নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
অনেকই হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর একাধিক বিয়ে নিয়ে তামশা করেন এবং প্রশ্ন ছুড়ে দেন কেন তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন? প্রশ্নকারীদের মধ্যে বিধর্মীরা যেমন আছেন তেমনি অনেক মুসলমানও রয়েছেন। গতকাল জনৈক ব্লগার আমাকে প্রশ্ন করেছেন " আপনার নবী কয়টা বিবাহ করে ছিলেন? এবং আয়েশা কে কত বছর বয়সে বিয়ে করে ছিলেন?" উত্তর না দিয়ে দৌরে পালায়েন না আবার"। প্রশ্নকারীর নাম দেখে অ্নুমিত সে মুসলমান। তিনি নবী (সঃ) কে আমার নবী বলেছেন. তবে তিনি কি তার নবী নন! আমি তার জবাবে বলেছিলাম, তিনি আমার নবী (সঃ) ভালো বলেছেন, আপনার তো না। তাই তাঁকে নিয়ে আপনার সাথে আলাপ করতে চাইনা। আপনি থাকেন আপনাকে নিয়ে ! কিন্তু আজ ভাবলাম, আস্তিক হোক বা নাস্তিক প্রশ্নকারীর উত্তর দেওয়া বা তার ভুল সংশোধন করা আমার দ্বায়িত্ব। তাই তার প্রশ্নের জবাবে বলছিঃ রসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁর জীবদ্দশায় ১১ জন স্ত্রী ছিলেন। হযরত খাদিজার জীবিত কালে তিনি আর কোন স্ত্রী গ্রহণ করেননি। মুসলিম জীবনীকারদের বর্ণনামতে, হযরত খাদিজার মৃত্যুর পর নবী আরও ১০ জন স্ত্রী গ্রহণ করেন। অর্থাৎ তার স্ত্রীর সংখ্যা সর্বমোট ১১ জন। এঁদের অনেকেই ছিলেন বিধবা বা যুদ্ধে স্বামীহারা অথবা স্বামী পরিত্যক্তা কিংবা দুস্থ। কোনো বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আল্লাহর সরাসরি নির্দেশে। কেন হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এই এগারটি বিয়ে করেছেন তার স্পষ্ট জবাব স্বয়ং আল্লাহ সোবহানুতালা। যারা নবী (সঃ) এর একাধিক বিয়ে নিয়ে হাস্য তামাশ করেন করেন তাদের বিশেষ করে তামাশাকারী মুসলমানদের জন্য এই বিষয়টি জেনে রাখা খুবই জরুরী। আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে বলেন ‘হে নবী, আমি আপনার জন্য বৈধ করেছি আপনার স্ত্রীদেরকে যাদের আপনি দেনমোহর দিয়েছেন …আর কোন ঈমানদার নারী নবীর কাছে নিবেদন করলে আর নবী তাকে বিয়ে করতে চাইলে সে বৈধ। আর এ শুধু আপনারই জন্য, বাকী মুমিনদের জন্য নয় ‘। [সূরা আহযাব ৩৩:৫০] এই আয়াতের ব্যখ্যা দেয়া হয়েছে একেবারেই পরিস্কারভাবে। এটি জেনে রাখলে অমুসলমান ও মুসলিম ধর্মের হয়েও যারা শরীয়াহ বিষয়ে ভালো জ্ঞান রাখেন না তাদের জবাব দেয়া যাবে হাদিসে বণির্ত বিভিন্ন ব্যখ্যার মধ্যে দিয়ে। একথা অনস্বীকার্য যে রসুল (সঃ) কোন সাধারণ মানুষ ছিলেন না। তিনি আল্লাহর প্রেরিত রসুল (সঃ) সমগ্র মানব জাতীর শ্রেষ্ঠ মানুষ। কারণ রাসুলের কাছে ওহী নাযিল হত কিন্তু সাধারণ মানুষেরৎ কাছে নাযিল হয় না । * রাসুলকে আল্লাহ্ বিশেষভাবে মেরাজে নিয়ে গেছেন , আমাদের ক্ষেত্রে এটা অসম্ভব এখানে আমলের কিছুই নাই। তাই রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর জন্য শারিয়াহ কিছুটা ভিন্ন ছিল। নবীজির জন্য ইসলামি আইন সাধারণ মুসলমানদের চেয়ে অনেক কঠিন ছিল। যেমন চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করা , মেরাজে যাওয়া , প্রতিরাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া তাঁর জন্য ওয়াজিব ছিল, একবার যুদ্ধের সরঞ্জাম পড়ে ফেলার পর যুদ্ধে না যাওয়া তাঁর জন্য হারাম ছিল। দান গ্রহণ ও মৃত্যুর সময় একটা পয়সা পরিমাণ সম্পদ রেখে যাওয়া তাঁর জন্য হারাম ছিল। তাঁর বংশধরদের কেউ খুব দরিদ্র হলেও যাকাত নিতে পারবেন না বলে কঠোর বিধান রয়েছে। স্ত্রীদের ব্যাপারেও তার বিধান আল্লাহ একটু অন্যরকম দিয়েছেন। এটিই আল্লাহর নির্দেশনা। এমন অনেক হাদিস আছে যা রাসুল (সা) এর জন্য খাস উম্মতের জন্য তা পালনীয় নয় । রাসুল (সাঃ) আমাদের সুন্নাহ মানতে বলেছেন হাদিস না। রাসূল (সাঃ) যে সকল নারীদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাদেরকে উম্মা হাতুল মু’মিনীন অর্থাৎ মুসলমানদের মাতা হিসেবে অভিহিত করা হয়। কোরআনে এসেছে -“নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ এবং তার স্ত্রীগণ তাদের মাতা”( সূরা : আহযাব-০৬)
নবী মোহাম্মদ (সঃ) এর স্ত্রী গনের নামঃ
১। খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ
২। সাওদা বিনতে যামআ
৩। আয়িশা বিনতে আবু বকর
৪। হাফসা বিনতে উমর
৫। যয়নাব বিনতে খুযাইমা
৬। উম্মে সালামা হিন্দ বিনতে আবী উমাইয়্যা
৭। জয়নাব বিনতে জাহাল (রা.)
৮। জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিছ ইবনে আবি যারার
৯। উম্মে হাবিবা (রা.)
১০। সফিয়্যা বিনতে হুওয়াই
১১। মাইমুনা বিনতে হারিছ ইবনে হাযন
এবার জানা যাক নবী মোহাম্মদ(সঃ) একাধিক বিয়ের কারনঃ
১। হযরত খাদিজা (রা) মৃত্যুর পরে । রাসুল (সা) হযরত সওদা (রা) কে বিয়ে করেন রাসুলের চার কন্যা সন্তানকে দেখভালের জন্য ।
২। বনু মুস্তালিক গোত্রের নেতা হারেসার কন্যা জুহাইরিয়া (রা) কে রাসুল (সা) বিয়ে করেন । হারেসা হয়ে গেল রাসুলের শ্বশুর , এই দিকে বিবেচনা করে রাসুল (সা) এর সাথে বনু মুস্তালিক গোত্রের সবাইকে মুক্ত করে দেন এবং এতে দুই গোত্রের মাঝে আত্মীয়তার সম্পর্ক হয় ।
৩।হযরত সাফিয়া (রা) বিয়ের ফলে যুদ্ধ তৎপরতা বন্ধ হয়ে যায় । রাসুল (সঃ)এর সাথে সন্ধি করে ইহুদীরা খয়বারে বসবাস করতে থাকে ।
৪। নিজের কাছের সাহাবীদের সাথে সম্পর্ক আরও মজবুত , আরও শক্তিশালী করার জন্য তিনি তাঁদের সাথে সম্পর্ক করেছেন । হযরত উমর (রা) এর কন্যা হাফসা (রা) কে এবং আবু বকর (রা)এর কন্যা আয়েশা (রা) কেও রাসুল (সাঃ) বিয়ে করেন। শুদু কি তাই? নবীজি নিজের কন্যা ফাতিমাকে (রা) কে আলীর (রা) সাথে এবং কুলসুম আর রুকাইয়া (রা) বিয়ে দেন উসমান (রা) এর সাথে । ইসলামের ইতিহাস দেখুন । নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর ওফাতের পরে এই চারজনকেই ধারাবাহিক ভাবে খলিফা তথা মুসলিমদের আমীর নির্বাচিত করা হয় এতে বুঝা যায় রাসুল (সা) এর কৌশলটি কত সুদূর প্রসারিত ছিল ।
৫। হযরত জয়নাব (রা) কে বিয়ে করেন সমাজের মিথ্যা কুসংস্কার দূর করার জন্য ।
৬। উম্মে হাবিবাহ (রা) কে বিয়ে করার পর তার পিতা কুরাইশ নেতা আবু সুফিয়ান আর রাসুল (সাঃ) এর প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেন না বরং ৮ম হিজরিতে রমজান মাসে মক্কা বিজয়ের পূর্বরাতে তিনি ইসলাম গ্রহন করেন ।
৭। হযরত মায়মুনা বিনতুল হারেছকে বিয়া করার ফলে নাজদ বাসীদের অব্যাহত শত্রুতা ও ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । অথচ এই নাজদবাসীরাই ৭০ জন সাহাবীদের দাওয়াত এর বাহানায় নির্মমভাবে হত্যা করেছিল । এই ঘটনা বিরে মাউনার ঘটনা নামে প্রসিদ্ধ । মহানবী (সা.)-এর এসব বিয়ের মধ্যে কোনো শারীরিক চাহিদাও ছিল না। বরং বিভিন্ন গোত্রের সঙ্গে তিনি বিয়ের মাধ্যমে একটি শক্তি সমাবেশও করে থাকবেন, যা দেখে তত্কালীন কাফের-মুশরিকরাও সন্ত্রস্ত হয়ে উঠেছিল। ইসলামী শরিয়ায় এ জন্য শারীরিক প্রয়োজনে অধিক স্ত্রী রাখার প্রবণতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সীমারেখায় অনধিক চার স্ত্রী থাকলেও সবার অধিকার আদায় না করতে পারলে তাকে অন্যায় ও জুলুম বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৮। এছাড়া আরও কারন আছে । পুরুষরা সরাসরি রাসুল (সা) থেকে মাসালা মাসায়েল জেনে নিত যা নারীরা পর্দার কারনে সেই সুযোগ ছিল না । রাসুল (সা) এর থেকে জেনে তাঁর স্ত্রীরা মাসালা জেনে তা অন্য মহিলাদের জানিয়ে দিত ।
একজন মানুষ যৌ্বনে উপনিত হলে প্রাবৃতিক নিয়েমেই বিপরীত লিংগের প্রতি আগ্রহী হয়, বিয়ে করে। কিন্তু সঙ্গত কারণেই যৌবনে নবীজি ওই রেওয়াজের পথেও হাঁটেননি। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বয়স যখন ২৫ বছর তখন তাঁর সাথে বিয়ে হয় ৪০ বছর বয়সের মহিলা খাদিজা (রা) এর সাথে । প্রশ্ন আসে যে, একজন সুদর্শন পুরুষ , যখন তাঁর টগবগে তারুণ্য ভরা যৌবনকাল, ঠিক তখন কিসের জন্য তিনি ৪০ বছরের একজন নারীকে বিয়ে করলেন, যখন তাঁর যৌবনকাল ডুবি অবস্থায় ? শুদু তাই নয়এই ৪০ বছরের খাদিজা (রা) ছিলেন একজন বিধবাও । যুবক হিসেবে একজন যুবতি নারীকেই বিয়ে যৌক্তিক ছিল , কেন তিনি ৪০ বছরের মেয়ে বিয়ে করলেন ?
হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর পূণ্যবতী স্ত্রীগণঃ
১। হযরত খাদিজা রাঃ হযরত খাদিজা রাঃ এর সাথে রাসূল সাঃ এর বিবাহ হয়,যখন রাসূল সাঃ এর বয়স ছিল ২৫ বছর। আর হযরত খাদিজা রাঃ এর বয়স ছিল ৪০ বছর। হযরত খাদিজা রাঃ এর সাথে রাসূল সাঃ সংসার করেন ২৫ বছর। অর্থাৎ হযরত খাদিজা রাঃ এর ইন্তেকালের সময় রাসূল সাঃ এর বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। এই ২৫ বছরের মাঝে রাসূল সাঃ দ্বিতীয় কোন বিবাহ করেননি। ২৪ বছর বয়স পর্যন্ত নবী (সাঃ) অবিবাহিত ছিলেনঃ
--- ২৫ থেকে ৫৩ বছর বয়স পর্যন্ত নবী সা: এর মাত্র একজন স্ত্রী ছিলেন
--- ৫৩ থেকে ৬৩ বছর বয়সের মধ্যে নবীর সা: বাকি বিয়ে গুলো সম্পন্ন হয়।
২। হযরত সাওদা রাঃ হযরত খাদিজা রাঃ এর ইন্তেকালের পর সর্বপ্রথম রাসূল সাঃ বিয়ে করেন হযরত সাওদা রাঃ কে। যার স্বামী হিযরত করে হাবশা গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি ইন্তেকাল করেন। ফলে হযরত সাওদা রাঃ বিধবা হয়ে যান। তখন রাসূল সাঃ তার কষ্ট লাঘবের জন্য বিবাহ করেন।
৩। হযরত আয়শা রাঃ আয়েশা (রাঃ) ছিলেন মুহাম্মদ (সাঃ)এর বন্ধু হযরত আবু বকর (রাঃ) এর কন্যা। বিয়ের সময় আয়েশার বয়স ছিল মাত্র ৬ অথবা ৯ বছর। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমতী। আয়েশার স্মরন শক্তিও ছিল অসাধারন। হযরতআয়েশা (রাঃ)হুযুর সাঃ মৃত্যুর প র সবচেয়ে বেশী দিন বেচে ছিলেন এবং তিনিই স্ত্রীগনেরমধ্যে সবচেয়ে বেশী হাদীস বর্ননা ক রে গেছেন। এখন প্রশ্ন হল মুহাম্মদ কেন মাত্র ৬ অথবা ৯ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন? হযরত আবু বকর রাঃ তার কন্যা হযরত আয়শা রাঃ এর বিবাহ এক কাফির যুবায়ের বিন মুতয়িম এর সাথে ঠিক করা ছিল। কিন্তু তার পিতা সেই বিবাহ রদ করে দেয় এ শংকায় যে, তার ছেলে মুসলমান হয়ে যেতে পারে। এ ছিল পরিস্থিতি। মুসলিম কন্যাদের মুসলিমদের সাথে বিবাহ দেয়া ছাড়া কোন গত্যান্তর ছিল না। উক্ত বিবাহ নাকচ হয়ে যাবার পর হযরত আবু বকর রাঃ তার কন্যা আয়শা রাঃ এর সাথে রাসূল সাঃ এর বিবাহ দিয়ে দেন। মুহাম্মদ সাঃ আয়েশা রাঃ কে প্রাথমিক যে তিন কারণের জন্য বিয়ে করেছিলেনঃ ক) আবু বকর রাঃ সাথের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আত্মীয়তার মজবুত বাঁধনে পর্যবেশিত করে রাখা। খ) আয়েশা রাঃ ইসলামের বিধি বিধান শিক্ষা এবং তৈরী করা যাতে তিনি ইসলামের বিধি বিধানকে সংরক্ষণ, (বিশেষ করে নারীদের জন্য একান্ত বিষয়াদি) রাসুল সাঃ জীবন ইতিহাস, আল কোরআনের আয়াতের নাজিলের কারণ এবং মানুষকে তাঁর সঠিক শিক্ষাদান করতে পারেন। গ) উনাকে সে ভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল যাতে তিনি উনার সম্পূর্ণ সক্ষমতাকে ইসলামের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
৪। হযরত হাফসা রাঃ হযরত উমর রাঃ এর কন্যা হযরত হাফসা রাঃ ও তার স্বামীর সাথে হিযরত করেন। কিন্তু তার স্বামীও ইন্তোকাল করেন। তখন হযরত উমর রাঃ তার কন্যাকে বিয়ে করার জন্য প্রথমে হযরত উসমান রাঃ কে, তারপর হযরত আবু বকর রাঃ কে অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা উভয়ে অস্বিকৃতি জানালে রাসূল সাঃ হযরত হাফসা রাঃ কে বিবাহ করেন।
৫। উম্মুল মাসাকীন হযরত যয়নব বিনতে খুজাইমা রাঃ যার স্বামী উহুদ যুদ্ধে শহীদ হয়ে যান। তারপর রাসূল সাঃ ৩য় হিজরীর রমজান মাসে বিবাহ করেন। মাত্র আটমাস তার বিবাহাধীনে থেকে বিয়ের পরবর্তী বৎসরেই ৪র্থ হিজরীর রবিউস সানি মাসে তার মৃত্যু হয়। শুধুমাত্র তিনি এবং খাদিজা এই দুজনই মুহাম্মাদ এর জীবদ্দশায় মারা যান। বিভিন্ন বর্ণনামতে, তিনি অত্যন্ত দানশীলা মহিলা ছিলেন। ইসলাম-পূর্ব যুগেও একারণে তাকে উন্মুল মাসাকীন (গরিবের মা) বলে ডাকা হতো।
৬। হযরত উম্মে সালামা রাঃ উম্মে সালামা হিন্দ বিনতে আবী উমাইয়্যা যার স্বামীও কাফিরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে হিযরত করেছিলেন। ৪র্থ হিজরিতে তার প্রথম স্বামী আবু সালামা এক যুদ্ধে শহীদ হন।অতঃপর রাসূল সাঃ উক্ত বিধবা নারী হযরত সালমা রাঃ কে বিবাহ করেন।
৭। রায়হানা বিনত যায়েদঃ রায়হানা বিনত যায়েদ ছিলেন বানু নাদির গোত্রের একজন ইহুদী নারী যিনি মুসলমানদের নিকট "উম্মুল মুমেনীন" (ইসলামের নবী মুহাম্মাদের স্ত্রী) হিসাবে সম্মাণিত।
৮। হযরত যয়নব বিনতে জাহাল রাঃ জয়নাব বিনতে জাহাল (রা.) : তিনি ছিলেন নবী (সা.)-এর ফুফাতো বোন। নবী (সা.) প্রথমে তাঁর এই বোনকে তাঁর পালকপুত্র জায়েদ (রা.)-এর সঙ্গে বিয়ে দেন। এই বিয়েতে গোড়া থেকেই জয়নাব (রা.)-এর আপত্তি ছিল। ফলে তাঁদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয়নি। পরে তাঁদের পারিবারিক জীবনে বিচ্ছেদ ঘটে। জয়নাব (রা.)-এর আপত্তিতে এ বিয়ে সংঘটিত হওয়ায় এবং পরে বিচ্ছেদ ঘটায় নবী (সা.)-এর মনে কিছুটা অনুশোচনা আসে। এ থেকে জয়নাব (রা.)-কে নিজে বিয়ে করার প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও তত্কালীন আরবের কুসংস্কারের জন্য তা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। পরে পবিত্র কোরআনের সুরা আহজাবে আয়াত নাজিল হয়। সেখানে পালক ছেলে ও ঔরসজাত সন্তান সমতুল্য নয় বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। ফলে অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে কুসংস্কার নির্মূল করার উদ্দেশ্যে নবী (সা.)-এর মাধ্যমে সেই বিধান বাস্তবায়ন করে দেখানোর প্রয়োজন অনুভূত হয়। তখনই জয়নাব (রা.)-এর সঙ্গে নবী (সা.)-এর বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
৮। জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিছ ইবনে আবি যারারঃ জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিছ ছিলেন বনু মুস্তালিক গোত্রের সঙ্গে দাঙ্গার ফলে আটক হওয়া যুদ্ধবন্দী, যিনি উক্ত গোত্রের সর্দারের কন্যা ছিলেন। তার স্বামী, মুস্তফা বিন সাফওয়ান, উক্ত দাঙ্গায় নিহত হন। নিয়মানুযায়ী জুয়াইরিয়া প্রাথমিকভাবে সাহাবী সাবিত বিন কায়েস বিন আল শাম্মাসের গনিমতের (যুদ্ধলব্ধ সম্পদ) ভাগে পড়েন। বন্দী অবস্থাতেই, জুয়াইরিয়া মুহাম্মাদ এর কাছে গিয়ে অনুরোধ করেন যে, গোত্রপ্রধানের কন্যা হিসেবে তাকে যেন মুক্তি দেয়া হয়, মুহাম্মাদ এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ইত্যবসরে, তার বাবা তাকে মুক্ত করতে মুহাম্মাদের কাছে মুক্তিপণ দেয়ার প্রস্তাব করলেন, কিন্তু মুহাম্মাদ উক্ত প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করলেন। এরপর হযরত মোহাম্মদ (সঃ) জুয়াইরিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন এবং জুয়াইরিয়াও রাজি হলেন। যখন সবাই জানতে পারল যে বনু মুস্তালিকের সাথে ইসলামের নবীর বৈবাহিক আত্মীয়তা তৈরি হয়েছে, তখন মুসলিমগণ উক্ত গোত্রের যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি দিতে শুরু করলেন। এভাবে, জুয়াইরিয়ার সাথে মুহাম্মদ (সঃ)র বিয়ে ইতোপূর্বে তার দ্বারা বন্দী হওয়া প্রায় শত পরিবারের মুক্তির কারণ হয়ে উঠলো।
৯। উম্মে হাবিবা (রা.) : মহানবী (সা.)-এর চাচা আবু সুফিয়ানের কন্যা। প্রথমে উবায়দুল্লাহ বিন জাহালের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। দুজনই ইসলাম গ্রহণ করেন এবং আফ্রিকার হাবশায় হিজরত করেন। কিন্তু সেখানে উবায়দুল্লাহ খ্রিস্টান হয়ে যান। উবায়দুল্লাহ থেকে উম্মে হাবিবাকে মুক্ত করতে তিনি হাবশার বাদশাহ নাজ্জাশির মাধ্যমে চাচাতো বোন উম্মে হাবিবা (রা.)-কে বিয়ে করেন।
১০। রামালাহ বিনতে আবী-সুফিয়ানঃ তিনি উম্মে হাবিবা নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি কুরাইশ নেতা আবু সুফিয়ানের কন্যা ছিলেন এবং পিতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তিনি মুসলিম হন। আবিসিনিয়ায় হিজরতকারীদের মধ্যে তিনি একজন ছিলেন। হিজরতের পর তার স্বামী খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন, অপরদিকে তিনি ইসলামে অনড় থেকে যান। হিজরতে থাকাকালীন সময়ে তার স্বামীর মৃত্যু হলে মুহাম্মাদ তাকে বিবাহের প্রস্তাব পাঠান। মুসলিমদের সাথে কুরাইশদের যুদ্ধ নিরসনকামী হুদায়বিয়ার চুক্তির পরপরই রাসূল সাঃ সমসাময়িক ইসলামের প্রতিপক্ষ ও কুরাইশ নেতা আবু সুফিয়ানের এই কন্যাকে বিবাহ করেন, যাতে করে মুসলিমদের সাথে কুরাইশদের তৎকালীন শত্রুতা আরও কমে আস।
১০। হযরত সফিয়্যাহ রাঃ সাফিয়া (রা.) ছিলেন নবীদেরই বংশধর। হজরত মুসা (আ.)-এর ভাই হজরত হারুন (আ.)-এর অধস্তন বংশধারার কন্যা। প্রথমে কিনানা ইবনে আবিলের স্ত্রী ছিলেন তিনি। কিনানার মৃত্যুর পর মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
১১। হযরত মাইমুনা রাঃ তিনিও হিজরত করেছিলেন। বিধবা হবার পর রাসূল সাঃ এর বিবাহে আসেন। যয়নব বিনতে জাহাল রাঃ ছাড়া বাকিরা সবাই ইসলামের শুরু যুগেই ইসলাম কবুল করেন। তারপর কাফেরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাধ্য হয়ে মাতৃভূমি ত্যাগ করে পরবাসে চলে যান। কিন্তু সেখানে তাদের স্বামীগণ ইন্তেকাল করলে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েন। কোথায় যাবেন? কার কাছে যাবেন? আপন বাড়িতে ফিরে গেলে কাফির আত্মীয় স্বজন অত্যাচার নিপিড়ন করে ধ্বংস করে ফেলবে। এরকম অসহায় হালাতে পড়া নারীদের রাসূল সাঃ স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে সম্মানিত করেন।
এ ছিল রাসূল সাঃ এর এগারটি বিবাহের হালাত। যা পরিস্কার প্রমাণ করে, রাসূল সাঃ প্রথম বিয়ে করেছিলেন সাধারণ নীতি অনুপাতে। কিন্তু বাকি দশ বিবাহ করেছেন পরিস্থিতি, পারিপার্শিকতার স্বীকার হয়ে। দ্বীনী ফায়দার উদ্দেশ্যে। শুধু নিজের খাহেশের কারণে অধিক বিবাহ রাসূল সাঃ করেননি। মহানবী (সা.)-এর এত বেশি বিয়ে আজকের যুগে অস্বাভাবিক মনে হলেও তত্কালীন আরব জগতে এটা ছিল খুবই স্বাভাবিক। ওই সময় আরবে বহু বিবাহ একটি রেওয়াজ ছিলো। কোরআন নাযিলের পরেও বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে কোনো কোনো পুরুষ ১০০টি, কেউ ৮০টি বিয়ে করেছেন। ভারতীয় উপমহাদেশেও এর উদাহরণ রয়েছে। এ ছাড়া আগের নবীদের ইতিহাসে দেখা যায়, সুলায়মান (আ.)-এর ৭০০ স্ত্রী ছিল, দাউদ (আ.)-এর ৯৯ জন এবং ইব্রাহিম (আ.)-এর তিনজন, ইয়াকুব (আ.)-এর চারজন, মুসা (আ.)-এর চারজন স্ত্রী ছিলেন। আমাদের নবীজি বেঁচেছিলেন ৬৩ বছর। সেখানে ৫০ বছর পর্যন্ত মাত্র একজন স্ত্রীই ছিলো তার। এর পরে আয়াতের বিষয় আমলে নিয়ে সন্মানার্থে কয়েকজনকে তিনি স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ধন্য করেছেন। মুহাম্মদ (সা.)-এর বিয়ে প্রায় সবগুলোই মানবিক, একটি কোরআনের আয়াতের বাস্তবায়ন, দু-একটি ইসলামী শরিয়া বাস্তবায়ন। কেউ কেউ ছিলেন মহানবী (সা.)-এর বৃহত্তর পরিবারের সদস্য, ফুফাতো বোন অথবা চাচাতো বোন। অনেক বিধবা-অসহায় নারীকে তিনি নিজ স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে সম্মানিত করেছেন। একজন বাদে কেউই কুমারী ছিলেন না; বরং মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে অনেকের বিয়ে হয়েছিল, যাঁদের অনেক সন্তান ছিল, তা নিয়েই। আর এ শুধু মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর জন্য, বাকী মুমিনদের জন্য নয়। তারণ রাসূল সাঃ সমগ্র মানবজাতির জন্য সমগ্র বিষয়ে আদর্শ হিসেবে প্রেরীত হয়েছেন। তাই রাসুল (সঃ) এর জন্য বিশেষ ক্ষেত্রে ১১ বা একাধিক স্ত্রী কিন্তু উম্মতের জন্য ৪ টি তবে তাও সমস্যা সামাল দেওয়ার জন্য । না হলেএকটিই উত্তম। তাই পরকালে নাজাত প্রত্যাশীদের জন্য বিশেষ কারণে সর্বোচ্চ ৪ স্ত্রীর বিধান মানার জন্য কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
উপসংহারঃ একখা দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে স্মরণে রাখতে হবে যে, রাসূল সাঃ একজন সাধারণ ব্যক্তি ছিলেন না। তিনি একজন নবী ছিলেন। সেই সাথে একজন রাষ্ট্রনায়ক। চতুর্মূখী ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ইসলাম নামক জান্নাতী ধর্মকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে আদিষ্ট ছিলেন। এ কারণে পরিবেশ পরিস্থিতিকে শামাল দিতে অনেক বিষয়ের সম্মুখিন হতে হয়। রাজনৈতিক জটিলতায় পড়তে হয়েছে। সেখানে একাধিক বিবাহ করার সুযোগ অনেক জটিল পরিস্থিতি সামাল দেবার হাতিয়ার হয়েছিল। রাসূল সাঃ এর বিয়েকৃত নারীদের হালাত দেখলেই তা আমাদের কাছে পরিস্কার হয়ে যাবে। এরপরও যারা আমাদের শ্রেষ্ঠ নবী, উত্তম আখলাক ও শ্রেষ্ঠ চরিত্রবান নবীজী সাঃ এর পবিত্র সত্বা নিয়ে অপবাদে খড়গ তুলে তাদের জ্ঞানপাপী বা মুর্খদের আমরা শুধু এটুকু নসিহত করতে পারি যে আমরা যেন আমাদের অজ্ঞতার বশবর্তী হয়ে মহামানব হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর জীবনের কোন কিছু নিয়ে সংশয় ও অহেতুক কৌতুহল ও তামাশা করে নিজের ঈমানকে দূর্বল না করি। মনে রাখতে হবে আল্লাহ ও রসুলের কোন বি্ধানের বিরুদ্ধাচারণ বা উপহাস মনে আল্লাহর সাথে যিহাদ করার সামিল। আমরা যেন আমাদের অজ্ঞতার কারণে এমন ভুল না করি আল্লহ আমাদের সহি বুঝ বুঝবার তৌফিক দান করুন। আমিন
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ রিফাত ভাই
মহানবী (সঃ) সম্পর্কে আমার ক্ষৃদ্র প্রয়াসকে
আগ্রহ নিয়ে পাঠ করার জন্য। আল্লাহ আপনাকে
এর পুরস্কার দান করুন। আমিন
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম নবিজীর বিবাহের কারন গুলো। খুব ভালো।
এদিকে মানুষ যখন মন্দ কাজ করে, তখনও সে মন্দ কাজের কারন দেখাতে পারে।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মন্দ কাজের কারণ যে মন্দ কাজ করে
সে দেখানোর চেষ্টা করেতে পারে তবে
তা সবার কাছে গ্রহনীয় নয়। চোর যুক্তি
দেবে পেটের দ্বায়ে সে চুরি করেছে তাই
বলে কি তার চুরি করা বৈধ হবে? আর
মহানবী (সঃ)এর সাথে অন্য কারো
তুলনা হতে পারে কি?
৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যিনি আপনার পোস্টে রসুল (সাঃ) কে নিয়ে মন্তব্য করেছেন তিনি বলেছেন ' আপনার নবী'। এটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে ওনার নবী হিসাবে মানতে তিনি নারাজ। কাজেই উনি কি রকমের মুসলমান সেটা আমরা বুঝতে পারছি। কাজেই এই রকম নবী বিদ্বেষী লোকদের কথাকে একদম গ্রাহ্য করবেন না। আপনি আপনার মত ধর্ম নিয়ে লিখে যান। কিছু লোক সমস্যা করার চেষ্টা করবে এটা মাথায় রেখেই লিখতে হবে।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ সাচু ভাই
সাথে থাকার জন্য। আমী নবী
বিদ্বেষীদের আমি মন থেকে ঘৃনা
করি। আর এই গৃনা যেন মৃত্যুর আগ
পর্যন্ত জারি থাকে তার জন্য দোয়া করবেন।
৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১৮
নতুন বলেছেন: ১০। হযরত সফিয়্যাহ রাঃ সাফিয়া (রা.) ছিলেন নবীদেরই বংশধর। হজরত মুসা (আ.)-এর ভাই হজরত হারুন (আ.)-এর অধস্তন বংশধারার কন্যা। প্রথমে কিনানা ইবনে আবিলের স্ত্রী ছিলেন তিনি। কিনানার মৃত্যুর পর মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
উনি ইহুদী বংশধর ছিলেন, স্বামী এবং বাবা মারা যাবার পরে উনি মুসলমানের হাতে ধরা পরেন। উনি মুসলমান হতে রাজি হয় এবং পরে রাসুল সা: তাকে বিয়ে করেন।
আপনি কি এই একই সাফিয়া রা: এর কথা বলেছেন?
আসল সত্য অনেক জটিল, সেটা অনেকেই সামনে আনতে চায় না।
https://en.wikipedia.org/wiki/Safiyya_bint_Huyayy
Early life
Safiyya was born in Medina to Huyayy ibn Akhtab, the chief of the Jewish tribe Banu Nadir. Her mother, Barra bint Samawal, was from the Banu Qurayza tribe. She was the granddaughter of Samaw'al ibn Adiya from the Banu Harith tribe.[citation needed] According to a source, she was a new bride [3]
When the Banu Nadir were expelled from Medina in 625, her family settled in Khaybar, an oasis near Medina.[3] Her father and brother went from Khaybar to join the Meccan and Bedouin forces besieging Muhammad in Medina during the Battle of the Trench. When the Meccans withdrew Muhammad besieged the Banu Qurayza. After the defeat of the Banu Qurayza in 627 Safiyya's father, a long-time opponent of Muhammad, was captured by the Muslims.[4]
It is related that she bore the mark of a bruise upon her eye; when the prophet asked her tenderly the cause, she told him that, being yet Kenāna's bride, she saw in a dream as if the moon had fallen from the heavens into her lap; and that when she told it to Kenāna, he struck her violently, saying: 'What is this thy dream but that thou covetest the new king of the Ḥijāz, the Prophet, for thy husband!' The mark of the blow was the same which Moḥammad saw.
Battle of Khaybar
Main article: Battle of Khaybar
In summer 625, Muhammad went to the Nadir quarter to ask them to contribute towards the army, secondary to Umayya's killing of two men from Banu Kilab. Huyayy agreed to give it to him, but as Muhammad was waiting by the wall of one of their houses their plan to assassinate Muhammad became apparent, the prophet hurried away along with his companions and returned to Medina. When his followers asked him why he had left in such a hurry, He replied that the Angel Gabriel had warned him that Huyayy ibn Akhtab was urging the Jews to kill him and that 'Amr ibn Jahsh had volunteered to drop a rock onto his head, which was the similar method the Jews used to assassinate Zechariah.
Huyayy came to Ka'b ibn As'ad, the chief of the Banu Quraiza in Medina, but failed to incite him to war against Muhammad.[5]
Because of this action, Muhammad ended alliance with the Nadir tribe and that act of treachery from the Jews meant that they were at war with one another. He then sent one of his companions (Muhammad bin Muslimah) to issue an ultimatum to the Jews. They were to leave Medina within a specified amount of time. When the Jews refused to leave at the behest of fake Muslims (The Hypocrites) Muhammad decided to take military action and besieged the Jews in their fortresses. After six nights of this, the Jews agreed to lay down arms and they were given safe passage out of Medina; they were also allowed to take all of their belongings with them except their military arms. From there the Jews settled in Khaybar and some in Syria.[6]
In May 629, the Muslims defeated several Jewish tribes (including the Banu Nadir) at the Battle of Khaybar. The Jews had surrendered, and were allowed to remain in Khaybar on the provision that they give half of their annual produce to the Muslims. The land itself became the property of the Muslim state.[7] This agreement, Stillman says, did not extend to the Banu Nadir tribe, who were given no quarter.[8] Safiyya's husband, Kenana ibn al-Rabi, was killed later.[9]
Marriage to Muhammad
Muhammad suggested that Safiyya convert to Islam, she agreed and thus became Muhammad's wife.[10] Safiyya did not bear any children to Muhammad.[11]
According to Muhammad al-Bukhari, Muhammad stayed for three days between Khaybar and Medina, where he consummated his marriage to Safiyya. His companions wondered if she was to be considered a slave (ma malakat aymanukum) or a wife. The former speculated that they would consider Safiyya as Muhammad's wife, and thus "Mothers of the Believers", if Muhammad ordered her to veil herself, else she would be his servant-girl.[12]
Despite her conversion, Muhammad's other wives teased Safiyya about her Jewish origin. Doubts about Safiyya's loyalty to Islam and the suspicion that she would avenge her slain kin are themes in the Sirah Rasul Allah (biographies of Muhammad).[13] In these stories, Muhammad or Umar express great displeasure at such doubts and reaffirm her loyalty.[2][3]
Regarding Safiyya's Jewish descent, Muhammad once said to his wife that if other women insulted her for her "Jewish heritage" and were jealous because of her beauty, she was to respond, "Aaron is my father, Moses my uncle, and Muhammad my husband."[14]
In Jewish sources:
Ten Kings Midrash:
“At the beginning of his (Muhammad's) dominion, when he goes forth, he will seek to do harm to Israel, but great men of Israel will join with him and give him a wife (Safiyya) from among them, and there will be peace between him and Israel. He will conquer all the kingdom and come to Jerusalem and bow down there and make war with the Edomites (Byzantines) and they will flee before him and he will seize the kingship and then he (Muhammad) will die.”[15]
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নতুন ভাই আপনার রেফারেন্সের জন্য ধন্যবাদ। তবে আমি বিশ্বাস করি নবীজী যা করেছেন
তার মধ্যে অবশ্যই মঙ্গল নীতিহ। যদিও আমরা তা বুঝতে পারিনা। সে যা হোক
খয়বর যুদ্ধ শেষে যখন যুদ্ধবন্দীদের একত্রিত করা হয় তখন দাহিয়া কালবি (রা)
এসে বলল ,হে আল্লাহ্র রাসুল (সা) আমাকে বন্দীদের থেকে একটা দাসী প্রদান করুন ।
নবীজি (সা) বললেন যাও একজন দাসী নিয়ে যাও । তখন তিনি সাফিয়া (রা)কে নিয়ে যান ।
এক ব্যাক্তি রাসুল (সা) কে বললেন, আপনি কি সাফিয়াকে দাহিয়া কালবিকে প্রদান করলেন ?
সাফিয়া বিনতে হুয়াই ছিলেন কুরাইজা ও নাজীর গোত্রের সর্দারের কন্যা , তিনি তো আপনারই যোগ্য ।
তখন রাসুল (সা) দাহিয়াকে ডেকে এনে বলল তুমি এর বদলে তথা সাফিয়া ছাড়া অন্য যে কোন দাসী
নিয়ে নাও । পরিশেষে নবী (সা) সাফিয়াকে ইসলামের দাওয়াত দেন । সাফিয়া (রা) কবুল করেন ও
নবীজি তাঁকে মুক্ত করে বিয়ে করেন ।
সীরাতুর রাসুল (সা),লেখক মোঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব, পৃষ্ঠা ৪৯৪। এ ছাড়াও
বিভিন্ন সীরাত গ্রন্থে যেমন আর রাহীকুল মাখতুম, ইবনে হিশাম, সীরাতুন্নবি (সা) পাবেনঃ
৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৫
নতুন বলেছেন: কয়েকটা প্রশ্নের জবাব খুজে দেখতে পারেন।
সাফিয়া রা: এর স্বামীর কি হয়েছিলো?
সাফিয়া রা বিয়ের সময় কি বন্ধী দাসী ছিলেন কি না?
স্বামী হত্যার পরে দাসী অবস্থায় ধর্ম পরিবর্তন করে নতুন স্বামীকে বিয়ে মানুষ কতটুকু ইচ্ছায় বা আনন্দের সাথে করে?
যারা স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে তার সাথে বিয়ের পরে বাসর করাটা কতটা আনন্দময় সেটাও ভেবে দেখতে পারেন।
যাস্ট একটু ভেবে দেখতে পারেন যে এই বিষয়গুলি কতটা দরকার ছিলো বিশ্বের মানুষের জন্য উদাহরন হিসেবে।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: নতুন ভাইঃ
* সাফিয়া (রা) এর স্বামী ও পিতা ছিল দেশদ্রোহী ।
* সাফিয়া (রা) এর স্বামী ও পিতা ছিলেন মুসলিম বিদ্বেষী এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিকারী ছিল ।
* সাফিয়া (রা) এর স্বামী ও পিতা নবী মুহাম্মদ (সা) কে হত্যা করতে ছেয়েছিলেন।
* সাফিয়া (রা) এর স্বামী ও পিতা মুসলিমদের ধ্বংস করতে ছেয়েছিলেন ।
* সাফিয়া (রা) এর স্বামী ও পিতা ছিলেন জঙ্গি এবং সন্ত্রাসী ।
* সুতরাং নবী মুহাম্মদ (সা) এর সাথীরা সাফিয়া (রা) এর জঙ্গি ও সন্ত্রাসী স্বামীকে
কিনানা ও পিতাকে হুয়াই বিন আখতাবকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েই মানবতার উচিৎ কাজটাই করেছেন ।
আর সাফিয়া (রা) নবী (সাঃ) এর পক্ষেই ছিলেন কারন তিনি জানতেন যে নবী (সা)
সত্যবাদী নবী এবং ভাল মানুষ এবং নবী মুহাম্মদ (সা) এর উপর হুহাই বিন আখতাব
অন্যায় ভাবে ক্ষমতা অপব্যাবহার করে নবী মুহাম্মদ (সা) এবং সমগ্র মুসলিমদের
পৃথিবী থেকে চিরতরে মুছে দিতে চেয়েছিল । হযরত সাফিয়া (রা) যদি নবীকে স্বামী
হিসেবে যদি মন থেকে ঘৃণাই করতে তাহলে স্বামীর ইসলামের পক্ষে কেন কথা
বলতেন সাফিয়া (রা)? এর থেকেই প্রমান হচ্ছে যে নবীজি (সা) কে তিনি ভালবাসতেন ।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ
৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার বুদ্ধি বিবেচনা অনুযায়ী যথাসাধ্য ভালো লেখার চেষ্টা করেছেন।
এবার বানু কুরাইজার নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটি আকর্ষণীয় সুন্দর হৃদয়গ্রাহী পোস্ট দিন।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জ্বি সাজ্জদ সাহেব আমি শুধু আমার বুদ্ধি বিবেচনায় নয়
রসুল (সঃ) এর প্রতি আমার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা থেকে
আমার সর্বোচ্চ জ্ঞানে যা সম্ভব তা ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা
করেছি। কারো কোন যুক্তি যদি তা মহনবীর বিপক্ষে যায়
আমি আর কিছু না করতে পারলেও মনে মনে তাকে ঘৃনা
করার রাস্তাতো খোলা আছেই !
৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে কারা সবচেয়ে বেশী বিয়ে করে?
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাংলাদশে বিয়ে পাগলারা সব চেয়ে বেশী বিয়ে করে।
২০১৯ সালের নভেম্বরের শেষদিকে ঢাকার তেজগাঁও থানার পুলিশ
জাকির হোসেন ব্যাপারি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ছিলো।
যিনি তথ্য-পরিচয় গোপন ও প্রতারণা করে ২৮৬টি বিয়ে করেছিলো
বলে জানা যায়। তারণামূলক বিয়ের অভিযোগে ঢাকার মিরপুর, গাজীপুর,
পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায় মোট ৬টি মামলা হয়েছিল।
৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০০
রাজীব নুর বলেছেন: একটার বেশি বিবাহ করা মন্দ কাজ। এখন যদি রবীন্দ্রনাথ বা আইনস্টান একটার বেশি বিবাহ করেন সেটাও মন্দ কাজ।
ময়লার ডাস্টবিনকে যদি জীবনানন্দ দাশও সুন্দর বলেন, সেটা ময়লার ডাস্টবিন সুন্দর হয়ে যাবে না।
কাজেই আমি একটা বিয়ের পক্ষে। যারা একটা বেশি বিয়ে করে তারা মন্দ লোক। আর নিজে ভুল করে সেটার বিরুদ্ধে যুক্তি যারা দাড়া করায় তাদের চতুর লোক। চতুর লোক থেকে সাবধান থাকতে হয়। দূরে থাকতে হয়।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি একাধিক বিয়েকে মন্দ কাজ বলেন
আবার নিজেই আরও বিয়ের খায়েশ পোষণ
করেন। আপনি কি মন্দ লোক !! চতুর নয়
বোকা লোক থেকে দূরে থাকতে হয়। চতুর
লোক পিছনে ছুরি চালায় না বোকারাই পিছনে
ছুড়ি চালায়।
৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: আজ তো মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন। তাকে নিয়ে লিখুন। কাল্পনিক লেখার চেয়ে বাস্তব লেখা ভালো।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি যদি কোরআন হাদিসকে কাল্পনিক বলেন
তা হলে আমি আপনাকে নিষেদ করবো দয়া করে
আমার ধর্মীয় লেখায় আপনার নেতিবাচক মন্তাব্য
করে আপনার ঈমানী শক্তিকে দূর্বল করবেন না।
আজ আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস। এ দিবস সর্স্পকে
লিখতে গেলে মহাত্মা গান্ধীর কখা আসবে। অনুগ্রহ
করে অপেক্ষা করুন, সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি!
১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন:
নতুন ভাই আপনার রেফারেন্সের জন্য ধন্যবাদ। তবে আমি বিশ্বাস করি নবীজী যা করেছেন
তার মধ্যে অবশ্যই মঙ্গল নীতিহ। যদিও আমরা তা বুঝতে পারিনা।
ভাই এটা তালগাছ আমার যুক্তি।
যারা তালগাছ আমার মনে করে তাদের তো মানুষকে যুক্তিদিয়ে বোঝাতে যাওয়া ঠিক না।
সাফিয়া বিনতে হুয়াই ছিলেন কুরাইজা ও নাজীর গোত্রের সর্দারের কন্যা , তিনি তো আপনারই যোগ্য ।
তখন রাসুল (সা) দাহিয়াকে ডেকে এনে বলল তুমি এর বদলে তথা সাফিয়া ছাড়া অন্য যে কোন দাসী
নিয়ে নাও । পরিশেষে নবী (সা) সাফিয়াকে ইসলামের দাওয়াত দেন । সাফিয়া (রা) কবুল করেন ও
নবীজি তাঁকে মুক্ত করে বিয়ে করেন ।
এখানে একজন যুদ্ধবন্ধী দাসীকে একজন বিয়ে করতে চেয়েছিলো তাকে বিয়ে দিলে কোন সমস্যা ছিলো না।
সাফিয়া সুন্দরী ছিলেন সেটা অবশ্যই একটা ফ্যাক্টর ছিলো। এটা নিয়ে অনেক হাদিস আছে যে তার অন্য স্ত্রীরা এটা নিয়ে
* সাফিয়া (রা) এর স্বামী ও পিতা ছিলেন জঙ্গি এবং সন্ত্রাসী ।
<<<<কিনানা ও পিতাকে হুয়াই বিন আখতাবকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েই মানবতার উচিৎ কাজটাই করেছেন ।
আর সাফিয়া (রা) নবী (সাঃ) এর পক্ষেই ছিলেন কারন তিনি জানতেন যে নবী (সা)
সত্যবাদী নবী এবং ভাল মানুষ এবং নবী মুহাম্মদ (সা) এর উপর হুহাই বিন আখতাব
অন্যায় ভাবে ক্ষমতা অপব্যাবহার করে নবী মুহাম্মদ (সা) এবং সমগ্র মুসলিমদের
পৃথিবী থেকে চিরতরে মুছে দিতে চেয়েছিল । হযরত সাফিয়া (রা) যদি নবীকে স্বামী
হিসেবে যদি মন থেকে ঘৃণাই করতে তাহলে স্বামীর ইসলামের পক্ষে কেন কথা
বলতেন সাফিয়া (রা)? এর থেকেই প্রমান হচ্ছে যে নবীজি (সা) কে তিনি ভালবাসতেন ।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ
ভাই আপনাকে তো সবাই জ্ঞানী মানুষ বলে জানে।
ভিন্ন্য গোত্রের নারী, যার স্বামীকে মুসলমানেরা হত্যা করলো, পিতাকে হত্যা করলো। নানীর গোত্রকে গনহত্যা করলো। তাদের হাতে দাসী হিসেবে বন্ধী এক নারী।
যাকে বিক্রি করা যায়। যার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা জন্য অনুমুতি আছে। যাকে মেরে ফেললে কোন সমস্যা নাই।
সেই অবস্থায় সেই নারী মুসলমানদের নেতাকে ভালোবেশে বিয়ে করবে???
আপনি যদি বিশ্বাসকরেন যে সাফিয়া রা: সেই সময় ইসলামের সৌদ্ধযে ইসলাম কবুল করে রাসুল সা: কে বিয়ে করেছিলেন তবে আমার কেন সারা দুনিয়ারই কিছুই বলার নাই।
ইসলাম যতটানা ধমীয় তার চেয়ে বেশি রাজনিতিক।
ধর্মের কাহিনিতে অনেক ঘাপলা আছে , একটু বিশ্লেষন করলে বোঝা যায়।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নতুন ভাই আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি
আমার দৃঢ় বিশ্বাস হযরত মোহাম্মদ (সঃ) যে কারণে
এবং যে পরিসস্তিতিতে বিয়ে করেছেন তাতে মহান
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সায় ছিলো। তাঁর বিয়ের
ব্যাপারে আমার সীমিত জ্ঞানে আামি যা উল্লেখ করেছি
তা আমার একান্তু বিশ্বাস ও নবীজির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোাবাসা
থেকেই করেছি। আমাকে যদি হাজার কোটি মোহরের বিনিময়েও
এই মতবাদ পরিবর্তন হবেনা। সুতরাং ধর্মে ঘাাপলা থাকুক বা নাই
থাকুক তাতে কিছু আসে যায়না। আমি আমার বিশ্বাসে অটল।
মো্ট কথা নবীজি যা করেছেন তাতে মনিনদের জন্য রয়েছে শিক্ষা।
১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি কয়টি বিয়ে করেছেন নুরু ভাই?
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হাহাহা, হিরণ ভাই ধন্যবাদ আপনাকে
মজার প্রশ্ন করার জন্য। সবাই গুরু গম্ভীর
কথা বার্তা বলে, তাই কিছু্টা বিক্ষিপ্ত ছিলাম।
যা হোক ইসলামে যে কারনে বা পরিস্থিতিতে
একের অধিক (তবে চারের অধিক নয়) বিয়ের
অনুমতি দেয় তেমন কোন কারণ উপস্থাপন করা
সম্ভব হয়নি বিধায় সবেধন নিলমনি এক বউ নিয়েই
সুখে দুঃখে একসাথে আছি । তবে আমার দাদাজান
দুই বিয়ে করেছিলেন। যদিও হা তার প্রথম স্ত্রীরা মৃত্যুর পরে।
ভালো থাকবেন।
১২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৭
অধীতি বলেছেন: বিশ্বাসের উপর শ্রদ্ধাশীল থাকাই উচিত।রাসুল সাঃ তার কাজগুলো আল্লাহর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ নির্দেশে করেছেন।এখান থেকে শেখার অনেক কিছুই আছে যদি আল্লাহর উপর পূর্ণাঙ্গ বিশ্বাস থাকে।তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি একটি বিবাহকে ভালো মনে করি।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে অধীতি সুন্দর মন্তব্য পেশ করার জন্য।
নবীজি কেন এবং কোন পরিস্থিতিতে একাধিক বিয়ে করেছেন
তা আমার লেখায় বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছি।
আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে বলেন ‘হে নবী, আমি আপনার জন্য
বৈধ করেছি আপনার স্ত্রীদেরকে যাদের আপনি দেনমোহর দিয়েছেন …
আর কোন ঈমানদার নারী নবীর কাছে নিবেদন করলে আর নবী
তাকে বিয়ে করতে চাইলে সে বৈধ।
আর এ শুধু আপনারই জন্য, বাকী মুমিনদের জন্য নয় ‘।
[সূরা আহযাব ৩৩:৫০]
বাকীদের জন্য একটি বিয়েই যথার্থ যদিনা একাধিক বিয়ে করার
উপযুক্ত কারণ না থাকে।
১৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৫
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমি শুধু নূরু ভাইকে এটুকুই বলবো বিশ্বাসকে যুক্তি দিয়ে প্রমান করতে না যাওয়াই ভাল।বিশ্বাস আর যুক্তি পরস্পর সাংঘর্ষিক।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যুক্তির সাথে বাস্তবতার মিল খুব্ কমই পাওয়া যায় এ ভূবনে
চার পায়ের গাভী দুধ দিতে পারে তবে চার পায়ের টেবিল দুধ দেয়না কেনে?
আপনাকে ধন্যবাদ নুরুলইসলাম ভাই। আমি আমার বিশ্বাস নিয়েই থাকতে চাই
এটা নবী (সঃ) এর উপর আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমি মুসলিম ইসলাম আমার ধর্ম । কোরান হাদিস পড়তে ও মানতে চেষ্টা করা উচিত
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অন্তত যাদেরকে আল্লাহতায়ালা মুসলমানদের ঘরে
জন্মদান করিয়েছেন তাদের উচিৎ আল্লাহতায়ালার
কাছে কৃতজ্ঞ থাকা। অমুসলিমদের ঘরে জন্মালে তার
পরকাল বলতৈ কিছুই থাকতোনা।
১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:১৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আল্লাহ বার বার বলছেন ,তুমি বিশ্বাস কর আল্লাহ এক এবং মোহাম্মদ তার প্রেরিত রাসুল।আমরা এখন প্রমান করার জন্য ব্যস্ত হয়ে গেছি।চাইলে তিনিই প্রমান করে দিতে পারতেন।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যেখানে আল্লাহ নিজেই বলেন তিনি এক এবাং
হযরত মোহাম্মদ (সঃ) তার প্রেরিত রসুল।
এখন্ আমরা যদি আল্লাহর কথা বিশ্বাস না করে
প্রমাণ নিতে ক্যাচাল করি তাতে আমাদের কি
ফায়দা !! আলাহকে বিশ্বাস করবো কিন্তু
তার কথাকে বিশ্বাস না করলে কি তার কো্ন
ক্ষতি আছে?
১৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: সালাম ভাই,
বিশ্বাস'কে যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করার অযথা চেষ্টা করবেন না।
কোন ঐশ্বরিক সত্য যুক্তি দিয়ে প্রমান করার দায়িত্ব আপনার না।
অবিশ্বাসীদের হৃদয়ে মোহর বসিয়ে দেয়া হয়েছে। মৃত্যুর আগে এদের অবিশ্বাস কখনই কাটবে না।
আপনি গ্রুপ থেকে চলে আসলেন কেন? আপনার তথ্যমূলক লেখাগুলি মিস করছি আমার।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কোন ঐশ্বরিক সত্য যুক্তি দিয়ে প্রমান করার দায়িত্ব আমার না সত্য।
তবে আমার দ্বায়িত্ব যা সত্য যেনেছি তা প্রকাশ করা। হদদিসে আছে
“প্রচার করো, যদি একটি মাত্র আয়াত ও হয়”। সহীহ বুখারিঃ ৩৪৬ ।
১৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:২৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মারিয়া আল-কিবতিয়া তালিকা থেকে বাদ পড়লো কি?
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মাবিয়া আল কিবতিয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা
এ কথা আপনাদের জানা যে মারিয়া আল কিবতিয়া বা Mary the Copt কে
নবী মিশরের শাসন কর্তার থেকে উপহার হিসাবে পেয়েছিলেন ।
আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৫/৪৮৫ পৃষ্ঠাঃ নবী মুহাম্মদ (সা) এর ১১ জন স্ত্রী ছিলেন
যাদের সাথে তাঁর দাম্পত্য সম্পর্ক ছিল । আর ৫/৫০২ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে রাসুল (সা)
এর দুই জন বাদীপত্নী ছিলেনঃ এদের নাম হল মারিয়া আল কিবতিয়া এবং রায়হানা বিনতে শামউন ।
* যাদুল মায়াদ ১/১৪১ পৃষ্ঠায়ঃ মারিয়া আল কিবতিয়া (রা) রাসুল (সা) এর বিবাহ করা স্ত্রী ছিলেন না ।
তিনি ছিলেন নবিজির বাদী যাকে মিশরের বাদশা উপহার হিসেবে প্রেরণ করেন ।
তিনি খৃষ্টান ছিলেন পরে মুসলিম হন ।
১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৪৩
রানার ব্লগ বলেছেন: বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদুর। ইসলাম ধর্মিয় চিন্তাবিদরা মারিয়া আন্টি কে এরিয়ে চলেন। যিনি তা কে গ্রহন করলেন তার কোনসমস্যা ছিল না যত সমস্যা ইসলাম ধর্মিয় চিন্তাবিদদের। মারিয়া আন্টির জন্য আলাদা বাগান বাড়ি ছিলো, কোন এক সাহাবা নবী জি কে বলে ছিল যে কেউ এক জন গোপনে মারিয়া আন্টির সাথে দেখা করতে যায় ওমনি নবীজি এক সাহাবা পাঠিয়ে ছিলেন খোলা তরবারি হাতে সেই লোককে হত্যা করতে, সেই লোক যখন দেখতে পেল তাকে হত্যার যন্য আসছে তখন সে দৌড়ে গাছে উটগে পা উপড় দিকে উঠিয়ে দেয় যাতে বোঝাতে পারে সে খোজা অর্থ সে পুরুষ অংগ হীন। যাই হোক এই গল্প টা বেশ মজার কিন্তু ইসলাম ধর্মিয় চিন্তাবিদরা কখনই এটা বলে না।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর পবিত্র চরিত্রে
কালিমা লেপন হতে পারে এমন কো্ন গল্প যেন
আমার দুই কর্ণ কভু না শােনে! আমিন
১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৭
নতুন বলেছেন: ভাই আপনার ব্লগটা এমন হওয়ার দরকার যেহেতু আপনি বিশ্বাস থেকেই লিখবেন।
:বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর একাধিক (১১টি) বিবাহের মূল কারণ:
আমার দৃঢ় বিশ্বাস হযরত মোহাম্মদ (সঃ) যে কারণে
এবং যে পরিসস্তিতিতে বিয়ে করেছেন তাতে মহান
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সায় ছিলো।
---ব্লগ শেষ---
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নবীজির প্রতি আমি আমার বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও
ভালোবাসা থেকেই আমার লেখাটি উপাস্থাপন
করেছি। দ্যা এ্যন্ড !!
২০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নবীজির বহুবিবাহের ব্যাপারে আমি কখনো নিন্দা বা বিদ্রুপ করি না।
সময়টা বুঝতে হবে। তৎকালিন অসভ্য বেদুইন সমাজে একজন অভিজাত ধনী কুর্যাইশ সর্দার/সেনাপতি বহু বিবাহ করবে, দাসি-বাঁদি থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তৎকালিন বেদুইন সমাজে এটাই নিয়ম।
আর বিবি আয়শার ৬ বছরে বিবাহ, এটাও অতিকথন।
সে সময়ে ঘড়ি ছিলনা ক্যালেন্ডার ছিল না, বয়স গননা মনে রাখা এসব এত ইম্পর্টেন্ট ছিলনা। আর বিয়ের বাজারে কম বয়সিদের মুল্য, চাহিদা বেশী হওয়ায় বয়স কমিয়ে বলার একটা প্রবনতা ছিল, এই প্রবনতা বর্তমান যুগে ভারতেও আছে।
বিবি আয়শার বয়স ব্যাপারে একটু বেশি অতিরঞ্জিত হয়েছে। বহু বহু পরে ইতিহাস লিপিবদ্ধ করার সময়ও আরেক দফা অতিরঞ্জিত হয়েছে । এভাবেই বিবি আয়শার ১২-১৪ বছর ৬-৯ বছর হয়ে গেছে।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার যুক্তি ঠিকও হতে পারে অ
সে যাই হোক আমি আমার রসুল (সঃ) কে
শ্রদ্ধা করি এবং তিনি তার জীবনে যে কাজ
করে গেছেন তার প্রতি সমর্থন পোষণ করি।
২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্য গুলোতে চোখ বুলিয়ে গেলা।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার জন্য সেটাই উত্তম !!া
ক্যাচাল থেকে দুরে থাকুন
দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকুন !!
২২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪৮
নীল আকাশ বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী ভাইঃ উম্মাতুল মুমীনিনা হযরত আইয়াশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহার বিয়ের বয়স নিয়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন আপনাকে উত্তম পুরষ্কার দান করেন আমীন। উনার বিয়ের বয়স নিয়েই সবচেয়ে বড় মিথ্যাচা করা হয়। যদি আল্লাহ পাক তৌফিক দেন ইনশা আল্লাহ এটা নিয়েও লিখবো একদিন।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই আমিও আপনার
লেখাটির জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
২৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, "বাংলাদশে বিয়ে পাগলারা সব চেয়ে বেশী বিয়ে করে। "
-এটাই সঠিক।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কথা সত্য !!
বলেন ঠিক কিনা ?
২৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৫/৪৮৫ পৃষ্ঠাঃ নবী মুহাম্মদ (সা) এর ১১ জন স্ত্রী ছিলেন
যাদের সাথে তাঁর দাম্পত্য সম্পর্ক ছিল। আর ৫/৫০২ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে রাসুল (সা)
এর দুই জন বাদীপত্নী ছিলেনঃ এদের নাম হল মারিয়া আল কিবতিয়া এবং রায়হানা বিনতে শামউন ।
* যাদুল মায়াদ ১/১৪১ পৃষ্ঠায়ঃ মারিয়া আল কিবতিয়া (রা) রাসুল (সা) এর বিবাহ করা স্ত্রী ছিলেন না ।
তিনি ছিলেন নবিজির বাদী যাকে মিশরের বাদশা উপহার হিসেবে প্রেরণ করেন ।
তিনি খৃষ্টান ছিলেন পরে মুসলিম হন ।
কোথায় যেন পড়েছিলাম মারিয়া আল কিবতিয়ার গর্ভে নবীজির একজন পুত্র-সন্তানের জন্ম হয়েছিলো।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ জগাই দাদা আপনার কথা সত্য। তবে তার
গর্ভে সন্তান হলেও তিনি নবীজির বিবাহ করা স্ত্রী ছিলেন না।
মুলত ইসলামে বিবাহের নিয়ম দুইভাবে স্ত্রী হওয়া যায় । স্বাধীন মহিলার জন্যে
মহোরানা ও যুদ্ধবন্দী নারীদের ক্ষেত্রে বাদীপত্নী রুপে । তবে অবশ্যই তাঁর সম্মতি
নিতে হবে । উভই বৈধ পবিত্র সম্পর্ক । বিস্তারিত দেখুনঃ কিতাবুল উম্ম , ইমাম শাফিই (রহ) ।
তাই যেহেতু মারিয়া আল কিবতিয়া (রা) রাসুলের দায়িত্তে এসেছিলেন তাই ইসলামের আইন
অনুযায়ী মারিয়া আল কিবতিয়া (রা) বাদীপত্নী হয়েছেন তাই এটা বৈধ সম্পর্ক । তাঁর থেকে
নবিজি (সা) এর একজন ছেলে সন্তান ইব্রাহীম জন্ম গ্রহণ করেন । তিনি হযরত উমর (রা)
এর শাসনামলে ইন্তেকাল করেন ।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং: ২০৪৮ = নবী মুহাম্মদ (সা) বলেছেনঃ বিবাহের আগে
তালাক নাই এবং মালিকানা লাভের আগে দাসমুক্তি নাই । এখানে বিবাহের সাথে তালাক
পক্ষান্তরে মালিকানা লাভের সাথে দাসমুক্তি তুলনা করে বুঝানো হয়েছে ইসলামে স্বামী স্ত্রী
সম্পর্ক যেমন বৈধ, একই ভাবে মুনিব বাদিপত্নি সম্পর্ক একই ভাবে হালাল, বৈধ , জায়েজ ,
পবিত্র সম্পর্ক । আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝবার তৌফিক দান করুন। আমিন
২৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫৬
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন:
নবীজির প্রতি আমি আমার বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও
ভালোবাসা থেকেই আমার লেখাটি উপাস্থাপন
করেছি। দ্যা এ্যন্ড !!
আমি এটাই বলেছি উপরের কমেন্টে। আপনার ব্লগে এতো কথা লিখেছেন কেন? উপরের তিনটা লাইনই যথেস্থ
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নতুন ভাই
উপরের এত কথা লিখতেতো আপনিই
বাধ্য করেছেন। দেখেন সবার চেয়ে আপনার
মন্তব্যই বেশী এসেছে এই লেখায়।
২৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫
নীল আকাশ বলেছেন: @পগলা জগাইঃ আপনি যা লিখেছেন এবং পড়েছেন তা সত্য। মারিয়া আল কিবতিয়া নাসারীয়া (খ্রীষ্টান) ধর্ম অনুসারী ছিলেন বিয়ের আগে।
একজন পুত্র-সন্তানের জন্ম গ্রহণ করার পর মারা গিয়েছিলেন। তার নাম ছিল সম্ভবত ইবরাহীম।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ নীল আকাশ ভাই
জগাই দাদার প্রশ্নের উত্তরে সহয়তা করার জন্য্।
২৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখক বলেছেন: নবিজি (সা) এর একজন ছেলে সন্তান ইব্রাহীম জন্ম গ্রহণ করেন । তিনি হযরত উমর (রা)
এর শাসনামলে ইন্তেকাল করেন ।
আমি যতদূর জানি ইব্রাহীম নবীজির জীবনদশাতেই ইন্তেকাল করেছিলেন। আমার জানায় ভুল থাকতে পারে।
এবং
লেখক বলেছেন: ইসলামে স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক যেমন বৈধ, একই ভাবে মুনিব বাদিপত্নি সম্পর্ক একই ভাবে হালাল, বৈধ , জায়েজ ,
পবিত্র সম্পর্ক ।
হে, এক সময় ইসলামে মুতা বিয়ে, দাসী জায়েজ ছিলো।
পরে মুতা বিয়ে সম্ভবতো খলিফাদের কেউ নিষিদ্ধ করেছিলো।
জানতে ইচ্ছে করছে দাসী-পত্নী কখন থেকে রহিতো হয়েছে!! আপনার জানা থাকলে জানাবেন স্যার।
আর একটা ছোট প্রশ্ন। বিয়ে না করলে তো পত্নী হয় না!! যেহেতু দাসী-পত্নী বলা হচ্ছে সেহেতু দাসীদেরকে কি আলাদা কোনো বিয়ের সিস্টেম ছিলো? নাকি শুধু অধিকারে থাকলেই হতো?
২৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
উনার পেশা কী ছিল?
উনার আয়-রোজগারের উৎস কী ছিল?
উনি এতগুলি পরিবার-পরিজন কিভাবে লালন পালন করতেন?
২৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সাজ্জাদ ভাই
ইমাম বুখারি (রহ.) ও ইমাম ইবনে মাজাহ (রহ.) বর্ণনা করেছেন যে রাসুল (সা.)
নিজেই বলেছেন, ‘আমি মক্কাবাসীদের জন্য ছাগল চরাতাম। আর রাসুল (সা.) এই
কাজ পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে করতেন। যৌবনে তিনি কোরাইশের অন্য যুবকদের
মতো ব্যবসা-বাণিজ্যকে নিজের পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। পরে খাদিজা (রা.)
এর বাণিজ্যিক পণ্য নিয়ে সিরিয়া সফরের আগে ২৫ বছর ধরে তিনি কমবেশি ব্যবসা
করেছেন এবং সফলভাবেই করেছেন। একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নিজের
যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। খাদিজা (রা.)-এর বাণিজ্যিক পণ্য সিরিয়া নিয়ে
যাওয়ার আগে অনেকের সঙ্গে তাঁর ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৯
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ।