নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
আষাঢ়ে মানে অদ্ভুত, মিথ্যা, অলীক। আষাঢ় মাসের অলস মুহূর্তের গল্পের আসর থেকেই আমাদের দেশে ‘আষাঢ়ে গল্প’ প্রবাদটির সৃষ্টি হয়েছে এমনটা মনে করা হয়। বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষা অভিধানে ‘আজাইড়া’, ‘আজাড়া’ (আজাড়ে অর্থ অবিশ্বাস্য), অদ্ভুত, অমূলক, অহেতুক ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার আছে। ফারসি অভিধান অনুসারে ‘আযার’ বা ‘আজার’ শব্দ থেকে ‘আজুরে’ বা আজাড়ে শব্দ এসেছে। আর এই আজাড়ে গল্প থেকেই ‘আষাঢ়ে গল্প’ কথাটির সৃষ্টি। পাঠকের জন্য আষাঢ়ে গল্প সিরিজের ২য় গল্প । কাঠাঁল খাওয়ার বাজি
পঞ্চাশ বছর আগের কথা। এক গ্রামে দুই যমজ ভাই ছিল। তাদের একজনের নাম নদু, আর একজনের নাম গদু। চেহারায় তাদের এমন মিল যে, তাদের মা-বাবাও খুব সহজে চিনতে পারতেন না—কে নদু আর কে গদু! এতটা অবিকল চেহারার যমজ বড় একটা দেখা যায় না।
তো, যাই হোক, এদের বাড়ির লাগোয়া হাট। সপ্তাহে দু'দিন সে হাট বসে—শুক্র ও সোমবারে। এমনি এক হাটের দিনে নদু তাদের বাড়ি সংলগ্ন কাঠাল হাটায় কাঁঠাল কিনতে গেছে। কাঁঠাল দেখেটেখে একজোড়া বড় কাঁঠাল তার ভারি পছন্দ হলো। সে মনে মনে ভাবে, এই কাঁঠালজোড়া কিনতে পারলে বাড়ির সবাইকে নিয়ে আছুদা সহকারে খাওয়া যেত। সে কাঁঠালের দাম জিজ্ঞেস করে।
বিক্রেতা বলে পছন্দ তো করছ নাজ্যের (রাজ্যের) ভারি কাডল। ইমুন পিরভিন (বিরাট) কাড়লের দামও বেশি। তুমি যে জোড়া পছন্দ করছ হের দাম পাঁচ টেকা। আড়াই টেকা কইরা পড়বো একখান।
নদু বলেঃ যে কাডল, ওয়া (ও তো) আমি একলাই একখান খাইবার পারি। তার আবার এত দাম ক্যা! দুইহান আড়াই টেকা দিমু।
বিক্রেতাঃ ব্যাপারীর পো, চাপা মাইরো না। কাডল আজদাহা। দামও তাই বেশি। আর তুমি যুদি একলা একখান খাইবার পার, তাইলে তুমারে দুইহান কাডলই মাগনা দিমু।
নদুঃ কথা হাচা তো! কথার নড়চড় অইব না তো?
বিক্রেতাঃ না, তা অইব না। এইহানে বইয়া যুদি একহান কাডল খাইবার পার, তা হইলে আর একহান বিনা পয়সায় দিমু।
নদু কাঁঠাল খেতে বসে। টপাটপ বড় বড় রসালো রোয়া মুখে পুরে দিতে থাকে। অর্ধেক খাওয়ার পর বলে, একটু পানি খামু। এই যে আমাগো বাড়ি। যামু আর আমু। বিক্রেতা রাজি হয়। বাড়িতে গিয়ে নদু যমজ ভাইকে ঘটনা বিবৃত করে বলে, জলদি যা। আমার খাওয়া কাডলটা শেষ কইরা জোড়ারটা লইয়া আইবি মাগনায়। মিনিট দুয়েক পরে গদু গিয়ে কাঁঠাল খেতে বসে এবং তা শেষ করে। পরে কোন কথা না বলে জোড়ার কাঁঠালটি কাঁধের গামছার ওপর বসিয়ে বাড়ির দিকে হাঁটা দেয়। বিক্রেতা রহস্য বুঝতে পারে না।
হাঁ করে তাকিয়ে থেকে বলেঃ শালা রাক্ষসের বাচ্চা নাকি?
(সংগৃহীত)
১। আষাঢ়ে গল্প সিরিজের ১ম গল্পঃ ঘটকালি
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ তপন দাদা
পূর্বের গল্পটি পড়ার আগ্রহ ব্যক্ত
করার জন্য।
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: আজিব!!!
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এ এক আজব দুনিয়া
বড্ড আজব মনে হয় মাঝে মাঝে।
এখনে মেঘের ঘনঘটা ছাড়াই বৃষ্টির দেখা মেলে
এখানে গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্তের কোন ভেদাভেদ নেই
এখানে কখনো শীতের হিম সকাল আবার
কখনো বসন্তের কোকিল ডাকা ভোর।
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হা হা হা
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চমৎকার হাসির জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
পাগলা দাদা
৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা হোল জমজ হওয়ার সুবিধা। অসুবিধাও আছে। ছোট বেলায় নদুকে তার মা প্রায়ই দুইবার দুধ খাওয়াত গদু মনে করে। এদিকে গদুর অবস্থা তো বুঝতেই পারছেন।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ সাচু ভাই
নদু আর গদুর মায়ের দুধ পানের
গল্প। তবে জমজ সন্তানদের বাবা ও
অন্যান্যরা ভুল করলেও মা;য়ের ভুল
হবার কথা না। কোন মা'ই তার সন্তানদের চিনতে
ভুল করেনা।
৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৩
শোভন শামস বলেছেন: আঞ্চলিক ভাষায় দারুন মজার
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ শোভন ভাই
মজা পাওয়ার জন্য
৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: গল্প উপভোগ করলাম।আমি অবশ্য আষাঢ় মাসে আমাদের কাচারি ঘরে পুঁথি পড়তাম।জঙ্গনামা,সহি কাসেদ নামা,সোনাভান,আরো কিছু পুঁথি ছিল আমার এখন নাম মনে নেই।৫/৬ দিন বৃষ্টি আর বৃষ্টি কারো কোন কাজ নেই বসে বসে গল্প গুযব করাছাড়া।
সেই সব দিন কোথায় হারিয়ে গেল।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ নুরুল ইসলাম ভাই আমাদের
সবার ছোট বেলার স্মৃতি প্রায় একই রকম।
বর্তমান ডিজিটাল পোলাপাইনের মতো আমরা
ইলেক্ট্রনক্স ডিভাইস টিপাটিপি করার সুযোগ
পেতাম না তাই গল্প, পুথি শুনেই আষাঢ়ের
বৃষ্টির দিনের অলস সময় পার করতাম।
৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমার পরিচিত জমজ বোন আছে । বহুদিন পর দেখা হলে খুব সতর্ক হয়ে তাদের নাম ডাকতে হয় কথা বলতে হয়। ওরাও ভাইয়া ভাইয়া বলে একবার একজন সামনে এসে বোকা বানাতে চায়।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এটাই স্বাভাবিক ! তবে তাদের স্বামীরা কি এই
দুই বোনকে মিষ্টি ভুলটা করে বিব্রত হন কিনা!!
তা জানতে ইচ্ছা করে !!
৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৩
উম্মে সায়মা বলেছেন: হাহাহা৷মজা তো
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গ্রাম বাংলার আষাঢ়ে গল্প খুবই মজার
আমি মাঝে মাঝেই খুঁজি আর পড়ি।
এখন সামুতেও শেয়ার করি।
৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩১
মা.হাসান বলেছেন: শাহ আজিজ ভাইয়ের ধুতির গল্প পড়ার পর মনে হচ্ছে বিক্রেতা বরিশালের হলেও ক্রেতারা মনে হয় ..খালীর লোক আছিলো
ছোট বেলায় এই গল্প পড়ছিলাম। দুই জমজ ভাই। মিষ্টির দোকানে মিষ্টি খাওয়ার গল্প । মিষ্টির দামটাও মনে আছে, কিন্তু দুই ভাইয়ের নাম মনে নাই
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মা-হাসান ভাই
বরিশাইল্যা ক্রেতার এমন সহজে পরাজয় মেনে নেবার
কথা নয়। তবে একে -----খাইল্যা তার উপর উকিল
তাই হয়তো এমন অভাবনীয় পরাজয়। কি আর করা বেচারা !!!
১০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন:
দারুন নুরু ভাই !
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার হাসির খোরাক যোগাতে পেরে
গর্ব বোধ করছি আপু।
১১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব গল্প পোষ্ট করুন।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাস্তব গল্প লেখার জন্যতো
আপ্নি আছেন! টুকরা টুকরা
মিথ্যা কথা, পথে
কুড়ানো ডাইরী। আমি না হয়
আষাঢ়ে গল্পি বলি সাথে গুণীজন
দের কথা। কি বলেন? বাস্তব গল্প
আপ্নার হজম হবেনা!
১২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নদু আর গদুর মতোই জমজ দুই বোন ছিল চুনি আর পুনি। চুনি আর পুনিকে ওর মাও মাঝেমধ্যে আলাদা করতে পারতো না। এ দুই বোনের বিয়ে হলো ঐ দুই ভাইয়ের সাথে। এরপর তারা সুখেশান্তিতে সংসার করতে লাগলো, কাডোল খাইতে লাগলো। কখনো কোনো দুর্বিপাক ঘটে নি।
১৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আজিব! বেশ ভালো লাগলো নুরু ভাই। ঘুরেফিরে সেক্সপিয়ারের কমেডি অফ এররস।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১১
শেরজা তপন বলেছেন: প্রথম গল্পটা পড়া হয়নি- সময় করে পড়ব!
দেশী গল্প তাও আবার আঞ্চলিক ভাষায় দারুন মজার ভ্রাতা