নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
এককালে একান্নবর্তী পরিবারের সুনাম ছিলো জাপানীদের। বাবা, মা, দাদা দাদী নাতি নাতকুড় নিয়ে ছিলো তাদের ঐতিহ্যবাহী পাবিারকি বন্ধন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী জাপানের লোকেরা ৭৫ বছর পর্যন্ত কোন ধরনের দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হওয়া ছাড়াই বেঁচে থাকেন। মানসিক চাপ কম থাকা তাদের দীর্ঘ জীবন বেঁচে থাকতে সহায়তা করে। এ দেশের নারীদের গড়আয়ু প্রায় ৮৭ বছর এবং পুরুষের গড় আয়ু প্রায় ৮০ বছর। বিজ্ঞানীরা এই দীর্ঘায়ুর কারণ হিসেবে জাপানিদের খাদ্যাভ্যাসের কথা বলছেন। মাছ আর শাকসবজি দিয়ে তৈরি তাদের অসাধারণ খাবারগুলো তাদের জীবনের দৈর্ঘ্য অনেক বাড়িয়ে দেয়।জিনগত কারণেও জাপানিরা বেশি আয়ু পেয়ে থাকেন বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। দৈহিক গড়নে ছোট অর্থাৎ বেঁটে মানুষ সমবয়সী লম্বা মানুষের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে। এ ছাড়া জেরিয়াট্রিক মেডিসিন বা বার্ধক্য সংক্রান্ত অসুখ-বিসুখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে জাপান বেশ উন্নতি করেছে। বিশেষ করে ক্যান্সার, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রভুত উন্নতি হয়েছে। জাপনীদের ঐতিহ্যবাহী সেই কালচার আজ বিলুপ্ত প্রায়। বর্তমানে জাপানে একান্নবর্তী পরিবারের সংখ্যা কমে আসছে। শুরু হচ্ছে অসভ্য কালচার। জাপানের অনেক পুরুষ তাদের সঙ্গী হিসেবে পুতুলকে (সেক্স ডল) বেছে নিচ্ছেন। মানুষের তৈরি এসব পুতুলসঙ্গীদের সঙ্গে মানসিক বন্ধনও গড়ে তুলেছেন তারা। পাশাপাশি এদের সংখ্যাটাও দিন দিন বাড়ছে। সমালোচকেরা বলছেন পুরুষেরা যে একাকীত্ব বোধ করে সে কারণেই এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে জাপানের অসংখ্য পুরুষ সিলিকন রোমান্সের দিকে ঝুঁকছে ও এদের সংখ্যাটাও দিনে দিনে বাড়ছে। প্রতি বছর দেশটিতে প্রায় দুই হাজারের মতো 'সেক্স ডল' বিক্রি হয়। যার প্রতিটির দাম অন্তত ছয় হাজার ডলার। জাপানের অনেক পুরুষ আর মানুষের সাথে বসবাস করতে চান না। তারা তাদের মানুষরূপী সঙ্গীদের নিয়ে অনেক খুশী এবং অনেকে বলছেন তারা আর কখনো কোনো মানুষের (নারী) কাছে ফিরে যাবেন না। মানুষের তৈরি এসব সঙ্গীদের সাথে মানসিক বন্ধনও গড়ে তুলেছেন অনেক ক্রেতা।
(নিজের পুতুলকে নিয়ে ছবি তুলছেন মাসায়ুকি)
৪৫ বছর বয়সী মাসায়ুকি ওজাকি বলছেন তাঁর সিলিকন পুতুলের প্রেমেই তিনি মগ্ন হয়ে থাকেন। এমনকি কর্মক্ষেত্রে যদি কোনো কিছু ভালো না যায়, বা দিনটা যদি ভালো নাও কাটে তাতেও ওই পুতুলের প্রতি তার ভালোবাসা কমে না। "সে সবসময় জেগে আছে, আমার জন্য অপেক্ষায় আছে এটা মনে করে আমি নিরাপদ বোধ করি" বলেন মাসায়ুকি ওজাকি। মাসায়ুকি তাঁর সঙ্গী পুতুলের নাম দিয়েছেন মায়ু। মাসায়ুকি বলেন, "আমি ভাবতেই পারিনা আর কোনো মানুষের সাথে থাকার কথা। মায়ুকে নিয়ে আমি কবরে যেতে চাই"-বলছিলেন মাসায়ুকি। "জাপানি মেয়েরা নির্মম হৃদয়ের, স্বার্থপর। পুরুষেরা চায় এমন কেউ তার পাশে থাকুক যে তার পাশে থাকুক, কাজ থেকেআসার পর যার সাথে সুন্দর সময় কাটানো যায় এমন কেউ। সেক্স ডলের সাথে আমি তেমনটা করতে পারি"।
সূত্রঃ জাপানীরা মানুষের সাথে বসবাস করতে চান না, স্বাচ্ছন্দ্য সিলিকন পুতুলে
সম্পাদনাঃ নূর মোহাম্মদ নূরু
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যাহোক সাহস করে মন্তব্য করলেন !!
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: দার্শনিক রুশো বলেছিলেন-- সখি, আমাকে বুঝতে হলে ''রুশোর অভিধান'' বলে একটা জিনিস আছে, আগে সেটা বুঝতে হবে।
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
''রুশোর অভিধান''
আমাকেও বুঝতে হবে।
৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯
হাঙ্গামা বলেছেন: জাপানি মেয়েরা আমাকে বেছে নিতে পারে। আমি আছি :দ
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২৯
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: এই ডল যদি ব্যাপক হারে ব্যবহার করা শুরু হয় তাহলে জনসংখ্যা দেখি মাইনাসে যাবে !