নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
হিন্দি সিনেমার প্রখ্যাত অভিনেতা শশী কাপুর। বলিউড সিনেমা নয়, শশী কাপুরের প্রথম ভালোবাসা থিয়েটার। সেই ভালোবাসার আবেগ নিয়ে শশী ও তার স্ত্রী জেনিফার মুম্বই -এ গড়ে তোলেন পৃত্থী থিয়েটার। প্রসঙ্গত শশী কাপুর বিয়ে করছিলেন ইংল্যান্ডের থিয়েটার পরিবারের মেয়ে অভিনেত্রী জেনিফার ক্যান্ডেলকে। শশী কাপুর ভারতের বলিউডের চলচ্চিত্রে মূখ্য ভূমিকা পালনকারী বিখ্যাত কাপুর পরিবারের অন্যতম সদস্য। শশী কাপুর মানেই আদ্যপান্ত এক মিষ্টভাষী ভালোমানুষ, সুজন। প্যাশোনেট, ভদ্রলোক। তারকাসুলভ অহংকার তাঁর ছিলনা, সহজেই সাধারণ মানুষে সঙ্গে মিশে যেতে পারতেন। থিয়েটার ও ভালো সিনেমার জন্য সিরিয়াস উদ্যোগ নিতেন। হিন্দি মূল ধারা ও ব্যতিক্রমী সিনেমার ধারা দুটোতেই তিনি আলোচিত হবেন। এটা ঠিক অনেক ভুল ছবি তিনি নির্বাচন করেছেন আবার মুক্তি, সত্যম শিবম সুন্দরম, নিউ দিল্লি টাইমস, বিজেতা, মুহাফিজের মতো ছবিতেও তিনি অভিনয় করেছেন। কখনো রোমান্টিক চরিত্রে, কখনো কমেডি ড্রামা আবার কখনো সিরিয়াস চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ব্যাপকসংখ্যক হিন্দিভাষী চলচ্চিত্রের পাশাপাশি স্বল্পসংখ্যক ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্রেও তার অংশগ্রহণ রয়েছে। বিগত শতাব্দীর ছয়ের দশক থেকে নয়ের দশক পর্যন্ত তিনি অভিনয় করেছেন প্রায় ১৬১ টি ছবিতে। এছাড়াও, হিন্দি চলচ্চিত্র অঙ্গনে চলচ্চিত্র পরিচালক ও সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন শশী কাপুর। শশী কাপুর অভিনীত ইংরেজি ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, সিদ্ধার্থ এবং হিট অ্যান্ড ডাস্ট।এছাড়া শশী কাপুর অভিনীত রাস্কিন বন্ডের উপন্যাস A Flight of Pigeons অবলম্বনে শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত ছবি 'জুনুন' এবং বাত্স্যায়নের কামসূত্র অনুসরণে তৈরি ছবি 'উত্সব' সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে। জুনুন-এর জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান। ২০১১ সালে 'নিউ দিল্লি টাইম্স' ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান শশী কাপুর।২০১১ সালে চলচ্চিত্র শিল্পে অসামান্য অবদান রাখার প্রেক্ষিতে ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মভূষণ পদকে ভূষিত হন। ২০১৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার লাভ করেন। পৃথ্বীরাজ কাপুর ও রাজ কাপুরের পর কাপুর পরিবারের তৃতীয় সদস্যরূপে ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা পান। কিংবদ্নন্তি অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শশী কাপুরের ৮২তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩৮ সালের আজকের দিনে তিনি ভারতের কোলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। বিখ্যাত ভারতীয় অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শশী কাপুরের ৮২তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
শশী কাপুর ১৯৩৮ সালের ১৮ মার্চ তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা পৃথ্বীরাজ কাপুর। বিখ্যাত অভিনেতা রাজ কাপুর ও শাম্মী কাপুরের ছোট ভাই তিনি। মুম্বইয়ের মাতুঙ্গার ডন বস্কো হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেন। চার বছর বয়সেই বাবার পরিচালিত থিয়েটার দিয়ে তাঁর অভিনয়ের শুরু। পৃথ্বী থিয়েটারে গমনকালে বাবা পৃথ্বীরাজ কাপুরের পরিচালনায় ও নির্দেশনায় নাটকসমূহে অভিনয় করেন। পরে আগ, আওয়ারা, সরগম প্রভৃতি ছবিতে দাদা রাজ কাপুরের কিশোরবেলার ভূমিকায় অভিনয় করেন। এর পর তিনি শুরু করেন সহকারী পরিচালকের কাজ। সেটি হলো সুনীল দত্তের ডেবিও ছবি পোস্ট বক্স ৯৯৯। ১৯৪০-এর দশকের শেষদিকে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। বাণিজ্যিকধর্মী চলচ্চিত্র সংগ্রাম, দানা পানিতে 'শশীরাজ' নামে আবির্ভূত হন। পৌরাণিক চলচ্চিত্রে ঐসময়ে একই নামে আরও একজন শিশু শিল্পী অভিনয় করতো। আগ ও আওয়ারায় শিশুশিল্পী হিসেবে স্মরণীয় অভিনয় করেন। ঐ চলচ্চিত্রসমূহে তার বড়ভাই রাজ কাপুরের ছোটকালের চরিত্রে এবং ১৯৫০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সংগ্রাম চলচ্চিত্রে অশোক কুমারের ছেলেবেলার চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৪ সময়কালে সর্বমোট চারটি হিন্দি চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী ছিলেন তিনি। ১৯৬১ তে তাঁর প্রথম ছবি রিলিজ করে। যশ চোপড়া পরিচালিত সেই ছবির নাম ধরমপুত্র। নায়িকা মালা সিনহা। নায়ক শশীরাজ এখন থেকে শশী কাপুর। এই বছরেই তিনি হাউস হোল্ড নামে একটি ইংরেজি ছবিতে অভিনয় করেন। দুটি ছবিই নায়ক-অভিনেতা হিসেবে যথেষ্ট পরিচিতি তাঁকে এনে দেয়। এই কয়েক বছরে এক এক করে মুক্তি পেতে থাকে : চার দিওয়ারি, মেহেন্দি লগে মেরে হাত, শেক্সপিয়ারওয়ালা( ইংরেজি)। অভিনেত্রী নন্দার সঙ্গে তাঁর রোমান্টিক জুটি দারুণ হিট করে যায়। যব যব ফুল খিলে (১৯৬৫)তার নিদর্শন। এছাড়াও রাজা সাব, নিদ হমারি খাব তুমারি উল্লেখ্য। যব যব ফুল খিলে-র বাণিজ্যিক সফলতা ধরে সাতের দশকে শশী বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছবিতে অভিনয় করলেন। সরলতা, অমলিন হাসি, দ্রুত কথা বলার ঢং, ছেলেমানুষি পাগলামো আর তার সঙ্গে অভিনয় দক্ষতা সেই ছবিগুলিকে ব্যাপক বাণিজ্যিক পরিসর দিল। অনেক ছবিতে তিনি একক নায়ক, যেমন : শর্মিলি, চোর মাচায়ে শোর, আ গলে লগ যা, মুক্তি প্রভৃতি। আবার অনেকগুলোতে কোস্টার, যেমন : দিওয়ার, সুহাগ, ত্রিশুল, কভি কভি,কালা পাত্থর, শান প্রভৃতি। নন্দা, শর্মিলা ঠাকুর, রাখি, হেমা মালিনি, জিনত আমন, পরভিন বাবি, স্মিতা পাতিল, নীতু সিং, বিদ্যা সিনহা রেখা প্রমুখ অভিনেত্রীদের সঙ্গে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। অভিনেতা হিসেবে খ্যাতির শিখরে ওঠেন তিনি। তখন তাঁর মতো ব্যস্ত নায়ক খুব কম ছিলেন। গত শতকের ষাট থেকে আশি—এই তিন দশকে বলিউডে শশীর দাপট অব্যাহত ছিল। তিনি একসঙ্গে ছয়-সাতটি ছবিতে কাজ করেন। এমনকি একই দিনে ছয়টি শিফটে পর্যন্ত কাজ করেছেন দাদাসাহেব ফালকে সম্মাননা পাওয়া এই অভিনেতা।
(পৃথ্বীরাজ কাপুরের তিন দিকপাল পুত্র— শাম্মি কাপুর, শশী কাপুর ও রাজ কাপুর)
শশী কাপুর বাণিজ্যিক বিনোদন ছবির বাইরে থিয়েটারে যেমন নিয়মিত অভিনয় করেছেন তেমনি সিরিয়াস ছবি প্রযোজনা করেছেন ও তাতে অভিনয় করেছেন। সেই অভিনয় কিন্তু মূল ধারার চেয়ে স্বতন্ত্র। গোবিন্দ নিহালনির বিজেতা, শ্যাম বেনেগালের জুনুন, রমেশ শর্মার নিউ দিল্লি টাইমস, গিরিশ করনাডের উৎসব তার মধ্যে উল্লেখ্য। অপর্ণা সেনের থার্টিসিক্স চৌরঙ্গি লেন, বিজেতা, উৎসব, জুনুন তাঁর প্রযোজিত ছবি। ভারত – রাশিয়ার যৌথ প্রকল্পে তিনি অজুবা ছবিটি পরিচালনা করেন। এটি তাঁর একটি ব্যর্থ প্রয়াস। ১৯৭৮ সালে নিজস্ব চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ফিল্ম ভালাস প্রতিষ্ঠা করেন। এ প্রতিষ্ঠান থেকে জুনুন, কলিযুগ, ৩৬ চৌরঙ্গী লেন, বিজেতা ও উৎসব নির্মাণ করেন। ১৯৯১ সালে তার নির্দেশনায় ও পরিচালনায় আজুবা মুক্তি পায়। এতে তিনি সহনায়ক হিসেবে অমিতাভ বচ্চন ও ভাইপো ঋষি কাপুরের সাথে অংশ নেন। চলচ্চিত্র জীবনের শুরু থেকে নন্দা, প্রাণ, ধর্মেন্দ্র, দেব আনন্দ, ইসমাইল মার্চেন্ট, রাজেশ খান্না, সঞ্জীব কুমার তার নিকটতম বন্ধু ছিলেন। এছাড়াও, অমিতাভ বচ্চন, যশ চোপড়া, এমজিআর, কিশোর কুমার, মোহাম্মদ রফি, লতা মঙ্গেশকরসহ অনেকের সাথেই জানাশোনা ছিল তার। ১৯৮৭ সাল থেকে খুব কমই অভিনেতা হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৮৮ সালে পিয়ার্স ব্রসনানের সাথে দ্য ডিসিভার্স চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৯৪ সালে মুহাফিজ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় পুরস্কার বিশেষ লাভ করেন। ১৯৯৬ সালে গালিভার্স ট্রাভেলসের টেলিভিশন সংস্করণে রাজা চরিত্রে ছিলেন। চলচ্চিত্রে তার সর্বশেষ ও সাম্প্রতিক অংশগ্রহণ ছিল ১৯৯৮ সালের মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ'র আত্মজীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র জিন্নাহ। ঐ চলচ্চিত্রে তিনি অনুবাদক ছিলেন। এছাড়াও, মার্চেন্ট আইভরি প্রোডাকশন্স থেকে একই সালের মুক্তিপ্রাপ্ত সাইড স্ট্রিটসেও একই ভূমিকায় ছিলেন। ১৯৯০-এর দশকের শেষদিকে চলচ্চিত্র জগৎ থেকে পুরোপুরিভাবে অবসর নেন। এরপর থেকে তাকে আর কোন চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। সেপ্টেম্বর, ২০০৭ ওমানের মাস্কাটে অনুষ্ঠিত শশী কাপুর চলচ্চিত্র উৎসবের মধ্যমণি ছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ৫৫তম বার্ষিক ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অনুষ্ঠানে তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ২০১১ সালে ভারত সরকার প্রদত্ত পদ্মভূষণ পদকে ভূষিত হন। একই সালে মোহাম্মদ রফি পুরস্কার পান। ভারতীয় চলচ্চিত্রে সামগ্রিক অবদানের জন্য ২০১৫ সালের মে মাসে ইউনিয়ন মন্ত্রী অরুণ জেটলির কাছ থেকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
(ছবিতে শশী কাপুর, জেনিফার, কুণাল কাপুর, কর্ণ কাপুর ও সঞ্জনা কাপুর)
ব্যক্তিগত জীবনে ১৯৫৬ সালে কলকাতায় নিজ নিজ থিয়েটারে প্রশিক্ষণ গ্রহণকালীন ইংরেজ অভিনেত্রী জেনিফার ক্যান্ডলের সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সহকারী মঞ্চ ব্যবস্থাপক ও অভিনেতা হিসেবে বাবার থিয়েটার গ্রুপ পৃথ্বী থিয়েটারে কাজ করতেন। জিওফ্রে ক্যান্ডলের শেক্সপিয়ারীয় গ্রুপ ঐ সময়ে কলকাতায় আসে ও তার কন্যাই জেনিফার। বেশ কয়েকবার স্বাক্ষাৎকারের পর তারা একে-অপরের দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। শুরুতে ক্যান্ডলের বাবা এতে বাঁধার কারণ হয়ে দাঁড়ান ও বৌদি গীতা বালির সমর্থনে ১৯৫৮ সালের জুলাই মাসে তাদের সম্পর্কে পরিণয়ে গড়ায়। তারা একত্রে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন। ৫ নভেম্বর, ১৯৭৮ তারিখে মুম্বইয়ে তারা পৃথ্বী থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন। এ দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে যাদের নাম কুণাল কাপুর, করণ কাপুর ও সঞ্জনা কাপুর। রাজ কাপুর এবং শাম্মী কাপুরের ছোট ভাই শশী কাপুর ছিলেন একেবারে তাঁর দাদাদের থেকে আলাদা৷ বড় দুই দাদা রঙিন জীবনে অভ্যস্ত হলেও শশী ঠিক তেমন ছিলেন না ৷ বরং শশী কাপুর অনেক বেশি দায়বদ্ধ ছিলেন তাঁর স্ত্রী জেনিফার কাপুরের উপর৷ স্ত্রীর প্রতি একান্ত অনুগত হলেও একসময়ে জেনিফারের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরে বিয়ে ভাঙার উপক্রম হয়েছিল৷ কারণ তাদের মাঝখানে এসে পড়েছিলেন বলিউডের এক নায়িকা৷ তিনি হলেন শাবানা আজমি৷শাবানা-শশীর সেই সময়ের সম্পর্ক ঘিরে শশী-জেনিফারের পারিবারিক জীবনে অশান্তি দেখা গিয়েছিল৷ তার উপর শাবানা খোলাখুলি জানিয়েও ছিলেন তিনি শশীর প্রতি অনুরক্ত৷ আরে তা জানাজানি হতেই জেনিফার শশীর কাছ থেকে ডিভোর্স চেয়েছিলেন৷তখন শশী কাপুর তাঁর স্ত্রীকে কথা দিয়েছিলেন তিনি আর কোনও ছবি করবেনই না শাবানার সঙ্গে৷ শুধু তাই নয় এমনকী স্ত্রীর মানভঞ্জনে কথা দেন, জেনিফার যতদিন জীবিত থাকবেন ততদিন শাবানার সঙ্গে কথাই বলবেন না৷ তারফলে সেই ১৯৭৮ সালে থেকে ৩৭ বছর শাবানার সঙ্গে কথা বন্ধ ছিল শশীর৷পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে জেনিফারের দেহাবসান ঘটে। ২০১২ সালের ২০ জুলাই তারিখে আন্ধেরির কোকিলাবেন হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। একইদিন তিনি হাসপাতাল থেকে মুক্তি পান। এর পরে শশী কাপুরও দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। বিগত তিন বছর হুইল চেয়ার ছিল তাঁর চলার অবলম্বন। ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর বিকেলে মুম্বাই-এর কোকিলাবেন হাসপাতালে কিডনি ও লিভারজনিত অসুখে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে এই বর্ষীয়ান অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তাঁর মৃত্যু শুধু তাই সিনেমার বিয়োগ নয়, মানবিক মুখের এক মহা বিয়োগ। শশী কাপুরকে আমরা মনে রাখবো সেই অমলিন হাসির ভিতর লুকিয়ে থাকা কষ্টদীর্ণ এক মানুষ অভিনেতা রূপে। কিংবদ্নন্তি অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শশী কাপুরের ৮২তম জন্মবার্ষিকী আজ। বিখ্যাত ভারতীয় অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শশী কাপুরের ৮২তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক লিংক
[email protected]
১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি আল্লাহর উপর ভরসা করে আছি।
আমার বিশ্বাস করোনা আমাদের তার
চেয়ে বেশী ক্ষতি করতে পারবে না
যতটুকু আল্লাহ নির্ধারণ করে
রেখেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১২
রাজীব নুর বলেছেন: দেশের এই পরিস্থিতিতে আপনি আছেন নায়ক নায়িকার জন্মদিন নিয়ে!!!!!!!!!!!!!!!!
আজিব !!!!!!!!!!!!