নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও সরোদ বাদকওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খান। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম এক সঙ্গীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ আয়েত আলী খাঁ এবং চাচা আলাউদ্দিন খাঁ। তিতাস একটি নদীর নাম খ্যাত এই সুর ও ও সঙ্গীত পরিচালক ত্রিসন্ধ্যায়, যেখানে দাঁড়িয়েছে, শ্বেত ময়ূর, যুক্তি তক্কো আর গপ্পো সিনেমাতেও অতুলনীয় মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন।১৯৮৯ সালের আজকের দি্নে তিনি ভারতের কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার ৩১তম মৃত্যুবার্ষিক। কালজয়ীউচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও সরোদ বাদক বাহাদুর হোসেন খানের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
বাহাদুর হোসেন ১৯৩১ সালের ১৯ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের এক প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ একজন প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী এবং মাতা উমর উন-নেসা। তাঁর চাচা ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ উপমহাদেশের অন্যতম একজন সঙ্গীতজ্ঞ। ছয় ভাইবোনের মধ্যে বাহাদুর পঞ্চম। তার বড় তিন বোন আম্বিয়া, কোহিনূর, ও রাজিয়া এবং বড় ভাই প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ আবেদ হোসেন খান ও ছোট ভাই সঙ্গীত গবেষক ও লেখক মোবারক হোসেন খান।
কর্মজীবনে বাহাদুর হোসেন খান ১৯৪৯ সালে বাংলাদেশ বেতারের শিল্পী হিসেবে যোগ দেন। সেখানে দুই বছর থাকার পর ১৯৫১ সালে বম্বে চলে যান। সেখানে তিনি নৃত্যশিল্পী শান্তি বর্মণের 'লিটল ব্যালে ট্রুপ'-এর সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাহাদুর হোসেন কয়েক বছর কলকাতা ও ক্যালিফোর্নিয়ায় আলী আকবর কলেজ অব মিউজিকে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে চীন, রাশিয়া, ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যে সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে পরিচিত করে তোলেন। তিনি কলকাতা ও ক্যালিফোর্নিয়ায় ‘আলী আকবর কলেজ অব মিউজিক’-এ কয়েক বছর অধ্যাপনা করেন।
ওস্তাদ বাহাদুর হেসেন খানের কয়েকটি লংপ্লেসহ অন্যান্য রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ১৯৬০ সালে ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত মেঘে ঢাকা তারা চলচ্চিত্রে জ্যোতিরিন্দ্র মিত্রের সহকারী সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সুবর্ণ রেখা দিয়ে চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি নতুন পাতা চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনার জন্য তিনি বিশেষ সম্মান লাভ করেন। এছাড়া সুর ও সঙ্গীত পরিচালনায় তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হলঃ ত্রিসন্ধ্যায়, যেখানে দাঁড়িয়ে, শ্বেত ময়ূর, তিতাস একটি নদীর নাম (১৯৭৩), গার্ম হাওয়া (১৯৭৪), যুক্তি তক্কো আর গপ্পো (১৯৭৪), অমাবস কি চান্দ (১৯৭৯)। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, ও যামিনী রায়ের ওপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্রের আবহ সঙ্গীত পরিচালনা করেন। ১৯৩১ সালের ১৯ জানুয়ারী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জন্ম নেয়া সুরের এই নিরলস সাধক স্মৃতির দেয়ালের ছবি হয়ে যান ১৯৮৯ সালের ৩ অক্টোবর। তবু উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের জোসনালোকে অনন্তকাল ধরে সৌরভ ছড়াবেন এই কিংবদন্তি। আজ তার ৩১তম মৃত্যুবার্ষিক। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও সরোদ বাদক বাহাদুর হোসেন খানের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকীতে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ধন্যবাদ নুরু ভাই আপনাকে।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: উচ্চাঙ্গ সঙ্গিত শোনার জন্য উচ্চাঙ্গের শ্রোতা চাই।সবার জন্য না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: বাদক বাহাদুর হোসেন খানকে শ্রদ্ধা জানাই।