নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর-মীনা দিবসঃ মীনাকে তো আমরা সবাই চিনি। মীনা একটি প্রতিকী চরিত্র। এই চরিত্রের মাধ্যমে শিশুদের আধিকার, শিক্ষা, সাংস্কৃতি, বিনোদন, শারীরিক ও মানসিক ভাবে বেড়ে ওঠার চিত্র ফুটে উঠে।কার্টুনের মূল চরিত্র মীনা আট বছর বয়সের কন্যাশিশু। সে তার পরিবারের সঙ্গে একটি ছোট গ্রামে বাস করে। এ চরিত্রের মাধ্যমে শিশুদের অধিকার, শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিনোদন এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে বেড়ে ওঠার চিত্র ফুটে ওঠে। মীনা কার্টুনে একটি পরিবারের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে মীনা সময়মতো স্কুলে যায়, বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করে এবং পরিবারের বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করে। মিনা চরিত্রটি বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, নেপাল তথা দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েশিশুদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি বালিকা চরিত্র। ছোট ভাই রাজু ছাড়াও তার পরিবারে আছে বাবা-মা, বোন আর দাদী। আদরের টিয়া পাখি মিঠু সারাক্ষণ মিনার সঙ্গেই থাকে। কার্টুনটি আমাদের অনেকেরই প্রিয় কারণ এখানে মীনার অনেক বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতা আমরা দেখেছি। সবার জন্য ভালো কিছু করতে মীনা সবার আগেই থাকে। সবসময়ই তার আগ্রহ, কিসে এলাকার মানুষের উপকার হয়। কিভাবে বুদ্ধি করে সে চোর ধরেছিলো তা তো আমরা দেখেছি। এতে অবশ্য এটাও বোঝানো হয়েছে যে শিক্ষা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। শুধু কি তাই, মীনা তার বাবাকে ঠকে যাবার হাত থেকেও বাঁচিয়েছিলো। এজন্যই মীনা কার্টুন সারা পৃথিবী জুড়েই ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের শিশু সুরক্ষা বিষয়ক অধিসংস্থা ইউনিসেফ-এর আহ্বানে প্রতি বছর ২৪ সেপ্টেম্বর মীনা দিবস পালিত হয়ে থাকে।’ মীনা দিবসে বিশ্বের সব শিশুদের সম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক-–এই প্রত্যাশা আমাদের।
বাংলাদেশসহ সার্কভুক্ত দেশসমূহে দিবসটি গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়। প্রায় প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বিশেষ দিনটি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও উৎসব উদযাপন করা হয়। এই কর্মসূচিকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য সার্ক প্রতি বছর ২৪ সেপ্টেম্বর দিনটিকে মীনা দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত তার ফলশ্রুতিতে গ্রামাঞ্চলের শিশুরা অনেক এগিয়ে গেছে বিগত দিন গুলো থেকে। তাই প্রতি বৎসর এ দিনটি বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের শিশুরা উৎসব ও প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে। বিদ্যালয়ে যেতে সক্ষম শতভাগ শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিতকরণ এবং ঝরেপড়া রোধের অঙ্গীকার নিয়ে বিশ্বে পালিত হয় ইউনিসেফের ঘোষিত দিবসটি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক উন্নয়নের পাশাপাশি বাল্য বিয়ে, পরিবারে অসম খাদ্য বণ্টন, শিশুশ্রম রোধ প্রভৃতি বিষয়ে সচেতন করা ও কার্যকর বার্তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ‘মিনা’ চরিত্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। মীনা শিশু-কিশোরদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় বাংলা কার্টুন। এ কার্টুন ছবিটি তৈরি করেছে ইউনিসেফ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে আজ পালিত হচ্ছে মীনা দিবস। প্রতি বছরের মতো এ বছরও মিনা দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে র্যালি, মিনাবিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, যেমন খুশি তেমন সাজো ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। শিশুদের বিদ্যালয়ে লেখা পড়ার সাথে সাথে তাদের অন্যান্য ভাল অভ্যাস যেমন চিত্রাঙ্কন, নাচ গান, খেলা ,সাস্থ্য সচেতন ও তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য জাতিসংঘ আমাদের দেশের শিশু দের উদ্বুদ্ধ করে আসছে।
পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের মতো দক্ষিণ এশিয়ার আর্থসামাজিক অবস্থা খুবই নাজুক। দারিদ্র্য, অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কারে আচ্ছন্ন এই সমাজে সবচেয়ে বেশি দুর্দশাগ্রস্থ মেয়েরা। কিছু কিছু দক্ষিণ এশীয় দেশে মেয়েদের স্কুলে ভর্তির হার ছেলেদের তুলনায় ৫০% বেশী কম। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পুষ্টির মাত্রাও কম। মেয়েদের সমস্যার প্রতি মনোযোগের সঙ্গে গুরুত্ব প্রদান ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার উপলব্দি থেকে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা পরিষদ ১৯৯০ দশককে কন্যা শিশু দশক হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এই ঘোষণার আলোকে দক্ষিণ এশিয়ার ইউনিসেফ এবং তাঁর সহযোগীদের মিলিত উদ্যোগে মীনা কার্টুন, কমিক বই ও শিক্ষা উপকরণ তৈরি করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে মেয়ে শিশুর সম অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মেয়ে শিশু ইস্যু আরও জোরদার করে তোলার প্রতীক হিসেবে মীনা চরিত্রটিকে বেছে নেয়া হয়। মীনা প্রতিকটা সমাজ সংস্কারক এক কন্যাশিশু। সমাজের নানা সব কাজে মীনার পদচারণা চোখে পড়ার মতো। গ্রামে সেনিটারী পায়খানা ব্যবহার, টয়লেটের পর সাবান ব্যবহার, বাল্যবিবাহ রোধ, শিশুদের সমান অধিকার, এবং সব শিশুদেও বাধ্যতামূলক শিক্ষা এসবের প্রকাশ এই মীনা কাটুন এ। উল্লেখ্য বাংলাদেশে প্রথম ১৯৯৫ সালে বিটিভিতে মিনা কার্টুন দেখানো শুরু হয়েছিলো। তারপর থেকে বাংলাদেশের ছেলেবুড়ো প্রত্যেকের কাছেই মিনা দারুণ জনপ্রিয়।
আজ মিনা দিবসে মিনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা কোন শিশুকেই অবহেলা না করে শিশুরা যেন ভবিষ্যতে সুন্দর পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যেই সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমরা দেশ ও জাতী হিসাবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়াঁতে পারবো। মীনা দিবসে মীনার পক্ষ হতে সবার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমরা আড়ম্বর করি শুরু করিনা।
আমরা বড় বড় কথা বলি বাস্তবায়ন করিনা।
মীনা কার্টুন আমাদের বহুদূর এগিয়ে নিয়ে
যেতে পারতো যদি যথাযথ এপ্লিকেশন করা হতো।
ধন্যবাদ আপনাকে ঠাকুর ভাই মন্তব্য প্রদানের জন্য।
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১২
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এক সময় মনোযোগ দিয়ে মিনা দেখতাম ।মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: মীনা কার্টুনে একটি পরিবারের কাহিনী ফুটে উঠেছে। সেখানে মীনা সময়মত স্কুলে যায়, বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করে, পরিবারের বিভিন্ন কাজে সহযোগীতা করে,অন্যের বিপদে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জ্বি খানসাব !
পরী কি মীনা কার্টুন দেখে
নাকি শুধু তার বাবা মা;ই দেখে?
৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১৫
শোভন শামস বলেছেন: জীবনধর্মী সুন্দর
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ তপন দাদা
মীনাতে মন্তব্য করার জন্য।
৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:২০
জাহিদ হাসান বলেছেন: শিশু বয়সে মিনা কার্টুনের বই বাড়িতে এনে কি আনন্দই না করতাম।
আমরা বড় হইছি, মিনাও বড় হইছে । আমাদের বিয়া শাদী না হইলেও, মিনার বোধহয় এতদিনে নাতি-পুতিও চলে আসছে ঘরে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মীনা কার্টুন যখন শুরু হয় তখন শিশু
বয়স পাড়ি দিলেও বেশ আগ্রহ নিয়ে
দেখতাম যেমন এখনো দেখি !
মিনাদের বিবাহ করতে নেই !!
আপনাকে ধন্যবাদ জাহিদ হাসান ভাই।
৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৭
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আজ ২৪ সেপ্টেম্বর-মীনা দিবসঃ মীনা দিবসে মীনার পক্ষ হতে সবার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী
মীনা দিবসে মীনার পক্ষ হতে সবার জন্য
শুভেচ্ছা ও শুভকামনাজানানোর জন্য
৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২২
বিডি আইডল বলেছেন:
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিডি আইডল অপ্রাসঙ্গিকভাবে
এখানে এই ছবিটি না রাখলেও পারতেন!
মানুষের মন বড়ই দুষ্ট প্রকৃতির। কেউ হ্যান্ড
ওয়াস, কেউ শ্যাম্পু ভাবলেও কিছু লোক অন্য
কিছুও ভাবতে পারে।!!
৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৬
রামিসা রোজা বলেছেন:
ধন্যবাদ, মিনা রাজু মিঠুর এদের কথা মনে করে দিলেন
মীনা দিবস উপলক্ষে । মিনা কার্টুনের মূল টাইটেল থিম সং
এর কথা গুলো বুঝতে পারছি আজ পড়াতে পড়াতে সত্যি
এবং বাস্তব ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ রামিসা রেজা ভাই
চমৎকার উপলব্ধির জন্য। শুভেচ্ছা ও
শুাভকামনা সকল মীনা প্রেমীদের জন্য।
৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৩
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: মীনা দিবস উপলক্ষে আপনার লেখাটি বেশ হয়েছে। শুভ কামনা।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বরকতউল্লাহ ভাই।
ইদানিং আপনার গল্পগুলো বেশ মজা করে পড়ি।
প্রচেষ্টা অব্যহত থাকুক।
১০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: পরী মীণা কার্টূন দেখে না। আমি দেখি। ভালো লাগে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পরী বুদ্ধিতে পাকা আর
আপনি তার চেয়ে একটু কম !!
১১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এত জনপ্রিয় শিক্ষণীয় কার্টুন সিরিজ আর দেখিনি। ছোট বড় সবার আগ্রহ ছিল
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মীনা কার্টুন এমনই একটি পোগ্রাম যা দিয়ে সমাজ দেশ এমনকি বিশ্ব পাল্টে দেওয়া সম্ভব - শুধু দরকার এপ্লিকেশন।