নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর সারা বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস। পর্যটন বিশ্বে শ্রমঘন এবং সর্ববৃহৎ শিল্প হিসেবে স্বীকৃত। দিবসটির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সেতুবন্ধন গড়ে তোলা। এছাড়াও, পর্যটনের ভূমিকা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উপযোগিতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া এ দিবসের অন্যতম লক্ষ্য। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তির পর বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সম্প্রসারণের ফলশ্রুতিতে বিশ্বব্যাপী পর্যটন ব্যবসার প্রসার ঘটে। এ অবস্থায় পর্যটনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিবর্গ ও ভোক্তা শ্রেণীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠে আন্তর্জাতিক ভ্রমণবিষয়ক সংস্থা বা আইইউওটিও। এ সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী পর্যটন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও প্রসারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও রাজস্ব আয়ে বিশেষ অবদান রাখার প্রেক্ষি প্রতিষ্ঠান|বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানরূপে যুক্ত হয়। সংস্থাটির কার্যক্রম আরো জোরদার করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের বাৎসরিক সম্মেলনের সময় এই সংস্থার সদস্যভূক্ত দেশগুলো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা-পর্যালোচনার মাধ্যমে করণীয় ঠিক করার মাধ্যমে বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছিল। ১৯৭০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখে সংস্থাটির বার্ষিক সম্মেলনে এর নাম, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য পুণঃমূল্যায়ণ ও নির্ধারণ করা হয় এবং তখন থেকে এটি "বিশ্ব পর্যটন সংস্থা" নামে চিহ্নিত করার বিষয়ে সদস্যদের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়, যার কার্যক্রম নতুন নামে ১৯৭৪ সাল থেকে শুরু হয়। ১৯৮০ সালের বার্ষিক সম্মেলনে, এই সংস্থার গঠনের দিবসে অর্থাৎ ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখে বিশ্বব্যাপী পর্যটন দিবস পালনের বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে তুরস্কে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সম্মেলনে এতে একটি স্বাগতিক দেশ নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালনের কার্যক্রমে আরো গতিশীলতা আনয়ণের পক্ষে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।জাতিসংঘের অধীনস্থ বিশ্ব পর্যটন সংস্থার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ১৯৮০ সাল থেকে সকল সদস্য দেশে এটি পালিত হয়ে আসছে। করোনার আঘাতে যে কয়টি খাত বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ‘পর্যটন’ তাদের অন্যতম। মানুষের জন্য ঘরে থাকাটাই সবচেয়ে নিরাপদ—সব পক্ষের এমন প্রচারণা এ খাতকে প্রবলভাবে ধাক্কা দিয়েছে। ফলে গ্লোবাল জিডিপিতে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ (৮.৩ ট্রিলিয়ন ডলার) অবদান রাখা এবং মোট ৪৩২ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা পর্যটন আক্ষরিক অর্থেই থমকে গেছে। এমন বাস্তবতায় আজ ২৭ সেপ্টেম্বর উদযাপন করা হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস। কোভিড-১৯ এর অস্থির সময়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে। জাতিসংঘ পর্যটন সংস্থা ঘোষিত এবারের বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন’। বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশের অন্যতম এজেন্ডা ‘গ্রাম হবে শহর’ যা এ বছর জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা কর্তৃক ঘোষিত প্রতিপাদ্যের সাথে অত্যন্ত সংগতিপূর্ণ।
পর্যটন একটি বহুমুখী শিল্প। ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ এলে প্রতি বছরই ঘটা করে দিবসটি পালন করা হয়। তবে হাতে গোনা কিছু প্রতিষ্ঠান ও মানুষ ঘুরে ফিরে প্রতি বছর দিবসটি পালন করে থাকে। এতে করে জনগণের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত হচ্ছে না। প্রায় ৭০ ধরনের প্রতিষ্ঠান সরাসরি পর্যটকদের সেবা দিয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে দু’চারটি ছাড়া বাকি সবগুলো প্রতিষ্ঠানই ছোট আয়তনের এবং স্বল্পপূঁজির। ফলে এদের পক্ষে গণমাধ্যমে প্রমোশন কার্যক্রম চালানোর ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হয় না। ডিজিটাল পদ্ধতির প্রবর্তন এসব প্রতিষ্ঠানের প্রমোশন কার্যক্রমকে সহজ করেছে। আজকের দিনে পর্যটকরা ট্যুর পরিকল্পনায়, হোটেল ও এয়ার টিকেট বুকিংয়ে, ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন ও বুকিং মানি পরিশোধ করতে, বোডিং পাস নিতে এবং ইলেকট্রনিক ভিসা পেতে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করেন। প্রযুক্তির মাধ্যমে ভ্রমণ সুবিধাদি পাওয়া, ভ্রমণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মানসম্পন্ন সেবা পাওয়া, গতিময়তার প্রতিকূলতা দূর করা এবং নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করা সম্ভব হয়। একথা মনে রাখতে হবে যে, প্রতি বছর পর্যটন দিবস পালন করলেই যে পর্যটনের উন্নতি সাধিত হয় এমন নয়। গ্লোবাল জিডিপিতে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ (৮.৩ ট্রিলিয়ন ডলার) অবদান রাখা এবং মোট ৪৩২ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা পর্যটন আক্ষরিক অর্থেই থমকে গেছে। এজন্য প্রয়োজন দিবসটির চেতনার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে নতুন উদ্দীপনা সঞ্চারিত করা। সেই সাথে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টির প্রতিও যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। করোনাকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ভোগ অব্যাহত থাকলেও মানুষের শৌখিন ঘোরাঘুরি প্রায় বন্ধ রয়েছে। ফলে পর্যটনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত মানুষগুলো আকস্মিকভাবে চরম বেকায়দায় পড়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবাসন, পরিবহন, খাবার-দাবার, বিনোদন, কুটির ও হস্তশিল্পের মতো অসংখ্য শিল্পের লোকজন এই খাতে নিজেদের সম্পৃক্ত করে বেশ ভালোই চলছিল। অন্যদের দৃশ্যমান সহায়তা ছাড়াই তারা নিজেদের পথ খুঁজে নিয়েছিল। কিন্তু করোনার প্রবল আঘাতে সেই সিস্টেম তছনছ হয়ে গেছে। ফলে প্রত্যক্ষভাবে পর্যটনসংশ্লিষ্ট কয়েক লাখ মানুষ মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আমাদের দেশে এ পর্যন্ত যেসব খাত সত্যিকারের ভালো করেছে, তার প্রায় সবই হয়েছে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের চেষ্টায়। পর্যটন বহু শিল্পের সমন্বয়ে গড়ে ওঠায় এককভাবে এর দায়িত্ব নেয়া বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। তাই সরকারি সংস্থাগুলোর দিকে তারা চেয়ে থাকে। কিন্তু করোনা পর্যটনসংশ্লিষ্টদের অস্তিত্বের ওপর আঘাত হেনেছে। দীর্ঘদিন এভাবে চলতে থাকলে তাদের অনেকেই বিলীন হয়ে যাবে। তাই সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারীদের নিজেরা মিলে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। পর্যটনের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরুটা ঠিক কোথা থেকে হওয়া উচিত? তার জবাব যথার্থভাবেই এবারের বিশ্ব পর্যটন দিবসের মূল ভাবনায় প্রতিফলিত হয়েছে। অর্থাৎ নগরকেন্দ্রিক ও কৃত্রিম পর্যটন আকর্ষণ নয়; আমাদের ফিরতে হবে শিকড়ে। সেট সত্যিই করা গেলে ‘একের ভেতরে অনেক’ অর্জন করা সম্ভব—তা সহজেই অনুমেয়। বিশ্ব পর্যটন দিবসে বিশ্বের সকল পর্যটকদের শুভেচ্ছা।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি পার্বত্য চট্রগ্রাম, খাগড়া ছড়ি
বান্দরবান ভ্রমন করেছি।
২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে পর্যটনের অবস্থা ভালো না।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অবস্থা ভালো নয় কথা সত্য
তবে যথাযথ উদ্যোগ নিলে
ঘুরে দাড়ানো অসম্বব নয়।
তবে একটা বালিশের দাম
২২ হাজার টাকা হলে হবেনা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি পার্বত্য চট্রগ্রাম গিয়েছিলেন?