাচু ভাই।
চমৎকার বিশ্লেষণের জন্য আপনাকে
অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে আমার মতে
জেনা, ধর্ষণ আর ব্যবিচার সবই এক
গোত্রীয় অপরাধ।
৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩০
সাগর শরীফ বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট!
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ সাগর ভাই
লেখাটি মনোযোগ সহকারে
পাঠ অন্তে মন্তব্য করার জন্য।
৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: মন্দ কাজ করা লকেরা সম্ভবত নাস্তিক বেসি হয়।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার এমন ধারণা হবার কারন কি জনাব ?
আস্তিকরাও অনেক মন্দ কাজ করে!
নীহি বোধহীণ মানুষ আস্তিক হোক
বা নাাস্তিক তাদের দ্বারা্ই মন্দ
কাজ সংঘঠিত হয়।
৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু,
নারী নির্যাতের বেলায় আমরা আসলেই উদার কারন আমাদের আইন আপনার দেয়া তথ্যের অনেক অনেক দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ্য নমনীয়।
আপনার পোস্টের একেবার শেষের ৩ লাইনের সূত্র ধরে বলি - কোনও শিক্ষা, কোনও মানসিকতাই নারী নির্যাতন রোধ করতে পারবেনা যদি দৃষ্টান্তমূলক, ভীতি ধরানো শাস্তি দেয়া না যায়। শুধু মৃত্যুদন্ডের আইন হলেই চলবেনা , ৭২ ঘন্টার মধ্যে দ্রুততম বিশেষ আদালতে এর বিচার করে শাস্তি প্রদান করতে হবে। আরো কঠিন কোনও শাস্তি যদি থাকে যাতে মানুষের মনে নারী নির্যাতন ভুলেও জন্ম নিতে না পারে, করতে হবে সেটাও।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ জিএস ভাই
সত্যিই তাই !! আমরা বড়ই মানবিক!! মানবাধিকার
লংঙ্খন হবে বলে আমরা মৃত্যুদণ্ড দিতে কুণ্ঠাবোধ
করি। ভয়ও পাই সম্ভবতঃ। তবে আশার কথা,
সরকারের টনক নড়েছে। ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
পাশ হলে আর দুই একটাকে মৃত্যুদণ্ড দিলে ধর্ষণ
কমবে বলে আমার বিশ্বাস।
৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
মৃত্যুদন্ড কাউকে দেয়া যাবে না, ইহা শাস্তি নয়, ইহা বেকুবী।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বেকুবী না বলেন অমানবিক !!
আপনার প্রভূর দেশে মৃত্যুদণ্ড নাই
তবে সাদারা কালোদের নির্বিচারে
হত্যা করে তাদের বেলায় কো্ন
মানবতা লঙ্ঘণ হয় না !!
৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬
জাফরুল মবীন বলেছেন: কঠিন শাস্তির বিধান থাকার পরও বিশ্বব্যাপী যৌন সহিংসতা সহনীয় পর্যায়ে নামছে না কেন নুরু ভাই?
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মবীন ভাই চমৎকার প্রশ্ন !!
তবে আমি যদি প্রকৃত কারণ
বলতে চাই তবে অনেকেরই উষ্ণার
কারণ হতে হবে। শুধু একটি কথাই
বলি তা হলো কোন সন্তানই পৃথিবীতে
ক্রিমিনাল বা ধর্ষক হয়ে আসেনা। প্রতি্টি
সন্তানই কোন না কোন মায়ের সন্তান। পিতার
কথা বাদ দিলাম। মা যদি তার সন্তানকে সঠিক
পথে চালিত করতো পারেতো তা হলে সেই সন্তান
কোন দিনই মায়ের অসম্মান করতে পারতোনা।
মা হিসেবে কি আমি আমার কর্তব্য ও দ্বায়িত্ব
পালন করেছি। প্রশ্ন সকল মায়ের কাছে।
১০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: যারা মন্দ কাজ করে তাদের কোনো ধর্ম নেই। থাকতে পারে না।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যাদের কোন ধর্ম নাই মানে নাস্তিক
তারাও অনেক ভালো ভালো কাজ করে
তবে তার পুরস্কার সে সাথে সাথে পায়।
তার জন্য্ আখেরাতে কোন পুরস্কার নাই।
১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিৎ, সেটা ফায়ারিং স্কোয়াড হোক অথবা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে। অন্য কোন বিকল্প রাখা উচিৎ না।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সম্ভব সরকার সেই পথে হাটছেন
আবু হেনা ভাই।
আশা করি আমরা এর সুফল পাবো।
একসময় এসিড সন্তাসীদের দৌরত্ব
বেড়ে ছিলো। সরকার কঠোর শাস্তির
বিধান করায় এসিড সন্ত্রাস এখন
শুণ্যের কোঠায়।
১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫২
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমার মনে হয় যারা এসিড মারত তাঁরাই ধর্ষক।চিন্তার উন্নতি।এসিড মেরে লাভ কি।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হতেই পারে,
নতুন বোতলে পুরাতন মাল।
তবে এভাবে্ আর কত কাল?
তোমার বিচার করবে যারা আজ
যেগেছে সেই জনতা !!
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩৩
নীল আকাশ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।