নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
কুরআন মজীদের কয়েকটি সূরায় পর্দা-সংক্রান্ত বিধান দেওয়া হয়েছে। পর্দার বিষয়ে আল্লাহ তাআলা সকল শ্রেণীর ঈমানদার নারী-পুরুষকে সম্বোধন করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদেশ করেছেন তিনি যেন তাঁর স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে এবং মুমিনদের নারীদেরকে চাদর দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত রাখার আদেশ দেন। কিছু আয়াতে উম্মুল মুমিনীনদেরকেও সম্বোধন করেছেন, কোনো কোনো আয়াতে সাহাবায়ে কেরামকেও সম্বোধন করা হয়েছে। মোটকথা, কুরআন মজীদ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মুসলিম নারী ও পুরুষের জন্য পর্দার বিধান দান করেছে। এটি শরীয়তের একটি ফরয বিধান। পর্দার উপকারিতা সম্পর্কে একটি নীতি কথার গণ্প উপস্থাপন করা হলো শিক্ষামূলক গল্প সিরিজের গল্পে শিক্ষামূলক গল্প-৩। নিম্নে শিক্ষামূলক গল্পের আগের লিংক সংযোজন করা হলো।
পর্দার উপকারিতাঃ শিক্ষামূলক গল্প-৩
"যুবতী ছাত্রী তার একজন শিক্ষক কে প্রশ্ন করলো ----!!!
ছত্রীঃ সৌন্দর্য যদি লুকিয়েই রাখতে হবে, তবে কেন নারীকে স্রষ্টা এতো সৌন্দর্য দিলেন ??
শিক্ষকঃ জবাবে বললেন তুমি কি কোন লোহার দোকানে গিয়েছো? ছাত্রীঃ জি, গিয়েছি।।
শিক্ষকঃ সেখানে লোহা কিভাবে রাখা হয়? ছাত্রী বললো সেখানে লোহাকে খোলা মেলা ভাবে রাখা হয়।
শিক্ষক আবার তাকে জিজ্ঞাস করলেন তুমি কি কোন রুপার দোকানে গিয়েছো? ছাত্রীর উত্তর হ্যাঁ গিয়েছি।
শিক্ষকঃ সেখানে রুপার গহনা কিভাবে রাখা হয়? ছাত্রীঃ যতনের সাথে রুপা সংরক্ষণ করে রাখা হয়।
শিক্ষক আবার বললেন তুমি কি কােন স্বর্ণের দোকানে গিয়েছো? ছাত্রীর জবাব জি হ্যাঁ গিয়েছি।
শিক্ষকঃ স্বর্ণের দোকানে স্বর্ণ বা স্বর্ণের গহন কিভাবে রাখা হয়? ছাত্রীর উত্তর তা রুপার চেয়েও বেশী যত্নে সংরক্ষণ করে রাখা হয়।
শিক্ষক তাকে আবার প্রশ্ন করলেন তুমি কি কোন হীরার দোকানে গিয়েছো? ছাত্রীর উত্তর. :হ্যাঁ গিয়েছি।
শিক্ষকঃ হীরার দোকানে তা কেমনে রাখা হয়? ছাত্রীঃ তা স্বর্ণের চেয়েও বেশী গুরুত্ব সহকারে ঢেকে রাখা হয়।
শিক্ষকের প্রশ্ন কেন হীরাকে স্বার্ণের চেয়েও বেশী গুরুত্ব সহকারে রাখা হয় জান?
ছাত্রী :কেননা তার দাম অত্যন্ত বেশী তাই।যেন তাতে ময়লা না লাগে।
শিক্ষক মুচকি হেঁসে বললেন: ইসলামে মহিলাদের মান ও সম্মান হীরার চেয়েও অনেক অনেক বেশী। তাই তুমি পর্দায় থাকবে।
ছাত্রী তার শিক্ষককে আবার প্রশ্ন করলো তা হলে মেয়েদের সর্ট ড্রেসে সমস্যা কি স্যার?! আমাকেতো অনেকে সর্ট ড্রেস পড়তে বলে।
শিক্ষক বলনেন যারা তোমাকে সর্ট ড্রেস পরতে বলছে, তারা তোমাকে লোহার মত ব্যবহার করতে চাচ্ছে। তারা তোমার শরীরে দাগ দেবে, ময়লা লাগাবে, মরিচা ফেলবে। তারপর ছুড়ে ফেলে দেবে ডাস্টবিনে। ওরা কোনদিন তোমাকে সৌন্দর্যময় হীরা ভাববে না, বরং ভাববে লোহা। যা সাময়িক ব্যবহারের পর ফেলে দেবে। তাই একটু বিবেক বুদ্ধি দিয়ে ভেবে দেখ, তোমার মান সম্মান ও ভবিষ্যৎ এর কথা । মনে রাখবে এই দুনিয়াই কিন্তু শেষ নয়, আখিরাত বলেও কিছু একটা আছে যেখানে সব কিছুর হিসাব হবে। কেননা পর্দার বিধানটি ইসলামের একটি অকাট্য বিধান। কুরআন মজীদের অনেকগুলো আয়াতে এই বিধান দেওয়া হয়েছে। তবে পর্দা শুধু নারীর জন্য নয়, পুরুষের জন্যও প্রযোজ্য। নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই পর্দা পালন করা ফরজ। ইসলামে উভয়কেই পর্দা পালনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। পর্দা পালন করা মুসলিম নারীর অনন্য রুচিবোধ ও সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ। পর্দা পুরুষের উন্নত চরিত্র গঠনের মাধ্যম; পাশাপাশি নারীর মান-সম্মান, ইজ্জত-আবরুর রক্ষাকবচও বটে। সুতরাং কোনো ঈমানদারের পক্ষে এই বিধানকে হালকা মনে করার সুযোগ নেই। আমরা যদি আমাদের পরিবারিক শান্তি ফিরে পেতে চাই তাহলে নারী-পুরুষ সকলকে পর্দা-বিধানের অনুসারী হতে হবে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পর্দার পালনে কুরআন ও হাদিসের ওপর আমল করে পরকালীন জীবনের সফলতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।।
১। মা-বাবাকে ভালো বাসুনঃ শিক্ষনীয় গল্প-১
২। মিথ্যার কাছে পরাভূত সত্য (শিক্ষণীয় গল্প-২)
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
০১ লা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তার পরেও মুক্তা ছড়িয়েই যাবো
কেউ যদি ছাই উড়িয়ে মানিক রতনের
খোঁজ পায়!!
যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তায়
পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।
আপনাকে ধন্যবাদ সাচু ভাই
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কে শুনে কার কথা, এসব বলতে বলতে মুখে ফেনা তুললেও মানুষ মোহ এর পিছনে দৌড়বে
ধন্যবাদ আপনাকে
০১ লা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সারা রাত ব্রাহ্মণের মন্ত্র পাঠ
আর সকালে পাঠার ভ্যা তে
সব কিছু একাকার হয়ে যায় !!
তার পরেও কিছু মানুষ সত্য জানবে
সত্য খুঁজবে এটাই নিয়ম।
গতকালের এক জনের লেখায় সকালে
পর্দা বিষয়ে তার উপব্দি যেনে যারপরনাই
আহত হয়ে ছিলাম তাই এই লেখা।
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এসব নিয়ে কাল একটা ছড়া লিখছিলাম ভাইজান
পড়বেন আশা করি।
দাড়ান দিচ্ছি এখানে পোস্ট আকারে । জানি এ ছড়া কেউ পছন্দ করবে না এখানে
০১ লা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ আপু
অস্থির সময়েও দ্বীনের প্রতি
মতি থাকার জন্য।
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: কিছুদিন আগে পর্দার কেলেংকারীর কথা সংসদেও উঠেছে।
০১ লা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কো কো করলেই সব সময় কোটালিপাড়া নয়
মাঝে ,মাঝে উল্টাটাও হয়। এই পর্দা সেই পর্দা নয়।
৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পোস্ট করেছি ভাইয়া
০১ লা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপু, আপনার লেখা কাব্যটি পড়েে
মুগ্ধ হয়েছি। মানুষের হুশ তখনই হবে যখন আর কোন
সুযোগ থাকবেনা সু পথে যাবাার। তাই পাড়ের কড়ির
যোগান নিয়েই পার ঘাটায় আসো হে মানুষ!
৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭
এম ডি মুসা বলেছেন: আপনার লেখার শুভেচ্ছা রইল
০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যনাদ মুসা ভাই
শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।
৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪৭
স্থিতধী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় শিক্ষক যে শুধু সোনা, লোহা, তামা এসবের উদাহারণ দিয়ে গেলেন নারীর পর্দার উপকারিতা বোঝাতে গিয়ে এটা দেখে কিঞ্চিৎ বিস্মিত হয়েছি। মানে বহুল জনপ্রিয় " খোলা মিষ্টি ও মাছি" অথবা "তেঁতুল ও লালা" তত্ব এগুলোও থাকলে ষোলকলা পূর্ণ হইতো আর কি। মনে হয় এ শিক্ষক খুব একটা খাদ্য রসিক নন। সম্বভত তিনি রসায়ন বিষয়ের শিক্ষক, সেদিন হয়তো পর্যায় সারণী পড়াচ্ছিলেন, কিন্তু অমনোযোগী এই ছাত্রী প্রসঙ্গ নিয়ে ঠেকাইলো কাপড় চোপড়ের দিকে!
একটু জানতে ইচ্ছে করে, কোরআন অথবা হাদিসে, নারীর পর্দার উপকারিতা বা প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে গিয়ে; নারী দেহের উপমা লোহা লক্কড়, হীরা- চুন্নি বা মিষ্টি- তেঁতুল দিয়ে কোথাও দিয়েছে কি কখনো? জানা থাকলে সেটা জানালে বাধিত হবো।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘(হে নারীগণ!) তোমরা তোমাদের ঘরের
(বাড়ির চতুর্সীমানার) ভেতর অবস্থান কর এবং বাইরে বের হয়োনা – যেমন ইসলামপূর্ব
জাহিলী যুগের মেয়েরা বের হতো।’ (সূরা আহযাব, আয়াত : ৪৩)
“নিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি।
মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়”। (সূরা কাহাফঃ ৫৪ আয়াত)
পবিত্র কোরআনের এই আয়াতদ্বয় দ্বারা আপনি যদি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে থাকেন
তা হলে আমি আনন্দিত হবো আর যদি আপনার জবাব না পেয়ে থাকেন তা হলে নিশ্চয়
ততটুকু জ্ঞান অর্জন করতে পারিনাই যা দিয়ে আপনাকে বুঝাতে সক্ষম। আমার অক্ষমতার
জন্য সত্যিই দুঃখিত।
৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এখন পর্দার ব্যপক ব্যবহার।অতিতে কখনো এমন ছিল না।পার্কে দেখা যায় বহু মেয়ে বোরখা পরে প্রেম করে।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সত্যি বর্তমানে পর্দার বহুল ব্যবহার হচ্ছে
তবে এটা ঠিক পর্দা করার জন্য নাকি অন্য
কোন উদ্দেশ্যে তার খতিয়ে দেখার বিষয়।
কয়েকদিন আগে সাহেদ মিয়া বোরখার আড়ালে
নিজেকে আবৃত করেছিলেন গ্রেফতার এড়াতে কিন্তু
শেষ রক্ষা হয়নি।
৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৫৫
স্থিতধী বলেছেন: নূর সাহেব, তাঁর কারন বোধহয় আমি প্রশ্নটি ঠিক মতো করতে পারিনি তাই। আবার একবার করি;
"কোরআন অথবা হাদিসে, নারীর পর্দার উপকারিতা বা প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে গিয়ে; নারী দেহের উপমা লোহা লক্কড়, হীরা- চুন্নি বা মিষ্টি- তেঁতুল জাতীয় বিষয় দিয়ে কোথাও দিয়েছে কি কখনো? "
আমি অন্তত কখনো দেখিনাই। আপনি সূরা আহযাব এর যে আয়াতটা দিলেন সেটাতে তো এক রকমের নারীদের সাথে আরেক রকমের নারীদের তুলনা করা হয়েছে। নারীদের সাথে লোহা লক্কড় বা মিষ্টি- তেঁতুল জাতীয় জড় বস্তু সমূহের তুলনা করা বা উপমা দেয়া হয়নাই।
আমি শুধু একটা আয়াতের কথা জানি, তবে সেটা নারীর পর্দার উপকারিতা বা প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে ব্যাবহার হয়নাই। সে আয়াতে বিবাহিত নারীদেরকে পুরুষের জন্য শস্যক্ষেত্রের মতো বলা হয়েছে। সেটা অবশ্যই বিবাহিত জীবনে নারী- পুরুষের যৌন মিলন ও নারীর সন্তান জন্মদানের সক্ষমতার দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে।
১০ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
স্থিতধী আপনাকে বুঝতে হবে যে সময়ের সাথে সাথে
উপমার ধরণও পাল্টায়। ১৪০০ বছর আগে মোবাইল ফোন
আবিস্কার হয়নি তাই তখনকার উপমাতে তা আসেনি।
লোহা তামার ব্যাপারটিও ঠিক তাই। সময়ের সাথে সাথে
উপমার ধরনও পাল্টেছে। তবে শেষ কথা হলো বিশ্বাসে
মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর। আল্লাহর আদেশ নির্দেশ বিশ্বাসের
সাথেই পালন করতে হবে এটা ঈমানের প্রকাশ।
১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:১০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সেই পোষ্টে আমি বলেছিলাম
সুরা আহাজাবে সবচেয়ে নির্দিষ্ট ভাবে পর্দার ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।
উক্ত আয়াতে বাহিরে জিলবাব বা পরিধেয় চাদর জাতীয় বস্ত্রটি একটু টেনে নিয়ে সংযত ভাবে থাকতে বলা হয়েছে।
আপনি বলছেন - জিলবাব মানে বোরখা/বস্তার মত আপাদমস্তক সম্পুর্ন আবৃত, অতচ সকল কোরানের অনুবাদেই জিলবাবকে চাদর বলা হয়েছে।
আমি বলেছি - সুরা আহাজাবের আয়াতে দেহ সবটা ঢাকতে বলেনি। মুখ খোলা রাখার কথা স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, ততকুটু খোলা যাতে তাকে চেনা যায়। চুল বা মাথা ঢাকার কথা বলা নেই।
আপনি জনৈক ইবনে কাসীরের উদাহরন দিয়ে বলছেন আপাদমস্তক বোর্খা দিয়ে বস্তার ন্যায় ঢেকে রাখতে, চলাফেরার জন্য শুধু মাত্র এক চোখ খোলা রাখতে পারে।
বস্তায় একটা ছিদ্র দেখে মানুষ চেনা যায় নাকি?
মানুষ কোরান ফলো করবে নাকি হজরত (স) মৃত্যু পরবর্তি দাংগাবাজ পলিটিকাল ইসলাম ফলো করবে?
আমাদের মত নিরিহ সাধারন মুসলমানদের আর কত বিভ্রান্ত করবেন?
১০ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কালবৈশাখী ভাই আপনাকে আগেও বলেছি এখনও বলছি
জিলবার হলো আপাদমস্তক ঢাকা যায় এমন এক চাদর যার
বর্তমান র্সংস্বরণ বোরখা। তবে জিলবার সেলাই বিহীন আর
বোরখা সেলাই করা।
আপনার কি ধারনা বর্তমান জামানায় জিলবার পরিধান করে
বাইরে যাওয়া সম্ভব ? জিলবার সামলাবেন না নিজেকে দূঃর্ঘটনার
হাত থেকে রক্ষা করবেন!!
১১| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০০
স্থিতধী বলেছেন: ১৪০০ বছর আগে মোবাইল ফোন আবিস্কার হয়নি তাই তখনকার উপমাতে তা আসেনি। লোহা তামার ব্যাপারটিও ঠিক তাই। সময়ের সাথে সাথে উপমার ধরনও পাল্টেছে।
নূর সাহেব, আপনি যেভাবে বলতেছেন, তাতে মনে হচ্ছে ইসলাম প্রস্তর যুগের ধর্ম। ইসলাম পৃথিবীর বর্তমান পাঁচটি বড় প্রতিষ্ঠিত ধর্মের মধ্যে সবচাইতে নতুন ধর্ম । ইসলাম যখন আরবে আসে ততদিনে আরবে লৌহ যুগ এসে সম্বভত চলেও গেছে। ফলে, লোহা তৎকালীন আরবে মোটেও অজানা কোন বস্তু ছিলোনা। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ কুরআন শরীফের বর্তমান ৫৭ তম সূরা আল- হাদিদ, যার অর্থ হলো লোহা। সুতরাং, নারীর শরীর কে যদি লোহা ও মরিচার উপমা দিয়ে বর্ণনা করা লাগতো, তবে চাইলে সেটা ১৪০০ বছর আগের আরবেও করে দেখানও যেতো। আপনি ইসলাম নিয়ে এতো লেখা গবেষণা করেও এ বিষয়টি কিভাবে ভুলে গেলেন দেখে অবাক হলাম।
তবে শেষ কথা হলো বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর।
ভাই, বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের কোন প্রসঙ্গই আমি তুলিনাই এই পোষ্টে। আমার প্রশ্ন এটাই ছিলো যে নারীর পর্দার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে কুরআনে অথবা হাদীসে কখনো নারীকে যেকোন রকমের জড় পদার্থের সাথে তুলনা / উপমা দেয়া হয়েছে কিনা? আমার জানামতে হয় নাই। এখন কথা হলো যদি কুরআনে অথবা হাদীসে যদি নারীর পর্দার গুরুত্ব বোঝানোর জন্য কোন জড় পদার্থের সাথে নারীকে তুলনা করার রুচি না দেখানো হয়, তাহলে যারা কুরআন ও হাদীস অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে বলে দাবী করে তাঁদেরও সেরকম কোন রুচি থাকা উচিৎ কিনা? জগতে কবি ও সাহিত্যিকরা নারীকে তাঁদের আবেগের আতিশয্যে নানারাকম চাঁদ-তাঁরা এটা সেটার সাথে তুলনা দেয় বটে। কিন্তু ইসলামে নারীর পর্দার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে একজন মুসলিমেরও সেই জাতীয় জড় পদার্থের উপমায় যাওয়া উচিৎ কিনা, যেখানে কুরআন ও হাদীস সেটা করেনি? আমার মন্তব্য অতটুকুই ছিলো।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উলু বনে মুক্তা ছড়ানোর প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ দিব কি না ভাবছি।