নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
আজ ভয়াল না্ইন ইলেভেন। আজ থেকে ১৯ বছর আগে ২০০১ সালের এ দিনে নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে আত্মঘাতী বিমান হামলা চালায় জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদা।পৃথিবীর আর সব দেশের মানুষের মতো মার্কিনিরাও ধারণা করতে পারেনি যে প্রবল প্রতাপশালী সামরিক শক্তিধর যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বেষ্টনীকে এড়িয়ে দেশটির ইতিহাসের জঘন্যতম হামলা হতে পারে তা-ও যেসব স্থান নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়ার কথা, সেসব স্থানে। যে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো ৭৮টি দেশের সর্বমোট প্রায় তিন হাজার নিরীহ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিকও ছিলেন। হামলার এই দিনটি সারা বিশ্বে ‘নাইন-ইলেভেন’ নামে পরিচিত। নাইন ইলেভেনের ঘটনা পাল্টে দেয় বিশ্ব রাজনীতি। এর প্রভাব পড়ে সারা বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে। যুক্তরাষ্ট্র ওই হামলার জন্য আল কায়েদা জঙ্গিদের দায়ী করে পরে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হামলার ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জাতির উদ্দেশে ভাষণে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, হয় আমাদের পক্ষে থাকতে হবে, না হলে বিপক্ষে। এ ঘটনার জেরেই ওই বছরের অক্টোবরে আফগানিস্তানে হামলা চালানো হয়। পরে নাই২০০৪ সালে হামলা চালানো হয় ইরাকেও। ইরাক ও আফগানিস্তানে অভিযান চালাতে গিয়ে প্রাণ হারায় ৭ হাজার মার্কিন সেনা। লাখো মানুষের মৃত্যু এবং গৃহহারা হওয়ার ঘটনায় বদলে যায় বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপট। আফগানিস্তান ও ইরাকে এখনো মার্কিন দখলদারিত্ব চলমান রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে আজ যে দুর্দশা তার জন্য অনেকেই নাইন ইলেভেনকে দায়ী করেন। হামলার মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে গোপন অভিযান চালিয়ে হত্যা করে মার্কিন নেভি সিল। নাইন-ইলেভেনের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি রোষানলের শিকার হয়েছে মুসলমানরা। তাদের প্রতি সবসময় অভিযোগের তীর ছোঁড়া হয়েছে। যদিও এর পেছনে শক্তিশালী কোনো যুক্তি এখনো উপস্থাপন করা হয়নি। যদিও আজ অবধি জানা যায়নি এ হামলার ঘটনার প্রকৃত রহস্য। ফলে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি কী ছিল নাইন-ইলেভেনের উদ্দেশ্য। আর এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আক্রমণকারীরা আমেরিকাকে কী বার্তাই বা দিতে চেয়েছিল। ঘটনার তিন বছর পর মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনী হামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এই হামলা হলো তার আজও কোনো সদুত্তর মেলেনি। ইরানের দাবি, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে হামলা চালানোর লক্ষ্যে গোয়েন্দা কারসাজি করে এই নাটক সাজানো হয়েছে। নাইন-ইলেভেনের ১৯ বছর পূর্ণ হলো আজ। নাইন ইলেভেনের স্মৃতি শুধু মার্কিনিদের, তা নয় আরো ৭৮টি দেশের নাগরিকদেরও, যাদের দেশের মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল সেই ভয়াল হামলায়।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। এদিন জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত ১৯ জঙ্গি চারটি বিমান ছিনতাই করে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি স্থানে। সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট-১১; বোস্টন থেকে উড়ে এসে হামলে পড়ে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উত্তর ভবনটিতে। জানা যায়, হামলা চালানোর আগে সকাল ৮টা ১৯ মিনিটে একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট সতর্ক করেন, তাঁদের উড়োজাহাজ ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছে। তিনি জানান, ককপিট থেকে কোনো উত্তর আসছে না এবং ছিনতাইকারীদের কাছে বিস্ফোরক রয়েছে। এ ছাড়া জানানো হয়, এক যাত্রীসহ দুজন অ্যাটেনডেন্টকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। পরে জানা যায়, হামলার শিকার হওয়া ওই যাত্রীর নাম ড্যানিয়েল লেউইন। তিনি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ধারণা করা হয়, তিনি ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে উড়োজাহাজের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন এবং নাইন-ইলেভেনের হামলায় তিনিই প্রথম ভুক্তভোগী। এ হামলার বিষয়টি ঠিকমতো বুঝতে না বুঝতেই ১৭ মিনিট পর ৯টা ৩ মিনিটে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দক্ষিণ ভবনে আছড়ে পড়ে ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের ফ্লাইট-১৭৫। সেটিও বোস্টন থেকে উড়ে এসে হামলা চালায়। পরে জানা যায়, উড়োজাহাজটি ছিনতাইয়ের পরই একজন অ্যাটেনডেন্ট ইউনাইটেড এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছে এবং দুজন পাইলটই নিহত হয়েছেন। তবে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়েও শেষরক্ষা হয়নি কারো।এ দুই ভয়াবহ হামলার এক ঘণ্টার মধ্যে ৯টা ৩৭ মিনিটে ওয়াশিংটনে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর পেন্টাগনে হামলে পড়ে আরো একটি উড়োজাহাজ। ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের ডালাস থেকে উড়ে আসা আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট-৭৭-এর যাত্রীদের জিম্মি ক রে এ হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। ওই বিমানে তখন ছয়জন ক্রুসহ ৫৮ যাত্রী ছিলেন। এ হামলায় সামরিক কর্মকর্তা ও বেসামরিক নাগরিকসহ মোট ১২৫ জন নিহত হন। এ ছাড়া উড়োজাহাজে থাকা পাঁচ জঙ্গিসহ সব যাত্রীই নিহত হন। একের পর এক হামলার মধ্যেই নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের নেওয়ার্ক থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিসকোর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের ফ্লাইট-৯৩ ছিনতাই করে জঙ্গিরা। পরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় পশ্চিম পেনসিলভানিয়ার শ্যাংকসভিল এলাকার একটি মাঠে। এতে বিমানে থাকা ৪৪ জনের সবাই নিহত হন। ধারণা করা হয়, হামলাকারীরা তাঁদের উদ্দেশ্য অনুযায়ী প্লেন হামলাটি চালাতে পারেনি। প্লেন ছিনতাইয়ের পরই যখন ক্রু ও যাত্রীরা নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তখনই বিমানটি ইচ্ছাকৃতভাবে বিধ্বস্ত করা হয়। ধারণা করা হয়, নাইন-ইলেভেনের প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন পাকিস্তানে জন্মগ্রহণকারী আল-কায়েদা সংগঠনের সদস্য খালিদ শেখ মোহাম্মদ। তিনি ২০০৩ সালের মার্চে রাওয়ালপিন্ডি থেকে সিআইএ ও আইএসআইয়ের যৌথ অভিযানের সময় গ্রেপ্তার হন। ওসামা বিন লাদেনের সংগঠন আল-কায়েদা এ হামলায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। ২০১১ সালের ২ মে বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এমনই একটি জীবন্ত, ঐতিহাসিক, ভয়াল ও কলঙ্কিত কালো দিন, যা একবিংশ শতাব্দীর নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা, পাশবিকতা ও হোলি খেলার রক্তাক্ত প্রারম্ভ। রহস্যজনক টুইন টাওয়ার হামলার ১৯ বছর পরও এই হামলা কে করেছে, কেন করেছে, কীভাবে করেছে তা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের হয়তো চরম অনীহা রয়েছে, অথবা তারা শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ৯/১১ কমিশন প্রণীত রিপোর্টে নানা অসংগতি বিদ্যমান থাকায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সততা, নিরপেক্ষতা ও আন্তরিকতা প্রশ্নের মুখে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের ১১ সেপ্টেম্বর নিয়ে রহস্যের জট পাকানোর কারণ কী? কেনইবা তড়িঘড়ি করে আফগাসিস্তান আক্রমণ করা হয়, এসব জানতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও বৈদেশিক নীতির কৌশলগত ইতহাসে যেতে হবে। নাইন-ইলেভেন কমিশন রিপোর্ট অনুসারে চার ফ্লাইটের ১৯ জন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী ছিল প্রায় খালি হাতে, কারও হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না। অন্যদিকে প্রত্যেক বিমানের কমপক্ষে একজন পাইলট ছিলেন সামরিক বাহিনীর উচ্চতর কমব্যাট ট্রেনিংপ্রাপ্ত। প্রশ্ন হচ্ছে চার বা পাঁচজন সন্ত্রাসী বিমানের ককপিটে গেল আর কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই বিমানের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করল, তা কতটা হাস্যকর আর অযৌক্তিক তা দু-চারজন গেঁয়ো মূর্খ মানুষকে বোঝাতে পারলেও বিবেকবান সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষকে বোঝানো প্রায় অসম্ভব। বিবিসি ও প্রথম সারির কয়েকটা আন্তর্জাতিক নিউজ মিডিয়ার সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্টে দেখা যায়, কমপক্ষে ছয়জন বিভিন্ন দেশে জীবিত এবং তারা এই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তবে তাদের পাসপোর্ট হারানো গেছে বলে অভিযোগ করেন। এফবিআই প্রধান রবার্ট মুলার ২০০১ সালের ২০ ও ২৭ সেপ্টেম্বর সিএনএন'কে সন্দেহভাজন হাইজ্যাকারদের পরিচয় ও সত্যতা নিয়ে চরম সংশয় প্রকাশ করেছেন। তাই নাইন ইলেভেন নিয়ে ঘটনার কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা তা ভবিষ্যতের জন্য তোলা রইল।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এ্টাই দ্রুব সত্য
তবে ৯/১১ এর কুশীলব কারা
তা এখনো তিমিরেই রয়েগেছে
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই হামলা মুসলমানদের অনেক ক্ষতি করেছে।চরম নিন্দা জানাই
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইসলাম কখনোই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ
অনুমোদক করে না।
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪১
অনল চৌধুরী বলেছেন: সন্ত্রাসী এ্যামেরিকা নিজেই আরবদের তেল দখল করার জন্য এই নাটক সাজিয়েছিলো, যা এ্যামেরিকার বুদ্ধিজীবিরাই প্রমাণ করেছেন।Fahrenheit 9/11 (2004) Michael Moore
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ অনল দাদা
আমার লেখায় আমি
তারই ইঙ্গিত করেছি
৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৫
জাহিদ হাসান বলেছেন: অনল চৌধুরী বলেছেন: সন্ত্রাসী এ্যামেরিকা নিজেই আরবদের তেল দখল করার জন্য এই নাটক সাজিয়েছিলো, যা এ্যামেরিকার বুদ্ধিজীবিরাই প্রমাণ করেছেন
লাদেন অনেক আগেই স্বীকার করেছে তার দল আল কায়েদা এই কাজ করেছে।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
স্বীকারোক্তি আদায় আর যুক্তি
পৃথক হতেই পারে। লাদেন
কোন পক্ষের ছিলো তার কি
প্রমান মিলেছে!! অনেকেই
বলেন লাদেন আমেরিকার সৃষ্ট
জীবন ধ্বংশকারী ভাইরাস!!
৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমেরিকার সমস্ত পলিসি ইহুদীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তাই ৯/১১-এর রহস্য কখনোই সঠিকভাবে পৃথিবীর মানুষ জানতে পারবে না।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ আশরাফ ভাই
আমারও ধারণা ৯/১১-এর রহস্য কখনোই
সঠিকভাবে পৃথিবীর মানুষ জানতে পারবে না।
৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জঙ্গি গোষ্টিদের সংগটিত নাইন ইলেভেন ধ্বংশকান্ড নিয়ে যারা সন্দেহ পোষন করে তার ধুর্ত জঙ্গি সমর্থক।
৯/১১ এর কুশীলব ও বিমান ছিনতাই করেছিল তারা কেউই নিরস্ত ছিল না, আগ্নেয়াস্ত্র না থাকলেও প্রত্যেকের হাতে ছুরি ছিল, নকল বোমা সদৃস্য বস্তু ছিল। এদের প্রত্যেকের নামধাম,ব্যাকগ্রাউন্ড, নাগরিকত্ত ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
পরে হোমল্যান্ড সিকুরিটি গঠন ও বিমানবন্দর নিরাপত্তা জোড়দার করার পর বিমান ছিনতাই সম্পুর্ন বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।
এফবিআই প্রধান রবার্ট মুলার হাইজ্যাকারদের পরিচয় ও সত্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সঙ্গত কারনেই।
কারন সেটা মুলারদের গোয়েন্দা ব্যার্থতা। জঙ্গিরা আমেরিকা প্রবেশের সময় বিভিন ধরনের ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে প্রবেশ করে, তাই বলে তাদের সন্ত্রাসি কর্মতো ভুয়া নয়। লাদেন/আলকায়দা সমর্থন তো ভুয়া নয়।
আর গুরু লাদেনকে যারা ভুয়া বলে তাদের মাথায় সমস্যা আছে। মাথা বোঝাই জঙ্গিপনা। ধুর্ত জঙ্গি সমর্থক, ব্লগার হত্যা সমর্থক।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কালবৈশাখী সাহেব
৯/১১ নিয়ে আপনার এত উত্তেজিত হবার কারণ
খুঁজে পেলাম না। আমি যা জেনেছি যা পড়েছি তার
আলোকে আমার লেখাটি উপস্থাপন করেছি। ঘটনার সময
আমি সেখানে ছিলাম না তাই ভুল ত্রুটি থাকা বিচিত্র নয়।
সন্দেহ থাকাও অন্যায় নয় ! তাই বলে নাইন ইলেভেন ধ্বংশকান্ড
নিয়ে যারা সন্দেহ পোষন করে তার ধুর্ত জঙ্গি সমর্থক। এটা কোন
যুক্তিতে বলেন ?
১১ই সেপ্টেম্বরের ঘটনা নিয়ে বিবিসির রিপোর্ট নিয়েও বহু প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছিল।
ঘটনাটি হচ্ছে, সেদিন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দুটি টাওয়ার ছাড়া ১০০ মিটার দূরের
ডব্লিউটিসি নামে আরেকটি ৪৭ তলা ভবনও ধ্বংস হয়েছিল। কিন্তু ওই ভবনটিতে
বিমানের আঘাত লাগেনি।
আর ওই ভবনটি ভেঙে পড়া নিয়ে বিবিসির একটি রিপোর্টেও বিভ্রান্তি ও প্রশ্ন তৈরি হয়।
ভবনটি আসলে যখন ভেঙে পড়েছিল তার ২০ মিনিট আগেই বিবিসির একটি রিপোর্টে
ভবনটি ভেঙে পড়ার খবর দেয়া হয়। সন্দেহ হতে পারে কি?
বিচিত্র সব 'ষড়যন্ত্র তত্ত্ব' আছে ওই ঘটনা নিয়ে। যেমন: মার্কিন সরকার বা ইসরায়েলের
গোয়েন্দা সংস্থা এ হামলার পেছনে ছিল, ওই আক্রমণে কোন ইহুদি মারা যান নি, আসলে
কোন বিমান টুইন টাওয়ারে বা পেন্টাগনে আঘাত করেনি - এই রকম নানা কিছু। আরেকটি
বড় তত্ত্ব হচ্ছে - ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দুটি টাওয়ার ধসে পড়েছিল বিমানের আঘাতে নয়,
বরং ভবনটির ভেতরে বিস্ফোরক বসিয়ে তা উড়িয়ে দেয়া হয়েছিল।
ডেভিড রস্টচেক নামের এক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী লিখলেন, "কেউ কি খেয়াল করেছেন যে
ওয়ার্ল্ড টেড সেন্টার ভবনটি বিমানের আঘাতে ধ্বংস হয় নি? নাকি শুধু আমিই এটা বুঝেছি?"
তার কথা ছিল, ভবন দুটিতে বিমান আঘাত করেছে এবং প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এটা ঠিক কথা -
কিন্তু যেভাবে টাওয়ার দুটি ভেঙে পড়েছে তার জন্য এর ভেতরে সঠিক জায়গায় বিস্ফোরক
বসাতে হতো। এ কাজটা করতে হলে কাউকে অনেক সময় নিয়ে করতে হবে। প্রশ্ন হলো:
প্লেনগুলোর তাহলে কী কাজ ছিল? আজ এত বছর পরও এসব তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক শেষ হয়নি।
বিতর্ক চলবে। চলুক। তাই বলে গলাবাজি করে কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা কি ঠিক হবে?
৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৫
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সব সন্ত্রাসিই আমেরিকার সৃষ্টি তাহলে মুসলমানরা কি করে বা—- ফালায়।আমাদের দেশে যারা রগ কাটে তারাওকি আমেরিকার দালাল।যারা ওয়াজ করে বেড়ায় তারাও দালাল।ধর্মটাই আসলে দালালির ধর্ম।মুসলমানরা আল্লাহর দালাল,সৌদি আমেরিকার দালাল,বাংলাদেশ ভারতের দালাল বাদ আছে কে।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নুরুলইসলা ভাই
৯/১১ হামলার পেছনে কারা মদদ জুগিয়েছিল? কোথায় হয়েছে এর পরিকল্পনা?
মোটাদাগে বিশ্ববাসী এই হামলা সম্পর্কে যা জানে, সেটাই কি সত্য? নাকি এর পেছনেও
লুকিয়ে আছে আরো বড় কোনো সত্য। হয়নি তার চুলচেড়া বিশ্লেষণ। হামলার ১৯ বছর
পেরিয়ে গেলেও এখনও এ নিয়ে বিতর্ক শেষ হয়নি। ক্যালিফোর্নিয়ার চ্যাপম্যান বিশ্ববিদ্যালয়
২০১৬ সালে একটি জরিপ পরিচালনা করে। জরিপে বলা হয়, অর্ধেকেরও বেশি আমেরিকান
বিশ্বাস করে, সরকার ৯/১১-র ঘটনা সম্পর্কে তথ্য গোপন করেছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া এই হামলা সম্পর্কিত ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ নিয়ে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে
কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কারেন ডগলাস বলেন, যখন কোনো একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে তখন
লোকেরা এর একটা ব্যাখ্যা পেতে চায়। কিন্তু অনেক সময় সরকারি ব্যাখ্যা জনগণকে সন্তুষ্ট করতে পারে
না। তারা চায়, ঘটনা যে মাপের ব্যাখ্যাটাও সেই মাপের হতে হবে। আর তা না হলেই ষড়যন্ত্র তত্ত্বের জন্ম
হয়। টুইন টাওয়ারে হামলার ব্যাপারেও তাই ঘটেছে।
৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: সারা বিশ্ব কেঁপে উঠেছিলো এই ঘটনায়।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ঠিক বলেছেন খানসাব।
এ ঘটনায় শুধু মানুষের মৃত্যু নয় স্তব্ধ হয়ে যায় বিশ্ব!
পাল্টে যায় রাজনীতির প্রেক্ষাপট। পাল্টে যায় অনেক চেনা হিসাব।
৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১১
জাহিদ হাসান বলেছেন: লাদেনের মত মানুষদের কারণে আমরা মুসলিমরা এত কষ্টে আছি।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লাদেনের মত একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর পক্ষে টুইন টাওয়ার ধ্বংস করা সম্ভব না এটা
খোদ আমেরিকার অনেক গবেষকই তাদের গবেষণায় প্রমাণ পেয়েছেন। ওই দিন ওই ভবনে
ইসরাইলের নাগরিকদের অধিকাংশই অনুপস্থিত থাকা এবং বুশ তাৎক্ষনিকভাবে সপরিবারে
বিমানে করে আকাশে অবস্থান নেয়ায় এটা খুব পরিস্কার কাজটা কারা করেছে ।
অনেকের স্মরণ থাকতে পারে, টুইন টাওয়ার ধ্বসংস হওয়ার পরে পরেই আল-কায়েদায় এর
সাথে তাদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছিলো। পরে ক্রমাগত আমেরিকান মিডিয়ার প্রচারনার
ফাঁদে পড়ে লাদেন টুইন টাওয়ার ধ্বংসের বাহাদুরী নিতে গেলো। তার খুশীকে পুজি বানিয়ে
ইসরাইল টাকা পয়সা বিনিয়োগ করে আরব দুনিয়ায় তাকে আত্মঘাতি মানুষ বানিয়ে ফেলল ।
ঘটনা হলো ৯/১১ এর ২৩ বছর আগে ওয়াশিংটনের মেয়র হোয়াইট হাউজকে এক চিঠিতে জানিয়েছিল-
” টুইন টাওয়ার এর মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে, এটি আগামী ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যেই ভেংগে ফেলা দরকার” ।
তখন বুশ এর মাথায় লাদেন আইডিয়ার জন্ম হয় ।
বর্তমান বিশ্বে সবচাইতে আতঙ্কের নাম আইএস। আর কাউকে ধরে নিয়ে আটক করে মুক্তিপণ আদায় করা,
শিরচ্ছেদ করে ভিডিও প্রকাশ, নারীদের জোর করে নিয়ে নিজের প্রবৃত্তির চাহিদা মোটানো এবং নারী পাচার
করে যৌন জীবনে বাধ্য করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়া, যখন আইএসের প্রকৃতি তখনই কথিত এই
ইসলামধারী জঙ্গি সংগঠনটিকে নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয় কেননা, এসব প্রকৃতির কোনোটিই ইসলাম সমর্থন করে না।
তাই স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে এসব অপকর্ম করে কেন ইসলামিক বলে নামধারণ করেছে? আবার কারাই বা এর
পেছনে দায়ী? কি বা তাদের মূল উদ্দেশ্য? অর্থ আর অস্ত্রের জোগানই বা আসে কোথা থেকে? যেখানে
আলকায়েদার মতো সংগঠন গোপনে বহুদিন পরে অজ্ঞাত কোনো স্থান থেকে মাঝেমধ্যে তাদের খবরাখবর
উপস্থাপন করত আর সেখানে কথিত এই ইসলামের নামে এই সংগঠনটি প্রতিনিয়ত তাদের বীভৎস কৃতকর্ম
পৃথিবীর শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে অবলীলায় উপস্থাপন করে যাচ্ছে! আইএসের সৃষ্টি সম্পর্কে বলতে গেলে বলা
যায় আইএস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সৃষ্টি।
আর এতে প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষভাবে মদদ দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রে স্পষ্ট
করেই বলেছেন আইএসের উত্থানের পেছনে স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্র আর ইসরায়েলই দায়ী। আন্তর্জাতিক এক
গবেষণায় দেখা যায় আইএস যে ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করছে তা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে
ও আমেরিকা-আফগান যুদ্ধে ব্যবহার করেছে এবং অন্যান্য যেসব অস্ত্র তাদের হাতে রয়েছে তা কেবল
আমেরিকা কিংবা ইসরায়েলের কাছেই রয়েছে সুতরাং এসব লক্ষণ থেকে বুঝা যায় যে আইএস
আমেরিকার ও ইসরায়েলের সৃষ্টি। আমেরিকার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ইসলামকে বিশ্ববাসীর
কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করে আমেরিকা ও ইউরোপে মুসলমানদের বৃদ্ধি রোধ করা । সুতরাং ভাবুন
তার পরেও ভাবুন ! গলদ কোথায় !!
১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২১
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
ঠিক বলেছেন খানসাব।
এ ঘটনায় শুধু মানুষের মৃত্যু নয় স্তব্ধ হয়ে যায় বিশ্ব!
পাল্টে যায় রাজনীতির প্রেক্ষাপট। পাল্টে যায় অনেক চেনা হিসাব।
বিশেষ করে মুসলমানরা বেকায়দায় পোড়ে গিয়েছিলো।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মুসলমানরা এখনো বেকায়দায় আছে!
পশ্চিমাদের কুট কৌশলে ধরাশায়ী
মুসলমান। কারণ আল্লাহতে যার পূর্ণ
ঈমান সে মুসলমান খুঁজে পাওয়া যায়না।
১১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
' কোন ইহুদি মারা যায়নি' এটা ফাজলামি কথা। লাদেন সমর্থকদের বানানো কথা।
কারন আমেরিকায় ইহুদি খ্রীষ্টান মোসলমান ইত্যাদি আইডেন্টিফাই করার কোন উপায় নেই।
কারন কে কোন ধর্মের সেটা আমেরিকান আইনে বোঝার কোন উপায় নেই। আইডি কার্ডে পাসপোর্টে, স্কুল ভর্তি ফর্মে, চাকুরি দরখাস্তে কোথাও ধর্মপরিচয় উল্লেখ করতে হয় না। খুব কাছের সহকর্মিরা কেউই জানে না কে কোন ধর্মের, নিজে সেধে না বলা পর্যন্ত।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বৈশাখী সাহেব তর্কে কোন সমাধান হয়না।
অন্ধ বিশ্বাস আর এক পেশে বিদ্বেশ কোন
সমাধান নয়।
১২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬
রাশিয়া বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী, তালেবানরাই যদি ৯/১১ হামলার হোতা হয়ে থাকে, তাহলে আমেরিকা তালেবানদের নেতাদেরকে না ধরে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষের উপর কুকুরের মত হামলে পড়ল কেন? আমেরিকার অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র দিয়ে কি তালেবান সরকারকে পরাস্ত করা যেত ন? অথবা চাপ সৃষ্টি করে হোতাদের বিচারের ব্যবস্থা করা যেত না?
আবার যদি ধরে নেই আফগানিস্তানের জুব্বা বোরখা পড়া সাধারণ মানুষ না মারতে পারলে আমেরিকান মডার্ন সৈন্যদের দেশপ্রেম জাহির হয়না, তাহলে মিথ্যা অজুহাতে ইরাকে আক্রমণ করল কেন? বছরের পর বছর অবরোধে নাকাল হওয়া মরা মেরে আপনার সাধের আমেরিকা কি বীরত্ব জাহির করতে চেয়েছে?
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
একসময় আমেরিকার জনগণই প্রকৃত রহস্যের
মুখোশ উন্মোচন করবে। আমরা শুধু জল ঘোলা
করতেই জানি।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩
জাহিদ হাসান বলেছেন: উগ্রবাদীরা সব ডোডো পাখির মত বিলুপ্ত হয়ে যাবে।