নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈ চৌধুরী। দেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন তিনি। ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ১৯৭৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তি্নি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিচারপতি জনাব আবু সাঈদ চৌধুরীর ১৯৬০ সালে পূর্ব পাকিস্তানের এ্যাডভোকেট জেনারেল নিযুক্ত হন। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং সংবিধান কমিশনের সদস্যও ছিলেন বিচারপতি জনাব আবু সাঈদ। ১৯৬০-৬১ সালে তিনি ঢাকা হাই কোর্টের জজ নিযুক্ত হন। ১৯৭১ সালে জাতিসংঘের অধিবেশনে তিনি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন গড়ে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশের প্রাক্তন এই রাষ্ট্রপতির ৯৪তম জন্মবার্ষিকী আজ। আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯২১ সালের ৩১ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের নাগবাড়ীতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সাবেক স্পীকার জনাব আবদুল হামিদ চৌধুরী। আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৪০ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪২ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম,এ ও বি,এল ডিগ্রি লাভ করেন এবং লণ্ডন থেকে বার এট ল ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি কলিকাতা হাই কোর্টে যোগদান করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হবার পরে তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং ১৯৪৮ সালে ঢাকা হাই কোর্টে যোগদান করেন। তিনি ছিলেন একজন জন প্রিয় আইনজীবী। বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর ৯৬তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২১ সালের জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখ তিনি জন্মগ্রহণ করেন। দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা।
আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯২১ সালের ৩১ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের নাগবাড়ীতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সাবেক স্পীকার জনাব আবদুল হামিদ চৌধুরী। আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৪০ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪২ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম,এ ও বি,এল ডিগ্রি লাভ করেন এবং লণ্ডন থেকে বার এট ল ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি কলিকাতা হাই কোর্টে যোগদান করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হবার পরে তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং ১৯৪৮ সালে ঢাকা হাই কোর্টে যোগদান করেন। তিনি ছিলেন একজন জন প্রিয় আইনজীবী। ১৯৬০ তিনি পূর্ব পাকিস্তানের এ্যাডভোকেট জেনারেল নিযুক্ত হন। আবু সাঈদ চৌধুরী একজন বিচারপতি এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি সংবিধান কমিশনের সদস্যও ছিলেন। ১৯৬০-৬১ সালে তিনি ঢাকা হাই কোর্টের জজ নিযুক্ত হন। ১৯৭১ সালে জাতিসংঘের অধিবেশনে তিনি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন গড়ে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। একাত্তরের মার্চ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অধিবেশনে যোগদানের জন্য জেনেভা যান। সেখানে জেনেভার একটি পত্রিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দু'জন ছাত্রের মৃত্যু সংবাদ দেখে বিচলিত হয়ে ২৫ মার্চ পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক শিক্ষা সচিবকে পাকিস্তান দূতাবাসের মাধ্যমে প্রেরিত এক পত্রে লেখেন, “আমার নিরস্ত্র ছাত্রদের উপর গুলি চালানোর পর আমার ভাইস চ্যান্সেলর থাকার কোন যুক্তিসংগত কারণ নেই। তাই আমি পদত্যাগ করলাম”।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে বিচার পতি আবু সাঈদ চৌধুরী ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন। ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ১৯৭৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ করার পর থেকে তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং পরবর্তীকালে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে বিশ্ব বিবেক জাগরণে প্রধান সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভায় বন্দর ও সিপিং মিনিস্ট্রির দ্বায়িত্ব পালন করেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সর্বোচ্চ দেশীকোত্তম উপাধি এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টর-অফ-ল তে ভূষিত করে। ৬৬ বছর বয়সে ১৯৮৭ সালের ২ আগস্ট হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে লন্ডনে মারা যান রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। মৃত্যুর পরে তাকে টাঙ্গাইলের গ্রামের বাড়ি নাগবাড়িতে দাফন করা হয়। আজ তাঁর ৯৬তম জন্মবার্ষিকী। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জনাব আবু সাঈদ চৌধুরীর জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা।
সম্পাদনাঃ নূর মোহাম্মদ নূরু
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই, আপনার ক্ষোভ বুঝতে পারছি, একথা অস্বীকার করার নয়
যেঅনেকেই মোস্তাক সরকারের মন্ত্রীত্বের স্বাদ গ্রহণ করেছেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তাক্ত লাশ সিঁড়িতে রেখেই
তার দীর্ঘকালের সহচররা খন্দকার মোশতাক আহমদের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিলেন।
খন্দকার মোশতাকের ৮১ দিনের শাসনামলে সঙ্গী ছিলেন বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিসভার ২১ সদস্য। মোশতাকের উপরাষ্ট্রপতি হলেন মোহাম্মদউল্লাহ। আর মন্ত্রিসভার সদস্যরা হলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর, পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক ইউসুফ আলী, অর্থমন্ত্রী ড. আজিজুর রহমান মল্লিক, শিক্ষামন্ত্রী ড. মোজাফফর আহমদ চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদুল মান্নান, কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী আবদুল মোমিন, এলজিআরডি মন্ত্রী ফণিভূষণ মজুমদার, নৌপরিবহনমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, গণপূর্ত ও গৃহায়নমন্ত্রী সোহরাব হোসেন। প্রতিমন্ত্রীরা হলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী কে এম ওবায়দুর রহমান, ভূমি ও বিমান প্রতিমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, রেল ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী নূরুল ইসলাম মঞ্জুর, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তাহেরউদ্দিন ঠাকুর, শিল্প প্রতিমন্ত্রী নূরুল ইসলাম চৌধুরী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডল, পশু ও মৎস্য প্রতিমন্ত্রী রিয়াজউদ্দিন আহমদ ভোলা মিয়া, যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ আলতাফ হোসেন ও মোমিনউদ্দিন আহমদ (বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভায় ছিলেন না)। এ ছাড়াও মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী রাষ্ট্রপতি মোশতাকের প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা হয়েছিলেন মন্ত্রীর সমমর্যাদায়।
দোষ কাকে দিবেন?
২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩
মাআইপা বলেছেন: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জনাব আবু সাঈদ চৌধুরীর জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ মাআইপা,
ভালো থাকবেন
৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৯
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: অনেক কিছুই জানলাম। খুবই প্রয়োজনীয় পোষ্ট এটি।
লেখককে অনেক ধন্যবাদ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ
জন ল্যাক হন বলেছিলেন,
"ভবিষ্যৎকে জানার জন্যই
আমাদের অতীত জানা উচিত"
সুতারাং কে কি ছিলেন বা কোন
দলের বা মতের ছিলেন তা বিবেচ্য নয়।
আমরার জানবো ইতিহাস।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: তিনি মোশতাক সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।