নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের অন্যতম মুসলমান বাঙালী চিন্তাবিদ ও সাহিত্যিক মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ। বাংলা সাহিত্যে সৃজনশীল গদ্যকার হিসেবে মোহাম্মদ বরকতুল্লার পরিচিতি একক এবং অনন্য সাধারণ। কারণ তিনি এমন সব বিষয়কে প্রবন্ধের বিষয় করেছেন যা তার আগে অথবা পরেও তেমনভাবে লিখিত বা আলোচিত হয়নি। দার্শনিক ধ্যান-ধারণা, জড়বাদ, চৈতন্য, বস্তুরূপ ও জীবন প্রবাহ ইত্যাদি অত্যন্ত দুরূহ তত্ত্ব সম্বন্ধে প্রবন্ধ লিখে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। লিখেছেন সুফি দর্শন, সুফি মত ও বেদান্ত দর্শন যা বরকতুল্লার অবিস্মরণীয় অবদান। বাংলা ভাষায় দার্শনিক ও চিন্তামূলক প্রবন্ধ রচনা মোহাম্মদ বরকতুল্লাহর এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। তিনি উচ্চ মানের প্রবন্ধ রচনার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬০ খ্রি. ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’ লাভ করেন। উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি সমাজ এবং দেশের কল্যাণ করা সত্ত্বেও মানুষের স্মৃতিপটে অক্ষয় পদচিহ্ন রেখেছেন সাহিত্য সাধনার মাধ্যমে। সাহিত্য সাধনায় তিনি কতটা নাড়ির টান অনুভব করতেন তা উপলব্ধি করা যায় তার রচনা শৈলী, বিষয় নির্বাচন এবং ভাষা প্রয়োগের সুদক্ষ কৌশল যা তার সমসাময়িক লেখকগণ থেকে তাকে স্বাতন্ত্র্য মর্যাদায় আসীন করেছিল। বাংলা সাহিত্যের অত্যন্ত মেধাবী লেখক বরকতুল্লাহ ১৮৯৮সালের আজকের দিনে ঘোড়শালাগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আজ তার ১২২তম জন্মবার্ষিকী। বাঙালী চিন্তাবিদ ও সাহিত্যিক মোহাম্মদ বরকতুল্লাহর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ ১৮৯৮ সালের ২ মার্চ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের ঘোড়াশাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কবিরাজি চিকিৎসক হাজী আজম আলী। বরকতুল্লাহ ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে শাহজাদপুর হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন। অতঃপর রাজশাহী কলেজে ভর্তি হয়ে ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম বিভাগে আই,এ পাশ করেন। তিনি ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে দর্শনে অনার্সসহ দ্বিতীয় বিভাগে বি,এ পাস করেন। ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শন শাস্ত্রে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এম,এ ডিগ্রি লাভ করেন মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ। পরবর্তীতে ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি আইনশাস্ত্রে ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি আয়কর কমকর্তা হিসাবে সরকারী চাকুরিতে যোগ দেন। ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, ১৯৩০ ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে সাবডিভিশনাল অফিসার পদে উন্নীত হন। ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় রাইটার্স বিল্ডিংয়ে সমবায় ও ঋণ সালিশি বিভাগে সহকারী সেক্রেটারি পদে যোগদান করেন। একই পদমর্যাদায় ১৯৪৫ সালে সিভিল সাপ্লাই বিভাগে বদলি হয়েছিলেন। দেশ বিভাগের (১৯৪৭) পর ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে দায়িত্ব লাভ করেন। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (১৯৪৮-১৯৪৯) এবং ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (১৯৫০-১৯৫১) পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের ডেপুটি সেক্রেটারি পদে যোগদান করেন। ১৯৫৫ সালে এ পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর একই বছর ৩ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হলে এর বিশেষ কর্মকর্তা (পরিচালক) তথা প্রধান নির্বাহ হিসাবে দায়িত্বভার প্রাপ্ত হন। ১৯৫৭ খ্রি. পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। "রবীন্দ্রসঙ্গীত পাকিস্তানের আদর্শের পরিপন্থী" এরূপ মত প্রকাশ করে ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে ২২ জুন জাতীয় পরিষদে বা পার্লামেন্টে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও বেতার মন্ত্রী খাজা শাহাবুদ্দিন রেডিও টেলিভিশন থেকে এই সঙ্গীত প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি আয়কর কমকর্তা হিসাবে সরকারী চাকুরিতে যোগ দেন। ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, ১৯৩০ ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে সাবডিভিশনাল অফিসার পদে উন্নীত হন। ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় রাইটার্স বিল্ডিংয়ে সমবায় ও ঋণ সালিশি বিভাগে সহকারী সেক্রেটারি পদে যোগদান করেন। একই পদমর্যাদায় ১৯৪৫ সালে সিভিল সাপ্লাই বিভাগে বদলি হয়েছিলেন। দেশ বিভাগের (১৯৪৭) পর ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে দায়িত্ব লাভ করেন। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (১৯৪৮-১৯৪৯) এবং ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (১৯৫০-১৯৫১) পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের ডেপুটি সেক্রেটারি পদে যোগদান।
১৯৫৫ সালে এ পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর একই বছর ৩ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হলে এর বিশেষ কর্মকর্তা (পরিচালক) তথা প্রধান নির্বাহ হিসাবে দায়িত্বভার প্রাপ্ত হন। ১৯৫৭ খ্রি. পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।সরকারী চাকুরীতে নিয়োজিত থাকলেও তিনি একজন সৃজনশীল গদ্যশিল্পী। বাংলা ভাষায় দার্শনিক ও চিন্তামূলক প্রবন্ধ রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। পারস্য প্রতিভা (প্রথম খণ্ড ১৯২৪ ও দ্বিতীয় খণ্ড ১৯৩২) এবং মানুষের ধর্ম (১৯৩৪) তাঁর বিখ্যাত গদ্যগ্রন্থ। পারস্য প্রতিভায় ইরানের খ্যাতনামা কবিদের জীবনী ও তাদের সাহিত্যকর্ম, ফার্সি সাহিত্যের প্রেক্ষাপট, সুফিমত ও বেদান্ত দর্শন এবং মানুষের ধর্মে জগৎ ও জীবন, ইহলোক ও পরলোক, জড়প্রকৃতি ও মনোজগৎ, জীবনপ্রবাহ ও আত্মা ইত্যাদি দুরূহ তত্ত্ব ক্লাসিক্যাল বাংলা গদ্যে উপস্খাপিত করে গেছেন। তাঁর বিরচিত অপরাপর গ্রন্থ : কারবালা ও ইমাম বংশের ইতিবৃত্ত (১৯৫৭), নবীগৃহ সংবাদ (১৯৬০), নয়া জাতির স্রষ্টা হজরত মোহাম্মদ (১৯৬৩), হজরত ওসমান (১৯৬৯), বাংলা সাহিত্যে মুসলিম ধারা (১৯৬৯)। তিনি অনেক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- প্রবন্ধে বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬০) ও ‘নয়াজাতির স্রষ্টা হজরত মোহাম্মদ’ বইয়ের জন্য দাউদ পুরস্কার (১৯৬৩)। এ ছাড়া পাকিস্তান সরকারের ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’ (১৯৬২) উপাধিতে ভূষিত হন ও ‘প্রেসিডেন্ট পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড’ (১৯৭০) লাভ করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনের পর ১৯৭৪ সালের ২ নভেম্বর তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। আজ মোহাম্মদ বরকতুল্লাহর ১২২তম জন্মবার্ষিকী। বাঙালী চিন্তাবিদ ও সাহিত্যিক মোহাম্মদ বরকতুল্লাহর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক লিংক
[email protected]
০২ রা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি সাবধানে থাকবেন,
করোনা কিন্তু সাদা চামড়া,
কালো চামড়ার বাছবিচার
করেনা। সাদা চামড়ার মাঝে
ঘাপটি মেরে থাকলেও সে কাউকে
ছাড় দিবেনা।
২| ০২ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সেটাইতো এক বিরাট প্রশ্ন ,তাই না?
০২ রা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অবশ্যই বিরাট প্রশ্ন এবং বিরাট ইতিহাস !!
আমিও তার রহস্য খুঁজতে পেরেশান !!
৩| ০২ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: মুখ থেকে খসে পড়লে মুখোশ
বরাবরই একা হয়ে যায় মানুষ!
০২ রা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এই সহস সত্য কথাটাি আমরা জানি,
কিন্তু শতকরা কতে জনে আমরা তা মানি?
৪| ০২ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৩১
একাল-সেকাল বলেছেন:
2019NcoV আক্রান্ত হয়ে লেখার অকাল মৃততে আমি আহত নয়, নিহতও নয়, শুধুমাত্র শোকাহত।
০২ রা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি একধাপ এগিয়ে,
মর্মাহত এবং শোকাহত!!!
৫| ০২ রা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন:
০২ রা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নেওয়াজ আলি বলেছেন:
কি বলেছেন আলি ভাই ??
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
নিউইয়র্কে করোনা ভইরাসের উপস্হিতি ধরা পড়েছে