নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
তনুজা মুখার্জী ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তবে তনুজা নামেই চলচ্চিত্র অঙ্গনে তিনি পরিচিত ব্যক্তিত্ব। এই প্রবাদ প্রতীম অভিনেত্রী একসময় বলি-টলি দুই পর্দাই কাঁপিয়ে ছিলেন একই সঙ্গে। বাংলা ছবিতে তার হাতেখড়ি হয় দেওয়া নেওয়া ছবির মধ্যে দিয়ে। বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমার। বাংলা, মারাঠী এবং গুজরাটি চলচ্চিত্রেও তিনি ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করেছেন। জাকুল (মারাঠী), এন্টনী ফিরিঙ্গী (বাংলা), দেয়া নেয়া, তিন ভুবনের পারে (১৯৬৯), প্রথম কদম ফুল, রাজকুমারী, সীমানা পেরিয়ে তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র। ১৯৪৩ সালের আজকের দিনে তিনি ভারতের মুম্বাইতে জন্মগ্রহণ করেন। আজ তাঁর ৭৭তম জন্মবার্ষিকী। জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনুজা মুখার্জীর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
(দুই শিশু কন্যা কাজল ও তানিশার সাথে তনুজা মুখার্জী)
তনুজা মুখার্জী ১৯৪৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ভারতের মুম্বাইয়ের মহারাষ্ট্রের মারাঠী পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের সময় তার নাম ছিলো তনুজা সমর্থ। তার পিতা কুমারসেন সমর্থ এবং মা শোভনা সমর্থ। কুমারসেন সমর্থ ছিলেন একজন কবি ও চলচ্চিত্র পরিচালক। 'শোভনা সমর্থ' ১৯৩০ ও ১৯৪০ এর দশকে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। তনুজার শৈশবকালেই পিতা-মাতার মধ্যে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে। তনুজার বড় বোন নুতনের সাথে হামারি বেটি (১৯৫০) ছবিতে 'বেবি তনুজা' নামের চরিত্রে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর চলচ্চিত্র জীবনের সূত্রপাত ঘটে তনুজার। ছাবিলি (১৯৬০) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি পূর্ণাঙ্গ নায়িকা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ছবিটির পরিচালক ছিলেন তার মা এবং তার বোনও এতে নেতৃত্ব দেন। সহজাত ও স্বভাবশৈলী অভিনয় নৈপুণ্যের মাধ্যমে তিনি খুব শীঘ্রই প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেন। পূর্ণাঙ্গ নায়িকা হিসেবে তিনি কিদার শর্মা'র হামারি ইয়াদ আয়েগী (১৯৬১) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে খ্যাতির শিখরে পৌঁছান। ১৯৬৭ সালে জুয়েল থিফ চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ারের সেরা সহ-অভিনেত্রীর মনোনয়ন পান। ১৯৬৯ সালে জিনে কি রাহে ছবিতে জীতেন্দ্রের সাথে অভিনয় করেন ও আশ্চর্য্যজনকভাবে ছবিটি ব্যবসা সফল হয়। ঐ বছরই তনুজা পয়সা ইয়ে পেয়ার ছবির মাধ্যমে 'ফিল্ম ফেয়ারঃ সেরা সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার' পান।
(১৯৬৭ সালে জুয়েল থিফ চলচ্চিত্রে তনুজা মুখার্জী)
১৯৬০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তনুজা কলকাতার বাংলা চলচ্চিত্রেও সমানতালে অভিনয় করতে শুরু করেন। ১৯৬৩ সালে দেয়া নেয়া চলচ্চিত্রে বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি উত্তম কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। এছাড়া, অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হিসেবে এন্টনি-ফিরিঙ্গী (১৯৬৭) এবং রাজকুমারী (১৯৭০) অন্যতম। তনুজা তার অত্যন্ত চমকপ্রদ ও আকর্ষণীয় মুখশ্রী নিয়ে অন্যতম সুপারস্টার সৌমিত্র চ্যাটার্জী'র বিপরীতেও বেশ কয়েকটি ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তন্মধ্যে - তিন ভুবনের পাড়ে (১৯৬৯) এবং প্রথম কদম ফুল অন্যতম। বাংলা চলচ্চিত্রে তিনি নিজেই ছবির সংলাপ বলতেন। এর পর ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তিনি একাধারে অভিনয় করে গেছেন। পরবর্তীতে তনুজা বেশ কয়েক বছর চলচ্চিত্রাঙ্গন থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন।
(দুই কন্যা কাজল মুখার্জী এবং তানিশা মুখার্জীর সাথে তনুজা মুখার্জী)
শমু মুখার্জী'র সাথে বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি টানার পর তিনি পুণরায় চলচ্চিত্রে ফিরে আসেন। সহকারী অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয়ের জন্য তিনি তার পূর্বের নায়কদের কাছ থেকে প্রস্তাবনা পান। পেয়ার কি কাহানী'র নায়ক অমিতাভ বচ্চন খুদ্দার (১৯৮২) ছবিতে তাঁকে 'ভাবী' হিসেবে সম্বোধন করেন। রাজ কাপুরের প্রেম রোগ (১৯৮২) ছবিতেও তিনি সহ-অভিনেত্রী ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে সাথিয়া (২০০২), রুলস্ (২০০৩) এবং খাকী (২০০৩) চলচ্চিত্রগুলোয় তিনি সহ-অভিনেত্রী হিসেবে অংশ নেন। এছাড়াও ২০০৮ সালে জি টিভি'র পারিবারিক নাঁচের অনুষ্ঠান "রক এন্ড রোল ফ্যামিলী"তে বিচারক হিসেবে তনুজা তার মেয়ে কাজল এবং মেয়ে জামাই অজয় দেবগনকে সাথে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ব্যাক্তিগত জীবনে তনুজা পরিচালক শমু মুখার্জীর সাথে এক বার মুসকরা দো (১৯৭২) ছবিতে কাজ করার সময় প্রেমে পড়ে যান এবং ১৯৭৩ সালে প্রেম থেকে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন । পরবর্তীতে তাদের দাম্পত্য জীবনে সম্পর্কের ভাটা পড়লে তারা পৃথকভাবে বসবাস করেন। কিন্তু তারা কখনো বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটাননি। তাদের সংসারে কাজল মুখার্জি এবং তানিশা মুখার্জী নামে দু'টো মেয়ে রয়েছে। ১০ এপ্রিল, ২০০৮ সালে শমু মুখার্জী হৃদজনিত কারণে পরলোকগমন করেন।আজ তাঁর ৭৭তম জন্মবার্ষিকী। জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনুজা মুখার্জীর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ সাচু ভ্রাতা
এক সময়ের বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয়
অভিনেত্রী তনুজা মুখার্জীর জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা
জানানোর জন্য। তার দুই মেয়েও সুদক্ষ অভিনেত্রী।
২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তনুজা ভালো অভিনেত্রী। আকর্ষণীয় চেহারার অধিকারিনি।
তনুজা 'দেয়া নেয়া'-তে :
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সোনাবীজ ভাই, তনুজাআকর্ষণীয় চেহারার অধিকারিনি।
এটা এখন পাস্ট টেন্স !! এটাই প্রকৃতির নিয়ম। ধন্যবাদ
আপনাকে তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। লিংকের
জন্য বোনাস ধন্যবাদ।
৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯
জাহিদ হাসান বলেছেন:
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ জাহিদ হাসান ভাই
৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সোনাবীজ ভাই, তনুজাআকর্ষণীয় চেহারার অধিকারিনি। এটা এখন পাস্ট টেন্স !!
নূরু ভাই, আমি জানি না সুচিত্রা সেনকে এই পরামর্শ কে দিয়েছিলেন অভিনয় ছাড়ার পর আমৃত্যু মনুষ্যচোখের আড়ালে থাকার জন্য। যিনিই এ আইডিয়াটা দিয়ে থাকুন না কেন, ওটা একটা অবিস্মরণীয় ও কালোত্তীর্ণ আইডিয়া ছিল। আমাদের কৈশোর ও যৌবনের নায়িকারাই আমাদের কাছে সবচাইতে যৌবনবতী ও আকর্ষণীয়া। কিন্তু ৩০-৩৫ বছর আগেকার নায়িকাকে আজ দেখলে মুহূর্তেই আপনার মোহভঙ্গ হবে। পুরোনো দিনের নায়িকাদের, যেমন বৈজয়ন্তীমালাসহ বেশ কয়েকজনের লেটেস্ট ভিডিও দেখলে কষ্ট পেতে হয়। তাদের আগের যৌবন নাই, শুধু এটাই কষ্টের কারণ না, মনের মধ্যে এই বোধটা চাড়া দিয়ে ওঠে, আবহ কাল শুনে আসা এই প্রবাদের কোনো ব্যত্যয় নেই - রূপ ও যৌবন চিরস্থায়ী নয়।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আজ যেটা কচি সবুজ পাতা কাল সেটা্ই শুস্ক ধুষর
এই কারনেই বলে রূপ, যৌবন কারো চিরস্থায়ী নয়
কথাটা যারা মানেনা তাদের নিয়েই হয় ভয়!!
৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫০
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: @সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই গানটা আমার খুব পছন্দ যা প্রায়শই গুনগুনিয়ে গাই ! আর তাঁর মেয়ে কাজলে-র অনেক সিনেমার গানে এখনো হারিয়ে যাই! আপনার ৪ নম্বর মন্তব্যের সাথে সহমত! সুচিত্রা সেন শবযাত্রাতেও এই বিষয়টা ধরে রাখার জন্য বলেছিলেন -তাই শবযাত্রায় তাঁর মুখচ্ছবি দেখানো হয়নি বলেই জানি-যতদূর মনে পড়ে।
--@ নূর মোহাম্মদ নূরু - স্যার আপনাকেও ধন্যবাদ তাঁকে নিয়ে পোস্ট করার জন্য।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনুজা মুখার্জীর ৭৭তম জন্মবার্ষিকীতে জানাই ফুলেল শুভেচ্ছা।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ রিফাত ভাই
জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনুজা মুখার্জীর জন্মবার্ষিকীতে
শুভেচ্ছা এবং সোনাবীজ ভাই ও আমাকে ধন্যবাদ
জানানোর জন্য।
৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: তনুজা কে ভালো লাগে। সে অনেক সুন্দর।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খানসাব ব্যাকরণে গলদ !!
ছেলেদের বেলায় সুন্দর হলেও
মেয়েদের বেলায় হয় সুন্দরী !!
৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) ভাই@ ধন্যবাদ আপনাকে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ডাবল ডাবল ধন্যবাদে শিক্ত হলেন রিফাত ভাই !!
৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২০
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: শ্রদ্ধাভাজন আছেন যাঁরা ব্লগে বটবৃক্ষ হয়ে
তাঁদের ব্লগে আমি অধম নক করি নত শিরে;
আপনাদেরই লেখায় আমি শিখছি দিবা-রাত্র
অনুজ হিসেবে আপনাদের ভালোবাসায় হলাম সিক্ত।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অসাধারণ প্রতিদান
ভালো থাকুন সর্বক্ষণ !!
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তনুজা মুখোপাধ্যায়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। মায়ের গুণ কিছুটা পেয়েছেন তার সুযোগ্য কন্যা মুম্বাইয়ের নায়িকা কাজল। মা ও মেয়ে উভয়েই যথেষ্ট ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন।