নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
রক্ত দিন জীবন বাঁচান। কথাটার সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত। অথচ রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মানসিকতা এখনও আমাদের মধ্যে গড়ে ওঠেনি সে ভাবে। প্রতি দিন বিশ্বে রক্তের অভাবে বহু মানুষের প্রাণ গেলেও সুস্থ মানুষেরা অনেকেই রক্তদান সম্পর্কে ভুল ধারণা, ইতস্তত ভাব কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ১৯৯৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক রক্তদান দিবস পালন এবং ২০০০ সালে ‘নিরাপদ রক্ত’-এই থিম নিয়ে পালিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০০৪ সালে প্রথম পালিত হয়েছিল বিশ্ব রক্তদান দিবস। ২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনের পর থেকে প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ দিবস পালনের জন্য তাগিদ দিয়ে আসছে। রক্তদান সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে ২০০৪ সাল থেকে সারা বিশ্বে প্রতি বছর ১৪ জুন ওয়ার্ল্ড ব্লাড ডোনর ডে (রক্তদাতা দিবস) পালিত হয়। যারা স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদান করে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন তাদেরসহ সাধারণ জনগণকে রক্তদানে উৎসাহিত করাই এ দিবসের উদ্দেশ্য। ১৪ জুন দিবসটি পালনের আরও একটি তাৎপর্য রয়েছে। এদিন জন্ম হয়েছিল বিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টিনারের। এই নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছিলেন রক্তের গ্রুপ ‘এ, বি, ও,এবি’। স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদানকারী আড়ালে থাকা সেসব মানুষের উদ্দেশে, এসব অজানা বীরের উদ্দেশে, উৎসর্গীকৃত ১৪ জুনের বিশ্ব রক্তদান দিবস। শারীরিকভাবে সুস্থ ১৮ থেকে ৫৭ বছর বয়সের মধ্যে কোনো পুরুষ ও নারী রক্ত দিতে পারবে। এ ক্ষেত্র পুরুষের ওজন থাকতে হবে অন্তত ৪৮ কেজি এবং নারীর ওজন অন্তত ৪৫ কেজি। ১২০ দিন পর পর, অর্থাৎ চার মাস পর পর রক্ত দেওয়া যাবে। রক্তদানে কোনো সমস্যা হয় না। কেননা, একজন মানুষের শরীরে সাড়ে চার থেকে ছয় লিটার রক্ত থাকে। রক্তদান করা হয় সাধারণত ২৫০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার। এটি শরীরে থাকা মোট রক্তের মাত্র অল্প ভাগ। দেশে বছরে আট থেকে নয় লাখ ব্যাগ রক্তের চাহিদা থাকে। রক্ত সংগ্রহ করা হয় ছয় থেকে সাড়ে ছয় লাখ ব্যাগ। বাকি তিন লাখ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহের জন্য প্রয়োজন জনগণকে সচেতন করা। বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘Give blood and make the world a healthier place’ অর্থাৎ ‘রক্ত দিন এবং পৃথিবীকে একটি স্বাস্থ্যকর স্থানে পরিণত করুন।’
দেশে সরকারিভাবে প্রথম নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কর্মসূচি শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। গত ১৮ বছরে স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশেরও বেশি। সংশ্লিষ্টরা জানান, গত এই সময়ে শুধু স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যাই বাড়েনি কমেছে পেশাদার রক্ত ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যও। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, দেশে প্রত্যক্ষ রক্তদাতা রয়েছেন ৭০ শতাংশ, আর বিভিন্ন সংস্থা ও ব্লাড ব্যাংকের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ৩০ শতাংশ। রক্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং প্রদান সব প্রক্রিয়াই নিরাপদ প্রক্রিয়ায় হচ্ছে বলেও জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র।
প্রতিবছর ৮ কোটি ইউনিট রক্ত স্বেচ্ছায় দান হয়, অথচ এর মাত্র ৩৮ শতাংশ সংগ্রহ হয় উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে, যেখানে বাস করে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৮২ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া এখনো বিশ্বের অনেক দেশে মানুষের রক্তের চাহিদা হলে নির্ভর করতে হয় নিজের পরিবারের সদস্য বা নিজের বন্ধুদের রক্তদানের ওপর, আর অনেক দেশে পেশাদারি রক্তদাতা অর্থের বিনিময়ে রক্ত দান করে আসছে রোগীদের। অথচ বিশ্বের নানা দেশ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে জানা যায়, ‘নিরাপদ রক্ত সরবরাহের’ মূল ভিত্তি হলো স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে দান করা রক্ত। কারণ তাদের রক্ত তুলনামূলকভাবে নিরাপদ এবং এসব রক্তের মধ্য দিয়ে গ্রহীতার মধ্যে জীবনসংশয়ী সংক্রমণ, যেমন এইচআইভি ও হেপাটাইটিস সংক্রমণের আশঙ্কা খুবই কম। রক্তদানের ভয় কাটাতে জেনে নিন কী ভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবেন।
মানবদেহে রক্তের প্রয়োজন কেন?
মানবদেহে রক্তের কাজ কোষের ভেতর অক্সিজেন ও পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে বর্জ্য পদার্থ ও কার্বন ডাইঅক্সাইড বের করা। এ ছাড়া হরমোন-এনজাইম জাতীয় উপাদান বহন, দেহের তাপ ও পানির সমতা সংরক্ষণ, এসিড-বেইসের ভারসাম্য রক্ষা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ ইত্যাদি।
রক্তদানের উপকারঃ
১. একজনের দানকৃত রক্ত আরেকজন মানুষের জীবন বাঁচাবে।
২. রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বছরে তিনবার রক্তদান আপনার শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে তোলার সঙ্গে সঙ্গে নতুন কণিকা তৈরির হার বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত রক্তদান করলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
৩. গবেষণায় দেখা যায়, যাঁরা বছরে দুবার রক্ত দেন, অন্যদের তুলনায় তাঁদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। বিশেষ করে ফুসফুস, লিভার, কোলন, পাকস্থলী ও গলার ক্যানসারের ঝুঁকি নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্ষেত্রে অনেক কম দেখা গেছে।
৪. নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে নিজের শরীরে বড় কোনো রোগ আছে কি না, সেটি বিনা খরচে জানা যায়। যেমন : হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি।
৫. রক্ত দিলে ৬৫০ ক্যালরি করে শক্তি খরচ হয়। অর্থাৎ ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
৬. রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে পুণ্যের বা সওয়াবের কাজ। একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানবজাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ।
কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিরা কি রক্ত দান করতে পারবে?
যখন কোনো ব্যক্তি কোভিড-১৯ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন, তখন তার রক্তের প্লাজমাতে প্রোটিন অ্যান্টিবডি তৈরি হয় যা নতুন করোনভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারে। যারা করোনা পুরোপুরি নিরাময় পেয়েছেন এবং সুস্থ হওয়ার কমপক্ষে দুই সপ্তাহ পরও যাদের মধ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমণের লক্ষণ নেই, তাদেরকে রক্তের তরল অংশ বা প্লাজমা দানে উৎসাহিত করা হয়। তবে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে প্লাজমা থেরাপি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।
রক্তদানের আগেঃ
বেশি করে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান। যেমন রেড মিট, মাছ, ডিম, বিনস, পালং শাক, সিরিয়াল, কিসমিস।
রক্ত দেওয়ার আগের রাতে ভাল করে ঘুমোন।
রক্তদানের আগে অন্তত ৫০০ মিলিলিটার জল খান।
রক্তদানের আগে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। ফ্যাটি খাবার যেমন ভাজা বা তৈলাক্ত খাবার, আইসক্রিম এড়িয়ে চলুন।
যদি আপনি শুধু অনুচক্রিকা দান করেন তা হলে মনে রাখবেন রক্তদানের অন্তত দু’দিন আগে থেকে আপনার শরীর সম্পূর্ণ অ্যাসপিরিন ফ্রি রাখতে হবে। অবশ্যই নিজের ডোনার কার্ড, আইডেন্টিটি কার্ড সঙ্গে রাখুন।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কি হিংসে হয় ?
আমার মতো হতে চান?
হিংশে বিদ্বেশ ভুলে যান।
ধর্ম কর্মে মন দেন।
২| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৫
একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: রক্তদানের বিষয়গুলো জেনে সকলের উপকারে আসবে। লেখাটির জন্য ধন্যবাদ চাচাজান।
১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ একজন স্বশিক্ষত মানুষ
আমারও বিশ্বাস অনেকেরই কাজে লাগবে।
৩| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি কখনও কাউকে রক্ত দিয়েছেন?
কিছু মনে করবেন না। এমনি জানতে চাইলাম।
১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মনে করার কিছু নাই
তবে দান করে তা প্রকাশ করার
ইচ্ছা ছিলোনা। যেহেতু নির্দোশ ভাবে
জানত চেয়েছেন কাই বলছি হ্যা, একাধিকবার।
৪| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: রক্ত দান মহৎ কাজ।
সবার বিনা দ্বিধায় রক্ত দেওয়া উচিত।
১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মহত হবার আশায় নয়
তবে প্রয়োজনেই রক্ত
দিয়ে ছিলাম। এখন
ইচ্ছা থাকলেও দেওয়া
সম্ভব হচ্ছে না।
৫| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:০৪
রিফাত হোসেন বলেছেন: রক্ত দেওয়া ভাল।
১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অবশ্যই ভালো কাজ রক্ত দেওয়া।
৬| ১৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৬
বিজন রয় বলেছেন: যত পোস্ট তত জ্ঞান। আপনি পারলে দিনে ১০ টি পোস্ট দিন।
রক্ত দিন জীবন বাঁচান। ++++++
১৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রক্তের বন্ধন বড় শক্ত ব্ন্ধন
কভু ছিন্ন নাহি হয়।
মুমুর্ষকে রক্ত দিলে হবে
মানবতার জয়
৭| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:০০
রাজীব নুর বলেছেন: গুড জব। ভালো কাজ করেছেন।
১৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনিও দিন
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২৯
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি দিনে তিন থেকে চারটা পোস্ট করেন। আপনার এইটা কি ফ্লাডিং এর পর্যায়ে পড়ে না?
মডু সাহেব আপনারে তো দেখি ভালোই ছাড় দেয়। কেউ যদি দিনে তিন চারটা পোস্ট দেয় তাহলে তো তার ব্যান খাবার কথা।
কাহিনী কি বুঝলাম না।
কেউ কি আমাকে বুঝায়া বলবে যে এই ব্লগারের এরকম দিনে এতগুলো পোস্ট কেন ফ্লাডিং এ পড়বে না?