নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
শুরুতেই জানি ধর্ম কী। ধর্ম হল লিপিবদ্ধ সুবিন্যস্ত প্রত্যাদেশসমূহ, যেগুলো সাধারণত ঈশ্বর-প্রত্যাদিষ্টদের মাধ্যমে বাহিত ও প্রচারিত।ধর্ম বলতে ঈশ্বরাজ্ঞা ও ধর্মানুষ্ঠান-নির্ভর আচার, আচরণ ও প্রথাসমূহের প্রতি বিশ্বাস-নির্ভর আনুগত্য; যা সাধারনত "আধ্যাত্মিক" ব্যাপারে "দৃঢ় বিশ্বাস" এঁর সাথে সম্পর্ক যুক্ত; এবং বিশেষ পূর্বপুরুষ হতে প্রাপ্ত ঐতিহ্য, জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা, রীতি-নীতি ও প্রথা কে মানা এবং সে অনুসারে মানবজীবন পরিচালনাকে বোঝায়। মানবসভ্যতার সূচনালগ্নে সাম্য-মৈত্রী ও জীবননির্দেশনা নিয়ে পৃথিবীতে ধর্মের আগমন ঘটে। আল্লাহ প্রদত্ত বা আসমানি ধর্ম ছাড়াও পৃথিবীতে মানবরচিত অনেক ধর্মের আবির্ভাব ঘটেছে। তবে কালের বিবর্তনে টিকে আছে খুব অল্পসংখ্যক ধর্মই। ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে বর্তমানে চার হাজার ৩০০ ধর্মের অস্তিত্ব রয়েছে; যদিও সব ধর্মের অনুসারী ও বিস্তৃতি সমান নয়। ইসলাম ধর্মএকটি একেশ্বরবাদী এবং ইব্রাহিমীয় ধর্মবিশ্বাস যার মূল শিক্ষা হল, এক আল্লাহ ছাড়া আর কোন ঈশ্বর নেই এবং মুহাম্মদ (সঃ) হলেন আল্লাহর প্রেরিত নবী ও রাসূল। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম। প্রধান ধর্মঅনুসারীর সংখ্যা বিবেচনায় পৃথিবীর প্রধান ১০টি ধর্ম হলো ১। খ্রীষ্ট ধর্ম, ২। ইসলাম ধর্ম, ৩। হিন্দু ধর্ম, ৪। বৌদ্ধ ধর্ম, ৫। হান ধর্ম, ৬। শিখ ধর্ম, ৭। ইহুদি ধর্ম, ৮। বাহাধর্ম, ৯। জৈন ধর্ম এবং ১০। শিন্তো ধর্ম। আজ প্রধান ৫ চি ধর্ম নিয়ে প্রকাশিত হলো ১ম পর্ব।
১। খ্রীস্ট ধর্মঃ
যিশু খ্রিস্টের জীবন ও শিক্ষাকে কেন্দ্র করে বিকশিত হয়েছে খ্রিস্ট ধর্ম। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে, যিশুখ্রিস্ট ঈশ্বরের পুত্র এবং তিনি মানবজাতির ত্রাণকর্তা। পৃথিবীর বৃহত্তম এই ধর্মের অনুসারীসংখ্যা পৃথিবীজুড়ে প্রায় ২৪০ কোটি। বাইবেল তাদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। বাইবেলের দুটি সংস্করণ রয়েছে—ওল্ড টেস্টামেন্ট ও নিউ টেস্টামেন্ট। খ্রিস্টানদের উপাসনালয়কে চার্চ বা গির্জা বলা হয়।
২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে মুসলমান এবং খ্রিস্টানদের মধ্যে একটা সমতা বজায় থাকবে। খ্রিস্টানদের সংখ্যা বাড়লেও মুসলমানদের হারে বাড়বে না। মুসলমানদের সংখ্যা হবে ২৮০ কোটি যা মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ এবং খ্রিস্টানদের সংখ্যা ২৯০ কোটি (মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ) গিয়ে দাঁড়াবে। যদি এই ধারা চলতে থাকে তাহলে ২০৭০ সালের পর বিশ্বে ইসলামই বেশি জনপ্রিয় ধর্ম হবে।
২০৫০ সালে ইউরোপের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ হবে মুসলিম যা ২০০৯ সালে ছিল ৫ দশমিক শতাংশ। অর্থাৎ ২০৫০ সালে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জনের বেশি হয় মুসলমান কিংবা খ্রিস্টান হবে। একই সময়ে ইউরোপে হিন্দুদের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। বতর্মানে সেখানে হিন্দুদের সংখ্যা ১৪০ কোটি। অভিবাসনের ফলেই এটা ঘটবে। ২০১০ সালে বিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল ১৬০ কোটি যখন খ্রিস্টানদের সংখ্যা ছিল ২১৭ কোটি। গবেষণায় বলা হয়, সামনের দিনগুলোতে একদিকে বাড়বে যেমন ধর্মহীন মানুষের সংখ্যা, ঠিক তেমিন বিপুল পরিমাণ মানুষ ধর্ম বিশ্বাস, বিশেষ করে ইসলাম ধর্মান্তরিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রে নাস্তিক সহ ধর্মহীনদের সংখ্যা ১৬ শতাংশ থেকে ২৬ শতাংশে উন্নীত হবে। তবে বিশ্বব্যাপী নাস্তিক সহ কোনো ধর্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন, এমন মানুষের সংখ্যার হার হ্রাস পাবে।
যুক্তরাষ্ট্রে খ্রিস্টানদের জনসংখ্যা ৭৮% থেকে হ্রাস পেয়ে ৬৬% হবে। ইসলাম হবে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম, ইহুদী ধর্ম নেমে যাবে তৃতীয় স্থানে। সাব-সাহারা অঞ্চলের আফ্রিকান দেশগুলোতে বিশ্বের মোট খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ৪০% বসবাস করবে। ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি খ্রিস্টান বসবাস করবে নাইজেরিয়ায়।
২। ইসলাম ধর্মঃ
আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, মুহাম্মদ (সা.) তাঁর প্রেরিত রাসুল—এটি ইসলাম ধর্মের মূল বিশ্বাস। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম ইসলামের অনুসারীদের মুসলিম বলা হয়। বর্তমানে পৃথিবীতে ১৮০ কোটি মুসলিম রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তবে পৃথিবীর দ্রুত প্রসারমাণ ধর্ম ইসলাম। সাম্প্রতিক অনেক গবেষণায় বলা হচ্ছে, খ্রিস্ট অধ্যুষিত ইউরোপ অর্ধশতাব্দীকাল পর মুসলিমপ্রধান অঞ্চলে পরিণত হতে পারে। পৃথিবীর ৫০টি দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। কোরআন ইসলামের মূল ধর্মগ্রন্থ। ইসলামের মূল স্তম্ভ পাঁচটি—ঈমান, নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত। মুসলমানের উপাসনালয়ের নাম মসজিদ। মক্কা-মদিনা মুসলিমদের পবিত্র তীর্থ। মুসলমানরা বিশ্বাস করে, ইসলাম আল্লাহর মনোনীত চূড়ান্ত ধর্ম, কোরআন সর্বশেষ ধর্মগ্রন্থ এবং মুহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ নবী।
যুক্তরাষ্ট্রের পিউ রিসার্চ সেন্টার (পিআরসি) বলেছে, বিশ্বে ইসলাম সবচেয়ে জনপ্রিয় ধর্ম হয়ে উঠছে। ইসলাম হচ্ছে সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ধর্ম। ১৯৯টি দেশের মধ্যে ২০১৫ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’- এর ধর্মীয় রূপরেখা বিষয়ক এক গবেষনায় এ কথা বলা হয়েছে। এর আগে পিআরসি-র গবেষণায় ইসলামকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বিস্তার লাভকারী ধর্ম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। খবর সিএনএন ও নিউজউইক।
পিআরসি-র গবেষণায় বলা হয়, আগামী ২০৭০ সালের পর বিশ্বে ইসলাম হবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ধর্ম। এর আগে বিশ্বে ২০৫০ সাল নাগাদ মুসলিম জনসংখ্যা হবে খ্রিস্টানদের প্রায় সমান। ইসলাম হবে এ দুনিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্মবিশ্বাস। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে করা এক হিসাবে (প্রজেকশান) এমনটিই দেখা গেছে। উল্লেখ্য, পিআরসি-র ধর্মীয় রূপরেখা বিষয়ক এক সমীক্ষায় এ কথা বলা হয়েছে। সারা বিশ্বের জন্মহার, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারা এবং ধর্মান্তরের পরিসংখ্যানের তথ্যের ভিত্তিতে এ সমীক্ষা করা হয়। বেইজিংয়ের রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্র পরিচালিত ‘চীনা ধর্ম জরিপ’ শীর্ষক গবেষণায় বলা হয়, ৩০ বছরের নীচের তরুণদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। এর আগে ২০১০ সালে পিউ রিসার্চ জানায় যে ‘নাস্তিক’ চীনে ২ কোটি ৩৩ লাখ মুসলমান বাস করেন, যা মোট জনসংখ্যার ১.৮ শতাংশ। পিউ রিসার্চের গবেষণায় বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে চীনের মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩ কোটিতে উন্নীত হবে। জরিপে বলা হয়, চীনে মুসলমানদের জন্মহার সবচেয়ে বেশি, গড়ে ১.৭। দেশটির গড় উর্বরতার হার ১.৪।
৩। হিন্দু ধর্মঃ
পৃথিবীর তৃতীয় বৃহৎ ধর্ম হিন্দু বা সনাতন ধর্ম। ১২০ কোটি মানুষ এই ধর্মের অনুসরণ করে। তাদের প্রায় সবাই ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাস করে। হাজার বছরের প্রাচীন এই ধর্মের সংগঠিত ও সমন্বিত যাত্রা শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ বছর আগে। বেদ, পুরাণ, উপনিষদ, গীতা হলো এই ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। মন্দির হিন্দু ধর্মের উপাসনালয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান অংশ বহু-ঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী। তবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করে। প্রচলিত আছে, হিন্দু ধর্মে দেব-দেবীর সংখ্যা ৩৩ কোটি। হিন্দুদের প্রধান তিনজন দেবতা হলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব। গবেষণায় জানানো হয়, বিশ্বে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ৩৪ শতাংশ হারে বাড়ছে। এর ফলে জনসংখ্যা ১ বিলিয়ন থেকে ২০৫০ সালে ১ দশমিক ৪ বিলিয়নে গিয়ে দাঁড়াবে যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ। বিশ্বের জনসংখ্যার আধিক্যের দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এছাড়া কোনো ধর্মের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন মানুষের সংখ্যা হবে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ। বর্তমানে এরা জনসংখ্যার দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আগামী ৪ দশকে বিশ্বে মুসলিমদের সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়তে থাকলেও বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় জনসংখ্যা হবে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। ২০১০ সালে বিশ্বে খ্রিস্টান জনসংখ্যা ছিল ২.১৭ বিলিয়ন, যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১.৬ বিলিয়ন। সেখানে ২০৫০ সালে বিশ্বে খ্রিস্টান জনসংখ্যা হবে ২.৯ বিলিয়ন, যা মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ। মুসলিম জনসংখ্যা হবে ২.৮ বিলিয়ন যা মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ। আর বৌদ্ধদের সংখ্যা বাড়বে শুধুমাত্র চীন, জাপান ও থাইল্যান্ডের মতো কয়েকটি দেশে।
মেসিডোনিয়া, নাইজেরিয়া সহ প্রায় ৫১ টি দেশে মুসলিম জনসংখ্যা ৫০% এরও বেশী হবে। মেসিডোনিয়া আর বসনিয়া খ্রিস্টান প্রধান থেকে মুসলিম প্রধান দেশে পরিণত হবে। ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিত ইন্দোনেশিয়াকেও ছাড়িয়ে যাবে। মুসলিম জনসংখ্যার দিক দিয়ে ভারত ইন্দোনেশিয়াকে ছাড়িয়ে গেলেও দেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে। এতে বলা হয়, প্রায় প্রতিটি ধর্মের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাবে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা। এরপরেই রয়েছে খ্রিস্টান ও হিন্দু জনসংখ্যা।
৪। বৌদ্ধ ধর্মঃ
বৌদ্ধ ধর্ম গৌতম বুদ্ধ কর্তৃক প্রচারিত একটি ধর্ম বিশ্বাস এবং জীবন দর্শন। পৃথিবীর চতুর্থ বৃহৎ ধর্ম বৌদ্ধ। আনুমানিক ৫১ কোটি মানুষ এই ধর্মে বিশ্বাস করে। ভারতবর্ষের একজন সাধক পুরুষ গৌতম বুদ্ধ এই ধর্মের প্রবর্তক। তাঁর প্রচারিত বিশ্বাস ও জীবনদর্শনই বৌদ্ধ ধর্মের ভিত্তি। এই ধর্মের উপাসনালয় মঠ নামে পরিচিত আর প্রধান ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষের বসবাস চীনে। তা ছাড়া থাইল্যান্ড, জাপান, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। পিউ রিসার্চের গবেষণায় বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে চীনের মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩ কোটিতে উন্নীত হবে। জরিপে বলা হয়, চীনে মুসলমানদের জন্মহার সবচেয়ে বেশি, গড়ে ১.৭। দেশটির গড় উর্বরতার হার ১.৪। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দিতে গৌতম বুদ্ধের জন্ম। বুদ্বের পরিনির্বাণের পরে ভারতীয় উপমহাদেশ সহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার হয়। বর্তমানে বৌদ্ধ ধর্ম দুটি প্রধান মতবাদে বিভক্ত। প্রধান অংশটি হচ্ছে হীনযান বা থেরবাদ (সংস্কৃত: স্থবিরবাদ)। দ্বিতীয়টি মহাযান নামে পরিচিত। বজ্রযান বা তান্ত্রিক মতবাদটি মহাযানের একটি অংশ। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, মায়ানমার, চীন, জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ও কোরিয়াসহ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে এই ধর্মবিশ্বাসের অনুসারী রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৌদ্ধধর্মাবলম্বী বাস করেন চীনে। আক্ষরিক অর্থে "বুদ্ধ" বলতে একজন জ্ঞানপ্রাপ্ত, উদ্বোধিত, জ্ঞানী, জাগরিত মানুষকে বোঝায়। উপাসনার মাধ্যমে উদ্ভাসিত আধ্যাত্মিক উপলব্ধি এবং পরম জ্ঞানকে বোধি বলা হয় (যে অশ্বত্থ গাছের নিচে তপস্যা করতে করতে বুদ্ধদেব বুদ্ধত্ব লাভ করেছিলেন তার নাম এখন বোধি বৃক্ষ)। সেই অর্থে যে কোনও মানুষই বোধপ্রাপ্ত, উদ্বোধিত এবং জাগরিত হতে পারে। সিদ্ধার্থ গৌতম এইকালের এমনই একজন "বুদ্ধ"। আর যে ব্যক্তি এই বোধি জ্ঞান লাভ বা ধারন করেন তাকে বলা হয় বোধিসত্ত্ব। বোধিসত্ত্ব জন্মের সর্বশেষ জন্ম হল বুদ্ধত্ব লাভের জন্য জন্ম। জাতকে, বুদ্ধ বোধিসত্ত্ব হিসেবে ৫৪৮ (মতান্তরে ৫৪৯) বার বিভিন্ন কূলে (বংশে) জন্ম নেবার আগে উল্লেখ আছে। তিনি তার আগের জন্মগুলোতে প্রচুর ভালো বা পুণ্যের কাজ করেছিলেন বিধায় সর্বশেষ জন্মে বুদ্ধ হবার জন্য জন্ম গ্রহণ করেন। বুদ্ধত্ব লাভের ফলে তিনি এই দুঃখময় পৃথিবীতে আর জন্ম নেবেন না, এটাই ছিলো তার শেষ জন্ম। পরবর্তী বুদ্ধ জন্ম না নেওয়া পর্যন্ত পৃথিবীতে তার শাসন চলবে।
৫। হান ধর্মঃ
চিন সাম্রাজ্যের (Qin) (খ্ৰী:পূ: ২২১-২০৭) পর চীনের ইতিহাসের দ্বিতীয় সামন্ততান্ত্রিক সাম্রাজ্য। জনসংখ্যায় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশ চীনের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সম্প্রদায় হলো হানজু বা হান সম্প্রদায়। তারা চীনা লোকধর্ম বা হান ধর্মে বিশ্বাসী। পঞ্চম বৃহৎ এই ধর্মকে অনেকে হান জাতি-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যের পরিবর্তিত সংস্করণ বলে থাকে। বর্তমানে এই ধর্মের অনুসারী ৪০ কোটির কাছাকাছি।চিন সাম্রাজ্যের পরে হানরা প্রায় ৪০০ বছর রাজত্ব করে। এই রাজ্য পরে তিন রাজ্যে (২২০–২৮০ খ্রিঃ) ভেঙ্গে যায়। পূর্ব চীনের সমভুমিতে হানরা রাজত্ব করত। চারশ বছরের এই হান শাসনকাল সময়কে চীনের ইতিহাসে চীনের স্বর্ণযুগ বলা হয়।[৩] ঐসময় থেকে বৰ্তমান চীনের অধিকাংশ লোক নিজেদের হান জাতি বলে পরিচয় দেয় এবং চীনা লিপিকে হান অক্ষর বলে থাকে।[৪] এই সাম্রাজ্যের প্ৰতিষ্ঠাতা ছিলেন বিদ্ৰোহী নেতা লিউ বাং। মৃত্যুর পর তিনি হান সম্ৰাট গাউজু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। মাঝখানে কিছু বছর জিন (Xin) সাম্রাজ্যের (৯-২৩ সন) আধিপত্য চলছিল যদিও হান সাম্রাজ্য পুনরায় ক্ষমতা দখল করে নেয়। জিন সাম্রাজ্যের কারণে হান সাম্ৰাজ্যকে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে- পূর্বাঞ্চলীয় হান বা আদি হান (২০৬ খ্ৰী:পূ:-৯ সন) এবং পশ্চিমাঞ্চলিয় হান ।
দ্বিতীয় পর্ব পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে।
দ্বিতীয় পর্বঃ প্রকাশকাল ১২ মার্চ ২০২০ইং
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক লিংক
[email protected]
১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ স্বপ্নবাজ সৌরভ আগ্রহ নিয়ে
লেখাটি পাঠ করার জন্য। নীল আকাশ
ভাইয়ের পৌরণিক গল্পটি চমৎকার হয়েছে।
শুভকামনা আপনাদের উভয়ের জন্য।
২| ১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: ভাল একটি বিষয়ে পোস্ট করেছেন নূরু দা
অনেক শুভেচ্ছা জানাই
১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে লিটন ভাই
লেখাটি গুরুত্বসহকারে পাঠঅন্তে
চমৎকার মন্তব্য প্রদানে অনুপ্রা্নিত
করার জন্য। ভালো থাকবেন।
৩| ১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: জ্ঞানী এবং ভালো মানুষের একটাই ধর্ম থাকে। সেটা হলো- মানবধর্ম।
১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ঠিক আছে খান সাব আপনার কথা তবে
অনেকে কৌতুক করে তাকে বক ধর্মও বলে থাকে।
ধর্ম বক বললেন, বেশ! এবার শেষ প্রশ্ন,
বলো কখন ধর্মকে মনে হয় অধর্ম?
নত নেত্রে, একটুক্ষণ চুপ করে থেকে, কম্পিত কণ্ঠে যুধিষ্ঠির উত্তর দিলেন,
যখন ধর্ম আসেন বকের ছদ্মবেশে,
যখন মৃত্যু দিয়ে পরীক্ষা করা হয় মানুষকে
(সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)
৪| ১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: জ্ঞানী এবং ভালো মানুষের একটাই ধর্ম থাকে। সেটা হলো- মানবধর্ম।
১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চতুর্দিকে মানবকেন্দ্রিক যত অশান্তি, যত সমস্যা ও সঙ্কট ক্রমশ ভয়ানক রূপ ধারণ করতে চলেছে,
তার অধিকাংশেরই মূল কারণ হলো— জ্ঞান ও চেতনার স্বল্পতা এবং শরীর ও মনের অসুস্থতা।
আর, এর একমাত্র সমাধান হলো— সার্বিকভাবে মহাধর্ম অনুশীলন।”
শরীর ও মনের সুস্থতাসহ মনোবিকাশ এবং সার্বিক উন্নতি লাভের জন্য ‘
মহাধর্ম গ্রহন করুন, এবং আত্ম-বিকাশ-যোগ অনুশীলন করুন। পূর্বের
ধর্ম ত্যাগ না করেও মানব ধর্ম— ‘মহাধর্ম গ্রহণ করা যাবে। এই ধর্ম প্রচলিত
ধর্মের মতো নয়। মানুষকে সচেতন ও সুস্থ করে তোলাই এই ধর্মের মূল উদ্দেশ্য।
কেউ কেউ মনে করেন, শুধু সৎ ও সহৃদয় হয়ে ওঠাই ‘মানবধর্ম’। কিন্তু মানবধর্ম
মানে শুধু সৎ ও সহৃদয় হয়ে ওঠাই নয়, মানবধর্ম হলো পূর্ণ বিকশিত মনের মানুষ
হয়ে ওঠার জন্য ধর্ম অবশ্য পালনীয়। একজন বিকশিত মানুষ সতঃস্ফূর্তভাবেই
সৎ ও হৃদয়বান হয়ে থাকেন।
৫| ১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৬
হাসান রাজু বলেছেন: সংখ্যায় বাড়ছে। কিন্তু জ্ঞানে, বিবেকে বাড়ছে কম। এখন মনে হচ্ছে মানুষ একটু ধর্মীয় জ্ঞান অন্বেষণে আগ্রহি হচ্ছে। কিন্তু মতবাদ, বিভাজন আগ্রহীদের বিরক্ত ও বিভ্রান্ত করছে বেশি।
আবার এটা ও বলব যে, মানুষ ইদানিং ফেসবুক/ইউটিউবের ওয়াজে বুঁদ হয়ে আছেন। মানে সেই ঘুরে-ফিরে বিভাজন মতবাদের ফাঁদে আটকে পড়া। এটা ভালো যখন বক্তার যুক্তি নিজের বিবেক বুদ্ধি, জ্ঞান দ্বারা ফিল্টার করা যায়। নয়তো ভ্রান্ত হয়ে ভুল পথে হাঁটতে হতে পারে।
১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হাসান রাজু ভাই ধন্যবাদ আপনার নাতিদীর্ঘ মন্তব্যের জন্য।
মনের অগোচরে কোন পাপ নাই।
কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা,
কোনটা ন্যায় আর কোনটা অন্যায়,
কোনটা সঠিক আর কোনটা পাপ
তা বিচার বিবেচনা করা মানুষের
অসাধ্য নয়। কেননা আল্লাহ মানুষকে
সব জীবের সেরা ও জ্ঞাণী করে পয়দা
করেছে। আপনার বিবেকই বলে দেবে
কোনটা ন্যায় পথ আর কোনটা বিপদগামী।
সুতরাং মনের কাছে প্রশ্ন করেই আমরা
পাপ পূণ্যের ফয়সালা করতে পারি।
ওয়াজ নসিহতে দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়।
তাই সত্যে চলুন বিবেকের পরামর্শে । তা হলে
বিভ্রান্ত হতে হবে না।
৬| ১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোস্ট। ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।
১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আশরাফ ভাই
লেখাটি গুরুত্বসহকারে পাঠ অন্তে উৎসাহ ব্যাঞ্জক
মন্তব্য প্রদানের জন্য।
৭| ১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোস্ট। ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।
১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
একই মন্তব্য দুইবার এসেছে তাই
এটিতে মন্তব্য করা থেকে বিরত রইলাম।
৮| ১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই পোষ্টে ভালো লাগা নূরু ভাই। এরপর ধর্ম নিয়ে আমার জ্ঞান প্রায় শুন্যের কোঠায় তাই পড়তে এবং জানতে ভালো লাগে কিন্তু মন্তব্য করার মত জ্ঞান এখনো হয়ে ওঠে নি।
১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমারও তেমন একটা বিশেষ জ্ঞান নাই ধর্ম নিয়ে।
তবে আমি বিশ্বাস করি মনের অগোচরে কোন পাপ
থাকতে পারেনা। আমার মন বলে দেয় কোনটা ন্যায়
আর কোনটা অন্যায়। মনের জোর খুব বেশী নাই বলে
অনেক সময় মনের বিরুদ্ধাচারণ করে পাপ করে ফেলি।
আল্লাহ আমাকে সকল গোনাাহ থেকে মাফ করে দিন। আমিন
৯| ১১ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্ম তার মুল বক্তব্য হারাচ্ছে, মানুষ ধর্মকে এক ধরণের কাল্ট হিসেবে নেয়ার শুরু করেছে, ধর্মীয়দের সংখ্যা বাড়ার যেই পরিসংখ্যা আপনি দিয়েছেন, উহা ভুল; মানুষ জন্মগতভাবে ধর্মের অংশ হিসেবে পরিগণিত হলেও, বর্ধিত হারে মানুষ ধর্ম পালন করবে না, ও উহার বিরোধীতা করবে।
১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার মন্তব্যটি একেবারে ফেলে দেবার মতো নয়।
আামরা জন্মগতভাবে একএকটা ধর্মের অনুসারী।
মানুষ বাড়ছে তাই ধর্মের মানুষ বাড়ে তবে সকলে
ধর্ম সঠিক ভাবে পালন করেনা। একএকটা ধর্মে
থেকেও ধর্মের বিরোধীতা করে। তাই ধর্মে মানুষ
বাড়লেও ধার্মীক বাড়ছে না। তবে একসময় মা্নুষ
ধর্মে মতি হবে যখন সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে গজবে
নিপতিত হবে। আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্য প্রদানের জন্য।
১০| ১১ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জন্মগতভাবে ধর্মের লোক বাড়বে তবে ধার্মিক নয়।
পরিশ্রমী, সুন্দর পোস্টে প্লাস।
১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এটারও ইঙ্গিত দেওয়া আছে আমাদের ধর্মী গ্রন্থে
একসময় সুন্দর সুন্দর মসজিদ হবে কিন্তু নামাজী
পাওয়া যাবেনা। তবে যতদিন পর্যন্ত একজন মানুষ
ধর্মেমত থাকবে ততদিন কেয়ামত হবে না। যেদিন
দুনিয়াতে একজন মানুষ পাওয়া যাবেনা যে সৃষ্টি
কর্তার আদেশ পালন করবে সেইদিনই হবে
মহা প্রলয় কেয়ামত। আল্লাহ আমাদের হেদায়েত
নসিব করুন। আমিন
১১| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১০
শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন:
হানরা আসলে কনফুসিয়াসিজম আর তাওইজম ফলো করতো।
পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।
১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ শাইয়্যানের টিউশন
সুন্দর মন্তব্য প্রদানের জন্য।
আগামীকাল পরবর্তী (২য় বা শেষ)
পর্ব প্রকাশিত হবে ইনসাআল্লাহ।
১২| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধর্ম সত্য হলে পৃথিবীতে একটিই ধর্ম থাকতো।
কিন্তু ধর্মগুলো মানুষ আবির্ভাবের লক্ষাধিক বছর পরে এসেছে। রিজিয়ন ভিত্তিক এসেছে,
ধর্ম কোন মহাশক্তির আরপিত নয়, কারন সেইম ধর্ম অন্য রিজিয়নে আসেনি। যেমন হিন্দুইজম দক্ষীন আমেরিকায় হয় নি। ইসলাম বা খ্রিষ্ট ধর্ম মধ্যপ্রচ্য বাদে আর কোথাও উদ্ভব হয়নি।
শতকোটি, প্রায় ৫শ কোটি বছর আগে পৃথিবী নামক গ্রহে প্রানের আবির্ভাব
প্রথমে এমাইনো এসিড+পানি
তারপর জীবানু সদৃস্য প্রান
এককোষি জীব
এরপর এমিবা
তারপর বহুকোষি স্পঞ্জ আকৃতির সামুদ্রিক ... জীব
এরপর একসময় কিছু প্রানী গিরিগিটির মত হয়ে ডাঙ্গায় উঠা আবার পানিতে যাওয়া, এক পর্যায়ে ডাংগায় উঠে পরা
তারপর আরো কোটিকোটি বছর বিবর্তনে পর ডিমপাড়া ও স্তন্যপায়ী জীব
এরপর বহুকটি বছর বিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন প্রজাতিতে ভাগহয়ে এসেছে। কিছু টিকে আছে। অধিকাংশই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
৫০ কোটি বছর আগে ডাইনাশোর জাতীয় প্রানী রাজত্ত্ব করে ১২ কোটি বছর আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে, খাদ্যাভাবে।
চার পেয়ে প্রাণী থেকে উঠে দাঁড়ানো স্তন্যপায়ী দুপায়ে হাটা শুরু মানুষ জাতীয় প্রানীর আবির্ভাব মাত্র আড়াই কোটি বছর আগে। বহুভাগে বিভক্ত বিলুপ্ত হয়ে .. একটি প্রজাতি প্রায় ২০ লাখ বছর আগে হোমোসেপিয়েন্সের মত প্রানীর আবির্ভাব। ধর্মহীন সমাজহীন ভাবেই বনে পাহাড়ে গুহায়...
আর মাত্র ১০ হাজার বছর আগে মানুষ কিছুটা সভ্য হতে সুরু করে,
ছোট ছোট সমাজ গঠন করে, টেক্সটাইল, পাথরাস্ত্র, আগুন জালাতে শিখে। পশু পেলেই হত্যা না করে পালকরা শুরু।
একসময় মানুষ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভয় পায়, ভাবে উপরের কেউ কিছু করছে কিনা। একসময় সমাজ বড় হয়, মানুষ টিকে থাকার জন্যই দলবদ্ধ হওয়া শুরু করে। দলের শক্তিশালি একজন দলপতি হয়।
দলনেতা সমাজ পতি শৃষ্টি হয়, কিছু চতুর নেতাপদ দখলে নিতে বুজুর্গি দেখায়। কিছু সমাজপ্রধান মুলত নেতৃত ও শৃক্ষলা বজায় রাখতেই ঈশ্বর বা অশরিরির কিছু ভয় দেখায়। মুর্তি বানায়।
কেউ কেউ ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে স্বর্গ-নরকের স্বপ্ন দেখিয়ে কিছু দুর্বল মানুষকে মানুষকে দাস বানায়। এরপর একসময় সমাজ গোত্র বড় হয়, শক্তিশালী হয়, গোত্রের মাস্তান চতুর-বুদ্ধুমান নেতারা নিজেকে ঈশ্বররের প্রতিনিধি দাবি করা শুরু করে, একজন তো নিজেকে ঈশ্বরপুত্র পর্যন্ত দাবি করে বসে!
কিছু চতুর বুজুর্গি শহর থেকে বিতারিত হয়ে প্রথমে ডাকাত দল গঠিন করে। ডাকাতির অর্থে অস্ত্র ও স্বর্গ-নরকের ভয়/লোভ দেখিয়ে দল ভারি করে, শহর দখল করে। বিভিন্ন ভাবে .. মুলত এভাবেই মুলত মানব মননে ঈশ্বরের আবির্ভাব।
বড় ধর্মগুলোর উদ্ভব আরো অনেক পরে সুরু হয় ৬ হাজার বছর আগে হিন্দুইজম, ইহুদিজম, বেশ পরে ভিন্ন স্থানে কনফুসিয়াসসিজম, চালু হয়। এরপর বৌধ্যিজম। দুহাজার বছর আগে জিসাস খ্রাইস্টের খ্রীষ্টান।
ইসলাম আসে মাত্র সেদিন, দেড় হাজার বছর আগে।
তবে এটা সত্য যে সভ্যতা ও সমাজগঠনের সুরুতে ধর্মের একটা ভুমিকা ছিল, দরকার ছিল। ধর্ম শৃষ্টি না হলে সমাজ এত দ্রুত বিকশিত ও উন্নত হোত না। ধর্মের প্রয়জনিয়তা এখনো আছে। থাকবে।
কোন বিভেদ হাঙ্গামা বিশৃক্ষলা না করে যার যার ধর্ম নিরবে পালন করে যাওয়া উচিত।
১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:০২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হাসান কালবৈশাখী ভাই
আপনাকে ধন্যবাদ দীর্ঘ মন্তব্য প্রদানের জন্য।
যদিও এর আগেও একবার এই মন্তব্যটি পড়েছিলাম
অন্য কারো পোস্টে আপনি দিয়েছিলেন। যা হোক
মুসলমান হিসেবে আমরা এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী।
তিনিই সব জাতি সৃষ্টি করেছেন এবং বিভিন্ন সময়ে
পৃথিবীতে নবী রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের উপর
আসমানী কিতাব নাজিল করেছেন। পর্যায়ক্রমে সেই
আসমানী কিতাব বাতিল হয়ে সর্বশেষ নবী আমাদের
প্রিয় রসুল হযরত মোহাম্মদ (সঃ} এর উপর আল কোরআন
নাযিল হয়েছে যাা আর পরিবর্ত হবেনা কেয়ামত পর্যন্ত এবং
যার রক্ষাকর্তা স্বয়ং আল্লাহ জাল্লেজালালুহু। সুতরাং এই কোরআনের
উপর আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে যেখানে বিষদ ভাবে উল্লেখ করা
হয়েছে আমাতের করণীয় কি। কেউ যদি নতুনকে গ্রহণ না করে পুরাতন
আকড়ে ধরে রাখতে চায় তাঁর নির্দেশ অমান্য করে তবে তার দ্বায় কার?
যা হোক আপনার কথার রেশ ধরে বলছি কোন বিভেদ হাঙ্গামা বিশৃক্ষলা
না করে যার যার ধর্ম নিরবে পালন করে যাওয়া উচিত।
১৩| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩৮
অগ্নিবেশ বলেছেন: চাচাজান, নিজেরটাই সেরা, অন্তরে ইহা পোষন করে অন্যকে
সম্মান দিবেন কি ভাবে? গোড়াতেই তো গলদ। সমস্যার মূল তো ইহাই।
১২ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এখানে সেরা কিংবা প্রধান তা বিধৃত করা হয় নি।
লেখার শিরোনামে বলা হয়েছে ধর্ম বিশ্বাস,
বিশ্বে জনসংখ্যা অনুযায়ী পৃথিবীর বৃহৎ ১০ ধর্ম ও
সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম নিয়ে। আমারটা সেরা
বললে ১ নম্বরে খ্রীষ্ট ধর্ম স্থান পেতো কি? আর পেলে
তা কি সঠিক হতো?
১৪| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৪৬
নীল আকাশ বলেছেন: খুব মনোযোগ দিয়ে পোস্ট এবং ম ন্তব্যগুলি পড়লাম।
ধার্মিক এবং নাস্তিকতার দ্বন্দ চিরকালই থাকবে। এটা এড়ানো যাবে না।
একদম ১ম প্যারাতে শুধু মুহাম্মাদ এসেছে ঠিক করে দিন। উনার নামে সাথে দরুদ পড়ার নির্দেশ আছে।
আমি হলে আপনি যেভাবে লিখেছে সেইভাবে লিখতাম না। প্রতি পর্বে একটা করে রিলিজয়ন নিয়ে সেটা আদ্যপান্ত ভাবে এটার বিশ্বাস, আচার এবং ধর্মপুস্তক নিয়ে লিখতাম।
কোন ধর্মে জনসংখ্যা বাড়ার ব্যাপারে আমার কোন মাথাব্যাথা নেই। আজকাল ধর্মে মানুষ বাড়ছে কিন্তু প্রকৃত ধার্মিক বাড়ছে না।
নিজের ধর্ম নিয়ে পড়াশুনা খুব কম লোকজনই করে আজকাল।
লেখা চলুক আমি এর সাথেই আছি।
১২ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ নীল আকাশ খুব মনোযোগ সহকারে লেখাটি পাঠ করার জন্য।
দিনে নাস্তিকতাবাদীরা সংখ্যায় বেশী হয়ে যাচ্ছে। তবে এতে আশ্চর্য হবার
বা হতাশ হবার কিছু নাই। পবিত্র কোরআনে এ সম্পর্কে আগাম বার্তা দেওয়া
হয়েছে। একসময় পৃথিবী থেকে ধর্মকর্ম উঠে যাবে এবং এক সময় আল্লাহ তার
পবিত্র গ্রন্থ আসমানে উঠিয়ে নিবেন পরবর্তীতে কেয়ামত হবে।
কেয়ামতের আলামত হয়তো এগুলো। হযরত আবু হুরায়রা (রা) বলেন,
রাসূল (সা) বলেছেন, “যখন রাষ্ট্রীয় মালকে ব্যক্তিগত সম্পদরূপে ব্যবহার
করা হবে, আমানতকে খরচের বস্তু জ্ঞান করা হবে, যাকাতকে বোঝা ও
জরিমানা মনে করা হবে, আল্লাহর জ্ঞান ছেড়ে পার্থিব জ্ঞান অর্জন করা হবে,
মায়ের অবাধ্য হয়ে স্বামী স্ত্রীর আনুগত্য করবে, পিতাকে দূরে ঠেলে বন্ধু-বান্ধবকে
আপন মনে করবে, মসজিদে শোরগোল করবে, ফাসেক ব্যক্তি গোত্রের সর্দার হবে,
জাতির নিকৃষ্টতম ব্যক্তি তাদের নেতা হবে, ক্ষতির ভয়ে মানুষকে সম্মান করা হবে,
হরেক রকমের বাদ্য-যন্ত্র ও নর্তকীদের প্রকাশ পাবে, মদ পান বেড়ে যাবে, উম্মতের
পরবর্তী লোকেরা পূর্ববর্তী লোকদেরকে গালমন্দ ও অভিশাপ দিবে- এই আলামতগুলো
প্রকাশ হতে দেখলে, সে সময় তোমরা অপেক্ষা কর অগ্নিবায়ু, ভু-কম্পন, ভূমিধ্বস,
রূপবিকৃতি, পাথর বৃষ্টি এবং ছিঁড়ে যাওয়া তাছবীহ-র দানার মত দ্রুত একের পর এক
কেয়ামতের নিদর্শনসমূহের।” (তিরমিযী- ২২১১)
১৫| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫১
আখেনাটেন বলেছেন: তথ্যবহুল লেখা। চমৎকার। ধর্ম নিয়ে আরো জানুক মানুষ। আরো মানবিক হোক। ধার্মিক হোক। ভালো কাজ করুক। কিন্তু ধর্মান্ধ না হোক।
কিছু জায়গায় তথ্যবিভ্রাটও দেখলাম।
১২ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ আখেনাটেন ভাই
লেখাটি মনোযোগসহকারে পাঠ করার জন্য।
মানুষ এখন ধর্ম চর্চা বাদ দিয়ে ধর্ম নিন্দায় লিপ্ত।
মানবিক হবার শিক্ষা দেয় ধর্ম। সুতরাং মানবিক
হতে হলে ধর্ম চর্চা অব্যহত রাখতে হবে।
১৬| ১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩২
নতুন বলেছেন: টুপি বাড়ছে ধামিক বাড়ছেনা।
আমাদের দেশে ভন্ডের সংখ্যা বেশি।
পশ্চিমা দেশে বিভিন্ন ধম` এখন লৌকিকতা মাত্র, তারা ধম` নিয়ে জীবন চালায় না, ধমী`য় অনুস্ঠানে যোগদেয় সামাজিক অনুস্ঠান হিসেবে।
আমার কাজের ক্ষেত্রে ৮৫ দেশের মানুষের সাথে ১২ বছর ধরে কাজ করছি। বত`মানে ইসলাম বাদে বাকী ধমের লোকেরা তেমন একটা ধম`কম` করেনা। শুধু অনুস্ঠানের সময় ওরা যোগ দেয়।
ইসলামের ক্ষেত্রে যেটা হচ্ছে অল্প কিছু মানুষ চেস্টা করছে মুল ধারার ইসলাম অনুসরন করতে কিন্তু সংখ্যাটা খুবই কম।
৫% হবে কিনা যানিনা।
আর আসলে ধীরে ধীরে ধমের প্রয়োজনিয়তা কমে যাচ্ছে। মানুষ এখন ধমের কারনে অন্য ধমের মানুষকে খারাপ দেখেনা। বরং মানুষকে সমান জানে এবং সম্মান করে শিখছে।
১২ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধর্ম করতে টুপির ব্যবহার জরুরী নয়।
টুপি নবীজীর (সঃ) সুন্নত। ধর্ম পালন
করলে নবীর (সঃ) উপর মহব্বত বাড়বে
তখন টুপি তার সম্মানে পড়তে মন সায় দিবে।
ধর্মের প্রয়োজনীয়তা কখনোই কমবেনা বরং
বাড়বে। ধর্ম হলো বিশ্বাস। মানুষ বিপদে পড়লে
সব আশ্রয় হারিয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেকে সমর্পণ করে।
ইসলাম এখনো সত্যের উপর প্রতিষ্টিত বলেই দিনে দিনে
তা বর্ধণশীল হচ্ছে।
১৭| ১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১০
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম এবং ধার্মিকদের কর্মকান্ড হাস্যকর।
১২ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কোনটা ? জানাযা, জিকির আসকার
নাকি ওয়াজ মাহফিল ?
১৮| ১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: এখন সবকিছু নষ্টদের অধিকারে গেছে। একদিন শুনবো, নষ্টরা তাদের অধিকারের সবকিছু করেছে।
১২ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নষ্টরা অধিকার নয় অনধিকার চর্চা করে
অনধিকারের প্রাপ্তিতে ঝোলা ভর্তি করে।
১৯| ১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন:
১২ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি যা লিখেছেন তাই পড়েছি
ভুল কবার সম্ভবনা ক্ষীণ। আপনি
ভুল লিখলে তার দ্বায় আপনার।
২০| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৩
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: জ্ঞান সমৃদ্ধ করেছে । আপনার জন্য শুভ কামনা ।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
২১| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৫
ছদ্মবেশী ভূত বলেছেন: প্রথম পর্ব পড়লাম, এখন দ্বিতীয় পর্ব পড়ছি।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে
দুই পর্বেই আপনার সুচিন্তিত
মতামত প্রত্যাশা করছি।
২২| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৫
ছদ্মবেশী ভূত বলেছেন: প্রথম পর্ব পড়লাম, এখন দ্বিতীয় পর্ব পড়ছি।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে। এটা মনে হয় ভূতের ছায়া !!
২৩| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৫২
হারানোপ্রেম বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্ম তার মুল বক্তব্য হারাচ্ছে, মানুষ ধর্মকে এক ধরণের কাল্ট হিসেবে নেয়ার শুরু করেছে, ধর্মীয়দের সংখ্যা বাড়ার যেই পরিসংখ্যা আপনি দিয়েছেন, উহা ভুল; মানুষ জন্মগতভাবে ধর্মের অংশ হিসেবে পরিগণিত হলেও, বর্ধিত হারে মানুষ ধর্ম পালন করবে না, ও উহার বিরোধীতা করব
১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জ্বি আমি দেখেছি চাদগাজী কি বলেছেন,
আমি তার উত্তরও দিয়েছি যথা সময়ে
আপনি কি তা দেখেছেন?
২৪| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩৭
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন:
ধর্ম করতে টুপির ব্যবহার জরুরী নয়।
টুপি নবীজীর (সঃ) সুন্নত। ধর্ম পালন
করলে নবীর (সঃ) উপর মহব্বত বাড়বে
তখন টুপি তার সম্মানে পড়তে মন সায় দিবে।
ভাই টুপি বাড়ার কথা বুঝতে পারেন নাই।
দেখানো ধামিকের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু আসলে মানুষ ধম` তেমন পালন করেনা।
দেশে মুসলমানের ৯০% ভাগই সুদ খায়, ঘুষ খায়, ব্যবসায় ভ্যাজাল দেয়ে, মিথ্যা বলে, যৌতুক নেয়, মাদক, অন্য সব রকমের কাজে লিপ্ত।
তাই বলছি নামে ধামিক বাড়ছে কিন্তু ধম` এখন মানুষ মানেনা। ধমের সাজার ভয়ে মানুষ এখন তেমন ভীত না।
যদি বাংলাদেশে এতো মুসলমান আছে বলেন তবে কেন এতো দূনিতি, ঘুষ, সুদ,ভ্যাজাল ????
১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সৃষ্টির আদি থেকে শেষ পর্যন্ত কিছু দুষ্ট মানব
পৃথিবীতে আছে এবং থাকবে পৃথিবী ধ্বংশ না
হওয়া পর্যন্ত। এদেরকে হেদায়াত করার জন্য
যুগে যুগে নবী রসুলরা (সঃ) পৃথিবীতে আসেছেন
কিন্তু তারা হেদায়েত প্রাপ্ত হয়নি। তাই দুষ্ট লোকদের
জন্য রয়েছে জাহান্নাম ও ভালো লোজদের জন্য বেহেশত।
জন্মসূত্রে মুসলমান হলেই তারা ভালো মানুষ এমন ধারনা ভুল।
২৫| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৮
অজ্ঞ বালক বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। তবে এর মধ্যে কোনো একটা ধর্ম নিয়া অনেক পড়া শেষে সেইটা নিয়া কিছুটা জানা সম্ভব। ধর্ম এতটাই বিশাল ব্যাপার যে বলার মত না।
১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার ক্ষৃুদ্র জ্ঞানে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করার ধৃষ্টতা নাই।
আমি শুধু প্রধান ১০ ধর্ম তাদের সংখ্যা ও বর্ধনশীল ধর্ম নিয়ে
আলোকপাত করেছি। ধর্ম নিয়ে নয়।
২৬| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৫
আমি সাজিদ বলেছেন: এখানে আমার একটা প্রশ্ন আছে। প্রধান ধর্ম গুলোতে কনভার্টেট হয়ে কয়জন আসেন? এর হার কতো? যেমন আমি যতোদূর জানি, হিন্দু আর ইহুদী হচ্ছে নন মিশনারী ধর্ম৷। এদের যা সংখ্যা তা এদের বংশ পরম্পরা থেকে আসা সংখ্যাটা যা জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে বাড়তেসে কিন্তু অন্য ধর্ম থেকে হিন্দু বা ইহুদী হয়ে যাবে এমন সুযোগ নাই। আবার এই সুযোগটা আছে ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মে। ইসলাম ও খ্রিস্টান অন্য ধর্ম থেকে আসা মানুষদের গ্রহন করে। কাজেই এই সব ফ্যাকটর ও মাথায় রাখতে হবে।
১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এই লেখার দ্বিতীয় পর্বটি মনোযোগ সহকারে পাঠ করলে
আপনার প্রশ্নের জবাব পেতে পারেন। আশা করি একটা
ভালো ধারণা পাবেন। ধন্যবাদ আপনাক।
পৃথিবীতে ইসলাম ধর্মে অনুসারীর সংখ্যা সবচেয়ে দ্রুত হারে
বাড়ার কারণে চলতি শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই মুসলমানরা
সংখ্যায় খ্রিস্টানদের ছাড়িয়ে যাবে। দুনিয়া জুড়ে মুসলমানদের
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হবে ৭৩ শতাংশ, যদিও জনসংখ্যা
বৃদ্ধির সাধারণ হার হবে ৩৫ শতাংশ।
২৭| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট। গুরুত্ববিষয়ে তথ্য সমৃদ্ধ পোস্টে অশেষ কৃতজ্ঞতা ।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:৩৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে সেলিম ভাই
লেখাটি গুরুত্বসহকারে পাঠ করার
জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
পরপর দুটি চমৎকার পোস্ট পেলাম। নীল আকাশ ভাইয়ের পোস্টে কমেন্ট করে এসেই দেখি আপনার এই অসাধারণ তথ্য বহুল পোস্ট। ভালো লাগলো খুব। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
পোস্টে ++