নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
আজ (২৮ জানুয়ারি) বিশ্ব তথ্য সুরক্ষা দিবস (ওয়ার্ল্ড ডাটা প্রাইভেসি ডে)। ১৯৮১ সালে ইউরোপের বৃহৎ সংগঠন ‘কাউন্সিল অব ইউরোপ’-এ কনভেনশন ১০৮ স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে বিশ্বে প্রথম ডেটা প্রাইভেসি ডে বা তথ্য সুরক্ষা দিবস উদযাপন শুরু হয়। প্রতি বছর এ দিনটি উপলক্ষে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে নানা রকম ক্যাম্পেইন চালানো হয়। এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যালায়েন্সের (এনসিএসএ) নেতৃত্বে ক্যাম্পেইনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দেশের সাইবার সচেতনতা নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। ২০১৮ সালের জন্য দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন, তথ্য সুরক্ষা ও আস্থা প্রতিষ্ঠা’ (Respecting Privacy, Safeguarding Data and Enabling Trust)। এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যালায়েন্সের (এনসিএসএ) নেতৃত্বে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক এই ক্যাম্পেইনের অফিসিয়াল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশে সাইবার সচেতনতা নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন’। সংগঠনটি ‘ডাটা প্রাইভেসি ডে ২০১৮ চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে দিবসটির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলো। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা সচেতনতায় বিশ্বব্যাপী সংগঠনগুলো যৌথভাবে যে দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেয়- চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন সেই মূলনীতিকে স্বীকার করেছে এবং তাতে সমর্থন জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সংবিধানের ৪৩ (খ) নম্বর অনুচ্ছেদে প্রাইভেসি রাইটস বা ব্যক্তির তথ্য সুরক্ষা ও গোপনীয়তা মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃত। অনুমতি ছাড়া কারও ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশকে অপরাধ হিসেবে নানা আন্তর্জাতিক সনদে উল্লেখ করা হলেও দেশে তা কতটা মানা হচ্ছে, এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। ব্যক্তি কোন তথ্যটি দেবেন, বা ব্যক্তির কাছে কতটা তথ্য চাওয়া যায়, সেই বোধ তৈরি না হওয়ায় ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা হুমকির মুখে রয়েছে বলে মনে করেন সামাজিক ও ডিজিটাল নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।তাদের মতে যেসব তথ্য দেওয়ার কারণে আপনি কোনও ধরনের হয়রানির শিকার হতে পারেন, সেগুলোই প্রাইভেসি হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। সিকিউরিটি বলতে যেসব উপায়ে আমরা আমাদের নিজেদের ও ব্যক্তিগত তথ্যকে সুরক্ষা করি, তাকে বোঝায়। আর প্রাইভেসি বলতে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ বোঝায়।’ ‘গোপনীয়তার অধিকার মৌলিক অধিকার। কিন্তু তা পদে পদে হরণ করা হচ্ছে। ডিজিটাল যুগে বিভিন্ন জায়গায় ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু সেটি সুরক্ষিত থাকবে কিনা, তা নিশ্চিত করে জানানো হয় না। যে কোনও জায়গায় জাতীয় পরিচয়পত্র, মেডিক্যাল রিপোর্ট, ভাড়াটিয়া তথ্য ফরমের নামে যাবতীয় তথ্য দেওয়া এবং সেটির রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে নাগরিকের কাছে কোনও তথ্য না থাকায় ব্যক্তি হুমকির মুখে পড়তে পারেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৫ সালের শেষ দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফরম পূরণের মাধ্যমে রাজধানীতে বসবাসকারী নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে। ২০১৬ সালে গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, ভাড়াটিয়াদের তথ্য গোপন রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও ডিএমপি সেই কাজটি এখন সাধারণ ব্যবসায়ীদের দিয়ে করাচ্ছে। এমনকি নাগরিকদের তথ্য সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা ডিএমপির সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইএমএস) সার্ভারের পাসওয়ার্ডও তাদের হাতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলো ব্যবহার করে অধিকার হরণসহ নানা হয়রানির শিকার হতে পারেন নাগরিকরা। প্রাইভেসি নিয়ে আমাদের তেমন কোনও আইন নেই। প্রাইভেসির অধিকার রক্ষার দায়িত্ব ও আইনি কাঠামোর সহায়তা দেওয়ার কথা রাষ্ট্রের। আমাদের এখানে প্রায়ই পাবলিক ইন্টারেস্ট, পলিটিক ইন্টারেস্ট ক্ষুণ্ন হয়। অপর দিকে ফেসবুকের জীবন-যাপন পর্যবেক্ষণের মধ্যদিয়ে ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ এর মাধ্যমে সক্রিয় হ্যাকাররা জেনে যাচ্ছে পাসওয়ার্ড। এরমধ্যে ব্যক্তির গোপনীয়তা বলে আর কিছু থাকছে কিনা। তাই নতুন প্রযুক্তির কারণে ব্যক্তিগত তথ্য গোপনীয়তা জরুরি।
সূত্রঃ বিশ্ব তথ্য সুরক্ষা দিবসঃ ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা জরুরি
সম্পাদনাঃ নূর মোহাম্মদ নূরু
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০৮
বিজন রয় বলেছেন: অবশ্যই।
গোপনীয়তা থাকা চাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।